নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুনিয়াকে খেলনাগুলো দিয়ে ভেবেছিল হাতের কাজটা সেরে নেবে পাপিয়া। একটু পরে সেও কিচেনে ঢুকে এটা ফেলছে, ওটা নাড়ছে, এ্য এ্য এ্যা হাতে আবার ছুরি নিয়েছে।
আবার এনে খাটে বসিয়ে দিল তাকে। এইযে দেখ বই খাতা। তুমি পড়ো শোনা, আম্মু হাতের কাজটা সেরে তোমাকে নিয়ে ছাদে ঘুরতে যাবো, ঠিক আছে?
প্লাষ্টিক মোড়ানো বইট ছিড়তে একটু কষ্ট মনে হলো মুনিয়ার কাছে, তার চাইতে খাতা ছেড়া সহজ। ড্রেসিং টেবিল থেকে মোবাইলটা হাতে নিয়ে বাবার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলো সে, হ্যালো, পাপাই, আসো.................
কি বার্টন টিপতে টিপতে দু'এক জায়গায় ক'লও চলে গেছে আবার কেটেও গেছে। কেমন করে যেন পাপাই এর ছবিও চলে আসলো আবার। তারপর গগণবিদারী কান্না।
কি হলো ভেবে দৌড়ে আসল পাপিয়া, এসে দেখে পাপাই এর ছবি দেখে কাঁদছে মেয়ে। এমন সময় এলো পাপাই এর ফোন
- হ্যালো, তুমি কি কল করেছিলে?
- কই নাতো!
- করেছিলেতো, আমি রিসিভ করলাম, সাড়াশব্দ নেই আবার কেটে গেল।
- তাহলে মুনিয়ার কাজ হবে, ড্রেসিং ট্যাবল থেকে মোবাইল নিয়ে খেলছিল, আর তোমার ছবি বের করে কাঁদছে, তোমার জন্য। থামানো যাচ্ছেনা, তুমি চলে এসো আজ, অপিষ করতে হবেনা, মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে থাকবে, হা হা হা..
- আচ্ছা ঠিক আছে, অপিষ শেষে আজ আর কোথাও যাবনা, সোজা বাসায় চলে আসবো
- তাহলে বাজার কে করবে শুনি? ফাঁবিকাজি চলবেনা, আমার বাবার বাড়ীর লোকজনদের দাওয়াত দিয়েছি তাই তোমার বাজার না করার ফন্দি, সবই বুঝি।
- ও তাইতো, আচ্ছা ঠিক আছে, রাখলাম তাহলে....
কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে মুনিয়া। পাপিয়া গেল কিচেনে।
রাতে অপিষ থেকে এসে ফ্রেস হয়ে মুনিয়াকে কোলে নিয়ে বসল মিনহাজ। পাপার জন্য কান্না করেছো আজ?
আম্মুর মোবাইলটা আঙ্গুলের ইশারায় দেখিয়ে দিল মুনিয়া।
দেখি তোমার মোবাইলটা দাও দেখি, পাপার কোন ছবিটা দেখে কাঁদলো আমার সোনামনিটা।
ছবিটা বের করতেই আবার কান্না শুরু। কাঁদছো কেন মা মনি, এইতো পাপাইতো আছি তোমার কাছে
মুনিয়া কাঁদতে কাঁদতে ছবিতে দেখিয়ে দিল, ছবিতে পাপার সাথে তার কাজিন ইশফিকার দিকে। পাপাই কেন ইশফিকাকে কোলে নিয়েছে তার জন্য এই কান্না। পাপাই শুধু মুনিয়ার, সেখানে ইশফিকা কেন আসবে......
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম, আমার পিচ্চিটা মাত্র ৫মাস, ওর বড়টা মায়ের কোলে বসলেই কান্না শুরু , নামলে আবার ঠিক
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা।
মজার ব্যাপার। ছোটবাচ্চাগুলো প্রত্যেকেই একেকটা সিনেমার মতো। ওদের কর্মকাণ্ডের ভেতর সরল একটা বিনোদন পাওয়া যায়, পাওয়া যায় নিষ্পাপ একটা আনন্দ