নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪১৭-পহেলা বৈশাখ-পান্তাভাত-সর্ষে ইলিশ, সাদা লাল শাড়ি, পান্জাবী ও আমার কিছু বৈশাখী প্যাচাল:)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪৮



সেই যে এক পান্তাবুড়ি। চোরে রোজ তার পান্তাভাত খেয়ে যায়। বুড়িকে সবাই উপদেশ দিলো রাজার কাছে বিচার দিতে। বুড়ি লাঠি ভর দিয়ে চললো রাজার বাড়ির উদ্দেশ্যে। ঠুক ঠুক ঠুক ঠুক বুড়ি হাঁটে আর জিরোয় , হাটে আর জিরোয়। কোমরে বাত, চোখে ছানি। বুড়ির খুব তেষ্টা পেলো । পানি খেতে বসলো পুকুর ধারে। একটা শিং মাছ ভুস করে ভেসে উঠলো। বুড়ির কাছে জানতে চাইলো, ও পান্তাবুড়ি, পান্তাবুড়ি যাচ্ছো কোথায় হুড়মুড়ি?

বুড়ি বললো তার দুঃখের কাহিনী। রোজ চোরে তার পান্তা খেয়ে যায়।

শিং মাছ বললো, ওসব বিচার রাজাকে দিয়ে হবেনাগো, রাজা বাদশাহদের কাজ বড় বড় চুরি ডাকাতির বিচার করা। গরীবের কেউ নেই বুড়ি। /:)আমাকে সাথে নিয়ে চলো। আমি চোরবেটার মজা দেখিয়ে দেবো।X(

অগত্যা কি আর করা? বুড়ি মাছটাকে ঝুলিতে পুরে নিলো।

এইভাবে একে একে বেল, গোবর আর কাঁচি বুড়ির সঙ্গী হলো । বুড়ির পান্তাহাড়িতে লুকিয়ে রইলো শিংমাছটা চুপি চুপি, বেল রইলো চুলার ভেতর, গোবরটা পড়ে রইলো বুড়ির দরজার গোড়ায়। আর বুড়ির বাড়ির সামনের ঘাসে লুকিয়ে রইলো কাঁচিটা।:P

তারপর চোর রাত দুপুরে যেইনা বুড়ির বাড়িতে ঢুকে বুড়ির পান্তা হাড়িতে হাত দিয়েছে, শিংমাছ দিলো কাঁটা ফুটিয়ে। চোর ঊঊউ করে হাতটা সেকতে গেলো চুলার আগুনে। বেল ফটাস করে ফুটে লাগলো গিয়ে চোরের চোখে । চোর আ আ করে ছুটলো পালাতে। দড়াম করে পিছলে পড়ে সারা গায়ে গোবর মেখে ভুত হলো । গায়ের গোবর মুছতে গেলো বাড়ির সামনের ঘাসে। আর কাঁচি দিলো কুচ করে চোরবেটার পা গেলো কেটে। চোর তো বাবারে মারে করে চেঁচাতে লাগলো। আর গাঁয়ের সকল লোক ধরে ফেললো চোরটাকে।

ছোটবেলায় পান্তাবুড়ির গল্পটা ছিলো আমার প্রিয় গল্প। হয়তো গরীব দুখী বুড়ির পান্তা চুরির আচ্ছামত শিক্ষা পাবার জন্যই গল্প শেষে আমি অনেক খুশী হয়ে উঠতাম। আবার পান্তাবুড়ির পান্তাভাতের মত দাদীমা বা বাড়ির যে কোনো লোকের পান্তা খাওয়া দেখলেই আমার মনটা আনচান করে উঠতো। তাই আমি শিশুকাল থেকেই পান্তা প্রিয় একটা বাচ্চা হয়ে গেলাম। আর হরেক রকম উপাধি ও নামাকরণের ভিড়ে আমার আরো একটি নাম জুটলো 'পান্তা বুড়ি' হিসেবে। :)



যাইহোক আমার প্রিয় এই গল্পটা আমি বেশ কয়েকবার একালের বাচ্চাদেরকে শুনাতে চেয়েছিলাম। আমার বোনের বাচ্চাটা তো বলেই বসলো , 'থামোতো খালামনি, বুড়িটা একটা বোকা। চোরকে ধরতে এতকিছু করতে হয়। পান্তাভাতের হাড়িটে শিং মাছ এনে রাখতে হয় কষ্ট করে? ল্যানির‌্যাট দিয়ে রাখলেই তো চোরটা ইদুরের মত মরে যেত।":-* বলে কি বাচ্চাটা? এই বয়সেই মানুষ মারার বুদ্ধি।/:)



তবে কথায় আছে এ যুগের ছেলেমেয়ে। যাইহোক, কয়েকদিন আগে এক পত্রিকায় পড়লাম এ যুগের পান্তাবুড়ি। সে শিং মাছের বদলে পান্তায় দিয়েছে আলপিন, বেলের বদলে চুলায় রেখেছে ককটেল ইত্যাদি ইত্যাদি এরপর আমি আবার ট্রাই করলাম বোনের পিচ্চিটাকে এই নবযুগের গল্প শুনাতে। সে বেশ বড় বড় চোখ করে হা করে শুনলো ও তৃপ্তির নিশ্বাস ফেললো। তার কাছে শিং মাছ ফাছ এর বদলে এই আলপিন ককটেল অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য।:)



এখন বলি আমি এতক্ষন ধান ভানতে শিবের গীত গাইলাম কেনো? এই শিবের গীতের কারণটাই পান্তাভাত। একটা প্রশ্ন বার বার মনে জাগে, পান্তাভাতই কি বাঙ্গালীর প্রধান খাদ্য? গরম ভাত কি বাঙ্গালীরা খায়না? /:)নাকি পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান গুলোতে একটা দিনের জন্য শখ করে মানুষের মনে গাঁয়ের কিষান হবার লোভ জাগে?



সে যাই হোক, আমার তো বেশ ভালোই লাগে। এত কিছু ভাবার থেকে সেই ভালো।পান্তাবুড়ির পান্তাভাত শুকনা মরিচ পোড়া,পেয়াজ লবন দিয়ে বেশ করে মেখে খেতে।





পহেলা বৈশাখকে ঘিরে বেশ কিছুদিন যাবৎ সাজ সাজ রব। বিপনীবিতান গুলোতে সাদা আর লালের যাদু। বৈশাখী বিভিন্ন অফার। সাজগোজ, দুল, মালা, চুড়ি কেনা। আমিও গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসালাম জনতার আনন্দ উল্লাস আর আদিখ্যেতা যেটাই বলা হোক না কেনো সেটাতে। শুনেছিলাম এ্যগোরায় নাকি পাওয়া যায় সেরা মেঘনার ইলিশ। ছুটলাম সেখানে। শ্বাসুড়ির আবদার, সরষে ইলিশ খাবেন। ১৭৫০ টাকার দুইটা পিচ্চি পিচ্চি ইলিশ।/:) কি আর করা? হাজার হোক পহেলা বৈশাখ, তায় আবার শ্বাসুড়ীর আবদার। মরি বাঁচি কিনতেই হবে। পান্তাভাত খেতেই হবে, সরষে ইলিশ আর ইলিশ ভাজা চাখতেই হবে। নাইলে শাশুড়ির দেওয়া বৈশাখী উপহার সাদা লাল গরদ শাড়িটা কাঁটা হয়ে ফুটবে গায়ে।



ভোর ছটায় উঠে সর্ষে ইলিশ ও পান্তাভাত, মুড়ি মুড়কিতে আনন্দ উল্লাসে পেট পূজা সারা হলো। তারপর ছুটলাম রমনায়। তখন সাতটা। মনে হলো চারিদিকে সাদা সাদা, লাল লাল ফুল ফুটে আছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফুলগুলো আরো বেশী ফুটে উঠছিলো। কি স্নিগ্ধ মায়াময় পরিবেশ চারিদিক জুড়ে।সত্যি চোখ জুড়ালো, মন ভরালো!



কিন্তু বেশীক্ষণ মন ভরানো গেলোনা। বিদায় নিতে হলো সেখান থেকে। ৯ টার মধ্যে ফিরে আসতে হবে অন্য একটি বৈশাখী আয়োজনে। সেখানের আবার সেই পান্তা, ইলিশ মুড়ি মুড়কি। কিন্তু তফাৎ শুধু এখানে বিচিত্র রমনী পূরুষের বিচিত্ররকম বেশ ভুশা দেখে জীবন ধন্য হলো (তবে মন জুড়াতে পারলাম না বলে দুস্কিত। /:) মাঝে মাঝে কিছু কিছু কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুনীর এই বাংলাবছরের প্রথম দিনটিতে এমন বিচিত্র বেশ ভুশা ও ইংলিশ কথন দেখে ভাবছিলাম এই বয়সে আমি এমন বিচিত্র পোশাক অঙ্গে ধারন করিলে আমার মা জননী আমার পিঠ খানার কি দফা রফা করিতেন):(



তবে এখানে এই পিচ্চি বাউলের গান শুনে সত্যি মুগ্ধ হলাম। ।



যাইহোক এরপর আমার স্বামী মহাশয়ের প্রাণে ইচ্ছা জাগলো বাড়ির বাইরের বাঙ্গালী খানা খাওয়ার।X(( বড়ই অপমান জনক ব্যাপার র‌্যাপার। আমি কি রন্ধন পটিয়াসী নহি। কেনো তবে বাড়ির বাইরের বাঙ্গালী খাদ্য গ্রহন?)X((



গেলাম সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে সাত মসজীদ রোডের কড়াই গোস্তে। মরি মরি! বাঙ্গালী খানার মৌ মৌ সুবাস! গিজগিজা মানুষজন।:-* কোথাও তিল ধারনের জায়গা নেই।/:) নেমে এসে ফখরুদ্দিনে উঁকি দিলাম। দোকানের সামনে সর্ষে ইলিশ, বড় বড় চিংড়ি ভাজা , গোল করা বাটি চাপা ভাত । আহা!:) রন্ধনপটিয়সীপনার দুঃখ ঘুচে গেলো। কিন্তু কোথাও একটু বসে শান্তিতে খাবার জায়গা নাই। ৪৫ মিনিটস অপেক্ষা করে লাইন দিয়ে অবশেষে বাঙ্গালীখানা ভাগ্যে জুটলো।



বাড়ি ফিরে আসবার সময় রাস্তায় আনন্দ মুখর জনতার ঢল দেখে মনে হচ্ছিলো আসলেই বাঙ্গালী জাত শত দুঃখ কষ্টেও মলিন হয়না। মাঝে মাঝেই চোখে পড়ছিলো একিরকম পান্জাবী বা ফতুয়ায় সজ্জিত বাচ্চা ও বাবা। মা মেয়ে বা একদল বোনেদের কলকাকলী। কখনও কখনও এক ঝাঁক উচ্ছল তরুণ।



পহেলা বৈশাখের দিনটি বেশ ভালোই কেঁটেছিলো। তবে যখন রাত্রী নেমে এলো। আমার সকল আনন্দ মলিন হয়ে গেলো একরাশ ভীতি, শঙ্কা ও উৎকন্ঠার সাথে সাথে বয়ে যাওয়া কিছু প্রহর নিয়ে।/:)



সারাদিনের একরাশ ক্লান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।তখন রাত তিনটা বাজে। হঠাৎ ঘুম ভাঙলো কারো ডাকে। চোখ মেলে দেখলাম বিছানার পাশে আমার স্বামীকে। ডিম লাইটের আলোকে তাকে একটু অন্যরকম লাগলো। ফিস ফিস করে বললেন। " বাড়িতে ডাকাত ঢুকেছে"।

ঘুমচোখে আমার মাথা কাজ করছিলো না । সে ইশারায় আমাকে চুপ করতে বলে বললেন, "ড্রইং রুমের জানালার কাঁচ ও গ্রীল ভেঙ্গে ফেলেছে । এখন সম্ভবত বাসার মধ্যেই বিচরণ করছে। যাই হোক থানায় ফোন করতে হবে।"





আমি বিস্ফারিত নেত্রে তার দিকে তাকিয়েই আছি। কি পরিমান খারাপ মূহুর্ত বলে বোঝানো যাবেনা। আমি মাথার কাছে মোবাইল খুঁজে পেলাম না। টি এন টিতে ফোন দিলাম থানায়। আমার গলা এত কাঁপছিলো ।( কেউ হাসবেনা যেন এই কথা পড়ে:() নিজের হার্টবিটের শব্দ নিজেই শুনতে পাচ্ছিলাম।

আমরা যে এলাকায় থাকি সেই নিরাপত্তা রক্ষীদের কে ইতিমধ্যে ফোন দিয়েছিলেন আমার স্বামী। আমাদের নিজেদের নৈশ প্রহরীদের কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলাম না। তাদের মোবাইলগুলোও কাজ করছিলো না।

সে কটি মুহুর্ত বলে বোঝানো যাবেনা। আমার স্বামী আমার ভয় সামলাবেন নাকি অন্যখানে যোগাযোগ করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না নিশ্চয়।( আমি যে এত ভীতু আগে জানতাম না।:() যাইহোক কিছু পরেই হৈ হৈ করে আশে পাশে শব্দ শুনেই আমরা বেড রুমের দরজা খুলে বের হলাম। আমি অবশ্য বের হতে চাচ্ছিলাম না। ভাবছিলাম যা ইচ্ছে তাই হোক আমি ডাকাতদের দরজা ভাঙ্গা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।:(

কিন্তু আমার বীরপুরুষ স্বামীর যন্ত্রনায় বের হতেই হলো।X(



বের হয়ে আবিষ্কার করলাম সব নানা রকম এ্যাডভেন্চারাস কাহিনী।

যাইহোক এ যাত্রা প্রানে বেঁচেছি আমার নিশাচর স্বামীর বদৌলতে।

সবাই যখন গভীর ঘুমে আছন্ন তিনি গভীর মনোযোগে ওকালতি বই অধ্যয়নে রত ছিলেন। এরি মাঝে শুনতে পান জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়ার শব্দ। ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসেই দেখেন কিছু নীল আলোর (ডাকাতদলের টর্চের )বিচ্ছুরন। উনারা বাইরে দারোয়ানদেরকে বেঁধে , জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ভেতরে ঢুবার প্রাক্কালে আমার স্বামীর নজরে পড়ে গিয়েছিলেন।



তারপর সারারাত হৈ চৈ থানা পুলিশ, নির্ঘুম রাত ও দিন। পান্তা বুড়ি রাজার কাছে বিচার না পেলেও শিং মাছ ও অন্যন্যরা সেই চোরের যথাযথ বিচার করেছিলো, আমি কার কাছে বিচার চাইবো? এবারের পহেলা বৈশাখ এমন স্মৃতি উপহার দিয়ে গেলো যা কখনও মুছে যাবার নয়।



তবুও চাওয়া হোক সকলের জন্য-



মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,

অগ্নি স্নানে সূচী হোক ধরা।





মন্তব্য ১৭২ টি রেটিং +৪১/-১

মন্তব্য (১৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৩

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: সত্যি নাকি?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০২

শায়মা বলেছেন: আরে হ্যা।

এখনও আমার খারাপ অবস্থা। মানে বুক ঢিপঢিপানী বন্ধ হয়নি। বাড়ির চারিদিকে মেরামতের কাজ চলছে।:(


আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তিনি আমাদের এইভাবে রক্ষা করেছেন।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৪

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: ওহ মাই গড!!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৩

শায়মা বলেছেন: :(

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৫

শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: দারুণ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৩

শায়মা বলেছেন: লাস্ট পার্ট টা নিশ্চয় দারুন না। :(

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৬

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: তাইলে মিলাদ দিবা কবে?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৫

শায়মা বলেছেন: কেনো ? তুমি কি হুজুর? মিলাদ পড়াইতে চাও?

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৯

শামসুন হাসনাত বলেছেন: লেখার হাতটা দারুণ!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১১

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপু।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৯

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: পরে পড়মু। এখন ক্ষিদা লাগছে। নাস্তা কইরা আসি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২১

শায়মা বলেছেন: নাস্তা এতক্ষনে!


আমাদের তো দুপুরের খানার সময় হয়ে গেলো।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৩২

নাজনীন১ বলেছেন: অনেকদিন পর এই পান্তা বুড়ির গল্পটা পড়লাম।

তবে পরের অভিজ্ঞতা ভয়ানক! যাক্‌ শেষ রক্ষা হয়েছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৩৪

শায়মা বলেছেন: :(

হুম । কিযে অবস্থা তখন। বলে বুঝানো যাবেনা।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৭

বড় বিলাই বলেছেন: ভয়াবহ ঘটনা। তাও ভালো যে আপনাদের উপর হামলা করেনি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

শায়মা বলেছেন: সবচাইতে ভীতিকর ছিলো ঘুম ভেঙে উঠে শোনা যে বাড়ির ভিতর হয়তো এতক্ষনে চোরেদের অবস্থান ও অলরেডী তারা কাঁচ ও গ্রীল ভেঙে ফেলেছে।

এমনকি আমার হাসব্যন্ড দেখতেও পেয়েছে পর্দা সরিয়ে তাদের একজন ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: কারেন্ট বেটা যাওয়ার সময় পেলোনা। X((
পরে আসছি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

শায়মা বলেছেন: ওকে পরে আবার এসো আমার বাড়ি আপু।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫২

মাহামুদ রাহি বলেছেন:
অসম্ভব ভালো লাগল 'পান্তা বুড়ি'...
খারাব লেগেছে বর্তমান প্রজন্মের 'ককটলে, ল্যানেরেট'....
ভয় লাগছে বর্তমান প্রশাষনিক নিরাপত্তা কতটা নাজুক তা ভেবে....
সাহসী 'গৃহবধু''র কর্মত্পরতায় মুগ্ধ....
ভাল থাকুন... ভয় কেটে যাক... সকল অনিয়ম-অপকর্ম বন্ধ হোক...
সুন্দর লেখনি...

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৩

শায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ রাহী।
পহেলা বৈশাখে রাতে ফিরে এসে খেয়ে দেয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম। তখন স্বপনেও ভাবিনি কিছুপরে পান্তাবুড়ির সেই ভোলাভালা চোর ইদানিংকালের ডাকাত হয়ে আমার বাড়িতেই প্রবেশের পায়তারা কষছে।:(


আমাকে সাহসী বললে একটা বাচ্চা ছেলেও হাসবে। সবকিছুতে নির্ভীক আমি সে সময় কোথায় যে উড়ে গিয়েছিলো আমার সাহসিকতা খোদা মালুম।:P

তবে আমার হাসব্যান্ড ঠান্ডা মাথায় পুরো পরিস্থিতি আয়ত্বে এনেছেন।
নইলে নীচে দারোয়ান, মালী আরদালী স হ আমরা সকলেই কি বিপদে পড়তাম কে জানে?:(

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: আজকেতো তাও নাস্তা করার সুযোগ পেয়েছি। অন্যদিনতো একবারে দুপুরের খাবার খাই। নাস্তাই খাওয়া হয় না।

লেখা এত বড় লেখা কেন?? :( এত বড় লেখা দেখলে আমার মাথা ঘুরায়। যাই হোক পান্তা বুড়ির গল্পটা অনেকদিন পর শুনলাম। এইবার টোনা টুনির গল্পটাও শোনাও আপু। গল্পটা মনে নাই।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৩

শায়মা বলেছেন: আহারে এত ব্যাস্ত কেনো আপনি? এই কারনেই আপনি পাহাড়ে বসে কাঁদেন এইবার বুঝলাম।:P


লেখা এত বড় কেনো? :(

লিখতে গেলে হুশ থাকেনা। বক বক করতে করতে কই থেকে কই যাই লেখা বড় হয়ে যায়। :(


পান্তাবুড়ির গল্পটা আরো বেশি মজার। আমি তো এখানে ভয়ে ভয়ে সংক্ষেপে বললাম।


আর টোনাটুনি? কত রকম টোনাটুনি শুনতে চান বলেন। সব হাজির করবো। :)

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২৫

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: নীচের সিকিউরিটিরা তো গেট লক করে ভেতরে থাকে। ওরা সিকিউরিটিদের বেধে ফেললো কি করে?
ওরা কি বিল্ডিংয়ের বাইরে দিয়ে (স্পাইডারম্যানের মত) বেয়ে উঠছিল জানালা ভাঙ্গতে? ওভাবে কাচ ভাঙ্গতে পারলেও গ্রিল ভাঙ্গতে গেলে তো লোকজনের জেনে যাবার কথা।
পহেলা বৈশাখে পেট্রোল পুলিশের ছড়াছড়ি থাকে চারদিকে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮

শায়মা বলেছেন: মিঃ জিলাপী :)

তুমি কি ভাবো ঢাকা শহরের সব লোকজন এ্যাপার্টমেন্টে থাকে? সব বাড়িতেই গেটের এমন ব্যাবস্থা থাকবে নিচে গেট লক করে দেওয়া যাবে?

আমাদের বাড়িটা সিঙ্গেল ইউনিটের বাগান ঘেরা বাড়ি। সেখানে গেট লক করলে তা হবে বাগানের গেট লক করা। বাগানটা গাছপালা বন জঙ্গলে ঠাসা আর নৈশ প্রহরী দুজন থাকে রাতে তাদের একজন বসে বসে ঘুমায় আরেকজন দাড়িয়ে দাড়িয়ে।

আর অন্য যারা ছিলো সার্ভেন্টস কোয়ার্টারে তারা ঘুমাচ্ছিলো। ডাকাতেরা প্রথমেই গার্ডদেরকে বেঁধে ফেলেছিলো তারপর সারভেন্টস কোয়াটারে ঢুকেছিলো । মোটা মোটা তালাগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো কেউ গলিয়ে ফেলেছে।

আর বিল্ডিং এর বাইরে দিয়ে স্পাইডারম্যানেরা তখনই উঠে যখন সেটা পাঁচা সাত তলা নিদেন পকষে দোতলা বাড়ি হয়।আমাদের বাড়িটা এক তলা। কাজেই জানালার পাশে দাড়িয়েই জানালা গুলো অনেক উচু হওয়া স্ব্ত্বেও গ্রীল কাঁটা বা কাঁচ ভাঙ্গা খুব একটা দুরহ নয়।

আর লোকজন তো জেনেছেই। বাড়ির বাইরের মানুষদেরকে বাঁধার পরেই মেইন বাসাটার বারান্দার গ্রীল কেঁটে রুমের দরজা না ভাঙ্গতে পেরে আবার বাইরের দিকের জানলার কাঁচ ভেঙ্গেছে। আর সে শব্দেই তো আমার বীর পুরুষ বুঝে গেলো। আর একবাড়ি মানুষেরর প্রাণ রক্ষা পেলো।

পহেলা বৈশাখে পেট্রোল পুলিশের ছড়াছড়ি থাকে চারদিকে। আহা আসলেন আমার পুলিশ দরদী। তবে শুনে রাখুন পুলিশ দরদী মিঃ জিলাপী আমি কল করার দেড় ঘন্টা পর পুলিশ আসিয়াছিলো। ততক্ষনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সোসাইটির লোকজনের সহায়তায়। দরদী পুলিশের আশায় থাকলে এতক্ষণে কবরে থাকতে হত কিনা কে জানে?:(


যাইহোক অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছি । এবার থামি।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪

আনিসুর র বলেছেন: আপনার স্বামী ব্যাটাতো লোকটা ভালানা। এমনদিনে কেউ এমন কাজ করে। চোরগুলার সারা বৎসরটাই খারাপ যাবে। আর আপনার স্বামীরও। চুরি ডাকাতি দেশে না হেলেতো উকিল পুলিশদের পথে বসতে হবে। আপনার স্বামীর উচিৎ ছিল চোরদের সাহায্য করা। হাঃ হাঃ হাঃ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৫

শায়মা বলেছেন: হা হা হা ঠিকি বলেছেন।

সে তো নিজেই উকিল। চোরগুলোকে ধরে তার উচিৎ ছিলো আবার তাদেরই মামলা গ্রহন করা। :P

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বাপরে, আপুনি! তোমারতো অনেক সাহস!! আমি হলেতো তখনই অক্কা পেতাম আর তা না হলেও ফিট খেতাম। বড় বাঁচা বেঁচে গেছো, আল্লাহর রহমতে।

নতুন বছর ভাল হোক আপুনি, যত আপদ-বিপদ দূর হয়ে যাক।

পান্তা বুড়ির বোনাস গল্পটার জন্য অনেক অনেক ধইন্যা।
ভাল থেকো।:)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৭

শায়মা বলেছেন: আমারও মর মর ফিটাফিটি অবস্থা ছিলো। এমন পরিস্থিতি সামনে জীবনে ভাবতে পারিনি।


তোমাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা সমুদ্র কন্যা। ইদানীং একটু ব্যাস্ত আছি। তারপর দুদিন ধরে ভীষন ক্লান্ত।


১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪১

সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার এই শিবের গীত কিন্তু আমার দারুন লেগেছে।
আহারে পান্তা বুড়ি!!! আমারও খুব প্রিয় গল্প এটি। :)

কিন্তু তারপরের গল্প তো ভয়াবহ। #:-S
ভাগ্যি! শায়মামনির উকিল বরটা পাশে ছিলো।
আর রাত জেগে মোটা মোটা ওকালতি বই পড়ছিলো।
নাহলে কি অবস্থা হতো কে যানে।
যাক! আল্লাহ'র লাখো শুকরিয়া, যে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।

আমি চোর ডাকাত কোন কিছুই ভয় পাইনা। শুধু সাপ আর
জোঁক ছাড়া। আমার কারনেও কয়েকবার চোর বেচারা চুরি
ছেড়ে নিজের জান নিয়ে ভেগেছে। পরে একসময় ঐ গল্প
করবো। অনেক করে ভালো থেকো।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১০

শায়মা বলেছেন: হা হা হা

ভাগ্যে উকিল ছিলো আমার সনে


নাহলে কি হতো কেবা জানে ? :P



আপু তুমি বললে,"আমি চোর ডাকাত কোন কিছুই ভয় পাইনা। শুধু সাপ আর
জোঁক ছাড়া। আমার কারনেও কয়েকবার চোর বেচারা চুরি
ছেড়ে নিজের জান নিয়ে ভেগেছে। পরে একসময় ঐ গল্প
করবো। অনেক করে ভালো থেকো।"

তাড়াতাড়ি বলো । প্লিজ প্লিজ প্লিজ । শিখে রাখি সব। ভবিষ্যতে আল্লাহ না করুন তবু যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়ি কাজে দেবে।

১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন:
পেট ভারী তার সাথে বিদ্যুৎ মামার উৎপাতে পড়া হলোনা:(

মজা হয়েছে অনেক পোষ্টে চোখ রেখে বোঝা গেছে:)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৫

শায়মা বলেছেন: :)


মজার নাকি জানিনা। তবে মজা করেই শুরু করেছিলাম শেষটা হলো ভয় আর দুঃখ দিয়ে।

১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০১

করবি বলেছেন:
বড় বাঁচা বেঁচে গেলেন এই যাত্রায়---------
লাখো শুকরিয়া!


১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৩

শায়মা বলেছেন: সেই আপু খোদার কাছে লাখো শুকরিয়া।

আমার সেই আতংক এখনও কাঁটেনি। লোকজন আসার পর যখন দেখি বারান্দায় গ্রীল কাঁটা। জানালার কাঁচ ভাঙ্গা। নেট কাটা । চারিদিকে পায়ের ছাপ সবকিছু মিলে কি ভয়াব হ । বলে বুঝাতে পারবোনা।

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৯

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: গরীবের চিন্তার দৌড় তো তুমি জানোই। রাগ করো ক্যান?

আচ্ছা, ডাকাত কি ডাকাতি করতে এসেছিল? ;)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১১

শায়মা বলেছেন: তো কি জিলাপী খাইতে আসছিলো মনে হয় তোমার?

১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৪

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ধুর, আমি জিগাইছি কি ডাকাতি (কোন জিনিস) করতে আসছিল?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৬

শায়মা বলেছেন: তার আমি কি জানি?

২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৭

স্বপ্নকথক বলেছেন: আল্লা! কি দিন গেছে আপু!!! তুমার বীরপুরুষরে ধইন্যা। সেই তো রাজকন্যাকে বাঁচালো!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৯

শায়মা বলেছেন: হা হা

ঠিক বলেছেন সেদিনের পুরা ক্রেডিটের ৯৯% তার ছিলো আর ১% ভাগ্যের জোর ছিলো। আর সাথে ছিলো আল্লাহর রহমত।

২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৫

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: স্বপ্নকথক বলেছেন: আল্লা! কি দিন গেছে আপু!!! তুমার বীরপুরুষরে ধইন্যা। সেই তো রাজকন্যাকে বাঁচালো!!

বুঝছি এইবার, ডাকাতরা কি জন্য আইছিল!! ;)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৮

শায়মা বলেছেন: হায় খোদা! কি বলে এই আস্তা পাগলে? :-*

২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৫

স্বপ্নকথক বলেছেন: তুমার লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে। বাঙালী গৃহবধুর মনের কথা জানার সুযোগ এদেশের মানুষের খুব কমই হয়। তারপর আবার তোমার লেখার হাত ভালো। তোমার লেখাগুলো পড়লে মনে হয়, এদেশের নরম-দরম এক শান্ত, ইক্টু দুষ্টু এক মেয়ে তার মনের কথাগুলো অর্গল খুলে আপনমনে বলে যাচ্ছে। এই অনুভূতি টুকুই অনেক আপন।

লেখা যেন বন্ধ করোনা!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৬

শায়মা বলেছেন: এমন সব কমপ্লিমেন্টে কিন্তু লজ্জায় মাটি দুভাগ করে ঢুকে যাই। তবে খুশী হই অনেক অনেক। :P

২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১০

সপ্তর্ষী বলেছেন: যাক বাবা বড় বাঁচা বেঁচে গেছ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২১

শায়মা বলেছেন: সে কথা বলতে?

পরম করুণাময়ের কাছে লাখ লাখ কোটী কোটী শোকরানা। :(

২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২৭

মেহেরুবা বলেছেন: আমার বীরপুরুষটাও এমন নিশাচর! আর আমি একটা ঘুমকাতুরে ভীতুর ডিম!!

বড় বাঁচা বেচেছেন আপু!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৩

শায়মা বলেছেন: নিশাচর বলে আর অপবাদ দিয়েন না আপু। দেখলেন তো নিশাচর মানেই বিনে পয়সার নাইট গার্ডও। :P

বেতনভুক নৈশপ্রহরীরা যা পারেনি নিশাচর ব্যাক্তি অবলীলায় তা পেরেছেন।

২৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি দারুন লেখেন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩

শায়মা বলেছেন: :P


লজ্জা পেলাম কিন্তু।

২৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫১

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: আমার কিছু বৈশাখী প্যাচা- শায়মা

পুরো ঘটনাই পান্তাবুড়ি,

এই মুহুর্তে ঘটনাটি বিশ্বাস করার সংযোগ দিতে পারলামনা বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত,অনুগ্রহ পূর্বক এর পরের পো্ষ্টে শিরোনাম পরিবর্তন পর চেষ্টা করুন,

আপনাকে ধন্যবাদ :P

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭

শায়মা বলেছেন: আমার কিছু বৈশাখী প্যাচা- শায়মা


বুঝলাম না। :( আমার শিরোনাম বদলে কি এই শিরোনাম দিতে হবে?

তবে ঘটনা বিশ্বাস না করায় একটা কথায়ই মনে পড়লো ,

কাদম্বীনি মরিয়া প্রমান করিলো যে সে মরে নাই।

এখন আমি মরে গেলেও তো প্রমান করতে পারবোনা এখানে ঘটনার সত্যতা। তবে জিডি নং বা বাড়ির ঠিকানা দিলে প্রমান হাতে নাতে পাইবেন। :P


২৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫২

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ভীতিকর অভিজ্ঞতা!
আজকাল ডাকাতদের বুকে একটুও দয়া মায়া নাই!
বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন!!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯

শায়মা বলেছেন: :(


ঠিক বলেছেন
বড় বাঁচা না। বড়র বড় বাঁচা বেঁচেছি। ঐ সব আলো বা জানালার পর্দা সরে ভেতরে মানুষের প্রবেশ এই সব হাজার মাইল দূর থেকে দেখলেই আমার যে কি হত সেটাই ভাবছি। :(

২৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫৭

হায় ঈশ্বর! বলেছেন: দিলাম একটা প্লাস , সুযোগ থাকলে আরো একটা দিতাম .

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪০

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ঈশ্বর।

২৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: মেহেরুবা বলেছেন: আমার বীরপুরুষটাও এমন নিশাচর! আর আমি একটা ঘুমকাতুরে ভীতুর ডিম!!!

আর আমার বেলায় ঘটনা ঠিক তার উলটো। :) :P :)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪২

শায়মা বলেছেন: হা হা হা তুমি নিশাচরী, বীর মহিলা। :)

৩০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩

ফেরারী... বলেছেন: লেখার হাতটা দারুণ!!!

বীরপুরুষকে ধইন্যা। সেই তো রাজকন্যাকে বাঁচালো!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

শায়মা বলেছেন: :)


অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৩১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩০

কথক পলাশ বলেছেন: হুমম। ডাকাতবৈশাখীর কবল থেকে রাজকন্যাকে উদ্ধার করলেন রাজপুত্র।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

শায়মা বলেছেন: :P


সেকথা কি আর বলতে? :!>

৩২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২

জুন বলেছেন: আপনি তো অনেক সাহস করে ফোন করেছেন। আমি একবার মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখি একটা চোর জানালা দিয়ে মাথার কাছ থেকে সিডি প্লেয়ারটা নেয়ার চেষ্টা করছে।ওটা নিয়ে চলে না যাওয়া পর্যন্ত আমার গলা থেকে একটা শব্দ ও বের হলোনা।
সেই গান টার মতঃ
'চেয়ে চেয়ে দেখলাম তুমি চলে গ্যালে
আমার বলার কিছু ছিলনা, না গো'।
যাক বেচে গ্যাছেন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা



আমি দেখলেও এই একি অবস্থা হতো। সে ব্যপারে আমিও কম নিশ্চিৎ নহি।

৩৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৩

কাব্য বলেছেন: ও মাই গড !! কত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।থ্যাংকস গড :)


ভাইয়া যে বীরপুরুষের মতো কাজ করেছেন এতে এক্টুও বিস্মিত হইনি :|:|!! সব ছেলেরাই বীর পুরুষ :-0 (কলার ঝাঁকানোর ইমো)।আর স্ত্রীদের চোখে স্বামীরা তো দশ কদম এগিয়ে ;) B-):P। ভীতু স্ত্রীরা স্বামীদের বীরত্বের মাঝে ক্ষণিক বাগড়া দেয় X(

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৬

শায়মা বলেছেন: বীরপুরুষ কাব্য বাবু। :P

৩৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৪৮

সামিউর বলেছেন: বড় বিলাই বলেছেন: ভয়াবহ ঘটনা। তাও ভালো যে আপনাদের উপর হামলা করেনি।

কাব্য বলেছেন: ও মাই গড !! কত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।থ্যাংকস গড :)


ভাইয়া যে বীরপুরুষের মতো কাজ করেছেন এতে এক্টুও বিস্মিত হইনি :|:|!! সব ছেলেরাই বীর পুরুষ :-0 (কলার ঝাঁকানোর ইমো)।আর স্ত্রীদের চোখে স্বামীরা তো দশ কদম এগিয়ে ;) B-):P। ভীতু স্ত্রীরা স্বামীদের বীরত্বের মাঝে ক্ষণিক বাগড়া দেয় X(

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০০

শায়মা বলেছেন: :(

যত বড় বীর পুরুষই থাকুক সেই রাতের কথা মনে হলেই আমার ...........:( :( :(

৩৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:০৮

কাব্য বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, প্রতিবারের মতো এবারো আমার পহেলা বৈশাখ খুব ভালো কেটেছে :)। সকাল ১১:০০টায় ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে, বাসায় কথা বলতে বলতে গোসলের সময় হইলো।গোসল শেষ কইরা মনে পড়ছে, বুয়ারে দুপুরে আসতে কইতে ভুইল্ল্যা গেছিগা।তারে আর ফুনাইয়া ডিস্টার্ব দিলাম নাহ।

ফ্রীজে ইলিশ মাছ পড়ে রইলো, খিচুড়ী রান্নার জন্য বাসমতি চাল পড়ে রইলো রান্নাঘরে--> শুধু মাত্র রাঁধুনীর অভাবে :(( ! দুপুরে না খেয়ে ঘুম দিয়া বিকালে উইঠ্যা লবীতে গিয়া বসলাম।ও মা চারিদিকে শুধু লালসাদা শাড়ীতে ললনারা দিগ্বীদিক ছুটে চলেছে 8-|।যদিও দশতলার উপ্রে থেইক্ক্যা ললনাদের পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে (:P B-)) দেখতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল তবুও মনে মনে যপতে লাগলাম,"কষ্ট করিলেইতো কেষ্ঠ মেলে" :D :-/
এভাবেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো, আমার অক্ষিগোলকের সামনে কালো অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখলোনা :(।নববর্ষও সুন্দরভাবে শেষ হইয়া গেলো

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৭

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা


অনেক ভালো কেটেছে নববর্ষের প্রথম দিনটি দেখা যাচ্ছে। :)

৩৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০০

শিরীষ বলেছেন:
মিশ্র অভিজ্ঞতা! সত্যি চমকে ওঠার মত। যাক, অঘটন টি যে ঘটেনি তাতেই স্বস্তি পাচ্ছি। ভাল থাকবেন সর্বদা। শুভ ১৪১৭।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: শুভ ১৪১৭ ।

তবে কতক্ষণ ভালো থাকি জানিনা। সব সময় আতংকে আছি।:(

৩৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০০

একরামুল হক শামীম বলেছেন: লেখা পইড়া হুমাইলাম।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১২

শায়মা বলেছেন: :P

আর আমি ভেঙ্গাইলাম,।

৩৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৯

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: শায়মা আপনার জীবনে সব চেয়ে বড় অর্জন হলো আপনি প্রচন্ড রকমের কল্পনা বিলাষী,আশ্চর্য্য রকম ভাবে কল্পনা কে বাস্তব-জীবন দিতে পারেন।ইটস গড গিফ্ট।
আমার ধারনা আপনি কল্পনা দিয়ে পৃথিবী গড়তে পারবেন।
এটাকে ঠিক মিথ্যা বলা যায়না, এটাও এক ধরনের শিল্প :P

আমি আপনার এই শৈল্পিক ক্ষমতাকে শ্রদ্ধা করি।

এগিয়ে যান।

(বানান ঠিক আছে?)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৮

শায়মা বলেছেন: :(

বুঝলাম না। কোনটাকে কল্পনা বলছেন রাজামশায়?


পান্তা ইলিশ খাওয়াটাকে?
ঘুরে বেড়ানোটাকে?
নাকি ডাকাত কাহিনীকে?


আমার ধারনা আপনার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছেনা যে এটা সত্যি। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও এই ঘটনা এক চরম সত্যি। যদিও জানমালের কোনো ক্ষতি তেমন হয়নি। জানালা দরজার মেরামত ছাড়া। কিন্তু আতংক এখনও কাঁটেনি।

কাল সারারাত ঘুমাইনি। মনে হয় এই বুঝি আবার এলো। :P

তবে আপনাকে বিশ্বাস করাবার কিছুই নেই আমার। আর এছাড়া আপনি যদি নাও বিশ্বাস করেন আমি মাইন্ড তো করবোই না বরং মজা পাবো একটু।

জীবনের সব দুঃখ কষ্ট আনন্দ, ভয় ভীতি ও বেদনার মাঝে আনন্দটুকু ছেকে তোলা এটাও আমার এক বড় অর্জন সম্রাট।

৩৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৫১

ছোট সরকার বলেছেন: +2

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০১

শায়মা বলেছেন: :)

৪০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০৪

মে ঘ দূ ত বলেছেন: উরিব্বাস্‌। আপনার স্বামীতো সাক্ষাৎ বীরপুরুষ। নির্ঘাত উকিল মানুষ বলেই হয়তো চিটপটাং খাননি। আপনি যে ভীতু সেটি স্বীকার করে নিয়ে ভালো করেছেন :P

শেষের ঘটানাটা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলে সারাদিনের নানান সুন্দর মুহুর্তগুলোয় না হয় স্মৃতির সিন্দুকে রেখে দিলেন।

...

ছেলেবেলার হারিকেনের আলোতে গল্প শোনার মুহুর্তগুলো মনে করিয়ে দিলেন। আসলেই এই যুগের শিশুরা সেই নির্মল আনন্দগুলো থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। রবি ঠাকুরের একটা গল্প মনে পড়ে গেল। তিনি লিখে গিয়েছেলেন শত বছর আগের শ্রোতাদের নিয়ে। সেই গল্পের কিছুটা তুলে দেওয়ার লোভটা সংবরণ করতে পারলাম না -

“এক যে ছিল রাজা।
তখন ইহার বেশি কিছু জানিবার আবশ্যক ছিল না। কোথাকার রাজা, রাজার নাম কী, এ সকল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া গল্পের প্রবাহ রোধ করিতাম না। রাজার নাম শিলাদিত্য কি শালিবাহন, কাশী কাঞ্চি কনোজ কোশল অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গের মধ্যে ঠিক কোন্‌খানটিতে তাঁহার রাজত্ব, এ-সকল ইতিহাস ভূগোলের তর্ক আমাদের কাছে নিতান্তই তুচ্ছ ছিল; আসল যে কথাটি শুনিলে অন্তর পুলকিত হইয়া উঠিত এবং সমস্ত হৃদয় এক মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুদ্বেগে চুম্বকের মতো আকৃষ্ট হইত সেটি হইতেছে -এক যে ছিল রাজা।

এখনকার পাঠক যেন একেবারে কোমর বাঁধিয়া বসে। গোড়াতেই ধরিয়া লয়, লেখক মিথ্যা কথা বলিতেছে। সেই জন্য অত্যন্ত সেয়ানার মতো মুখ করিয়া জিজ্ঞাসা করে, “লেখকমহাশয়, তুমি যে বলিতেছ এক যে ছিল রাজা, আচ্ছা বলো দেখি কে ছিল সেই রাজা।”

লেখকেরাও সেয়ানা হইয়া উঠিয়াছে; তাহারা প্রকাণ্ড প্রত্বতত্ত্ব-পণ্ডিতের মতো মুখমণ্ডল চতুর্গুণ মণ্ডলাকার করিয়া বলে, “এক যে ছিল রাজা, তাহার নাম ছিল অজাতশত্রু।”
পাঠক চোখ টিপিয়া জিজ্ঞাসা করে “অজাতশত্রু! ভালো, কোন্ অজাতশত্রু বলো দেখি।”

লেখক অবিচলিত মুখভাব ধারণ করিয়া বলিয়া যায়, “অজাতশত্রু ছিল তিনজন। একজন খৃস্টজন্মের তিন সহস্র বৎসর পূর্বে জন্মগ্রহণ করিয়া দুই বৎসর আট মাস বয়ঃক্রমকালে মৃত্যুমুখে পতিত হন। দুঃখের বিষয়, তাঁহার জীবনের বিস্তারিত বিবরণ কোনো গ্রন্থেই পাওয়া যায় না।” অবশেষে দ্বিতীয় অজাতশত্রু সম্বন্ধে দশজন ঐতিহাসিকের দশ বিভিন্ন মত সমালোচনা শেষ করিয়া যখন গ্রন্থের নায়ক তৃতীয় অজাতশত্রু পর্যন্ত আসিয়া পৌঁছায় তখন পাঠক বলিয়া উঠে, “ওরে বাস রে, কী পাণ্ডিত্য। এক গল্প শুনিতে আসিয়া কত শিক্ষাই হইল। এই লোকটাকে আর অবিশ্বাস করা যাইতে পারে না। আচ্ছা লেখকমহাশয়, তার পরে কী হইল।” হায় রে হায়, মানুষ ঠকিতেই চায়, ঠকিতেই ভালোবাসে, অথচ পাছে কেহ নির্বোধ মনে করে এ ভয়টুকুও ষোলো আনা আছে। এইজন্য প্রাণপণে সেয়ানা হইবার চেষ্টা করে। তাহার ফল হয় এই যে, সেই শেষকালটা ঠকে, কিন্তু বিস্তর আড়ম্বর করিয়া ঠকে।

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, ‘প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়ো না, তাহা হইলে মিথ্যা জবাব শুনিতে হইবে না।’ বালক সেইটি বোঝে, সে কোনো প্রশ্ন করে না। এইজন্য রূপকথার সুন্দর মিথ্যাটুকু শিশুর মতো উলঙ্গ, সত্যের মতো সরল, সদ্য-উৎসারিত উৎসের মতো স্বচ্ছ ; আর এখনকার দিনের সুচতুর মিথ্যা মুখোশ-পরা মিথ্যা। কোথাও যদি তিলমাত্র ছিদ্র থাকে অমনি ভিতর হইতে সমস্ত ফাঁকি ধরা পড়ে, পাঠক বিমুখ হয়, লেখক পালাইবার পথ পায় না।

শিশুকালে আমরা যথার্থ রসজ্ঞ ছিলাম, এইজন্য যখন গল্প শুনিতে বসিয়াছি তখন জ্ঞানলাভ করিবার জন্য আমাদের তিলমাত্র আগ্রহ উপস্থিত হইত না এবং অশিতি সরল হৃদয়টি ঠিক বুঝিত আসল কথাটা কোন্‌টুকু। আর এখনকার দিনে এত বাহুল্য কথাও বকিতে হয়, এত অনাবশ্যক কথারও আবশ্যক হইয়া পড়ে। কিন্তু সর্বশেষে সেই আসল কথাটিতে গিয়া দাঁড়ায় – এক যে ছিল রাজা। “

১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১২

শায়মা বলেছেন: বাহ। রবিঠাকুর এই মনের কথাটি বলে গেছেন এতো আমি জানিনা।

অনেক ধন্যবাদ মেঘদূত।

৪১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৪

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন:
তবে আপনাকে বিশ্বাস করাবার কিছুই নেই আমার। আর এছাড়া আপনি যদি নাও বিশ্বাস করেন আমি মাইন্ড তো করবোই না বরং মজা পাবো একটু।

কথাটা ঠিক কোন অর্থে বললেন তা বুঝে উঠা গেলোনা শেষ পর্যন্ত, তবে এটা সত্য একজন সাধারন পাঠক আর মন্তব্য কারি হিসাবে আমার বিশ্বাস করা না করায় কোন গুনবতি লেখকের কিছু যায় আসার কথা যে নয় সেটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি।

শেষ বলি - পাঠক সমালোচক হলে লেখকেরই মংগল।
আমি না হয় অবিশ্বাসীই থাকলাম।

(বানান ঠিক আছে?)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৯

শায়মা বলেছেন: আপনি ডাকাত কাহিনীকে ঠিক বিশ্বাস করছিলেন না । আর এটাও ঠিক বিশ্বাস করানোর জন্য আমি রবিঠাকুরের কাদম্বিনী হয়ে মরিয়া প্রমান করিতে পারিবোনা যে আমি আসলেই মরি নাই। :P

মানে ডাকাত কাহিনী বিশ্বাস করানোর জন্য আপনাকে কোনো রকম প্রমান দেবার উপায় আমার নেই। আমি শুধু আমার এবছরের পহেলা বৈশাখের আনন্দমধুর তবে শেষ পর্যন্ত দুঃসহ স্মৃতিটুকুই বর্ণনা বা শেয়ার করতে চেয়েছিলাম।:):(

আমি নিজেকে গুনবতী লেখক মনে করিনা। তবে আমি গল্পবাজ বা গল্পপটু বলতে পারেন। বিশেষ করে খোকাভাই তো ছিলো আমার মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা। :P

সে যাই হোক কিসে মঙ্গল অমঙ্গল সে সবও বেশী চিন্তা করিনা। এ জীবনে সামনে যা কিছু আসে তাই দু হাত পেতে নেই বিধাতার আশীর্বাদ হিসেবে।:)


অ টঃ তিনটা বানান ভুল আছে। তবে ঠিক করে দেবোনা। নিজের কাজ নিজে করুন। :P

বা খুঁজে বের করুন কোন তিনটা। এটা আপনার আজকের হোম ওয়ার্ক।:)

৪২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৭

ধীরে বৎস বলেছেন: শায়মাপু,সাংঘাতিক বাঁচা বেঁচে গেছেন। সীমানা দেয়ালের উপর কাঁচ পেস্ট করেন তাড়াতাড়ি, তাহলে এটলিস্ট দাড়োয়ানগুলো আগে টের পাবে। আর সিকিউরিটি বাড়ান, পারলে কুকুর পোষেন (জার্মান শেফার্ড অথবা ডোবারম্যান অথবা থাই রিজব্যাক)।

আর আপনি এতকিছুর পরে পান্তা বুড়ির গল্প দিয়ে ব্লগ শুরু করছেন !! আপনার সাহসও কম মনে হচ্ছে না। ডাকাতদের ভাগ্য ভাল যে ভেতরে ঢোকে নাই, ঢুকলে দুই সাহসীর খপ্পরে ওদের খবর ছিল...

অটঃ আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনার ঘরে শিং মাছ আছে :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২৪

শায়মা বলেছেন: সে ঠিক বলেছো বড় বাঁচা শুধু না, বড়র বড় বাঁচা বেঁচেছি সে আমি আগেই বলেছি। আর দেওয়ালে কাঁচ পেসট করা আছে ওটার উপর বসতা ফেলে চলে এসেছিলো। আর দেওয়ালের ধারে একগাদা ভুতের মত দেবদারু গাছ ওসবের মধ্যে ভুত লুকিয়ে থাকলেও দেখা সম্ভব না। এমনিতেই গাছ গুলোকে আমার ভুত ভুত লাগে। :(

সিকিউরিটি ৪ গুণ বাড়ানো হয়েছে তবে এই দু'রাত আমার ঘুম হারাম হয়ে নিজেই সিকিউরিটি গার্ড হয়ে গেছি।:)

আর কুকুর? সে এক বিরাত ইতিহাস। :( আরেকদিন শোনাবো। :(:(:(

আর এতকিছুর পর আসলে পান্তাবুড়ির গল্প দিয়ে শুরু করিনি । পান্তাবুড়ির গল্প দিয়ে শুরু করেছিলাম আগেই মানে যেদিন রাতে চোরডাকাতগুলো বাড়ির আশেপাশে সিঁধ কাটার পায়তারা কষছিলো তখন আমি পান্তাবুড়ির গল্পটা লেখা শুরু করেছিলাম। সারাদিন ভীষন ক্লান্ত থাকায় অর্ধেক লিখেই ঘুমাতে গিয়েছিলাম। আর তারি মাঝেই এতসব কান্ড। :(

হা হা হা ঠিক ধরেছো এ্যকুরিয়ামে শিং মাছের মত কি যেন একটা শয়তান মাছ আছে। তবে এবার থেকে রাতে শোবার আগে সেটাকে দরজার সামনে রেখে ঘুমাবো।:P

৪৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৭

স্তব্ধতা' বলেছেন: বিলম্বিত নববর্ষের শুভেচ্ছা।আশা করি ঝামেলা এতদিনে মিটে গেছে।পান্তাবুড়ির গল্পটা যে কেনো শোনালেন...মনটাই খারাপ হয়ে গেল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬

শায়মা বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা স্তব্ধতা।
ঝামেলা মিটেনি। সারাবাড়িতে নিরাপত্তা বাড়াবার কাজ চলছে। গ্রীল, তারকাঁটা, ফ্লাড লাইট। :(


পান্তাবুড়ির গল্প শুনে কেনো মন খারাপ হলো? ছেলেবেলার কথা মনে পড়লো?

৪৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২৯

একরামুল হক শামীম বলেছেন: :P

আমিও ভেঙ্গাইতে পারি :#)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭

শায়মা বলেছেন: ঘুমের মাঝে? :P

৪৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: হায়! হায়! শেষে এসে এ কি শোনালেন? ভাবতে অবাক লাগে, এখনো এমন হয়!

লেখা ভাল লেগেছে, বর্ণনা শৈলি। পান্তা ভাতের গল্প শুনতে সেকালের বাচ্চা, একালের বাচ্চা... ভাল লেগেছে, যে দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে আপনার।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

শায়মা বলেছেন: শেষে এসেই ডুবি ডুবি মানে ভরাডুবির হাত থেকে রেহাই পেয়েছি ভাই। তবুও আতংক কাটেনি। :(



আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।

৪৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:০০

সায়েম মুন বলেছেন:
যাক এবার তাহলে পুরোটা পড়া হলো। প্রথম দিকে ভালই মজার কাহিনী --বিশেষ করে পান্তাবুড়ীর গল্পটা। শেষে এসে একটু হোঁচট খেলাম।

অট. সাত মসজীদ রোডের কড়াই গোস্ত এর উপর একটা পোষ্ট দেখলাম। পোষ্টখানা দেখে কড়াই গোস্ত খাওয়ার শখ মিটে গেছে! গোস্ত পরিস্কার করছে টয়লেটে এরকম ছবিযুক্ত পোষ্ট! লিংকটা দিতে পারলাম না:(

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

শায়মা বলেছেন: ইয়াক ইয়াক! কি মনে করাইলেন এইটা? মনে পড়ছে। বার বার ভুলে যাই। বেহাইয়ার মত ঐ সব বাইরের ছাইপাশ খেতে ছুটি।:(



তবে এবারের প হেলা বৈশাখ আমার হরিষে বিষাদ বয়ে এনেছিলো।:(

তবুও আল্লাহর অশেষ রহম।

৪৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৫১

আট আনা বলেছেন: আপনার লেখার হাত অনেক ভালো। একদম ঝরঝরে বর্ণনা। অনেকককক দিন পর শুনলাম শিংমাছওলা পান্তাবুড়ির গল্প, ভুলেই গেছিলাম ওটা। কড়াই গোস্ত তো চিনি, রাস্তার পাশেই দোতলায় না? তবে যাওয়া হয়নি। :)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাই লেখার প্রশংসার জন্য।

আমার কাছে আছে ঠাকুমার ঝুলি যখন যেটা শুনতে মন চাইবে আমাকে বলবেন আমি শুনিয়ে দেবো। :)

৪৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৮

ধূসর সপ্ন বলেছেন: তাহলে তো দিদি সারা বছর আপনার এভাবেই ভিতির মধ্যদিয়ে বছরটা পার করতে হবে !

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯

শায়মা বলেছেন: :(

সেটাই তো মনে হচ্ছে ভাই। এই দু'রাত ভোরের আলো না ফুটে ওঠা পর্যন্ত ঘুমাইনি একেবারেই। :(


বেশ কিছু দিন এভাবেই যাবে সে বেশ বুঝতে পারছি। :(

৪৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২১

প্রতীক্ষা বলেছেন: ইশ অনেক সুইট লিখা!! থিফ আসায় খুশি হইছি! নাইলে এত্ত সুইট লিখা পেতাম না :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: X( X(( X(

প্রতীক্ষা বলেছেন: ইশ অনেক সুইট লিখা!! থিফ আসায় খুশি হইছি! নাইলে এত্ত সুইট লিখা পেতাম না

X( X(( X( X( X(( X( X( X(( X( X( X(( X(


কেনো থিফ আসার আগেরটুকু পর্যন্ত বুঝি সুইট লেখা না? X( X(( X( X( X(( X( X( X(( X( X( X(( X(

আর রাতটুকুর কারনে যে আমার পুরো বছরটাই মাটি মাটি লাগছে সে বুঝি খুব ভালো কথা? X( X(( X( X( X(( X( X( X(( X( X( X(( X(

৫০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

রাজসোহান বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) ভুই পাইসি :-/ :-/ :-/ :-/ :-/ :-/

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪

শায়মা বলেছেন: আমিও। :-/ :-/ :-/ :-/ #:-S #:-S #:-S #:-S

৫১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫

প্রতীক্ষা বলেছেন: ইশ! স্যরি! :#>

রাগলে না তোমাকে পচা লাগে! :P

থিফ আসার পরের লিখাটা বেশি কিউট হইছে! আর থিফের ছবিটা এমন কিউট যে আমার ইচ্ছে হইছে
নিজেই থিফ হয়ে যাই!! :!> :!>

আর দেখ না সবাই কিন্তু মন্তব্য পরের অংশ টুকু নিয়েই বেশি করছে!! :P


এনিওয়ে তুমি যা লিখ তাই সুইট হয় বুঝছো!!
তুমি হচ্ছ সুইট সুইট সুইইইটট একটা আপু! :) :)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০২

শায়মা বলেছেন: :P

৫২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২০

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমার কিন্তু তোমার ঐ বসে থাকা ছবিটাই বেশী ভালো লাগছে।
কি মিষ্টি যে লাগছে তোমায়, মনে হচ্ছে আদর করে দেই। :)
ছবিটা দেখার জন্য বারবার তোমার বাড়ি ঘুরে আসছি।

ছুইট শায়লামনি। :P :P :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

শায়মা বলেছেন: হা হা হা

শায়লা না শায়মা ।:(

তবে আসমা আব্বাসী উনি আমাকে শায়লা বলেই ডাকেন। শায়মা নামে নাকি উনি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।:(

৫৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: গ্রেট মিসটেক!!! :P আসমা আব্বাসী কি তোমার কেউ হন?
উনার নানার বাড়ির পাশেই আমরা ছিলাম ১৯৭২ পর্যন্ত।
আর উনার মামুদের ফুলগাছ চুরি করে আমার বাগানের শ্রীবৃদ্ধি
করেছি অনেক। অবশ্য এ কথা আমার স্মৃতি ৭১ এ স্বীকার করেছি। তাই বোধহয় ওটা আর চুরির পর্যায়ে পড়েনা। তাইনা?
তুমি আবার উনাকে চুরির কথা বোলোনা যেনো...। :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৩

শায়মা বলেছেন: হা হা হা দাড়াও উনাকে এখুনি ফোন করে বলছি। :P

৫৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫২

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:


প্রীত হইলাম..................
নববর্ষের শুভেচ্ছা -১৪১৭

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪

শায়মা বলেছেন: আপনাকেও জানাই নববর্ষের শুভেচ্ছা ।:)

৫৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৫

সায়েম মুন বলেছেন:
কে জানি মাইনাস দিছে--নিশ্চয়ই ডাকাত দলের কেউ-----খিকজ =p~

অতএব এই সিদ্ধান্তই ভাল যে গোস্ত খেতে ইচ্ছে হলে বাসার কড়াইয়ে রান্না করে খাব!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬

শায়মা বলেছেন: হা হা হা


ডাকাত দলের কেউ মাইনাস দেয়নি। দিয়েছেন বিশিষ্ঠ ছিচকা চোর .......:P


তিনি আরো একটি নিকে আমার প্রতিটি পোস্টেই বিফল মনোরথে মাইনাস দিয়া গিয়াছেন। :)

৫৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪৮

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
হাই শায়মাপু, শুভ নববর্ষ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫১

শায়মা বলেছেন: :) :)

থ্যাংকু থ্যাংকু। :):)

৫৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৯

রাজসোহান বলেছেন: তখন পেলাস দিতে ভুলে গেসিলাম :#) :#) :#)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩১

শায়মা বলেছেন: :)

৫৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

কোর আই সেভেন বলেছেন: খুবই কষ্ট দিলেন। X( ব্লগের বেশিরভাগ লেখাই নাম দেখে পার হয়ে যাই। আপনার লেখা দেখে পড়তে হল। X(( যথারীতি প্লাস তো দিতেই হল, আর ভাল হয়েছে বলার জন্য একটা কমেন্ট!!! X(( X(( আমি খুবই হতাশ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:০৬

শায়মা বলেছেন: সব বুঝলাম। খুশীও হলাম তবে হতাশ কেনো?

বুঝলাম নাতো। :(

৫৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৪

কোর আই সেভেন বলেছেন: কমেন্ট করতে কষ্ট লাগে। কমেন্ট করতে হল তাই হতাশ!!! =p~ =p~ =p~

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৭

শায়মা বলেছেন: হা হা হা আমার কিন্তু মজা লাগে।

৬০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:১৬

অপ্‌সরা বলেছেন: আপুনি অনেক হয়েছে।

এইবার থামো। :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৬

শায়মা বলেছেন: হা হা

ওকে।

সর‌্যি । আর করবোনা। মাইন্ড কইরেন না অপসরা দেবী। :P

৬১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: শায়মামনি চোরের গপ্প দিয়েছি তোমার জন্য। জলদি দেখো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪২

শায়মা বলেছেন: ওকে আপু। দেখছি।:)

৬২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪১

সুরঞ্জনা বলেছেন: শায়মামনি চোরের গপ্প দিয়েছি তোমার জন্য। জলদি দেখো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৩

শায়মা বলেছেন: ওক্কে।

৬৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৫

সকাল রয় বলেছেন:

পান্তাবুড়ি নেমতন্ন রইলো
লেট নেমতন্ন।
কবি ভালো থেকো

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: নেমতন্ন কি পান্তাভাতের?:)

৬৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২৫

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ঘটনা কি? কি হইছে?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৪

শায়মা বলেছেন: :P


কিছু হয়নাই তো।

৬৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৬

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: নো টেনশন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪০

শায়মা বলেছেন: :)

৬৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৩

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: +

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৪

শায়মা বলেছেন: থ্যাংকস। :)

৬৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২৩

সায়েম মুন বলেছেন:
শায়মা আপু একটা কাহিনী শোন!
এবার নববর্ষে একজন আমাকে নেমতন্ন দিয়ে ঠিকানা দেয়নি। তাই পান্তা চুরি করতে গেছিলাম তার ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে। পেয়েও গেলাম তার ঠিকানা। জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকলাম। ওমা ঢুকে দেখি এক পন্ডিত পড়াশুনা করছে। নিশ্চয়ই পরীক্ষায় শুধু ডাব্বা খায়। তানাহলে এত রাত অবধি কেউ পড়াশুনা করে নাকি। এই বেরসিক পন্ডিত আমাকে দেখে ফেলল। পান্তা তো পেলামই না উল্টো ধাওয়া খেলাম X(

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪

শায়মা বলেছেন: হাহাহাহাহা

আহারে! এত দুঃখের কথা জানতাম নাতো।:P

৬৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১২

সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: এই লেখাটাতে দেখি সব কিছুই আছে শায়মা আপু !

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০২

শায়মা বলেছেন: সব আছে ভাই। আনন্দ বেদনা সবই। যেন হরিষে বিষাদের প্রকৃত উদাহরন। :)

৬৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:
চোরের ফটুকটা সুন্দর।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৬

শায়মা বলেছেন: :)

৭০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩৭

আলী প্রাণ বলেছেন: লেখার হাতটা দারুণ! পেকেছে বেশ।
শেষ হয় তবু থেকে যায় রেশ..

ভালো থাকবেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৪৪

শায়মা বলেছেন: :)

থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ
ধন্যবাদ ভাই
প্রশংসাতে আমি আবার
ধন্য হয়ে যাই।


ধন্য হলে আমি করি
উল্টা পাল্টা কাজ
প্রশংসাকারীরা তখন
ঢের পেয়ে যায় লাজ।

৭১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১৫

হাম্বা বলেছেন: এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

(কথাটা আমার না আমাদের স্বরাষ্টমন্ত্রীর)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫

শায়মা বলেছেন: আপনি তার কি হন?

৭২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১

হাম্বা বলেছেন: তিনি আপনাকে আমাকে গরু ছাগলই ভাবেন

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২০

শায়মা বলেছেন: বলেন কি!!!
আমাকেও!!

৭৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৫১

ডিজিটালভূত বলেছেন: এত বড় লেখা দেখে মনে করলাম, না পড়ব না। ভাবলাম, দু চার লাইন পড়ে দেখি না! কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরোটা না পড়ে থামলাম না।
ভাল লিখেছেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৯

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ডিজিটাল ভূত। অনেক খুশী হলাম পড়ার জন্য।

৭৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৬

অজানা এক পথিক বলেছেন: বড় লেখা পড়তে ভাল লাগে না। তবে আপু তোমার আগের লেখা গুলো পড়েছি তাই জানি লেখা ভাল হবে। শেষের ঘটনা তো খুবই ভয়াবহ। তবে ভাল বেচে গেছ এ যাত্রা। আমাদের বাসায়ও একবার কিছুটা এরকম ঘটনা ঘটেছিল। আমার চাচী, ভাই আর বোনকে হাস্পাতালে নিতে হয়েছিল পরে।

এতদিন অফলাইনে তোমার লেখাগুলো পড়েছি কিন্তু কমেন্ট করতে পারী নাই কারন সামু আমাকে লগইন করতে দিচ্ছিল না। আজকেই পারলাম লগইন করতে এক মাস পর।

আর হ্যা তোমার লাখা হাত চমৎকার

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩০

শায়মা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পথিক।

অনেক ভালো লাগলো।

৭৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২৬

টানজিমা বলেছেন: যাক বাবা......তাহলে বুঝতে পারেন নাই, কাজটা কে করেছে!!! :| :| :|

(এ যাত্রায় তাহলে বেচে গেলাম??) :D :D

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫

শায়মা বলেছেন: বাঁচাবাঁচি নাই। কে বলেছে বুঝতে পারি নাই কে করেছে? =p~

৭৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: ফেলুদা হলে ঠিকই চোর গুলো ধরেতে পারতো।
কিন্তু কেউ কেউ তো আবার তাকে দেখতেই পারেনা..........

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪০

শায়মা বলেছেন: ফেলুদা কি দরকার? ভেলুদা কেলুদা মালুদা বা ফালুদা থাকতে? : :P

৭৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০২

পারভেজ বলেছেন: কড়াই গোস্তের কিচেনের ছবির কথা মনে পড়লো :|
জামাইবাবুটি সাহসী বটে!
তবে মাঝরাতে এমন পরিস্থিতিতে আসলেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ার কথা :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২৯

শায়মা বলেছেন: সব কিছু মনে করতে নেই। পূর্নিমার চাঁদ তখন হয়ে যাবে ঝলসানো রুটি। :)

তবে এই যাত্রা বীরপুরুষ জামাইবাবুটির কারনেই রক্ষা পেয়েছি।


আর শুধু কি বাকরদ্ধ? হাত পা রুদ্ধও হয়েছিলাম সেরাতে। :)

৭৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫৯

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: তোমার ব্লগ বাড়ী ঘুরে বেড়াচ্ছি।:) অভিজ্ঞতা চমৎকার। সবচেয়ে মজা লাগলো আমি আজ জানলাম তোমার জামাই উকিল। আগে ভাবতাম দুরন্ত তোমাকে ক্ষ্যাপায়।

আচ্ছা আপি, তোমার পিচ্চি নেই?

১১ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬

শায়মা বলেছেন: এসো এসো আমার বাড়ি এসো আমার বাড়ি ......:)


আমার জামাই উকিল/ ব্যারিস্টার/ ডক্টর/ইন্জিনিয়ার একাধারে সব। সে এক বিরাট পন্ডিৎ ব্যাক্তি।

দুরন্তের তার পান্ডিত্যে হিংসা লাগে তাই খেপায় আপুনি।:P

আর আমার পিচ্চি আছে তবে একটা না দুইটা না,২০টা। :)


এটা একটা ধাঁধা,উত্তর বের করো রিমঝিমমনি।:)

৭৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৫১

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: শায়মা'র বড় ইঞ্জিনিয়ার কাম ডাক্তার কাম ব্যরিস্টার কাম সব.......।
ঘটনা সইত্য। কারন এদেশে সার্টিফিকেট ছাড়া অনেকেই ডাক্তারী করে। নিজেরে ইঞ্জিনিয়ার বলেও অনেকে দাবী করে- কাগজ পত্র ছাড়াই। অনেকে আবার দুই লাইন প্রত্রিকা পইড়াই নিজেরে বিড়াট বড় আইন বিশেষজ্ঞ মনে করে।

সম্ভবত শায়মার বড় এইরাম কিছু একটা হইবো।

শায়মার জইন্যে বড়ই কষ্ট লাগে। বেচারী! নিজের কোন সার্টিফিকেট নেই। আবার বরেরও এই অবস্থা!

@ রিমঝিম বর্ষা

১১ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৫

শায়মা বলেছেন: দুরন্ত স্বপ্নচারী সুকুমার রায় এর বিখ্যাত কবিতা হিংসুটেদের গান পড়েছো? :P

৮০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৫৯

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: =p~ =p~ =p~

১২ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২১

শায়মা বলেছেন: :P

৮১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৩

চতুষ্কোণ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুবি ভালো লিখেন আপনি। ব্লগে স্বাগতম। আশা করছি আপনার লেখা নিয়মিত পাব। আপনার নতুন নতুন সুন্দর সব লেখার অপেক্ষায়...

১২ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩

শায়মা বলেছেন: হা হা হা

মাইর খাবা। :P

৮২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭

ফাহিম আহমদ বলেছেন: জাক্কাশ হইছেরে আপু। আনেক অনেক ধন্যবাদ । যেমন শিরোনাম তেমন ছবি, এবং তেমন গল্প। বাহ্..বাহ্...

১২ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা হা হা

থ্যাংক ইউ ফাহিম ভাইয়া।:)

৮৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৪৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: পিচ্চি বাউলের গানটা শুনার আগ্রহ প্রকাশ করছি।

১৯ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭

শায়মা বলেছেন: পিচ্চিটার ক্যান্সার।:(

পরে শুনেছি।

অনেক মন খারাপ হয়েছিলো শুনে।

৮৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৩৪

মুহম্মদ তুষার খান বলেছেন:

১০ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮

শায়মা বলেছেন: হয়তোবা নেই কিন্তু বাঙ্গালীয়ানায় আছে তো ভাইয়া।

৮৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০৭

ছোট নদী বলেছেন: ;)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: :P

৮৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটার প্রথমাংশে দারুণ মজা পেলাম, আর শেষাংশে এসে এক পান্তাবুড়ীর বাসায় ডাকাত পড়েছে জেনে রোমাঞ্চকর অনুভূতি পেলাম। আপনার বীরপুরুষ স্বামীর পরিচয়ে এবং তার বীরোচিত কর্মকান্ডে স্বস্তি পেলাম।
ঘটনা ঘটার অনেক দিন তো হয়ে গেলো। এর পরেও কি আবার নিশিকুটুম এসেছিলো? শুনেছি, একবার বাড়ী চিনে গেলে নাকি ওরা আসতেই থাকে!
থিফ আসায় খুশি হইছি! নাইলে এত্ত সুইট লিখা পেতাম না -- মন্তব্যটা (৪৯) উপভোগ্য। :)

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

শায়মা বলেছেন: হা হা হা তখন যে কত্ত কিছু লিখতাম ভাইয়া। এই নিয়েও কত্ত কান্ড হয়েছিলো!!!!!!!!!! :P

সমস্যা হলো যাই লিখি মানুষ আমার লাইফেরই পার্ট মনে করে। আমি আমি করে লিখি তাই!!!!!!!!!!!

সে খোকাভাই থেকে শুরু করে স্পর্শিয়া পর্যন্ত!:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.