![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমৃতস্য পুত্র
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন,না বুঝলে আবার পড়ুন।না বুঝে ফাউল মন্তব্য করবেন না।ভালো না লাগলে করার কিছু নাই।সত্য সব সময় সত্য থাকে।
- ২০১২ সালে বাঙালি-বাংলাদেশি ২২ বছর বয়সী নাফিস নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। আদালতে তার অপরাধ প্রমাণিত হয়, এবং নাফিসের ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ায় যা হওয়ার কথা হয়েছিল। ’এত খারাপ’ আমেরকিার কোনো লোক এজন্য রাস্তায় নেমেছিল শোনা যায় না। রাষ্ট্র আমেরিকা নাফিস বাংলাদেশি বলে বাংলাদেশ জ্বালিয়ে দেয়নি। যদিও বাংলাদেশ জ্বালিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমেরিকার আছে।২০১৭ সালে অন্তত দুজন ভারতীয় নাগরিককে বর্ণবাদী স্লোগান দিয়ে আমেরিকায় গুলি করে হত্যা করে কোনো এক নেটিভ আমেরিকান। প্রেক্ষিতে ভারতে কোনো আমেরিকানকে হত্যার ঘটনা ঘটেনি।২০১৪ সালে ভারতে এসে পোল্যান্ডের এক নারী ভ্রমণকারী ধ্ষণের শিকার হয়। প্রেক্ষিতে পোল্যান্ডে বসবাসরত সকল ভারতীয় নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি। অর্থাৎ আধুনিক সভ্যতার দাবি হচ্ছে, ব্যক্তির অপরাধের জন্য কোনো গোষ্ঠী এমনকি পরিবারকেও দায়ী করা যায় না। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের কৃতকর্মের দায় শুধুমাত্রই তার।
রীতিমত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উড়িয়ে দেওয়া মত ঘটনা পৃথিবীতে বিরল নয়, পাকিস্তানে প্রায়ই মসজিদে বোমা হামলা হয়। ইউরোপে গীর্জায় হামলা হয়। পাল্টাপাল্টি হামলাও হয়। সেই তুলনায় ফেসবুকের স্ট্যাটাস কোনোভাবেই খুব বড় কোনো বিষয় হতে পারে না। তারপরেও কারও হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হলে সে তো আদালতে মামলা করতে পারে। এবং আদালত এক্ষেত্রে বেশ কঠোর। আইনও আছে।
সেটি না করে বা সেটি করার পরও ব্যক্তির ‘অপরাধ’ গোষ্ঠীগতভাবে আমলে নিয়ে গ্রাম ধরে জ্বালিয়ে দেওয়া আদিমতার দিকে ফিরে যাওয়ার শামিল। এটা গোটা দেশের জন্য ভয়ঙ্কর, শুধু কোনো সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নয়।
হিন্দুরা এদেশে এক ধরনের বাফার হিসেবে কাজ করে। এই দেড় বা দুই কোটি হিন্দু জনগোষ্ঠী না থাকলে বাংলাদেশের অবস্থা ভৌগলিক কারণে পাকিস্তানের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা ফেসবুকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদমূলক পোস্ট দিয়ে অভ্যস্ত তারা যদি এ ধরনের বিষয় এড়িয়ে যায় তাতে বিশেষভাবে আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট ‘কারণ’ আছে।
কার্টেসি- দিব্যেন্দু দ্বীপ (bdnews24 ব্লগ)
এবার আসি আমার কথায়,
হ্যা আমি নিরাপদে আছি।আমার এলাকাবাসী খুব ভালো।আমার ৮০% বন্ধু মুসলিম।এখনও পর্যন্ত যদি কোন কারনে আমি ভীত হয়ে পড়ি তারা আমাকে সাহস দেয়।পাশে এসে দাড়ায়।কিন্তু আমার মনে হয় আমি নিরাপদে নেই।কারন, আমার অনলাইনে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,বিভিন্ন সাইটে একাউন্ট আছে।এগুলো হ্যাক করা মনে হয় না তেমন কোন কঠিন কাজ।আমার পেশাগত কারনে দিনে চার পাঁচ জন অচেনা মানুষের হাতে আমার ফোন দিতে হয়।যদিও তখন তারা আমার চোখের সামনে থাকে।আবার আমার স্বাভাবিক সকল তথ্য যে কেউ চাইলে পেয়ে যাচ্ছে।মানে কেউ যদি আমার একাউন্ট হ্যাক করে বা,আমার নামে ভূয়া একাউন্ট খোলে,অথবা।ফটোশপ করে। বিভিন্ন আপত্তিকর ঘটনা ছড়ায়,তখন???হ্যা যারা আমাকে চেনে বা জানে।আমার বন্ধু তারা বুঝবে এটা আমার কাজ না।আমাকে সাপোর্ট করবে।কিন্তু তারা সংখ্যায় কত জন? ১০, ২০ বা ৩০ জন হলো।কিন্তু যারা এই খারাপ কাজ গুলো করবে,তারা তো এলাকার সব মানুষের ব্রেন ওয়াশ করে ১০,২০,বা ৩০ হাজার মানুষ একত্রিত করে ফেলবে।তখন??আমাকে কি সত্য প্রমাণ করার সময় দেবে??অবশ্যই দেবে না।তারপর কি হবে,??আমার বাড়ি ঘর জ্বলবে,আমার এলাকাজুড়ে তান্ডব চলবে,হয় মরতে হবে।না হলে চোরের মত পালাতে হবে।তৈরি হবে আর একটা নাসির নগর,রামু,বা রংপুর। তাহলে, যারা এমন অপকর্ম করছে,তাদের কি শাস্তি হওয়া উচিত নয়????বলবেন, হ্যা অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।কিন্তু বাস্তবে কি তারা শাস্তি পাচ্ছে??মোটেই না।বরং তারা উপর মহলের শেল্টার পাচ্ছে।একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।সোজা কথায় বললে প্রশাসন নিরব দর্শক।আবার এই প্রশাসনের এক অংশ অপরাধীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। কিন্তু আমি সংখ্যালঘু,আমার কোন নিরাপত্তা নেই!!!!এই ভাবে চলতে পারে না।এই সমস্ত সমস্যার সামাধান চাই।সবাই সরকারের দিকে তাকিয়ে বসে আছি।তালগাছে বাতাসে তাল নড়ছে,কিন্তু আজ পর্যন্ত মাটিতে পড়লো না।
এবার আসি মানবতাবাদীদের কাছে।মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তার জন্য আপনারা কেঁদে চোখের জল ফেলে দেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছেন।ভিক্ষা করে এনে তাদের সাহায্য করছেন।আন্দোলনে নামছেন।মিয়ানমার কে ধিক্কার জানাচ্ছেন,থুথু ফেলছেন।আরও কত কি করছেন।রোহিঙ্গা তো মানুষ।আর নিজের দেশের হিন্দু রা কি????এখনে মানবতা কাজ করে না???না কি চোখে দেখেও না দেখে থাকেন???ধিক্কার আপনাদের মত মানবতাবাদীদের।ঘটনা ঘটার ৪ ৫ ঘন্টা আগে থেকে পরিস্থিতি আঁচ করা গেলেও আপনারা রোষের আগুন না নিভিয়ে উস্কে দেন।এটাই আপনাদের মানবতা???????
সব শেষে একটাই কথা- এই ভাবে চলতে পারে না।এই সমস্ত সমস্যার সামাধান চাই।কিন্তু আফসোস!!!কার কাছে চাইবো সামাধান?????শোনার কেউ নাই।দেখার কেউ নাই।আসলে সবাই আছে কিন্তু চোখ বুজে কানে আঙ্গুল দিয়ে।
©somewhere in net ltd.