![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীনতা চাই ।
সম্প্রতি হোলি উৎসবের সময় অফিস গামী হিজাব পড়া দুই বোনকে রাস্তায় রঙ মাখানোর ঘটনায় ডঃ তুহিন মালিক তার পেইজে লিখছেন......
"মুসলিম হিজাবী মা-বোনদের উপর প্রকাশ্য রাজপথে জোড়পূর্বক হোলির রঙ মাখানো কোন ধরনের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ?"
এই পোষ্টে ১২,০০০+ লাইক, ৭,২৮৭ জনে শেয়ার করেছেন ও ৮৫১ জনে কমেন্ট করেছেন। অবশ্য এখনও অনেকেই শেয়ার ও কমেন্ট করছেন। কমেন্টের ভাষা দেখলে বোঝা যায় এদের চিন্তা চেতনায় কি। শুধু এদের নয় এই দেশের অধিকাংশ মানুষের সহজাত চিন্তা চেতনায় কি। হলি উৎসব বন্ধে হাজার হাজার ইভেন্টও খোলা হয়েছে। দেশের সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ পদস্থ সব মহলের মানুষ হলির রঙ ও মাহাত্ম্য ধুয়ে দিয়েছেন। তবে পানি দিয়ে নয় নোংরা মানষিকতা, হীনমন্যতা, সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত সায়ানাইড দিয়ে।
আর এত কিছুর পরে আজকের নিউজ হল, এই ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ আকাশ (১৯), মো. সিফাত (২০) ও মো. মামুন (১৮) নামের তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অপরাধীরা কোন ধর্মের ?? যদি এই অপরাধীদের নামের শেষে দে, পাল বা ঘোষ নামের কিছু একটা থাকত তাহলে এর পরবর্তীতে কি হত তা সহজেই অনুমেয়। একজন অপরাধীর পরিচয় সে অপরাধী। এখানে তার নাম আকাশ পাল কিংবা আকাশ হাসান কি না এটা আসবে কেনো?
কথা হবে একটা-- এমন একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যারা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। তা না করে চুলকানি শুরু হয়ে গেল হলি উৎসব নিয়া বাহ-! কেন যখন শাহাবাগে বৈশাখী মেলায় শতশত মেয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হলো পাঁচ ছয় জন নারী বিবস্র হলো তখন তো এক জ্ঞানী মুসলমান ভাই মুখ খোলেন নাই মুখে কি ** দিয়ে বসেছিলেন । বৈশাখী মেলা বন্ধের দাবি তুলেন নাই, এমন কি সি.সি. ক্যামেরায় ফুটেজ থাকা সত্বেও কেবল দাড়ি টুপি পরা বলে কাউকে গ্রেপ্তার ও করেন নাই।
সমস্যা টা কোথায়, কোনঠাসা সংখালঘুরা যেখানে আজ অস্তিত্বের সংকটে, সেখানে নিজেদের অনুষ্ঠানে ভিন্ন ধর্মের অপরিচিত হিজাব পড়ুয়া বোনদের সাথে এহেনো ধৃষ্টতা তারা কিছুতেই করতে পারে না।তাছাড় এটা অবশ্যই ধর্ম বিরুদ্ধ, এই কমনসেন্স টাও কি আপনাদের নেই? এই সিমপল লজিকটাও কি বুঝেন না? নাকি বুঝতে চান না। যেখানে সংখ্যালঘুরা শব্দ করে হাচি, কাশি দিলেও দোষ সেখানে , রঙ মাখানোর মত এত সেনসেটিপ বিষয় নিয়ে তারা কোন ভাবেই এই অপকর্ম বা ধৃষ্টতা দেখাতে পারে না। এটুক বোধ আপনার মধ্যে নাই। নাকি শুধু ইস্যু খোজেন #ঘর_বাড়ি_পোড়ানোর_সংখ্যালঘু_কোপানোর!
পাপটা কোথায়? জন্ম? বাংলাদেশ?
বিশ্বাস করুন, এই দেশে একদিন ভুল করেও কেউ মাটির হাতি কিংবা ঘোরা তৈরি করবে না, শিশুরা ভুল করেও খাতায় আঁকবে না একটি ফুলের ছবি। কেবল অন্ধকারে তার খুজবে আর,,,,,,,, না
থাক-----!
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৮
সাগর কর্মকার বলেছেন: ঠিকই বলেছেন দাদা ।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫১
মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: বখাটেদের কোন ধর্মীয় পরিচয় নেই ! এরা যে সম্প্রদায়েরই হোক অনতিবিলম্বে এদের বিচারের আওতায় আনা হোক , আর পুরান ঢাকার এই বখাটেগুলো না হয় মানলাম মুসলিম ! কিন্তু ইন্ডিয়ার যারা ওরাও কি মুসলিম ?
আর ইন্ডিয়া থেকে সম্প্রতি জোর দাবি আসছে এই হোলি উৎসব বন্ধের জন্য ! ব্রিটেন থেকে এক তরুণী এসেছিল হোলি উৎসবে , যাকে শেষ পর্যন্ত লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে ! এটাও কি মুসলিম যুবকরা ঘটিয়েছে ? সবচেয়ে বড় কথা বখাটেরা হচ্ছে জারজ সন্তান এদের কোন ধর্মীয় লেবেলে আনাই উচিত না !
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৯
সাগর কর্মকার বলেছেন: আপনার এই কমেন্ট যদি মালিক এর পোস্ট এ করতেন অনেক ভালো লাগত দাদা ।
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: যারা এই অপকান্ড করেছে তারা মুসলমান বা হিন্দু নয় তারা চরিত্র হীন বখাটে। চরিত্র হীন বখাটেদের কোনো ধর্ম থাকেনা উহাদের একটাই কাজ কিভাবে সমাজে বিতর্ক, দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগবে! আসুন আমরা এগুলো থেকে বিরত থেকে প্রতিহত করি। কাউকে আন্তাজেই দোষারোপ না করি, অনুভূতিতে আঘাত না দেই।
আমাদের এলাকায় মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান একই সাথে বাস করি আমাদের মাঝে কোনো দ্বন্দ হয় না কারণ আমাদের কোনো ভেদাভেদ দেখিনা। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০০
সাগর কর্মকার বলেছেন: আপনার এই কমেন্ট যদি মালিক এর পোস্ট এ করতেন অনেক ভালো লাগত দাদা ।
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: তুহিন মালিক আর এই ব্লগের এক সাম্প্রদায়িক কিটের প্রানান্তকর চেস্টা (ধর্মীয় উসকানির) পানিতে গেল দেখছি...
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৭
সাগর কর্মকার বলেছেন: ধর্মীয় উৎসবের নামে এ কেমন বেহায়াপনা, লুচ্চামি, নোংরামি?
ধর্মীয় উৎসব উক্ত ধর্মানুসারীরা পালন করুক নিজস্ব গণ্ডির ভিতরে, নিজস্ব আঙ্গিনায় এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
দেশটা বাঙালিদের কোন মুসলমানের নয় । তাহলে কেন হোলি বন্ধ করার দাবি আসে ????
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
এ আর ১৫ বলেছেন: বোখাটেদের কোন ধর্মীয় পরিচয় নেই ----- ভুতের মুখে রাম নাম !!!!!!!
এখন এই অমৃত বচন আওড়ান কেন ?? কিছুক্ষন আগে না আপনারা তুহিন মালিকের পোষ্টিং এ লক্ষ লক্ষ লাইক দিয়েছেন এবং হাজার দশেক শিয়ারিং করে , হিন্দুদের স্পর্ধা কত বড় মুসলমান হিজাবীদের গায়ে হাত দেয় রঙ লাগায় বলে জেহাদী উস্কানী দিয়ে প্রায় হিন্দু নিধন শুরু করে দিয়েছিলেন , তখন তো ঐ মুখ থেকে একবারো বাহির হয় নি বোখাটেদের কোন ধর্ম নাই ।
যদি কোন কারনে ঐ বোখাটে গুলো ধরা না পোড়তো এবং ওদের পরিচয় ধর্ম প্রকাশ না পেত তাহোলে তো ব্রাক্ষণবাড়ীয়া স্টাইলে হিন্দুদের উপর আক্রমণ শুরু হয়ে যেত । যেই তুহিন মালিক একটা সম্প্রদায়িক সংঘাত লাগাবার চেষ্টা করেছিল , তার কিন্তু কোন সমস্যা নাই , তাকে ৫৭ ধারায় ধর্মীয় সংঘাত লাগাবার উস্কানি দেওয়ার জন্য শাস্তি দেওয়া হবে না , কিন্তু নিরিহ রসরাজ দাসদের শাস্তি হবে জেলে যাবে অতচ জাহাঙ্গীর নামে একজন রসরাজের ফেসবুক একাউন্ট হেক করে বিতর্কিত সেই ফটোসপকৃত ছবিটি পোষ্ট করে ।
যদি আজকে ঐ বোখাটে গুলো ধরা না পোড়তো তাহোলে কয়েক হাজার হিন্দু মন্দিরে আক্রমন করা হোত হাজার হাজার হিন্দু মেয়ে যৌন হয়রানি ধর্ষনের শিকার হোত কিন্তু এই আজব চিজ গুলো কখনো বোলতো না বোখাটেদের কোন ধর্ম নেই ।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫২
সাগর কর্মকার বলেছেন: দাদা এটাই বাংলাদেশ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৩
আহা রুবন বলেছেন: মোঃ আকাশ , মো. সিফাত, মো. মামুন আর তুহিন মালিক একই পর্যায়ের জিনিষ!