নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
প্রায়ই রাস্তা-ঘাটে, অফিস-আদালতে, নিজেদের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের মাঝে আমরা একটা অদ্ভুৎ জিনিস আবিষ্কার করে থাকি- তা হলো কেউ কেউ একা একা আনমনে বা নিজের সাথে কথা বলে। একা একা কথা বলা সেসব মানুষকে আমরা প্রায়ই একটু পাগলাটে বা একটু আনমনা বা আত্মভোলা ভেবে থাকি। তবে আমরা অনেকেই জানিনা এই একা একা কথা বলা বা সেল্ফ টক আসলেই কি।
একা একা কথা কিন্তু আমরা মাঝেমধ্যে অনেকেই হঠাৎ বলে ফেলি। রাগে দুঃখে বা ক্ষোভে আমরা অনেক সময় একা একা নিয়তীর সাথেও কথা বলি। রাগে পাগল হয়ে চিৎকারও করে উঠি। এছাড়াও আমরা আমাদের আশেপাশেও অনেক বাচ্চাদেরকে দেখি যারা খেলতে গিয়ে একা একা কথা বলে। খেলনার সাথে বা তার পুতুলের সাথে কথা বলে। এসব খুবই স্বাভাবিক।
কিন্তু এসব ছাড়াও একা একা কথা বলা তখনই সতর্ক সংকেত বয়ে আনে যখন মানুষ সিজোফ্রেনিয়ার মত মানসিক রোগে ভোগে।তাদের কথা গুলোর মধ্যে সামঞ্জস্যতা থাকে না। আমরা অনেক সময়ই এমন টাইপ মানসিক রোগীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনবরত কথা বলতে দেখি। কেউ কেউ ট্রাফিক কন্ট্রোল করেন বা একা একাই বক্তৃতা দেন।
কিন্তু কেনো মানসিক রোগীরা এমন একা একা কথা বলে? আসলে মানসিক রোগীদের এমন একা একা কথা বলার প্রধান কারণ তাদের অডিটরি হ্যালুসিনেশন। অডিটরি হ্যালুসিনেশন হলো অবাস্তব কিছু শুনতে পাওয়া। এমনটা শুনেই আৎকে ওঠার কারণ নেই কারণ অনেক সময়ই স্বাভাবিক মানুষেরাও গভীর চিন্তায় থাকলে বা অসতর্ক থাকলে শুনতে পারেন। এটি অবশ্য শ্রুতি ভ্রম বা হঠাৎ করে শোনার ভুল বা অনেক সময় অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, টেনশন, ডিপ্রেশন, এনজাইটি এসব কারণে হতে পারে। এছাড়াও যারা মদ, গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা এই টাইপের ড্রাগ এডিক্টেড তাদেরও অনেক সময় অডিটরি হ্যালুসিনেশন হয়।
কিন্তু মানসিক রুগীদের ক্ষেত্রে এই অডিটরি হ্যালুসিনেশন মাঝে মধ্যে না অনবরত হতে থাকে। তারা অনবরত শুনতে থাকেন, তাদের কেউ ডাকছে, তাদের সাথে কেউ কথা বলছে, কিংবা তাদের নিয়ে কেউ কিছু বলছে। তাই তারা এসব কথার উত্তর দিতে থাকেন বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নানা রকম উদ্ভট কান্ড কারখানা ঘটায়। এসব উত্তর আর কথাবার্তা সাধারণত অগোছালো এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
যাইহোক রোগীর কানে গায়েবি কথা আসছে। মানে রোগীর হ্যালুসিনেশন ঘটছে। এবং তা অডিটরী হ্যালুসিনেশন। এই হ্যালুসিনেশনের নানা রকম আছে যেমন-
(ক) কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীকে সরাসরি তুমি বা তুই সম্বোধন করে হ্যালুসিনেশন ঘটে থাকে। যেমন তুই শব্দ, তুই ঘরের বাইরে যা, তোর দিন শেষ বা যাও দরজা খুলে দাও.... এ টাইপহ্যালুসিনেশনের নাম সেকেন্ড পারসন হ্যালুসিনেশন।
(খ) কোনো কোনো সময় যেন দুই বা ততধিক লোক রোগীকে নিয়ে আলাপ করছে মনে হয়। রোগীর অবস্থান অনেকটা থার্ড পারসনের মতো। যেমন আর্কিওপটারিক্স একজন পন্ডিৎ ছেলে ওর মজা দেখানো হবে, নিজামউদ্দিন কই গেলো? রাকু হাসান এবার লিখবে এর নাম থার্ড পারসন হ্যালুসিনেশন।
(ঘ) কোনো কোনো ক্ষেত্রে হ্যালুসিনেশনের ধরন আরো মজার। রোগী মনে মনে যা চিন্তা করে সেটিই সে শুনতে পায়। কেউ যেন তার মনের মাঝের চিন্তাগুলোকে শুনিয়ে যাচ্ছে। চিন্তাগুলো কথার মাধ্যমে শোনার মাঝেও নানা রকমফের বিদ্যমান। কেউ কেউ মনে চিন্তা আসার আগেই কানে শুনতে পায়, সেটিই পরক্ষণে চিন্তনে রূপ নেয়। অপর দল চিন্তা সমসাময়িকে শব্দ বাক্যে শুনতে পায়। তৃতীয়পক্ষের বেলাতে প্রথমে চিন্তা মনে আসে। অতঃপর মনের সে সব চিন্তা কেউ যেন সশব্দে উচ্চারণ করে শুনিয়ে দেয়। যেন চিন্তাগুলো মনের মাঝে প্রতিধ্বনিত হতে পারে।
(ঙ) এক ধরনের শ্রবণ হ্যালুসিনেশন গায়েবি আওয়াজের অবস্থান সার্বক্ষণিক। ক্রিকেটের ধারাবিবরণী প্রকাশের মতো করে ব্যক্তি যেন রোগীর কার্যকলাপ বলেই যেতে থাকে। যেমন করিম ভাত খাচ্ছে, ভাতের সাথে সামান্য তরকারি নিল, তার তরকারি ভালো লাগছে না…। এ ধরনের হ্যালুসিনেশনের নাম রানিং কমেন্টারি।
ঠিক এমনটি ঘটতে পারে শ্রবণ ক্ষমতার বেলাতেও। আমাদের শোনার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান। বাংলাদেশে বসে আমেরিকায় কোনো আত্মীয় কথা বলছে তা শোনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। মানসিক রোগে এ অসম্ভব সম্ভব হয়ে যায় মনের মাঝের কোনো এক অজানা প্রক্রিয়ায়। রোগী তার কাছ হতে হাজার মাইল দূরে থাকা কারো কথা শুনতে পায়। এর নাম এক্সট্রা ক্যাম্পেইন অডিটরি হ্যালুসিনেশন।
ফাংশনাল হ্যালুসিনেশন এটি আরেক ধরনের মজার শ্রবণেন্দ্রিয় হ্যালুসিনেশন। কেউ হয়তোবা বাথরুমে গিয়ে পানির ট্যাপ ছাড়ল আর সাথে সাথে কানে গায়েবি আওয়াজ আসতে শুরু করে দিল। মজার ব্যাপার হলো যখনই পানির ট্যাপ বন্ধ করে দেয়া হয় তখন সাথে সাথেই কানের শ্রবণেন্দ্রিয় হ্যালুসিনেশন বন্ধ হয়ে যায়।
যাইহোক হ্যালুসিনেশন কথাটির সাথে মনে হয় অনেকেই পরিচিত তবে হ্যালুসিনেশন বলতে অবাস্তব কিছু দেখা বা শোনাকেই বুঝানো হয়।
হ্যালুসিনেশন অডিও, ভিজুয়াল বা অনেক ধরনের হয় যেমন-
ভিজুয়াল হ্যালুসিনেশন বা দৃষ্টিভ্রম - এই হ্যালুসিনেশনে মানুষ দেখে তার সামনে কারো ছায়া বা জীবন্ত মানুষই যে কথা বলে বা ইশারা করে। অথবা অনেকেই দেখে মৃত প্রিয়জন অথবা অচেনা কাউকেই।
এক্সট্রা ক্যাম্পেইন হ্যালুসিনেশন- দৃষ্টির সীমানার বাইরে কিছু দেখা আবার এক্সট্রা ক্যাম্পেইন হ্যালুসিনেশন। এখানে রোগী দেখে সে পরীস্থানে কোনো পরীর সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে বা টাইটানিক করে ভেসে বেড়াচ্ছে।
রিফ্লেক্স হ্যালুসিনেশন- এটা ইন্টারেস্টিং এক রকম হ্যালুসিনেশন যা হয় মানসিক রোগীদের। রোগী চোখের সামনে লাল নীল রঙ এর আলো ভাসতে দেখে কিংবা তার কানের মধ্যে ভেসে আসে কোনো শব্দ বা মিউজিক। কাজেই রিফ্লেক্স হ্যালুসিনেশন ফাংশনাল হ্যালুসিনেশন থেকেও আরও চমকপ্রদ। এখানে রোগী শুধু কানেই শোনে না, তা চোখেও দেখতে পায়। মানে কানের শ্রবণ উদ্দীপনাতে ভিজ্যুয়াল হ্যালুসিনেশন শুরু হয়ে যায়। গাঁজা বা এলএসডি আসক্তিতেও এটি দেখা যায়।
অটোস্কোপিক হ্যালুসিনেশন- নিজেই নিজের দেহকে সামনে দাঁড়িয়ে দেখতে পাওয়াকে বলে অটোস্কোপিক হ্যালুসিনেশন। আমার লাইফে আমি এমন রোগী দেখেছি। ঘোরতর মানসিক রোগে এমনটা হয়। তবে ডিপ্রেশন, এনজাইটি, মানসিক চাপ, অনিদ্রা এসবেও হেলুসিনেশন হতে পারে।
স্মেল হ্যালুসিনেশন- এটা খুব কম পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ ধরনের হ্যালুসিনেশন হয়। গন্ধের হ্যালুসিনেশন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় মৃগী রোগে। মৃগী রোগীরা খিঁচুনি আসার আগ মুহূর্তে নাকে রাবার পোড়া গন্ধের মতো বিশ্রী গন্ধ পায়। ভাইরাস সংক্রমণ, ব্রেন টিউমার, ব্রেনে আঘাত লাগা বা ব্রেন অপারেশনের ফলে ঘ্রাণের হ্যালুসিনেশন হতে পারে। কোনো কোনো ওষুধ বা রাসায়নিক দ্রব্য ঘ্রাণের হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করতে পারে।
সেন্সেশন হ্যালুসিনেশন - এ ধরনের মানসিক সমস্যায় রোগী অনেক সময় বলে তার স্কিনের ওপর দিয়ে বা নিচ দিয়ে শুয়ো পোকা চলছে। কারো কারো মনে হয় কেউ তাকে ইলেকট্রিক শক দিচ্ছে।
টেস্ট হ্যালুসিনেশন- জিহ্বার হ্যালুসিনেশনে রোগী কোনো এক অজানা জায়গা হতে খাবারের স্বাদ পেয়ে থাকে।
বিষণ্নতা রোগে হ্যালুসিনেশন - আমাদের অনেকেই ভাবি হ্যালুসিনেশন কেবল সিজোফ্রেনিয়ার মতো মারাত্মক সাইকোসিসে ঘটে থাকে কিন্তু তা নয় হ্যালুসিনেশন অন্যান্য অনেক রোগেও ঘটতে পারে। যেমন মৃগীরোগ, বিষন্নতা, হিস্টিরিয়া এমনকি ব্রেন টিউমারের বেলাতেও। বিষন্নতা রোগে মূলত দু’ধরনের হ্যালুসিনেশন ঘটে থাকে। একটি অডিও হ্যালুসিনেশন আর আরেকটি ভিজু্য়াল হ্যালুসিনেশন। কানের হ্যালুসিনেশন প্রায়ই ক্ষেত্রে সেকেন্ড পারসন হ্যালুসিনেশন হয়ে থাকে। কানে কানে কেউ বলে যায় অমুক তারিখে তোর মরন হবে। সামনে তোর মহা বিপদ ইত্যাদি ইত্যাদি।
সিজোফ্রেনিয়া রোগী ও বিষণ্নতা রোগীর মাঝে হ্যালুসিনেশনের পার্থক্য হলো বিষণ্ন রোগী কানে ভেসে আসা কথাগুলোকে একদম যৌক্তিক ধারণা করে মাথা পেতে নেয়। সিজোফ্রেনিয়ার রোগী এগুলো শুনে মেন্টাল ডিস্টার্বড হয়। হ্যালুসিনেশনে রোগি প্রথমদিকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সে ভাবে এমন কেনো হচ্ছে! তাদের চাহনী উদ্ভ্রান্ত ও আতঙ্কিত হয়। অনেকে সামনের লোককে আঘাত পর্যন্ত করতে পারে। কারণ হ্যালুসিনেশনে কানে কোনো আদেশ আসতে থাকে। একে কমান্ড হ্যালুসিনেশন বলে।
ডিমেনসিয়া বা পারকিনসন রোগেও এমন হতে পারে- ডিমেনশিয়া আক্রান্তরা সাধারণত ষাট পঁয়ষট্টি বয়সের উর্ধ্বে হন। তারা প্রায়ই অলিক কথা বলেন। সোজা দোষ দিয়ে দেন আপনজনদের বিরুদ্ধেও। তারা বলে থাকেন কেউ তাকে মেরে ফেলতে চায় বা কেউ তাকে আটকে রাখছে। একে দেখেছেন তাকে দেখছেন এসব। এ এটা বললো, সে ওটা করলো এসবও।
এমন আচরণ দেখে অনেকেই বলে থাকে ভীমরতি রোগে পেয়েছে । তবে ডিমেনসিয়াতে এসব হবার কারণ হ্যালুসিনেশন।
ডিলিউশন বা ভ্রান্ত বিশ্বাস - ডিমেনসিয়া রোগে অনেক সময় ডিলিউশন হয়। রোগী অনেক উলটা পালটা কথা বলেন, আজগুবী কাজকর্ম করেন বসেন, সন্দেহ করেন সবাইকেই।
পারসিকিউটরি ডিলিউসন এর জন্যে ডিমেনসিয়া আক্রান্ত পরিবারের বয়োবৃদ্ধরা অনেক সময় বলেন, তার সকল সম্পত্তি তারই ছেলে মেয়েরা আত্মসাৎ করতে চাচ্ছে, এমন কি তাকে মেরে ফেলতে চাচ্ছেন।
লস অব ইনহিবিশন - নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে অপ্রীতিকর কোন আচরন করাই লস অব ইনহিবিশন। সাধারণত ফ্রন্টো-টেমপোরাল টাইপের ডিমেনসিয়াতে ব্রেইনের ফ্রন্টাল লোব ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এমন হয়।
হ্যালুসিনেওশনের কারণ- অনেক ধরনের মানসিক রোগ বিশেষ করে স্কিজোফ্রেনিয়াতে অনবরত হ্যালুসিনেশন হয় কারন ব্রেইনের ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটারের ইমব্যালেন্সের কারণে। এ নিয়ন্ত্রণে সাইকিয়াট্রিস্টরা ডোপামিন রিসেপ্টর ব্লকার ঔষধ দেন। এ ওষুধ সেবনে অবিশ্বাস্য রকম ভাবে হ্যালুসিনেশন বন্ধ হয়ে যায়। রোগীদের একাএকা কথা বলা কমে আসে। এক সময় সে সাধারণ মানুষের মতই সুস্থ হয়ে উঠে।
ইলিউশন এবং হ্যালুসিনেশন - হ্যালুসিনেশন আর ইলিউশন দুটোই বুঝতে পারার ভুল বা বিভ্রান্তি। তবে ইলিউশনে কোনো উদ্দীপক থাকে কিন্তু হ্যালুসিনেশনে তেমন কোনো উদ্দীপক থাকে না। রজ্জু দেখে সাপ ভাবার প্রবাদ মনে হয় এমন ইলুশন থেকেই এসেছে। যেমন সামনে একটা দড়িবা সুতা পড়ে থাকতে দেখে তাকে সাপ বা সাপের বাচ্চা ভেবেই ভয়ে মরা। কিন্তু যদি কোনো দড়ির অস্তিত্ব ছাড়াই কেউ সাপ দেখতে পায় তাহলে তা হ্যালুসিনেশন।
কখন ইলিউশন ঘটে? হ্যালুসিনেশনের মতো ইলিউশনও স্বাভাবিক অবস্থাতে ঘটতে পারে। নানা অবস্থাতে ইলিউশন ঘটে থাকে। এ ধরনের কয়েকটা অবস্থা-
(ক) যখন উদ্দীপন তীব্রতা কমে আসে তখন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষও ইলিউশনের শিকার হতে পারেন। বা ক্রমাগত ভুল ধারনা পোষম করা, ভূতের ভয় পাওয়া এমন মানুষও ইলুশন দেখতে পারে। অন্ধকারে ছায়া দেখে কোনো জীব জন্তু ভেবে ভুল করা বা গাছের আরালের আবছায়াকে কোনো সত্যিকারের মূর্তী ভাবা।
(খ) ব্যক্তির সজ্ঞানতাও ইলুশনের কারণ হতে পারে। যখন কোনো রোগের কারণে আমাদের হুঁশ অবস্থা কমে যায় তখনো এমন বিভ্রান্তি ঘটতে পারে। জ্বরের প্রকোপে বা এমন কোনো রোগে।
কিছুদিন আগে সাইকিয়াট্রিস্ট মো. সাঈদ এনামের একটি আর্টিকেল পড়তে গিয়ে মনে পড়ে গেলো জীবনের নানা সময়ে নানাভাবে দেখা আমার জীবনের কিছু মানুষের কথা। এমন এক প্রায় সিভিয়ার পর্যায়ে চলে যাওয়া রোগীকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম আমি। এবং খুব দ্রুত বুঝতে পারায় সাইকিয়াট্রিস্টের দ্বারস্ত হয়েছিলাম। এখন সে পুরোপুরি সুস্থ্য এবং সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ পরিবারের যে কোনো একজনের মাঝেই এমন সব সিমটম দেখতে পেলে বুঝতে চেষ্টা করা আসলেই তার সমস্যা কি ও সমাধান কোথায়।
সাইকিয়াট্রিস্ট সাঈদ তার পোস্টে লিখেছিলেন,
একজন সাইকিয়াট্রিস্ট এর চেম্বারে কিংবা একটি মানসিক রোগ হাসপাতালে গেলে অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করা যাবে যে রোগী বা রোগিণী কে এক মাস আগেও অসংলগ্ন কথা বার্তা আর আচারন নিয়ে আসা হয়েছিলো, যাকে অনেকটা ধরে বেঁধে মেরে চেম্বারে আনা হয়েছিলো, এক মাস পর সে কি সুন্দর সুস্থ..! দিব্যি সবার সাথে চলাফেরা করছে, গালগল্প করছে, কাজকর্ম করছে। হাসছে..., কি সুন্দর নিষ্পাপ সেই হাসি।
ঠিক তাই আশা হারালে চলবে না। যে কোনো মানসিক আঘাত না মানসিক সমস্যাগুলো রোগী নিজে বুঝতে পারেনা। সবার আগে বুঝতে পারে তার পরিবারের প্রিয়জনেরাই। তাই প্রিয়জনকে রক্ষা করতে প্রিয়জনদেরকেই সচেতন হতে হবে, রক্ষা করতে হবে। একটি জীবন অনেক মূল্যবান। এই মূল্যবান জীবনে সুন্দর করে বেঁচে থাকার অধিকার সকলের। শুধু সেই চেতনাটি যখন হারিয়ে যায় তখনই প্রয়োজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার। সেই হাতটি হতে পারে আপনার.....
সবাই ভালো থাকুক। হাসি আনন্দ গানে আর সাফল্যে কেটে যাক প্রতিটি জীবন .....
মনে রাখতে হবে হ্যালুসিনেশন কোনো রোগ নয়, এটা রোগের একটা উপসর্গ। যেই রোগের উপসর্গ হিসেবে হ্যালুসিনেশন দেখা দেয় হ্যালুসিনেশনের পাশাপাশি সেই রোগের অন্যান্য উপসর্গ উপস্থিত থাকে। সামগ্রিকভাবে সেই অসুস্থতাটি ব্যক্তির পারিবারিক সামাজিক ব্যক্তিগত পেশাগত জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করে, তাহলে সেই অসুস্থতার চিকিৎসা নিতে হবে আর মূল অসুস্থতার চিকিৎসা করালে হ্যালুসিনেশন এমনিতেই চলে যাবে ।
যাইহোক এটা হ্যালুসিনেশনের একটা ছবি। গুগল সার্চ দিয়ে পেলাম। মাই গড! কি সুন্দর হ্যালুসিনেশন চোখ! আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আর এই যে আমিও এঁকেছি.......
হায় হায় আমিও হ্যালুসিনেশন উপসর্গে ভুগছি নাকি!!!!!!!!
যাইহোক হ্যালুসিনেশনে ভুগে ভুগে আমি স্মরণ করছি আমার প্রিয় পুরোনো চেহারার সামহ্যোয়ারইন ব্লগটাকে! স্মরণ করছি আমার প্রিয় ভাইয়া আর আপুনিদেরকে। তাদেরকে অনেক দিন দেখিনা। ওহ অনেকদিন না দেখার ফলে কোনো হ্যালুসিনেশন হলে সেটাকে নিশ্চয়ই মিসিং সামওয়ান হ্যালুসিনেশন সিম্পটম বলে! সো আই এম সাফারিং ফ্রম মিসিং হ্যালুসিনেশন!!!
মিস ইউ মাই আগের সামু!
তাড়াতাড়ি ফিরে আসো ঠিক আগের মত করে !
সহযোগী বই-
Hallucinations – Oliver Sacks
A Dictionary of Hallucination- Blom, Jan Dirk
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমার দেখছি এখনও হ্যালুসিনেশন হচ্ছে পাঠিপেটা পড়ছি কেনো?
তবে উচ্চমার্গীয় ভাবখানা ভালোই আছে এখন-ভেবে নিচ্ছি- পাঠিপেটা= পাঠ বা পড়াকে পেটানোর ইচ্ছা ওরফে আমাদের পাঠকে বন্ধকারী উদ্দেশ্যকে!
আমরা অনেক হ্যালুসিনেশনেই আক্রান্ত তবে বলে না ভাবের পাগল বা জাঁতে মাতাল তালে ঠিক টাইপ তবে সত্যিকারে যারে ভুগছে রোগের আলামত যতই মজাদার হোক না কেনো কি রকম ভয়াবহ অবস্থা এবং কষ্টকর না দেখলে বুঝবেই না ভাইয়া!
তবে এর সল্যুশন আছে। অবশ্য অবশ্য যথার্থ ট্রিটমেন্ট যা আমরা অধিকাংশই জানিনা বা করাইনা ....
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসম্ভব ভালো একটা পোস্ট । আমার এই মুহূর্তে পোষ্টের অপেক্ষায় থাকা মরীচিকা 18 সিরিজের প্রধান চরিত্র শান্তনু সে এই হ্যালুসিনেশনএর শিকার । আপনার ভিজুয়াল শ্রবণ অভিযোগ প্রবণতা, রিফ্লেক্স হ্যালুসিনেশন, অটোস্কোপনিক, স্মেল হ্যালুসিনেশন, সেন্সেশন , টেস্ট, বিষণ্নতা, সিজোফ্রেনিয়া, প্রভৃতি বিষয় গুলি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন । এমন কি পারসিকিউটরি ডিলিউশন ,লস অফ ইনহিবিশন, রবিতে ক্ষেত্রেও যে হ্যালুসিনেশনের প্রভাব আছে সেটি জেনে অবাক হলাম ।
অত্যন্ত সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে আপনি যেভাবে আর্কিওপ্টেরিক্স, নিজাম উদ্দিন মন্ডল এবং রাকু হাসানের নাম উদ্ধৃতি করে বিষয়টি বুঝিয়েছেন তাতে অত্যন্ত আনন্দিত হলাম । আনন্দিত হলাম এটা জেনেও যে সামু ব্লগের বর্তমানকালের বিষাদ ময় অবস্থার মধ্যেও আপনি যেভাবে সুন্দরভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করে নিজে হেলুসিনেশনকে প্রমাণ করে ছেড়েছেন - জেনেও । ব্লগিং মিথস্ক্রিয়া ও আমাদের সাধ জাগছে আমার হ্যালুসিনেশন এর মধ্যে আবদ্ধ হওয়া । যেহেতু আপনার কথা অনুযায়ী হ্যালুসিনেশন কোন রোগ নয়, পূর্বাভাস ; কাজেই এমন একটু আকটু হলেই মন্দই বা কি ।
অসম্ভব ভালোলাগা পোস্টে মুগ্ধতা! ++++
শুভকামনা জানবেন।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
এমন মন্তব্য পেয়ে সত্যিই মুগ্ধ হলাম!
সামু আমাকে অনেক দিয়েছে!
আজকের এই আমির এই ভারচুয়াল এবং রিয়েল জগতে আমি হয়ে ওঠা মানে শুধু আমিই না সাকসেসফুল হয়ে ওঠার পিছনে সামুর যে অবদান আছে তা স্বীকার করতে আমার কোনোই দ্বিধা নেই।
বহু বাঁধা বিঘ্ন ও ঝড় ঝঞ্জার পরেও সামু ছিলো আমার সাথে আমিও ছিলাম! তাই সবচেয়ে সুন্দর লেখাগুলি আমার সামুকেই দিতে ইচ্ছা করে।
যদিও আমি এক পত্রিকায় চুক্তিবদ্ধ লেখক এবং সেই লেখাগুলি অন্য কোথাও প্রকাশের অনুমতী নেই বলে অনেক অনেক সাধনায় লেখা অনেক অনেক লেখাই আছে যা এইখানে আমি প্রকাশ করি না।
তবুও আমার একান্ত নিজের লেখাগুলি সামুকেই দেই সবার আগে।
এই সামু হারিয়ে যাচ্ছে আমার থেকে আমাদের থেকে এই কষ্ট অসহনীয়!
যাইহোক হ্যালুসিনেশনের রোগী ছিলেন আমার খুব কাছের কিছু মানুষ তার মাঝে আমার মা অটোস্কেপিক হ্যালুসিনেশনে ভুগছেন।
যাইহোক এই রোগের উপসর্গগুলি মজার মনে হলেও ভুক্তভোগীরা আত্মহত্যার মত ভয়ংকর পরিনতি বেঁছে নেন।
সময় থাকতে প্রয়োজন চিকিৎসা এবং সঠিক চিকিৎসা!
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
শায়মা বলেছেন: যে লেখাটি আমাকে এই টপিকে লিখতে উদ্ভুদ করেছে ভাইয়া
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্টের অবতারণা করলে আপুনি। আমিও মিস করি অনেককে। সামুর দুরবস্থার অবসান হউক।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
শায়মা বলেছেন: কবে হবে জানিনা.....
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাপ রে কত কত প্রকারভেদ ! আদ্যোপান্ত একেবারে।
অসাধারণ পোস্ট !!
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
শায়মা বলেছেন: আদ্যপান্ত নাকি জানিনা তবে কত রকম যে হ্যালুসিনেশন হয় রোগীর অগোচরে সেটাই এক আশ্চর্য্য ব্যপার!
হ্যালুসিনেশনের ভয়াবহতার পরিনাম কি হতে পারে তা শুধু কাছ থেকে যারা দেখেছে তারাই বুঝবে!
অনেক অনেক থ্যাংকস আপুনি।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
আমি মুক্তা বলেছেন: আপনার পোষ্টটা পড়তে পড়তে আমার চোখ যেন কেমন করে উঠল। এমন এমন কিছু দৃষ্টি বিভ্রম ছবি সঙ্গে দৃষ্টিবিভ্রম এর বিস্তারিত তথ্যসহ বিশাল পোষ্টটি পড়তে পড়তে এবার চোখে দেখিছ হ্যালুসিনেশন!
মা গো এত কষ্ট করেন একটা পোষ্ট লিখতে! আজব এত সময় ও শ্রম ব্যয় করেন এই ভালোবাসার স্থানের মানুষদের জন্য, অথচ এখন আমরা একপ্রকার বন্দী জীবন কাটাই। নিজের বাড়িতে চোরের মত দরজা বন্ধ রেখে জানালা দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
ও আমার হ্যালুসিনেশন টা বলি, দেখছি সামু আবার আগের মত হয়ে উঠছে, অনলাইনে আছেন ৪০০ জন লেখক ৪০০০ পাঠক।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
শায়মা বলেছেন: লোকে বলে আমি খুবই পরিশ্রমী মানুষ!
আমি বিশ্বাস করি মানুষ দুই রকম উপায়ে শিখে
১। অটো ট্যালেন্ট আছে যাদের তারা
২। ট্যালেন্ট না থাকলেও হার্ড ওয়ার্ক আর প্রাকটিস দিয়ে
আমি জানিনা অটো ট্যালেন্ট আছে কিনা আমার তবে অধ্যবসায় আর চর্চার জোরে অনেক কিছুই করে ফেলতে পারি!
সবাই তাই পারে!
তবে সামুর জন্য কোন উপায় অবলম্বন করবো ভেবে পাচ্ছি না!
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭
নজসু বলেছেন:
খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট।
বেশ কয়েক বছর আগে মাঝে মাঝে আমি কিছু সমস্যায় পড়তাম।
কোন কোন ঘটনায় মনে হতো এই ঘটনা না আগেও একবার ঘটেছে।
দরজা বা গেইট লাগানোর পর মনে হতো তালা দেইনি মনে হয়। অথচ তালা দিয়েছি।
আবার দেখতে যেতাম।
এখন অবশ্য ওই রকম ঘটনা আর হয়না।
আমার পরিচিত এক মহিলা সারাদিন কাজ করেন আর একা একা আপন মনে কথা বলেন।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ঠিক এমন এক বাতিক ছিলো আমার নানীমার। তালা দিয়ে বার বার চেক করতো। বাইরে গিয়ে আবার ফিরে আসতো!
ভাইয়া আমাদের চারপাশেই ছড়িয়ে আছে নানা রকম মানসিক সমস্যা যা আমরা নিজেরাও বুঝতে পারি না বা জানিনা.....
নানীমা আমার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না কিন্তু তিনি নিজেই বলতেন আমার সন্দেহবাতিক রোগ!
এর একটা সাইকোলজিকাল টার্মও আছে ওসিডি ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজওর্ডার-
(ওসিডি-র ফলে মানুষের মনে এমন এক বদ্ধমূল ধারণার জন্ম হয়, যা তার কাছে শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক বিষয় বা চিরাচরিত অভ্যাসে পরিণত হয়। বাধ্য হয়ে এই সময় মানুষ একটা কাজ বারবার করতে থাকে। অথচ সে জানে যে, তার এহেন আচরণের কোনও অর্থই হয় না। সেটা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এবং বাড়াবাড়ি করা। ওসিডি সাধারণত অল্প পরিমাণ থেকে এক ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ওসিডি-র লক্ষণগুলি বেশ জটিল এবং এর বহিঃপ্রকাশ এক-এক জনের ক্ষেত্রে এক-এক রকম হয়। সব কিছুর মধ্যেই দূষণের সম্ভাবনা এবং তা দূর করার জন্য বারবার ধোয়া-মোছা করার প্রবণতা যেমন ওসিডি-র পূর্বাভাস হিসেবে চিহ্নিত হয়, তেমন অন্যদিকে ওসিডি-র আরেকটি লক্ষণ হল, দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে সন্দেহ দানা বাঁধা, এক কাজ বারবার করা বা তা যথাযথ হয়েছে কি না তা ক্রমাগত পরীক্ষা করা।)
https://bengali.whiteswanfoundation.org/article/lets-stop-being-flippant-about-ocd/
এই বিষয়টা নিয়েও একদিন লিখতে হবে!
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
আবু ছােলহ বলেছেন:
অনেক কিছু জানার রয়েছে পোস্টে। +++
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই ভাইয়া!
নিজেরদের অজান্তেই আমরা নানা রকম উপসর্গে ভুগি!
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পড়লাম। খুব সুন্দর পোস্ট ও উপকারী পোস্ট।
আমার একজন কাকা সেকেন্ড হ্যালুসিনেশন এবং রানিংক কমেন্টারি হ্যালুসিনেশনে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে.. চিকিৎসা কম করা হয়নি। কিন্তু ভাল হচ্ছে না। যেন রক্তের কোষে কোষে মিশে গেছে।
হ্যাঁ, সামুর আগের ব্লগকে প্রচুর মিস করি। ব্লগে হাহাকার চলছে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫
শায়মা বলেছেন: আসলে উপসর্গ দেখা দেবার প্রথমদিকে ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ বলে আমার মনে হয়।
দীর্ঘদিন ভোগার পরে অনেক রোগীকে দেখেছি কোনো চিকিৎসা কাজ করে না।
এর কিছু কারণ আমার মনে হয়েছে-
ওষুধ ঠিক ঠাক না খাওয়ানো
হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া ( এই সব ক্ষেত্রে ট্যাপারিং এর মাধ্যমে ওষুধ বন্ধ করতে হয়)
ট্রিটমেন্টের উপর আস্থা না রাখা
এসবই আমার কারণ মনে হয়েছে ভাইয়া ......
এই সব মানসিক সমস্যাগুলো তো এক দুদিনে সেরে যাবার নয়। এর চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদী ।
কাউন্সেলিং এবং পরিবারের মানুষেরাই এই ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় সহায়ক।
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি অনেকটা সব সময়ই নিজের সাথে নিজে কথা বলি; কারণ, আমি ১ জন ভালো মানুষের সাথে আলাপ করতে পছন্দ করি।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা
ভাইয়া সেল্ফ টকিং ডিসওর্ডারে মানুষ কিন্তু এটাই করে !!!!!!!
নিজের সাথে নিজের কথা ......
তবে এ ব্যপারে আমার ভিন্নমত আছে। ডিসওর্ডার ছাড়া
গবেষণায় দেখা যায় যে, যে ব্যাক্তিরা নিজেদের সাথে কথা বলে থাকেন, তাদের মস্তিষ্ক বেশি কাজ করে আর সবার চাইতে। যে কোন জিনিস অনেক বেশি মনে রাখতে পারেন তারা। এক্সপেরিমেন্ট সাইকোলজি জার্নালে মনোবিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল সুইগলি ও গ্যারি লুপিয়া জানান যে, নিজের সাথে কথা বলা সত্যিই উপকারী ( লাইভ সায়েন্স )। এ ব্যাপারে ২০ জন ব্যাক্তির ওপর করা এক পরীক্ষায় দেখতে পান তারা এ ফলাফল। এ পরীক্ষায় ২০ জনকে কিছু জিনিসের নাম মনে রেখে সেগুলো সুপারমার্কেটে খুঁজতে বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে নিজের সাথে যারা জিনিসগুলোর নাম নিয়ে কথা বলেছিলেন তারাই কেবল সফল হতে পেরেছিলেন।
আরও পড়তে চাইলে লিংকু দিতে পারি ভাইয়া......
তবে এটা হ্যালুসিনেশন নহে ...
১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার বই 'কংকাবতী রাজকন্যা' নিয়ে লিখুন।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
শায়মা বলেছেন: লিখেছিলাম তো ভাইয়া.....
এর আগের পোস্টটাই.....
তুমি তো দেখলেই না ....
১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "গবেষণায় দেখা যায় যে, যে ব্যাক্তিরা নিজেদের সাথে কথা বলে থাকেন, তাদের মস্তিষ্ক বেশি কাজ করে আর সবার চাইতে। "
-আপনার পোষ্ট পড়ে একটু চিন্তায় ছিলাম, এখন কমপক্ষে চিন্তাটুকু কেটে গেলো।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
শায়মা বলেছেন: হা হা মানে হ্যালুসিনেশন থেকে না মানে যারা এমনিতেই নিজের সাথে কথা বলে যেমন তুমি বলো-
আজ সারাদিন কি কি যেন করতে হবে?
হ্যাঁ দাঁড়ি কাঁটতে হবে....
অফিসে যেতে হবে......
গাড়ি লো স্পীডে ড্রাইভ করতে হবে। পোলিস ধরলেই হ্যান্ড ব্রেক টেনে থামাতে হবে.....
নুরুভাইয়াকে বকা ঝকা দিতে হবে ......
তারা সফল হয় কারণ তারা মস্তিস্কজ চর্চা করে ......
১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আর সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শায়মা বলেছেন: আসলেই ভাইয়া আমাদের সকলের জানা উচিৎ এই উপসর্গগুলি নিয়ে।
কারণ এই সব ডিসওর্ডারে ভোগা রোগীদের সবার আগে প্রয়োজন পরিবারের মানুষগুলোর সহ যোগীতা!
১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
মা.হাসান বলেছেন: আপনি কি জাদিদভাইকে হোটেল রাজ্জাকের পরোটা-নেহারি খাওয়ালেন না কি- বহু চেষ্টা করেও পোস্টে ছবি দিতেপারছি, আপনার পোস্টে কয়েকটা ছবি।
রাজনীতিবিদরা একটা হ্যালুসিনেশনে ভোগে, ষড়যন্ত্র হ্যালুসিনেশন। ক্ষমতা চলে গেলেও এই রোগ যায় না, দল বদল করলেও যায় না। ওটা পোস্টে বাদ গেল কেন?
ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে এই রকম একা কথা বলাকে অসুখ বলা যা?
ওসিডি এবং বাইপোলার ডিজঅর্ডার এর কো-রিলেশন কতটা?
রাকু হাসান নিজামুদ্দিন এবং আর্কিওপটেরিক্সের মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টি জানা না থাকায় পান বুঝলাম না তবে তা আমার ব্যর্থতা, আপনার না।
কোন প্রয়োজনে ধানমণ্ডিতে ল্যাব-এইডের পাশের এক ডাক্তারের চেম্বারে গেছিলাম। ব্যাটা বড় ভন্ড বলে মনে হয়েছে। আবার অনেক ওষুধের সাথেসাথে আয়ুর্বেদিক সালসাও প্রেসক্রিপশনে লেখে। বিভিন্ন কারনে এই পেশায় নিয়োজিত লোকদের উপর শ্রদ্ধা রাখা সম্ভব হয় নি, মানসিক ভাবে সে বাধা কাটিয়ে উঠতে পারিনি বলে পোস্টে লাইক দিতে পারছিনা।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
শায়মা বলেছেন: মা.হাসান বলেছেন: আপনি কি জাদিদভাইকে হোটেল রাজ্জাকের পরোটা-নেহারি খাওয়ালেন না কি- বহু চেষ্টা করেও পোস্টে ছবি দিতেপারছি, আপনার পোস্টে কয়েকটা ছবি।
হা হা হা হা ভাইয়া ইহা কাহার সাথে কাহার কথা!!!
বহু চেষ্টা করেও পোস্টে ছবি দিতেপারছি - মাথায় কি এখনই তালগোল পেকে গেলো ভাইয়ামনি!!!!!!!
হা হা হা হা পারছোই যদি তবে এত তাজ্জব বনা কেনো!!!
যাইহোক এসব হলো যাদুর ভেলকি!
আমি যে যাদু জানি সে খবর মনে হয় তুমি জানো না আর তাই এই সব ছবি ছাবা !!!!!!!
আর পরে যত কিছু মন্তব্যে বলেছো তার উত্তর নিয়ে একে একে এসে যাবো একটু পরে পরে !
আমার আবার দশ হাত কিনা ।
এখন বাকী হাতগুলোতে কাজ চলছে!
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৩
শায়মা বলেছেন: রাজনীতিবিদরা একটা হ্যালুসিনেশনে ভোগে, ষড়যন্ত্র হ্যালুসিনেশন। ক্ষমতা চলে গেলেও এই রোগ যায় না, দল বদল করলেও যায় না। ওটা পোস্টে বাদ গেল কেন?
ওহ রাজনীতিবিদদের সেই হ্যালুসিনেশনকে বলে কুটকচালী হ্যালুসিনেশন। ইহা এই পোস্টে বাদ গেলেও তুমি মনে করাই দেওয়া মাত্র মনে চলে এলো ভাইয়া!
ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে এই রকম একা কথা বলাকে অসুখ বলা যা?
একা একা প্রায়ই আমরা কথা বলি-
আনন্দে, রাগে, দুঃখে বা অবচেতন মনেও। তবে সেটা হ্যালুসিনেশন না।
হ্যালুসিনেশন তখনই যখন রোগী তার মাথার ভেতরে শুনতে পায়। চোখের সামনে দেখতে পায়। সবই অলীক থাকে। আতঙ্কিত হয়। বিরক্ত হয়। উদ্ভরান্ত আচরণ করে ও স্বাভাবিক দৈনন্দিন কার্য্যকলাপে বিঘ্ন ঘটে।
এটা হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত মানুষের আচরণ দেখেই বুঝা যায়।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
শায়মা বলেছেন: ওসিডি- একই কাজ বার বার করা।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার - এই রোগে আক্রান্ত্ররা পর্যায়ক্রমে আনন্দ, উল্লাস ও বিষাদে আক্রান্ত হয়।যদি কোন মানুষের মধ্যে এই ৮টি লক্ষণের মধ্যে ৫টি লক্ষণ এক মাসের বেশি সময় ধরে প্রকাশ পায় তাহলে তা হতে পারে বাইপোলার ডিজঅর্ডারের পূর্ব লক্ষণ।
১। খুব ভালো মুড
হাইপোমেনিয়া এমন একটি দশা যখন ব্যক্তি অত্যন্ত উচ্চ শক্তি ও খুবই ভালো মুডে থাকে। এই সময়ে সেই ব্যক্তিটি অনেক বেশি উত্তেজনার মধ্যে থাকে এবং প্রচুর হাসে ও চেষ্টা করে অনেক বেশি ভালো হতে। আমাদের সবারই সময়ের সাথে সাথে মেজাজের পরিবর্তন, এটা স্বাভাবিক। যদি এই চুড়ান্ত রকমের ভালো মুড যদি এক সপ্তাহ স্থায়ী হওয়ার পরেই বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন হয় তাহলে তা বাইপোলার এর পূর্ব লক্ষণ। এই সময়ে সে নিজেকে অনেক ক্ষমতাবান ও অপরাজেয় মনে করে।
২। কাজ সম্পন্ন করতে না পারা
কোন ব্যক্তির অনেক কাজ যদি অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাহলে সেটা তার বাইপোলার ডিজঅর্ডারের একটি ছাপ। তারা অবাস্তব কাজের পরিকল্পনা করেন ও কাজটি শুরু করেন কিন্তু সমাপ্ত করতে না পেরে অন্য কাজ শুরু করে দেন। ওহাইয়ো এর ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের এমডি, দ্যা সেন্টার ফর বিহেভিয়ারাল হেলথ এর ডাইরেক্টর এবং মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ডন ম্যালোন বলেন, “তারা হতে পারে খুবই বিভ্রান্ত এবং তারা প্রচুর কাজ শুরু করে দেয় কিন্তু কখনোই শেষ করেনা”।
৩। হঠাৎ করেই কোন আইডিয়া মনে আসে
মেজাজ ভালো থাকার সময়ে খুবই উত্তেজনা ও সুখ অনুভব করে এবং এই সময়ে খুবই সৃজনশীল হয়ে উঠে। কাজের সাথে সম্পৃক্ত অথবা ব্যাক্তিগত জীবনের উন্নতি ঘটানোর জন্য অনেক ধরণের চিন্তা ভাবনা তারা করে থাকে।
৪। দ্রুত কথা বলে
হাইপোমেনিয়ার সময়ে ধারণা ও সৃজনশীলতার প্রবাহের কারণে মানুষটি হয়ে পরে চূড়ান্ত পর্যায়ের বাচাল এবং আপনার সাথে একটানা কথা বলতে চাইবে। মানুষটি যদি আদতে বাক্যবাগীশ না হয় তাহলে তার এই আচরণ নিঃসন্দেহে বিপদ সংকেত।
৫। আবেগপ্রবণ ও বেপরোয়া আচরণ
শেষ পর্যায়ে মানুষটি অনেক বেশি টাকা খরচ করা শুরু করবে এবং এমন আচরণ প্রকাশ করবে যা তার মধ্যে পূর্বে ছিলোনা। ক্রমান্বয়ে মাদকে আসক্ত হয়ে যেতে পারে।
৬। বিষণ্ণতা
দ্বিমেরু ব্যাধির আর একটি চূড়ান্ত পর্যায় হচ্ছে বিষণ্ণতা। হাইপমেনিয়া চলে যাওয়ার সাথে সাথেই বিষণ্ণতার লক্ষণ গুলো যেমন- দুঃখবোধ, ক্রনিক স্ট্রেস এবং অন্যদের সাথে দীর্ঘক্ষণ যাবত কাজ করতে অসমর্থ হওয়া।
৭। অনিয়মিত ঘুম
বিষণ্ণতার এই সময়টাতে মানুষ ঘুমের সমস্যা এবং ইনসমনিয়াতে ভোগে অথবা চূড়ান্ত পর্যায়ের ঘুমের সমস্যায় ভোগে।
৮। ক্রমশ যন্ত্রণা দায়ক হয়ে উঠে
মানুষটি অনবরত খিটখিটে মেজাজের এবং বদরাগী হয়ে উঠতে থাকে যা ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এর ফলে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।
এটা স্মরণে রাখা প্রয়োজন যে এই লক্ষণগুলো যে কোন স্বাস্থ্যবান কিশোর-কিশোরী বা পূর্ণ বয়স্ক মানুষের মধ্যেই দেখা দিতে পারে। বিবেচ্য বিষয়টি হচ্ছে সময়ের ব্যাপ্তি এবং তা প্রাত্যহিক জীবনে হস্তক্ষেপ করছে কিনা। শিশুদের মধ্যে বাইপোলার ডিজঅর্ডার দেখা দিলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া অত্যাবশ্যকীয়।
https://www.priyo.com/articles/বাইপোলার-ডিজঅর্ডারের-যে-লক্ষণগুলোর-বিষয়ে-সতর্ক-হওয়া-প্রয়োজন
এর কো-রিলেশন কতটা?
ওসিডি এর সাথে এর কো রিলেশন কতখানি আমি জানিনা তবে আমার দেখা ওসিডি রোগী এর মাঝে কিছু বাইপোলার সিন্ড্রোম দেখেছি আমি।
এ ব্যপারে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে।
রাকু হাসান নিজামুদ্দিন এবং আর্কিওপটেরিক্সের মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টি জানা না থাকায় পান বুঝলাম না তবে তা আমার ব্যর্থতা, আপনার না। ( এটা মানে এসব ফান করে শুধুই এক্সাম্পল দিতে লিখেছি ভাইয়া)
(কোন প্রয়োজনে ধানমণ্ডিতে ল্যাব-এইডের পাশের এক ডাক্তারের চেম্বারে গেছিলাম। ব্যাটা বড় ভন্ড বলে মনে হয়েছে। আবার অনেক ওষুধের সাথেসাথে আয়ুর্বেদিক সালসাও প্রেসক্রিপশনে লেখে। বিভিন্ন কারনে এই পেশায় নিয়োজিত লোকদের উপর শ্রদ্ধা রাখা সম্ভব হয় নি, মানসিক ভাবে সে বাধা কাটিয়ে উঠতে পারিনি বলে পোস্টে লাইক দিতে পারছিনা। )
ভাইয়া মানসিক সমস্যাগুলির চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে থাকে। আমি খুবই আশাবাদী মানুষ। কখনও আশা হারাই না কাজেই দেখেছি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা সুফল বয়ে আনে। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রে মানুষ মাঝপথে মেডিসিন বন্ধ করে দেয় বা চিকিৎসা হুট করে বন্ধ করে বলেই সমস্যার সমাধান না হয়ে আরও জটিলতার দিকে যায়।
১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
যাক, রাকু হাসান ধন্য হলো বটে, হ্যালুসিনেশনওয়ালা শুভাকাঙ্ক্ষী ক'জনার কপালে জুটে
প্রথম দিকে পড়ে মনে হল, শায়মা আপু কি সহিহ ভুতনামা লেখতেছে নাকি(!)
না লেখলো তো বটে, তবে ভুত না সামুর ভালবাসা নিয়ে।
ওয়াল্লাহে, আমি একদিন স্বপ্নও দেখেফেলেছি। আমরা একটা মিলনমেলা করে ফেলেছি আমার বাসায়। নিম চাঁদ, জাদীদ ভাই আসছে। স্বপ্নটা দেখেছিলাম ব্লগ বন্ধের ঘোষণা আসার পর। আচ্ছা, আমি কি তাহলে হ্যালুসিনেশনের রোগী?
হয়ে থাকলে আমার ঔষধ কী?
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০২
শায়মা বলেছেন: এই হ্যালুসিনেশনের ঔষধ জানা নাই ভাইয়া!
সামুর জন্য ঝাঁড়ফুক তাবিজ কবজ লাগবে। প্রয়োজনে বাণ মারিতে হইবেক!
১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৫
ল বলেছেন: What's the remedy of missing somewhere hallucination???
Very informative post +++
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৯
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া হ্যালুসিনেশন সম্পর্কে সকলেরই জানা দরকার পরিবারের মানুষেরাই পারে এই উপসর্গগুলি সনাক্ত করতে।
তবে সামু এর জন্য কোনো রেমিডি জানা নেই!
১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়ে তো মনের মধ্যে ভয় ঢুকে গেল।
যাই হোক, একজন বলেছে আমার চোখ দু'টা অনেক সুন্দর। আমার চোখে অনেক গল্প আছে। ইচ্ছা করলে আপনি আমার চোখ আঁকতে পারেন বোন।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
শায়মা বলেছেন: তোমার চোখ! আঁকবো!
বাপরে!!!
চোখ আঁকা ছেড়ে দিয়েছি তো ভাইয়া!!!
মনে নাই আমার অঙ্কিত চক্ষু দেখিয়া একজন হ্যালুসিনেশনের রোগী তার সকল উপসর্গগুলি লইয়া সামু গুলজার করিয়া তুলিয়াছিলো!
১৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:২০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তোমার পোস্টগুলো তোমার রান্নার মতোই উপাদেয়
বিস্তারিত পড়ে মন্তব্য আসিবেক
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:২৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ওকে ওকে তাহাই হৌক!
আমি ঘুমাতে যাই!
১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:২৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: গুল্লুগুল্লু নাইত আপু
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:২৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ওকে ওকে গুড নাইট!
কবিতা আবৃতি শিখি!
১৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৩৬
আরোগ্য বলেছেন: শায়মা আপু,
খুব সুন্দর একটা পোস্ট। সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা যারা ভুক্তভোগী কেবল তারা ও তার পরিবারই বুঝতে পারে। আমার আম্মু আমাদের জন্মের আগে থেকে এই রোগে ভুগছে। অনেক চিকিৎসা করার পরও কোন লাভ হয়নি। বেশি ঘুমের ঔষধ সেবনের জন্য এখন সিরোসিস হয়ে গেছে। তাই ঔ চিকিৎসা বন্ধ। ঋতু পরিবর্তনের মত আপনাতেই সুস্থ হয় আবার অসুস্থ হয়ে যায়, স্লিপিং পিল দেয়া নিষেধ।
দোয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারছি না।
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
শায়মা বলেছেন: সিরোসিস মানে কি? লিভার সিরোসিস টাইপ কিছু নাকি হাতে পায়ে ঘামাচির মত ফুসকুড়ি হয় যা অটো ইমিউন ডিজিজ তেমন কিছু।
ঋতু পরিবর্তনের মত সুস্থ্য অসুস্থ্য বলতে কি যেটা সিজিনাল সিকনেস মানে বিশেষ বিশেষ ঋতুতে উদ্দিপীত হয় নাকি মাঝে মাঝে এই সিকনেসটা ফিরে আসে মাঝে মাঝে চলে যায়?
ভাইয়া আমাকে জানাও। আমি বিশ্বাস করি সঠিক মেডিটেশন আর কাউন্সেলিং বা চিকিৎসায় সিজোফ্রেনিয়া দমন রাখা যায়।
২০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৪
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মারহাবা !!!!!!!!!!!!!!
রান্নাবাড়ি রেখে পাগল গবেষণা শুরু করলে কবে থেকে !!!
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫০
শায়মা বলেছেন: রান্নাবাড়ি রাখিনি.....
সাথে সাথেই আমি অনেক কিছুই গবেষনা করি....
সে খবর তুমি হঠাৎ আজ না জানলে কেমনে???
হ্যালুসিনেশন দেখছি তোমারও শুরু হলো!!!!!!
আর এটা অসুস্থ্যতা.....
ব্রেইন ডিফেক্ট বা পাগলা অন্য কিছুকে বলে .....
২১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিসিং সামুর আগের ফ্লেভার!!!
হায় কবে ঠিক হবে????
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
শায়মা বলেছেন: জানিনা ভাইয়া!
২২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
করুণাধারা বলেছেন: শায়মা, এই পোস্ট কতটা ভালো লেগেছে, আমার কত কথা বলার আছে, কিছুই বলতে পারছি না!! ক'দিন ধরে ভার্টিগোতে আক্রান্ত হয়ে আছি। আশা করি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবো। অনেক কথা বলতে চাই। তার আগে তোমার পোস্টে একশ'তে এক হাজার দিলাম।
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনিমনি!
কঙ্কাবতী তোমাকে কি করে পাঠাবো এই কথাটা আগে বলো!! তুমি কাতিআশা আপুনি, আরও কত কত প্রিয়জন ছিলোর কঙ্কাবতীর যাদের সবার হাতে আমি কঙ্কাবতী পৌছে দিতে চাই.....
যাইহোক ভার্টিগোতে ভুগছো জেনে খারাপ লাগছে। তবে ইনশাল্লাহ সঠিক মেডিকেশনে তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
আর হ্যালুসিনেশন সম্পর্কে আমাদের সবার জানা উচিৎ আমাদের পরিবারের মানুষগুলোকে সাহায্য করবার জন্যই।
২৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:০৯
অভিজিৎ দাস বলেছেন: খুব ভালো একটি পোষ্ট, অনেক কিছু জানতে পারলাম । লেখককে ধন্যবাদ ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া! অনেক ভালো থেকো!
২৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
আরোগ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন:
সিরোসিস মানে কি? লিভার
সিরোসিস টাইপ কিছু নাকি
হাতে পায়ে ঘামাচির মত
ফুসকুড়ি হয় যা অটো ইমিউন
ডিজিজ তেমন কিছু।
হ্যাঁ, আপু লিভার সিরোসিস তবে তোমার ধারণা ভুল। এটা অটো ইমিউন ডিজিজ না, এটা ধীরে ধীরে লিভারকে অকেজো করে দেয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে হাই পাওয়ার ঔষধ সেবন করা প্রায় নিষেধ। স্লিপিং পিল, পেইন কিলার এগুলোও নেয়া মুশকিল।
ঋতু পরিবর্তনের মত সুস্থ্য অসুস্থ্য বলতে কি
যেটা সিজিনাল সিকনেস মানে বিশেষ
বিশেষ ঋতুতে উদ্দিপীত হয় নাকি মাঝে
মাঝে এই সিকনেসটা ফিরে আসে মাঝে
মাঝে চলে যায়?
আগে বছরে দুই এক বার পনেরো বিশ দিনের মত সমস্যা হতো। আব্বু মারা গেছে আঠারো বছর, সেই থেকে সমস্যা বাড়তে থাকে। এখন এক মাস ভালো থাকলে দুই মাস অসুস্থ। এতোটা গুরুতর সমস্যা হয় যে আলাদা এক ঘরে রাখতে হয়। সব ধরনের চিকিৎসা করা হয়েছে কিন্তু এখন আর কোন কিছু করছি না। দেখা গেছে, একটু চিন্তা করলেই ব্রেইন লোড নিতে পারছেনা। প্রথমে কয়দিন একদম সেন্সলেস থাকে, মুখ দিয়ে অনর্গল উল্টো পাল্টা কথাবার্তা, কোন ঘুম নেই। প্রাকৃতিক কাজের কথাও বলতে পারে না। তারপর ঘুম আসলেই হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠে, তারপর কিছুদিন এ্যাগ্রেসিভ মুডে থাকে, এরপরে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তখন অবশ্য বোঝা যায় না যে কিছু দিন আগে এতো বিরূপ পরিস্থিতি ছিল।
যদি কোন সমাধান দিতে পারো তবে অনেক উপকার হতো। একটু দেখো আপু।
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া বারিধারা জে ব্লকে প্রত্যয় নামে একটা ক্লিনিক আছে। এই ক্লিনিকে যোগাযোগ করে দেখতে পারো। এখানে অনেকেই উপকার পেয়েছে। কোনো কোনো সময় বাড়িতে না রেখে হসপিটালে রাখাটাও জরুরী হয়ে পড়ে।
২৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী বিচিত্র এই দেহ আর মন! আমার কখনও এমন হয় নি। না হলেই ভালো!
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫০
শায়মা বলেছেন: আমারও হয়নি তবে খুব কাছের মানুষকে দেখেছি।
২৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
পোস্ট এবং প্রতিমন্তব্যে মনে হলো রন্ধনপটিয়সী এবার ডাক্তারীর রূপসজ্জায় নেমেছে।
লেখাটিতো অবশ্যই দারুন হয়েছে এবং যথারীতি রসময়ও। বেশ খাটা খাটুনী করতে হয়েছে আপনাকে এমন সহজ করে বেশকিছু মনোরোগ নিয়ে লিখতে গিয়ে যাকে বাহবা দিতেই হয়।
বলতেই হবে, আপনার মগজে "ডোপামিন"এর সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই। তাই এই রকম একটি লেখার পেছনে তা আপনাকে অনুপ্রেরনা আর এরকম কিছুর আনন্দ উপভোগ করতে অনুভুতি যুগিয়েছে। নইলে আপনার একাগ্রতা যেতো হারিয়ে, এতো কিছু গুছিয়ে লিখতে বুদ্ধি যেতো ঘোলাটে হয়ে । সহযোগী বই থেকে দু’য়ে দু’য়ে চার মিলিয়ে লিখতে গিয়ে হোচট খেতেন দুই ডজনবার। আর আমাদের মনে হতো আপনি তার ছিঁড়া হয়ে গেছেন।
আর মগজে আপনার সেরোটোনিন এর প্রবাহও কম মনে হলোনা! ফলে আপনার "মুড" যে টৈ-টুম্বুর আনন্দে ভরা তার প্রমানও মিলেছে প্রতি মন্তব্যে। অবশ্য "ডোপামিন" "সেরোটোনিন" সমৃদ্ধ খাবার নাকি আপনি রেগুলারলিই খান, এটা জানা আছে।
ভাগ্যিস, ব্লগটা এখনও টিকে আছে বিধায় নিজে নিজে কথা না বলে বা সেল্ফ টকিং না করে আমাদের সাথে বলেছেন! নইলে কি যে হতো...................
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৩
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া ভিজিটর লিস্টে তোমাকে দেখে আল্লাহ আল্লাহ রাম রাম সীতা সীতা করছিলাম.....
ভাবছিলাম এই রে জারী জুরি এবার টসকে গেলো.....
তবে হ্যাঁ এই রোগ নিয়ে তোমার যতই আমাকে মহা আনন্দের ম্যুড নিয়ে লিখেছি মনে হোক এই রোগ বা রোগের উপসর্গগুলি আমার খুব কাছের মানুষের সাথে সাথে আমাকেও বিভ্রান্ত করে তুলেছিলো একটা সময়। তখনও আমি এই ব্লগেই ছিলাম তবে আমি সদা ও সর্বদা সেরাটোনিন ম্যুডে অভিনয়টা ভালোই চালিয়ে যেতে পারি তাই কেউ কখনও খুঁজে না পায় আমার দুঃখ/কষ্ট/বিরক্তিলোকের চাবী!
জেগে তাই তো ভাবি!!
আমি এত মহানন্দ সদানন্দ ও সুখী মানুষ কেনো???
আর হ্যাঁ ব্লগটা নমো নমো করে টিকে আছে বলেই এখনও সেল্ফ টকিং আই মিন ব্লগ হ্যালুসিনেশন টকিং মোডে চলে যাইনি নইলে দেখা যেত জি এস ভাইয়া তুমি কি আমার এবারের বইটা পড়েছো? বা শাহরীয়ার কবির আমি তোরে শুটকী রান্না করাবো এই সব বিড় বিড় করার কারণে আমাকেই প্রত্যয়ে অভিবাসন বা নির্বাসন দেওয়া হত !
২৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইদানিং আমিও প্রায়ই নিজে নিজে কথা বলি......তবে বেশীরভাগই গালাগালি!
মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের এই ব্যাপারে বক্তব্য কি?
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
শায়মা বলেছেন: হা হা হা
কাকে গালাগালি করো ভাইয়া!!!!!
যাইহোক, ভাইয়া কাল একটু খবর নিও ....
যেই ঠিকানা দিয়েছিলে সেই ঠিকানায় .......
২৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সবই না হয় বুঝলাম কিন্তু আমার নামের বানানটা
আমি কিন্তু পন্ডিত সাথে দুষ্টুও বটে
এইমাত্র তোমাকে আমার সামনে দেখতে পেলাম
এটাও কি হালুমসিনেশন থুক্কু হ্যালুসিনেশন
একটু সময় নিলাম কমেন্ট করতে.......
ওয়েট করলে Weight কমে
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৮
শায়মা বলেছেন: তোমার নাম নাকি!!!
সেটা তো অন্য কারো নাম ছিলো!!!!!!!!!!
আমাকে দেখতে পেলে ????
কি রঙ্গের জামা বলো দেখি ....... হ্যালুসিনেশন নাকি টেলিপ্যাথী.....
২৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ওপস..... টেলিপ্যাথি হইবেক
লাল রঙের জামা
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
শায়মা বলেছেন: আহা আহা টেলীপ্যাথীও হয়নি!!!!!!!!! পিন্ক ছিলো !
৩০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সিজোফ্রেনিয়ায় যারা ভুগেন তাঁদের ক্ষেত্রে অনেক মজার মজার কাণ্ডও ঘটে থাকে। যেমন- তাঁদের হাত-পা আপনা-আপনিই চলতে পারে।
আসলে, এই রোগটি ধর্মকে কটাক্ষ করার জন্যেই আবিস্কার হয়েছে।
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
শায়মা বলেছেন: ধর্মকে কটাক্ষ করার জন্য!!!!!!!
এমন ইতিহাস কোথায় পেলে ভাইয়া!
জীবনে প্রথম শুনলাম!
সিজোফ্রেনিয়া তার সিম্পটম ভয়াবহ!!!
৩১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: কিছু মানুষ ধর্মকে কটাক্ষ করতে এটা ব্যবহার করে, আপুনি।
মহানবী (সাঃ)-কে সিজোফ্রেনিয়ার রোগী বলে কিছু ধর্ম না-মানা মানুষ। নবীজী (সাঃ) ওহী নাজিলের সময় একটা বিশেষ অবস্থায় বলে যেতেন। তাছাড়া, ফেরেশতাদের সাথে কথা বলতেন। কিন্তু, ফেরেশতাদের অন্য্ কেউ দেখতে পারতো না।
এই অবস্থাকে কিছু দুষ্ট মানুষ 'সিজোফ্রেনিয়ার' রোগ বলে কটাক্ষ করে।
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ সেটা আমি শুনেছি......
৩২| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
উল্লেখিত অব ধরনের মেন্টাল ডিসওর্ডার আমার আছে বলে নিজেকে বিবেচনা করি। আমার ট্রিটমেন্ট দরকার।
২০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
শায়মা বলেছেন: হায় হায় হায় কি বলো!!!
তাড়াতাড়ি ঠিকানা দাও। ডক্টর পাঠিয়ে দেই।
৩৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
ম্যাড ফর সামু বলেছেন: আপু এইটা আপনি করলেন কি? আমিও তো দেখি আপনার দেওয়া ক্যাটাগরির কোন একটাতে পড়ি। আমি তো ডাইরেক্ট ডিক্লেয়ার দিয়াই পাগল হইছি। তারপরও সবার সামনে আমারে এইভাবে ফ্ল্যাশ না কি করলে চলত না, হুম?
আমি কিন্তু দুলাভাইয়ের কাছে কইয়া দিমু, আপায়ও এইবার আমরার দলে ভিড়বার লাগছে।
২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা
তুমি তো নামেই পাগলা লিখে রেখেছো ভাইয়ু!!!!!!
৩৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
আখেনাটেন বলেছেন: তখন বেশ ছোট। সন্ধ্যার সময় স্কুলের পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছি একা। চারিদিকে শুনশান। একটি মানুষও দেখছি না আশেপাশে।
স্কুলের কাছের বিশাল আম গাছের মাথার উপর দিয়ে বিশাল গনগনে আগুনের থালার মতো সূর্যটা ডুবে যেতে দেখছি। পাশ কাটিয়ে ঐ ছমছম পরিবেশে এগিয়ে যাচ্ছি বাড়িমুখে। হঠাৎ পেছন ফিরে দেখি গোটা আগুনের থালাটা বিশাল এক ড্রাগনের রূপ ধারণ করে আমার দিকে উড়ে আসছে ভয়ঙ্করভাবে।
আমাকে আর পায় কে? বিকট এক চিৎকার দিয়ে খিঁচে দৌঁড় উসাইন বোল্ট স্টাইলে। এরপর কয়েকদিন ভীষণ জ্বর। ব্যাখা কী?
২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা
এটা হলো আখেনাটাইন পিরামিডু (তিরামিসুরভাই) হ্যালুসিনেশন ভাইয়া .....
এটা এক রমন ভয়ংকর হ্যালুসিনেশন। এই সিম্পটম দেখা দিয়ে তাহারা একদিন ড্রাগনের মুখের নিশ্বাসে উড়ে গিয়ে ফিনিক্স পাখিতে রুপান্তরিত হয়!
হা হা হা হা হা
যাইহোক ভাইয়ামনি-
ছোট বাচ্চাদের মাঝে মাঝেই এমন সব আলৌকিক কল্প কাহিনী দেখেছে বা শুনেছে বলে ভয় পেতে দেখা যায়। অনেক বাচ্চারাই আবার একা একা কথা বলে বলে খেলে যেন কারো সাথে কথা বলছে বা কেউ সামনে আছে। এর কারণ ইমাজিনারী ফ্রেন্ড বলে তাদের কেউ কেউ আছে।
যা ভূতের আসর বলে মনে হলেও পুরাই ইম্যাচিউর কল্পনাবিলাসী মনের ভাবনা চিন্তা।
তুমিও সামনে বিশাল গনগনে সূর্য্য দেখে তা এমনই মনের মধ্যে গেঁথেছো যে সূর্য্যটা তোমার প্রাণের আকুল আবেদনে পিছে পিছে ড্রাগন হয়ে তোমাকে ধাওয়া করেছে।
এই সূর্য্য তোমার মনের আলৌকিক কল্পনা.......
৩৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
শায়মা বলেছেন: আপনার বাসায় কোনো ছোট শিশু আছে? তাকে লক্ষ্য করুন। দেখবেন, মাঝে মাঝেই সে এমন একটা ভাব করছে যেন তার সামনে কেউ একজন বসে আছে আর তার সাথে কথা বলছে। অথচ সেখানে কেউ নেই। কেবল এই শিশুটিই নয়, জেনে অবাক হবেন যে, হয়তো আপনিও ছোটবেলায় এমনই অদৃশ্য কারো সাথে কথা বলতেন, নিজের গল্পগুলো বিনিময় করতেন আর খেলতেন। অনেকটাই যেন হরর কোনো মুভির ঘটনা। তবে না, এটি কোনো ভূত-প্রেত সংক্রান্ত কিছু নয়। অদৃশ্য কারো সাথে কথা বলা বা তাকে সত্য মনে করার এই মানসিক সমস্যাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ইমাজিনারি ফ্রেন্ড ডিজঅর্ডার’। এমনিতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও এই সমস্যায় আক্রান্তরা নিজেদের অদৃশ্য বন্ধু তৈরি করে ফেলেন মনে মনে। চিন্তার ব্যাপারটি হচ্ছে এই যে, কেবল ছোট শিশুই নয়, এই সমস্যায় ভোগেন অনেক বয়স্ক মানুষও। সবকিছু বোঝার পরেও অদৃশ্য এক বন্ধুর সাথে সখ্য গড়ে তোলেন তারা। যেমনটা ভুগেছিলেন কোল। এখন প্রশ্ন ওঠে যে, কেন এমন কাল্পনিক বন্ধু তৈরি করে মানুষ? কী কারণ থাকতে পারে এই মানসিক সমস্যার পেছনে?
৩৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
শায়মা বলেছেন: @আখেনাটেন ভাইয়া
পড়ো ......
গল্পটা রিকি কোলে নামক এক তরুণের। একের পর এক মানুষকে খুন এবং আহত করে যাচ্ছিলেন কোল। ২০১৩ সালে জ্যাসন কোটের হাতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। একটা সময় ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোল। আদালতে কোটের বিরুদ্ধে কথা উঠলে তার আইনজীবী এক অদ্ভুত কথা শোনান। আর সেটি ছিল কোল এবং তার অদৃশ্য বন্ধু ভার্নের কথোপকথনের কথা। পাশ থেকে সেসব কথা শুনে নিজের প্রাণ বাঁচাতে একটা সময় কোট আঘাত করেন কোলকে। আদালত ৪৫ বছরের যাবজ্জীবন প্রদান করেন কোটকে। তবে চায়ের টেবিলে সেসময়কার গল্পগুলো তৈরি হয় ভার্নকে নিয়ে। কে ছিল এই ভার্ন? কেনই বা কোল তাকে বন্ধু বানিয়েছিলেন? আপনার মনেও কি এই প্রশ্ন জাগেনি? জানতে ইচ্ছে করছে না যে, কোলের এই অদৃশ্য বন্ধু ভার্ন আসলে কে? তা জানতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে ইমাজিনারি ফ্রেন্ড ডিজঅর্ডার বা কাল্পনিক বন্ধুসংক্রান্ত মানসিক সমস্যা সম্পর্কে।
https://roar.media/bangla/main/health/imaginary-friend-disorder-do-you-have-any-imaginary-friend/
৩৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: এটাতো সেই ড. জেকিল অ্যান্ড মি. হাইডের মতো মনে হচ্ছে। মানুষের অবচেতন মন বড়ই আশ্চর্য্যমন্ডিত।
আর আমার ঐ উপরের লেখার ব্যাখ্যাটা পরে একজন দিয়েছিল। সে সময় গ্রামের আশেপাশের জলাশয়গুলোতে বেশ বড় বড় অতিথি পাখি আসত। সেগুলো গ্রামের বড় বড় গাছগুলোতে সাধারণত আশ্রয় নিত। সেসময় সেই আমগাছেও ঐ জাতীয় পাখি হয়তবা বসে ছিল। আর আমি যে মুহূর্তে পিছনে তাকিয়েছি সে সময় হয়তবা পাখিটিও গাছ থেকে উড়াল দিয়ে কোথাও যাচ্ছিল। এবং সেটা আমার আর সূর্যের মাঝামাঝি হওয়ায় ঐ ড্রাগনরূপধারন। আমার নিজের মনেও নানা রূপকথা পড়ে আপনার ভাষায় হ্যালুসিনেশন বা দৃষ্টিভ্রম ঘটে গিয়ে ঐ বিড়ম্বনা।
তবে আমি কিছু বাস্তব ঘটনার সাক্ষী যার কোনো ব্যাখ্যা এখনও আমি দাঁড় করাতে পারি নি। ব্লগে সেগুলো নিশ্চয় একদিন দিব। তবে ব্লগের এখন যে মৃতপ্রায় অবস্থা স্টিভ বিল গব্বর সিংহের কারণে তাতে.........
২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
শায়মা বলেছেন: ডোন্ট কেয়ার স্টিল বিল গব্বর সিংহ !!!!!!
আমাদের লেখা আমরা লিখিয়া যাইবোক!!!!!!
আর সেই আমগাছ, পাখি আর সূর্য্য যেই ব্যাখ্যাই যেই দিক এটা কিন্তু শিশুমনের কল্পনাই। এতে কোনো হ্যালুসিনেশনের তেমন ভয় নেই বলেই আমার মনে হয়। তবে এই ঘটনার পুনারাবৃতি হলে বা বার বার ওমন কিছু তুমি দেখলে তা হত মানসিক বা ভুতুড়ে সমস্যা!
৩৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭
জুন বলেছেন: হ্যালুশিনেশন চোখ দেখে আমিও মুগ্ধ তোমার মত শায়মা । তোমার আঁকা ছবিটাও অনাবদ্য ।
এসব কি নিজে নিজে বললাম নাকি
অনেক ভালোলাগা রইলো মানে ২১ নম্বর
+
২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
শায়মা বলেছেন: হা হা আপু আমি নিজের অজান্তে এমন হ্যালুসিনেশন ছবি আকি ইহা জানিতাম না!!!!!
লেখালিখি করতে গিয়ে গুগলে হ্যালুসিনেশন ছবি দেখতে গিয়ে আমি তো অবাক!!!!!!!
৩৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,
জানিয়ে রাখি আপনার বইটি কিনেছি তবে এখনও পড়া হয়ে ওঠেনি, সময়ের টানাটানির জন্যে। তবে কঙ্কাবতী যে সেরাটোনিন ম্যুডে থাকে তাতে কেউ যে কখনও খুঁজে না পায় তার দুঃখ- কষ্ট-বিরক্তিলোকের গল্পকথা, তা যে বইটিতে অনুক্ত থাকবে , বুঝতে পারি!
না জানাই ভালো, মানুষের কিছু কিছু গোপন দুঃখ- কষ্ট-আনন্দকে বেআব্রু করতে নেই।
২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়ামনি
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা......
মানুষ অযথাই দুঃখ বিলাসী.....
কোনো মানুষ তো দুঃখের পেনপেনানী চর্চাই করে।
আমি কিন্তু সুখ বিলাসী ভাইয়া..... যখন যাহা ভালো লাগে তাহাই করি....
তবে এই দুঃখের পেনপেনানী এই নিকে লিখবোনা ভেবেই সেই নিকে লিখতে গিয়ে দুঃখের প্রেমে পড়ে গেলাম মানে আমাকে সবাই মিলে পড়ালো আর কি .....তাই বইটা প্রকাশের সাথে সাথে নিজেও একটু প্রকাশিত হতেই হলো .....
অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া......
অনেক ভালো থেকো.....
৪০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
করুণাধারা বলেছেন:
খুব কঠিন একটা বিষয়কে সহজ করে লিখেছ। এটা পড়ার পর ডিল্যুশন, হ্যালুসিনেশন ডিমেনশিয়া, ইলিউশন কাকে বলে, আর এগুলোর মধ্যেকার পার্থক্য খুব সহজেই বোঝা গেল। আমার এক ডিমেনশিয়া আক্রান্ত আত্মীয়া সব সময় বলতেন যে, তার সন্তানেরা তার সব সম্পত্তি নিয়ে নেবার মতলব করছে। তুমি বলছো এটা পারসিকিউটরি হ্যালুসিনেশন; অথচ আমরা এটাকেই ডিমেনশিয়া বলে জানতাম; কারণ তিনি কিছু মনেও রাখতে পারতেন না। অর্থাৎ দুটোই ওভারল্যাপ করেছিল এক্ষেত্রে। তুমি যেমন অনেকরকম হ্যালুসিনেশনের উদাহরণ দিয়েছো; আমাদের চারপাশে তাকালেই আমরা এ ধরনের হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত অনেক মানুষ দেখতে পাই, শুধু চিনে নিতে হবে। ভেবেছিলাম অনেকেই এ নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, কিন্তু তেমন অভিজ্ঞতা শেয়ার দেখতে পেলাম না!! দুঃখ পেয়েছি আরোগ্যর অভিজ্ঞতা শুনে! এক্ষেত্রে সম্ভবত রোগের প্রথমদিকে যথাযথ চিকিৎসা হয়নি, ফলে যা হয়েছে, একে বলে "বার্ণট আউট কেস", এমন রোগীকে পরে কখনোই পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা যায় না........
আমাদের সমাজে হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত মানুষকে জ্বীনে ধরেছে বলে ঝাড়ফুঁক করা হয়, ফলে রোগ বেড়ে যেতে থাকে। আমার মনে আছে, আমি একবার প্রয়াত সাইক্রিয়াটিস্ট ডাঃ সৈয়দ কামাল উদ্দিন আহমেদ এর কাছে রোগী নিয়ে গিয়েছিলাম। যে ঘরটিতে রোগীরা অপেক্ষামান থাকেন, সেই ঘরে একটা ১৪/১৫ বছরের মেয়ে বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলো জামাকাপড় বিছিয়ে রাখছিল, আর মুখে একটানা বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছিল বিশ্বশান্তি- সমাজ ব্যবস্থা, এইসব নিয়ে। আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম, মেয়েটা এসব কি মুখস্থ বলছে নাকি নিজে নিজে বানিয়ে বলছে! ওকে যে নিয়ে এসেছিল, তাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম মেয়েটাকে অদৃশ্য কেউ কানে কানে এসব কথা বলছে, আর সে তা রিপিট করছে। একই সাথে মুখ আর হাত চলছিল। সব কাপড় বিছানো হয়ে গেলে সে আবার সব কাপড় গুলো তুলে নতুন করে বিছাচ্ছিল। প্রায় আধা ঘন্টা পরে মেয়েটার ডাক পড়ল ডাক্তারের কাছে, সে বক্তৃতা দিতে দিতেই ডাক্তারের রুমে ঢুকলো। এই ডাক্তার দীর্ঘ সময় নিয়ে রোগী দেখতেন, ফলে এই মেয়েটার পরেই যখন আমাদের ডাক পড়ল তখন দেখলাম মেয়েটা শান্তভাবে ডাক্তারের রুমে দাড়িয়ে আছে, পরে সালাম দিয়ে বের হলো। আমার খুব ইচ্ছে করছিল ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করি কি করে তিনি এই পরিবর্তন ঘটালেন, কিন্তু এমন প্রশ্ন করা উচিত হবে না ভেবে করিনি। এই মেয়েটার সাথে যারা এসেছিলেন তাদের দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম এরা ঝাড়ফুঁক না করে ডাক্তারের কাছে কি ভেবে নিয়ে এলেন। তবে তারা একেবারে ঠিক কাজটা করেছিলেন।
কমান্ড হ্যালুসিনেশনে মানুষ কখনো কাউকে মেরে ফেলার আদেশ শুনতে পায়, এবং সেই আদেশ পালন করে। সময়টা মনে করতে পারছি না, কিন্তু রামপুরার এক মা কিছুদিন আগে তার দুই সন্তানকে এভাবে খুন করেছেন আদেশ শুনতে পেয়ে। তার আগে একবার পত্রিকায় দেখেছিলাম প্রয়াত অভিনেতা গোলাম মোস্তফার বড় ভাইকে তার ছেলে হঠাৎ করে ফল কাটার ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে মেরে ফেলেছে, ছেলেটা অবশ্য সিজোফ্রেনিয়া- আক্রান্ত ছিল।
তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ পরিবারের যে কোনো একজনের মাঝেই এমন সব সিমটম দেখতে পেলে বুঝতে চেষ্টা করা আসলেই তার সমস্যা কি ও সমাধান কোথায়। একদম ঠিক। আমার পরিচিত এক ছেলে একেবারে স্বাভাবিক; একদিন সে তার খালার কাছে গল্প করছিল, রাস্তায় লালবাতিতে গাড়ি আটকে থাকলে সে চোখ দিয়ে তাকিয়ে বাতি কে সবুজ করে ফেলতে পারে। কয়েকবার এ কথা শুনে তার খালা বুঝতে পেরেছিল, তার চিন্তা ধারা অস্বাভাবিক। তাকে জোর করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে দেখা গেল, তার সিজোফ্রেনিয়া।
শেয়ার করি তোমার কথাই:
মনে রাখতে হবে হ্যালুসিনেশন কোনো রোগ নয় এটা রোগের একটা উপসর্গ....
তাই প্রিয়জনকে রক্ষা করতে প্রিয়জনদেরকেই সচেতন হতে হবে, রক্ষা করতে হবে। একটি জীবন অনেক মূল্যবান। এই মূল্যবান জীবনে সুন্দর করে বেঁচে থাকার অধিকার সকলের। শুধু সেই চেতনাটি যখন হারিয়ে যায় তখনই প্রয়োজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার। সেই হাতটি হতে পারে আপনার.....
তোমার এই লেখা আমাদের সচেতন হতে অনেক সাহায্য করবে। এছাড়া তুমি প্রতিমন্তব্যে বাইপোলার ডিসঅর্ডার আর ওসিডি নিয়ে যা লিখেছ, তাতেও অনেক কিছু জানা হলো। এতদিন পর্যন্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডার সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল, এটা মুড সুইং- একবার ভালো একবার খারাপ! এর বেশি কিছু জানা ছিল না।
তুমি আমাকে কঙ্কাবতীর কথা পাঠাতে চেয়েছো, সে জন্য অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু একই বই দুটো দিয়ে কি করব? তার চাইতে ভালো, তোমার পরের বইটা আর আগেভাগে কিনব না, সেটা তোমার থেকেই নেব....... কঙ্কাবতীর কথা সহ ব্লগারদের লেখা আরো কয়েকটা বই কিনেছি, সে গুলো কেমন লাগলো লেখা উচিত; জানি, কিন্তু কিছুতেই কিছু লিখতে পারছি না যে.......
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই আপু, আরোগ্য ভাইয়ার সিচুয়েশনে মাকে প্রথম দিকেই চিকিৎসাতে নিলে এই অবস্থা হত না। এখন হয়তো পরিস্তিতি কন্ট্রোলের বাইরে।
যেই মেয়েটিকে সঠিক সময়ে ডক্টরের কাছে নিয়ে এসেছিলো বলে তোমার মনে হয়েছে এমন সঠিক সময়ে নিয়ে আসা বাবা মা বা পরিবারের প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা। অনেকেই ঝাঁড়ফুক জ্বীনে ধরা ছাড়াও মানসিক রোগের ডক্টরের কাছে যাবে এ কথাটা মানতেই পারে না তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে।
হ্যাঁ আমিই সেটাই জানি সিজোফ্রেনিয়াতেই এই সব হ্যালুসিনেশন হয়। ভয়াবহ পরিস্তিতির সৃষ্টি করে রোগী নিজেই ভয় পেয়ে।
লাল নীল সবুজ এই সব হ্যালুসিনেশন নিয়ে পড়তে গিয়ে এবং আমার দেখা রোগীর মুখে সেসব কথা যখন শুনেছিলাম আমার মাথা ঘুরে গেছিলো । আমি ভাবছিলাম এ কোনো পাপে মানুষের বোধ বুদ্ধি চিন্তা উলটো পথে খেলা করে? আমার এত ভীষন কষ্ট হয়েছিলো আপু। ভেবেছিলাম এই রোগ থেকে মুক্তির পথ বুঝি সত্যিই নেই। পরে হতাশা ঝেঁড়ে শক্ত হাতে হাল ধরি এবং সফল হই। আমি সব সময় আশাবাদী মানুষ আপু। হাল ছেড়ে দেওয়া আমার জীবনের ইতিহাসে নেই। সেই আমি এই লাল নীল এর রহস্য আজও খুঁজে পাইনা মানুষ একজন সুস্থ্য সবল মানুষ কি করে হঠাৎ এমন উদ্ভট চিন্তায় চলে যেতে পারে। এ আসলেও এক রহস্য। তবে কাছের মানুষদেরকে জানতে হবে, বুঝতে হবে যখন কেউ অস্বাভাবিকতা দেখায়।
আপু কঙ্কাবতীর কথার সাথে তুমি জড়িয়ে আছো। ভুয়া মফিজভাইয়া, কাতিআশা আপু আরও অনেকের কথা ভোলা হবে না আমার আর তাই আমিই পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। নেক্সট টাইম সেই সুযোগ দিয়ে দিও আপুনি!
লাভ ইউ সো মাচ!
তোমরা আমাকে এত ভালোবাসো কেনো জানিনা আমি!
৪১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
অবেলার পানকৌড়ি বলেছেন: আপু একা কথা বলার একটা ভাল দিক হলো আপনি কখনও আঞ্চলিকতায় জড়াবেন না অথচ নির্দিষ্টপরিবেশে টানা কয়েকবছর সেই এলাকার মানুষের সাথে কথা বলতে থাকলে কিন্তু ভাষার মাঝে একটা আঞ্চলিকতার টান চলে আসে! am I right?
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা ঠিক বলেছো ভাইয়ামনি!!!!!
৪২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
অবেলার পানকৌড়ি বলেছেন: আজ প্রায় ৭ দিন হয়ে গেল ৪১ টি উত্তর ৪২ টি মন্তব্য! আপু কি হারিয়ে গেলেন?
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
শায়মা বলেছেন: হারিয়েই যাই মাঝে মাঝে এত এত ঝামেলায় জড়াই মাঝে মাঝে! যদিও সেটা আনন্দময় ঝামেলা ব্যস্ততা!!!!
৪৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০০
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ঠিকঠাক প্রতিউত্তর হবে:
শায়মা, সায়মা!
জানু আপু?
কই ছিলে অ্যাদ্দিন?
আমি ব্লগে আসি আর তোমাকে খুঁজি।
* তোমার কি বাবু হবে?(কেন জানি এই প্রশ্নটা, কয়দিন থেকে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে)
[আমার দুটো আইডি ব্যান(এটা জেনারেল, আর ওটা ওয়াচ), ৮-৯মার্চ থেকে। রাগ করে কয়েকদিন ব্লগে আসি নি।(মার্চে)। ]
পোস্টের বিষয় নিয়ে তো আমি চিন্তিত। অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন... সবগুলো তে ভূগছি দেখছি।
পুনস্চঃ
কমেন্ট এডিট করেছি দুই বার।
একবার ভাবলাম ফেসবুক আইডি/ফোন নাম্বার চাইবো।(ব্লগে না থাকলে যেন খবর নিতে পারি)
আরেকবার ভাবলাম একটা পুরাতন আইডি চাইবো। ধূর ছাই। লিখবোই না আর..
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
শায়মা বলেছেন: হা হা
আমি ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিল মহা মহা বিজি থাকি।
যদিও আনন্দময় ব্যাস্তবেলা.....
তবুও থাকতে হয় ....... বা থাকি........
আনন্দ নিয়েই থাকি।
তবে এবারে পহেলা বৈশাখের আগে পাপেট শো নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ভালোই সিক হয়ে পড়েছিলাম। তাতে কি এই সিকনেসে থেমে যাবো এই কি হয় নাকি!!!!
আর বাবু হবার কথা শুনে হাসছি।
হা হা হা হা
ভালো কথা মনে করেছো....... হা হা হা হা
আইডি ব্যান হলো কেনো?
কি করেছিলে আবার!!!!!!
অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন
এসবের স্যলুশন কিন্তু তোমার নিজের হাতেই আসলে....
[email protected]
( Neera Nirupoma)
৪৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১
অনল চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীতে মন আছে এমন কেউ নাই যে কোন না কোন রকম মানসিক রোগী না।
মাত্রা ছাড়িয়ে না গেলেই হয়।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই ........
আমরা সবাই কিছু না কিছু মানসিক রোগে আক্রান্ত....
৪৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
অবেলার পানকৌড়ি বলেছেন: পরিবারে বড় বোন না থাকলে ছোটভাইদের মাঝে একরকম অসুখ দেখা দেয় আবার পরিবারে বড় ভাই না থাকলে ছোটবোনদের মাঝে এরকম অসুখ দেখা দেয়। পথের প্যাঁচালী র দূর্গার কথা মনে পড়ে গেল।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৭
শায়মা বলেছেন: কি রকম অসুখ সেটা! মানে ভাই বোন সিনড্রোম........
দূর্গার কি ছিলো ?
হ্যালুসিনেশন?
৪৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পাঠ করে বিমোহিত হলাম।
আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩২
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া!!!!
৪৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৫
অবেলার পানকৌড়ি বলেছেন: একটু কম কথা বলত। কি করবে জানা নাই। তার মনের ভেতর কি চলছে কেউ জানেনা। এভাবেই একদিন মরে যায়।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
শায়মা বলেছেন: হুম!!!
শকে এমন হয়.......
৪৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একখানা কোবতে পোস্ট করিয়াছি
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০২
শায়মা বলেছেন: গুড!!!
কবিতা ইজ গুড ফর ছুটির দিন.....
৪৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৮
জুন বলেছেন: শায়মা ,
যেভাবে আমাদের কথা বলার যায়গা এই সামহ্যোয়ারের টুটি টিপে ধরেছে লোকজন,
তাতে মনে হচ্ছে অল্পদিন পরে আমাদেরকেও নিজেদের সাথে কথা বলতে হবে দেখছি
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হুম!!!!
হ্যালুসিনেশনও দেখবো ......
সামু হ্যালুসিনেশন.......
তারপর সব্বাই মেন্টাল হসপিটাল গিয়ে যারা এই সামু বন্ধ করেছে তাদের টুটিও চেপে ধরবো!
৫০| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নতুন গল্প দিয়েছি, একটু দেখবা
০২ রা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা দেখবো!
৫১| ১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার এই পোস্টটা পড়ো
১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৬
শায়মা বলেছেন: ওকে। পড়ছি।
৫২| ১৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: খাওয়া-দাওয়া নিয়া পোস্ট দিবা নাকি
দিয়া ফেল
বহুদিন তোমার রান্নার পোস্ট পাই না
১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
শায়মা বলেছেন: হাহাহা দেবো ভাবছিলাম কিন্তু সামুর এই দশা দেখে চিন্তায় আছি।
৫৩| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সামুর তো করুণ দশা। গভীর রাতে ৮ - ১০ জন ব্লগার থাকে। আমিও এজন্যই ব্লগার চাঁদগাজীর উপর গবেষণার পোস্টটা পাবলিশ করছি না।
করে ফেল ! রমজান শেষে তো আর ইফতারি হবে না।
১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০২
শায়মা বলেছেন: হুম!!!!!!!! তাড়াতাড়ি করে ফেলবো!!!!!!!
৫৪| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৫০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তোমার রান্না পোস্টগুলা মিস করতেছি গো
১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৩
শায়মা বলেছেন: ডোন্ট মিস!!!!!!!
স্কুল এখনও খোলা। বন্ধ হলেই পোস্টু!!!!!
৫৫| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তোমার মিসিং হ্যালুসিনেশন খুব সহসা শেষ হবে কিনা বুঝতে পারছিনা । কবে যে সরকার সদয় হয়। ততদিনে হ্যাবিচুয়েটেড হয়ে গেলে কনস্টান্ট মিসিং হ্যালুসিনেশন হবে মনে হয়।
২০ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:০২
শায়মা বলেছেন: এখন তো ফরগেটিং হ্যালুসিনেশন শুরু হয়েছে!
৫৬| ০৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ পোষ্টটি সরাসরি প্রিয়তে ।
পরে সময় করে ভাল করে পড়ব ও দেখব ।
অসাধারণ পোষ্টটি সরাসরি প্রিয়তে ।
পরে সময় করে ভাল করে পড়ব ও দেখব ।
০৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭
শায়মা বলেছেন: ঈদ মুবারাক ভাইয়ামনি!!!!!!!!!!!!
৫৭| ০৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তোমার সুন্দর সুন্দর রান্নার একটা পোস্টও পেলাম না এখনো
কিছু তো পোস্টু দাও শামা
ঈদের শুভেচ্ছা
০৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
শায়মা বলেছেন: কালকেই ইনশাল্লাহ ঈদসংখ্যা পোস্ট!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আচ্ছা ব্লগ বন্ধের ঝামেলায়তো হ্যালুসিনেশন হবে না ।শোক হবে সৃষ্ট, তাতে মন কষ্ট, চোখ বন্ধ, চোখ অন্ধ ইত্যাদি । মাঝে মাঝেই একা একা কথা বলে নিজের মধ্যেই যে উচ্চ মার্গীয় ভাবটা আসতো আপনার লেখা পরে সেই উচ্চমার্গীয় ভাবটাকেতো দেখি এখন থেকে পাঠিপেটা করে তাড়াতে হবে । নইলে আপনা বর্ণিত কোনো রোগে আবার না আক্রান্ত হই কে জানে ।লেখা এজ ইউজুয়াল ব্রিলিয়ান্ট । ভালো লাগা আর প্লাস দুটোই।