![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উত্তরঃ- উম্মতদের জন্য হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন ও প্রস্থান দুই-ই এক,হযরত আব্দুল্লা বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বনর্ণা করেছেন হুযুর ইরশাদ করেছেন “আমার প্রকাশ্য জিন্দেগী এবং আমার বিছাল দুই-ই তোমাদের জন্য উত্তম”।(শেফা শরীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃঃ)
অপর স্থানে এর হিকমত প্রসঙ্গে বণীর্ত হয়েছে যখন আল্লাহ তায়ালা কোন উম্মতের উপর নিজের খাস করম করতে চান তখন সেই উম্মতের মধ্য থেকে নবীকে পৃথক করিয়ে নেন,এবং তিনি ওই উম্মাতের জন্য শাফায়াতের মাধ্যম হয়ে যান(মুসলিম শরীফ )।
তাছাড়া নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে সোমবার শরিফে রোযা রাখার কারন হিসেবে উনার বিলাদত শরিফ ও প্রথম ওহী নাযিলের কথা উল্লেখ করেছেন।কিন্তু দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহন উপলক্ষে শোক পালন করার কথা উল্লেখ করেননি।যদি করতেন,তাহলে আমরা তা পালন করতাম।সুতরাং একই দিনে ও একই তারিখে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরিফ এবং বিছাল শরিফ হলেও ওফাত দিবস পালন করা যাবে না । এটাই কোরআন শরীফ-হাদীস শরীফ উনাদের শিক্ষা।
হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি, উনার যমীনে আগমন এবং বিছাল শরীফ-এর দিন জুমুআর দিনকে ঈদের দিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই জুমুআর দিনকে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা অপেক্ষা মহান দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে- হযরত উবায়িদ বিন সাব্বাক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসালসূত্রে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুআর দিনে বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন যে দিনটিকে আল্লাহ পাক ঈদস্বরূপ নির্ধারণ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক, মিশকাত)
হযরত আবূ লায়লা ইবনে আব্দুল মুনযির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, জুমুআর দিন সকল দিনের সর্দার এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহ পাক-উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এটি ঈদুল আযহার দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহ পাক-উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এ দিনটিতে পাঁচটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয় রয়েছে, (১) এ দিনে আল্লাহ পাক হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন, (২) এ দিনে উনাকে যমীনে প্রেরণ করেছেন, (৩) এ দিনে উনাকে বিছাল শরীফ দান করেছেন, (৪) এ দিনটিতে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময়টিতে বান্দা আল্লাহ পাক-উনার নিকট কিছু চাইলে তিনি অবশ্যই তাকে তা দান করেন যে পর্যন্ত না সে হারাম কিছু চায় এবং (৫) এ দিনেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। এমন কোন ফেরেশ্তা নেই, আসমান নেই, যমীন নেই, বাতাস নেই, পাহাড় নেই, সমুদ্র নেই যে জুমুআর দিন সম্পর্কে ভীত নয়। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
এ ছাড়াও উনার ওফাত শরীফ এমনটি নয় যে,উম্মতের সাথে উনার সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন হায়াতুন্নাবী । যেমন ভাবে মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বনর্না করেছেন “এখানে মওত বলা যাবে না, বরং এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থায় গমন” ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
সত্য আহবান
মাসুদ্ রানা
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সা সকল ঈদের সেরা
আনন্দ উৎসবে দরুদ ছালাম জানায় সকল ফেরেস্তারা
বৃক্ষলতা জীব সমষ্টি যত কুল মাখলুকাত
ভেজে দরুদ ঐ মদিনায় পাইতে রহমত
জিন্দা নবী দয়ার সাগর সয়ং খোদার দান
কোরআনে গাইলেন তিনি সেই নবীজীর শান মান
আদেশ দিলেন তিনি মানব কে তারে ভালবাস
পুন্য পথের ঈমান রত্ন রাছুলুল্লাহ মুক্তি লাভে এস
খোদাকে পাওয়া তারি মাঝে চেনা সহজ বানী
সেই রহমতের সওদা করি এস মুমিন মোহাম্মাদ সা কে চিনি ।
তিনি কত পুন্যময় সব নবীদের সেরা
ছালাম ভেজে সয়ং মাবুদ মদিনা মনোয়ারা ।
ইসলামেরই নিশান ওড়ে তারি আবহায়াতে
এস মমিন ছুটে এস সেই নামের মধুময় শান্তির জান্নাতে ।
আনাস রাদিয়াল্লাহু হইতে বর্ণীত নবীজী প্রায় সাহাবা
কেরাম কেনিয়ে
১২ ই রবিউল আওয়াল আসলে খুব আনন্দ প্রকাশ করতেন ।
লেখক বলেছেন: হযরত মোহাম্মদ সা আমেনার সিকিম হতে দুনিয়ায় শুভাগমন করা
মাত্রই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের দরবারে সিজদায় রত হয়ে যায় । এবং শাহাদত আঙ্গুলি দ্বারা সাক্ষ্য দেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইন্নি
রাছুলুল্লাহ ।
হযরত নুর নবী সা দুনিয়ায় শুভাগমনের সাথে সাথে একটা উজ্জ্বল আলো প্রজ্বলিত হয়েছিল , যে এর আলোকে সারা দুনিয়া আলোকিত হয়েছিল , যাদ্বারা মা আমেনা সামদেশ পর্যন্ত দেখতে পেয়েছিল ।
আকাশের তারকাগুলি ঝুকে পড়েছিল ,সমস্ত বৃক্ষ অরু লতাগুলি সিজদায় লুটায়ে পড়েছিল । মিশরের রাজ প্রাসাদের ১৪ টি তোরণ হেলে পড়েছিল , রাজ প্রাসাদের হাজার বছরের অনবরত জলন্ত অগ্নি
গোলকটি দপ করে নিভে গিয়েছিল এবং আকাশের অসংখ্য ফেরেস্তারাজি হুরগিলমান নুর নবিজীর শুভাগমনে মারহাবা মারহাবা
বলে আনন্দে আকাশ থেকে জমিন পর্যন্ত আনন্দ মিছিল বা জশনে জউলশ প্রকাশ করেছিল ।
তারিখুল খামিছ এবং খাছায়েশে খুব্রা কিতাব ও হাদিস সংকলন ।