![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাদের অনেক বেশি আনন্দ আসলে তাদের কোন আনন্দ নেই । এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি কেন একা বয়ে বেড়াও আমায় যদি তুমি বন্ধু মান কিছু জ্বালা আমায় দাও।।
ছেলেবেলা কিংবা শৈশব সবারই সোনালী সময় । তখন ভাবতাম ধুর বড় হই না ক্যান ? বড় হইলে একা একা ঘুরতে পারব , বড় মানে স্বাধীন হওয়া , বড় হওয়া মানে মন যা চায় তাই করা ইত্যাদি ইত্যাদি । এককথায় সে সময় আমার চিন্তা ভাবনা একেবারে শিশুদের মতই ছিল । আজ সে সময়ের কিছু চিন্তা-ভাবনা , বিশ্বাস আর ভুল ধারনা নিয়ে লিখছি । কারো সাথে মিলে গেলে কপিরাইট আইনে মামলা করা হবে ।
আমার কয়দিন পরে পরেই জামা ছোট হয়ে যেত । নতুন জামা কিনতে হত । মনে মনে খুব কষ্ট পাইতাম । ক্যান ক্যান ক্যান আমার জামা এত তাড়াতাড়ি ছোট হয়ে যায় ? আমি কি জামারে কম আদর-যত্ন (ময়লা) করি ? আমি যে বড় হইতেছি সেটা বুঝতে আমার অনেকদিন লাগছিল । তবে নতুন নতুন জামা পাইলে তেমন খ্রাফ লাগত না ।
আমার মনে হত বড় হলে আমি একদিন ঠিক পাখির মত হাত মেলে আকাশে ঊড়তে পারব । তাই শোকেস , ওয়ার্ড্রোব এটা সেটার উপর থেকে ঝাপ দিয়ে ট্রেনিং নিতাম । ফলস্বরূপ হয় ব্যাথা পেয়ে কাঁদতাম নয় কোনকিছু ভাঙ্গার দায়ে আম্মুর বকুনি খেতাম । পরাজয়ে ডরে না বীর , একবার না পারিলে দেখ শত বার । এখন পর্যন্ত উড়তে পারিনাই । তবে ভবিষ্যতে কোন ফরিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে বিয়া করি ফালামু , তাইলেই তো নিশ্চিত
।
চাঁদ ক্যামনে সবার মামা হয় দিস্তা দিস্তা কাগজ খরচ করে বছর বছর ধরে গবেষনা করেও বাহির কর্তে পারিনাই । এখনো নিরলস গবেষনা করে যাইতেছি , দেখি কোন সমাধানে আসা যায় কিনা ।
ছোটবেলায় জানতাম যে চাঁদের দেশে জুজুবুড়ি নামক এক বুড়ি থাকে । সে সবসময় বসে বসে সুতা কাটে । তারে নিয়া আমার খুব চিন্তা হইত । বুড়ি থাকে কই খায় কই , সবচেয়ে বড় কথা সুতাগুলো যায় কই ?
মানুষ যখন হাঁটে তার সাথে সাথে চাঁদও কিন্তু হাঁটে , মানুষ দৌড়ালে চাঁদও দৌড়ায় । শ্লার চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে কত যে দৌড়িয়েছি । ক্লান্ত হয়ে যেতাম মাগার চাঁদ ক্লান্ত হইত না । আফসুস বড় আফসুস ।
ছোটবেলাতে দাঁত ফেলার আগে যে ভয় কাজ করত দাঁত ফেলে দেওয়ার পর ব্যপক ব্যাস্ততা লেগে যেত আমাদের কচি-কাচার মহলে । সবাই মিলে ইঁদুরের গর্ত খোঁজ কর । গর্তে দাঁত দিলে তবেই না তার বিনিময়ে নতুন চকচকে দাঁত উঠবে । আর গর্তে দাঁত না দিতে পারলে এবড়ো থেবড়ো মোটা দাঁত উঠবে । অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোন গর্ত না পাওয়া গেলে , ইঁদুরকে খুব অনুনয়-বিনুনয় করে দাঁত নিয়ে যেতে বলে দাঁত ছুড়ে ফেলা হত ।
বড়দের কাছে শুনেছি কোন ফলের বিচি খেয়ে ফেললে পেটের ভিতর গাছ হবে আর এ গাছ মুখ দিয়ে ডালপালাসহ বের হয়ে আসবে । আরো ভয়াবহ শুনেছি যে নিজেই গাছ হয়ে যাব । কুল (বড়ই) , জাম , কলা খাবার সময় ভুল করে বিচি খেয়ে কত যে ভয়ে ভয়ে থেকেছি ! না জানি সকালে ঘুম থেকে উঠে বিরাট বটগাছ টাইপের কিছু একটা হয়ে গেছি !
আম্মু আমাদের জোড়া কলা (ফল) , ডিম খেতে দিত না । জোড়া কিছু খেলে নাকি জোড়া বাচ্চা হবে । এ নিয়ে আমি তত চিন্তিত ছিলাম না , কারন লোডটা আমার উপর দিয়া যাবে না । আমার কাছে একটা যা জোড়াও তা হালিও একই । সব বউয়ের উপর দিয়া যাবে
।
বই খোলা রেখে কোথাও চলে গেলে চুপিচুপি শয়তান এসে বই পড়ে ফেলে । অনেক চেষ্টার পরও সে পড়া মনে থাকে না । আগে বুঝিনাই , পড়ালেখা না পারলে এটাও একটা অযুহাত হইতে পারত , “শয়তান পড়ে ফেলছে তাই পড়া মনে নাই” ।
কথা বলার সময় কিংবা খাবার খাওয়ার সময় জিহ্বাতে কামড় লাগলে বুঝতে হবে কেউ মনে করছে । চলাচলের সময় উষ্ঠা খেলে কিংবা খাওয়ার সময় নাকে মুখে ভাত উঠলে বুঝতে হবে যে কেউ আমার কথা বলছে । আহারে আমার কতা কি কেউ মনে করে না
?
পরীক্ষার আগে ডিম খেলে নাকি পরীক্ষাতে ইয়া বড় বড় রসগোল্লা মতান্তরে ডিম পাব বলা হত । এটা খানিকটা বিশ্বাস করতাম । এখন আর করিনা ।
কোন কথা বলার পরে সাথে সাথে যদি টিকটিকি টিক টিক করে ডেকে উঠে ,তারমানে বুঝতে হবে কথাটা সত্য বলেছি । আহা ! এভাবে কত সত্য গোপন করা কথা টাইমিংয়ে মিলে গিয়ে সত্য হয়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই । থ্যাংকু টিকটিকি ।
ডান হাত চুলকালে নাকি হাতে অনেক টাকা আসবে আর ডান পা চুলকালে স্কুল বন্ধ কোথাও বেড়াতে যাব । কিন্তু বাম হাত আর বাম পা চুলকালে অসুখ-বিসুখ হবে , তারজন্য ইস্কুল ছুটি ।
স্বপ্নে সাপ দেখলে শত্রু বাড়ে , সাপের দৌড়ানী খেলে আসন্ন বিপদ আর সাপ মেরে ফেললে শত্রু খতম । স্বপ্নে অনেকবার সাপের দৌড়ানী খেয়েছি । এবার আমি তক্কে তক্কে আছি । স্বপ্নে সাপ দেখলেই উলটা দৌড়ানী দিমু । দশদিন চোরের হইলেও একদিন কিন্তু গৃহস্থেরই হয় ।
কুকুর কামড়ালে পেটে বেবি কুকুর হবে । নাভিতে ইনজেকশন দিয়া সেটাকে মরতে হয় । তাই ছোট বেলা থেকেই কুকুর ভয় পেতাম । তবে এখন দেশে উল্টোটা হচ্ছে বলে কুকুর সমাজ বড়ই চিন্তিত ।
সকালে স্কুলে যাওয়ার পর টিচারদের স্কুলে দেখতাম । সকালের শিফট ক্লাস করে চলে আসার পরও দেখতাম , কখনো স্কুলে থেকে খেলাধুলা করার সময়ও টিচারদের স্কুলে পড়াতে দেখতাম । আমার ধারনা হয়েছিল যে স্কুলই টিচারদের ঘর-বাড়ি । একবার আব্বুর সাথে বাজারে যাওয়ার পর আমাদের এক স্কুল শিক্ষককে বাজারে দেখে আমি অবাক । আরে স্যার বাজারে আসল ক্যম্নে ?
মনে করতাম বাংলাকে জাস্ট ইংলিশ হরফ দিয়ে পালটিয়ে দিলেই ইংরেজি ভাষা হয়ে যাবে । সব ভাষার হাসি-কান্নার একই রকম নাকি ভিন্ন রকম এ নিয়ে আমি ব্যপক চিন্তিত ছিলাম ।
সিনেমাতে ঘটে যাওয়া কাহিনী সত্যি মনে করতাম । এবং যেকোন বিচ্ছেদে খুব কষ্ট পেতাম । খুশিতে খুশি হতাম । গানের সময় কে বাজনা বাজাত সেটা ছিল ব্যপক বিস্ময় । নিজের ভাঙ্গা গলায় মাঝে মাঝে গান গাইতাম কিন্তু কোনদিক হতে কোন বাদ্য বাজত না । দুঃখ পাইতাম নিজেরে সান্ত্বনা দিতাম , বড় হও সুন্দরভাবে গাইতে পার, তারপরেই না বাদ্য বাজবে ।
খবর দেখার সময় চুপচাপ থাকতাম । ব্যাটা যেভাবে তাকায়া থেকে খবর পড়ত মনে করতাম আমারেও চোখেচোখে রাখতাছে । চোখ গরম করে আছে , দুষ্টামি করলে ধমক দিবে । একটানে সামনে রাখা কাগজে না দেখে পড়ে ফেলায় মনে করতাম খবর পড়ুয়ারা বিশাল জিনিয়াস । আমি ক্যান তাগো মত হইতে পারলাম না বা পরীক্ষারদিন তাগো মাথাডা ভাড়া নিতে পারতামনা বলে অনেক দুঃখ পাইতাম ।
মাঝে মাঝে মনে করতাম টেলিভিশনের দেখা সবকিছু নিশ্চই টিভির ভেতর থাকে । কারেন্টের মাধ্যমে তারা আসে আবার কারেন্টের মাধ্যমে যায় । কারেন্ট নিয়া খুব ইন্টারেস্টেড ছিলাম । তবে দুই একবার ছেছা খাইয়া (শক খেয়ে ) সেদিকে আর পা মাড়াই নি ।
রূপকথার রাজকুমার-রাজকুমারীর গল্প সত্য বলেই মনে করতাম । কার্টুনরাও আমাদের মতই মানুষ মনে করতাম । ভাবতাম রুপকথার দেশে তাদের বাস ।
বড় বড় পুকুরের পানির তলায় সোনার পাতিল আছে , সে পাতিলগুলো সাপ আর দৈত্যরা পাহাড়া দিয়ে রাখে । দৈত্যদের প্রানভোমরা সেখানে থাকে । পুকুরের আশেপাশে একলা পাইলেই শিকল মেরে টাইন্যা পানির নিচে নিয়া যায়গা । তাই বড় পুকুরের আসেপাশে একলা যেতাম না ।
রাত্রিবেলা বাঁশি বাজালে নাকি সাপ আসে । তাই আমরা বাঁশি বাজাতাম না । কিন্তু পহেলা বৈশাখের মেলা থেকে কিনে আনা বাঁশির জন্য কোন মানা কাজ করত না । ছবিতে নাগ নাগিনীর রুমান্স দেইখ্যা আমিও কয়েকদিন ভাবছিলাম আমার একটা নাগিন দরকার :!> ।
অনেকে নাকি ব্যাঙের মুখের মানিক পেয়েছে , আমরা ব্যাঙ শিকারে বের হতাম । কিন্তু কোন ব্যঙ্গের মুখেই মানিক পাই নি । সাপের পা দেখলে সাত রাজার ধন পাওয়া যায় এমন একটা কথাও প্রচলিত ছিল । রিস্কি বলে আমরা সাপ ধরতে যেতাম না । তবে বীন বাজিয়ে সাপ আনার ইচ্ছা বহুদিনের । সাপের ঠ্যাং দেক্তে মঞ্চায় ।
আমরা মনে করতাম আনারস আর দুধ একসাথে খেলে মানুষ মারা যায় । কিন্তু বোকাসোকা দেখে কয়েকজনের উপর পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্তে এসেছিলাম যে এ ধারনা ভুল
। তবে নিজেদের উপর কখনো পরীক্ষা করিনি ।
সবচেয়ে বড় যেটা ছিল , আমি বিশ্বাস করতাম যে ছোটবেলায় যা ভাবছি যা দেখছি বড় হলেও তার একটুকুও পরিবর্তন হবে না । সব বিশ্বাস আগের মতই থেকে যাবে ।
কত স্বপ্নময় মজার আর অদ্ভুত ছিল ছোট্ট বেলার জীবনটা । ওফ আবার যদি ছোট্টটি হতে পারতাম !
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৫০
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আবার যদি ছোট হতে পারতাম তাইলে এ কবিতাটা চিল্লায়া চিল্লায়া পড়তাম ,
আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে
ঢাক ঢোল জাজর বাজে
বাজতে বাজতে চল্লো ঢুলী
ঢুলি গেলো কমলা ফুলী
কমলা ফুলীর টিয়েটা
সুর্যী মামার বিয়েটা
আমার আবার ইয়ে মানে বিয়ে টিয়ে এগুলান খ্রাফ লাগেনা :#> :!> ।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৩৮
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন:
আহারে আমার ছোট্টোবেলার দিনগুলি......
সাইফুল ভাই......+++
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৫৩
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আহা সে দিনগুলি , কেমনে যে যাই ভুলি !
কে মেরেছে, কে বকেছে?
কে দিয়েছে গাল?
তাইতো খোকন রাগ করেছে
ভাত খাইনি কাল।
আমাদের সময় এগুলো এত প্রকট হয়নি । অল্প অল্প কার্টুন দেখেছি আর বাকিসব মনের মাধুরী মিশিয়ে কল্পনা করেছিলাম ।
এখন বাচ্চাদের তো সবকিছুই দেখিয়ে দেয়া হয় । তারা কল্পনা করবে কী ? মনকে প্রসারিত করবে কিভাবে ? কেজানে তাদের ছেলেবেলার কথা বড় হলে তারা কিভাবে লিখবে !!!
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:০৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেকগুলো মিলে গেছে...
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৫৪
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: হুম , শৈশবগুলোর রংগুলো মোটামুটি একই । মিলবেই তো ।
ঐ দেখা যায় তাল গাছ,
ঐ আমাদের গাঁ
ঐ খানেতে বাস করে
কানা বগীর ছা………
চোখ বন্ধ কর । ঠিক ঠিক দেখতে পারবে । আমি যেরকম দেখতে পাই অনেকটা সেরকমই দেখবে । কি অদ্ভুত রকমের মিল তাই না !
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:১৬
ঈষাম বলেছেন: মনের কথা গুলা বলছো ভাইরে!
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৫৬
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ঈষাম ,
এ রাম! তুমি ন্যাংটা পুঁটো ?
ফ্রকটা নেবে? জামা দুটো ?
আর খেয়ো না পেয়ার তবে ,
বাতাবি-নেবুও ছাড়তে হবে !
দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট ? অ’মা দেখে যাও !-
কাঠবেড়ালি ! তুমি মর ! তুমি কচু খাও !!
কত প্রিয় , কত সুন্দর কবিতাটা তাই না ! পুরানো সে দিনের কথা সেকি ভোলা যায় ?
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:০৩
মিরাজ is বলেছেন: আনারসেরটা এখনো আমি বিশ্বাস করি কারন পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
গুঁইসাপের পা আছে
আমি জানতাম সাপের মাথায় মণি থাকে। নাগিনি মানুষ হতে পারে। কত্ত কিছু। আহ! প্রিয় বোকা শৈশব।
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:০১
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আনারসেরটা আমরা পরীক্ষা করেছি , কেউ মরে নাই তো ! তবে অসুস্থ বা আলসার এসিডিটি যাদের আছে তাদের জন্য হয়ত খুব ক্ষতি হতে পারে ।
গুইসাপকে আমরা সাপ হিসেবে ধরিনা । মিরাজ ভাই, শুধু জিবলা বাহির কর্লেই সাপ হওয়া যায় না সাপ হতে হইলে বিষ থাকা চাই বিষ । তা না থাকলে ফোস করে উঠে ফিস করে কামড় দিতে হবে , অন্তত ভয় দেখিয়ে দোড়ানী না দিতে পার্লে কিসের সাপ , হু ?
আমার না , নাগিনীর সাথে বীন বাজানোর খুব সখ :#> ।
বাবুরাম সাপুড়ে
কোথা যাস্ বাপুরে
আয় বাবা দেখে যা,
দুটো সাপ রেখে যা
যে সাপের চোখ নেই
মুখ নেই, নাক নেই
ছুটে নাকো ফুটে না
কাউকে যে কাটেনা
করে নাকো ফোঁসফাঁস
মারে নাকো ঢুশঢাশ
সেই সাপ জ্যান্ত
গোটা দুই আনতো
তেড়ে মেরে ডান্ডা
করে দেবো ঠান্ডা !!
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:১৫
রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: সবচেয়ে বড় যেটা ছিল , আমি বিশ্বাস করতাম যে ছোটবেলায় যা ভাবছি যা দেখছি বড় হলেও তার একটুকুও পরিবর্তন হবে না । সব বিশ্বাস আগের মতই থেকে যাবে ।
আমিও এইরকম মনে করতাম ।
, প্রায় অনেকগুলোই মিলে গেল
আহ! মনে করিয়ে দিলেন পিচ্চি বেলার অনেক কথা । কত্ত মজার দিনগুলোর কথা ।
++++++
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:০৩
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ছোটবেলায় ভাবছি ধুর বড় হই না ক্যা ? এখন ভাবি ইশ আবার যদি ছোট হইতে পারতাম । ছোট বেলায় ভাবতাম বড় হয়ে পুরো ঘর ভর্তি করে চকলোট , চুইংগাম , আইসক্রিম কিনব । আর এখন ধুর একটা দুইটার বেশি খায় কে !!!
আতা গাছে তোতা পাখি
ডালিম গাছে মৌ
এতো ডাকি তবু কথা
কওনা কেন বউ? :#> :#>
ছুটু বেলায় এ কবিতাডা পড়লে আমি খুব শরম পাইতাম ।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৪:৩৮
মুনসী১৬১২ বলেছেন: সেই শৈশব বোকা শৈশব
নিঝুম রাতে মাদুর পেতে তারা গোণা শৈশব
চাঁদ বুড়ির চরকা কাটা শৈশব
পঙ্খিরাজের পাখায় উড়ে চলা শৈশব
শ্যাওড়া গাছের মামদো ভুতে ভয় পাওয়া শৈশব
দাদীর মুখে তেপান্তেরর স্বপ্ন বুকে রাজকন্যা শৈশব
পুরোনো বোতলে, ভাঙা লোহা লঙ্করে শনপাপড়ি খাওয়া শৈশব
বো-কাট্টা ঘুড়ির পেছনে ছুটে চলা শৈশব
ওর গাছের আম চুরির শৈশব
মধ্য দুপুরে তপ্ত রোদে দগ্ধ শৈশব
এক্কা-দক্কা আর গোল্লা ছুটের নোনতা বলা শৈশব
লাটিম মার্বেল আর ডাংগুলি শৈশব
নদীর ঘোলা জলে দাপাদাপি শৈশব
পোষা শালিকের আলত বলে মুগ্ধ শৈশব
মিষ্টি আলোর সতেজ ভোরে মক্তব পড়া শৈশব
কুপির আলোয় ধারাপাত শৈশব
লাঠি আইসক্রিমে মিষ্টি শৈশব
মামা বাড়ির শাসন ভোলা ছন্নছাড়া শৈশব
সাপুড়ে বীণে নড়ে ওঠা গোখরা ফণায় অবাক শৈশব
দিগন্ত জোড়া ধানের ক্ষেতের দোল খাওয়া সবুজ শৈশব
পাটের ক্ষেতে লুকোচুরি শৈশব
বাঁশের বনে বক ছানা পাহারার চঞ্চল শৈশব
বুড়ো বট শিকড়ে ঝুলে থাকা শৈশব
পানসি নৌকায় শালুক তোলা শৈশব
যন্ত্রপাখির হঠাৎ গর্জন পিছে বিস্ময় শৈশব
গেঁয়ো পথে রাখালি সুরে ফেলা আসা শৈশব
নাগরিক বুকে আজ সোনালি স্বপ্ন আঁকে সেই সবুজ শৈশব
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১৬
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: কি বলব , আমার মনে হয় তুমি মনের সব কথাই একটা একটা করে বলে দিয়েছ ।
এ ঠিকানায় ছেলেবেলার অনেকগুলো ছড়ার ভিডিও দেখতে পারবে । ভালো লাগবে আশাকরি ।
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৪:৫০
বিরোধী দল বলেছেন: ভাইয়ামনি কেমন আছ?
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১৯
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: হুম হুম , ভালো আছি ভাইয়ামনি ।
তোমার ছোটবেলার হোম টাস্ক , আবার মনে করিয়ে দিলাম ।
রামগরুড়ের ছানা
হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে,
“হাসব্ না-না, না-না”।
খুব সুন্দর । আমি সুকুমার রায়ের কবিতা পছন্দ করি ।
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৫:১২
ফারিয়া বলেছেন: হি হি হি!
ছোট্টদের কথা বললে, মজা পেলাম (আমিও ছোট্ট কিনা :!> )।
অনেক সুন্দর কথা!
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:২১
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: পিচ্চি একটা গান শোন । আমি মাত্র কিছুদিন আগে গানটা শুনেছি । খুব ভালো লেগেছে ।
আমাদের ছেলেবেলা অনেক মায়ামায়া ছিল । খুব মিসাই ছেলেবেলাকে ।
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:০৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: ছেলেবেলা কিংবা শৈশব সবারই সোনালী সময় । তখন ভাবতাম ধুর বড় হই না ক্যান ? বড় হইলে একা একা ঘুরতে পারব , বড় মানে স্বাধীন হওয়া , বড় হওয়া মানে মন যা চায় তাই করা ইত্যাদি ইত্যাদি ।
সকল শিশুর মনের কথা।
অসাধারণ
সবগুলোই তো মিলে গেছে রে ভাই।
অনেক দিন পর মনে হয়, আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অতীতে ফিরে গেলাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৪৭
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: অতীতের অনেক কথা মনে পড়ল যখন অতীতের আরেকটা বিখ্যাত
কবিতা শোন তাহলে ,
হাসতে নাকি জানেনা কেউ
কে বলেছে ভাই?
এই শোন না কত হাসির
খবর বলে যাই।
খোকন হাসে ফোঁকলা দাঁতে
চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে
কাজল বিলে শাপলা হাসে
হাসে সবুজ ঘাস।
খলসে মাছের হাসি দেখে
হাসে পাতিহাঁস।
টিয়ে হাসে, রাঙ্গা ঠোঁটে,
ফিঙ্গের মুখেও হাসি ফোটে
দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা
হাসতে সবাই চায়
বোয়াল মাছের দেখলে হাসি
পিলে চমকে যায়।
এত হাসি দেখেও যারা
গোমড়া মুখে চায়,
তাদের দেখে পেঁচার মুখেও
কেবল হাসি পায়।
আমাদের বইতে একটা বোয়াল মাছের ইয়া বড় হা করা মুখ ওয়ালা ছবি ছিল । দেখলে ভয় তো লাগতই না উলটো হাসি চলে আসত ।
সাবধানে হাসবা , দাঁত যেন খুলে পড়ে না যায় ।
১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৫১
বিরোধী দল বলেছেন: আমার ভাইয়ামনিটা এত সুন্দর কবিতা কিভাবে লেখে?
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৪৯
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ভাইয়া মনি কবিতাটা তো আমি লিখিনি ।সুকুমার রায় লিখেছেন ।
তুমি হয়তো আগে শুনেছ কিন্তু এখন ভুলে গেছ । আমি পুরোটা মনে করিয়ে দিচ্ছি । আর ভুলা যাবেনা কিন্তু ।
রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে,
"হাসব্ না-না, না-না"।
সদাই মরে ত্রাসে- ঐ বুঝি কেউ হাসে!
এক চোখে তাই মিট্মিটিয়ে
তাকায় আশে পাশে।
ঘুম নাহি তার চোখে আপনি বকে বকে
আপনারে কয়, "হাসিস্ যদি
মারব কিন্তু তোকে!"
যায় না বনের কাছে, কিম্বা গাছে গাছে,
দখিন হাওয়ার সুড়সুড়িতে
হাসিয়ে ফেলে পাছে!
সোয়াস্তি নেই মনে- মেঘের কোণে কোণে
হাসির বাস্প উঠ্ছে ফেঁপে
কান পেতে তাই শোনে।
ঝোপের ধারে ধারে রাতের অন্ধকারে
জোনাক্ জ্বলে আলোর তালে
হাসির ঠারে ঠারে ।
হাসতে হাসতে যারা হচ্ছে কেবল সারা
রামগরুড়ের লাগছে ব্যথা
বুঝছে না কি তারা?
রামগরুড়ের বাসা ধমক দিয়ে ঠাসা,
হাসির হাওয়া বন্ধ সেথায়
নিষেধ সেথায় হাসা।
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:০৯
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলো না!
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫১
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: সে যে আমার নানা রঙের দিনগুলো । পুরোনো সে দিনের কথা সেকি ভোলা যায়..................।
১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০
শায়মা বলেছেন: আমি কিন্তু তোতোই আতি।
কেমনে তা একটু পর এসে বলছি।
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫২
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আমি দানি তুমি তোতোই আতো । তাই তোমার দন্য তহজ এত্তা তবিতার কয়েক লাইন দিলাম ,
আসল কথা বুঝছ না যে, করছ না যে চিন্তা,
শুনছ না যে গানের মাঝে তব্লা বাজে ধিনতা?
পাল্লা ধ'রে গায়ের জোরে গিট্কিরি দাও ঝেড়ে,
"দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম্ !দেড়ে দেড়ে দেড়ে!
তুমি মুকস্ত করে ফেল ।
১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:০০
লুৎফুল কাদের বলেছেন: কত স্বপ্নময় মজার আর অদ্ভুত ছিল ছোট্ট বেলার জীবনটা । ওফ আবার যদি ছোট্টটি হতে পারতাম !
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৪
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: হুম আবার যদি ছোট হতে পারতাম । তাইলে চিক্কুর পাইড়া পাইড়া পুরা বাসা মাতামাতি কইরা এ কবিতা বলতাম ,
বৃষ্টি এল কাঁশবনে,
জাগল সাড়া ঘাসবনে।
বকের সারি কোথায় রে,
লুকিয়ে গেল বাশবনে।
নদীতে নাই খেয়া যে,
ডাকল দূরে দেয়া যে।
কোন সে বনের আড়ালে,
ফুটল আবার কেয়া যে।
১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:১৯
অদৃশ্য মানবী বলেছেন: ওয়াও!!!নস্টালজিক হয়ে গেলাম।অনেক দিন পরেআমার প্রিয় সব কবিতাগুলো একসাথে পড়লাম।একটা কবিতা ছিল''সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাক তার''আমার অনেক প্রিয় কবিতা।আমার প্রিয় ছোটবেলা কোথায় হারালো
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৬
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: সফদার ডাক্তার আমাদের সময় পাঠ্যবইয়ে ছিল না । বড় ভাইয়া আপুদের সময় ছিল । এটা খুব মজার কবিতা । আমার খুব ভালো লাগে । এ নাও কবিতাটা । হারিয়ে যাও অতীতে ।
সফদার ডাক্তার
মাথা ভরা টাক তার
খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে,
চেয়ারেতে রাতদিন
বসে গোনে দুই-তিন
পড়ে বই আলোটারে নিবিয়ে।
ইয়া বড় গোঁফ তার,
নাই যার জুড়িদার
শুলে তার ভুঁড়ি ঠেকে আকাশে,
নুন দিয়ে খায় পান,
সারাক্ষণ গায় গান
বুদ্ধিতে অতি বড় পাকা সে।
রোগী এলে ঘরে তার,
খুশিতে সে চারবার
কষে দেয় ডন আর কুস্তি,
তারপর রোগীটারে
গোটা দুই চাঁটি মারে
যেন তার সাথে কত দুস্তি।
ম্যালেরিয়া হলে কারো
নাহি আর নিস্তার
ধরে তারে কেঁচো দেয় গিলিয়ে,
আমাশয় হলে পরে
দুই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।
কলেরার রোগী এলে,
দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে,
তারপর দুই টিন
পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।
ডাক্তার সফদার,
নাম ডাক খুব তার
নামে গাঁও থরহরি কম্প,
নাম শুনে রোগী সব
করে জোর কলরব
পিঠটান দিয়ে দেয় লম্ফ।
একদিন সক্কালে
ঘটল কি জঞ্জাল
ডাক্তার ধরে এসে পুলিশে,
হাত-কড়া দিয়ে হাতে
নিয়ে যায় থানাতে
তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।
খুব খুব মজার কবিতা ।
১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: ছেলে বেলা আমরা অনেকগুলো কাজিন ছিলাম......আমাদের অবাধ বিচরণ ছিল ধানমন্ডি এলাকার বাইরে কলাবাগান। বাবার চাকরীস্থল ক্যানটনমেন্ট ও আমাদের পুরনো বাড়ি ওয়ারী। আমরা যখন যেখানে একত্রিত হতাম-সবার মধ্যেই প্রচন্ড আকুতি ছিল-"কবে আমরা বড় হবো, কবে একা একা যখন খুশী যেখানে সেখানে যেতে পারবো"! আর এখন বারবার মনে হয়-ইশ আবার যদি সেই ছেলে বেলায় ফিরে যেতে পারতাম!
ভিন্ন আংগীকে তোমার ছেলেবেলার স্মৃতি চারণ খুব সুন্দর হয়েছে।
১১তম ভাল লাগা।
২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৮
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আমরাও কাজিনরা একসাথ হলে কত যে পরিকল্পনা করতাম । কত যায়গায় যে ঘুরতে যেতাম । বড় ছুটি পড়লে আন্টিরা আমরা সবাই নানুবাড়ি চলে আসতাম । আমরা পিচ্চিরা চাইতাম সবসময় যেন ছুটি থাকে, স্কুল যেন না থাকে ।
কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের ছেলে বেলার ইচ্ছেগুলোর মত করে কেমন কবিতা বানিয়ে ফেলেছে দেখ ,
আমি যদি বাবা হতুম, বাবা হত খোকা,
না হলে তার নামতা,
মারতাম মাথায় টোকা।।
রোজ যদি হত রবিবার !
কি মজাটাই হত যে আমার !
কেবল ছুটি ! থাকত নাক নামতা লেখা জোকা !
থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অংকে ধরত পোকা ।।
১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:১১
সায়েম মুন বলেছেন: ছোটকালে কত উদ্ভট চিন্তা মাথায় আসতো তার ইয়ত্তা নেই।
ভাল লাগলো পোষ্টটা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০০
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: মুন আপ্পি , লেখালেখিতে ফাঁকিবাজি চলবে না চলবে না । অনেকদিন নতুল লেখা নাই ।
ছেলে বেলায় উদ্ভত চিন্তা আসত , কিন্তু তখন তো বুঝি নাই এগুলান উদ্ভত চিন্তা !
মন খারাপের গল্পও আছে , কাজলা দিদি , আসমানী কিংবা সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ছিন্নমুকুল এগুলো মনে খুব দাগ কেটেছিল । আসমানীটা বলছি শোন ,
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে দেছে দারুণ অভাব আসি।
পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালি তার গা বরণের করছে উপহাস।
ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি,
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি।
বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হল তাই কেঁদে,
হয় নি সুযোগ লয় যে সে-সুর গানের সুরে বেঁধে।
আসমানীদের বাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুর ভরে
ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল্-বিল্-বিল করে।
ম্যালেরিয়ার মশক সেথা বিষ গুলিছে জলে,
সেই জলেতে রান্না-খাওয়া আসমানীদের চলে।
পেটটি তাহার দুলছে পিলেয়, নিতুই যে জ্বর তার,
বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর।
১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:৫৩
অদৃশ্য মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ কবিতাটি পুরো দেওয়ার জন্য।এই সব কবিতাগুলো আমার পাঠ্য ছিল।আমাদের পরের ব্যাচ থেকে পাঠ্য বই থেকে এতো সুন্দর কবিতাগুলো হারিয়ে যায়।আবারও ধন্যবাদ ''আসমানী'' কবিতাটি দেওয়ার জন্য।অনেক মিস করেছি এই কবিতাগুলো।
২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৯
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী । আমাদের সময় আহসান হাবীবের “ইচ্ছা” কবিতাটা আমার খুব ভালো লেগেছিল । তখন বোনকে পাটের শাড়ি আর মাকে রঙ্গিন হাড়ি দিতে খুব ইচ্ছে করছিল ।
কিন্তু আমাদের এখানে বিলও ছিলনা ঘাস ও ছিলনা , ছিল না কোন নদীও । মনার মত আমার আর যাওয়া হয়নি । কি যে মন খারাপ হয়েছিল সেসময় ! তোমার জন্য কবিতাটা দিলাম ।
মনারে মনা কোথায় যাস?
বিলের ধারে কাটব ঘাস।
ঘাস কি হবে?
বেচব কাল,
চিকন সুতোর কিনব জাল।
জাল কি হবে?
নদীর বাঁকে
মাছ ধরব ঝাঁকে ঝাঁকে।
মাছ কি হবে?
বেচব হাটে,
কিনব শাড়ি পাটে পাটে।
বোনকে দেব পাটের শড়ি,
মাকে দেব রঙ্গিন হাঁড়ি।
১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:২৯
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: আহা ছেলেবেলা !নস্টালজিক ছেলেবেলা ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০১
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ছেলে বেলা , আনন্দের ছেলেবেলা , খেলার ছেলেবেলা , বৃষ্টিতে ভেজার ছেলে বেলা ! আজকে খুব বৃষ্টি হয়েছিল । আমার একটা বৃষ্টির ছড়া মনে পড়ে গেল । শোন ,
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
নদে এলো বান,
শিব ঠাকুরের বিয়ে হবে
তিন কন্যা দান।
এক কন্যা রাধেন বাড়েন
এক কন্যায় খান,
আরেক কন্যা না খেয়ে
বাপের বাড়ি যান।
আবার বৃষ্টি বেশি হয়ে থামতে না চাইলেও সবাই সুর করে বলতাম ,
আয় বৃষ্টি ঝেপে
ধান দিব মেপে
লেবুর পাতা করমচা
যা বৃষ্টি ঝরে যা
মিচ য়ু কুটিকাল ।
২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরাতন আমাকে খুব মিস করি
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০২
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: পুরনো আমাকে কে না মিস করে ? কে না সন্ধ্যায় মায়ের কোলে মাথা রেখে এ কবিতা শুনতে চায় ?
আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা
ধান ভাংলে কুড়ো দেবো
মাছ মারলে মুড়ো দেবো
কালো গাঁয়ের দুধ দেবো
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।
২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:০৮
শায়মা বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=0iUTOWTY4W4
আমি কেনো তোতো।
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৩
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: তুমি তোত এইজন্য , সেইজন্য তুমি তোত ।
আতো তোমাকে বিজ্ঞান তিখাই ।
আয় তোর মুন্ডুটা দেখি, আয় দেখি "ফুটোস্কোপ" দিয়ে,
দেখি কত ভেজালের মেকি আছে তোর মগজের ঘিয়ে।
কোন্ দিকে বুদ্ধিটা খোলে, কোন্ দিকে থেকে যায় চাপা;
কতখানি ভস্ ভস্ ঘিলু, কত খানি ঠক্ ঠকে কাপাঁ।
মন তোর কোন্ দেশে থাকে, কেন তুই ভুলে যাস্ কথা-
আয় দেখি কোন্ ফাঁক দিয়ে, মগজেতে ফুটো তোর কোথা।
টোল-খাওয়া ছাতাপড়া মাথা, ফাটামত মনে হয় যেন,
আয় দেখি বিশ্লেষ ক'রে- চোপ্ রও ভয় পাস কেন?
কাৎ হয়ে কান ধ'রে দাঁড়া, জিভখানা উল্টিয়ে দেখা,
ভালো ক'রে বুঝে শুনে দেখি- বিজ্ঞানে যে রকম লেখা।
মুন্ডুতে ম্যাগনেট ফেলে, বাশঁ দিয়ে "রিফ্লেকট" ক'রে,
ইট দিয়ে ভেলসিটি ক'ষে, দেখি মাথা ঘোরে কি না ঘোরে।
তুন্দর কবিতা , তাই না ?
২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:১৭
~মাইনাচ~ বলেছেন: কত স্বপ্নময় মজার আর অদ্ভুত ছিল ছোট্ট বেলার জীবনটা । ওফ আবার যদি ছোট্টটি হতে পারতাম !
কিন্তু হবার নয়
অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৫
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আর ফিরে আসবেনা , কিন্তু সে সময়ের কবিতা পড়লে এখনো হৃদয়ে কম্পন জাগে , ফিরে যাই পেছনের দিনগুলিতে । পড়ে দেখ তুমিও ফিরে যেতে পারবে ।
মৌমাছি, মৌমাছি
কোথা যাও নাচি নাচি
দাঁড়াও না একবার ভাই।
ওই ফুল ফোটে বনে
যাই মধু আহরণে
দাঁড়াবার সময় তো নাই।
ছোট পাখি, ছোট পাখি
কিচিমিচি ডাকি ডাকি
কোথা যাও বলে যাও শুনি।
এখন না কব কথা
আনিয়াছি তৃণলতা
আপনার বাসা আগে বুনি।
পিপীলিকা, পিপীলিকা
দলবল ছাড়ি একা
কোথা যাও, যাও ভাই বলি।
শীতের সঞ্চয় চাই
খাদ্য খুঁজিতেছি তাই
ছয় পায়ে পিল পিল চলি।
২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:২৯
মিথী_মারজান বলেছেন: উফ ভাইয়া!!!!
ভীষণ নস্টালজিক করে দিলেন।
দারুন একটা পোস্ট+++++++++++++++
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১৭
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ধন্যবাদ মারজান , আমাদের ক্লাশ ওয়ানের কবিতা । অন্যতম ভালো লাগার মত একটা কবিতা । এখন খুব ভালো লাগে। অথচ তখন বারবার পড়তে পড়তে এ কবিতাকে দু চোক্ষের বিষ ছিল ।
নোটন নোটন পায়রাগুলি
ঝোটন বেঁধেছে
ও পাড়েতে ছেলেমেয়ে নাইতে নেমেছে
দুই ধারে দুই রুই কাতলা ভেসে উঠেছে
কে দেখেছে কে দেখেছে
দাদু দেখেছে
দাদুর হাতে কলম ছিল ছুঁড়ে মেরেছে
উহু বড্ড লেগেছে !
২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩২
অন্তি বলেছেন: ছোটবেলাগুলো কেন এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়। আপনার পোস্ট ফিরিয়ে নিয়ে গেল সেইসব দুরন্ত শৈশবে।
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১৯
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: থ্যাংকু অন্তিমনি । ছেলেবেলা খুব তাড়াতাড়ি ই ফুরিয়ে যায়। সুকুমার রায়ের লেখা এ কবিতাটি যদি না পড়ে থাক এখনি পড়ে নাও । খুব সুন্দর শিশুমনের কবিতা ।
ছিচ্কাঁদুনে মিচকে যারা সস্তা কেঁদে নাম কেনে,
ঘ্যাঁঙায় শুধু ঘ্যানর ঘ্যানর ঘ্যান্ঘ্যানে আর প্যানপ্যানে—
কুঁকিয়ে কাঁদে খিদের সময়, ফুঁপিয়ে কাঁদে ধম্কালে,
কিম্বা হঠাৎ লাগলে ব্যাথা, কিম্বা ভয়ে চম্কালে;
অল্পে হাসে অল্পে কাঁদে, কান্না থামায় অল্পেতেই;
মায়ের আদর দুধের বোতল কিম্বা দিদির গল্পেতেই—
তারেই বলি মিথ্যে কাঁদন, আসল কান্না শুনবে কে?
অবাক্ হবে থম্কে রবে সেই কাঁদনের গুণ দেখে!
নন্দঘোষের পাশের বাড়ী বুথ্ সাহেবের বাচ্চাটার
কান্নাখানা শুনলে বলি কান্না বটে সাচ্চা তার।
কাঁদবে না সে যখন তখন, রাখবে কেবল রাগ পুষে,
কাঁদবে যখন খেয়াল হবে খুন–কাদুনে রাক্ষুসে!
নাইকো কারণ নাইকো বিচার মাঝরাতে কি ভোরবেলা,
হঠাৎ শুনি অর্থবিহীন আকাশ–ফাটান জোর গলা।
হাঁকড়ে ছোটে কান্না যেমন জোয়ার বেগে নদীর বান,
বাপ মা বসেন হতাশ হয়ে শব্দ শুনে বধির কান।
বাসরে সে কি লোহার গলা? এক মিনিটও শান্তি নেই?
কাঁদন ঝরে শ্রাবণ ধারে, ক্ষান্ত দেবার নামটি নেই!
ঝুমঝুমি দাও পুতুল নাচাও, মিষ্টি খাওয়াও একশোবার,
বাতাস কর, চাপড়ে ধর, ফুটবে নাকো হাস্য তার।
কান্নাভরে উল্টে পড়ে কান্না ঝরে নাক দিয়ে,
গিলতে চাহে দালানবাড়ী হাঁ'খানি তার হাঁক্ দিয়ে,
ভূত–ভাগানো শব্দে লোকে ত্রাহি ত্রাহি ডাক ছাড়ে—
কান্না শুনে ধন্যি বলি বুথ্ সাহেবের বাচ্চারে
২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৫০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: এক ঝটকায় ফিরে গেলাম রে .................................।।
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:২০
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ধন্যবাদ তিতি আপু । ছেলে বেলার পোস্টে এসছো যখন ছেলে বেলার একটা কবিতা শোন ।
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।
চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।
আর-পারে আমবন তালবন চলে,
গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে।
তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাহিবার কালে
গামছায় জল ভরে গায়ে তারা ঢালে।
সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে
আঁচলে ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।
বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
বধূরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।
আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।।
অতীতে বেশিক্ষন থেকো না । কবিতা পড়েই বর্তমানে চলে এসো কিন্তু ।
২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৩১
কলম.বিডি বলেছেন: আমার কথাগুলা আপনি জানলেন কিভাবে? পোস্টে প্লাস।
আমি ছোটবেলায় মনে করতাম বাংলা আর ইংলিশের মত অংক ভাষাও আছে !!
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:৪৪
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ঘুরে ফিরে আমাদের জীবন তো এই বাংলাদেশকে ঘিরেই আবর্তিত । তাইতো জীবনে জীবনে এত মিল , আমাদের এত ভালোবাসা ।
ছোট বেলায় এ কবিতা পড়ে নিজেকে খুব বীর বীর লাগত । তুমিও পড়েছ নিশ্চই , আবার মনে করিয়ে দিলাম ।
মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে ।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ’পরে
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে ।
রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে
রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে ।
সন্ধে হল,সূর্য নামে পাটে
এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে ।
ধূ ধূ করে যে দিক পানে চাই
কোনোখানে জনমানব নাই,
তুমি যেন আপনমনে তাই
ভয় পেয়েছ; ভাবছ, এলেম কোথা?
আমি বলছি, ‘ভয় পেয়ো না মা গো,
ঐ দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা ।’
চোরকাঁটাতে মাঠ রয়েছে ঢেকে,
মাঝখানেতে পথ গিয়েছে বেঁকে ।
গোরু বাছুর নেইকো কোনোখানে,
সন্ধে হতেই গেছে গাঁয়ের পানে,
আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে,
অন্ধকারে দেখা যায় না ভালো ।
তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,
‘দিঘির ধারে ঐ যে কিসের আলো!’
এমন সময় 'হারে রে রে রে রে’
ঐ যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে ।
তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে
ঠাকুর দেবতা স্মরণ করছ মনে,
বেয়ারাগুলো পাশের কাঁটাবনে
পালকি ছেড়ে কাঁপছে থরোথরো।
আমি যেন তোমায় বলছি ডেকে,
‘আমি আছি, ভয় কেন মা কর।’
হাতে লাঠি, মাথায় ঝাঁকড়া চুল
কানে তাদের গোঁজা জবার ফুল ।
আমি বলি, ‘দাঁড়া, খবরদার!
এক পা আগে আসিস যদি আর -
এই চেয়ে দেখ আমার তলোয়ার,
টুকরো করে দেব তোদের সেরে ।’
শুনে তারা লম্ফ দিয়ে উঠে
চেঁচিয়ে উঠল, ‘হারে রে রে রে রে।’
তুমি বললে, ‘যাস না খোকা ওরে’
আমি বলি, ‘দেখো না চুপ করে।’
ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে,
ঢাল তলোয়ার ঝন্ঝনিয়ে বাজে
কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে,
শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা।
কত লোক যে পালিয়ে গেল ভয়ে,
কত লোকের মাথা পড়ল কাটা।
এত লোকের সঙ্গে লড়াই করে
ভাবছ খোকা গেলই বুঝি মরে।
আমি তখন রক্ত মেখে ঘেমে
বলছি এসে, ‘লড়াই গেছে থেমে’,
তুমি শুনে পালকি থেকে নেমে
চুমো খেয়ে নিচ্ছ আমায় কোলে -
বলছ, ‘ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল!
কী দুর্দশাই হত তা না হলে।’
রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা -
এমন কেন সত্যি হয় না আহা।
ঠিক যেন এক গল্প হত তবে,
শুনত যারা অবাক হত সবে,
দাদা বলত, ‘কেমন করে হবে,
খোকার গায়ে এত কি জোর আছে।’
পাড়ার লোকে বলত সবাই শুনে,
‘ভাগ্যে খোকা ছিল মায়ের কাছে।’
২৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:১৬
হারিয়ে যাওয়া কোন এক তারা বলেছেন: ছোটবেলায় প্রায়ই বড়রা বলতো, ফল খাওয়ার পর পানি খেলে নাকি যম আসে। সেই যম কি, এটা দেখার জন্য কতবার যে ফল খাওয়ার পর পানি খেয়েছি ঠিক নাই।
২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:২৬
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: এ সম্পর্কে খনার বচন শোন ,
ফল খেয়ে জল খায়,
যম বলে আয় আয়।
আমিও ফল খেয়ে পানি খেয়েছি , কিছু হয় নাই । ফল নিয় খনার আরো কয়েকটা বচন ,
বারো মাসে বারো ফল
না খেলে যায় রসাতল।
ভরা পেটে ফল
খালি পেটে জল।
নিত্যি নিত্যি ফল খাও,
বদ্যি বাড়ি নাহি যাও।
আম লাগাই জাম লাগাই
কাঁঠাল সারি সারি-
বারো মাসের বারো ফল
নাচে জড়াজড়ি।
২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: ইস্ আবার যদি ছোট বেলায় ফিরে যাওয়া যেত ?
২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ফিরে গেলে আম্মুর কোলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এটা শুনতে পারতাম ,
ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি
মোদের বাড়ি এসো,
খাট নাই পালং নাই
খোকার চোখে বসো।
বাটা ভরে পান দিবো
গাল ভরে খেয়ো,
খোকার চোখে ঘুম নাই
ঘুম দিয়ে যেয়ো।
২৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: বাহ!!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৬
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । ভালো থেক ।
৩০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:১৭
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ভালো আছি আপনাদের শুভকামনাতেই
২৫ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৪০
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: থ্যাংকু ভাইয়া । আমিও ভালো আছি । তোমাকে আমার ছোটবেলার ভিষন প্রিয় একটা ছড়া শুনিয়ে দেই ,
ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে
রাত দুপুরে অই।
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে
ট্রেনের বাড়ি কই?
একটু জিরোয়, ফের ছুটে যায়
মাঠ পেরুলেই বন।
পুলের ওপর বাজনা বাজে
ঝন ঝনাঝন ঝন।
দেশ বিদেশ বেড়ায় ঘুরে
নেইকো ঘোরার শেষ।
ইচ্ছে হলেই বাজায় বাঁশি,
দিন কেটে যায় বেশ।
থামবে হঠাৎ মজার গাড়ি
একটু কেশে খক।
আমায় নিয়ে ছুটবে আবার
ঝক ঝকাঝক ঝক।
৩১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৪৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেক অনেক কিছু লেখাটায়
ঘুড়েএলাম অনেক দৃশ্যকল্প
২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৩২
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । পুরনো দিনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে , এখন যেমন মনে পড়ছে এ কবিতাটা , ছিন্নমুকুল
সবচেয়ে যে ছোট পিড়ি খানি
সেখানি আর কেউ রাখেনা পেতে,
ছোটথালায় হয় নাকো ভাতবাড়া
জল ভরে না ছোট্ট গেলাসেতে ।
বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট
খাবার বেলা কেউ ডাকে না তাকে ।
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল,
তারই খাওয়া ঘুচেছে সব আগে ।
সবচেয়ে যে অল্পে ছিল খুশি,
খুশি ছিল ঘেষাঘেষির ঘরে,
সেই গেছে হায়, হাওয়ার সঙ্গে মিশে,
দিয়ে গেছে জায়গা খালি করে ।
ছেড়ে গেছে পুতুল, পুঁতির মালা,
ছেড়ে গেছে মায়ের কোলের দাবি ।
ভয়ভরা সে ছিল যে সব চেয়ে
সেই খুলেছে আঁধার ঘরের চাবি ।
হারিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে ওরে !
হারিয়ে গেছে ‘বোল’ বলা সেই বাঁশি
দুধে ধোওয়া কচি সে মুখখানি
আঁচল খুলে হঠাৎ স্রোতের জলে
ভেসে গেছে শিউলী ফুলের রাশি ,
ঢুকেছে হায় শশ্মান ঘরের মাঝে
ঘর ছেড়ে হায় হৃদয় শশ্মানবাসী ।
সবচেয়ে যে ছোট কাপড়গুলি
সেইগুলি কেউ দেয় না মেলে ছাদে,
যে শয্যাটি সবার চেয়ে ছোট,
আজকে সেটি শূন্য পড়ে কাঁদে ।
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল
সেই গিয়েছে সবার আগে সরে ।
ছোট্ট যে জন ছিল রে সবচেয়ে,
সেই দিয়েছে সকল শূন্য করে ।
সম্ভবত ক্লাশ সিক্সে ছিল আমাদের । প্রথমে আমি এর মানে বুঝিনি । কিন্তু যখন এ কবিতার অর্থ বুঝলাম তখন মনটা খুব খারাপ হয়েছিল ।
৩২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:২১
রিয়াল রিফাত বলেছেন: দারুন লাগল ভাই ++++++++++
২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ধন্যবাদ রিফাত । তোমার জন্য খোকার সাধ কবিতার কয়েকটি লাইন ,
আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম-বাগে উঠব আমি ডাকি।
সূয্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে,
'হয়নি সকাল, ঘুমো এখন'- মা বলবেন রেগে।
বলব আমি, 'আলসে মেয়ে ঘুমিয়ে তুমি থাক,
হয়নি সকাল- তাই বলে কি সকাল হবে না'ক!
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?
তোমার ছেলে উঠলে গো মা রাত পোহাবে তবে!'
৩৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:২৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ইস,,,,,,,কি সুন্দর লেখা। আমি কিছুক্ষণের জন্য হলেও ছোট বেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম।
অনেক অনেক শুভকামনা
২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: থ্যাংকু আপু । যেসব কবিতা আমাকে বাকরুদ্ধ করেছিল তারমধ্যে এটা অন্যতম । আমি আগে প্রচুর কবিতা পড়তাম , আমার ছেলেবেলা ছিল কবিতার মত । তাই ছেলেবেলার কথা আসতেই কবিতা চলে আসে । ছেলেবেলা আর কবিতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ।
পায়ের তলায় নরম ঠেকল কি!
আস্তে একটু চল না ঠাকুর-ঝি---
. ওমা, এযে ঝরা-বকুল! নয়?
তাইত বলি, বসে' দোরের পাশে,
রাত্তিরে কাল---মধুমদির বাসে
. আকাশ-পাতাল কতই মনে হয় |
জ্যৈষ্ঠ আসতে কদিন দেরী ভাই---
আমের গায়ে বরণ দেখা যায়?
---অনেক দেরী? কেমন করে' হবে!
কোকিল-ডাকা শুনেছি সেই কবে,
. দখিণ হাওয়া---বন্দ কবে ভাই ;
দীঘির ঘটে নতুন সিঁড়ি জাগে---
শেওলা-পিছল---এমনি শঙ্কা লাগে,
. পা-পিছলিয়ে তলিয়ে যদি যাই!
মন্দ নেহাৎ হয় না কিন্তু তায়---
অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে' যায়!
দুঃখ নাইক সত্যি কথা শোন্,
অন্ধ গেলে কি আর হবে বোন?
. বাঁচবি তোরা---দাদা ত তোর আগে ;
এই আষাঢ়েই আবার বিয়ে হবে,
বাড়ী আসার পথ খুঁজে' না পাবে---
. দেখবি তখন প্রবাস কেমন লাগে?
---কি বল্লি ভাই, কাঁদবে সন্ধ্যা-সকাল?
হা অদৃষ্ট, হায়রে আমার কপাল!
কত লোকেই যায় ত পরবাসে---
কাল-বোশেখে কে না বাড়ী আসে?
. চৈতালি কাজ, কবে যে সেই শেষ!
পাড়ার মানুষ ফিরল সবাই ঘর,
তোমার ভাইয়ের সবই স্বতন্তর---
. ফিরে' আসার নাই কোন উদ্দেশ!
---ঐ য়ে হেথায় ঘরের কাঁটা আছে---
ফিরে' আসতে হবে ত তার কাছে!
এইখানেতে একটু ধরিস ভাই,
পিছল ভারি --- ফস্ কে যদি যাই---
. এ অক্ষমার রক্ষা কি আর আছে!
আসুন ফিরে'---অনেক দিনের আশা,
থাকুন ঘরে, না থাক্ ভালবাসা---
. তবু দুদিন অভাগিনীর কাছে!
জন্মশোধের বিদায় নিয়ে ফিরে'---
সেদিন তখন আসব দীঘির তীরে |
"চোখ গেল" ঐ চেঁচিয়ে হ'ল সারা!
আচ্ছা দিদি, কি করবে ভাই তারা---
. জন্ম লাগি গিয়েছে যার চোখ!
কাঁদার সুখ যে বারণ তাহার---ছাই!
কাঁদতে পেলে বাঁচত সে যে ভাই,
. কতক তবু কমত যে তার শোক!
"চোখ গেল" ---তার ভরসা তবু আছে---
চক্ষুহীনার কি কথা কার কাছে!
টানিস কেন? কিসের তাড়াতাডি---
সেই ত ফিরে' যাব আবার বাড়ী,
. একলা থাকা সেই ত গৃহকোণ---
তার চেয়ে এই স্নিগ্ধ শীতল জলে
দুটো যেন প্রাণের কথা বলে---
. দরদ-ভরা দুখের আলাপন ;
পরশ তাহার মায়ের স্নেহের মত
ভুলায় খানিক মনের ব্যথা যত!
এবার এলে, হাতটি দিয়ে গায়ে
অন্ধ আঁখি বুলিয়ে বারেক পায়ে---
. বন্দ চোখের অশ্রু রুধি' পাতায়,
জন্ম-দুখীর দীর্ঘ আয়ু দিয়ে
চিরবিদায় ভিক্ষা যাব নিয়ে---
. সকল বালাই বহি আপন মাথায়!
দেখিস তখন, কাণার জন্য আর
কষ্ট কিছু হয়না যেন তাঁর |
তার পরে---এই শেওলা-দীঘির ধার---
সঙ্গে আসতে বলবো নাক আর,
. শেষের পথে কিসের বল' ভয়---
এইখানে এই বেতের বনের ধারে,
ডাহুক-ডাকা সন্ধ্যা-অন্ধকারে---
. সবার সঙ্গে সাঙ্গ পরিচয়!
শেওলা-দীঘির শীতল অতল নীরে---
মায়ের কোলটি পাই যেন ভাই ফিরে'!
৩৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ২:৫৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ক্যাচালের ভেতর একবার দেখি গিয়েছিলাম।
প্লাস দিয়ে গেলাম, আজ আর পড়ার মুড নাই।
কেমন আছো?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:০৯
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: ভালো নাই ভাইয়া , এত ঝগড়া দেখে মন একেবারেই খারাপ হয়ে গেছে । সামুতে আসা কমিয়ে দিয়েছি ।
৩৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩৫
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আয় হায় করছো কি, সামুতে এখন ভাইয়া-আপু ডাকা নিষেধ - তুমি জানো না?
আমার মনে হয় সামু পুরো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।
ভাল থেকো ভাইয়া।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:২৩
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: না ভাইয়া , আমার যাকে ভালো লাগবে , যে লেখা ভালো লাগবে , যেমন ইচ্ছে করে আমি ঠিক তা ই করি । কারো ধার ধারি না । তোমাকে ভাইয়া বলেছি, ভাইয়াই বলব ।
তোমাকে খুব সুন্দর একটা কবিতা শুনাই ,
এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।
কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতার বিলে,
আকাশ থেকে চিলটাকে আজ ফেলব পেড়ে ঢিলে।
দিন-দুপুরে জ্যান্ত আহা, কানটা গেল উড়ে,
কান না পেলে চার দেয়ালে মরব মাথা খুঁড়ে।
কান গেলে আর মুখের পাড়ায় থাকল কি-হে বল?
কানের শোকে আজকে সবাই মিটিং করি চল।
যাচ্ছে, গেল সবই গেল, জাত মেরেছে চিলে,
পাঁজি চিলের ভূত ছাড়াব লাথি-জুতো কিলে।
সুধী সমাজ! শুনুন বলি, এই রেখেছি বাজি,
যে-জন সাধের কান নিয়েছে জান নেব তার আজই।
মিটিং হল ফিটিং হল, কান মেলে না তবু,
ডানে-বাঁয়ে ছুটে বেড়াই মেলান যদি প্রভু!
ছটতে দেখে ছোট ছেলে বলল, কেন মিছে
কানের খোঁজে মরছ ঘুরে সোনার চিলের পিছে?
নেইকো খালে, নেইকো বিলে, নেইকো মাঠে গাছে;
কান যেখানে ছিল আগে সেখানটাতেই আছে।
ঠিক বলেছে, চিল তবে কি নয়কো কানের যম?
বৃথাই মাথার ঘাম ফেলেছি, পণ্ড হল শ্রম।
ভালো থেকো ভাইয়া , অনেক অনেক ।
৩৬| ১২ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৭
সালমাহ্যাপী বলেছেন: লেখাগুলো পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল সেই ছটোবেলায় চলে গিয়েছি
আহা সেই মধুর দিনগুলো !!!!!
১৫ ই মে, ২০১২ রাত ১১:১৫
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: হ্যাপীপু একটু দেরি হয়ে গেল , সরি । লেখাগুলো আমিও পড়লাম আবার । ছেলেবেলায় ফিরে গেলাম ।
আহা সেই দিনগুলো , সেকি ভোলা যায় !!!!
৩৭| ১৭ ই মে, ২০১২ রাত ১০:২৭
শিশিরের শব্দ বলেছেন: আাহা....
ছোটবেলার সেই দিনগুলো
১৮ ই মে, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: রিয়ার কাছে একটা ছড়া শুনেছি , খুব ভালো লাগল । তোমাকেও বলি ,
রং তুলিতে চুপচাপ
মাঠের পাশে ঝোপ ঝাপ
ঝোপের পাশে সোনার গাঁও
একটুখানি বসে যাও
বসতে বসতে সন্ধ্যা
বইছে বাতাস মন্দা
খালের উপর ছোট্ট নাও
ছোট্ট নাওয়েই পাড়ি দাও
৩৮| ২১ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৫৭
শিশিরের শব্দ বলেছেন: দারুণ ছড়া....
২১ শে মে, ২০১২ বিকাল ৫:১৯
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: মাখবো না তেল চুলে
রাখব ফিতে খুলে
কাঁদব আমায় ছুঁলে।
রাগ করেছি ঢের
রাগলে আমার হুঁশ থাকে না
আজকে পাবে টের।
পুতুল আলমারীতে
লুকোল কে রাতে?
ঠাট্টা আমার সাথে?
দুধ খাবো না ঠিক
টিকটিকিটা বলছে খুকু
ঠিক বলেছে ঠিক।
আমিও বলি ঠিক বলেছ ঠিক । দারুণ ছড়া ঠিক ।
৩৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ১:৩২
সরলতা বলেছেন: আজ রাতে কোন রুপকথা নেই!
চাঁদ মামা আজ বড্ড একা বড় হয়েছি আমি,
রোজ রাতে আর হয় না দেখা হয় না নেয়া হামি॥
রোজ রাতে আর চাঁদের বুড়ী কাটে না চড়কা রোজ,
ও বুড়ী তুই আছিস কেমন হয় না নেয়া খোঁজ,
কোথায় গেল সে রূপকথার রাত হাজার গল্প শোনা,
রাজার কুমার কোথায় তোমার পক্ষীরাজ সে ঘোড়া॥
কেড়ে নীল কে সে আজব সময় আমার কাজলা দিদি,
কেরে তুই কোন দৈত্য-দানব সব যে কেড়ে নিলি?
কেরে তুই কেরে তুই সব সহজ শৈশবকে বদলে দিলি কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে,
কেরে তুই কেরে তুই যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি কোনো এক ভুল স্রোতে॥
আলাদিন আর জাদুর জ্বিনী আমায় ডাকছে শোন,
ব্যস্ত আমি ভীষণ রকম সময় তো নেই কোনো॥
আলিবাবা দরজা খোলা চল্লিশ চোর এলে,
সিন্দাবাদটা একলা বসে আছে সাগর তীরে।
সময়টা আজ কেমন যেন বড় হয়ে গেছি আমি,
তারা গুলো আজও মেঘের আড়াল কোথায় গিয়ে নামি॥
কেড়ে নীল কে সে আজব সময় আমার কাজলা দিদি,
কেরে তুই কোন দৈত্য-দানব সব যে কেড়ে নিলি?
কেরে তুই কেরে তুই সব সহজ শৈশবকে বদলে দিলি কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে,
কেরে তুই কেরে তুই যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি কোনো এক ভুল স্রোতে!
০৫ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৫
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: গানটা অনেক সুন্দর । আমিও পছন্দ করি ।
তোমাকে আবার দেখে ভালো লাগল । তুমি যখন একেবারেই অনিয়মিত হয়ে গিয়েছিলে তখন প্রায়ই তোমার ব্লগে যেতাম । আমার খুব কষ্ট লাগত । যতীন্দ্রমোহন বাগচীর একটা কবিতা মনে পড়ত । একেবারে উধাও না হয়ে মাঝে মাঝে হলেও ব্লগে এসো ।
যতীন্দ্রমোহন বাগচীর আরেকটা পছন্দের কবিতা শোন ,
পরাজিতা তুই সকল ফুলের কাছে,
তবু কেন তোর অপরাজিতা নাম?
গন্ধ কি তোর বিন্দুমাত্র আছে?
বর্ণ-সেও ত নয় নয়নাভিরাম |
ক্ষুদ্র সেফালি, তারও মধুর-সৌরভ ;
ক্ষুদ্র অতসী, তারো কাঞ্চন-ভাতি ;
গরবিণি, তোর কিসে তবে গৌরব!
রূপগুণহীন বিড়ম্বনার খ্যাতি!
কালো আঁখিপুটে শিশির-অশ্রু ঝরে---
ফুল কহে---মোর কিছু নাই কিছু নাই,
তোমরা যে নামে ডাকিয়াছ দয়া করে,
আমি শুধু ভাই, তাই---আমি শুধু তাই |
ফুলসজ্জায় লজ্জায় যাই নাক,
পুষ্পমালায় নাহিক আমার স্থান,
প্রিয় উপহারে ভুলেও কি মোরে ডাক?
বিবাহ-বাসরে থাকি আমি ম্রিয়মাণ |
মোর ঠাঁই শুধু দেবের চরণতলে,
পূজা-শুধু-পূজা জীবনের মোর ব্রত ;
তিনিও কি মোরে ফিরাবেন আঁখিজলে---
অন্তরযামী,---তিনিও তোমারি মত?
এটা আমার একটা প্রিয় কবিতা ।
৪০| ১০ ই জুন, ২০১২ সকাল ৭:১১
সরলতা বলেছেন: আমি জানি, আমি যখন এই তো আবার কয়েকদিন পর ব্লগে আবার অনিয়মিত হয়ে যাব, আর কেউ আমার ব্লগে যাক বা না যাক, আমার এই ছোট ভাইটা আবার আমার ব্লগ ঘুরে যাবে।
ভাল থেক, সিপাত!
১০ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:১২
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আবার অনিয়মিত হয়ে যাবে !
ঠিকাছে তোমার ইচ্ছা । কিছু বলার নেই ।
যখন যেখানেই থাক না কেন ভালো থেকো । অনেক অনেক ভালো ।
৪১| ০৬ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
শাহেদ খান বলেছেন: অনেকগুলো মিলে গেল ! অনেক অনেক অনেকগুলো !
খুব আফসোস, আজকালকার শহুরে ছেলে-মেয়েগুলো এসব বুঝবেও না ! ওদের এসব ভাবার সময়ই বা কোথায়? সবাই মিলে ওদের শৈশব চুরি করে ফেলছি। আমরা ব্যস্ত ওদের Taller-stronger-sharper বানাতে...
কথাগুলো অফটপিক হয়ে গেল কি? যা মনে এসেছে, বলে ফেললাম।
পোস্ট'টা সত্যি দারুণ !
০৮ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: আমরা সবাই মিলে ওদের শৈশব চুরি করে ফেলছি , ঠিক । কত সপ্ন কত কল্পনা ছিল আমাদের আর এখনকার বাচ্চারা রোবট হয়ে বেড়ে উঠছে । তারা হয়তো আমাদের আবেগের মর্ম কোনদিনই বুঝবে না ।
ভালো থেকো কবি । অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:২৩
বেঈমান আমি বলেছেন: কত স্বপ্নময় মজার আর অদ্ভুত ছিল ছোট্ট বেলার জীবনটা । ওফ আবার যদি ছোট্টটি হতে পারতাম !
আফসোস