নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি....

মো: হাসানূর রহমান রিজভী

একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......

মো: হাসানূর রহমান রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকারের ফাঁশি এবং আমার একটি প্রশ্ন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩২



বছর খানেক আগে আমার এক বন্ধু ফেসবুকে একটি লেখা শেয়ার করলেন।লেখাটি যতটা না বিএনপি জামায়াত পন্থি ঠিক ততটাই আওয়ামী বিদ্বেষী। পড়া শুরুর আগে একবার লেখকের নাম পড়েছিলা।পড়া শেষ করে দেখি পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইক ১কে+ এবং কমেন্ট দেখে আমি উপড়ে আবারো লেখকের নাম দেখতে গেলাম।এমন বিএনপি জামায়াত ভক্ত আওয়ামী বিদ্বেষী একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি সম্পর্কে একটু খোজ খবর আরকি।

উপড়ে গিয়ে দেখি লেখক নয়,লেখিকা।নাম মিনা ফারাহ।নামটা পরিচিত পরিচিত লাগছিল।কিন্তু ঠিক মনে করতে পারছিলাম না।এর ঠিক একদিন পর আমি মিনা ফারহা কে ডিটেক্ট করতে পারি হটাৎ করেই।আমার মনে পড়ে যায় বেশ কিছু দিন আগে তার একটি বই পড়ে ছিলাম।আসলে ওটাকে বই বললে ভূল হবে,*টি বললে হবে একদম পারফেক্ট!

আপনাদের *টি সম্পর্কে সামান্য ধারনা দেওয়ার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারছি না।স্যরি বইটির নাম ভূলে গেছি আপনাদের কেউ যদি কাহিনি দেখে নাম ধরতে পারেন আমাকে কমেন্টে জানাবেন।কাহিনি সংক্ষেপ: এক ভদ্রলোক ওনার ওয়াইফ নিয়ে আমেরিকায় থাকেন।ভদ্রলোক পেশায় ট্যাক্সিচালক। ভদ্রমহিলা গৃহিণী। ভদ্রলোক মাঝে মাঝে ট্যাক্সি চালিয়ে দিনে ৩০০ ডলার আয় করলেও ভদ্রমহিলার মনে শান্তি নেই।তাই শান্তির জন্য ভদ্রমহিলা হাটুর বয়েসি এক ছোকরার সাথে ইটিস-পিটিস করেন" এই সাধাসিধা বইয়ের ভেতর হাটুর বয়সি ছেলের সাথে ইটিস পিটিসের বর্ননা যেভাবে দেওয়া আছে তা যে কোন *টি গল্পকেও হার মানাবে! এবং আমি সিওর আপনি বাংলাদেশে ওই বই কিনে আমাদের সমাজে বুক সেলফ এ সাজিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না।(দু-একজন ছাড়া)

ঠিক এই ভাবে মিনা ফারহার সাথে আমার পরিচয়।আজ এক ব্লগারের ব্লগ দেখে আবার ভদ্রমহিলার কথা মনে পড়ল।অসুবিধার কিছু নেই।উনি লিখতেই পারেন।ভালো খারাপ সবই লেখার অধিকার ওনার আছে।ইসলাম নিয়েও লিখতে পারেন।আমার তাতে কোন অসুবিধা নেই।

যুদ্ধপরাধী জামায়াতি বড় বড় নেতাদের ফাঁশি হচ্ছে।দেশের এক অংশ মানুষে প্রচন্ড মন খারাপ।তাদের দাবি ওনারা নির্দোষ। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আল্লাহ যেহেতু মানির মান রাখেন,সেহেতু আল্লাহ তাদের এই শেষ বয়সে এইরকম হেনস্তা করাচ্ছেন কেন??আমি বিশ্বাস করি,আল্লাহর হুকুম ছাড়া কারো ক্ষমতা নেই কাউকে অপদস্ত করা।

ধন্যবাদ

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দেশ কলঙ্ক মুক্ত হচ্ছে এখানেই অনেকের গা জ্বালা

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১০

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: এই গা জ্বালা আগেও ছিল,এখনও আছে।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: আপনার প্রশ্নটা কি সেটাত বললেনা?
বই এর নামটাই কি আপনার প্রশ্ন?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: না ভাই,আমার প্রশ্ন"আল্লাহ কেন এইসব আলেম বুজুর্গ ইসলামি দলের নেতাদের বৃদ্ধ বয়সে ফাশি দিয়ে হেনস্তা করলেন?"

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: কোন অপরাধীর শাস্তি হলে কোন বিবেকবান মানুষ তাতে কষ্ট পাওয়ার কথা নয়।
লেখিকার কোন দলের মতাদর্শে সমর্থন থাকতেই পারে।
নিজের চাচাতো ভাই চুরি করে মার খেলেও তার জন্য দরদ লাগবেনা তা তো হয়না।
কিছু চোর রাতে চুরি করতে যেয়ে জনগনের ধাওয়া খেয়ে বুদ্ধি খাটিয়ে ঐ ধাওয়াকারী জনগনের ভীতর ঢুকে চোর চোর বলে চিল্লাচিল্লি করে নিজেদের সেভ করে ফেললো।
ব্যাপারটা কেমন দাড়ালো বলুনতো?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: না ভাই কারো ভিন্নমত থাকতেই পারে,আমার সেটাতে কোন সমস্যা নেই।ভদ্রমহিলার সমস্যা কি জানেন? একমুখে সকালে নিবে আল্লাহর নাম,বিকেলে গালাগালি।সে বইয়ে অশ্লিল কথাবার্তা লেখে আবার মাঝে মাঝে তার কথা বার্তা শুনলে মনে হয় পীর! আর অন্যকে বিষেদগার করে ছারা কোন কথা বলতে পারেন না।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: যদি তাই হয় তবে এই সমস্ত লেখিকার কোন লেখা না পড়াই মনে হয় উত্তম।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: এড়িয়েই চলি,বাট মাঝে মাঝে সামনে এসে পড়ে!

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: মিনা ফারাহ্‌ একটা ওলকচুর নাম। সবার হজম হয় না। তবে, উনি যে চটি লেখেন এই প্রথম শুনলাম। অবশ্য কত কিছুইতো শুনতে হবে।
আপনার পোস্টতো শেষ করলেন না!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: মিনা ফারাহ' কে কি অর্থে ওলকচু বললেন এটা জানলে ভাল হত।উপন্যাসের ভেতর পজিশন সহ বর্ননা দিলে আর কি নাম দিতে পারি ভাই বলেন? একই কলমে আবার আল্লাহ খোদার নাম!

ভাই লেখা শেষ করেছি।আমার প্রশ্ন হচ্ছে,আল্লাহ এইসব যুদ্ধপরাধীদের সাহায্য করছেন না কেন??আমরা আগেও জেনেছি অনেক মৃত্যুদন্ড পাওয়া আসামি আল্লাহর ইচ্ছায় অলৌকিক ভাবে বেচে গেছে।এক্ষেত্রে ওনারা যদি সঠিক পথে থাকে কেন সেটা ঘটছে না??

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২০

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করার জন্য।আপনি ব্লগার চাঁদগাজীর পোষ্টে বলেছেন আমি কপি পেস্ট করি।ঠিক বুঝতে পারলাম নাহ,আমি ভূল কোথায় করলাম।এই পর্যন্ত আমি খুবই কম পোষ্ট করেছি।সেখানে নিজের লেখাই বেশি দিয়েছি।
তবে হ্যাঁ,দুটো পোষ্ট আমি কপি করেছিলাম স্বল্প সময়ের জন্য এবং বিঃদ্রঃ হিসেবে:সাময়িক পোষ্ট এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে যেখান থেকে কপি করেছিলাম তার লিংক দিয়ে দিয়েছি।যদি এতে আমার ভূল হয় ক্ষমা করে দিবেন।
আমি বিশ্বাস করি এই ব্লগের সবাই নিজের লেখাই পোষ্ট করে।এত ব্লগারদের মাঝে আমি কপিবাজ ব্লগার হয়ে থাকতে চাই না।তাই আমার ভূলগুলো দেখিয়ে দেয়ার বিনীত অনুরোধ করছি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ফয়েজ ভাই,ভূল বোঝার জন্য অত্যান্ত দূঃখিত।আমি কথাটা ফান হিসেবে বলেছিলাম,কারন আপনি দুই একটি পোস্টে ফানি কমেন্ট কপি পেস্ট করেছিলেন।আমার ভূল যে,আমি বোঝাতে পারিনাই যে আমি ফান করে বলেছি।
ক্ষমা করবেন।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

প্রামানিক বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি,আল্লাহর হুকুম ছাড়া কারো ক্ষমতা নেই কাউকে অপদস্ত করা।

আপনার শেষের কথাটিই চিরন্তন সত্য।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই সহমত প্রদানের জন্য,কিন্তু কিছু লেবাসধারী লোক সেটা মানতে চায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.