![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম পর্ব জটিলতার লিঙ্ক দেওয়া গেলনা বলে দুখিঃত । যারা প্রথম পর্ব পড়েননি তাদের আমার ব্লগে ঢুকে জটিলতা এই পর্বটি পড়ার অনুরোধ রইল ।
ভোরবেলা গীর্জার দরজার বাইরে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে ফাদার বাইরে এসে দেখেন কে বা কারা একটি মেয়ে বাচ্চা ফেলে রেখে গেছে । এই মফস্বল শহরে কারা এত ফুটফুটে বাচ্চা ফেলে রেখ গেল তা ফাদার বুঝতে পারলেন না, এমন সময় নানরাও বের হয়ে এসে দেখে ফাদারের হাতে সদ্যজাত একটি মেয়ে বাচ্চা । নানরা বলল ফাদার আপনি পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করে তাদের হাতে একে দিয়ে দিন কেননা আপনারতো আজকেই ঢাকার চার্চে যোগদান করতে হবে ।ফাদার পুলিশে ফোন দিলেন এবং যথারিতি পুলিশ এসে বলল আমরা আশেপাশে ও হাসপাতাল থেকে কোন বাচ্চা হারানো গিয়েেছে কিনা তা খোজ নিচ্ছি ততক্ষন আপনি নানদের দিয়ে এর দেখাশোনা করুন ফাদার বলল তাড়াতাড়ি করবেন আজকেই আমাকে ঢাকায় চলে যেতে হবে । দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল হতে চলল পুলিশ কোন কুল কিনারা করতে পারলনা এবং কেউ বাচ্চা হারিয়েছে বলে অভিযোগও করতেও আসলনা । পুলিশ ফাদারের কাছে এসে ঘটনা জানাল এবং বলল নিশ্চয় এ সন্তান অবৈধ তা না হলে এত ফুটফুটে বাচ্চা কেউ ফেলে যায়না ।ফাদার পড়ল বিপদে এখন এ বাচ্চা কাকে দিব কে নিবে যখন এই চিন্তা করছে তখন পুলিশ বলল ফাদার আপনি ঢাকায় গিয়ে কোন ভাল এতিমখানায় বা দক্তক নিতে চায় এমন কাউকে দিয়ে দিন । দূর থেকে সব ঘটনাই খেয়াল করল মফিজ
অগত্যা বাচ্চাটি ফাদারের সাথে ঢাকায়, এতিমখানায় বা কাউকে দত্তক নয় ফাদার নিজেই পিতার স্নেহে তাকে বড় করতে লাগলেন । নাম দিলেন ক্যাথরিনা কলি ।
আলতাবানুর দু চোখে জল, সে একটিবার তার বাচ্চাটাকে দেখতে চেয়ে ছিল, আদর করতে চেয়েছিল কিন্তুু মফিজ দাই এর হাত থেকে ছো মেরে বাচ্চাটাকে নিয়ে নেয় । বাচ্চাটাকে মেরে ফেলার হুকুম আছে তার উপর কিন্তুু বাচ্চাটার চেহারায় এত মায়া,শেষ পর্যন্ত মফিজ স্হানীয় এক গির্জার বাইরে বাচ্চাটাকে রেখে আসে ।
কালু শেখের চোখ আটকে থাকে মেয়েটির উপর যাকে সে তার ছেলে হালিম শেখের সাথে দেখেছে । খোজ নিয়ে জানতে পারে এ করিম মুন্সির মেয়ে । ছেলের সাথে প্রেম কিন্তুু নিজের কামনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে । করিম মুন্সির এত সুন্দর মেয়ে আগে কেন চোখে পড়লনা,এখন কি করা যায় একদিকে ছেলের পছন্দ অন্যদিকে নিজের কামনা-বাসনা। সত্যের জয় সবসময় হয়না সাময়িকভাবে মিথ্যারও জয় হয়। হালিম শেখ নিজের পছন্দের কথা বলার আগেই দূরে তার মামার বাড়ীতে নিয়ে হঠাৎ করে মামাত বোনের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় কালু শেখ। সেখান থেকেই কিছুদিন থেকে হালিম শেখকে সোজা মালায়শিয়া পাঠিয়ে দেয় কালু শেখ । করিম মুন্সির মেয়ে এর বিন্দু-বিসর্গও জানতে পারেনা । হালিম শেখও কিছু বলে যেতে পারেনা ।কালু শেখের এই বয়সে ঘরে বিবি থাকা অবস্থায় করিম মুন্সির মেয়েকে বিয়ে করা সম্ভব না তাই সে সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে মুন্সির মেয়ে যখন প্রাকিৃতিক কর্ম সম্পাদন করার জন্য বের হয় তখন মুন্সির মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যায় কালু শেখ । সারা রাত ভোগ করার পর ভোর হবার পূর্বমূহুর্তে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় কালু শেখ আর বলে দেয় তার নাম জানাজানি হলে তার বাপ জিবীত থাকবেনা । দূর্বল সবসময় সবল দ্বারা অত্যাচারিত সব জেনেও মুন্সির পরিবার মান-সম্মানের ভয়ে ঘটনাটা কাউকে জানতে দিতে চায়না কিন্তুু মুন্সির মেয়ের শারিরিক পরিবর্তন ঘটতে লাগল ধীরে ধীরে । মা বাবার শত অনুরোধেও বাচ্চা নষ্ট করার জন্য রাজী হয়না করিম মুন্সির মেয়ে । শেষ পর্যন্ত কালু শেখের কাছে ছুটে যায় করিম মুন্সি । । কালু শেখ দূরে তার এক পরিচিত পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয় মুন্সির মেয়েকে । প্রতিবেশীরা জানতে চাইলে বলে তার মামার বাড়ী গেছে কিছুদিন থেকে আসবে তা শুনে প্রতিবেশীরা মিটিমিটি হাসে । এত কষ্ট করওে নিজের বাচ্চাকে ধরে রাখতে না পারার বেদনা ও প্রতিবেশীর চাপা হাসির কলঙ্ক বোঝা মাথায় নিয়ে ফিরে আসে করিম মুন্সির মেয়ে । সে জানেনা মফিজ নামের লোকটি তার বাচ্চাটাকে শেষ পযর্ন্ত কি করল ।
আজ দশ দিন হল রইস দিনমুজুরি দেয় আলতবানুর গ্রামে কালু শেখের ক্ষেতে খামারে । এখন যে ক্ষেতে সে কাজ করে তার পাশেই করিম মুন্সির বাড়ী । প্রায় প্রতিদিন সে দেখে একটি অপরুপ সুন্দরী মেয়ে আনমনে হেটে বেড়ায় ক্ষেতের আইলে বা বাগানে । এত সুন্দর মেয়েটা যদি তার বউ হত এই ভেবে গভীর নিশ্বাস ছাড়ে রইস । রাতে কালু শেখের দেওয়া জায়গায় শুয়ে সাথের কামলাদের মনের কথা খুলে বলে রইস যা কালু শেখ বাইরে থেকে শুনতে পায় । এদিকে করিম মুন্সির রাতে চোখে ঘুম নেই, কে বিয়ে করবে তার মেয়েকে এ ঘটনার পর । কালু শেখ ডেকে পাঠায় দিনমুজুর রইসকে, বলে তোমার কাল রাতের কথা আমি শুনেছি । যদি রাজি থাক আলতাবানুর সাথে তোমার আমি বিয়ে দিব । হতবাক হয় রইস, এটা কিভাবে সম্ভব । কালু শেখ কথা বলে করিম মুন্সির সাথে, করিম মুন্সির রাজী না হয়ে আর উপায় ছিলনা আর কালু শেখ ও চিন্তা করল হালিম শেখ বাড়ীতে আসলে কিছু বুঝে ফেলার আগেই আলতাবানুর একটা গতি করতে হবে । বিয়ে হয়ে গেল রইস ও আলতাবানুর ।
বিয়ের রাতেই রইসকে সব ঘটনা খুলে বলে আলতাবানু শুধু যে সর্বনাশ করেছে তার নামটা জানায়না । বাইশ বছর হতে চলল বংশ রক্ষা করতে হবে বলে পরিবাররে পীড়াপীড়িতেও বিয়ে করছে না রইস ।
*শেষ অংশ আগামীকাল ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাকি অংশ টুকুর অপেক্ষায় থাকলাম।