মেয়ে মানুষ মানেই কয়েক ধাপ বেশি বুঝে

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২২

গত রাতের কথা, বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি প্রেমিকার ফোন বাজতেসে। ফোন ধরার সাথে সাথেই প্রেমিকার রাগের জলোচ্ছ্বাস আমার উপর দিতে প্রবাহিত হতে লাগলো। বুঝতে পারলাম সে ইতিপূর্বে আরো কয়েকবার ফোন দিয়েছে। আর আমি তার ফোন মিস করেছি।
“এখন রাত কয়টা বাজে ?” রাগে গটগট করতে করতে প্রেমিকা কথাটা বললো। “দাড়াও ঘড়ি দেখে নেই” কথাটা বলার সাথে সাথে প্রেমিকার কন্ঠ থেকে বজ্রধ্বনি বের হয়ে আসলো “তোমার ঘড়ি দেখা লাগবে না। আমি বলছি, এখন সময় রাত বারোটা ছেচল্লিশ”
“হ্যাঁ তো কি হয়েছে, রাত বারোটা ছেচল্লিশের সাথে তোমার রাগের সম্পর্ক কি ? রাত বারোটা ছেচল্লিশে কি তোমার রাগ পালন দিবস ?” হাসতে হাসতে কথাটা বললাম।
“দেখো সাব্বির, ইয়ার্কি মারবা না, আমার ইয়ার্কি ভাল্লাগে না ওকে। এই রাত বারোটা ছেচল্লিশে তুমি থাকো কই একটার পর একটা ফোন দিয়েই যাচ্ছি ? অথচ তোমার কোন খবর ই নাই! নতুন ফোন নিয়েছো তাই না ? সেটা দিয়ে নতুন একটা প্রেম করছো তাই না ? কে সে মেয়েটা ? কই থাকে ? পরিচয় কিসে ? নিশ্চই ফেইসবুকে! তুমি তো ফেইসবুকে মেয়েদের সাথে লুচ্চামি করতে ওস্তাদ!

শুনেছিলাম মেয়েরা একধাপ বেশি বুঝে এখন তো দেখছি আমার প্রেমিকা ছয় সাত ধাপ বেশি বুঝা শুরু করেছে। মহা মুশকিল “আরে কিসব বলো। আমি তো গোসল করতে গিয়েছিলাম। আর তুমি কি থেকে কিসেরে কি বানায় ফেলসো!”

“গোসল করতে মানে ? এতো রাতে গোসল কি কারনে ? আমি তো তোমাকে ভালোই ভেবেছিলাম। এখন তো দেখছি তুমি এক ধাপ এগিয়ে বদমাশ। কি কারনে গোসল করা লাগলো তোমার ঠিক ঠিক করে বলো!”

“আরে কিসব ভাবো তুমি! আমি তো খেতে নিয়েছিলাম” কথাটা শেষ করার আগেই আমার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে আমার প্রেমিকা বলা শুরু করলো “ খেতে নিছিলা মানে ? কি খেতে নিছিলা ? খাইলে গোসল করা লাগে তা তো জানতাম না! এতো রাতে কি এমন খেতে গেলা যে গোসল করা লাগলো! দেখো সাব্বির সত্যি করে বলো কিন্তু । নাইলে আজ এসা কি তেসা!”

“আরে বাবা খাওয়ার কারনে তো গোসল করা লাগে নাই! খেতে গিয়ে লুঙ্গী আর বিছানার চাঁদর ভরে গেছিল! এই জন্য গোসল করতে গেছিলাম পরিষ্কার হতে”

“ছি সাব্বির ছি। তোমাকে আমি এমন ভাবি নাই। আমি জানতাম আজ তোমার রুম খালী, তাই বলে তুমি এমন করলা! ছি আমার ঘৃণা হচ্ছে তোমার সাথে কথা বলতে! এই জন্যই তো বলি যখন ফোন রিং হচ্ছিলো তখন আমি মেয়ের আওয়াজ শুনলাম কেমনে! ছি তুমি এতো নিচে নামতে পারলা”

“রিং হওয়ার সময় ফোন রিসিভ না করলে তুমি মেয়ের আওয়াজ শুনলা কেমনে ?”

“দেখসো আমি জানতাম তোমার রুমে আজ মেয়ে ছিলো। আমি ঝাড়ি দিলাম আর মুখ থেকে বের হয়ে গেলো। ছি বদমাইশ পোলা ছি”
এইবার আমি কিছু বলার আগেই প্রেমিকা ফ্যাসফ্যাস করে কাঁদতে কাঁদতে ফোন রেখে দিলো। এইবার তারে আমি কেমনে বলি যে “আমার রুমে মেয়ে টেয়ে কিছুই ছিলো না। রাতের মিলের বক্স আমি আগেই আমার ডেস্কের উপরে রেখেছিলাম। সেটা নামাতে গিয়ে বক্সের ঢাকনা খুলে আমার হাতে ছিলো আর পুরা বক্স আমার উপরে পরে ড্রপ খেয়ে আমার চাঁদরে পরে ড্রপ খেয়ে নিচের ফ্লোরে পরসে!”

একে তো রাতের খাবার পেলাম না। তার উপর গোসল করা লাগলো, লুঙ্গী,টিশার্ট ধোয়া লাগলো, ফ্লোর মোছা লাগলো, চাঁদর ধোয়া লাগলো। তার উপর প্রেমিকার অতিরিক্ত ভুল বুঝাবুঝি! লাইফ সাক্সস । গেবন চোষে!!

২ টি +০/-০