মেট্রোর গল্প

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩

অনিচ্ছা শর্তেও বাসা থেকে বের হই জীবিকা ও প্রয়োজনের প্রকাশেই ৷ সকালের আবহওয়া অনেকটা বৈরী ৷ শীতের শুরুটা এমনটি প্রতীয়মান হচ্ছে সচরাচর ৷ পাতাল ট্রেন এখানে যোগাযোগের অন্যতম বাহন ৷ ট্রেনে উঠলে কিছু দৃশ্যপটে আপনার চোঁখ আটকাবেই সাধারণত ৷ সবাই তার গন্থব্যে ছুটছে স্কুল, কলেজ, কর্মশালায় ৷ বয়সের আনুপাতিক হারও মিশ্রিত হলেও এদের সম্পৃক্ততা একটি বিষয়ে সংখ্যাঘরিষ্ঠ মানুষের হাতে বই ৷ অন্যরা হয়তোবা সামাজিক মাধ্যমে বার্তা, সুরও বহুমুখী বিষয়ে সময় সাশ্রয় করছেন ৷ বইয়ের এই সমন্তরাল প্রয়াসের দরুন বহুনামে ছন্দিত এই শহরকে কবিদের নগরও বলা হয় ৷ খানিককিছু পথ যাওয়ার পর ট্রেনে একী কামরায় তিন চারজনের বাঙালি ভাইয়ের আগমন হলো ৷ আমরা বাঙালিরা পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ৷ সবাই আসনে উপবিষ্ট আড্ডার শুরু কোনো বইয়ের প্রচ্ছদের গল্প নয় কিংবা রাষ্ট, সামাজিক,পারিবারিক, আর্থিক, প্রণয়ের বিষয়ও প্রাধান্য পায়নি ৷ নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু মানুষকে নিয়ে আলাপচারিতা ৷ এবং যাদের কে সুনির্দিষ্ট করে বলা বিষয়গুলো ওই মানুষগুলোর একান্তই আত্নকেন্দ্রিক ৷কথোপকথনের সারমর্ম এই দাড়ালো যে, জৈনক এক বাঙালি ভদ্রলোক বিয়ে করতে যাবেন তার বয়স ত্রিশ নিকটবর্তী যিনি পাত্রী হিসেবে নির্ণায়িত তার ২০ ৷ কিন্তু পাশে বসা আমার দেশের ভাইদের এখানে দারুন সংশয় এটা কোনমতেই যায় না..? যদিও উনারা যাহারা বিবাহ করছেন তার পরিবার,আত্নীয়,অভিবাবক কেউ নয় , হতে পারে শুভাকান্খী বাসার মালিক ভাড়াটে হিসেবে ৷ এই রকম বহুবিষয় উঠে আসে আমাদের আপনা আপনিই ৷ অতিসহজে যে কাউকে মূল্যায়নের বিবেচনায় ফলাফল যোগ করে ভালো বা মন্দের তালিকায় উপবিষ্ট করা ৷ প্রথমত আমরা কেউ কাউকে কখনোই বিচার করতে পারবো না কেননা উহা শুধুই ইশ্বরের ৷ আমি নিজেও এটার অন্তর্বুক্ত করণ করেছি হয়তো বা আমরা পৃথিবীর অতি সহজ কাজটি করছি এবং মূল্যের দামে নির্ধারিত সময় গুলো অতি সহজতর পন্থায় বিনষ্ট করছি ৷ অন্যদিকে আরেক জাতিস্বত্তা বই হাতে নিজেকে নিজের মত ভালোবেসে সারা বিশ্বের জাতিস্বত্তার কাছে নিজেকে আলোকপাত করছে ৷ তার জন্যই হয়তোবা আমি তার দেশের, সে আমার দেশের নয়,অভিবাসী.

০ টি +০/-০