![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
রঙে রঙে রঙিন বসন্ত ফুরোতে না ফুরোতেই চলে এলো বাঙ্গালীর প্রানের উৎসব নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া পহেলা বৈশাখ। সেই উৎসব ঘিরে কেটে গেলো বেশ কিছুদিন। ব্যস্ততায় কাটলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রিহার্সেল, জামা কাপড়, সাজুগুজু কেনার ব্যস্তময় দিনগুলো। বৈশাখের প্রথম প্রহরেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে শুরু হলো আমার আবাসিক এলাকা বা সোসাইটির বৈশাখী আয়োজন। নাচে গানে, খানাপিনায় আনন্দোৎসবে সামিল হলাম আমরা।
বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ এর প্রাক্কালে আমাদের এই শিল্পগোষ্ঠির উদ্যোগে প্রতি বছরের মত এবারেও ছোট্ট একটি গীতি আলেখ্যানুষ্ঠান "নব আনন্দে জাগো" মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিলো সেদিনের সকালটি। প্রতি বছরের মত আমাদের সাংস্কৃতিক কমিটির প্রধান আপার বাসায় মহা সমারোহে রিহার্সেলের পর শেষ হলো সেদিনের সকালের গান। এরপর ছিলো নাচ।
এসো শ্যামল সুন্দরও!!!
আইলো আইলো আইলো রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে ....
বলছিলাম রিহারসেলের কথা। মানে ঐ আপার বাসায় রিহার্সেল। আপার বাসায় কোনো গানের আয়োজন মানেই স্বপ্নীল ব্যপার স্যাপার। রাজপ্রাসাদের মত বসার ঘরটিতে থাকে গলা ভালো করার সকল উপাদান। আদা চা, লেবু চা, গরম পানি থেকে শুরু করে লং, আদা, জষ্ঠি মধু সবই। আর সাথে আছে নিত্য নতুন খানাপিনার আয়োজন।
আরেকজন আমাদের দলে আছেন বিশেষ সঙ্গীতজ্ঞ আপা। গানের সূর আর কথায় একটু এদিক সেদিক হলেই ধমক ধামকে সুরকে সঠিক পথে এনেই ছাড়ে। আরও আছেন শুভ্র সুন্দর স্নোহ্যোয়াইট আপা, ভীষন ভালোমানুষ আপা, ফ্যাশন মডেল আপা এবং ভীষন ঠোটকাঁটা আপা। ইনারা সবাই আমার থেকে বড় হলেও আমার সৃজনশীল প্রতিভার বেশ কদর করেন আর তাই আমি সেখানে একটু মাতবরী করার সুযোগ পাই আর কি।
তারা সবাই গান গেয়েছিলো কিন্তু আমি আমাদের সেই নব আনন্দে জাগো গীতি আলখ্যানুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে পড়া সকল কথামালায় কন্ঠ দিয়েছিলাম আর সেটা লিখেছিলামও। যদিও কন্ঠ নিয়ে তখন ভয়ে ভয়ে ছিলাম কারণ একই সাথে চলছিলো তখনই স্কুলের পাপেট শো কার্য্যক্রম আর সেখানেও কন্ঠ দিতে গিয়ে গলা প্রায় হয়ে উঠছিলো প্যাক প্যাক ফ্যাশ ফ্যাশ!
আমাদের নববর্ষের গানের পোশাক হবার কথা ছিলো মনিপুরি শাড়ির একেক রঙ। সকলেই গভীর মনোযোগে গান শেখার আগে থেকেই শুরু হয়েছিলো মনিপুরী শাড়ি খোজার পালা। হা হা সে এক মজার কান্ড কীর্তি! একদিন রাতে প্রধান আপাকে অনলাইন মনিপুরী শাড়ির লিংক দিয়ে দেখি রাত ১ টা পার হয়ে গেছে। আপা কিচ্ছু বলেনি সেই রাত দুপুরে আমার মেসেজ পেয়েও। যাইহোক আমরা সবাই মেঘ অম্বরী নামে এক অনলাইন পেইজকে মনে হয় বড়লোক বানিয়ে দিয়েছি সেই ক'দিনেই। কারণ আমরা শিল্পীরা ছাড়াও বারিধারা সোসাইটির অন্যান্য মহিলা মেম্বারেরাও সেজেছিলেন সেদিন মনিপুরী শাড়িতে। আমি নিজে এত শাড়ি পরি তবুও জানতাম না মনিপুরী শাড়ির যে এত ধরন কদর আর আকাশছোঁয়া দাম আছে। আসলে মনিপুরী শাড়ির থেকে আমি বেশিভাগ গানের সময় জামদানীই শাড়িকেই প্রাধন্য দিয়ে থাকি।
যাইহোক এবারে আমরা আমন্ত্রন জানিয়ে ছিলাম আমার প্রিয় কিছু মানুষ মানে কয়েকজজন শিল্পীকে। তবে তারা শুধু আমার প্রিয় মানুষ হিসাবেই আসেনি। এসেছিলো অতিথি আর্টিস্ট হয়ে। এদের মাঝে একজন ছিলো আমার বিশেষ প্রিয় মানুষ। সে আমার অতি প্রিয় মনীষা। মনীষা কোথাও আঁকাআঁকি শেখেনি বটে তবে ঐ যে যাকে বলে জাঁত শিল্পী। যার কোনো আর্ট স্কুল কলেজ বা ইউনিভার্সিটির প্রয়োজন নেই।
আমি চাই তার গুনগুলো ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে....
একমাত্র ছেলে শিল্পীটার পোশাকটাই ছিলো একটা শিল্প!
শিল্পীদের সাথে কিছুক্ষন
যাইহোক সেই সকালে দেখা হয়ে গিয়েছিলো আমার কয়েকজন পিচ্চুপাচ্চু স্টুডেন্টদের সাথেও। সবার ছবি দেবার পারমিশন নেই তাই দুজনের দিলাম।
রাজকন্যা ঈরাবতীর সাথে...
রাজকন্যা চম্পাবতীর সাথে...
পান্তা ভর্তা লুচি পরোটা সব্জী সুজি মাংস চা কফি ফল ফুলুরী দিয়ে সে এক ভুরিভোজের আয়োজন ছিলো সেদিন সকালে ........ নতুন বছরের সকালটা মহানন্দেই কেটে গেলো ...... তারপর আসলো দুপুরের পালা ......
নববর্ষের দ্বিতীয় প্রহর...
নববর্ষের প্রথম প্রহরের পর শুরু হলো দ্বিতীয় প্রহর। এই দ্বিপ্রহরে আমার উনার বুয়েটিয়ান বন্ধু আর বন্ধুপত্নীদের সাথে অনেক জল্পনা কল্পনা আর পরিকল্পনায় মেশানো নববর্ষের আনন্দোৎসব। সকালে সবাই একই সাথে একই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলাম। মেয়েদের সবার জন্য একই শাড়ি কেনা হয়েছিলো আর ছেলেদের জন্য একই জামা। পাঁচ বন্ধু যখন সেই একই জামা পরে আড্ডা দিচ্ছিলো, সবাই ঘুরে তাকালো। এমনকি টিভি চ্যানেলেরাও জিগাসা করতে লাগলো। আপনারা কারা ভাই! হা হা শুধু এখানেই না গেছিলাম দুপুরের খাবার খেতে আড়ং এর টেরাকোটায়। সেখানেও এক তরুন বালক এগিয়ে এলো। আপনাদের সাথে ছবি তুলতে পারি? বন্ধুত্বের এই অবাক বিস্ময়ে বিস্মিত সেই তরুণ!! সকালের গান গাওয়া মনিপুরি শাড়িটা বদলে বৈশাখী আয়োজনের দ্বিতীয় প্রহরের সেই শাড়িটা পরে আবার শুরু হলো আমার বৈশাখের দ্বিপ্রহরের পালা। আমাদের আমন্ত্রিত প্রিয় শিল্পীরা যারা আমার অনেক প্রিয় তারা বললো - আমার এনার্জী বটে ....... আবারও আরেক শাড়ি.... হা হা হা....
সবাই মিলে চলে গেলাম টেরাকোটা। সেখানে তো তিল ধারনের জায়গা নেই। অবশ্য আগে থেকেই বুকিং দেওয়া ছিলো যদিও তারা কোনো বুকিং রাখে না। তবে আমাদের দলে স্পেশাল মানুষদের স্পেশালিটির জোরে বুকিং রেখেছিলো তারা। সেখানে দুপুরের লাঞ্চ খেয়ে বিকাল বিকাল পৌছে গেলাম আমাদের ছাদঘরের বৈশাখী অনুষ্ঠানে।
গ্রামবাংলার মজাদার খানাপিনা। আপনঘর নামে এক অনলাইন শপে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে এনেছিলাম। প্রতিটা খাবার ছিলো অসাধারণ!
আমার যদিও একয়েকদিনে গানের রিহার্সেল ছিলো, স্কুলের পাপেট শো এর অনেক অনেক কাজ ছিলো তবুও আমি আমাদের বাসার এই অনুষ্ঠানকে যতখানি রঙ্গিন করে তোলা যায় সেই চেষ্টাটাই করেছিলাম প্রানপনে। মুড়ি মুড়কি গজা মোয়া নাড়ু সবকিছুর সাথে সাথে আমি আমাদের ছাদঘর বা আড্ডাঘরটাকে বৈশাখী সাজে রাঙ্গিয়ে তুলেছিলাম......
তারপর সবাই মিলে গান বাজনা হৈ চৈ। আমি তো আমার থেকে বয়স পেশা মেধায় সব বড় বড় মানুষদের উপরে আমার নার্সারী টিচিং চালিয়েই ফেল্লাম। বললাম আসো সবাই গান গাই, ঢোল বাঁজাই নাচি হাসি খেলি ...... আর অবাক হয়ে দেখলাম সবাই সবার বয়স পেশা গাম্ভীর্য্য সকল কিছু ভুলে ছেলেবেলার মত আনন্দে মেতে উঠলো ....... নাচতে না জেনেও মনের আনন্দে নাচা, গাইতে না জেনেও গাওয়া আর বাঁজাতে না জেনেও বাজানো সে আর কে পারে আমরা ছাড়া!
নতুন বছরের প্রথম দিনটা এত হাসি এত আনন্দ গানে বোধ হয় কাটেনি বহু বছর........ আমি যতই আনন্দে গান গাই, ঘর সাজাই এবারের বৈশাখ আর বৈশাখী আনন্দ তাদের আগমন ছাড়া পরিপূর্ণতা পেতো না..... এই ছবিগুলি দিতে পারলাম না অনুমতি ছাড়া।তাই নিজের ছবিই দেই।
আরও আরও উৎসবে...
নববর্ষের উৎসব যেন শেষই হচ্ছেনা এবার আমার। এত এত উৎসবে মুখরিত দিনগুলি। ক্লান্তিহীন আমি। অনেকেই আমার আশে পাশের মানুষজন জেনে গেছে যে এই উৎসবে উদ্দীপিত হয়ে উঠেছি আমি। ক্লান্তিরাই উল্টে আমার কাছে ক্ষমা চাইছে যেন। যাইহোক আমার সহকর্মীদের অনেককেই বলেছিলাম ঠিক পহেলা বৈশাখের পরেরদিনটাতেই আমরা একসাথে মজা করে ভর্তা ভাত খাবো। কিন্তু ক্লান্তি ও নানা সমস্যার কারণে ঐ মহোৎসবের ঠিক পরেরদিনটাতে অনেকেই আসতে পারেনি।
তাই যারাই এসেছিলো তাদের সাথেই নাচে গানে আনন্দ ভালোবাসায় কেটে গেলো সে সন্ধ্যাটিও। বিশেষ পাওয়া ছিলো মেঘ না চাইতেও জলের মতন একজন গিটারিস্ট। খানাপিনার পর আমাদের ছাদবাগানের চাঁদের আলোয় বসেছিলো সেদিন রাতে চাঁদের হাঁট.......
অন্য বাড়ির উৎসবে.....
সে বলেছিলো, আপনি ফ্রি আছেন? আমি একটু আমার বাসায় কয়েকজনকে বলতে চাই। আমার তো এখন সেরাটোনিন ডোপামাইন হাই আমি সাথে সাথে বললাম অবশ্যই বলো আমি এখন উৎসব ম্যুডে আছি। তোমাকে আমাদেরকে দাওয়াৎ করতেই হবে। সে বললো ওকে ওকে করবো নিশ্চয়!!!
তারপর তার বাসায় ঢুকে প্রথমেই ডানদিকে ঘাড় ফিরিয়ে আমি তো অবাক বিস্ময়!!! এত সুন্দর একটা লাইব্রেরী!!!!! চক্ষুলজ্জায় চুপ থাকলাম । সে আমাদেরকে বসালো তার শান্ত ছিমছাম ড্রইং রুমে। আমার মন পড়ে আছে তার লাইব্রেরী রুমে। জানতে পেরে সে বললো সেখানেই বসেন কোনো সমস্যা নেই। তার আগেই আরেকজন তার ক্লসেট দেখে এসেছেন ওয়াসরুম যাবার নাম করে। আমাকে বললো লাইব্রেরী দেখবেন কি তার ক্লসেট দেখে আমার মাথা খারাপ!!!
সোজা কথায় অনেকদিন ধরে মহা ব্যস্ততায় কাটানো আমরা মানে পাপেট শো এর একরাশ ক্লান্তির পর সে ছিলো আমাদের বুক ভরে নিশ্বাস টেনে নেবার দিন.......হ্যাঁ সহকর্মী ও পাপেট টিমের একজনের বাসায় বৈশাখের অনুষ্ঠান।
আমার তো ওর লাইব্রেরী রুম থেকে ফিরতেই ইচ্ছা করছিলো না। খাবার পর আমরা তো সেই লাইব্রেরীতেই ঢুকলাম আর বেরই হলাম না। ছবি তুলতে তুলতে তুলতে, গিটার ইকেলালায় সূর তুলতে তুলতে তুলতে একদম সন্ধ্যা বানিয়ে ছাড়লাম.....
নববর্ষ স্কুল কার্নিভাল আর আমার পাপেট শো......
এবারের বৈশাখ যেন নতুন রুপে এসেছে। বারিধারা সোসাইটির গান, নাচ, ছবি আঁকাআঁকি, পুরোনো বন্ধুদের সাথে সারাদিন কাটিয়ে পরদিন স্কুলের প্রিয় সহকর্মীদের সাথে নতুন বছরের ভর্তা ভাত মুড়ি মুড়কি তারপরপরই চলে এলো আমাদের স্কুলের নববর্ষ বরণ।
পুতুল নাচ বা পাপেট শো এটা আমার অনেক অনেক আনন্দময় কাজগুলোর মাঝে একটা কাজ। যদিও প্রতিবছর আমি বাচ্চাদেরকে পড়ানোর পাশাপাশি আমার স্কুলের নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকি আর তাই আমার এই পুতুলনাচ টিমের একটি বিশেষ কাজই থাকে মাঝেমাঝেই পুতুলনাচ পরিবেশনা। সে স্কুলের মাঝেই হোক বা স্কুলকে রিপ্রেজেন্ট করতে স্কুলের বাইরেই হোক না কেনো। এই পুতুলনাচ শুধু পুতুলকে নাচানোই নয়, এই পুতুলনাচের মাধ্যমে আমরা কিছু শিখাতে চাই। তাই আমরা পুতুলনাচ বা পাপেট টিমের সদস্যরা পুরোনো গল্পগুলোর সাথে শিক্ষনীয় বিষয়গুলো নিয়ে পুতুলনাচ পরিবেশন করে থাকি । আমরা ২০১০ থেকে প্রায় প্রতি বছরেই এই পুতুলনাচ পরিবেশন করে আসছি। আমাদের পরিবেশিত জনপ্রিয় পুতুলনাচের মাঝে রয়েছে পান্তাবুড়ি। যা অনেক স্কুলেই পরিবেশিত হয়েছে। আরও রয়েছে গুপী গায়েন ও বাঘা বায়েন, কুঁজো ও সাত ভূত, রাখাল ছেলে ও বাঘ, জিদ, করোনাভাইরাস ও হাবু, যাচ্ছে গাবু স্কুলেতে, জলপরী ও কাঁঠুরে, টুনটুনি ও রাজার গল্প ইত্যাদি।
আমাদের এবারের পরিবেশনা ছিলো পুতুলনাচ বোকাজামাই। যা জসীমুদ্দিনের বাঙ্গালীর হাসির গল্প "কিছুমিছু"র ছায়া অবলম্বনে তৈরী করেছিলাম। যদিও নানারকম পুতুল বা পাপেটের মাঝে রয়েছে সুতা পুতুল বা স্ট্রিং পাপেট , হ্যান্ড পাপেট বা হাত পুতুল, রড পাপেট বা শিক পুতুল ও শ্যাডো পাপেট বা ছায়া পুতুল। তবে আমাদের এবারের পুতুলনাচে আমরা ব্যবহার করেছিলাম রড পাপেট বা শিক পুতুল। নীচে পুতুল নাচ বোকাজামাই এর রিহারসেল ভিডিওটা দিচ্ছি। অফিশিয়ালটা এখনও হাতে পাইনি!
যাইহোক বৈশাখের আনন্দ এবারে যেন আশেপাশে একটু বেশিই অনুভব করেছি। সাথে নিজেও মেতেছিলাম একই আনন্দে। সবাইকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ভালো থাকুক সবাই। অনেক অনেক ভালো। নতুন বছরে এই প্রত্যাশায় কেটে যাক সকল বেলা .......
পুতুলনাচ বোকাজামই এর ইউটিউব লিঙ্ক
এই পোস্ট সেই এপ্রিলে লিখে রেখেছিলাম আজ রানার ব্লগ ভাইয়ুর কথা শুনে পাবলিশ করে দিচ্ছি। তাই এই পোস্ট রানার ব্লগ ভাইয়ুকে উৎসর্গ করা হলো।
সাথে করুনাধারা আর মেহবুবা আপুনিকেও..... কারণ কি বলো তো!!!
০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২
শায়মা বলেছেন: আরও আরও ছিলো কিন্তু অনেক ছবি মুছে দিলাম !!!!
বৈশাখ শেষ হতে চললো তবুও উৎসব এখনও শেষ হলো না ......
২| ০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: ওয়াও জমকালো সব ঝলমলে ছবি। আমি অবস্য ভাবছিলাম যে পহেলা বৈশাখ গেল , শায়মা আপুর কোন পোস্ট পেলাম না কেন । যাই হোক এবার ঝেড়ে কাশুনতো '' আপনার উনি'' টা কে ?
০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯
শায়মা বলেছেন: হা হা বসন্ত বৈশাখ নিয়ে হিমশিম খেতে খেতে একটু এইদিকে ঢু দেবার চান্সও পাই না ভাইয়া। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি তারপর ঘুমিয়ে পড়ি!!!
আর আমার উনিটা তো উনি..... ঐ যে মানে উনি মানে উনি মানে বুঝো না!!!!!!!!!!! হায় হায় হায় !!!!!!!!!
এইবার বুঝেছো নাকি আরও কিছু জানতে চাও?
কি জানতে চাও বলো তো!!
জানিয়ে দিচ্ছি তারপর .....
৩| ০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫
সপ্তম৮৪ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!
৪| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ব্লগে আবার বৈশাখী আনন্দ ফিরে এলো!!!
এবারে, বৈশাখের দিনে ছোট খালামনির বাসায় সারা দিন কাটিয়েছি। আমার খালা-খালু 'ওয়ান ডিশ পার্টি'-এর আয়োজন করেছিলেন। দুপুরে সব বাঙ্গালী খানাপিনা! আমরা ইলিশ পোলাও রেঁধে গিয়েছিলাম!
এরপরে, গানের আসর!
দারুণ ছিলো দিনটি!
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
শায়মা বলেছেন: আমার বৈশাখ ছিলো সকালে এক দল দুপুরে আরেক সন্ধ্যায় আরেক দলের সাথে। এরপরদিনও ছিলো। দুদিন পরেও ছিলো তিনদিন পরেও ছিলো।
তোমার বৈশাখও মনে হয় অনেক মজার ছিলো।
বৈশাখের পরে আবার এসেছে জীবনে আরও কিছু অনুষ্ঠানের পালা। চলছে তো চলছেই .......
৫| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০
ঢাবিয়ান বলেছেন: কিছুই বুঝলাম না ধোয়াসায় ভরা কমেন্টে
নাচ গানের ছবি খুব ভাল লাগলো।বাঙ্গালী সংস্কৃতি বড় সুন্দর। মোয়া, নারূ, মুরকি, কদমা, বাতাশা, মুরালির ছবি দেইখা পরান জুরাইল।কাচের বয়ামের ভেতরে কি ?
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
শায়মা বলেছেন: ধোয়াশা হবে কেনো!!!!!!!!! একদম আলোর মত পরিষ্কার জবাব দিলাম তো!!!!!!!!!! তুমিই বলো আর কি জানতে চাও। বলে দেবো।
আর বাঙ্গালী সেই কদমা বাতাসা মুড়ি মুড়কি আমাকে নিয়ে যায় ছোট্টবেলায় মা আমাকে হারিয়ে যাবার ভয়ে পায়ে যখন নুপুর পরাতোর দিনগুলিতে ......
কাঁচের বয়ামে ছোট্টবেলার রিং চিপস আর মিস্টার টুইস্ট।
লেস প্রিঙ্গেলস এর চাইতে সেই মধুর স্মৃতিময় খানাপিনাগুলি ছিলো কত না মধুর!!!!!!!
৬| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ব্লগার ঢাবিয়ানের কথায় যুক্তি আছে।
উনার কমেন্টে তোমার প্রতিউত্তর ধোঁয়াশায় ভরা!!! এটা আমিও মানছি!!!
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
শায়মা বলেছেন: বলো বলো কি জানতে চাও!!! ধোয়াশা কাটিয়ে দেই .........
ধূপ ধুনোর ধোয়াশা উড়িয়ে পরিষ্কার ফকফকা উত্তর!!!
৭| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি জানতে চাই - ব্লগার ঢাবিয়ান 'উনি' বলতে কি বুঝিয়েছেন?
অন্তর্জালে সার্চ মেরে দেখলাম - 'উনি' অর্থ 'সম্ভ্রমার্থে. সম্মুখস্থ ব্যক্তি, ঐ, তিনি'।
একটি বুকসাইটে দেখলাম, মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর বলে একজন লেখক 'কে উনি?' নামের বই লিখেছেন!
তুমি কোন 'উনি' বুঝেছো?
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক উনি একজন সন্মানীয় ব্যক্তি!
মোহাম্মদ তোয়াহা যে উনি লিখেছেন আমি বোধ হয় সেই উনির কথাই বলেছি ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা
যাইহোক তোমার উনি কিনি?
৮| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব সুন্দর।
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!!
কোথা থেকে এলে!!!
দেখা যায়না আজকাল!!!!!!!!!
তুমিও কি আমার মত বিজি!!!
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭
শায়মা বলেছেন: তোমার পোস্টে ডটডট এর জায়গায় একটা শব্দ লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু লিখেও মুছে দিলাম। কারণ অনলাইন সেই জায়গা মজা করে বা সিরিয়াসলী কিছু বললেও মানুষ যে যার মত করে বুঝে নেয়। নিজেদের গায়ে টেনে নেয়। তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেক ভুল বুঝাবুঝি হয়।
এই পরাবাস্তব বা অলীক জগতে কে কি ভাবলো বা বুঝলো এসবে আসলেও মাথা ঘামাতে নেই সেটা বুঝার বয়স অনেক আগে হয়ে গেছে তবুও ঐ যে এখনও সেই বয়সে মানসিক ভাবে পৌছুতে পারিনি তাই কষ্ট পাই। কষ্টকে আবার ফু দিয়ে উড়িয়ে দেই। এটাই আমি....... তারপরও যদি মন কাঁদে আমি চলে যাই এক বরষায় .......
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
শায়মা বলেছেন: এই কমেন্ট তুমি দেখবে কিনা জানিনা ........ তবুও মনে হলো এই ভেতরের দিকে রেখে দেই ...... এই ব্লগে প্রায় ২০ বছর কেটে গেলো ......... কত রাগ দুঃখ মান অভিমান ভালোবাসা ভুল বুঝা দেখেছি সে সব নিয়ে উপন্যাস রচনা হয়ে যাবে .....
সবচেয়ে মজা পেয়েছি নানা নিকে নানা ঢং এ ঢাং এ লিখে লিখে....... দুষ্টুমী করেছি ছোট বাচ্চাদের মত .....সে সব লিখলে মানে জানলে অনেকেই হেসে গড়িয়ে পড়বে আর অনেকেই হয়ত তবে রে বলে খুঁজে বের করে খুন করতে ছুটবে ...... তবে সবই করেছি মজা করে ..... কারো ক্ষতি হোক ভেবে করিনি .......
মানুষ যে কতভাবে ভুল বুঝে আর কতভাবে খেপে দেখে অবাক হয়েছি ........ একবার এক কবি ভাইয়া বিয়ের পর বলে তার বৌ নাকি আমার ব্লগে আসলে রাগ করে..... এমন মেজাজটা খারাপ হয়েছিলো....... আসছেন উনি প্রেমিক পুরুষ..... দুদিনের বৈরাগী ভাতেরে কয় অন্ন!!! দিলাম এক্কেরে ব্লক করে ....... আরেকবার এক ডাকতার সাব মানে তখন সে কেবল পুচকে ছিলো সবে পড়ছিলো আর কি তার পাগলী প্রেমিকা এসে কি লম্ফ ঝম্ফ ....... ওরেেেেেেেেেেেেে আমি তো আসমান থেকে জমিনে পড়েছি........ দুইটারেই ধোলাই সহকারে ব্লক করেছিলাম। পরে প্রেমিক প্রবর বুঝেছিলো কি মানসিক রোগীর পাল্লায় নিজেই পড়ে গেছেন ......... এমন আরও আছে দুই কবি আর কবিনির মাঝে প্রেমের কাটা আমাকে ভেবে কতই না কিছু ঘটে গেলো......তখন ছিলো ইয়াহু মেসেঞ্জার। পরে জেনেছিলাম ইয়াহু মেসেঙ্জারের পাসও ছিলো কবিনীর কাছে। দুইটাই ম্যারিড ছিলো.... যাইহোক তাতে আমার কোনো সমস্যা নাই প্রেম মানেনা বয়স সমাজ পরিবার দুনিয়ায় যত কিছু আছে তাই তাই .......
আরও কত গল্প হাসি তামাসা আনন্দ বেদনার মাঝে ভুল বুঝাবুঝির ইতিহাস ........ সবচেয়ে ভয়ংকর রুপ দেখেছিলাম আমার স্পর্শিয়া নিকের গল্পের এসিড ভিকটিম নায়িকা আমি নিজে কেনো না এই ঘটনা নিয়ে !!!!!!!!!!!! সে এক বিশাল ইতিহাস সত্যিই গল্প হয়ে যাবে মানে গল্পের মাঝে আরেক গল্প.........
এই সব দিন রাত্রী নিয়ে বয়ে চলা আমাদের ব্লগের বয়স হয়েছে জানিনা কবে চলতে চলতে মুখ থুবড়ে পড়ে ......... দিন চলে যায় ...... যাবে থেকে যাবে ব্লগের কত শত স্মৃতি আনন্দ বেদনার ইতিহাস .......
৯| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
লেখক বলেছেন: যাইহোক তোমার উনি কিনি?
=============================
আমাদের সিলেটি ভাষায় অনুবাদ করলে তোমার প্রশ্ন এভাবে হবে - 'তোমার তাইন খৈ?'
উনিকে নিয়ে উনির কাব্য,
বৈশাখে লিখলেন উনি।
আমার উনি আর তোমার উনি,
সামুকে নিয়ে দিচ্ছেন বাণী।
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
শায়মা বলেছেন: আমার উনি সামুর উপর ভীষন রকম খেপা
কি সব লিখি এইখানেতে সা রে গা মা ধা পা!
ভেবেই উনি অবাক ভাবেন যাই করি ল্যাপটপে!
সামু সাইট থাকেই খোলা মনিটরের টপে!
কি আছে ভাই এই পেজেতে দেখেন উঁকি ঝুঁকি
হতাশ হয়ে বলেন এ যে শুভংকরের ফাকি!!
১০| ০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
Sulaiman hossain বলেছেন: বৈশাখের নতুন রঙে, আমাদের জীবনটাও নতুন হয়ে যাক।ভাল লাগলো আপনার বৈশাখের রঙিন পোস্ট। একসময় বন্ধুদের সাথে ৈবৈশাখে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে যাওয়ার স্মৃতি ভুলতে পারি না,এবং চাইওনা ভুলে যেতে।
০৬ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
শায়মা বলেছেন: এখন বুঝি দেশ ছেড়ে দূরে আছো? মানে বিদেশে!!!
নইলে এখনও বন্ধুদের পাওয়া যাবে বৈশাখে যদি বাংলাদেশে থাকো ভাইয়া।
১১| ০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:১০
কামাল১৮ বলেছেন: শাড়িতে সুন্দর লাগছে।এটাই কি মনিপুরি শাড়ি।
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২৩
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
হ্যাঁ নীল নীল দুইটা কাছাকাছি দেখতে সেটা মনিপুরী শাড়ী। সাদা লালটা কটন শাড়ী আর গোলাপী সবুজটা সিল্ক!
১২| ০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:১৭
নজসু বলেছেন:
বোন, আপনার লেখার স্টাইল পাঠকের মন ভরায়।
আর ছবিগুলো চোখ আর মন উভয়ই ভরায়।
খুব সুন্দর। আপনার এবং আপনার পরিবারের সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৮
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
অনেক ভালো থাকো। তোমার পরিবারের জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা।
১৩| ০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তোমার এমন একটা পোস্ট আশা করেছিলাম। ধন্যবাদ প্রত্যাশিত পোস্ট একমাস পরে হলেও শেয়ার করার জন্য। ❤️
০৬ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৪৬
শায়মা বলেছেন: কি করবো ভাইয়া অনেক ব্যস্ত ছিলাম। এখনও একের পর এক অনুষ্ঠান চলছেই। তবুও আজ রানার ব্লগ ভাই্য়ার কথা শুনে দিয়েই দিলাম।
১৪| ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:২৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: যাক দেরিতে হলেও ঝাকানাকা আয়োজন পেলাম। তোমার মনিপুরী শাড়ীটা দারুন। আমার খুব ভালো লাগে মনিপুরী শাড়ী। ম্যানেজ করতে সুবিধা। পরতে আরাম।
সাজুগুজু, নাচাগানা, খানাপিনা সব মিলিয়ে দূর্দান্ত হয়েছে।
০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২৭
শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক নীলুমনি!!!!!!!!
আমারও তোমার কথাই মনে পড়েছিলো মনিপুরী শাড়ির কথা লেখার সময়!!!
উফ সাজুগুজু করতে করতে আমি শেষ। এবারের উৎসব থামছেই না থামছেই না........
১৫| ০৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: শাড়িতে আপনাকে ভালো লাগছে।
০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২৭
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইু সো মাচ ভাইয়ু!
১৬| ১০ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এইতো দেখি এলাহী কাণ্ড...
একজনের মুখে স্টার কেন! এখন তো উনারে দেখার কৌতুহল জাগলো...
১০ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩
শায়মা বলেছেন: হা হা যাদের মুখে স্টার তাদেরকেই দেখতে হবে!!!!!!!!
কেনো কেনো !!!!!!!!!!!!!!!!
ইলিশ খাওার দাওয়াৎ নেক্সট বৈশাখে দিয়ে দিলাম!!!!!!
১৭| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৫৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখা পড়ে আর ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথেই বৈশাখ উদযাপন করেছেন। খুব ভালো লাগল।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৩৯
শায়মা বলেছেন: এখনও চলছে বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলি!!
এবারের বৈশাখ মনে হয় জৈষ্ঠে পৌছুবে।
১৮| ১৪ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৮
মেহবুবা বলেছেন: জগৎ সংসারের চারিপাশের মত ব্লগেও কেমন যেন পরিবেশ !
"আরো আলো আরো আলো, এই নয়নে প্রভু ঢালো".... তাই চাই।
তুমি এর মাঝে চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দিলে !
পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে ঘরে বাইরে বেশ সুখেই আছো, সে তুমি বরাবরই থাকো ! তবে সুখের রঙ বদলায় এক এক সময়ে। তোমার সুখে তো আবার আমরা কত জন ভেসে যাই এইসব ছবি দেখে আর লেখা পড়ে৷! অনেক অনেক ভালো থেকো।
তুমি কি লালমাটিয়ার "আপন ঘর" অনলাইন প্রতিষ্ঠান থেকে খাবার আনিয়েছো? উনি তো একদম ঘরের মত করে খাবার রান্না করে দেন! কত যে আন্তরিক এবং যত্নশীল!
১৬ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৫০
শায়মা বলেছেন: মনে হয় লালমাটিয়া আপনঘরই হবে। অনেক অনেক ভালো ছিলো সব কিছুই। আসলেই যত্নশীল এক মহিলা উনি। আবারও আনবো যখনই প্রয়োজন হবে। তো ম
ব্লগের পরিবেশ নিভু নিভু করেও টিকে ছিলো এখন তো মনে হয় যাবু যাবু। কোথাও কোনো আনন্দ নেই। নিরানন্দ ব্লগে নতুন করে কেউ হয়ত আসবেনা । আসলেও জানবে না কত আনন্দ ভালোবাসা সুখ দুঃখের স্মৃতি ধরে আছে এই ব্লগ!
মনে হয় সুখেই আছি। মানে সুখ অসুখ দুঃখকেও সুখ ভেবেই সুখে থাকি আমি আপুনি !!!!!!! হা হা হা
সুখের রং বদলিয়ে অনেক অনেক। তবুও সেই অদল বদল সুখ নিয়েই সুখে আছি.....
সুখে আছি আপুনি আপনমনে ...
১৯| ১৮ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সামিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট, অনেক সুন্দর লাগছে সবাইকে, আমিও এই বৈশাখে মনিপুরী শাড়ি পড়েছিলাম।
১৮ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২৫
শায়মা বলেছেন: মনিপুরী শাড়িগুলো মনে হচ্ছে দিন দিন সুন্দর হচ্ছে!!!
২০| ২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৬
মেঘবৃষ্টির গল্প বলেছেন: দারুণ সব ছবি। দারুণ লেখা।
২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:২৩
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ!!!! থ্যাংক ইউ!!!!!!!
তবে এবারের বৈশাখ একেবারেই অন্যরকম ছিলো ......
২১| ২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৩০
মুক্তা নীল বলেছেন:
সবকিছু মিলিয়ে এক কথায় অসাধারণ । আর শায়মা আপু তো বরাবরই সবকিছু থেকেই আলাদা ও আনকমন
আরে আপু তোমাকে আমাদের সিলেটের মনিপুরী শাড়িতে দারুন লাগছে
২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮
শায়মা বলেছেন: তোমাদের সিলেট!!!!!!
তুমি সিলটি!!!!!!!!!!!
গুড গুড আসছি ঈদের পরদিন সিলেটে প্যালেসে ......
তোমার বাসায় এসে যাবো কিন্তু!!!
২২| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী সুন্দর লাগছে আপু তোমাকে। মনিপুরী শাড়ীটা কী সুন্দর।
তোমার জীবন আরও আনন্দময় হউক
সুন্দর কাটুক সময়গুলো
২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩
শায়মা বলেছেন: মনিপুরী শাড়ী যে এত সুন্দর সুন্দর হয় জানা ছিলো না।
মেঘ অম্বরীর কথা বলেছি পোোস্টে সেখান থেকে কিনতে পারো।
অনেক অনেক অনেক সুন্দর সব অনেক অনেক অনেক শাড়ি আছে ওদের .........
২৩| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সোনা রূপার তৈজসগুলো মারাত্মক সুন্দর। শাড়ীগুলোও সুন্দর
২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯
শায়মা বলেছেন: হা হা সোনারূপার তৈজসগুলো তো আসল সোনারুপায় তৈরী তাই এত সুন্দর!!!
২৪| ২৯ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
আজব লিংকন বলেছেন: ইশ! ছবিগুলো কি সুন্দর
অপূর্ব ❤
শাড়িতে তোমাকে খুব সুন্দর লাগে।
কত দিন পর স্টেজে গান করলে?
পুরো লেখা না পরে কি মন্তব্য করা যায়!
পরে পড়বো
আপু তুমি কেমন আছো?
২৯ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:০৬
শায়মা বলেছেন: আমি ভালো আছি। তবে খুবই বিজি আছি!!! এই সব অং বং নিয়ে!
কিন্তু তুমি কোথায় থাকো!!
আজকাল তো দেখাই যায় না ......
২৫| ৩০ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
আরে আপু তোমার প্যালেস থেকে আমার সিলেট আরো তিন ঘন্টা । আর আমি নিজেও থাকি ঢাকায় । গত সপ্তাহে আমিও সিলেট গিয়েছিলাম একদিনের জন্য এবং মজার ব্যাপার কি জানো আপু ঐদিন ঢাকায় ছিলো প্রচন্ড গরম আর সিলেট সারাদিন বৃষ্টি ....
চিলেকোঠার প্রেম বইটা বইমেলা থেকে সংগ্রহ করেছি ,
এটা তোমাকে ওই পোস্টে জানিয়েছি মন্তব্যটা তুমি দেখে নিও কিন্তু
৩০ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০২
শায়মা বলেছেন: ওহ তাহলে তো আর যাওয়া হলো না!!
চিলেকোঠার প্রেম আমি তো গিফট করতে চেয়েছিলাম সবাইকেই। নানান সমস্যার কারণে এখনও পাঠাবনো হয়নি কাউকেই তবে ইনশা আল্লাহ পাঠিয়ে দেবো ......
আর অবশ্যই মন্তব্য দেখে নেবো আপুনি......
আর কি কি মনিপুরি কিনবো দেখিয়ে যাবো তোমাকে!
২৬| ৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
কিরকুট বলেছেন: শাড়িতে সেই লাগছে। কবি সাব কি আশে পাশে আছে?
৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
শায়মা বলেছেন: বাপরে সেই লাগছে!!!!!!! বললে!!!!!!!!! থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!!!!!!!
কিন্তু কোন কবির কথা বললে!!! রবিঠাকুর নাকি নির্মলেন্দু গুন!!!
২৭| ০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ২:১৯
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: মন মাতানো ছবি।
০৩ রা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
শায়মা বলেছেন: কেমন আছো আপুনি!!!
বসন্ত গেলো বৈশাখ গেলো এলো এবার বরষা .....
২৮| ০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার পোস্ট মানেই অসাধারণ কিছু, তখন ব্লগে ছিলাম না তাই মন্তব্য জানাতে পারিনি।
বৈশাখ তো গেলো, এবার বরষা নিয়ে হয়ে যাক জটিল একখান পোস্ট।
এইচ এন নার্গিস বলেছেন:- মন মাতানো ছবি।
০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ১০:১৩
শায়মা বলেছেন: বরষা নিয়ে লেখা হবে না কারণ বরষায় আমি বাংলাদেশে থাকছি না।
বসন্ত আর বৈশাখে অনেক অনেক অনুষ্ঠান বয়ে গেলো জীবনের উপর দিয়ে। বর্ষায় থাকা হচ্ছে না। তাই এবারের বর্ষা মঙ্গল বাদ পড়ে গেলো।
২৯| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডট ডটে কী লিখতে চেয়েছেন আল্লাহই মালুম। তবে আমি সেটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিতাম। আপনার সাথে আমার ঝামেলা হবে না, আশা করি।
এই ব্লগ বা ইয়াহু মেসেঞ্জারে এতো এতো মজার ঘটনা ঘটেছে এটা তো আমার জানাও ছিল না। আপনারা এক সময় কত মজা করেছেন। অনেক সময় মজার মধ্যে উটকো ঝামেলাও চলে এসেছে। আপনার বর্ণিত ঘটনাগুলি পড়ে মজা পেলাম (কবির বউয়ের ঈর্ষার গল্প, নবীন ডাক্তার ও প্রেমিকার আপনার প্রতি আক্রোশের গল্প, আরেক কবি এবং কবিনির পরকিয়ার গল্প)। ঐ সময় উপস্থিত থাকতে পারলে আরও ভালো হত। অনলাইন জগতে ভুল বোঝার সম্ভবনা বেশী থাকে। কারণ, কোন ব্যক্তি সম্পর্কে পুরো তথ্য আমাদের কাছে থাকে না। তার অতীতও আমরা জানি না। ফলে আমরা সেই ব্যক্তি সম্পর্কে ভুল ধারণা করে ফেলি। বাস্তব জীবনে ভুল বোঝাবুঝি হলে সেটা মিটিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকে। ব্লগে সেটা একটু কঠিন।
এসিড ভিকটিম গল্পে আপনি নিজে কেন ভিকটিম না এটা নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে হয়ত। এটা আপনার লেখার সার্থকতা। মনে আছে নিশ্চয়ই হুমায়ুন আহমেদের নাটক নিয়ে রাস্তায় মিছিল হয়েছিল (বাকের ভাইয়ের ফাঁসি দেয়া যাবে না)। এটার দ্বারা লেখকের লেখার শক্তি প্রকাশ পায়। আপনার লেখা পড়ে পাঠক হয়ত মজা পেয়েছে, তাই এসিড ভিকটিম নিয়ে অনেক মন্তব্য এবং প্রতি মন্তব্য হয়েছে। এটাকে পজিটিভ ভাবে নিবেন।
আপনি বেশ ভালো একটা মুডে আছেন মনে হচ্ছে। বিদেশে ঘুরতে যাচ্ছেন (বা কাজে যাচ্ছেন)। তাই মনটা মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে গেছে হয়ত। আসলে ভ্রমন করার দরকার আছে। অনেক কিছু জানা যায় এবং সেটা জীবনে প্রয়োগ করে জীবনকে আরও গতিশীল করা যায়।
১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আমার এ ভ্রমন শুধুই ভ্রমন নহে ....... দাঁড়াও সবার আগে একটা কবিতা শুনাই তারপর আরও কিছু কথা বলছি .....
এ ভ্রমন আর কিছু নয় ...শুধু তোমার কাছে যাবো
১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭
শায়মা বলেছেন: ডটডটে কুটনার অপোসজিট লিখতে চেয়েছিলাম হা হা হা হা হা হা ....... ভয়ে লিখিনি এমনিতেই মানুষ ভুল বুঝে আরও কেউ ভুল বুঝুক চাইনি ..... মানে হেনো তেনো যেনোরা ভুল বুঝলে বেশি লাগে না শুধু যাদেরকে ভালোবাসি বা বাসিনা কিন্তু কষ্ট দিতে চাইনা তারা ভুল বুঝলে বা কষ্ট পেলে আমিও কষ্ট পাই ....... এইটা অনেকেই ঢং ভাববে অনেকেই নেকামী ভাববে কিন্তু আসল সত্যটাই এটাই ...... মানুষ আমাকে ঢঙ্গী নেকি যাই ভাবুক আমি কিছু বলিনা......
যে আমারে চিনতে পারে সেই চেনাতেই চিনি তারে গো
তোমার সাথে আমার ঝামেলা হবে না আশা করলেও নিশ্চয়তা নেই। কারণ ইহা অনলাইন......
যাইহোক তোমার সাথে আমার ঝামেলা হবে কি হবে না এই ব্যাপারে আশা করতে পারো কিন্তু নিশ্চয়তা নেই কারণ ইহা অনলাইন ..... জাগতিক আশার সহিত ইহার কোনো সম্পর্ক নাই.....
হ্যাঁ একটা সময় মানুষজন দিনরাত এই ব্লগে পড়ে থাকতো অফিসে ফাকে, কাজের ফাকে, স্কুল ইউনিভার্সিটি হল থেকে। ব্লগ ছিলো এক শক্তিশালী লেখার মাধ্যম জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম। সাথে ঝগড়া ফ্যাসাদ মনোমালিন্য কেচালবাজী তো ছিলোই......তবুও সে সব স্মৃতি বড় মধুময় বা দুঃখবিলাস।
আর এসিড ভিকটিমের গল্পের পিছের গল্প যদি কখনও লিখি নায়িকা ওরফে আমি ভাবা ব্যক্তিকে নায়ক রাজ সত্যি খুন করতে ছুটবে!!!!!
কিন্তু কসম করে বলছি আমার তাতে কোনো দোষ নেই গল্পের নায়িকার প্রেমে কেউ পড়ে অলিক জগত থেকে বাস্তবে এসে মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাবো হারিয়ে যাবো আমি তোমার সাথে হলে আমার কি দোষ!!!
আমি হাজারও দুঃখ কষ্ট বেদনা লাত্থি মেরে ভালো ম্যুডে থাকা রপ্ত করেছি সে বহুকাল হলো...... মনটা মুক্ত বিহঙ্গও হয়ে আছে তাহা নহে। তবে ঈদের ছুটিতে নানা খানে মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে একখানে তো পরীর পাখার সাথে মোটাপরী হয়ে ছবি তুলে বেড়ালাম তাই একটু ফুরফুরা আছি। আবার ১৫ থেকে ১ সপ্তাহের স্কুল আর রিপোর্ট কার্ড তারপর বৈদেশ যাত্রা...... তার আগে শপিং মপিং কত কিছু!!!!!!!!!!!! আপাতত ছুটি কাটাই !!!!!!!!!!!
৩০| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন:
শায়মা আপু , কুরবানি ইদের ব্লগ কই ? তবে সাবধান বেশি বেশি তেল ঝাল দিয়ে গরুর মাংশ রাধবেন না।
১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩
শায়মা বলেছেন: হায় হায় তুমি আবার জ্বীন জ্বীন করো কেনো!!!!!!!!!!
জ্বীন আসর নিয়ে সকাল থেকে একটু আধটু কেচাল লাগার আভাস পাচ্ছিলাম!!!!!!!
কোরবানীর ব্লগ লিখে কি হবে!!! কে খাবে এত খানা পিনা লোকজনই নাই তো ব্লগে...... শেষে ঝাল ছাড়া গরুর কোরমা রাঁধলেও জ্বীন এসে যাবে!!!!!!! বাপরে আমি ভুই পাই .......
১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬
শায়মা বলেছেন: আপাতত ঈদের জর্দা সেমাই আর লেমন টি খাও ......
মাংস চিনি দিয়ে রেঁধে আনি যেন জ্বিন জ্বিনের বৌ জ্বীনের ছেলে মেয়ে পুত্রবঁধু, জামাতা কেউ না আসতে পারে ......
১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৫০
শায়মা বলেছেন:
বাকী ছবিগুলা কেনো যেন লোড হচ্ছে না ম্যাক্সিমাম আপলোড লিমিটে আটকায় দিচ্ছে!!!!!!!!
চিকেন টিকিয়া, বাসার ছাদবাগানের চালকুমড়ার হালুয়া, পুডিং এসব দিতে চেয়েছিলাম। আসলো না !!!
৩১| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আহা জর্দা সেমাই দেখে বড়ই প্রীত হইলাম। আমার মা ঈদের দিনে এই সেমাই সব সময় রাধতেন। কি যে দারুন সব দিন ফেলে এসেছি। লেমন টি দেখে এখনই খেতে ইচ্ছা করছে।
চিনি দিয়ে রাধলেও জ্বীন হাজির হইতে পারে যদি ডটডট জ্বীন হয়
১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩১
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ডটডট মানে কুটনি জ্বীন ...... কুটনা জ্বীনদের গার্লফ্রেন্ড জ্বীন......
আচ্ছা ঠিক আছে ঝাল ঝাল মাংস রোস্ট পুডিং ফিরনী সব আনছি একটু পরে.... বাইরে আছি এখনও বাসার। বাসায় গিয়ে নান্না বান্না কলে দিত্তি!!!!
৩২| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কি সুন্দর রং-বেরঙের জীবন্ত ছবি গো আপুমনি!!!
অনেক সুন্দর নববর্ষের অনুষ্ঠানে। গোল নকশি পিঠা গুলো
আমার বাসায় প্রায় থাকে। খেতে অনেক মজা গো আপু!!!
আর মনিপুরী শাড়িতে বেশ লাগছে গো তোমায় আপু!!!
ব্লগে যেভাবে কালা যাদু, জ্বীন-ভুতের বেড়ে-
"নাজার না লাগযায়ে আপ কি উপর""
আর হারমনিটা দেখে পিচ্চি কালের কথা মনে পড়ে গেল!!!!
আমি চিত্র অংকন শেষে আমার আপুর গানের রুমে চলে যেতাম।
ওঁদের সাথে গাইতাম -
"আয় বৈশাখ আয়রে আয়
নতুনের দিনে আয়
ফুলেরাফুটবে পাখিরা গাইবে
ভিজে ঝড়ো হাওয়ায়"
১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৬
শায়মা বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে তুমিও আমার মতই ছোট থেকেই কালচারাল ......
হারমোনিয়ামে আর গান গায়না বাচ্চারা আজকাল তেমন। গিটার পিয়ানো তাদের পছন্দের। আমাদের আমলে আমরা শিখেছিলাম হারমোনিয়াম আর তানপুরা। তবলা আমার মা বাঁজতে পারতেন কিন্তু আমি আমার হাত তবলার উপযোগী নহে। এক বাড়ি দিলেই আঙ্গুল কটমট লটঘট হয়ে যায়।
এইখানে কিন্তু আরও একজন সেকালের গায়ক আছেন। সে আমাদের কুটনা ভাইয়া চুয়াত্তর!!! তার অনেক গান ইউটিউবে আছে। আমার মতই আর কি ......
আর ব্লগের কালা জ্বীন ভূতের কথা বলছো!!!!!!!!!! ছ্যা ছ্যা ছ্যা .......... কত কালা ভূত জ্বীন দূর করলাম ব্লগ থেকে আবার নতু গুলা আসবে!!!!!!!!!!!!! জীবনেও না ...... তারা আমার কাছও ঘেসবে না ......... উলটা ইল্লা বিল্লা করে আমার নাম করে দৌড়ে পালাবে .......
বিশ্বাস না হয় কুটনা ভাইয়াকে জিগাসা করে দেখো!!!!!!!!!
৩৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:১৩
করুণাধারা বলেছেন: পোস্টের শেষে মনে হয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছো। তোমাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে। একটু দেরি হয়ে গেল আর কি।
এত বছর ধরে একটানা ব্লগে আছ, একনাগাড়ে এত বছর ধরে নানা রকম পোস্ট দিয়ে চলেছে, তারপর এত কিছু করার সময় পাও কখন!! তোমার বিশেষ সঙ্গীত আপা, স্নো হোয়াইট আপা, ভীষণ ভালো মানুষ আপা ফ্যাশন মডেল আপা এবং ভীষণ ঠোঁটকাটা আপা যে তোমার গুণের কদর করবেন, তা আর এমন বেশি কী!
মেলার ছবিগুলো প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা! খুব ভালো। তোমার নীলমতো শাড়িটাও খুব সুন্দর রংয়ের, তোমাকে উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। টেরাকোটার গল্পও ভালো, তারা কি বৈশাখ উপলক্ষে স্পেশাল মেনু করে কিছু?
তোমার ছাতঘরের সাজ আর বৈশাখী খাবারের আয়োজন কেবলই মুগ্ধ হয়ে দেখেই গেলাম...
এত কিছুর পর আবার স্কুলের অনুষ্ঠান!!!
মুগ্ধ হয়ে পড়তে পড়তে শেষে এসে কী অপার বিস্ময় আর আনন্দ! আমাকেও উৎসর্গ করেছ!! এতদিন তোমার এই পোস্ট শুধু উপর উপর পড়েছি, শেষে যে আমার নাম আছে আগে দেখিনি। এখন মন্তব্য করবো বলে ধরে ধরে পুরোটা করলাম আর শেষে এসে আমার নাম খুঁজে পেলাম। উৎসর্গের কারণ বলতে পারলাম না, শুধু এটুকু বলতে পারি আমার কী জানি কিসের ও লাগি হায় হায় করা প্রাণ একেবারে জুড়িয়ে গেল...
আমিও একটা প্রশ্নবোধক পোস্ট দিতে চাচ্ছি। দেখি তুমি বলতে পারো কিনা কার জন্য পোস্ট!
১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪৩
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে দাও দাও প্রশ্নবোধক বিস্ময়বোধক যেটা খুশি সেটাই দাও...... ধাঁধা ধাঁধা পোস্ট হোক মজা মজা পোস্ট হোক। ব্লগ রাজনৈতিক পণ্ডিতদের জ্বালা অনেক সহ্য করেছি আর পারি না!!!!!!!!
তুমি তো আমাকে অর্ধেকের বেশি চেনো আপুনি ...... তুমি অবাক হওয়ো না আমি তো পরী ছিলাম জানোনা!!! মর্ত্যলোকে নামার পরেও এখনও আলৌকিক শক্তি আছে না !!!!!!! তাই এত কিছু করি ........
একটা মজার ছবি দিচ্ছি একটু পর বাসায় গিয়ে ...... ঈদের ছুটিতে একখানে গিয়ে দেখি সেই রিসোর্টের অবস্থা ভয়ানক করুণ। কিন্তু সকল দুঃখ কষ্ট বেদনার মাঝেও আমাকে একটু ভালো কিছু বের করে অপার আনন্দ পেতে হবে তাই পেয়ে গেলাম দুইটা ফোটো তোলার জন্য পরীর পাখা.... ব্যাস সাথে সাথে সেখানেই ছবি তুলতে তুলতে তুলতে তুলতে অপার আনন্দ হয়ে গেলো ...... ছবিটা যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই। যদিও নিন্দুকেরা বলবে মোটা পরী তাতে আমার কি যায় আসে......
যাইহোক ১০/১৫ মিনিট পর সেই ছবিটা তোমাকে দেখাবো হা হা ......
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
শায়মা বলেছেন:
হা হা আপুনি এই যে ছবিটা দেখো
স্কুল খুললে আমি এটা বাচ্চাদেরকে দেখাবো। বলবো জানো আমি এই ছুটিতে পরীর দেশে গিয়েছিলাম!!!
৩৪| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৭
করুণাধারা বলেছেন: বাচ্চারা বিশ্বাস করবে যে সত্যিই তুমি পরীর দেশে গিয়েছিলে!
কিন্তু আমি ভাবছি তুমি পরী ডানার সাথে মিলিয়ে জামা বানালে, নাকি যে জামার সাথে মিলিয়ে পরীর ডানা বানালে!! যেটাই হোক তোমাকে একেবারে ডানাওয়ালা পরী বলে মনে হচ্ছে।
১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮
শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি এটা পদ্মা লাক্সারী রিসোর্টে ঈদ আনন্দ ভ্রমন ছিলো। সেই লাক্সারী রিসোর্টে গিয়ে একজন বলে আপনাদের নাম থেকে লাক্সারী কথাটা কেটে দিয়ে যাবো আমি। হাহাহাহাহাহা আমি হাসতে হাসতে শেষ.....
আরেকজন বলে এই যদি হয় লাক্সারীর অবস্থা তাইলে আর নর্মাল রিসোর্ট কেমন হয়!!!
মানে পুরাই ডিসোরগানাইজড অবস্থা ছিলো। ঘাষ পালা গুলো অযত্নে বেড়ে ওঠা। অনেক সুন্দর একটা ফুলওয়ালা সাইকেল ছিলো আমি একটু ধরে ছবি তুলবো সেটাই পারলাম না ভয়ে কারন তার সামনে যেই পরিমান ঘাস পালা লতা পাতা। কেউ কেটে ছেটে রাখে না। রিভারক্রুজে সন্ধ্যাভ্রমন ছিলো তবে সেটাও অবস্থাও খুব একটা ভালো না।
যাইহোক নানা মানুষ নানা কম্প্লেইন করছিলো আমি তার মাঝে পেয়ে গেলাম নিরানন্দের মাঝেও আনন্দ খুঁজে নেবার উপকরণ। এই পরীর ডানা। তাতে ছবি তুলে একটু এডিট করে মুছে দিলাম লাক্সারীর নামে কষ্টজারী রিসোর্টের নাম। হা হা হা
যত কষ্টই হোক কষ্ট বলা যাবেনা এটাই আমার নিয়ম আর তাই পরীর ছবিটাকে দেখিয়ে বলবো দেখো দেখো কি সুন্দর একটা পরীর দেশে গেছিলাম হা হা হা !!
নাহ জামাটা আড়ং এর তাগা থেকে কিনেছিলাম রোজার ঈদে। এইবার জার্নীতে পরলাম। পুরো ছবিটা কি দেবো? সেটা দিলে পরীরাজ্যের ভাব গাম্ভীর্য্য নত্ত হয়ে দাবে। কারণ এই জামার সাথে ছিলো জিনস আর স্নিকার
পরীরা কি সে সব পরে বলো!!! তাই কেটে দিলাম পরীর পা ......
তবে পরের ঈদে ভোর সকালে উঠে ছুটলাম সারারা পরে .... সেই ছবিটা একদম পরীর দেশের মত উড়াল দিয়ে তুলেছি হাহাহাহাহহাহাহা দেখলে চুয়াত্তর ভাইয়া লা হাওলা কুয়াতা পড়তে পারে তাই দিলাম না !!!!!!!!
৩৫| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ছবি দেখলে আপনার স্কুলের বাচ্চারা ভাববে এটা বড় কোন মুরগীর বাচ্চা।
১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮
শায়মা বলেছেন: ঐ কুটনাবুড়া ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!
জ্বীন পাঠায় দেবো কিন্তু!!!!!!!!!! আমি পলি !!!!!!!!!!!!!
১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:১২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এমেইল চেক করো ......
৩৬| ১৪ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:৩৯
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: মজার মজার খাবার । তার সাথে লেখাও চমৎকার ।
১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫৮
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ আপুনিমনি!!!!!!!
বসন্ত গেলো, বৈশাখ চলে গেলো। এলো ঈদ সেটাও চলে গেলো......
তবুও তোমার জন্য ঈদের খানা.... এবং ঈদের গানা....
৩৭| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫১
শায়মা বলেছেন:
আপুনি আমাদের বাসার ছাদবাগানের চালকুমড়ার হালুয়া
ঈদের জামা পরে সেজেগুজে ঈদবিকেলের বাসায় বসে বসে একা একা গানা ......
৩৮| ১৭ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:২০
আরোগ্য বলেছেন: বেতের সোফা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। নকশী পিঠা বেশ পছন্দ। অন্যান্য মিষ্টান্ন দেখেও খুব ভালো লাগলো। নস্টালজিক। এখনকার ছেলেমেয়েরা ফালতু ফাস্টফুড ছাড়া কিছু চিনেইনা, খাবে তো বহুদূর। আহা কি শৈশব ছিল মোদের।
১৮ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই ভাইয়া!!! কত কত মজার স্মৃতি শৈশবের আমাদের.......গ্রামের মেলা আরও সুন্দর!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
রানার ব্লগ বলেছেন: উৎসর্গে আনন্দিত হলাম ।
সব ঝাকা নাকা ব্যাপার ।
খাওয়া খাদ্য দেখে তো জিহবায় পানি এসে গেলো ।