নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......
শীতের সকালে খুব ভোরে ভোরে ঘুম ছুটে যেত।কিন্তু উঠতে পারতাম না।কেউ তখনও ওঠেনি বলে।অনিচ্ছা নিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে হত।তখন আমি কিন্ডারগার্টেন এর ছাত্র।সারাদিন শুধু খেলে বেড়াই।জেলা শহরে বাড়ি আমাদের।মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কম থাকলেও শান্তি ছিল প্রচুর।তখন তালা দেওয়া গ্রিল সংস্কৃতি মাত্র শুরু হচ্ছে।প্রায় সব বাড়ির সদর দরজা সব সময় খোলাই থাকত।(আমাদের বাড়িতে এখনও খোলা থাকে!)
শীতের সকাল গুলোতে বিছানা ছাড়তাম আমার গৃহিণী মায়ের সাথে।যখন কাজের বুয়া দরজা ধাক্কাত।সকালে উঠে আমার প্রথম কাজ হলো আঙিনার শিউলি তলায় পড়ে থাকা শিউলি ফুল কুড়িয়ে ডালা ভর্তি করে বাসার ডায়নিং টেবিলে এনে রাখতাম।আমার শিউলি ফুল তোলার একটি ডালা আমার বাবা মেলা থেকে কিনে দিয়েছিলেন।
মাঝে মাঝে আমার ফুপি(ওনার নামও শিউলি ছিল) ঘুম থেকে উঠে মালা করে দিতেন।ওই মালা বিকেল পর্যন্ত থাকত।এখনও চোখ বন্ধ করলে আমি শীতের সকালের সেই শিউলিতলার ফুলের ঘ্রান পাই.......
সকালটা শুরু হত এককাপ দুধ চা এর সাথে মুড়ি/টোস্ট /বনরুটি দিয়ে।তারপর ছোটচাচা/ ফুপির কাছে পড়তে বসা।আমাদের যৌথ পরিবার।দাদা দাদি চাচা ফুপু চাচী মিলে এক সঙ্গে বসবাস খাওয়া দাওয়া।
সকালে পড়তে বসে আমার মন থাকত পিঠেওয়ালা ও খেজুরের রসওয়ালার দিকে।
"এই কাঁচা রওসসসসসসসা" বলে একটা চিৎকার দিয়ে রসওয়ালার বাড়ির আশেপাশে প্রবেশের সাথে সাথেই আমার এ কচি মন চনমন করে উঠত!সব বায়না করতাম দাদা ভাই এর কাছে।বাড়ির বড় ছেলে আর প্রথম নাতি,আদরটা বেশিই ছিল।এখনতো ভয়ে খেজুরের রস খেতেই পারি না।জ্বাল দিয়ে খেতে হয়।তাও মনে কেমন কেমন করে।বাট জ্বাল দিলে আর সেই স্বাদটা পাওয়া যায় না.......
(আমি ছেলেবেলা লেখা শুরু করলাম কেন?? আমিত বিখ্যাত কেউ নয়! আপনারাই বা কেন পড়ছেন??
লিখছি দুটো কারনে।এক.নিজের জন্য,দুই. মনখারাপ থেকে(এগুলো মনে পড়লে মন খারাপ লাগে)। পাঠক সমাজ এর কাছে ক্ষমা প্রার্থী কোন ভূল ত্রুটির জন্য।আপনারা চাইলে আরো লিখব।নাইলে আপনাদের বিরক্ত করব না।ধন্যবাদ)
©somewhere in net ltd.