নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি....

মো: হাসানূর রহমান রিজভী

একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......

মো: হাসানূর রহমান রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপন!

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২২



সতর্কীকরণ :টি একটি অনুগল্প,গল্পটি পড়লে হয়ত আপনার অস্বাভাবিক লাগতে পারে,হয়ত মনে ক্রোধ জন্ম নিতে পারে,হয়ত অসুস্হ বোধ করতে পারেন।আমাকে গালাগালি করতেও পারেন! এটা নিছকই একটা গল্প হিসেবে নিন।জীবনের সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়.....


আপন।

পেজ নাম্বার :২৩৭, ডেট:১১-০৩-২০১১ সময়:০৩৪৩এএম আবহাওয়া: জানি না


কিছু কিছু সময়, কিছু কিছু ঘটনা আমাদের জীবনটাকে পুরোপুরি ওলটপালট করে দিয়ে যায়।কিছু বুঝেওঠার আগেই অনেক কিছু হয়ে যায়।যা পর্বর্তীতে সারা জীবন বোঝার মত বয়ে বেড়াতে হয়।এক পক্ষের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত।

মানুষ একাকিত্ব পছন্দ করে।আমিও করি।যা খুশি তাই করা যায়,যা খুশি তাই ভাবা যায়।অফুরন্ত স্বাধীনতা।তবে অনেক সময়ের জন্য নয়।অনেক সময়ের একাকিত্ব অভিশাপ।

একদিন কলেজে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া আবস্হায় মা ফোন দিয়ে জানালো আমার এক ফুপি অসুস্হ,বাসার সবাই (আব্বু,আম্মু,ছোট বোন) সবাই ফুপির বাসায় যাচ্ছে,বাসার চাবি পাশের বাসার সাহানা আন্টির কাছে দিয়ে যাচ্ছে।আমি যেন ক্লাশ শেষ করে দেরি না করে তাড়াতারি বাসায় চলে যাই।

দুপুর বারোটার দিকে আমি বাসায় পৌছুলাম।শাহানা আন্টির বাসায় নক করলাম।কেউ দরজা খুলছে না।দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।মনে হচ্ছে বাসায় লোক আছে।আমি বাসার সামনে হাটাহাটি করছি আর এটা সেটা ভাবছি।সাহানা আন্টির একটি মেয়ে আছে এবার ক্লাশ নাইনে উঠেছে।গায়ের রঙ ফরসা, তার এই গায়ের ফরসা রঙটা আমাদের যুব সমাজের কাল হয়েছে।কাউকেই পাত্তা দেয় না।

কিছুক্ষন অপেক্ষা করে আবারো দরজা নক করলাম।সোহানা আন্টি দরজা খুল্লেন।

"ও,তুই...আয়,ভেতরে আয়...
অনেক ইচ্ছা থাকার সত্বেও গেলাম না।আন্টি ভেতর থেকে চাবি নিয়ে এলেন।চাবি দিতে দিতে জানিয়ে দিলেন তিনি গোশলে ছিলেন তাই সময়মত দরজা খুলতে পারেন নাই।

আমি চাবি নিয়ে বাসায় ঢুকলাম।কবরস্হানের মত নীরব।টিভি ছাড়লাম।গোশল করতে হবে। প্যাকেট থেকে একটি সিগরেট ধরিয়ে নিলাম।মাত্র দুটি সিগরেট আছে বাকি।অনেকটা সময় চলতে হবে।নিজ ঘরে সিগরেট টানার মজাই আলাদা। মাথার মধ্যে হালকা হালকা ঝিম ঝিম করছে।গোশল করলে কমতে পারে বলে মনে হচ্ছে।

গোশল খাওয়া দাওয়া করে আম্মুর ঘরে শুয়েছি।বাইরে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি।হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব।আমি কাথা টেনে নিলাম।টিভি চলছে।আমি ক্রমাগত চ্যানেল চেঞ্জ করে চলেছি।মাথার মধ্যে ঝিম ঝিম ভাব আছে।আমি টিভি বন্ধ করলাম।পাশ ফিরে শুলাম।একটু ঘুমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।

ক্রমাগত বেল টিপছি কিন্তু কেউ দরজা খুলছে না।আমি দরজার বাইরে দাড়িয়ে।খুব বিরক্ত।আবারো সুইচ চাপলাম,বাসার ভেতর থেকে ক্রিং ক্রিং আওয়াজ এলো আমি নিজ কানে শুনলাম।আবারো চাপ দিলাম সুইচে।আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি বিছানায়।কলিং বেল বাজছে।নিশ্চয় কেউ এসেছে।আবিষ্কার করলাম আমি আম্মুর ঘরে।মনে পড়ল বাসার সবাই বাইরে।আমি একাই আছি।নিশ্চয় আব্বু আম্মু চলে এসেছে।ঘরে সিগরেটের সামান্য গন্ধ রয়ে গেছে।সামান্য চিন্তিত বোধ করলাম।দরজা খুলে দেখি আমার ছোট মামি।হাফ ছারলাম।দরজা খোলা রেখেই এসে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।মামি দরজা বন্ধ করে আমার পিছে পিছে এলেন।

'আপা কোথায়'
নাই,কেউ নাই।
কোথায় গেছে?
জানি না,খুব ঘুম পাচ্ছে।আমি ঘুমালাম।
ঘুমাবা মানে? এই শান্ত... এই??
মামী আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে,আর ঘুমও পাচ্ছে প্রচন্ড,আম্মুরা আসলে দরজা খুলে দিও,আল্লা হাফেজ বাই।
ওহ,আচ্ছা।মাথা টিপে দিব?
কষ্ট না হলে দাও।

মামী আমার মাথার চুল টেনে দিচ্ছে।পৃথিবীর মধ্যে আমার প্রিয় কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম।

মামীএকটু কপালটা টিপে দাও না....

মামী কোন কথা না বলে কপালে হাত রাখল।আমার পুরো শরীরে শিহরন বয়ে গেল।নিমেষেই যেন মাথা ব্যাথা উধাও হয়ে গেল।মামী টিভি ছেড়েছে।স্লো মোশনে হিন্দি গান আমার কানে আসছে।

মামী,লাইটের আলো চোখে লাগছে।
মামী আমার মাথার কাছ থেকে উঠে গেল,লাইট বন্ধ করে আবার ফিরে মাথার কাছে বসল।
"টিভি বন্ধ করে দিব?"
না থাক,সমস্যা হচ্ছে না"
"মাথা ব্যাথা কমেছে?"
"নাহ,এখনও কমেনি"

ডাহা একটা মিথ্যে বলে দিলাম।এই বয়সটাই মিথ্যের বয়স।এলোমেলো একটা সময়।কখন মনে কি আসে,কখন কি করতে ইচ্ছে করে কেউই আগে থেকে তা বুঝতে পারে না।মামী আমার কপালে হাত রাখলেন।আমি নিম্নঙ্গে শিহরন অনুভব করলাম।আমার মন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল।এক ভাগ ব্রেইনে পাপের অনুভূতি জাগলো এক ভাগ ক্রমাগত ভাবে বলতে থাকল' বাসায় কেউ নেই,রুম অন্ধকার,বাসায় কেউ নেই রুম অন্ধকার......'। কিছু কিছু সময় সত্য মিথ্যার কাছে পরাজিত হয় কিছু সময়ের জন্য,কিন্তু সত্য তো আর চাপা দিয়ে রাখা যায় না।আজ এই দুপুরে খালি বাসায় আমার ন্যায় অন্যায়ের কাছে আত্বসমর্পন করল।আমি আমার মাথা ছোটমামীর কোলে রাখলাম।

আমি ছোট মামীর মুখ দেখতে পাচ্ছিনা।চোখ বন্ধ করে আছি।ছোট মামীর মনের খবরও জানি না।এটা জানা সম্ভব নয়।থট রিডিং ক্ষমতা মানুষের নেই।ইতর শ্রেণির দু একটা প্রানীর মাঝে সামান্য পরিমানে আছে।এই মুহুর্তে আমার থটরিডিং ক্ষমতা খুব প্রয়োজন ছিল।

মানুষের থট রিডিং ক্ষমতা না থাকলেও আর একটি ক্ষমতা আছে।আমরা অন্যের চোখ দেখে অনেক কিছু বুঝতে পারি।আমিও পারি কিছু কিছু।কিন্তু এই মুহুর্তে মামীর চোখ দেখা সম্ভব নয়।এখন যদি মামীর চোখের দিকে তাকাই,তাহলে তা সরাসরি কাম প্রস্তাব হবে,এটা বোঝার জন্য পন্ডিত হবার প্রয়োজন নেই।মানুষের ডিএনএ তেই এই খবর আছে।

আমি অপেক্ষা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করলাম।এখনও ছোট মামীর আচরনে কোন নেতিবাচকতার প্রকাশ দেখতে পাচ্ছি না।আমার নিম্নাঙ্গে শিহরন বেড়েছে।ক্রমাগত শক্ত হয়ে চলেছে।আমার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি কিলবিল করে চলেছে।আমার নিশ্বাস ভারি হয়েছে।মাথাব্যাথা ঘুম কোনটাই নেই।পরিচিত একটা হিন্দি গানের সুর টিভি থেকে ভেসে আসছে।আমার মন শরীর পুরোপুরি তৈরী অনাগত কামাভাসে।পরিবেশ পুরোটাই অনুকুলে।শুধু বাধা সম্পর্ক।একটি কঠিন সম্পর্কের দেয়াল আমাকে আটকে রেখেছে।হয়ত ছোটমামীকেও।এ সম্পর্ক সব কিছুরই অনুমোদন দেয় শুধুমাত্র যৌনতা বাদে।

এসময় ছোটমামী একটু নড়ে বসল।আমার মাথা সামান্য স্হান পরিবর্তন করল।এতে ছোটমামীর নিশ্বাস আমার মাথায় পড়ছে।মামী আমার কপালে হাত রাখল।

"মামী,সমস্যা হচ্ছে? মাথা নামিয়ে ফেলব?" নিজের কন্ঠ শুনে নিজেই আবাক হলাম।আমার কন্ঠ এতোটা ভাড়ি কিভাবে হল??
"না,সমস্যা নেই,ঘুম আসছে না? মাথাব্যাথা কমেছে?"
আমি জবাবে মাথা নারলাম।মামীর কন্ঠ স্বাভাবিক।মামীর স্বাভাবিক কন্ঠ আমার উত্তেজনা কিছুটা কমিয়ে দিল।আমার বিভক্ত নেতিবাচক মনকে দূর্বল করে ইতিবাচক মনটা শক্তিশালি হয়ে উঠল।

মাত্র কিছু সময়ের জন্য।ছোট মামীর একএকটি নিশ্বাস আমার মাথা হয়ে পিঠ পর্যন্ত যেন কাঠফাটা গরমে এক অনবিল শান্তির ঠান্ডা হাওয়ার পরশ।খুব আস্তে আস্তে মাথাটা মামীর শরীরের দিকে এগিয়ে দিচ্ছি।অন্যায় কে প্রশ্রয়। আমার মাথা পুরোটা এলোমেলো।কোন কিছুই ঠিক ভাবে ভাবতে পারছি না।শুধু মনে হচ্ছে একটি বিপরীত লিঙ্গের নগ্ন শরীর, কিছুটা বন্য সময়,আদিম খেলা।এছারা আমার মাথায় কিছু নেই,কিচ্ছু না।

কায়দা করে মামীর কোলে পাশ ফিরলাম,যেন কোন ভাবে মামীর পেটে আমার মাথা বা মুখ স্পর্শ পায়।পেলো।মামীর স্তনে! আমার শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল।সম্ভবত মামীর শরীরেও।আমি চোখ বন্ধ করে ইচ্ছে করে হাতটা এমন ভাবে ওঠালাম,যেন আবারো আমার হাত মামীর স্তন স্পর্শ করে,স্পর্শ পেলো বল্লাম" স্যরি মামী"

মামী আস্তে আমার পিঠে থাপ্পর দিলো।এবং মামীর খিল খিল শব্দে হাসি যেন আমার পৃথিবী ভেঙ্গে চুড়ে ওলটপালট করে দিল।আমার শরীর কাপতে শুরু করল।হয়ত আমি না বুঝলেও আমার ডিএনএ ঠিকই ধরতে পেরেছিলো আদিম খেলার শায়।আমি প্রায় লাফিয়ে উঠে বসলাম।মামীর চোখের দিকে তাকানোর সুযোগ হলো।মামীর চোখে প্রশ্রয়।আমি কাপা কাপা গলায় বল্লাম,তাইতো বলি এতো সুন্দর গন্ধ আসছে কোথা থেকে.....মামী মুখ উচু করে ছাদের দিকে তাকিয়ে হাসলেন।আমি ডান হাতে মামীর মাথা ঝাপটে ধরে অধরে অধর মেলালাম...বাম হাতে বুকে হাত রাখলাম।এ সময় আমার জীবনে দ্বিতীয় বারের মত ট্রাজেডি ঘটে গেল।আমার শরীরে লুকায়িত আঠালো তরল আলো বাতাসের মুখ দেখল এই সামান্য কারনে....

আমার চেতনা ফিরে পেলাম।আবিষ্কার করলাম নিজেকে একটি অনাচারের ভেতর।বিদ্যুত চমকে গেল।এ আমি কি করছি।আস্তে আস্তে মামীর কাছ থেকে দূরে সরলাম।আমাকে অবাক করল মামী আমার আচরনে মোটেও অবাক হচ্ছে না।দু হাত তুলে জোর হাতে ক্ষমা চাইলাম।বল্লাম মাথাটা হটাৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো।মামী মৃদু হাসলেন।বল্লেন সমস্যা নাই।

আমি আর কথা বাড়ালাম না।বাথরুমে গেলাম।ফ্রেস হলাম।আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করলাম এটা কি হলো? কিছুক্ষন আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখলাম।মনে মনে ভাবলাম পৃথিবীটা এখন ধ্বংস হয়ে গেলে খুব ভালো হত।কিন্তু পথিবী সব সময় পৃথিবীর নিয়মে চলে।অজ যা ঘটল এটাও হয়ত তারই নিয়ম।আমি আমরা অভিনেতা।

ফ্রেশরুম থেকে বেরিয়ে দেখে মামী নেই।দরজা খোলা রেখে চলে গেছে.......

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মো: হাসানূর রহমান রিজভী ,




পড়লুম । তেমন কিছুই লাগেনি ।

শুধু বলে যাই ----- যতো শিঘ্রই সুস্থ্যতা আর শুভবোধ মানুষের মাঝে জেগে উঠবে ততোই মানুষের জন্যে মঙ্গল ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।গোলাপ বাগানে কিছু আগাছাও থাকে।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: চটি গল্পের উন্নত রুপ।।।

লেখার মান ভালো ছিল।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: এক কবিগুরু বাদে সবাই কমবেশি উন্নতরুপে চটি গল্প লিখেছেন,লিখে যাচ্ছেন।

লেখার মান ভাল হয়েছে শুনে ভাল লাগল।লেখার মান আরো ভালো করার জন্য আপনাদের পরামর্শ সাদরে গ্রহন করব।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

কানিজ রিনা বলেছেন: কিছু জীব জন্তুর চরিত্রর মানুষ আছে নারী
পুরুষ উভয়। রতনে রতন চেনে শুকুরে চিনে
কচু।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: মানসিক ভাবে প্রস্তত ছিলাম

ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৯

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.