নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিয়ের পর হানিমুনে কক্সবাজার গিয়েছিলেন মামুন সাহেব। তারপর আর তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। যেতে যেতে বছর তিনেক গড়িয়েছে, এবার ভাবছে মেরেজ এনিভার্সারী উপলক্ষ্যে সাপ্রাইজ দেবে সুন্দরী বউটাকে। থাইল্যান্ড ঘুর আসবে।
থাইল্যান্ড যাবেন নাকি সিঙ্গাপুর যাবেন ভাবছিলেন মামুন সাহেব। এমন সময় খালেক সাহেব বলে উঠলেন, বুকিংটা দিয়ে দিলে পারতেন, প্রাইসটা একটু বেশী হলেও পজিশানটা ভালো ছিল, জানলা খুলে আকাশ দেখা যেতো। ঢাকা শহর থেকে আকাশ দেখা কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার, জানলা খুলে জানলাই দেখবেন কিংবা অন্য বাড়ির দালান।
আসলে ফ্ল্যাটবাড়ি আমার পছন্দ না, মামুন সাহেব জবাব দিলেন। আমার পছন্দ নিজের একটা বাড়ি হবে, ছাদে সবজী চাষ, নিজের হাতে লাগানো মরিচ, টমেটো, ধনেপাতা ছিড়ে এনে সালাদ বানিয়ে খাবো হা হা হা।
গ্রামের বাড়ীতে জমিজমা যা ছিল সেটা বিক্রী করে টার্গেট এর ধারেকাছে গেলনা তাই ব্যাংক লোন না নিয়ে উপায় ছিলনা। ছোটবোন শায়লার হাজব্যান্ড পিড়াপিড়ি করছিল ধারের টাকাটা ফিরিয়ে দেবার জন্য। কি নাকি জরুরী কাজে তার টাকার দরকার পড়েছে। আসলে সব মিথ্যা কথা, আমরা বাংগালীরা অন্যের সাফল্য বা উন্নতি সহ্য করতে পারিনা। এইতো দিচ্ছি বলে একমাস পার করলো মামুন সাহেব। আসলে যে হারে সূচক বাড়ছে এখন সেইল করে দেয়াটা বোকামি হবে, আর কিছুদিন অপেক্ষা করে সব একসাথে সেইল করে টানা ঘুম দেবে ভেবেছিলেন।
এক সপ্তাহের ব্যাবধানে শেয়ারগুলো কাগজ হয়ে পড়ে রইল। কেজী মাপে বিক্রী করতে চাইলে ৫০০গ্রাম এর দাম আসবে দশটাকা হয়তো। আজকাল পুরোনো পেপার কেনার ফেরিওয়ালাও দেখা যায়না।
নায়লনের দড়িতে স্লিপ করার সম্ভবনা থাকে তায় পাটের দড়িই উত্তম ভাবছিলেমন মামুন সাহেব। তবে দড়ী কেনার পয়সাটাও যে ধার করতে হবে, সেটা দেবে কে?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: নিয়তো হবেনা একারনে যে, সে নিজের টাকার সাথে লোভ করে ধারদেনা করে ইনভেস্ট করেছে
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: নিয়তি না অতি লোভ?