নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি....

মো: হাসানূর রহমান রিজভী

একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......

মো: হাসানূর রহমান রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প; অপরাধ

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৮



অপরাধ।

মো :হাসানূর রহমান রিজভী


শাকিল স্যাইয়েদ গো-বেচারা মানুষ।ডালভাত খাব সোজা রাস্তায় চলব "নীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু সময় মাঝে মাঝে মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়ায়।সেই কঠিন সময়েও শাকিল দিশা হারান না।কঠিন হাতে হাল ধরেন।প্রতিপক্ষ সময় কে নিজের দিনে আনেন।সংসার জীবনে খুবই সুখি মানুষ।আলি শাকিলের বড় মেয়ে সবে কলেজে উঠেছে।ছোট ছেলে ক্লাশ ফাইভে পড়ে।চলার মত মুটামুটি সুন্দরি বউ নিয়ে আলি আলমের সংসার।

চাকুরি করেন ব্যাংকে।নিতান্ত গো-বেচারা হওয়ার দরুন অথবা প্রফেশনার পলিটিক্সয়ে আনাড়িত্বের কারনেই হয়ত প্রায় পনের বছর যাবৎ প্রমোশন ছাড়া ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।বিড়ালছানা পানি পানের সময় নিজ প্রতিবিম্বে বাঘের ছবি দেখে,যেহতু অফিসের সকলে শাকিল স্যাইয়েদের স্হুুল বুদ্ধির কারনে সর্ব সময় ঠাট্টা মস্করা করিয়া থাকে,ব্যাপারটা সে বুঝিতে না পারিয়া আথবা বুঝিয়া না বোঝার ভান করে সেই বিড়াল ছানার মত পানিতে বাঘের ছায়া দেখে।মাঝে মাঝে স্ত্রীর সাথে অন্ধকার ঘরে মশারির ভেতর ঘুমাবার আগে এ বিষয়ে গর্ব করে দু-চারটি কথাও বলে।যদিও শাকিল স্যাইয়েদের কোন বিষয়ে ওর স্ত্রী ফাহমিদার কোন আগ্রহ নেই,তবে খুটাইয়া খুটাইয়া জিঙ্গেশ করে এটা ভেবে যে কোন মহিলা কলিগের সাথে ঢলাঢলির কোন প্রমান পেলে শাকিল স্যাইয়েদকে কাঁচা খেয়ে ফেলার একটা উপলক্ষ পাওয়া যাবে।

তবে শাকিল স্যাইয়েদকে মানুষ যতটা বোকা ভাবে সে আসলে ততটা বোকা নয়।স্ত্রীর কাছে কিছু বাদছাদ দিয়েই সে কথা গুল বলে এবং কথা বলার সময় এমন ভাব করে যে ফাহমিদা ব্যাতিত দুনিয়ার সকল স্ত্রী লিঙ্গ এক প্রকারের ডাস্ট।ফাহমীদা খুশি মনে নাক ডেকে ঘুমায়।

ফাহমীদা ঘুমালে শাকিল দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।বউকে বোকা বানিয়ে তার দূঃখ হয়।সে যে আসলে খারাপ তা কিন্তু নয়।শুধু অফিসের দু-একজন মহিলা কলিগের সাথে হেসে হেসে কথা বলে আর বাসায় কাজ করা ঠিকা বুয়ার দিকে মাঝে মাঝে চোখ পড়ে যায়।বাসায় সার্বক্ষণিক কাজ করা মর্জিনা আলি আলম কে বড় চাচা বলে ডাকে।চোদ্দ বছর বয়েসি মর্জিনা কে দেখলে নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে বিধায় খারাপ কিছু মনে আসে না।তবে ঠিকা বুয়া রত্নার কথা আলাদা।চল্লিশের কোঠায় রত্নাকে দেখলে শাকিলের কাম ভাব জাগ্রত হয়।কেন এমন হয় সেটা আলম জানে না।হটাৎ সকালের দিকে ফাহমীদার সাথে রতি ক্রিয়ায় লিপ্ত হয় এবং সকালের নটার দিকে যখন রত্না আসে শাকিল পুনর্বার কাম ভাব বোধ করে।আড় চোখে রত্নার শরীরের বিভিন্ন অংশ সে শারির উপরদিয়ে দেখে এবং মনে মনে অনুভব করে।রত্নার পেছনটা তুলনা মূলক বড় এবং বুকে সে অনুযায়ী মাংস নাই দেখে তার কিঞ্চিত আফসোস হয়।এমন কি রত্না যখন শাকিলের সামনে ঘর ঝাট অথবা কাপড় ভিজিয়ে মুছতে আসে তখন ব্লাউজের ভেতর দিয়ে তার বুকের অনেক খানি দেখা যায়।শাকিলের ধারনা হয়ত সে ইচ্ছে করেই শারিটা কিছুটা নামিয়ে রাখে।তবে শাকিলের দূঃখ অন্য জায়গায়।সাধারনত ছুটির দিনেই সে এই সুযোগটা পায়।

একদিন প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে, মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে বাসায় হাজির হয়ে মর্জিনার কাছে জানতে পারেন বাসায় কেউ নেই।শাকিল মনে মনে খুশি হয়।ঝামেলা কমল।কাপড় ছেরে গোশল করে ফ্রেশ হয়ে মর্জিনা কে চা বানাতে আদেশ দিয়ে শোবার ঘরে টিভি ছেরে বসেন।বাসায় ফাহমিদা না থাকলে নিজেকে রাজা রাজা মনে হয় শাকিলের।এটা শাকিল উপভোগ করেন।

মর্জিনা যখন চা নিয়ে ঘরে ঢুকে,শাকিল মর্জিনা কে দেখে চমকে ওঠে।যেন এত সুন্দরী মেয়ে সে জীবনেও দেখে নি।ভরাট স্বাস্থ্য, উঁচু নিতম্ব, সরু কোমর। কিছুক্ষনের জন্য নিজ মেয়ে সুবর্নার কথা ভূলে যায় শাকিল।সর্ব প্রকারের লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে শাকিল বলেই বসে..

"কি,রে তুই এত সুন্দরী হলি কবে?"

পৃথিবীর সকল মেয়ে প্রশংসার কাছে দূর্বল।আর এ তো কোন মর্জিনা।লাজুক হেসে জবাব দেয়"বড় চাচায় যে কি কন"

শাকিল চায়ের কাপ হাতে নিতে নিতে বলে"এই তুই মাথা টা একটু টিপে দে"

মর্জিনা খাটের মাপাশে দারিয়ে শাকিলের মাথায় হাত রাখে।দু হাত দিয়ে আস্তে আস্তে চুল টেনে দেয়।শাকিল টিভি বন্ধ করে। চুক চুক করে চা খায়।

প্রতিবার মর্জিনার স্পর্শে শাকিলের শরীরে বিদ্যুত চমকে যায়।শরীরের রক্ত গুলো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।শরীরে বয়ে চলা রক্তের অস্তিত্বের অনুভব হয় শাকিলের।

আড়ষ্ট কন্ঠে শাকিল বলে" ম-র-জি-না একটু ঘাড়টাও টিপে দিস।"

সরাসরি মর্জিনার হাতের সাথে শাকিকের শরীরের স্পর্শ হয়।শাকিল শরীর পৌরুষ্য সর্বোচ্চ পর্যায় জানান দেয়।সে মাথা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে মাথা -ঘার বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলে টিপে নেওয়ার ভান করে মুখটা মর্জিনার বুকের কাছে নেয়।সে দেখতে পায় মর্জিনার শরীর তার শরীর থেকে সামান্য দূরেই।

"এতো সুন্দর গন্ধ আসছে কোথা থেকে" এটা বলে সে মর্জিনার বুকের সাথে নিজের মাথা ছোয়ায়। আবার মর্জিনার দিকে তকিয়ে বলে"এখান থেকে এতো সুন্দর গন্ধ আসছে কেন?"

মর্জিনা এবার খানিকটা বেপরোয়া হয়।চোখে চোখ রেখে দাঁত বের করে হাসার সাময় কালচে রঙের মাড়ি হাতের তালু দিয়ে ঢাকে।শাকিল প্রশ্রয় বোঝে।এতো দিনে সে কি এতোটুনও ও বুঝবে না.......

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মো: হাসানূর রহমান রিজভী ,




বাস্তব কাহিনীর উপস্থাপনাটা ভালো হয়ছে । তবে বড্ড কাঁচা হাত । অনেক ত্রুটি -বিচ্যুতি রয়েছে ।
আরও লিখুন । একদিন লেখা শক্তিমান হয়ে উঠবে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ভাই আহমেদ জিএস,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।কষ্ট করে পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন। মুল বিষয়টা ধরতে পেরেছেন ভেবে ভাল লাগল। হ্যা ভাই, কাঁচা হাত নিয়েই কষ্টে আছে।লেখা লেখির বয়সও তো কম হলো না।হাত যে কবে পাকবে সেটাই বুঝতে পারছি না

শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

কালীদাস বলেছেন: বিকৃত রুচির উদাহরণটা ভালই এসেছে গল্পে। তবে উপরে আহমেদ জী এস ঠিকই বলেছেন, দুর্বলতা আছে লেখাটায়। চর্চা করুন, আরও সাবলীল হয়ে উঠবেন :)

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কালিদাস ভাই।চেষ্টা করে যাচ্ছি,দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.