নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রিকশার বিকল্প টমটম নেমেছে গলিতে, দুইজন ড্রাইভারের দুইপাশে বসে বাকি ছয়জন ভেতরে, ব্যাটারীতে চার্জ দিলে চলে পাঁচ ছয় ঘন্টা। ভালোই হলো রিকশাতে যেখানে দশ টাকা ভাড়া টমটমে পাঁচ টাকা দিযে হয়ে যায়।
সাদিয়া নিষেধ করেছিলো টমটমে না চড়তে। ঘরে বাজার নেই দেরী হয়ে যাবে। কারন সংসদীয় কোরাম সংকট এর মতো, যতক্ষণ আটজনের কোরাম সংকট পূর্ণ হবেনা ততক্ষণ ছাড়া হবেনা। মানুষের ভারে এমন করে চলে ভয়ও লাগে, মনে হয় এখনই উল্টে যাবে। তবুও ভাবলাম আমি উঠে বসলে বাকী আছে দুইজন, ছেড়েইতো দেবে, পাঁচটা টাকা বাঁচলো।
নামতে গিয়েই কেরররর। সিট এর কোনায় পেরেক এর সাথে লেগে শার্টটা গেছে ছিড়ে। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। সাদিয়ার কথা শুনলে পাঁচ টাকার জন্য আমার বারশো টাকার শার্টটা রক্ষা হতো।
মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে অনেকদিন ইলিশ খাওয়া হয়না, সাদিয়া সেদিন একটু ইংগীত দিয়েছিলো, আমি না বুঝার ভান করে রুই নিয়ে এসেছিলাম।
দাদা এদিকে রাখুন হাতেরটা হলেই আপনারটা করে দেবো। বালাদাঁশ হাঁক দিলো। তার কাজ মাছ কুটা। হিন্দি সিরিয়াল আর মাছ কুটার মধ্যে আমি একটা গোপন সম্পর্ক দেখতে পাই। ঘরনীরা সিরিয়াল দেখার ছেদ পড়বে তাই বালাদাঁশরা বাজারে মাছ ছিলার দোকান দিযে বসে আছে। সবাই দেখছি কুটেই নিযে যায়। আমি ভাবলাম একটা মাত্র মাছ কি আর কুটাবো।
সেকি! মাছ কুটে আনোনি? ডালাতে মাছটা রেখে সাদিয়া মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। শার্টটা আমি গুজিয়ে রেখেছিলাম, দুইটা ইস্যু হাতে তুলে দেয়া উচিত হবেনা।
০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: ধন্যবাদ রইল কিন্তু পাউডার
২| ০৯ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
কাবিল বলেছেন: কবিতা ছেরে গল্প।
মিনি গল্প হলেও কিন্ত খারাপ না।
ভাল লাগল।
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: সামটাইম অণুগল্প চেষ্টা করি, এটা অণুগল্প লিখতে গিয়ে পারিনি তাই মিনি গল্প হিসেবে চালিয়ে দিলাম
৩| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বউকে এতো জ্বালালে কেমন হবে?
১১ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
বাকপ্রবাস বলেছেন: হো হো হো হো তাইতো
আগে ভাবিনাইতো!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
পাউডার বলেছেন:
ভালো লাগলো।