![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমৃতস্য পুত্র
এই ওঠ ওঠ ওঠ।
-উহু মা!!এত সকালে কি???সরো তো।ঘুমাতে দাও।
-অনেক হয়েছে ঘুমানো।অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে যাবি না??
-ওহ্!সেতো দেরি আছে !!কয়টা বাজে??
-আটটা বাজে।তাড়াতাড়ি উঠে চান করে রেডি হয়ে নে।
-তোমার যাবা না???।
-আমরা পরের বার দেবো।তুই আর মিতু এখন কালিবাড়ি গিয়ে দিয়ে আয়।তোরা আসলে আমরা যাবো।
(অগত্যা উঠতে হলো।যদিও পরে উঠতাম।কিন্তু মিতু সাথে যাবে বলে কথা!!।আমাদের এখানে তিনবারে অঞ্জলি দেয়।খুব ভিড় হয় তো। হাতে সময় ৩০ মিনিট। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিই।আজ যেমন অষ্টমী, ঠিক গত বছর অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দিয়ে ফেরার সময় একটা মেয়ে দেখে জীবনে প্রথম বারের মতো প্রেমে পড়ে যাই।আর সেই মেয়েটা আর কেউ না, মিতু!!!মিতুর মামার বাড়ি আমাদের বাড়ির ঠিক সামনের বাড়ি।আমরা থেকে বছর চারেকের ছোট।আগে প্রায় যেকোনো ছুটিতেই বেড়াতে আসতো।তবে সে তার মামার বাড়ির থেকে আমাদের বাড়িতেই বেশি সময় থাকে।কিন্ত গত দুই বছর তার কোন খোঁজ ছিলো না।এস এসসি পরীক্ষা দিয়ে ইন্টার ভর্তি হয়ে তবে এবার এসেছে। দুই বছর পরে এবার পুজোয় এসেছে।হলুদ শাড়িতে দেখে আমি তো মুগ্ধ। আগে কত দেখেছি। কিন্তু এমন কখনও হয়নি। সেই শুরু।গত এক বছরে আরও দুইবার এসেছে। অনেক ঘোরাঘুরি করেছি।কিন্তু মনের কথাটা বলে উঠতেই পারিনি!!!অনেক খোঁজ খবর নিয়েছি, মিতুর কারও সাথে কোন রিলেশন নেই।আমার ফেসবুকে ও আছে তবে মাসে দুই একবার দেখা যায়।আমার তো মনে হয় আমাকে ও পছন্দ করে।অনেক শুনেছেন এবার যাই।আপনারা ও চলুন আমাদের সাথে।দেখুন নতুন কিছু হয় কি না!চান করে রেডি হয়ে বাইরে এসে দেখি আবার সেই হলুদ শাড়িতে মিতু!!!নাহ্!!!আজই মনের কথা বলে দেবো।তাই কপালে যা থাকে।
-আগে জানতাম মেয়েদের সাজগোজ করতে দেরি হয়।কিন্তু আপনার এত দেরি কেনো??না বাথরুমে ঘুমাচ্ছিলেন??(মিতু)
(উহু!!!আর পারা গেলো না!!)
-বাথরুমে না বেডে ঘুমাচ্ছিলাম।চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে।
-মিতু এই নে এটা তোর পুজোর খরচ।(মা)
-আমার খরচ কই??(আমি)
-তোর কিসের খরচ??যা দেরি হয়ে যাচ্ছে।(মা)
-বুড়ো বয়সে আবার কিসের বাজার খরচ??(মিতু)
-মানে?!!আগে আমার টাকা দাও।আর আমি বুড়ো হলে তুমি কি???কচি খুকি??
-ধর তোর টাকা।ঝগড়া পরে করিস।এখন যা।(মা)
-১০ টাকা!!!!!
-হি হি হি।বড় মা আর ১০ টাকা বাড়িয়ে দাও।হি হি হি। (মিতু)(সবাইকে মামি বললেও আমার মা কে ছোট থেকে বড় মা বলে)
-ধরো তোমার টাকা নিবো না।
-সাবধানে যাস।(মা)
(যাক ২০ টাকা পাওয়া তো গেলো!।আমাদের বাড়ি থেকে কালিবাড়ি ৭-৮ মিনিটের হাটা রাস্তা।আমি হাটছি আর আমার পাশে পাশে একটা হলুদ পরি থুক্কু বঙ্গ ললনা হাটছে।
-আজ কোথায় কোথায় যাবেন??
-কোথায় যাওয়া যায় বলো তো।
-চলুন আজ বিকালে বাড়ির পিচ্ছি গুলো কে নিয়ে কাছে যত গুলো পূজা হচ্ছে সব গুলো আবার দেখবো।
-ভালো প্লানিং। কিন্তু পিচ্চি গুলোর আবদার মেটাবে কে??
-মানে??? আপনি দিন দিন এত কিপটা হয়ে যাচ্ছেন কেনো??ওরা না আপনার ভাই বোন।
-ওটাই তো সমস্যা।.....
-চুপচাপ হাটতে থাকেন।কোন কথা বলবেন না। কিপটা কোথাকার।
(হাটতে হাটতে কালিবাড়ি এসে গেছি।ভিড় বেশ কম।আরামে বসে অঞ্জলি দেওয়া যাবে।)
-এটা ধরেন।
-তোমার ব্যাগ আমি ধরবো কেনো??
-আমার ব্যাগ ধরলে কি হবে!!??আমি তো সামনে বসবো।আপনারা ছেলেরা তো পিছনে বসবেন।এটা কাছে রাখুন।
-আমি কোন মেয়ের ব্যাগ নিতে পারবো না।এমনিতেই কোন মেয়ে জোটাতে পারিনি। এই ব্যাগ দেখলে আর কেউ চান্স দেবে না।
-......ও আচ্ছা.....
(হেব্বি রেগে গেছে। মনে হচ্ছে কান্না করে দেবে।হাই. হাই.. চলে যায় তো।)
-শোন....
-মিতু.....মিতু....
-কি বলবেন বলেন।
-আমার ধারণা যদি সঠিক হয় তবে তোমার এই ব্যাগ সমস্যার একটা খুব ভালো সমাধান কিন্তু আছে।
-লাগবে না আপনার সমাধান।
-আরে শোন না।তুমি যদি চাও তাহলে তোমার ব্যাগ সারা জীবন সামলে রাখতে চাই,সাথে তোমাকে ও।
-.........
-আমার মনে হয় তুমিও আমাকে পছন্দ করো।
-অঞ্জলির সময় হয়ে যাচ্ছে। ব্যাগ ধরুন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৬
সদানন্দ দেবনাথ বলেছেন: আসলে ব্রাউজার সমস্যার কারনে প্রথমে অর্ধেক প্রকাশ হয়েছিলো।সেটা আসলেই হাস্যকর।এবার পুরো টা পড়ুন।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: হুম ভালো লাগলো। কিন্তু তারপর?
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৫
সদানন্দ দেবনাথ বলেছেন: সব কথা কি বলে দিতে হয়?
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
এ.এস বাশার বলেছেন: খারাপ লাগে নি .....
চালিয়ে যান..... শুভ ব্লগিং....
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৭
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: হাস্যকর হয়েছে বটে !