নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৩.৪৫ মিনিট ।
সারাদিনের ক্লাস, তারপর বাসে ঝুলতে ঝুলতে রুমে ফিরে রুহিন । ক্ষুধায় পেটের অবস্থা যায় যায় । রুমে ফিরে দেখে খাবার নেই । এটা অবশ্য নতুন না । মাঝে মাঝেই খাবার থাকে না । আর এই মহুর্তে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাইরে যেতে কোন মহাপুরুষেরই ইচ্ছে করার কথা না । বিকেলে রুহিনের টিউশনি আছে । ও ভাবে এখন একটু ঘুমিয়ে , বিকেলে টিউশনিতে যাবার আগে বাইরে থেকে খেয়ে যাবে ।
সাদিয়া রুহিনের সবচেয়ে ভালো বন্ধু । সম্পর্কটা নেহাত দাকুমড়া চাইতে কম না । রুহিনই ওকে বেশি ক্ষ্যাপায় । ক্যাম্পাস থেকে বের হবার সময়ও ওকে রাগিয়েছে ।
রুহিন ভাবে সাদিয়াকে একটা ফোন দিয়েই ঘুমাবে । রুহিন অবশ্য জানে এ মহুর্তে সাদিয়েকে ফোন দিলে ওর মাথা গরম হয়ে যাবে , যেটা বলার সেটা বলবে, যেটা না বলার সেটাও বলবে । তারপর ও রুহিন ফোন দেয় ।
-হ্যালো, বলেই রুহিন অপেক্ষা করে পরিবেশ টা বোঝার জন্য ।
-ঐ কুত্তা, তুই আমারে ফোন দিছস ক্যান ?
-দোস্ত , রুমে এসে দেখি খাবার নাই । তুই একটু খাবার পাঠাবি ।
-হারামি , তোর তো সাহস কম না ।
-দোস্ত, প্লিজ ।
- মোড়ের দোকান থেকে বিষ কিনে খা । ফোন রাখ ।
কথা টা বলেই ফোনটা রেখে দেয় সাদিয়া ।
রুহিন ও ঘুমিয়ে পড়ে । ঘণ্টাখানেক পরেই আবার বেরুতে হবে ।
আধা ঘণ্টা পরেই সাদিয়ার ফোন । ঘুমজড়িত কন্ঠে রুহিন ফোন উঠায় ।
-১মিনিটের মধ্য নিচে নামবি । বলেই লাইনটা কেটে দেয় সাদিয়া ।
নিচে নামতেই একটা টিফিন কেরিয়ার রুহিনের হাতে দিয়ে হন হন করে চলে যায় সাদিয়া ।
টিফিন কেরিয়ারটা খুলে রুহিনের চোখটা বড় বড় হয়ে যায় । ইলিশ মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না , বেগুনভাজী, ভুনা মাংস ।
হঠাত সাদিয়া ফোন বেজে উঠে, রুহিনের নাম্বার থেকে আসা মেসেজ, “দোস্ত তোর যেন গুনে গুনে ৪টা মেয়ে হয় । তাহলে আমার ছেলেদের আর কষ্ট করতে হবে না” । সাদিয়া মনে মনে হাসে , আর বলে পাগল একটা ।
©somewhere in net ltd.