![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......
গতকাল এক ব্লগার ভাই এর ব্লগ পড়ে কিছুটা হতাশ হলাম।ব্লগে উনি সন্তান সহি শুদ্ধভাবে লালন পালনের উপর একটি বক্তব্য পেশ করেছেন।ওনার লেখাপড়ে আমার মনেও কিছু কথা জন্ম নিয়েছে।আমি আমার মনের কথাগুলো মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকে ভাবলাম একটি ব্লগ লিখে ফেলি।তাহলে হয়ত বেশি মানুষের দৃষ্টিগত হবে।
গতকাল ঐ ব্লগার ভাই বলেছিলেন সন্তানকে ছোট বেলা থেকেই ইসলাম এবং আল্লাহর ভয় সন্তানের মনের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে।তাহলে হয়ত বড় হবার পর সে খারাপ পথে পা বাড়াবে না(পর্ন,নেশা,সন্ত্রাসী)। উনি কিছু উদাহরণও দিয়েছেন।
দূঃখের সহিত বলতে হচ্ছে আমি ওনার সাথে একমত নয়।এটা কোন গবেষণা মূলক লেখা নয়।সাধারনত আমি যা ভাবি সেটাই লিখব।
ইসলামে সন্তাকে বারো বছর বয়স থেকে নামাজ এবং অনান্য ইসলামিক বিধিবিধান পালনের জন্য চাপ প্রয়োগের কথা বলা আছে।আমাদের সমাজে সেটা ঘটে থাকে।
প্রায় সবাইকে ছোটবেলা থেকেই ইসলামিক আদেশ নিষেধ,পরকালের পুরস্কার শাস্তির কথা বলা হয়ে থাকে।কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া।
তাহলে সেই ব্লগার ভাই এর যুক্তিমত এ সমাজে ৯৫% মুসলিম ছেলে মেয়ের পর্নগ্রাফি/নেশা/সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু বাস্তব কি বলে?আমি আগেই বলেছি এটা কোন গবেষণা ধর্মী লেখা নয়।তাই কোন পরিসংখ্যান ব্যবহার করতে পারছি না।তবে আমরা সবাই জানি বাস্তবটা কি।
সবচে বেশি ধর্মচর্চা হয় কোথায়? ঠিকই ধরেছেন মাদ্রাসায়।কিন্তু মাদ্রাসার ছেলে মেয়ে গুলকি এসব থেকে মুক্ত?
আমার মতে যদি পর্নগ্রাফি থেকে মুক্তি চান তাহলে মিষ্টি কথায় চিড়ে ভিজবে না।কঠোর আইন করে দেশে সব পর্ন সাইট বন্ধ করে দিতে হবে।কেউ পর্ন ধারন,পরিবহন,সংরক্ষন করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্হা করতে হবে। আপনার সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে একমাত্র আপনিই গড়ে তুলতে পারবেন,তবে তার মানে এই নয় যে বড় হবার পর সে এগুলোতে আসক্ত হবে না।তবে চেষ্টা করতে তো ক্ষতি নেই।
ছোটবেলা থেকেই ধর্ম শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষাও দিতে হবে।এজন্য অবশ্যই আপনাকে আগে নৈতিক হতে হবে।আপনি অনৈতিক কাজের ভেতর থাকলে সন্তাকে যতই আল্লাহর ভয় দেখান আমার মনে হয় না তাতে খুব একটা কাজ হবে।
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.