নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'
নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান বাড়ি ছেড়ে হুট করেই নতুন বাড়িতে চলে এসেছি। আট ভাই তিন বোনের বিশাল সংসার আমাদের, তো নতুন বাড়িতে সবাইকে দাওয়াত দেওয়াটা আমার কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। পরিকল্পনা হলো রোজার ঈদের পরই সবাইকে নতুন বাড়িতে দাওয়াত দিবো।
আমার মায়ের বয়স প্রায় আশি। ইদানিং হাই ব্লাড প্রেসারও ডায়াবেটিস খুব কষ্ট দিচ্ছে মাকে। ঈদের দিন আমার মামা মারা যাওয়ার খবরে মা আরো বেশী মুষড়ে পরেন। বিশেষ করে শরীর খারাপ থাকায় ভাইকে শেষ দেখাটা দেখতে না পারাটা ছিল মায়ের জন্য অত্যন্ত বেদনা দায়ক। মা থাকেন আমাদের পুরান বাড়িতে। আমাদের পুরান বাড়িটা বেশ ছোট, আর ভাই বোন আমরা বেশী হওয়ায় আমাদের শেকড় পোতা পুরান বাড়ি ছাড়ার কোন বিকল্পও ছিলো না। সিদ্ধান্ত হলো ঈদের চার দিন পর মা আমার নতুন বাড়িতে আসবে, তারপর নতুন বাড়িতে ভাই বোনদের মিলন মেলা হবে। মায়ের পছন্দের খাবার কি হবে, কোন রূমে থাকলে মায়ের সুবিধা হবে এসব নিয়া বউয়ের সাথে আগের রাতে বেজায় পরিকল্পনা।
খুব ভোরে ছোট ভাইয়ের ফোন এলো, জানালো মায়ের শরীরটা বেশী খারাপ। দুই ছেলেকে নিয়া ছুটে গেলাম পুরান বাড়িতে, অবস্থা বিবেচনায় এম্বুলেন্স ডাকা হলো। দ্রুত মাকে নিয়ে হসপিটালে পৌছলাম। হসপিটাল আঙ্গিনায় পৌছেই ডাক্তারকে ডেকে আনা হলো। এম্বুলেন্সের ভেতরেই মাকে পরিক্ষা করে ডাক্তারের হতভম্ব চেহারা দেখে মনের ভেতর কু ডাক ডাকছিলো। পরিক্ষা শেষে বড় ভাইকে ডেকে নিয়ে ডাক্তার যখন তার চেম্বারে ঢুকল তখন আর কিছু বুঝতে বাকী রইল না আমাদের। এম্বুলেন্সের ভেতরে আমার বোনদের আহাজারিতে আশে পাশের পরিবেশ বিষন্ন হয়ে উঠল। পুরুষদের সাধারণত উচ্চস্বরে কান্না করার নিয়ম নাই, তবে আমার মনে হলো নিয়মটা ভাঙ্গতে পারলে বুকটা বেশী হালকা হতো।
অবশেষে মা নতুন বাড়িতে পৌছে গেল। সেটা আমার বাড়ি নয়, মায়ের নিজের বাড়ি। পাতা বাহার গাছটা আমার নিজের হাতে লাগানো, সেটাও প্রায় ৪০/৪২ বছর আগের কথা। তার ছায়ায়ই তৈরি হলো আমার মায়ের নতুন বাড়ি.........
০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মায়ের পদধুলিটা আমার বাড়িতে পড়ল না এটা আমাকে সারাটা জীবন কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে ভাই।
২| ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
বিষাদ সময় বলেছেন: দু বছর হয়ে গেছে মাকে হারনো.....তারপরও মনে হয় মা নাই এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কিছু নাই। কোন কিছু্তেই আর শান্তি পাই না। আপনার কষ্টটা তাই বুঝতে পারছি.....এটা আল্লাহর ফয়সালা এখানে কারও কোন হাত নেই, এই ভেবে মেনে নেয়া ছাড়া আর পরিত্রানের কোন পথ নেই।
আল্লাহ আপনাকে ধৈর্য, সহ্য দান করুন আর আপনার আম্মাকে জান্নাতবাসী করুন।
০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার অনেক আত্মীয় বা খুব কাছের বন্ধুও মারা গিয়াছে। এতে আমি অনেক শোকাহত হয়েছি, কিন্তু মায়ের শোকেই আমি বুঝতে পেরেছি মৃত্যু শোক কাকে বলে। তার কোন ভাষা নাই, আর এই ভাষাহীন শোক সয়ে যাওয়াটা কতো যে কষ্টের তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না। মায়ের কবরের দিকে আমি তাকাতে পারি না, বুকটা ফেটে যায়।
৩| ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: আহা ...
০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
৪| ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪০
নীলসাধু বলেছেন: সেখানে তিনি শান্তিতে থাকুন এই প্রার্থনা করি।
মন খারাপ কইরেন নাহ কামাল ভাই, মায়েরা সবসময় চায় তার সন্তান আনন্দে থাকুক।
০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ সাধু ভাই, শুভ কামনা সভব সময়।
৫| ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: কয়েকটা ছবি দিন, এখন যেভাবে আছে সেইভাবে।
৬| ০৯ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেষটায় এমন বেদনাময় বিদায়ের কথা থাকবে, ভাবতে পারি নি।
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
৭| ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: মাকে আল্লাহ বেহেশতবাসী করুন। আপনাদেরকে এই শোক সামলানোর তৌফিক দিন আল্লাহ!
৮| ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪
প্রামানিক বলেছেন: আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্তবাসী করেন। আমিন
৯| ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মন খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা। আমার মা আমার জন্য একটা বাড়ি করছেন। অল্পদিনের মধ্যে শেষ হবে হয়তো। অত ভালো বাড়ির ইচ্ছে ছিল না, মা যখন করছেন না করিনি।
১০| ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেকদিন পর আপনার নতুন পোষ্ট দেখে মহা আগ্রহভরে
পাঠ করতে করতে নীচে নেমে মনটা বিষাদে ভরে গেল ।
মর্মাহত হলাম আপনার স্নেহময়ী মায়ের নতুন চিরস্থায়ী
বাড়ীর কথা শুনে ।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি উনাকে জান্নাতবাসী
করুন ।
আপনিসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকলের প্রতি রইল
আমার শুভেচ্ছা। দোয়া করি আল্লাহ যেন পরিবারের
সকলকে শোক কাটিয়ে উঠার তৌফিক দান করেন-
আমীন ।
১১| ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: মায়ের নতুন বাড়ির গল্পটি দুখজাগানিয়া। তিনি বেহেস্তবাসী হোন এই দোয়া করি।
১২| ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি আপনার মা ' কে জান্নাতবাসী করুন।
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগীরা।
১৩| ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২১
করুণাধারা বলেছেন: শেষে এসে দুঃখ পেলাম; লেখার শুরুতে বুঝতে পারিনি এমন কিছু হবে।
তবে ভালো এটাই, উনি দীর্ঘজীবন সুস্থ অবস্থায় ছিলেন এবং চলাফেরায় থাকা অবস্থায় চলে যেতে পেরেছেন। আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাত বাসী করেন- প্রার্থনা করি।
১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রয়াত মায়ের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন ওনাকে যেন বেহেস্ত নসীব করেন।
অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী এ স্মৃতিচারণ পড়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইভা্বেই কিছু কিছু ইচ্ছা আর পূরণ হয় না।