নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ-\nবুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস ;\nআমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি ।.....

সদানন্দ দেবনাথ

অমৃতস্য পুত্র

সদানন্দ দেবনাথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সুখ"

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫


ছুটির দিন একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠবো,তা না সকাল সকাল মহরানী চিল্লিয়ে বাড়ি মাথায় করছে!!উহু...আজও শান্তির ঘুমটা হবে না।

-আর কতক্ষণ???
-কি হলো ওঠো।
-আরে ৭ টা বেঁজে গেছে ওঠো ওঠো।বাবা বসে আছে বাজারে যাও।

-হুমম......

-উঠবে না???(রেগে)

-উঠছি তো... আর..... একটু....

-আচ্ছা

কি হলো কিছু না বলে ছেড়ে দিলো!!!!আজব তো।

-এই...... কি হচ্ছে কি এসব?!!....... এটা কি হলো????.

-কি আর হবে??বালিশ ছাড়া এবার ঘুমাও।

-এই তোমার জ্বালায় আর পারা যায় না।উফ্.

-ওই.কি বললে??আমি জ্বালিয়ে মারি??

-তা নয় তো কি??ছুটির সকালে একটু ঘুমাবো। তা না, বালিশ ধরে টানাটানি।

-এতই যখন জ্বালাই তাহলে বিয়ে করতে বলেছিলো কে?হু?..

-আমার ভুল হয়ে গেছে মহা রাণী।
এবারের মত মাপ করে দাও।আর তোমাকে বিবাহ করিব না।

-হি হি হি হি. নাও এবার রেডি হও।বাবা অনেক্ষণ রেডি হয়ে বসে আছে।

-হুম যাচ্ছি

কি আর করা।অগত্যা বাবার সাথে সকালে বাজার করতে যেতে হলো।প্রতি ছুটির দিনে আমার প্রথম কাজ হলো,বাবার সাথে বাজারে করা।এটা অবশ্য বাবার ইচ্ছায়।আর বাবার বা মা দুই জনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য মহা রাণী দীপা আমার উপর সব সময় খড়গ,দা,কুড়াল, বটি,কাচি সব চালাতে পারে।তাদের আতি আদরের বৌমা। থুক্কু অতি আদরের মেয়ে দীপা মানে আমার বউ,তাদের দুজনের আশকারায় সকাল বিকাল আমাকে মধুর যন্ত্রণা দেয়!!!

(সন্ধ্যায়),


-একটু হাসো তো

দিপা আমার দিকে চোখ বড় বড় করে
তাকালো
তারপর বললো

-কেনো??

-একটু হাসো না, প্লিজ।

-কিভাবে?

-যে ভাবে হাসলে আমার ভাল লাগে

-সুবিধাবাদী...

বলেই ফিক করে হেসে দিলো
আমি একটু আহত চোখে তাকালাম ।
ও বুঝতে পেরে আবার একটু হাসি দিয়ে বললো,
আমাকে হাসতে বলো কিন্ত নিজে
তো হাসো না।
বলেই অভিমানি চোখে তাকিয়ে রইলো।
এবার আমার সত্যি হাসি পেল ।
আস্তে করে হেসে উঠলাম ।বললাম ।

-তুমি হাসতে পারো ভালো । কিন্তু মুখ গোমড়া করতে পার না ।

আমার দিকে আবার তাকালো ।একটু
এবার রাগি ভাব আনার চেষ্টা।
বললো

-তাই না?

আমি কোন কথা না বলে ওর খুব কাছে গিয়ে, আলতো করে দুই হাতে
মুখটা ধরে কপালে ছোট্ট একটা চুমু একে দিলাম। ও চোখ বন্ধ করে
ফেললো ।বললাম

-তোমাকে এভাবেও ভাল লাগে।

চোখ মেলে আমার দিকে তাকালো
এখন চোখে লজ্জা।আবার চোখ
বন্ধ করে ফেললো
কিছুক্ষন পর ও উঠে দাড়ালো দৃষ্টি
নিচের দিকে ,চোখে মুখে লজ্জার
আভা
চা দিয়ে যাচ্ছি । এরপর রান্না করতে
হবে।
বলেই আর দাড়ালো না
ঘর থেকে বেরিয়ে গেল
৫মিনিট মত পরে আবার ফিরে এলো
হাতে এক কাপ চা ।কাপটা বেশ বড় ।চা
কাপটা আমার হাতে দিয়ে আমার
সামনে বসলো ।এখন ওর সাথে
আমার এক কাপে চা খেতে হবে। আমি
বললাম মা কোথায় ?
মা বাবা বারান্দায় বসে চা খাচ্ছে।
আমি চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়ে
কাপটা বাড়িয়ে দিলাম ।ও কাপটা নিয়ে
চোট্ট একটা চুমুক দিয়ে আবার
আমার কাছে দিল।
আমি আবার কাপটা নিয়ে চুমুক
দিলাম। এভাবে দুজনে চা খাচ্ছি ।
কিন্তু কেউ কোন কথা বলছি না ।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আর
ও আমার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ
পড়তেই চোখ সরিয়ে নিচ্ছে। মুচকি
মুচকি হাসছে ।যেন খুব মজা পাচ্ছে ।
এমন সন্ধ্যা ,এমন মুহুর্ত ভালই
লাগে ।

ইহা সম্পূর্ন কাল্পনিক, কারও সাথে মিলে গেলে সে আমাকে ট্রিট দিবে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.