নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি....

মো: হাসানূর রহমান রিজভী

একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......

মো: হাসানূর রহমান রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজাইরা প্যাঁচাল

১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৬

আপনার এলাকায় যদি কেউ খুন হন তাহলে ঘটনাটি কি ঘটে?যে ব্যাক্তি খুন হন তার ফ্যামেলি এবং যে খুন করে তার ফ্যামেলি একটি বিরাট অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে।আমার আপনার খুব বেশি লাভ ক্ষতি হয় না।কখন হয় যখন নিহত ব্যাক্তি বা খুনি আমার আপনার বন্ধু হয়।বন্ধু নিহত হওয়ার শোক অথবা খুনের মামলা খাওয়ার ভয়।

গরীবের বউ সবার ভাবি! আমাদের দেশটা গরীব।আমাদের দেশের সরকারও গরীব।যদিওবা অবস্হা এখন কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে।সরকার ধনী হচ্ছে।এবং সেইসাথে অনেক জনগনও ধনী হচ্ছে।উন্নত দেশ গুলতে জনগন গরীব থাকে কিন্তু সরকার থাকে ধনী।

ধনী জনগন কারা??
এখানে ধনী জনগন কে আমি তিন ভাগে ভাগ করব।১.রাজনীতিবিদ
২.সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী
৩.ভ্যাট ট্যাক্স ফাকি দেওয়া ব্যাবসায়ী চোরাকারবারি


রাজনীতি পেশা হয়েছে বহু আগেই।সেটা আগেই বলেছি।দিন দিন রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের যেভাবে আঙ্গুল ফুলে তাল গাছ বেল গাছ হচ্ছে তাতে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের মনের উপর প্রভাব পরে।কিভাবে প্রভাব পরে সেটা পরে বলছি।তার

এখন আসি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছে।আমার মনে হয় না এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন আছে।চোখ কান সামান্য খোলা রাখলেই সবগুলো পয়েন্ট বোঝা যায়।তবে কিছু ব্যাতিক্রম ছারা।


আসুন এবার সাধারন খেটে খাওয়া দিনমজুর,কৃষক,ছোট ব্যাবসায়ী,বেসরকারি চাকুরে,প্রবাসী বছরের প্রতিটা দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে।শরীরের রক্ত পানি করে করে সৎ পথে টাকা ইনকাম করেও যখন তার অভাব দূর হয় না,অপর দিকে সেই তিন শ্রেনির মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ব্যাগ ভর্তি বাজার, প্রাসাদ, দামি দামি সামগ্রি আর আমি আপনাকে তুচ্ছ করে নিজেদের বাহাদুরি জাহির করে তখন সেই সব খেটে খাওয়া মানুষের ধরনী দ্বিধা হয় কথাটা নিজের কানেই ফিরে আসে।

অথচ সেই খেটে খাওয়া অভাবী মানুষটিও কিন্তু সচ্ছল হতে পারত।হয়ত তার কোন মেধাবী ছেলে ভাই পেট চলার মত একটা বেসরকারি চাকরী জুটিয়ে নিয়েছে শক্ত লবিং অথবা টাকার অভাবে।ধার আর জমি বিক্রির টাকায় যাওয়া প্রবাসী ভাইটির অর্ধেক জীবন শেষ হয় লোন শোধ করতে।কৃষক উৎপাদনের অর্ধেক দামও পায় না!

বাংলাদেশে ছাত্র ছাত্রীরা হতাশা নিয়ে পড়াশোনা করে।(কিছু বাদে)।কি হবে কি করব?চাকরি পাব কি না,ইত্যাদি।


দেশে যখন কোন অঘটন ঘটে সবচে বিপদে পরে এই খেটে খাওয়া শ্রেনীটিই।জঙ্গি হামলা,হরতাল,অবরোধ এই সব খেটে খাওয়া লোকেদের জীবন অচল করে দেয়।

আমরা সবাই সবসময় ভাবি ইস! নিয়োগ টা যদি ফেয়ার হতো হয়ত আমার জবটা হয়ে যেত।যদি ফেয়ার হওয়ার পরও না হত আমি একশত ভাগ শিওর কেউ মনে দুঃখ রাখত না!!!

ইস! সরাসরি কৃষকরা যদি সরকারী দামে সরকারি গুদামে চাল দিতে পারত,দেশের বহু কৃষকের ছেলে আইফোন ব্যাবহার করত বলে আমার বিশ্বাস!

নিয়োগ প্রক্রিয়া ফেয়ার হলে যোগ্য লোক চেয়ারে বসত।কাজের গতি অথবা ধরনই হত অন্যরকম।

হরতাল, অবরোধ,জঙ্গি এই শব্দ গুলো বাংলার অবিধান থেকে বিলুপ্ত হত।আজ আমি আপনি দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে নিজের সংসার বাবা মা ভাই বোনেরই ক্ষতি করছি।সেই ধনীকশ্রেনীর কোন আসে যায় না।

ধন্যবাদ সবাইকে

e-mail & fb "[email protected]"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.