নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রমনবেলার গল্প

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫৭


সিডনীতে এবারের শীত মনে হয় কয়েক বছরের তুলনায় একটু বেশীই ছিলো। শীতকাতুরে আমার রাতের ঘুম তাই হারাম করে দিলো সিডনীর এবারের শয়তান শীত। রাতে অনেকেই ভূতের ভয় পায় সে কথা আমি জানি আর আমার এবারের হাল হলো রাত যত কাছে আসে আমার বাড়ে শীতের ভয়। ভূতের ভয়ের বদলে শীতের ভয় নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়লাম আমি। সারা রাত হাত একটু নাড়াতে পারি না, পাও নাড়াই না বলতে গেলে। একেই কি তবে বলে শীতে জমে যাওয়া!!! এ সব ভাবনায় রাত কেটে যায়। ঢাকায় আমার বাসা যদিও ডিপ্লোমাটিক জোনে তবুও সেই বাসা থেকে ব্যস্ত রাস্তায় সারাদিনের চ্যা ভ্যা শব্দের মাঝে প্রায়ই ঘুম ভেঙ্গে চমকে উঠি আমি। আর সেখানে শুনশান নীরবতা!!! মনে হয় জগৎ সংসারে কোথাও কেউ নেই। জাপানীরা নাকি ডিপ্রেশনে ভোগে শুনেছি। সিডনী তো তবুও জনবহুল অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য জায়গা তো আরও নীরব নিথর। বিকাল ৫টা হতেই যে যার ঘরে ফিরে যায়। সেই নীরব নিথর সন্ধ্যা হতে গভীর রাতে কোথাও কোনো সাড়া শব্দহীন মানুষ বাঁচে কিভাবে!!! প্রায় রাতেই আমার এসব মনে হয়। জাপানের মত এখানেও মানুষ কি তবে ডিপ্রেশনে ভোগে না!!!

সে যাইহোক। শীতের রাতের জবুথবু আমি প্রায়ই ফোন দিতাম রাত দুপুরে আমার আমেরিকান কাজিনকে। শীতের ভয়ে কাঁদো কাঁদো আমির অবস্থা দেখে সে তো হেসেই কুটি কুটি। আমার শুধু ভয়ই ছিলো না সাথে ছিলো দুঃখ। আমি কাজপাগলা মানুষ। দিনের একটা সেকেন্ডও মনে হয় আমি বসে বসে অনর্থক কাটাতে রাজী নহি। সময়ও আমার সাথে পাল্লা দিয়ে পারে না। সদা ও সর্বদা আমার হাত মুখ পা মাথা কোনো না কোনোটা বা সবই একসাথে চলতেই থাকে। হা হা সেই সদা চলমান আমির ভয় হচ্ছিলো এই শীতে কি তবে আমি কোনো কাজই করতে পারবো না! যে সব কাজ নিয়ে এসেছি সে সব করবো কিভাবে!!! আমি তো শীতে হাত পাই নাড়াতে পারছি না। আমার কাজিন বলে তুই দেখি অতি শোকে কাতরের বদলে অতি শীতে কাতর এবং একই সাথে পাথর হয়ে পড়লি!!


ভয়াবহ শীতের বাতাস প্রবাহিত এক সকালের ছবি। :(
সত্যি বলতে আমি আমার জীবনে দুটো জিনিসের খুব মূল্যায়ন করি এক প্রবাদ প্রবচনের সত্যতা, আরেক রবিঠাকুরের আবেগ যা গানে গানে বাঁজে আমার বুকে ...... যাইহোক এই নিয়েই চলতে হবে, চলবো কেমনে? "কবে তুমি আসবে বলে, রইবো না বসে আমি চলবো, আমি চলবো বাহিরে, শুকনো ফুলের পাতাগুলো পড়তেছে খসে"... হুম শুকনো ফুল, পাতা!!! নিশ্চয় রবিঠাকুরও শীতে কাতর হয়েই আমার মত উদ্যমী হতে এই গান লিখেছিলো হা হা । যাইহোক কাজিনের উপদেশ কাজে লাগলো, সে বললো ভয় পাস না দিনের আলোয় শীতের প্রকোপ কমে যাবে তখন সব কাজ করতে পারবি আর শীত মোকাবেলার আসল উপায় শীতের যথার্থ জামাকাপড়!!! ঠিক ঠাক কাপড় জামা পরতে পারলে শীতই কাতর হয়ে পড়বে তোর কাছে।


শীতে আমি প্রায় নভোচারীর বেশে
তার কথাই ঠিক হলো । পরদিন জামা কাপড় কিনতে গিয়ে তো আমি খরচ করে ফেললাম কয়েকশো ডলার। :( এমনিতে আমি শীতের পোশাক যেমনই পছন্দ করি না তেমনই খুব একটা কেনাকাটিও করিনা বাংলাদেশে। শীতের কাপড় আসলে আমি বলতে গেলে পরিই না বাংলাদেশে। ঐ যে সদা কর্মচঞ্চল আমার সাথে শীত পারে না পাল্লা দিয়ে কিন্তু ওখানের শীতের সাথে পরিচিত ছিলাম না বলেই হয়ত অমন ভয়টা পেয়েছিলাম। যাইহোক কাপড় চোপড়ে ভরাডুবি হয়েই লেগে গেলাম নিজের কাজে।


একা বসে থাকি..... মানে মাঝে মাঝে এই শীতেও পার্কের এই চেয়ারগুলিতে বসে থাকা এক অপার আনন্দ! নিজের কাজের সাথে সাথে এবারে খুঁজে বের করেছিলাম পুরোনো বন্ধু, পরিচিত মানুষজন, পুরোনো কলিগস, পুরোনো প্যারেন্টদেরকে। এই উদ্দেশ্যের প্রথম মানুষটাই ছিলো ইথান। সে দু'বছর হলো সিডনী ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গেছে। আমারই স্টুডেন্ট ছিলো সে। সেমিস্টার ব্রেক চলছিলো তার। সেই মোতাবেক সে ম্যাকডোনাল্ডসে ডেইলী ৮ ঘন্টা করে শিফ্ট নিয়েছে। কাজেই আমি আসবো এ কথা তাকে আগে জানাইনি কেনো আর এখন সে তো আমাকে একেবারেই সময় দিতে পারবেনা এই কথা নিয়ে প্রথমদিনই সে আমার সাথে গন্ডগোল লাগিয়ে দিলো। সপ্তাহে ৭ দিন ৮ ঘন্টা শিফ্ট নিয়ে থার্সডেতে বন্ধুদের সাথে কোন যেন লাটসাহেবী বুফে আছে সেখানে সবাই যাবে প্লান করেছিলো। আমার জন্য সেই প্লান ক্যানসেল করে বললো সে নাকি আমাকে আজ ট্রিট দেবে। ইথানের ট্রিট মানেই ভয়াবহ কিছু, সে আমি আগেই জানতাম। আমি প্রমাদ গুনলাম। বললাম কোথায় নিয়ে যাবে! সে বললো দেখোই না তোমার অনেক ভালো লাগবে, নিউ এক্সপেরিয়েন্স পাবে। এর আগে ইথান এই নিউ এক্সপেরিয়েন্স এমনই দিয়েছিলো মালাটাং খাওয়াতে নিয়ে গিয়ে যে আমার অবস্থা ওরাং ওটাং হয় হয় আর কি .... যাইহোক আর হাজার হোক সে শখ করে আমাকে খাওয়াবে। আমি না হয় বিষ হলেও সেটা খাবো.....

নিজে নিজে রেঁধে বেড়ে খাও সেই কোরিয়ান দোকান। মূলত এটা ছিলো বার্বিকিউ। সাথে নানা ধরনের প্লাটার থাকে যে সব রাঁধাই থাকে। শুধু অর্ডার করতে হয়। :) তো সে নিয়ে গেলো এই কোরিয়ান দোকানে। সেখানে বসতেই টেবিলের মধ্যিখানে এসে বিশাল বড় গ্যাস লাইটার দিয়ে একজন আগুন জ্বালায় দিলো। টেবিলের মধ্যখানে আগুন!! একজন এসে কাঁচা কাঁচা মাংস দিয়ে গেলো প্লেটে করে করে। আমি অবাক থেকে সবাক হয়ে বলে উঠলাম এসব কি !! ইথান বিজ্ঞ চালে চটাপট করে মাংস উঠিয়ে উঠিয়ে সেই আগুনে ঝলসাতে বসে গেলো। বললো, নিজে নিজে এসব ঝলসে খাও! আমার তো চক্ষু চড়কগাছ! বেটা খাওয়াতে নিয়ে এসেও রাঁধাতে চায়!!! মনে মনে এসব বলে বাকরোধ হয়ে বসে রইলাম। হাত গুটিয়েও। মরে গেলেও সে মাংস টাংস ঝলসাবো না। ইথান করিৎকর্মা আমার বসে থাকার ধার না ধেরে কাজে লেগে গেলো। চটাপট মাংস সেকে আমাকে দিতে লাগলো আর আমি খেতে শুরু করলাম। তবে হ্যাঁ সে সেখানে যত কিছু ছিলো চিংড়ি, ফিস কেক, মোমো থেকে শুরু করে যত ছিলো সব খাওয়ালো।

এরপর দেখা হল ইতিমনির সাথে। ইতিমনি, আমার দেখা পৃথিবীর পাঁচজন ভালোমানুষের মাঝে একজন যিনি রেবেকা আপা, আমার পুরান কলিগ, তার মেয়ে। সে যখন আমাকে ইনভাইট করলো তার বাসায় দুপুরের লাঞ্চ খেতে। আমি তখন ভাবছিলাম কেমনে যাবো। কে নিয়ে যাবে! কি করে যাই! তাই সাহস সঞ্চয় করে নিজেই পা বাড়ালাম তালাওং এর পথে।
স্টেশনের মনিটরে তালাওয়াং দেখা যাচ্ছে এবং ঠিক ঠিক একা একাই পৌছে গেলাম ইতিমনির বাসায়। তানভীর ইতিমনির হাসব্যান্ড আমাকে স্টেশনে নিতে এসেছিলো। তাকে দেখেও অবাক আমি! এত ভালো একটা ছেলে! ঠিক রেবেকা আপার জামাই হবার মতনই সে,ইতিমনির হাসব্যান্ড যেন এমনই হবার ছিলো। ইতিমনি এত কিছু রান্না করেছিলো আমি অবাক!!!আর ইতিমনির বাসা দেখে আমি মুগ্ধ!!


বারান্দা থেকে ব্লু মাউন্টেন দেখা যায়। পুরাই এক স্বপ্নীল জগতে ইতিমনির সুখের নীড়ে অনেক ভালোলাগায় মন ভরিয়ে তারপর ফিরলাম সন্ধ্যাবেলায়....... আমার ধারনা এই ব্লগের একজন ইঞ্জিনীয়ার আপুনি এই রেবেকাআপাকে চেনেন। যদিও ইতিমনি আর রেবেকা আপা দুজনের নামই এ লেখায় বদলে দিয়েছি আমি। হা হা হা

মিতিমনির বাসায় অনেকগুলো বাচ্চারা এসেছিলো মা বাবাদের সাথে। এই মেয়েটা একটু পর পর রাগ করে!! এই রাগী বুড়িটাকেই পছন্দ হলো আমার। তাই ছবি তুলে ফেললাম!!! সে ছবি তুলবেই না। মা তাকে বললো তুমি ছবি তোলো এই আন্টিটার সাথে তাহলে কোক দেবো। কোক খাওয়া তার বারণ আর তাই এই শর্তে সে এক লাফে রাজী হয়ে আমার কোলে চড়ে বসলো। হা হা

আর এটা আমার নিজের বাসার সামনে। এই গাছটা আমার দারুন প্রিয়!! যদিও এই গাছের যত্ন নেন একজন থুত্থুড়ে বুড়ি। আমিও ওর মত হলে না হয় যত্ন নেবো! আপাতত ছবিই তুলি।

এরপর এলো রুপন্তীমনিদের সাথে দেখা করার দিন। রুপন্তী আর অনিক বিষম রকম লক্ষী বাচ্চাদের দু'জন তারা। সেই ছোট থেকে দেখছি রুপন্তীকে। রাজকন্যার মত আদরে বড় হওয়া মেয়েটা এখন সংসার ও চাকুরী সামলাচ্ছে একজন যোগ্য সহচর অনিকের সাথে। বারউডে মজাদার খানায় আমন্ত্রন জানিয়েছিলো তারা। নানা রকম গল্পে ও জরুরী কিছু আলোচনাতে কেটে গেলো সময়। বিকেলে গেলাম ওদের বাসায়। ছিমছাম বাসার কর্ত্রীকে দেখলাম আমাদের সেই ছোট্ট রুপন্তীকে। সময় কি করে যে কেটে গেলো বুঝতেই পারলাম না.....
পরদিন সকালে রুপন্তীমনির একটা মেসেজ আসলো টুং করে.......একটা ছবি আর মেসেজটা ছিলো..... দেখেন আমি অফিস করছি আর কফি খাচ্ছি। আমার প্রিয় মানুষগুলোর জন্য লুহ ক্রেসু ফ্রান্স সিরামিক শপ থেকে আমি মাগ কিনেছিলাম তারই একটা আমি গতকাল প্রিয় রুপন্তীমনিকে উপহার দিয়েছিলাম.......

রুপন্তীর পাঠানো ছবি যা সে পরদিন সকালে হোম অফিস করবার সময় এক মাগ ব্লাক কফি নিয়ে তুলেছিলো।
আমীরা........ছোট্ট একটা প্রজাপতির নাম। সে যখন আমার ক্লাসে ছিলো তখন আমি এনুয়াল শো এর সময়টাতে একটা নাচ শেখাচ্ছিলাম। সে প্রানপন চেষ্টায় সেই নাচ তুলে ফেললো খুব অল্পেই। আমীরা খুবই লক্ষী একটা মেয়ে ছিলো। প্লে গ্রুপে নিগার মিসেরও বড় আদরের ছিলো সে। এত সুন্দর করে কথা বলতো। কেজি ওয়ানে ওঠার পর স্কুল ছেড়ে চলে আসলো তারা অস্ট্রেলিয়া। সেই ২০১৮- ২০১৯ এর কথা।
এরপর আমি বারবার অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি কিন্তু আমীরার সাথে দেখা হয়নি কারন সে সময়টা তারা বাংলাদেশে ছিলো। এইবার আমি আর তার মা ঠিক করলাম এবার দেখা হবেই। নিম্মী আপা আমীরার মা জব নিয়ে বাসা বদল নিয়ে এত বিজি তবুও প্লানিং এ তিনি সেরা। আমাদের দেখা শুধু দেখাই ছিলোনা। এই দেখাকে কতটা স্মরনীয় করে তুললেন উনি নিজের কিছু ক্রিয়েটিভ পরিকল্পনায়।
আমাকে আর আমীরাকে নিয়ে গেলেন এক স্বপ্নরাজ্যে অনেক ঝামেলা করে সেখানে বুকিং দিয়ে। তারপর রং বেরং এর খানা পিনা । নিম্মী আপা বলে কোনটা খাবো আমি বলি যত রংবেরং এর খাবার সেসবই খাবো। হা হা যাইহোক আমরা নানা রকম রং বেরং এর খাবার খেয়ে ঢুকে গেলাম শ্বেতশুভ্র স্বর্গরাজ্যে....... কি নেই সেখানে হরিন, ঘোড়া, পাখি, ফুল আর শুভ্র তুষার...... সবচেয়ে মজার ছিলো সিনডেরেলার মিষ্টিকুমড়ার গাড়িটা ........আমরা সবাই সেখানে লাইন ধরে ছবি তুলে ফেললাম ..... এই রেস্টুরেন্টের বিশেষত্ব তারা প্রতি সিজনে আলাদা ভাবে সাজে। ঠিক আমার বাড়িটার মত। মানে বাংলাদেশের বাড়িটার মত। :)



শীতের দেশের সিনডেরেলার কুমড়োগাড়ি আর সিনডেরেলার কুমড়ো গাড়িতে আমি আর আমীরা।


কুমড়োগাড়িতে আমরা তিনজনা। আমার তো এখান থেকে নামতেই ইচ্ছা করছিলো না। ধ্যাৎ শীতে কাপাকাপির জন্য একটু ভটকু জ্যাকেটটাও খুলতে পারলাম না, :( অবশ্য নিজেকেও কুমড়োগাড়ীতে বেশ কুমড়ো কুমড়ো লাগছে। :)


বর্ণীল টাকো। নিম্মীআপা জিজ্ঞাসিলো কি খাহিবা? আমি বলিলাম রঙ্গিন খাদ্য খানা আর কিছু জানিনা....


দ্যা গার্ডেনের রঙ্গিন মজাদার চীজকেক


দ্যা গার্ডেনের রঙ্গিন খানা এবং পিনার ছবি নীচে..... :)


জ্যুস ইন গার্ডেন .... :)


যাইহোক সিডনীতে সারা সপ্তাহ লোকজন কাজ করে, অফিস যায়, বিজনেস সামলায় তবে বিকাল পাঁচটা বাঁজতেই ঘরে ফেরে আর চুপচাপ বোধ হয় ৯টাতেই ঘুমিয়ে পড়ে। তবে ছুটির দিনগুলোতে ওরা কি বাড়িতে কিছু রান্না করে না নাকি কে জানে!

ব্রেকফাস্টের দোকানে এত এত ভীড়!! আমিও চললাম একদিন অমন করেই স্পেশাল ব্রেকফাস্টে ব্রিসকেট খেতে সেই দু ঘন্টা খরচ করে উবারে চেপে এপিং থেকে সেখানে ব্লাক বিয়ারে। ছোট দোকান ও তার সামনের জায়গাটুকু পুরাই ভর্তি ছিলো। লোকজন বাচ্চাকাচ্চা দিয়ে।

অদ্ভুত রকমের জোড়া দেওয়া কাঁঠের বেঞ্জগুলো আমাকে নিয়ে গেলো যেন ২০০ বছর আগের কোনো অস্ট্রেলিয়ার গ্রামাঞ্চলে। শুনশান সেই কারখানা এলাকাতে খাবার পরে হেঁটেছিলাম কিছুক্ষন! কি আশ্চর্য্য সুন্দর শুনশান ছিমছাম রোড। পাশ ঘেষে বিশাল বড় বড় গাছে থোকা থোকা ফুল দুলছিলো। এ যেন পৃথিবীর কোনো স্থান নয়। পৃথিবীতে নেমে আসা স্বর্গরাজ্য!!!!


গিয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামে। অস্ট্রেলিয়া এসে আমি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলাম প্রথম যখন আসি। কবে থেকে গড়ে উঠেছিলো এই দেশ সেই ভাবনায় আমি আকুল ছিলাম! এ যেন অন্য আরেক জগত। আমার চেনা পৃথিবী থেকে একেবারেই আলাদা। প্রাচীন কালো কালো সব পাথুরে পাহাড় কেটে বানানো রেলপথ ধরে ছুটে চলেছে ট্রেন। কিছু কিছু বাড়ি দেখে মনে হয় এর বয়স কত!! গাছপালাগুলো তো আকাশ ছুঁয়ে চলে গেছে। ঠিক যেন জ্যাক এন্ড দ্য বীনস্টকের মত। বড় বড় পাখি, পোকা মাকড় সবই যেন গ্যালিভার ট্রাভেলের দেশ। অস্ট্রেলিয়ান জাদুঘর। এটা অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীনতম এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ইতিহাস ও নৃবিজ্ঞান জাদুঘর। এটা সিডনির সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টে, উইলিয়াম স্ট্রিটের ১ নম্বরে দাঁড়িয়ে আছে। আর বয়স!! ১৮২৭ সালে এই জাদুঘরের জন্ম হয়েছিল । এখন বয়স গুনে নাও!! বাপরে!!

পাখি বই!! অসাধারণ সব হাতে আঁকা ছবিতে!!

অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামে পেঙ্গুইনের মমি

মিউজিয়ামের ভেতরে পাখি চিত্রের মাঝে....

মিউজিয়ামের পাখি বই

পাখির মমি

মিউজিয়ামে জিরাফের সাথে। ভেতরে হিটিং এর কারণে একটু জোব্বা জাব্বা খোলার অবকাশ হয়েছিলো। যাইহোক অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামের নাম নাকি প্রথমে ছিলো Colonial Museum। ১৮৩৬ সালে "Australian Museum" নামে নামকরণ করা হয়। এই জাদুঘরে নাকি ২১ মিলিয়নেরও বেশি নিদর্শন রয়েছে, রয়েছে বিশাল ডাইনোসরের জীবাশ্ম, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের জীবাশ্ম। গতকাল বাইরে ছিলো চরম শীত। ঠিক আগেরদিনটাতেই শীতের প্রকোপ কম থাকায় পরদিনও কম থাকবে ভেবেছিলাম আমি। কিন্তু ভাবলাম এক আর হলো আরেক। শীতে জবুথবু হয়ে ভেতরে ঢোকার পথেই স্যুভেনিয়র শপ। নীল রং এর এক বড় পাখার প্রজাপতি খুব পছন্দ হলো। কিন্তু তার দাম নাকি ১২০ ডলার। তাই আর কিনলাম না আমি।
জাদুঘরে ঢোকার মুখেই অপরুপা সব পাখিদের মমি। আর সাথে নানা সুদৃশ্য ড্রইং। আমি তো সেই বর্নীল পাখিদের দেখেই মুগ্ধ!! এরপর মাছ জীব জন্তু আরও কত কি!!!!! বিশাল বড় হাতী আর হাতীর বাচ্চার কঙ্গাল থেকে শুরু করে প্রাগৈতিহাসিক সব বড় বড় পাখিদের কঙ্কালও ঝুলে রয়েছে সেখানে। সারা পৃথিবী থেকে সংগ্রহ করা নানা দুস্প্রাপ্য জিনিসে সাজানো এই জাদুঘর। হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যাথা হয়ে এলো। কিন্তু সবশেষে পৃথিবীর সব অপরূপা রত্নভান্ডারে মন হারালো ....

রুবি ! আচ্ছা রুবিকেই কি চূনী বলে!! কেমন এক নাম এই অমূল্য রত্নের। আর একটু হলেই চুর্নী বা চুন্নী হয়ে যেত!

রত্নভান্ডারের একটি ছবি। সারা পৃথিবীর সকল সংগ্রহের ছবি দিতে গেলে আরও কয়েকটা পোস্ট লাগবে। :)

অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামে যাবার আগে প্রথমেই ঢুকেছিলাম আনজাক মেমোরিয়ালে। মিউজিয়াম স্টেশনে নেমেই সিডনি
আনজাক মেমোরিয়াল স্মৃতিস্তম্ভ। হাইড পার্কের পাশ ঘেসে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই সুউচ্চ মেমোরিয়াল। ANZAC এই নামের কারণ Australian and New Zealand Army Corps ছোটো করে ANZAC। এই মেমোরিয়াল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় এবং নিউজিল্যান্ড সেনাদের স্মরণে উৎসর্গিত।

মেমোরিয়ালে ঢুকে প্রথমেই চোখে পড়ে একটি প্রতীকী ভাস্কর্য “Sacrifice”, যেখানে একজন নিহত সৈনিকের মরদেহ তার পরিবার ও জাতির প্রতীকী রূপে চারপাশে থাকা নারীর হাতে বহন করা হচ্ছে।
এখানে একটি রিফ্লেক্টিং পুল ও রয়েছে, যা বীরদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানায়। এখানে নীরবতা বজায় রাখার নোটিস রাখা আছে। প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল ANZAC Day-তে হাজারো মানুষ এখানে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় এবং বীর সেনাদের স্মরণ করেন। যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্যামেরা থেকে পোশাক আশাক অস্ত্র সস্ত্র সব সুরক্ষিত আছে।

নানা রকম ব্যাচ


ক্যাপটেন কুক আমার কাছে একজন রহস্য বা বিস্ময়ের নাম। হয়ত অস্ট্রেলিয়ার আবিষ্কারক বা তার কুক মার্কা নামটার জন্যই। আনজাক মেমোরিয়াল থেকে বের হয়ে চললাম অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামের দিকে। পথে এক বিশাল ব্রোঞ্জ মূর্তি। ক্যাপ্টেন জেমস কুক তার বাম হাতে একটি টেলিস্কোপ ধরে আছেন এবং ডান হাতটি উপরের দিকে প্রসারিত করে রাখা। ভাস্কর্যটি দক্ষিণে হাইড পার্কে মোরুয়া গ্রানাইট পাথরের একটি পাদদেশে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে ছবি তুলে নিলাম ঝটপট। এই মূর্তীটির শিল্পী টমাস উলনার।

লাইব্রেরী

সেন্ট ম্যারী’স ক্যাথেড্রাল (St Mary's Cathedral) অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম ক্যাথলিক গির্জার পাশ ঘেসে পৌছালাম হাইড পার্কে। যাবার আগে একটু ছবি তুলে নিলাম এই মন্দির মার্কা সুদৃশ্য গেটটা দেখে।


দূরের পানে মেলি আঁখি আমি শুধু চেয়ে থাকি

সারাদিনের ঘোরাঘুরির পর আসলে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে ফিরছিলাম আমরা। এর আগের জার্নীতে সেন্ট ম্যারীস ক্যাথড্রালে গিয়েছি বলে এবারে আর গেলাম না। বন্ডাই পিজাতে একগাঁদা পিজ্জা অর্ডার দিলাম এবং শেষ মেষ না শেষ করতে পেরে প্যাক করে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।

পিজ্জা

আল্লাহরে চীজ ব্রেড চাইছিলাম। তাই বলে এই ধামড়া ব্রেড তাও আবার দুইটা!! কেমনে খাই!!! ভেউ ভেউ !! পরে প্যাক করে বাসায় নিয়ে যেতেই হলো!!!

সুশি এটাই ছিলো আমার প্রিয় খাবার এবং এটাও রঙ্গে রঙ্গে রঙ্গিন খানা...... :) আর অন্য কোনো খানাই আমার ঠিক পছন্দ হয় না এখানে।


বারউড চায়না মার্কেটে একা একা ঘুরাঘুরির দিনে স্টেশনে দেখা হলো এক টিচার আর তার মেয়ের সাথে। সে ব্লু মাউন্টেনের এক স্কুলের টিচার এবং তার নাম সারাহ। তার ষোলো বছরের মেয়ে মিলির সাথে শপিং থেকে ফিরছিলো সে। যাইহোক বারউডের চায়না টাউনের রং ঝলমলে দারুন সব দোকান সজ্জায় মন জুড়িয়ে যায়। এক কোরিয়ান শপে (Korean Skewers Food) মজাদার সব ভাজাভুজি খেলাম।

এক কোরিয়ান মেয়ে বললো তুমি কিছুপরে নাইট স্ট্রিট মার্কেটে নানা রকম মজার খাবার পাবে। সেখানে গিয়ে থাই টি খেলাম কিন্তু সেই দোকানী কোনো দাম নিলো না ......

চায়না টাউনের সন্ধ্যার স্ট্রিট ফুড মার্কেট
একখানে একটা ফোটো শ্যুটের জায়গা ছিলো যা এক আলোর হৃদয়!!! তার মাঝে তাকিয়ে আমি অবাক!!! হাজার হাজার রং বেরং এর তালা দিয়ে বানানো হয়েছে সেই হার্ট!!!

এই মার্কেটে আমি দেখেছিলাম অসাধারণ সব চীনামাটির পুতুলগুলো। এমন সব পুতুলের ছবিই একটা সময় মিররমনি আমাকে দিয়েছিলো। এই কথাটাই আমার মনে পড়েছিলো পুতুলগুলি দেখে....


যাইহোক পথে যেতে যেতে যেন তেনো করেই নানা রকম সব অপূর্ব সুন্দর ফুলেদের ছবি তুলেছিলাম আমি। কত শত নাম না জানা ফুল। সবগুলিই চেনা চেনা লাগে তবুও অচেনা। অনেক ছবি ফোনেই পড়ে আছে। সবগুলো ল্যাপটপে রাখা হয়নি।
এই ফুলের নাম নাকি ফ্রায়েড এগ। আসলেই তো ডিমপোচের মত দেখতে। চারদিন সাথে মধ্যেখানে আস্ত ডিমের কুসুম। হা হা হা

নাম না জানা দুইটা ফুল

নাম না জানা একটা ফুল

থোকা থোকা ফলের মত ফুল

কাগজের ফুল

ছবি তোলার উদ্দেশ্যেই একদিন চললাম সেজেগুজে সিডনীর রয়েল বোটানিক গার্ডেনে। শীতের সাজগোজ আমার এমনিতেই পছন্দ নহে আগেই বলেছি তবুও ছবি তুলতে হবে বলে একটু সাজুগুজু করতেই হলো! যদিও ছবি দেখে নিন্দুকেরা বলবেই এইটা কি একটু!!! ওম্মা!!! যাইহোক আমি ভেবেছিলাম এই গার্ডেন মনে হয় এতই বড় যা এসে দেখি অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় পাখি, গাছ পাথর মানুষজন এসবের মতই তবে এই গার্ডেন বিশাল হলেও আমার আশাতীত আশার মত আশাতীত নহে। যদিও নাকি এর আকার ৩০০,০০০ বর্গমিটার।ওহ ৩০ হেক্টর মানে ৭৪ একর। তবে তো আসলেই অস্ট্রেলিয়ার অন্যনা্য কিছুর তুলনায় ছোটই বটে। তবুও তার গাছপালা আর ভাস্কর্য্যগুলির সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হলাম আমি ! ১৮১৬ সালে খোলা এই গার্ডেনটি নাকি একটি প্রাচীন উদ্ভিদবিদ্যা প্রতিষ্ঠানও। ছবি তুলতেই গিয়েছিলাম বটে তবে ফিরে এসে এই গার্ডেনের ইতিহাস পড়ে চক্ষু গুল্লু গুল্লু হয়ে গেলো।
রয়েল বোটানিক গার্ডেন

ন্যাশনাল গার্ডেনে ঢং ঢাং ছবি। নাচতে ইচ্ছে হচ্ছিলো। তাই একটু নৃত্যের ভঙ্গিমায় ছবি আর কি। হা হা






স্টেশনের এই কারুকাজ অনেক ভালো লেগে গেলো আমার..

গাছটা অনেক সুন্দর ছিলো। কিন্তু আধা উঠলো কেনো? :(

লাইব্রেরীর এক সাইড

সিডনী হারবার ব্রীজ...... :)

গিয়েছিলাম দ্যা স্টার এ। জীবনের প্রথম ক্যাসিনো দর্শন চর্মচক্ষুতে।

ছবিখানা খানা ভক্ষনের। ক্যাসিনোর ছবি তুলিনি কারণ ছবি তোলা মানা ও কোনো টাকাও খরচ করিনি কিন্তু আমি ভালা মানুষ :) আসলে সেটা ছিলো আমাদের বুফে খাবার দিন তবে সেই বুফে খানার লম্বা লাইন দেখে আমি সেই ইচ্ছা বাদ দিয়ে শুধু স্টেক খেয়েই হাঁটা দিলাম।

যাইহোক বেশ কয়েকবার আমি অস্ট্রেলিয়া সিডনী এসেছি কিন্তু প্রতিবারই আমি কারো না কারো সাথে ঘুরেছি। বাস, মেট্রো, ট্রেন সবকিছুরই এখানে একটু আলাদা নিয়ম বটে তবে খুবই সুনিয়ন্ত্রিত নিয়ম মাফিক। ওপাল কার্ড কিনে নিয়ে তারপর সেই কার্ড পাঞ্চ করে উঠে পড়া যায় বটে ট্রেনে, বাসে, ট্রামে। ওহ সেই ট্রামের নাম আবার লাইট রেইল!! ঢং আর কি !!! যাইহোক কার্ড ঘষে উঠে বসলেই তো আর হলো না। গুগল ম্যাপের মত ট্রেন সিডিউল ম্যাপ্ও মানতে হয়। যদিও সকল স্টেশনে মনিটরে সকল তথ্য টাইমিং দেওয়াই আছে। কারো সঙ্গে যখন ঘুরি আমি কোনোদিন চোখ কান মন কিছুই দেই না। ওরাই ম্যাপ দেখে ওরাই কখন কয়টায় মেট্রো বাস যাবে নাম্বার দেখা সবই তারাই করে। আমার কাজ শুধুই চারিদিকে চেয়ে দেখা। কিন্তু এবারে সেটা আর হলো না। নিজেই নিজের পথ দেখে দেখে একা একা ঘুরাঘুরির আনন্দে মেতে উঠলাম।

একা একা ঘোরার আনন্দ এটাই যা খুশি দেখো ঘুরে ঘুরে, যখন ইচ্ছা একটু বসে জিরিয়ে নাও, আবার হাঁটো, যা খুশি তাই খাও, যা ইচ্ছা কিনে ফেলো কেউ কিছু বলার নেই। তাই একা একা শপিং আমার সব সময় পছন্দ! সেদিন প্রথমেই ঢুকলাম কোরিয়ান কসমেটিকস ডাবলইউ তে। কোনো কোয়ালিটি দেখাদেখি নেই, কোনো দামের দিকে নজর নেই। খুব সুন্দর বোতলে হানি শ্যাম্পু দেখে বোতলটার জন্যই কিনে ফেললাম সেটা। সাথে আরও অপূর্ব সুন্দর লাল নীল বোতলে কন্ডিশনার। এই সব রং বেরং এর শ্যাম্পূ কন্ডিশনারের বোতল আমার বাথরুমে যখন সাজাবো কতই না সুন্দর লাগবে ভেবেই মন আনন্দে ভরে উঠলো কিন্তু ৩ কেজি কাঁধের ব্যাগে নিয়ে হাঁটতে গিয়ে একটু চিন্তিত হলাম।

ঘুরে ঘুরে পৌছুলাম লুহ ক্রেসু প্রনানসিয়েশনটা মনে হয় এমনই হবে এই নামে একটা দোকানে। সিরামিকের মাগ বাটি ঘটি অনেক দেখেছি আমি কিন্তু সেসব সিরামিকের কেটলী, থালা বাটি এমনকি ফ্রাইপ্যান সসপ্যানও যে এত সুন্দর!!! থমকে দাঁড়ালাম আমি। এত এত দাম!! কিনবো কি কিনবোনা ভাবতে ভাবতেই কিনে ফেললাম ৪টা মাগ। লালরং সবকটাই। উপহারের জন্য সবগুলা আর একটা রাখবো আমার কাছে
দোকানী মেয়েটার নাম ছিলো অদিতি। নারায়নগঞ্জের মেয়ে। ব্রাকে পড়েছে। এই সবে এসেছে ফেব্রুয়ারীতে। সেখানেই আরেক মেয়ে নাহিদের সাথে পরিচয় হলো। বাঙ্গালী। তাদের সাথে কিছুক্ষন গল্প করে উলসওয়ার্থ থেকে মাছ মাংস তন্দুর চিকেন একগাদা এসব কিনে আমি আর হাঁটতেই পারিনা। মনে মনে তখন শামীম শিমুলদেরকে ডাকছিলাম। যাইহোক অনেক কষ্টে টেনে টুনে সেই সব নিয়ে বাসায় পৌছুলাম।

শপিং কি একদিনে শেষ হয়! তাই পরদিন আবার চললাম বাকি শপিং এ... তার আগে অক্সফোর্ড স্ট্রিট, ক্যামব্রীজ স্ট্রীট, এসব দিয়ে হেঁটে বেড়ালাম। কেমিস্ট শপ থেকে লোশান, ক্রিম এসব কিনে ব্যাগ বোঝাই করলাম। তারপর সামনে সুন্দর একটা সাজুগুজু কফিশপ দেখে ঢুকে গেলাম। একটা কফি নিয়ে বসেছি মাত্র। একজন অনেক বয়স্ক লেডি এসে আমার সাথে টেবিলটা শেয়ার করতে চাইলো। আমি সানন্দে বসতে দিলাম। তারপর বকবক শুরু করলাম। তার বয়স নাকি ৬৪ আর নাম মেকান। কিন্তু এ বয়সেই সে হাপাচ্ছিলো। তার নাকি কি যেন একটা অসুখ হয়েছে। সে অল্পে ক্লান্ত হয়ে পড়ে আরও নানা কিছু বলতে লাগলো। সে কখনও বিয়ে করেনি। একা একা থাকে তাই অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। আমি আর কি বকবক করি সে তো দশগুন। আমার অবশ্য ভালো লাগছিলো তার গল্প শুনতে কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু কথা বুঝতেই পারছিলাম না। সে তখন বললো তোমার দোষ নেই আমার গলার প্রবলেমের জন্য অর্ধেক কথা আটকে যায়। তারসাথে ছবিও তুললাম আমি। তারপর বেরিয়ে এলাম শপিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে।


প্রথমেই গেলাম জেবি হাই ফাই শপটাতে। উদ্দেশ্য একটা সেল্ফিস্টিক কেনা। কারণ আমি জেনে গেছি একা একা ঘুরতে গেলে এই সেল্ফিস্টিক লাগবে আমার। সেটা কিনে সেই দোকানী মেয়েটার সাথেও গল্প জুড়ে দিলাম। ছবিও তুললাম তার সাথে। মেয়েটা মালায়সিয়া থেকে এসেছে। খুবই লক্ষী একটা মেয়ে। তার নাম হেনা। তার সাথেও একগাদা গল্প করে জিলেটো আইসক্রিমে গেলাম। সেখানে ছিলো এক অপরূপা ইরানী মেয়ে। গ্রীন এপেল আইসক্রিম নিয়ে তার সাথেও গল্প জুড়ে দিলাম। আমি বললাম তুমি ইরানী তাই এত সুন্দর!! সে তো খুশিতে আটখানা। তাকে শুনালাম আমাদের দেশ বাংলাদেশ। সেখানে আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম। তিনি ইরানী মেয়েকে নিয়ে একটা গান লিখেছিলেন জানো? গানটা নাচে ইরানী মেয়ে। কারন তিনি ইরানী কন্যার সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হয়েছিলেন। মেয়েটা তো মন দিয়ে সেই গল্প শুনে অবাক!! অনেক খুশি হয়ে সেই গান মানে নাচ সার্চ দিয়ে দেখতে শুরু করলো।


চ্যাটসউডের স্ট্রিট শপগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ ভুলে যাবার নয়। তবে সেখান থেকে এমন সব দুল কিনেছি আমি যা আমি স্কুলে পরে গেলে সব বেবিরা হাতে ধরে দেখতে চায়। তবে সেটা করতে গিয়ে আমার কান ধরেও টানাটানি লেগে যায় মাঝে মাঝে হা হা হা।
তবে আমি ইচ্ছে করেই কিনেছি এসব। ওদের জন্যই......

শীতের পত্রশূন্য বৃক্ষ
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার খুব কম করি আমি। আমার ব্যাংক আমার উনার ড্রয়ার। যখন ইচ্ছা যাই কিনি তাই সেখান থেকেই পে করা হয়। আমার কোনো শখ ইচ্ছা পূরণে সে কখনও আমাকে প্রশ্ন করে না। এটার কারন আমি সৌখিন বটে তবে অপরিনামদর্শীও নই মনে হয়। তবে হ্যাঁ মাঝে মাঝে অনেক অনেক দামী শাড়ি বা গয়না কিনে ভেবেছিলাম হয়ত সে কিছু বলতেও পারে। কিন্তু না সে কখনও কিছুই বলেনি। যাইহোক এখানে তো সেই ড্রয়ার নেই কাজেই নিজের ক্রেডিট কার্ডই ইউজ করতে হবে। এখন নিজে নিজে ঘুরতে গিয়ে দেখি একেক শপিং এ আমার কার্ড থেকে কয়েক হাজার নেমে যাচ্ছে। এ কথা ফোনে বলতেই উনি বললেন দেখো ঐ টাকার মধ্যেই শপিং করো। ক্রেডিট কার্ড লিমিট ক্রস করে দিও না। হা হা তার মানে যা ভাবতাম তাই নহে আমাকে নিয়ে তার সংশয় আছে। আমি মোটেও পরিনামদর্শী নহি।


চঞ্চলা মেঘ রে আর কোথা যাস নে ......

এই ফুলটা অনেক প্রিয় হয়ে গিয়েছিলো এবং গাছটাও।

কিন্তু সব কিছুর পরেও আমার মনে হয় এখানে স্বছ সুন্দর নির্মল আঁকাশ আছে যা এত শীতেও একটুও ধুলো ছড়ায়নি। আমাকে অসুস্থ্য করে দেয়নি। এখানে রাস্তা দিয়ে হাঁটলে সবচাইতে বেশি মন ভালো হয় কারণ কোথাও কোনো ধুলো ময়লা নেই, খোলা ম্যনহোলে মুখ থুবড়ে পড়ার ভয় নেই, কেউ এসে ধাক্কা দেবে ভেবে অশান্তি নেই। এখানে গাড়ি না থাকলেও বাস, ট্টেন মেট্রো মিনিটে মিনিটে আসছে। নাগরিক সুবিধা কাকে বলে এখানে এসেই তা ফিল করা যায়। দোকান পাট বাড়ি ঘরের সকল কাজ কর্ম, মানুষে মানুষে নিজেদের মত শান্তিতে থাকা এ সব নিয়ে স্বর্গীয় সুখের দেশ এই দেশ।
তবুও ধুলো ময়লা কাঁদামাটি রোগ জীবানু কুচুটে লোকজন আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশি সহকর্মী এ সব নিয়েও সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি.......

তাই আমি বারে বারে ফিরে আসি এবং আসবো এবং আসতেই চাই এই মাটি ও বাংলাদেশেই .....


খুব খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই পোস্ট দেওয়া হয়নি বেশ কিছুদিন। স্বপ্নের শঙ্খচিলভাইয়া, সত্যপথিকভাইয়া, বিজনভাইয়া আর ঢাবিয়ান ভাইয়ারা এবং আজকে গেঁয়ো ভূত ভাইয়া আমার পোস্ট খুঁজেছিলো তাই এই পোস্টখানা তাহাদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত হইলো।

মন্তব্য ১৪৪ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (১৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১২

বিজন রয় বলেছেন: "পুত্তুম পিলাচ"

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:২৬

শায়মা বলেছেন: যাক তুমি তাহলে এলে !!!

এতদিন পরে এসে একটু রেগুলার হবার জন্য আর আমাকে লিখতে বলার জন্য এই লেখা হলো ।

তাই তোমার জন্য একটা গান দেই .....

Tumi ele onek diner pore jeno brishti elo

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: হ্যাঁ এলাম। আর অনেক আগে আমরা ব্লগে কারো পোস্টে প্রথম মন্তব্যকারী হতে পারলে 'পুত্তুম পিলাচ' এই শব্দটি বলতাম। আপনার এসব মনে আছে নিশ্চয়ই।

ওই যে হারিয়ে যাওয়া ব্লগার রাজসোহান , লেখোয়াড় ...... সহ আরো অনেকে ওই শব্দটি ব্যবহার করতো!

আমি ভুলিনি সেসব।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৯

শায়মা বলেছেন: আমার তো মনে হয় তুমিই লেখোয়াড় ভাইয়া ছিলে! :P

হ্যাঁ সেই পুত্তুম পেলাচ মাইনাচ কত কিছু!!!!!!!!! :P

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: এতদিন পরে এসে একটু রেগুলার হবার জন্য আর আমাকে লিখতে বলার জন্য এই লেখা হলো ।

হ্যাঁ, পোস্টের শেষ দু'লাইনে সেটা বলেছেন দেখেছি।

আসলে ব্লগে এলে কেমন নিঃসঙ্গ লাগে।
আপনার আগের পোস্টে আমার করা মন্তব্যের উত্তরে যেমন বলেছিলেন......

"কোথাও কেহ নেই
কার জন্য লিখবো!"


শুধু ব্লগে নয় পুরা দেশটাতেই তাই মনে হয়।
কোথাও কেহ নাই, কার জন্য অপেক্ষা করবো!!

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০০

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ হুমায়ুন আহমেদের গল্প হয়ে গেলাম আমরা!!!

কোথাও কেউ নেই!!!!!!!!!! :)

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: অনেক প্রাণময়, প্রাজ্জ্বল, ঝরঝরে পোস্ট!
ভ্রমণ, স্থান, সাথে আপনার নিজের অনেক অনুভূতির প্রকাশ জানতে পারলাম।

আশাকরি লেখালেখি করাটা আপনি বিদ্যমান রাখবেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০২

শায়মা বলেছেন: আসলে এখানে লিখিনি বটে। ব্লগের ফেসবুকেও লিখিনি কিন্তু এই ভ্রমনের কিছু কিছু প্রতিদিন লিখে রেখেছিলাম রোজনামচার মত করে। সেটাই একটু সেটিং করে দিলাম হা হা।

না ছাড়তে চাই না লেখালিখি। কিন্তু জীবনের মোড় ঘুরে ঘুরে এমন জায়গায় গেছে যে থমকে যায় লেখার সময়গুলো। শুধু ইচ্ছেটা এখনও মরে যায়নি!

তুমি লেখো না কেনো?

কোথায় ডুব দিয়েছিলে?

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: অনেক দিন পরে লিখাতে একটু লম্বা হয়ে গেছে।সাথে ছবি থাকাতে আকর্ষণ হারায় নি।ব্লগের সেই ইঞ্জিনীয়ার আপুটি মনে হয় মিররডল।তাঁকেও অনেক দিন ব্লগে দেখা যায় না।আজকে হয়তো দেখা যেতেও পারে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৩

শায়মা বলেছেন: না না মিররমনি ইঞ্জিনীয়ার না!!!

সে আরেক আপুনি!!!!!!!!

হা হা ভাইয়া লম্বা হয়েছে কারণ সকল কিছু লিখতে গেলে কয়েক পর্ব লাগবে। শুধু রত্নভান্ডার নিয়েই লেখার ইচ্ছা ছিলো। সেটাই এক পুরো পোস্ট হয়ে যেত!

তুমি ভালো আছো তো!! শরীর ভালো?

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: রংগীন সব খানাপিনা আর ছবি দেখে মন চনমন করে উঠলো। তোমার কানের দুল গুলো দেখলে আমার কন্যারা নির্ঘাত বলবে ''মা আন্তি কী পরেছে? আংগুর? দুছ (জুস)? আমি দুছ খাবো"। :)

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২১

শায়মা বলেছেন: হা হা আসলেও তাই। তোমার মেয়েরা এটাই বলবে!!

আমার স্কুলের বেবিরাও এমনই বলে!!! :)

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: এ একদম মানা যায় না । আমরা এখানে গরমের জন্য হাঁসফাঁশ করছি আর তুমি ওখানে শীতের আমেজ নিচ্ছ । একদম মানা যায় না ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২১

শায়মা বলেছেন: শীতের আমেজ!!!!

এটা শী্তের ভূত!!!!!!!!!!! :((

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩১

লোকমানুষ বলেছেন: শীতের সিডনিতে ভ্রমণকথায় লেগে আছে জীবনের রঙিন ছোঁয়া। আপনার চোখে আমরা দেখলাম অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক সুবিধা, রঙিন বাজার, মিউজিয়ামের প্রাচীন রহস্য, বন্ধুদের আন্তরিক আড্ডা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বিদেশের সুশৃঙ্খল জীবনযাপন যেমন আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন, তেমনি জন্মভূমির টানও সমান তীব্রভাবে উঠে এসেছে আপনার ভ্রমণ গল্পে।

ভ্রমণের আনন্দ আর গৃহের মায়ার মিশেলে সত্যিই মন ভরালো এই লেখা।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪২

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!! তুমি কে ভাইয়ু!!
নতুন কেউ নাকি পুরানো মানুষ!!

তোমার কমেন্টও এক্কেবারে অরগানাইজড রাইটিং এর একটি পার্ট!!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ভাইয়ামনি!!!

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ওয়াও!কত্ত বড় পোস্ট আর এত্তো এত্তো ছবি! অনেক সময় নিয়ে পড়তে হবে, পড়া শেষে এসে কমেন্ট করবো। শুভরাত্রি শায়মা আপা এবং সকল ব্লগারদের।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৫৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু এত কষ্ট করে লগ ইন করেও রাত দুপুরে কমেন্ট করলে!!!
পড়া হলো না !! আসলেই বিশাল পোস্ট!! খন্ড খন্ড করে দিলে কয়েকটা পোস্ট দিতে হত কিন্তু মোটামুটি সবকিছুই একসাথে এনে ফেললাম।

নয়ত চ্যাটসউড স্ট্রিট মার্কেটে সারা বিকেল ঘুরে বেড়ানো একা একা কিংবা চায়না টাউনের খানাপিনার মজা নিয়েই লেখা যেত অনেক কিছুই !!! :)

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৬

করুণাধারা বলেছেন: বারোটার পর আমি জেগে থাকি না, কিন্তু আজকে জেগে থাকলাম। কেন বল দেখি? ধাঁধা :D

তোমার এই পোস্ট পুরোটা পড়েছি (কিন্তু পোস্ট নিয়ে পরে কথা হবে)। দেখলাম, তুমি রংবেরঙের খাবার খেতে পছন্দ করো বলছো। তাই তোমার জন্য এই রংবেরঙের কেক আনলাম (রেইনবো কেক নিয়ে তোমার একটা পোস্ট ছিল না?)।

জন্মদিনের অনেক শুভকামনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১২

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!

হা হা অতো কঠিন ধাঁধাটাও সেদিন ধরে ফেললাম এক নিমিষে আর আজ বারোটার পরের জাগাজাগির কারণ ধরতে পারবো না!! এটা কোনো ধাঁধা হলো!!!!!!!!! হা হা

রেইনবো কেকটা মনে হয় তুমি বানিয়েছিলে। তাই অমন বাঁকাচোরা!!! :P অবশ্য আমি বানালেও অমনই হয়!!!

আচ্ছা আমার এত খুঁটিনাটি তুমি মনে রাখো কেমনে বলো তো!!!!!!! আমার ধারনা তুমি আমাকে যেইভাবে অভজার্ব করেছো এই ব্লগ জীবনে তাহা আমার কোনো পাগল প্রেমীও ইহ জীবনে করেনি। আর তুমি ট্যালেন্ট বটে তবে বুদ্ধিমতী কি????



হা হা হা হা হা আপুনি আমি বার বার হাসি আর হাসি। তোমার সাথে আমার অচীরেই দেখা হচ্ছে বটে...... :P
সেদিন আরও হাসবো ওক্কে!!!!!!!!

ওহ হ্যাঁ থ্যাংক ইউ!!!!!!!!!!!! বুড়িকালে জনমদিন স্মরণ করাই দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য!
যদিও আমি জনমদিনে লুইজ্জা পাই ..... :P

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছোট করে পোষ্ট দিতে পারো না !
হাপ্সে গেলাম পড়তে পড়তে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১৪

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!

সেই দিন কাল আর নাই!!!!!!!!!!
সময় নাই !!!!!!!!!!!!!!

রোজ যা যা লিখে রাখতাম একবারে ঢেলে দিয়েছি!!!!!!!

তবে তুমি তোমার উপরের কমেন্ট পড়ো!!!!!!! X((

মানে করুনধারা আপুনির কমেন্ট!!!!!!!! দেখো দেখো আপুনি কেনো আমাকে তুবেত্তা দানালো!!!!!!! আমি বলো হুই গেতি না!!! :P

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলেই তুমি বড় হয়ে গেলা

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২৭

শায়মা বলেছেন: যাক ভাগ্যিস বুড়ি বলোনি!!!!!!!!

আমি বড় হয়েও তোতো থাকতে চাই!!!!!


চাঁদগাজীভাইয়া বলেছিলো প্রতি বছর নাকি আমার এক এক বছর করে বয়স কমে!! হা হা হা :P

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩২

আরোগ্য বলেছেন: যাবো নাকো ভিজিট করে
দেখলাম এবার লগইন করে
কেমন করে ঘুরছে আপা
সিডনি শহরের পথে ঘাটে।


এতো দীর্ঘ পোস্ট। বাপরে! চোখ বুলিয়ে মন্তব্য রেখে গেলাম। শায়মা আপার মুখের হাসি সদা রঙিন থাকুক। :)

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৫

শায়মা বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ লগ ইন করার জন্য.....

দীর্ঘ পোস্ট আস্তে আস্তে পড়ো ভাইয়ু!!!

নো চোখ বুলাবুলি শুধু তবে অবশ্যই করুনাধারা আপুনির কমেনট পড়তে ভুলোনা কিন্তু....... হা হা



অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়ামনি!!!

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪৬

আরোগ্য বলেছেন:
ইশ! কেমনে মিস করলাম। আমি এমনিতে অন্যদের মন্তব্য পড়ার চেষ্টা করি ! আজকে কেন জানি এড়িয়ে গেলাম। যাই হোক সদ্য কৈশোরে পদার্পণের জন্য অনেক শুভকামনা ;) !:#P



আমার বাসায় বিশেষ দিনের বিশেষ ভোজ পাঠানোর অনুরোধ রইলো। :)

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪৯

শায়মা বলেছেন: আমি তো আমার গিফ্ট দেখে মুগ্ধ ভাইয়া!!

এত সুন্দর মিনিয়েচার কাঁচের বাড়ি!!!!!!


তুমি বানিয়েছো!!!!!!!

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪৮

আরোগ্য বলেছেন: হায় আল্লাহ ছবি কেমনে উল্টে গেল?? :||

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৩

শায়মা বলেছেন: হা হা ছবি লম্বা হলে এমন হয়। তখন ছবি এডিট করে একটু উপরে বা নীচে কেটে দিলে ঠিক হয়। কিন্তু এটা কি তোমার বানানো?

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৩

আরোগ্য বলেছেন: আরে বাপরে আমি বানাবো? সবাই কি শায়মা আপার মত এতো গুণসম্পন্ন নাকি? এটা প্রায় আঠারো বছর আগের কেনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৫

শায়মা বলেছেন: বাহ!! খুবই সুন্দর!!!

ওকে আমি বানাবো আর বানিয়ে তোমাকে দেখাবোও ওকে???

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: তাই তো বলি শায়মা আপা সর্ব গুণসম্পন্ন । সাবধানে কঙ্কাবতী রাজকন্যার আবার হাত না কাটে পরে আবার আমার উপর অভিশাপ এসে পড়বে। আর অন্ধকার দেখার শক্তি নেই আর ইচ্ছেও নেই। :(

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

শায়মা বলেছেন: না না হাত কাটবো না। কাটলেও পাত্তাই দেবো না। ভাইয়া আমার মিনিয়েচার সোফা টেবিল চেয়ার এমনকি কাগজ দিয়ে হারমোনিয়াম গিটার ল্যাম্প বানানো পোস্টটা কি দেখেছিলে!!!
না দেখলে আমি লিঙ্ক নিয়ে আসছি। :) এই বাড়িটাও ইনশা আল্লাহ বানিয়ে ফেলবো।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শায়মা বলেছেন: এই সেই মিনিয়েচার পোস্ট


এটা দেখো ভাইয়া.....

এইবার নেক্সট টারগেট তোমার কাঁচের বাড়ি ..... :)

১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৩৭

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রমণ কাহিনী ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শায়মা বলেছেন: আপুনি অনেক অনেক থ্যাংকস এবং ভালোবাসাও!!! :)

১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৩৫

আজব লিংকন বলেছেন: প্রিয় শায়মা আপা,
ভালোবাসা নিও। এটা একটা বই লিখে ফেলছো। ছবিগুলো দেখলাম আর লেখায় হাল্কা চোখ বুলিয়ে গেলাম। তুমি এত্তো কিউট কেনো? নাহ তোমার থেকে একটু বেশি কিউট রাগি বাবুটা যাকে কেক খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ছবি তুলেছো। ভারি মিষ্টি।।

সম্পূর্ণ পোস্ট কত দিনে শেষ করব আল্লাহ মালুম। ভেউ ভেউ। ভেউ ভেউ ডায়লগ পছন্দ হয়েছে। LOL

* অনেক দিন পর এমন সুন্দর একটা লেখা দেখে ভালো লাগলো।।
* কেমন আছো তুমি?
* হ্যাপি মুডে লেখাটি আমি বেশ মজা নিয়ে পড়ব।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১

শায়মা বলেছেন: হা হা কেক না তাকে তার মা কোক খেতে দেয় না তাই সেই লোভটাই দেখিয়েছিলো। সদা ও সর্বদা আমর পাঁজি বাচ্চাদেরকে পছন্দ! দুষ্ট শয়তান বদ বাচ্চাদের শয়তানী বজ্জাতি নরমে গরমে মাথায় হাত বুলিয়ে রেগে মেগে ভালোবেসে দুলিয়ে নিজের বশে আনার কৃতিত্বে আমি পুলকিত হই!!! হা হা

যাই হোক এই পোস্টে তেমন কিছুই লিখিনি। বেশিভাগ ছবি লেখা তেমন বড় না কিন্তু!! তবে সমস্যা হইলোক আজকাল তোমার মত পোলাপাইনেরা বড়ই আলস্যে শিকার!! তাহারা শুধু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কয়েক লাইনের পোস্ট পড়িতে আনন্দ পায়!!!

নো নো নো এই সব ফাকিবাজি আলস্য পরিহার করো বাছা!!!
আমি সবসময় হ্যাপী ম্যুডেই থাকি। তুমিও মনে হয় হ্যাপীই থাকো তবে ফাকিবাজি করতে চাও যখন তখন আনহ্যাপী মোড অন হয়ে যায়!!! হা হা হা হা হা হা হা


ঠিক বলিনি!!!!!!!!!!!! :P

২০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৫০

আজব লিংকন বলেছেন: হ্যাপি বার্থডে টু ইউ মাই ডিয়ার সুইট আপা।।
জন্মদিনের অনেক শুভকামনা
দোয়া ছাড়া আমার দেবার মতো কিছু নেই। দোয়া করি ঈশ্বরের কৃপায় তোমার সকল ইচ্ছে পূর্ণ হোক।।
মে গড ব্লেস ইউ।।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০২

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ !!!

অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়ু পিচ্চু!!! :)

২১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: 'পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি, তবুও পড়ার আগ্রহ শেষ হয়না'- এটাই তোমার লেখার মুন্সিয়ানায়!

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু তোমার তো ক্লান্ত হওয়া চলিবেক লাই!!!!!!

ক্লান্ত হইবেক আজকালকার দিনের জেন জি এরা!!!

তুমি তো জেম!!! আমাদের রত্নভান্ডার পাঠক ও লেখক!!! :)

২২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৫১

বিজন রয় বলেছেন: আমার একাটই নিক। আগেও বলেছি।

আর কোথায় ডুব দিয়েছিলাম?
আমার স্মৃতিকথা পড়লে জানতে পারবেন।
ততদিন যদি যোগাযোগ থাকে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১

শায়মা বলেছেন: তোমার স্মৃতিকথা কোথায় পড়বো!!!
সামুতে লিখলে হয়ত পড়া হবে!!!

তবে হ্যাঁ যোগাযোগের ভরসা নেই এই নশ্বর ব্লগে।আজ যে বন্ধু কাল সে কখন কোথায় তোমাকে যে ভুল বুঝে কল্পনার দুঃখ ও ক্ষোভের পাহাড় তুলে দাঁড়াবে তার কোনোই বিশ্বাস নেই হা হা হা ।

তোমাকে দেখলে একটা কথা মনে পড়ে।

একবার আমি ক্ষেপে টেপে তোমার এক নারী বন্ধু ব্লগারের সামনে রণ রঙ্গিনী মূরতীতে খোলা তলোয়ার খুলে সন্মুখ সমরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।

চক্ষু বন করে ঘ্যাচাঘ্যাচ তলোয়ার চালাচ্ছিলাম। তখন তুমি আমার উপরে খুবই ক্ষুব্ধ হইয়াছিলে মনে মনে তাহা আমি জানি।

হা হা হা হা তারপর কোথায় গেলো সে সব দিন আর কোথায় হারালো তাহারা .......

সেই সব জ্বজাল্যমান তারকারা প্রায় খসেই পড়েছে সামুর আকাশ থেকে। তবুও মনে পড়ে কত কথা কত স্মৃতি যখন তোমাদেরকে দেখি উঁকি ঝুকি দিয়ে সামুর দূয়ারে।

:)

লেখোয়াড় ভাইয়াকে মনে পড়ে তোমাকে দেখলে। কোথায় যে হারালো আর কখনও ফিরে এলো না .....কালীদাসভাইয়াকেও মনে পড়ে। সেও আর ফিরিলো না ...... :(

২৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৫২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



অভারঅল দারুণ একটি পোস্ট! অস্ট্রেলিয়া দেশটি সুন্দর। আগে শুনেছিলাম। এখন তোমার পোস্টে ধারণাটি আরো পাকাপোক্ত হলো!!!

ছবিগুলো বরাবরের মতো প্রাঞ্জল হয়েছে। ক্যামেরারা সামনের মানুষকে ধন্যবাদ দেওয়ার সাথে সাথে পিছনের মানুষটার সুন্দর মনের পরিচয় মেলে।

অস্ট্রেলিয়ার রাস্তাগুলোর নাম লন্ডনের মতো মনে হলো। অক্সফোর্ড স্ট্রিট, ক্যামব্রিজ স্ট্রিট! হাইড পার্ক! দোকান আর মিউজিয়ামের আদলও ইউরোপীয় স্টাইলের! তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির কিছু আশা করছিলাম তোমার পোস্টে।

সর্বোপরি, এ ডাবল ত্রিপল প্লাস!!!!

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

শায়মা বলেছেন: এই কথা ঠিক। অস্ট্রেলিয়ার আকাশ বাতাস দেখলে মনে হয় কোথা স্বর্গ কোথা নরক কে বলে তা বহুদূর। এই দেশেতেই স্বর্গের ছোঁয়া ............ :)
ওহ পিছনে কোনো বিশেষ মানুষ ছিলো না কিন্তুক। একা একা ভ্রমনে সেল্ফিস্টিক আর রাস্তাঘাটের মানুষই ছিলো বেশিভাগ সময়!!!
তবে হ্যাঁ যাহাদের বাসায় গেলাম তাহাদের সাথে এখানে সেখানে ঘুরাঘুরি করিলাম তাহারাও ফটোগ্রাফার ছিলো।


ওহ অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব কিছু আছে নাকি!!! সবই তো অন্যের মনে হয়। দোকান পাট মার্কেট বাজার সবই চায়না, এরাবিয়ান, আফগানিস্থান, টা্রকী, কোরিয়ানদের দখলে। দেখলে না চায়না মার্কেটে খানাপিনা, কোরিয়ান কসমেটিকস আরও কিছু তো পোস্টেই আনিনি। সামুসহ লোকজন খুঁজে বের করে মাইর দেবে ভেবে।

আর এবরিজিনালদের শিঙ্গা আই মিন মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, ওদের আঁকা আর্ট, নাচা গানা এ সব তো প্রথম ভ্রমনেই শেষ করেছিলাম। তাই এবার আর সে সব নিয়ে সময় নত্ত কলিনি ভাইয়ু!!! :P

২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৫৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কবে ঘুরতে গেলা আবার

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

শায়মা বলেছেন: যাওয়া আসার মাঝেই আছি তো আপুনি!!!!


আসা যাওয়ার পথের ধারে

২৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: খানাখাদ্য আর পাখি, ফুল ও বৃক্ষের ছবিগুলো অসাধারণ!

আর হ্যাঁ, জেমস কুকের সাথে বা পরিবর্তে (!) অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী মানুষদের ছবি, জীবন ও লোকালয় দেখতে পেলে আরও বেশি আনন্দ পেতাম।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ুমনি!!!!!

আর জেমসকুকের সাথে ছবি দিয়েছি তো......




এই যে এই যে ..... আর আদিবাসী মানুষের ছবিগুলিও আনছি। :)

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

শায়মা বলেছেন:





এই নাও তাহাদের নাচা গানার ছবি। স্টেশনে নেমেই তাহাদের নাচা গানা। তবে হ্যাঁ ওদের ভয়ংকর রকম সাজুগুজু দেখে আর তাহাদের কাছে বেশি দূর যাবার সাধ জাগাইনি!!!!!!!

২৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: সকল বেহেসতি ব্যাপার স্যাপার কি ইউরোপ আর অস্ট্রেলিয়া তে?

বাংলাদেশেও মনে হয় টুকটাক আছে । কিন্তু আমাদের লোভ তা জাহান্নামে পরিনিত করে ফেলছে ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:০০

শায়মা বলেছেন: আমাদের গ্রামগুলো তো বেহেস্তের চাইতেও সুন্দর মনে হয় !!!!!

মানুষের লোভ জাহান্নাম চলে যাক!!!! :)

২৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টের আবদারে সারা দিয়ে বিড়াট এক পোস্ট নিয়ে হাজিরা দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল । সবসময়েই এরকম প্রানবন্ত থাকুন ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: হা হা সত্যিই অনেকদিন পোস্ট দেওয়া হয়নি!! তাই একদম আদা জল খেয়ে এই পোস্টিং!!


আর অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ু!!! অনেক অনেক ভালোবাসা!!!!! :)

২৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪

প্রামানিক বলেছেন: যেমন ছবি তেমন লেখা, খুব ভালো লাগল।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:০২

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ুমনি!!

তোমার শরীর ভালো আছে তো!!

২৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবিসহ ভ্রমনব্লগ বেশ ভাল লেগেছে।আপনার বারবিকিউ রেস্টূরেন্টের অভিজ্ঞতা পড়ে আমার নিজেরো এক অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ল। প্রায় ২৩/২৪ বছর আগের কথা। অফিসের এক পার্টি দেয়া হয়েছে এক কোড়িয়ান হটপট কাম বারবিকিউ পার্টিতে। সেখানে গিয়ে আপনার মতই ভ্যবাচ্যকা অবস্থা। সেই সময়ে আমরা বারবিকিউ বিষয়টার সাথেই পরিচিত ছিলাম না । প্রত্যেক টেবিলে দেখি বিশাল এক স্যূপের হটপট এবং বারবিউকিউ করার সেট । আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি হচ্ছে। কলিগরা দেখলাম সবাই উঠে গিয়ে নানান রকম র আইটেম এনে সেই হটপটের স্যূ্পে ছাড়ছে । একইসাথে বিভিন্ন খাবার বারবিকিউ করছে। আমি বসে আছি ঠায়। এরপর দেখলাম সবাই কাঠি ( চপস্টিক ) দিয়ে হটপট ও বারবিকিউ সেট থেকে খাবার প্লেটে তুলে নিয়ে খাচ্ছে। এক কলিগ আমি বসে আছি দেখে আমার সামনে খাবার ভর্তি এক প্লেট এনে রাখলো। খাবারের চেহারা দেখেই একটুও খেতে ইচ্ছা হল না। না পেরে শেষে বলেই ফেললাম যে, আমি আসলে এই ধরনের খাবারের সাথে পরিচিত না। এক ইন্ডিয়ান কলিগ আমার অবস্থাটা বুঝতে পেরেছিল। সে বলল যে , রেস্টুরেন্টের এক কর্নারে ফ্রাই নুডলস এবং কিছু ডেজার্ট আইটেম আছে। আমি সেগুলো ট্রাই করতে পারি। সেই বেলায় সেগুলো খেয়েই শেষে উদর পুর্তি করি। :D

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৪

শায়মা বলেছেন: হা হা হা আমারও কিন্তু ঐ চায়না টাউনে গিয়ে এমনই হয়েছিলো। কোনটা যে খাই কোনটা যে খাই!!!!!!! পরে এক কোরিয়ান রমনী আসিয়া বলিলো আমার ধারনা তোমার এটা এটা ভালো লাগিবেক!!!

আমি হে হে করে তাই তাই নিয়ে নিলাম!! কিন্তু সকলি ভালো লাগিলোক না আর ভুট্টা বারবিকিউ খাবার পর থেকেই আমার হাতে ব্যাথা হাতে ব্যাথা। এখন আমার কত কাজ

পাপেট শো স্ক্রিপ্ট রাইটিং, গলা দেওয়া, পরিচালনা করা, সামনে এনুয়াল শো বাচ্চাদেরকে কান ধরে নাচের লাইনে দাঁড়া করানো এসব আমি এখন ব্যাথা হাত নিয়ে করি কেমনে!!!!!! :((

৩০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮

সামরিন হক বলেছেন: বাহ্ ! চমৎকার।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!!!!
লাভ ইউ!!!

অনেক অনেক ভালোবাসা !!!!

৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভ্রমণ, ছবি, খাবার, আড্ডা সব মিরিয়ে দারুন দিন পারকরেছেন, ধন্যবাদ জমজমাট এক ব্লগ উপহার দেওয়ার জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৬

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!!!!!!!! :) অনেক অনেক ভালোবাসা!!!

৩২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: "আমির", প্রথমে ভেবেছিলাম টাইপিং মিস্টেক, পরে বুঝলাম সচেতন ভাবেই শব্দটি ব্যাবহার করা হয়েছে, বেশ সুন্দর শব্দচয়ন! কাজের ফাঁকে ফাঁকে বেশ তাঁড়িয়ে তাঁড়িয়েই পড়লাম, বেশ পরিশ্রমসাধ্য লিখা যা কয়েকটি পর্বে প্রকাশিত হতে পারতো, বেশ বর্ণিল ভ্রমণ অভিজ্ঞতার স্বাদ পেলাম সুলিখিত এই পোস্ট পাঠান্তে, যেন ঘোল এর স্বাদ মেটাতে দুধ পেয়ে গেলো সামু পাগলারা। ছবিগুলোও বেশ সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ, লিখাটা দিয়ে সামু কে আবারও সমৃদ্ধ করবার জন্য।

১৭ই আগস্ট, আপনার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভকামনা, আমাদের মাঝে, সামুদের মাঝে বেঁচে থাকুন, এভাবেই দারুন সব লিখার ডালির পসরা নিয়ে। শুভ জন্মদিন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৮

শায়মা বলেছেন: হা হা হা আমির ইচ্ছা করেই লিখেছি ভাইয়া!!! আসলেই কয়েক পর্বের দরকার ছিলো। তবে আজকাল সময়ের সাথে যুদ্ধ করে চলা কাজেই সময়কে ঘাড় ধরে কাজে লাগিয়ে এক ঢিলে কয়েক পাখি মেরে ফেললাম ভাইয়া! :)




অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া শুভেচ্ছা জন্য। অনেক অনেক ভালো থেকো!!!

৩৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:




শুভ জন্মদিন শায়মাপু।
ভালো থেকো।


১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২০

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ মিররমনি!!!!!!! অনেক অনেক ভালোবাসা!!!
এবারে চায়না টাউনে চীনামাটির পুতুলগুলো দেখেছিলাম। ঠিক তুমি যেমন কিনতে বলেছিলে। তোমার কথা মনে পড়েছিলো।

আর মনে হয়েছিলো তুমি মনে হয় এই বারউডেই থাকো!!!

আমার ১০০% ধারনা হয়ে গেলো তুমি বারউডে বা তার আশে পাশেই থাকো কোনো এক বাড়িতে। :)

৩৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পুতুলের ছবি গুলো দেখে আয়নাপুতুল আপার কথা মনে পড়ছিলো, যাক অবশেষে তিনি হাজিরা দিয়ে গেলেন। আয়নাপুতুল আপামনি আপনি এতটা পাথর কিভাবে হয়ে গেলেন? একটু তো আমাদের কথা ভাবেন, এই যে এতো কথা বলার পরও একটা পোস্ট ও দিলেন না, এই দুনিয়া কয়দিনের? একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে জানবেন হয়তো আপনি কিংবা হয়তোবা আমরা কেউ এক এক করে দুনিয়া ছেড়ে পালাতে থাকবো, নশ্বর পৃথিবীতে সবই নশ্বর, এমনকি আমাদের আবেগ অভিমান এসবও এর বাইরে না।

শুভকামনা। আয়নাপুতুল আপা ভাল থাকবেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩৯

শায়মা বলেছেন: আয়নাপুতুল হা হা এই নাম কিন্তু আমি দিয়েছিলাম মিররমনিকে। মিররডডল মানে আয়নাপুতুল। আসলেই আমার ঐ পুতুলগুলো দেখে মিররমনিকেই মনে পড়েছিলো। কারণ ২২ এ যখন সিডনী যাই আমি পুতুল কিনতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন মিররমনি ঐ পুতুলগুলোর ছবি দেয়। একেকটা পুতুল ৩০০/৪০০ এমনকি ৬০০ ডলারও আছে।

এমনকি আমার তখন মনে হচ্ছিলো মিররমনি এই পুতুলের দোকানগুলোর আসে পাশেই কোথাও থাকে। :)
আমরা কল্পলোকের জগতে কল্পলোকের মানুষেরা কল্পলোকেই বাস করি ...... :) :)

৩৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে,
ড্রেসটা বিদেশীদের মতই মানানসই ।

..............................................................
এর মধ্যে কিছু কিছু স্হান আমার দেখা হয়েছে
বিষেশত মিউজিয়াম, অপেরার আশে পাশে,
বিভিন্ন মনুমেন্ট ইত্যাদি ।
বিশেষ কোন একটি স্হান ভালো লেগেছে জানালে
পরবর্তী ভ্রমনে তা দেখে আসব ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৬

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া ড্রেস কি একটা। রোজ রোজ ড্রেস কিনে কিনে ফতুর হয়ে গেছি আমি। যাইহোক আমি ২০২৩ তে গেছিলাম জাপানিজ বোটানিক গার্ডেনে সেটাও আমার অনেক ভালো লেগেছিলো। তাছাড়া শুধু শুধু রাস্তায় হেঁটে বেড়াতেও ভালো লাগে। নীল নীল আকাশ..... ঝকঝকে দিন .....

তোমার বা দুবাই ভ্রমন নিয়ে লেখার কথা ছিলো? লিখলে না তো!!!

৩৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জাপানিজ বোটানিক গার্ডেন প্রথম বার গিয়েছিলাম,
পরের বার তো রাজকণ্যা দর্শন করলাম
দুটারই অনেক ছবি আছে,
শুধু লেখার উদ্যোগে ভাটা চলছে ।

................................................................................
আর আয়না পুতুলকে সিডনী ইউনিভার্সিটীর একদিকে পুতুল
করে দেয়া যায়না ? তবে তো প্রতিদিনই দেখতে পাবো্ ।
আমার বাসা থেকে মাত্র ৩০০ মি. দুরে হবে ।

................................................................................
সিডনী ইউনিভার্সিটীর ঐ পার্কে প্রতিদিন বিকেলে সময়
কাটানোর আমার প্রিয় স্হান ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১১

শায়মা বলেছেন: হা হা আয়নাপুতুলকে পার্কে পুতুল করে দাঁড়া করায় রাখবা কেনো!!!

হা হা হা আয়নাপুতুল এই কথা শুনলে তো সিডনী ছেড়ে পালাবে ভাইয়ু!!!!!!!!

যাইহোক এই পার্কে তুমি প্রতিদিন যাও????

মানে জাপানীজ গার্ডেনে নাকি আমার পোস্টের ন্যাশনাল গার্ডেনে?

হায় হায় সিডনী ইউনিভার্সিটি তো আমি চিনিনা। এই গার্ডেনের কাছে নাকি???

আয়নাপুতুল নিশ্চয় এই ইউনিতেই পড়েছে।

৩৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোস্টটি আকারে বেশ বড় হলেও পাঠে ও ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম।
সিডনির শীত তোমাকে প্রচণ্ড কাবু করলেও পরে শীতের পোশাক পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছ
দেখে ভাল লাগল।
একা একা থেকেও বন্ধু, প্রাক্তন ছাত্র, সহকর্মীর পরিবার ও পরিচিতজনদের সঙ্গে দেখা করে সুন্দর সময় কাটানো
কখনো কোরিয়ান রেস্তোরাঁয়, কখনো ঘরোয়া আপ্যায়নে, কখনো ক্যাফে ও স্ট্রিট মার্কেটে, এসকলের সুন্দর সচিত্র
বিবরণ দিয়েছ দেখে ভাল লাগল ।

ভ্রমণে দেখা তোমার যান ব্লু মাউন্টেন, মিউজিয়াম, আনজাক মেমোরিয়াল, রয়েল বোটানিক গার্ডেনসহ
নানা জায়গার ছবি গুলি বেশ মনোরম , দেখে তৃপ্তি পেলাম।

নতুন নতুন খাবার, রঙিন শপিং, অপরিচিত মানুষের সঙ্গে আলাপ সব মিলিয়ে দেখা যায় ভ্রমন
অভিজ্ঞতাটি তোমার ছিলো খুবই আনন্দময়।

তবে শেষ পর্যন্ত তোমার উপলব্ধি , সিডনির নীরবতা, স্বচ্ছ পরিবেশ ও নাগরিক সুবিধা যতই সুন্দর হোক,
ধুলো ময়লা, আত্মীয় স্বজন আর প্রাণবন্ত বিশৃঙ্খল জীবন নিয়েই তোমার সবচেয়ে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ।
তাইতো গীতিকবি লিখেন আর শিল্পীরা গান ,
ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা , আমার এই বসুন্ধরা ............। সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভুমি ।

সবশেষে দেখা যায় পোষ্টটি সঠিক ভাবেই নিবেদিত হয়েছে । নিবেদনেই একটি সুন্দর আবেদন
রয়েছে সকলের প্রতি , ,,,, যদি তেমন হত তবে এমনই হত সবা প্রতি ।

এত মর্তবান একটি পোস্ট প্রিয়তে না নিয়ে যাই কিভাবে , তাই নিয়ে গেলাম প্রিয়তে ।

শুভ জন্ম দিনে তোমার তরে লেখা একটি শুভেচ্ছা বানী লীখে এসেছি করুনাধারার ব্লগ বাড়ীতে ।
সেটাই এখানে তুলে দিলাম এই শুভ লগনে ।

শায়মাপু‌’র শুভ জন্ম দিনের শুভেচ্ছা

জ্ঞান আর মমতায় ভরা
তুমি এক দীপ্ত আলো
পরিবারে আনো শান্তি
শিক্ষার্থীর মন করে দাও ভালো।

ধৈর্য তোমার শক্তি হয়ে
সংবেদনশীল হৃদয় জুড়ে
তুমি শেখাও শিশুদের হাসি
ভালোবাসা দিয়ে ঘরে ঘরে।

শিক্ষাদানে সৃজনশীল
নেতৃত্বে অনুপ্রেরণাময়ী
ব্লগের পাতায় ছড়িয়ে দাও
চিন্তার আলো, ভাবনার ময়ূরপঙ্খী।

তোমার কলম আর তুলি খুলে দেয় জানালা
জগত দেখে নুতন রূপে ট্যারা কোটায়
আনন্দ ধারা আর জ্ঞানের স্রোত বইতে থাকে
প্রেরণার গান থামেনা না বিদেশ বিভুয়েও ।

আজকের এই বিশেষ দিনে
তোমার জন্য প্রার্থনা করি
সুখ শান্তি, সাফল্যে ভরে উঠুক
তোমার জীবন, তোমার গৌরবগাথা ধরি।

শুভ জন্মদিন, সম্মানিত শিক্ষিকা
মমতাময়ী নারী, জ্ঞানের দ্যুতি,
সৃজনশীল ব্লগার, গুণী লেখিকা তুমি,
গৌরবের ভাগীদার আমরা ব্লগার সবি
যতই কর তুমি ব্লগের খবর ধারী


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ,
অ্রমন আরো আনন্দ দায়ক হোক
সে কামনাই করি ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:২৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
এত রাত জেগে আছো কেনো?
তুমি কি বাংলাদেশে আছো??



এত রাত জেগে এই অসুস্থ্ শরীর নিয়েও এত মন দিয়ে পোস্ট পড়বার জন্য, জন্মদিনের শুভেচ্ছা কবিতা লিখবার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া! অনেক অনেক ভালো থেকো আর অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য!

তোমার ডাকে কিন্তু আজকাল অনেককেই লগ ইন দেখা যাচ্ছে।

অনেক ভালো থেকো ভাইয়ামনি!

৩৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমার কি অসুস্থ থাকার উপায় আছে, তার পরে কাছে যদি থাকে ডাক্তার মেয়ে। রাত জেগে কাজ করেও কুলাতে
পারছিনা। প্রায় ডজন খানেক চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের কনসালটেন্সিসহ বিবিধ প্রজেক্টের সাথে জড়িত থাকায়
লেখালেখির কাজে দেশে বিদেশে ব্যস্ত না থেকে উপাই নাই । হাতে নেয়া প্রকল্পগুলি হতে নিস্তার না পাওয়া পর্যন্ত
মুক্তি নাই ।
যাহোক, মনে হচ্ছে আমার জীবনের বিদায় ঘন্টা মনে হয় বাজতে আর বেশী বিলম্ব হয়তবা নাই । তাই যাবার
আগে আমার জীবনের সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল একদিন তোমাদেরকে জানিয়ে যাব।

এখন আমি ইউকেতেই আছি । দুদিন হল আমি আমার একমাত্র মেয়ের কন্যা সন্তানের নানা হয়েছি।
তাকে নিয়ে সময় আমার আরো ব্যস্ততায় ভরে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নাই ।

আল্লা মনে হয় আমার দোয়া কবুল করেছেন। আমাদের সকলের সম্মলিত ডাকে পুরানো অনেকেই
ব্লগে সচল হয়েছেন ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আমরা সবাই চলে যাবো। তাই বলে এমনটা এখুনি ভাবার কি দরকার? :(

তোমার জীবনী জানতে চাই। যদিও জানি তুমি জ্ঞানে ও গুনে অনন্য! :)

তোমার নাতনীর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।

ভাইয়া তোমার ডাকেই অনেেই উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে আসলে ...... :)


অনেক অনেক ভালোবাসা!!! :) :)

৩৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছবিতে আপনার হাতের ব্যাগ।
অনেক ছবি কিন্তু ছবিতে দেখা যাচ্ছে আপনার হাতের ব্যাগ একই। জানা পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু ব্যাগ কেন পরিবর্তন হয়নি?

১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২২

শায়মা বলেছেন: হা হা ভালোই খেয়াল করেছো ভাইয়া। হ্যাঁ ব্যাগ সব সময় একটা নিয়েই চলতাম কারণ এটা বড় সড়। এখানে রেইনকোট রাখা যায়, পানির বোটল, আরও কিছুমিছু। সেখানে এসব লাগবে তাই বড় ব্যাগ!! এত বড় ব্যাগ কয়টা আর কিনবো তাই একই ব্যাগ দেখেছো সব ছবিতে।

কিন্তু আমি আসে আরও ছোট ছোট ব্যাগ কিনেছিলাম পার্টি ব্যাগ সেসব নিয়ে ঘুরিনি। আর আমীরার মা আমার পুরানো প্যারেন্ট মা আমাকে একটা ব্যাগ উপহার দিয়েছিলো নোভা ব্রান্ডের। সেটারও ছবি আছে কিন্তু সব ছবি তো আমি দেইনি।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২৬

শায়মা বলেছেন:
এই যে আরেকটা ব্যাগ :)

১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩৩

শায়মা বলেছেন: ওহ আরেকটা ব্যাগপ্যাক নিয়েও ঘুরতাম। সেটার ছবি দেবো না .... :(

আর পার্টি ব্যাগগুলা তুলে রেখেছি পার্টি হলে নিয়ে যাবো! :)

৪০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনি তো আচ্ছা মানুষ।
কবে এলেন, আর আসার আগে তো দরজায় কড়া নাড়া উচিত।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমাকে সত্যিই কিন্তু খুঁজেছিলাম। এখন আমি বাংলাদেশে। নেক্সট অক্টোবরে আবার যাচ্ছি। তোমার ইমেইল দিয়ে রেখো তো।

আমি যোগাযোগ করে নেবো! :)

৪১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪

কালো যাদুকর বলেছেন: বেশ বড় সুন্দর ভ্রমন ব্লগ। আপনার ছাত্র ছাত্রীদের ধন্যবাদ। রাস্তা বেশ ফাঁকা মনে হল । ব্লগের ওপেনিং টি বেশ ভাল লেগেছে । শীতে অনেকেরেই কষ্ট হয় , কাজেই আপনার সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি ।
এতো সব খাবারের মধ্যে সুশি ই সব থেকে মজার ।

চায়না পুতুল মিরর আপনাকে কবে দিয়াছে? এবার ?

ব্লগে আজকাজ ভাল লিখা কম । ভাল থাকুন।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া রাস্তা বেশ ফাকা মানে কোনো কোনো রাস্তায় মানুষ নেই বলে মনে হয় আমার!!!! শীত আমি একেবারেই পছন্দ করি না। মানে বাংলাদেশের শীতও। তাইলে বুঝো সেখানের শীতে কেমন মেজাজ খারাপ হয়েছে আমার।

সুশি মজার কিনা জানিনা তবে ওদের তেমন কোনো খানা খাদ্য ভালো লাগে না আমার।:(

মিররমনি চায়নাপুতুল দেয়নি!!!!! ২২ সালে যখন জানতে চেয়েছিলাম কোথায় পাওয়া যায়? তখন আমাকে ছবি দিয়েছিলো সেটা বলেছি। হা হা হা

ভালো লেখার কথা বলছো?? কেউ তো লেখেই না..... যাও লেখে রাজনৈতিক মারামারি কাটাকাটি পোস্ট! :(

৪২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: এমন ঝকঝকে রোদেলা দিন দেখে মনে হচ্ছে না আবহাওয়া ঠান্ডা! ছবিতে পাতাহীন গাছের পাশাপাশি অনেক সবুজ গাছও দেখা যাচ্ছে। চমৎকার জায়গা। তবে আমরা ভিড়ভাট্টা দেখে অভ্যস্ত, তোমার আউটডোরের ছবিগুলোতে তুমি ছাড়া আর কোন মানুষ দেখা যাচ্ছে না!!

এতো খরচ করে এতো গাদা গাদা কাপড় কিনেছ!! এই অল্প কটা দিনের জন্য!! এই কাপড় গুলোর কী গতি হবে এরপর!! অবশ্য তোমার যখন ড্রয়ারের মধ্যে ব্যাংক থাকে, ইচ্ছামত ক্রেডিট কার্ড খরচ করার সুযোগ থাকে, তখন খোলামকুচির মত খরচ করতেই পারো! তবে আমাদের এই বদান্য ভগ্নিপতিটির ;) সাথে আগে পরিচয় করিয়ে দাও নি কেন? আগে তো কী এক রোবটের গল্প নিয়ে এসেছিলে, আমি তো ভেবেছিলাম তুমি বোধহয় রোবটের সাথে ঘর করছো!!

এটা লিখেই মনে হলো, তুমি বলেছিলে আমি তোমাকে ভালোভাবে অবজার্ভ করেছি। ঠিকই বলেছ, আমি তোমাকে খুব ভালোভাবে অবজারভ করি। আমার আশপাশের সব মানুষের বেলায়ও তাই। আমার বন্ধুদের অনেক কথা আমার মনে আছে যা, তাঁরা নিজেরাই ভুলে গেছে। ওরা খুব অবাক হয়ে যায় আমি মনে রাখি দেখে। আসলে কঠিন বা গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছু নিয়ে ভাবার ক্ষমতা আমার নেই, তাই চেনা অচেনা সবার কথা সবসময় ভাবতে থাকি ...

দুলগুলো কিনে খুব ভালো করেছ। এগুলো পরলে তোমাকে ১৯ বছর না, ৯ বছরের বালিকা বলে মনে হবে!! B-)

সব ছবিগুলো খুব সুন্দর। এবার কিন্তু কেউ কমপ্লেন করেনি ছবি দেখা যাচ্ছে না বলে! এখানে শেষ করতে গিয়েও ভাবলাম জিজ্ঞেস করেই ফেলি, দেশে তোমার সুফিয়া মনোয়ারা আসমারা ইউটিউব দেখে তোমার মনের মত খাবার বানিয়ে দেয়, সিডনিতে তো তারা নেই! তোমার সিডনির বাড়িতে কি রান্নাবাটি হয়?

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫০

শায়মা বলেছেন: ওহ শেষ থেকে শুরু করি।
রান্নাবাটি বলতে সেখানে রান্নাবান্না আসলেও সোজা। মাছ মাংস কাটা কুটাই থাকে এমনকি চাইলে সব্জীও কাটা পাওয়া যায়। আর রেডি টু কুক তো আছেই। তবে হ্যাঁ আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই আমি সেখানে একাই দশভূজা হয়ে সব কাজ করি কেমনে!!!!!!!
ঝাটপাট ঘরবাড়ি ধোয়া মুছা আলমারী গুছা হা হা হা আবার কিচেন এক্কেরে ঝকঝকে তকতকে কলে নান্নাবান্না। দেশে তো কেউ পাশের বাড়ি পেঁয়াজ কাটলেও আমার চোখ ফুলে ঢোল হয়ে যায় আর এখানে পেঁয়াজেও ঝাঁঝ নেই, মাছে মাংসেও স্বাদ নেই ...... ছ্যা ছ্যা ছ্যা কে থাকে রে এই ভীন দেশে মরতে!!!!!!!!! ফুহ!!!!!!!!!

যাইহোক সেখানেও রান্না বান্না দাওয়াৎ সবই হয় । এইবার সেখানের রান্না বান্নার ছবি দেবো ওকে??? আর আপুনি আমি যত দুল মালা চুড়ি জীবনে নিজে কিনেছি তার থেকে দশ গুন উপহার পেয়েছি। কসম!!! তবে ঐ দুল পরে আমার ৯ বছরের বালিকা মনে হচ্ছে না??? দাঁড়াও মজার একটা ছবি দেখাই আর তার ইতইহাস বলি তারপর বাকী জবাব দেবো। :)

টিচারের যখন পিচ্চি ছাত্রীর জামা দেখে মাথা খারাপ হয়ে যায়।
তখন সে কি করে!!! কোথায় পায় এমন সুন্দর একটা জামা!! ছোটবেলায় না হয় গান গেয়ে গেয়ে প্রজাপতির কাছে জামা চাওয়া যায়। বলা যায় " এই জামা ভালো লাগে না, দাও জামা, ছবি আঁকা, কোথায় পেলে ভাই এমনও রঙ্গিন পাখা!"
২০২৫-২০২৬ এর নতুন একাডেমিক ইয়ার শুরু হলো। একটা ফুটফুটে মিষ্টি বাচ্চা এলো। এসেই জুড়ে দিলো কান্না! সে নতুন ছিলো। কাউকে চেনে না এমনকি আমার এত সুন্দর করে সাজুগুজু করা টিচার চেহারা দেখেও তার কান্না থামে না। তাকে নিয়ে বসলাম আমার বশীকরণ মন্ত্র শুনাতে। গল্প জুড়ে দিলাম! বাহ কি সুন্দর জামাটা! বশীকরণ মন্ত্র সে সবতো আমি আলগোছে পড়ি!! শুধুই মুখস্থ বলে যাবার মতনই। কিন্তু এবারে সেটা শুধু মুখস্থ বলে যাওয়াই ছিলো না। সেই জামাটা আমার মনে গেঁথে গেলো, চোখে লেগে গেলো। আমি পিচ্চিটিচ্চিদের জামা টামা জানিনা টানিনা। তখন আমার সেই জামা লাগবেই লাগবে। ততখনে পিচ্চুটা আমার বশীকরণ গল্পে বশীভূত হয়ে গেছে। বললো তার মা নাকি এই জামা আড়ং থেকে কিনে দিয়েছে।
ব্যস স্কুল ছুটি হতেই ছুট লাগালাম আড়ং এ। কিন্তু হায়!!! কোথাও অমন জামা নেই। আড়ং এর মেয়েদেরকে জিগাসা করে জানলাম অমন জামা শুধু বাচ্চাদের জন্য বানানো হয়েছিলো বড়দের জন্য অমন প্রায় দেখতে সালোয়ার কামিজ আছে। কি আর করা! মন খারাপ করে সেটাই নিলাম। মানে নাই মামার চাইতে কানা মামা। তারপর পিচ্চুটা কাল সেই জামা পরে এলো আর আমি সাথে সাথে তার সাথে ক্লিক ক্লিক!!!!

৪৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০২

শায়মা বলেছেন:
এতো খরচ করে এতো গাদা গাদা কাপড় কিনেছ!! এই অল্প কটা দিনের জন্য!! এই কাপড় গুলোর কী গতি হবে এরপর!! অবশ্য তোমার যখন ড্রয়ারের মধ্যে ব্যাংক থাকে, ইচ্ছামত ক্রেডিট কার্ড খরচ করার সুযোগ থাকে, তখন খোলামকুচির মত খরচ করতেই পারো! তবে আমাদের এই বদান্য ভগ্নিপতিটির ;) সাথে আগে পরিচয় করিয়ে দাও নি কেন? আগে তো কী এক রোবটের গল্প নিয়ে এসেছিলে, আমি তো ভেবেছিলাম তুমি বোধহয় রোবটের সাথে ঘর করছো!!


আরে শীত তো এখনও যায়নি সেখানে......
আবার অক্টোবরে যাচ্ছি তো!!!!! কাজেই বার বার যাবো আর কাপড়ের গতিও হবে আরও কাপড়েও গতিও হবে। আগে এই ভগ্নিপতি তো রোবোটই। তুমি জানোনা!!!!! এই রোবোট ঠিক মানুষের মতন দেখতে........তাই তো রোবোটের গল্পই লিখেছিলাম। আমি কত সত্যিবাদী জানোনা!!! মানুষ শুধু আমাকে ভুল বোঝে এই ব্লগে। তুমি তো অন্তত বিশ্বাস করো এই আমাকে তাইনা!!!!!!!!!!

৪৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩০

করুণাধারা বলেছেন: শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা...

যাক, কাপড়ের গতি হলেই ভালো। অপচয় দেখতে আমার একদম ভালো লাগে না। একে বলে protective elder sister attitude towards money, এই বাক্যটি আমার পাঠ্যবইয়ের Mrs. Packletide's tiger গল্প থেকে শিখেছি।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০২

শায়মা বলেছেন: আপুনি

আমি সত্যিই জামাকাপড় অপচয় করি না। যত রকমভাবে যতবার পরা যায় পরি। তারপর শাড়ি কেটে জামা বানাই নয়ত সুফিয়া আসমা তাদের মেয়েদেরকে দিয়ে দেই। আমার আলমারীতে ১টা কাপড় নতুন উঠালে ১টা কাউকে দান করি। খুব একটা পুরান কাপড় চোপড় আকড়ে ধরে রাখি না খুব স্মৃতিকাতর কোনো কিছু না হলে......

৪৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: ম্যাচিং ম্যাচিং জামা খুব সুন্দর হয়েছে। তুমি পারবোও! একই রকম জামা কীভাবে খুঁজে পেলে!! পিচ্চিটা নিশ্চয়ই খুব খুশি হয়েছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩৯

শায়মা বলেছেন: না!!!!!!!!!!! একই রকম পাইনি তো!!!!!!

কিছুটা এক রকম! আড়ং এর বাচ্চা ছোটদের জামার মত ঠিক এক রকম বানায় না একটু আলাদা করে বানায়!! তাই ওরটা সারারা আর আমারটা সালোয়ার কামিজ!!! :((

পিচ্চি তো ওর ছোট্ট জামাটাই আমাকে দিয়ে দিচ্ছিলো। আমি বললাম এটা নিলে তো শুধু আমার এক হাত ঢুকবে!!!!!!!! হাহাহাহাহাহাহহাা

যাইহোক সাড়ে ভাইয়া কই গেলো!!!!!!! এই ছবি দেখলে সেবার মুরগী বলেছিলো এবার মনে হয় হাঁস বলবে :P

৪৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:০৫

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: [email protected]

এর পরে আসার আগে অবশ্যই মেইল করবে আপু।

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬

শায়মা বলেছেন: অবশ্যই করবো।

তারপর তোমার বাসায় গিয়ে হাজির হবো.....

খানা

পিনা

গানা

নাচনাও হবে নাকি!!! হা হা হা

৪৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: আপাতত এই গানা শোনো ...... :)

৪৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:২৮

বিজন রয় বলেছেন: একবার আমি ক্ষেপে টেপে তোমার এক নারী বন্ধু ব্লগারের সামনে রণ রঙ্গিনী মূরতীতে খোলা তলোয়ার খুলে সন্মুখ সমরে দাঁড়িয়ে ছিলাম।

এই ব্লগে আমার কোনো নারী বন্ধু ব্লগার ছিল না, নেই, হবেও না। এমন কি কোনো পুরুষ বন্ধু ব্লগারও নেই।
আমার কাছে সবাই ব্লগার।

তো আপনি কার কথা বললেন, উর্বি? একবার ছবি আঁকা নিয়ে কি একটা যেন হয়েছিল।



চক্ষু বন করে ঘ্যাচাঘ্যাচ তলোয়ার চালাচ্ছিলাম। তখন তুমি আমার উপরে খুবই ক্ষুব্ধ হইয়াছিলে মনে মনে তাহা আমি জানি।

এটা আপনার একদমই ভুল ধারনা।
ব্লগে আপনার বা অন্য কারো উপর মনে মনে বা সরাসরি ক্ষুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই।

আমার মন খারাপ বা ক্ষুব্ধ হওয়া খুব সহজ ব্যাপার। যেটা কারার ক্ষমতা কোনো ব্লগারের নেই।

যাকগে।
ব্লগে আপনার অনেক দিন হলো, এবার একটি ব্লগইতিহাস লিখুন।
কয়েক বছর আগে হাসান মাহবুব লিখেছিল।

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১৯

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়ু তুমি কিছু ভুলিলেও আমি ভুলি নাই.....
ব্লগাতিহাস লিখবো!!!!!!!

বাপরে ....... একটা গানা মনে পড়ে গেলো - কথা যদি শুরু করি শেষ তো হবে না!!!!!!!!!!! :P

৪৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

করুণাধারা বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্য দেখতে গিয়ে একটা পোস্টে তোমার মন্তব্য দেখে ভাবলাম তোমাকে দিয়ে দুয়েকটা অনুবাদ করিয়ে নেয়া যাক!অনেকদিন ধরে আমি করতে পারছি না। #:-S
যেমন:
হাঁস ছিল সজারু ব্যাকরণ মানি না
হয়ে গেল হাঁস জারু কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে, বাহবা কী ফূর্তি
অতি খাসা আমাদের বক্চ্ছপ মূর্তি...

এছাড়া:
আদিম কালের চাঁদিম হিম
তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম...

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: হা হা কিসে অনুবাদ করে দিতে হবে বলো?? ইংলিশে??? কসম খোদার আমি পারিবোক!!!! তুমি সে সব দেখে আবার চোখের ডাক্তার বা মাথার ডাক্তারের কাছে ছুটতে পারবে না কিন্তু!!! :)

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩৮

শায়মা বলেছেন: আদিম কালের চাঁদিম হিম
তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম...

The moonlit night of the ancient
Horse eggs tied in a basket...


কেমন হলো??
হি হি

ওয়েট করো আরেকটাও করে আনছি ......

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪৫

শায়মা বলেছেন: আলেত্তাও কলেতি!!!!!!!!!!! :)


হাঁস ছিল সজারু ব্যাকরণ মানি না
হয়ে গেল হাঁস জারু কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে, বাহবা কী ফূর্তি
অতি খাসা আমাদের বক্চ্ছপ মূর্তি...


The duck was a porcupine, don't care grammar
It became darorcupine. don't know however
The crane tells Turtle, Oh what a fun!!
Our turtle statue just like a gun!!!!!!!!! 

৫০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সামুতে এমন ব্যাকরণ ও পরিভাষা স্কুল আছে নাকি ??
তাহলে আমি ছাত্র হিসাবে ভর্তি হবো !!!

.......................................................................
অনেক মতা অনেক মতা
রাজা খায় ব্যাংত ভাজা

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৮

শায়মা বলেছেন: হা হা আমি সেই স্কুল। দেখলে না সারা বিশ্ব যা পারেনি আমি তা অনায়াসে করে দিলাম!!!!!!!! হা হা হা হা

করুনাধারা আপু কাল সকালে যখন দেখবে আমার অনুবাদ। তখন তার কি অবস্থা হবে ভাবছি!!!

৫১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:২১

সামিয়া বলেছেন: মাশাআল্লাহ ভালো থাকো সব সময়

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩৫

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ !!!! :)

৫২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২

করুণাধারা বলেছেন: তোমার মাথা তো খুব তাড়াতাড়ি খেলে!!!

অনুবাদ ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই কবিতা যে ইংরেজিতে পড়বে, সে যদি horse eggs পড়ে ভাবে এই কবি কিছু জানে না! আকাশকুসুম ফোটে যদি বলো heavenly flowers bloom, তাহলে কি ঠিক হবে!! আসলে বাংলা বাগধারা অনুবাদ করা কঠিন। ধরো, আমাকে একজন জিজ্ঞেস করেছিল ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলার ইংলিশে অনুবাদ কি হবে! আমি বলতে পারি নি! তুমি কি জানো?

তোমার যে কুশলতা (আর কোন উপযুক্ত শব্দ পেলাম না), আমার মনে হয় তুমি আবোল তাবোল অনুবাদ করে ফেলতে পারবে! শুধু খেয়াল রেখো, ছবিগুলো কিন্তু বাদ দেয়া যাবে না!! :D

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৬

শায়মা বলেছেন: হা হা ইহা সত্যি আমার মাথা তাড়াতাড়ি খেলে।
কাল রাতে আমি রাগ করে আমার পাপেট শো হ্যোয়াটসএপ গ্রুপে, স্কুল অফিসিয়াল গ্রুপ মেসেজে যে সব কাজ দিয়েছে তাই নিয়ে বলছিলাম কি দিসে এই সব টিচারস পেপার, টিচারস পোস্টার খাই দাই কাম নাই না!!!!!!!!!!!!! জাস্ট এই স্টাইলে লিখে দিয়েছি জানো????????

হায় হায় হঠাৎ দেখি ভাইস প্রিন্সিপাল মেসেজ দিয়েছে মিস, হ্যোয়াট ডিড ইউ রাইট ইন অফিসিয়াল গ্রুপ???
হায় হায় আমি তো গেছি!!!!!!!!!!!!! দশভূজা হবার মজা!!!! এখন কি করি!!! সাথে সাথে মাথা খেলালাম...... স্যলললী মিস!!!!! একচুয়ালী আই মাই খাই ভুল কলে আমার ফ্রেন্ডকে বলতে গিয়ে আসলে মিস আমরা না পাপেট শো টিচারস পোস্টার বানানো নিয়ে কথা বলছিলাম......... :P হাহাহাহা সে বিশাল গম্ভীর স্বরে বললো, ওকে ডিলিট অল ....আমি আবার তাড়াতাড়ি মাথা খাটাতে গিয়ে সব ডিলিট করতে গিয়ে লাস্টেরটা ডিলিট ফর মাইসেল্ফে দিয়ে বসে আছি। সবাই দেখছে আমি দেখছি না । কি জ্বালা .....

সেই মেসেজটাই মুছলোনা সবার জন্য যেটা ছিলো ....... ঐ খাই দাই কাম নাই না!!!!!!!!!!!! অফিসিয়াল গ্রুপে সকল নোটিসকে ব্যাঙ্গ করে আমার কমেন্ট দাঁড়িয়ে রইলো নট নড়ন চড়ন !!!!!!!!!!

আম্মা!!!!!!!!!!!!!! কই যাই !!!!!!!!!!!!

যাইহোক বেশি মাথা খেলালে যেমন বিপদ হয় হর্স এগ নিয়ে মানে ঘোড়ার ডিম নিয়ে যদি সুকুমার রায় লিখতে পারে তবে তার মাথাতেই ঘোড়ার ডিম জন্মায়!!!!!!!! কাজেই অনুবাদে নো সমস্যা। :)

ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলার ইংলিশে অনুবাদ এখুনি করে দিচ্ছি......
throw ashes by broken ricetray :) এসট্রে যদি হয় ছাইদানী রাইসট্রে কেনো হবে না কুলা!!!!!!!! :)

তবে হ্যাঁ আমিই পারবো আবোল তাবোল অনুবাদ করতে!!!!!!!!! :)

৫৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০০

মেহবুবা বলেছেন: ওদেশে শীত যে তোমাকে কাহিল করেছে জেনে বেশ লাগলো, তোমার সাথে কেউ না পারুক শীততো পেরেছে !
তোমার এত একা একা ছবি দেখতে একঘেয়ে লাগছে

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১২

শায়মা বলেছেন: হা হা আপুনি মুছে দিলাম দুইটাই!!! যদিও মন্তব্যভারে আমি জর্জরিত না থাকলে সামুর আর মান থাকবে না। আজকাল কেউ কমেন্ট করে না, ব্লগ পড়ে না!!! :(


আর আমার সাথে শীত পেরেছে আসলেই ...... আমি একদম শেষ!!!!!!!!

আমি তো একা একাই ঘুরতাম বেশিভাগ সময়!!! তবে যাদের বাসায় গেছি ঘুরেছি তাদের ছবি দিলাম না বিনা পারমিশনে......আর কার সাথে দেখতে চাও আরবাজ চৌধুরি!!!!!!!!! হা হা হা ওকে তাড়াতাড়ি সেই পোস্ট আনছি!!!!!!

৫৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৭ আগস্ট তারিখে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গেছি এবার। তাই বিলম্বিত জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
অস্ট্রেলিয়াতে তাপমাত্রা কত নেমেছিল? সময় না কাটলে আকাশের তারা তো গুণতে পারতেন। নাকি সেটাও নাই? সময় না কাটলে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটতে পারতেন।

ইঞ্জিনিয়ার আপুনি মানে করুণাধারা আপু।

বাকি যা গরুর রচনা লিখেছেন এগুলি গতানুগতিক বর্ণনা। মন্তব্য করার মত কিছু পেলাম না।

ছবিগুলি ভালো হয়েছে। ছবির নাম্বার দিলে বলতে পারতাম কোনটা বেশী ভালো হয়েছে। লাল পোশাক পড়া ২ টা ছবির পোজ ভালো হয়েছে। আর কালো টুপি, কালো জামা ছবিটা ভালো লেগেছে। আসলে সব ছবিই ভালো এসেছে। হয়তো ক্যামেরার কারণে অথবা ঐ জায়গার সৌন্দর্যের কারণে অথবা ঐ জায়গার মানুষের কারণে।

ছোট বাচ্চার সাথে ম্যাচিং করা পোশাকে আপনাকে মানুষের মত লাগছে। তবে বয়স একটু বেশী মনে হচ্ছে। মেইক আপ কম ছিল মনে হয়।

আমার বউ আপনার বই খুব উপভোগ করেছে। আমাকে কয়েকবার বলেছে তার কেমন লেগেছে সেটা আপনাকে জানানোর জন্য। আমি বলেছি যে উনি অস্ট্রেলিয়া গিয়েছেন। এখন লিখলে খেয়াল করবে না। ২ দিন আগে বলল উনি কি এসেছেন। আমি বললাম এসেছেন। বই পড়ে ওনার প্রতিক্রিয়া হল আপনার বইটা বর্তমান সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। অর্থাৎ আমাদের সমাজে নাকি এই ধরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া আগে বলেছিল যে এটা হয়তো আপনার জীবনের কোন ঘটনা। কারণ আপনি নাকি রাস্তার নাম সহ লিখেছেন, তাই ঘটনা সত্যি হতে পারে। আর বলেছে যে আপনার হাজবেনড সম্ভবত আপনার চেয়ে বয়সে ছোট। আপনার একটা গান নাকি সে প্রায়ই শোনে। তার খুব পছন্দ। কোন গানের কথা বলেছিল সেটা এখন মনে করতে পাড়ছি না। পরে জিজ্ঞেস করে বলতে পারবো।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০৪

শায়মা বলেছেন: ইয়েেেেেেেেেেে কুটনাভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!!! এসে গেছো তাইলে!!!
জন্মদিন ভুলেছিলে কেনো??? কোথায় ছিলে!!!!!!!!
তাপমা্ত্রা রাতে ১/ ২ এ নামতো!!!!!!!! :((
তবে সন্ধ্যার ৫/৬ নামলেই আমি শেষ হয়ে যেতাম এক্কেরে!!! :((

সময় কাটেনি কে বললো!!!!!!! আমি সদা ও সর্বদা সময়কে হারিয়ে দেই!!!!! রাস্তায় অনেক হেঁটেছি সে সব ভিডিও করা। দিতে পারিনি এইখানে .....
ইঞ্জিনীয়ার আপুনিমনিকে ঠিক ঠিক ধরেছো!!!!!!
আর গরুর রচনা তো তুমি লেখো। চাঁদগাজীভাইয়া বলেছে। আমার লেখা গরুর রচনা বলেনি তোমার লেখা বলেছে!!!!!!! হি হি হি

মানুষের মত লাগছে একটাতেই। আর অন্যগুলোতে কি লাগছে শুনি!!!!!!!!!

তবে হ্যাঁ ঐ ছবিতে শুধু মেকাপই কম ছিলো তাই নয় আগের দিন স্যুইমিং পুলে রোদে নামা পোড়া বাঁদরও ছিলাম হা হা হা। তবে কোনো কিছুই আর এখন যায় আসে না ........ :P

হা হা আমার বই এর বিশেষত্ব হলো কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্য তাহা আমি বলিবোক লাই ...... সত্য আর মিথ্যের মিশেলে আমি রূপে তোমায় ভোলাবো না ভালোবাসায় ভোলাবো!!!!!!! মানে যা খুশি তাই ধরে নাও ভেবে নাও আমি এইখানে বসিয়া বসিয়া হাসিবোক!!!!!!!

করুনাধারা আপুনিও এই কমেন্ট দেখিলে হাসিবেক!!!!!!!!!!!! হি হি হি

৫৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০৮

শায়মা বলেছেন: ওহ ভাবীজীকে থ্যাংক ইউ!!!!!!!!!!!!!!!!!!! থ্যাংক ইউ !!!!!!!!!!!!!!!!!!! থ্যাংক ইউ!!!!!!!!!!!!!!

তার জন্য আমার জনমদিনের কেকটা .......

৫৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জন্মদিন আমি ভুলে যাই প্রায়ই। গত বছর আমার বউয়ের জন্মদিন ভুলে গিয়েছিলাম। দুপুরের দিকে আমার মেয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল।

আমি বাংলাদেশেই আছি এবং ছিলাম।

আমি দিনের বেলায় রাস্তায় হাটার কথা বলিনি। গভীর রাতের কথা বলেছি।

আপনার বইয়ের উপরে আমি আমার প্রতিক্রিয়া জানাই নাই আগের মন্তব্যে। লেখকরা সত্যি এবং মিথ্যা মিলিয়েই লেখে। আপনার কাছে আমি কি জিজ্ঞেস করেছি, ঘটনা সত্যি না মিথ্যা? অনেক বিখ্যাত লেখক গাঁজা খেয়েও লেখে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২৫

শায়মা বলেছেন: গভীর রাতে হাঁটবো!!!!!!!! কি বলো যদি মাতাল ধরে!!!!!!!! যদি পাগল ধরে!!!!!!! আমি আবার অনেক বড় সাহসী তবে শুধুই দিনের বেলা!!!!!! রাতের বেলা আবার কোন দিক দিয়ে সাপ ব্যাঙ উঠে আসে সেটারও কি কম ভয়!!!!!!!!!!!! না না না স্যরি!!!!!!! আমি রাতে হাঁটতে পারবো না!!!!!!! :(

ঘটনা সত্যি কি মিথ্যা তাহা আমি বলিবো কি করিয়া ভাবিলে ভাইয়া!!!!!!!!!! তাইলে আমার রহস্য, আমার গল্পের রহস্য কাটিয়া যাইবেক!!!!!

শুনো আমার কঙ্কাবতীর কথা পড়ে আরবাজ সাহেবের বন্ধু বড় বড় চোখ করিয়া একদিন ছুটিয়া আসিয়া জিজ্ঞাসিলো!!!!!!! ইহা কি সত্য!!!!!!!!
আমার চিলেকোঠার প্রেমের প্রথম পাতা পড়ে এক পুচকে পাঠিকা ১৮ বছরের বালিকা আমাদের দূরের আত্মীয় বটে জিজ্ঞাসিলো ইহা কি তোমার গল্প!!!!!!!!!


হা হা হা হা আর স্পর্শিয়ার কথা তো অনেেই জানে এই ব্লগের পুরানোজনেরা...... আমি কেনো উহা হইলাম না তাই নিয়া পারিলে আমাকেই নায়িকার পরিনতি করিয়া ছাড়ে!!!!!!!!! হা হা হা হা হা

খোকাভায়ের সাথে প্রেমও সত্য, শুভ্রের সাথে বিয়ে ডিভোর্স, আবার আরবাজ চৌধুরী না খান ছিলো যেন নিজেই ভুলিয়া গিয়াছি উহাও সত্য........এত সত্য লইয়া যাইবো কোথা!!!!! :P

ভাবছি আসলেও কি ঘটনা সত্য না মিথ্য!!!!!

আমার বাসায় ভাবীজীকে দাওয়াৎ ভাইয়া!!!!!!! শুধুই ভাবীজীকেই!!!!!!!!!!! নিজেই স্বচক্ষে সকলি দেখিয়া যাক!!!!!!!! :)

৫৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওকে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩১

শায়মা বলেছেন: ওকে!!!!!!!! :)

একলব্যভাইয়ুর ভয়ে আমি গল্পের পিছের গল্প লিখতেই পারছিলাম না। কারণ ভাইয়ু সেই গল্প এতই মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো যে গল্পের কানাকড়িও মিথ্যে হলে সে ভীষণ কষ্ট পাবে মনে হত!!!

আহারে আমার এত বড় ফ্যান আর আজকাল আসেই না ব্লগে........ সবাই হারিয়ে যায় একে একে ব্লগ থেকে......তারপর টিম টিম করে টিকে থাকে.........

ইমোশন কন্ট্রোল শেখাটা জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা.......যা আমরা ব্লগের মত এই কল্প জগতেও এসে ভুলে যাই....... :(

৫৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩৪

শায়মা বলেছেন:
ভাইয়া দেখো আমার স্কুলের টিচারেরা আমাকে এসব কার্ড ফুল আর উপহার দিয়েছিলো। কেকটা কেটে কুটে তারাই খেয়ে ফেলেছিলো। কিন্তু এই কেকটা কারা দিয়েছে জানো?

আসমা সুফিয়া রুবিনা কল্পনা মাসুমারা........ তারা সবাই মিলে কিনে এনেছিলো আমার জন্য!!!!!!! :)

দেখছো আমাকে তারা কত্ত ভালোবাসে!!!! আমিও তাদেরকে অনেক ভালোবাসি!!!!! :)

৫৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: ছেলেবেলা হয়, মেয়েবেলা হয়, কিন্তু ভ্রমণবেলা হয় কি করে?
ছোটবেলা হয়, বড়বেলা হয়, কিন্তু ভ্রমণবেলা হয় কি করে?

আজাইরা শিরোণাম!!!

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫৩

শায়মা বলেছেন: হা হা ঐ ভাইয়া ....... বেলা মানে কি ??
বেলা মানে সময়.......
কাজেই ভ্রমনবেলা কেমনে হয় নিজে চিন্তা করো!!!!!!!!
তোমার মাথা আজাইরা..... তোমার ছাতাও আজাইরা....... মগজও আজাইরা....... বেলা মানেটাও জানোনা!!!!!!! ছি ছি

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫৪

শায়মা বলেছেন: বুঝছি তোমার এখন কেচালবেলা এসেছে.......

নো প্রবলেম!!!!! আই এ্যাম ফ্রি!!!!! :)

৬০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্লগে একলব্য একজন আদর্শ ব্লগার। আমারও খুব প্রিয়। বয়স কম কিন্তু বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। সে সবার সাথে কথা বলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। এটাই স্বাভাবিক। এই ব্লগে এটা সম্ভবও না। আমাদের সমাজেও সম্ভব না। সে আপনাকে এবং মিরর ডলকে খুব ভালোবাসে। হয়তো ব্যস্ত হয়ে গেছে তাই কম আসে ব্লগে।

আপনার গল্পটা সার্বিকভাবে একটা ভালো গল্প। আপনি প্রেম কাহিনী ছাড়াও অন্য কোন বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করবেন। আশা করি আরও ভালো সাড়া পাবেন।

আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি মোটামোটি। রাগার মত পরিবেশ হওয়ার আগেই অন্য দিকে চলে যাই। অবশ্য অনেক সময় পরিস্থিতি বাধ্য করে। তবে বেশী উত্তেজিত হই না।

আমি একসাথে গান শুনি আর ব্লগিং করি বা ইউটিউব দেখি। ফলে মনোযোগ অনেক সময় বিচ্যুত হয়। এটা একটা বদ অভ্যাস বলতে পারেন। আমার হাতে অবসর সময় খুব কম, তাই চাই এই অল্প সময়টা অনেক শখ/ পছন্দের কাজে ব্যয় করি। ফলে কোয়ালিটি টাইম হাত ছাড়া হয় অবশ্য। ঠিক করেছি যাই করি মনোযোগ দিয়ে করবো।

আপনাকে মানুষ ভালোবাসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি ভালোবাসার মতই একজন মানুষ। সার্বিকভাবে আপনি একজন ভারসাম্যপূর্ণ মানুষ। আপনার ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বেশ ভালো হবে বলে আমার ধারণা। আই কিউ ও ভালো। ফলে সার্বিকভাবে আপনি সফল। অনেকের মধ্যে একটা বেশী থাকে তো আরেকটা কম থাকে। ফলে ব্যক্তিত্ব ভারসাম্যপূর্ণ হয় না।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৩

শায়মা বলেছেন: হুম!! সব সময় সে পালাই পালাই করতো! লুকিয়ে থাকা মানুষের দলে। যেন কোনোভাবেই কেউ না চিনে ফেলে সেই ভয়ে মরে। যাইহোক আদর্শ ব্লগার যে ব্লগ লেখে, কমেন্ট করে উত্তর দেয়। ভারসাম্য তার পরে। কাজেই সে আদর্শ ব্লগার না আমাদের প্রিয় ব্লগার! এমনকি সবার ব্লগেও যেতে হয় আদর্শ ব্লগার হলে। যাইহোক প্রিয় মানুষ সে আমার। আমার গল্পে লেখায় তার মূল্যবান মতামত ও কিউরিওসিটি আমার লেখায় আনন্দ দিয়েছে। কত ভাবনাই না ভেবেছে সে আমার গল্পে আমাকে খুঁজে খুঁজে......:)

আমি প্রেমকাহিনী ছাড়াও কিছু গল্প লিখেছিলাম। খুবই আনন্দ পেয়েছিলাম লিখে। নিকটা মনে করে বলবো!!! :)
হ্যাঁ তুমি তো নিয়ন্ত্রন করতে পারবেই। কাঁচের গ্লাস ভাঙ্গো না!!!!!!!!! :)

একদম ভালো কথা যা করবো মনোযোগ দিয়ে ১০০% :) নো ফেইলিওর তাইলে ..... :)

আপনাকে মানুষ ভালোবাসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি ভালোবাসার মতই একজন মানুষ। সার্বিকভাবে আপনি একজন ভারসাম্যপূর্ণ মানুষ। আপনার ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বেশ ভালো হবে বলে আমার ধারণা। আই কিউ ও ভালো। ফলে সার্বিকভাবে আপনি সফল। অনেকের মধ্যে একটা বেশী থাকে তো আরেকটা কম থাকে। ফলে ব্যক্তিত্ব ভারসাম্যপূর্ণ হয় না।



এই কথা শুনে উড়ে গেলাম আাকাশে ডানা খুলে রেখেই....... হা হা হা :)

৬১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হায় এই চমৎকার পোস্ট আমি এত দেরিতে দেখলাম!
না দেখলেই বুঝি ভালো ছিল। সুন্দর সুন্দর ছবি আর সাবলীল বর্ননা দেখে এখন আমার নিজেরই যেতে ইচ্ছে করছে।
প্রয়োজনে বেচে দেব
বান্ধবীর কিডনি,
তবু মোর দেখা চাই
স্বপ্নের সিডনি। X((

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৫

শায়মা বলেছেন: বান্ধবীর বলো নাম ভাবিজীকে ডাকি
তারপর স্বপনেতে দিও তারে ফাঁকি ..... :)

৬২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: :) এসট্রে যদি হয় ছাইদানী রাইসট্রে কেনো হবে না কুলা!!!!!!!! :)
....................................................................................
হাসতে হাসতে পেটে খিল !
শান্তি পেল আমার দিল !!!

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২৩

শায়মা বলেছেন: হা হা ঠিক বলেছি না বলো!!!!!!

আমিই পারবো আবোল তাবোল অনুবাদ করতে ঠিক ঠিক!!!


:)

৬৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১০

করুণাধারা বলেছেন: আবোল তাবোল অনুবাদ করতে যাবে কেন, তুমি তো আবোল তাবোল এর মত বই-ই লিখতে পারো। কারণ লেখার সাথে সাথে তুমি ছবিও আঁকতে পারো, সুকুমার রায়ের মতোই। এমন লেখা আর আঁকায় সমান দক্ষতা সবার থাকে না তো! একেই কি তুমি ছবিতা বলো? আমার একটা প্রিয় ছবিতা ছিল 'পরীক্ষায় গোল্লাতে হাবলু ফেরেন বাড়ি...', হাবলুর হাঁড়ি মুখ দেখে হেসে লুটোপুটি খেতাম।

অনেককাল আগে, আমি যখন ছোট, তখন আনন্দমেলার পূজা বার্ষিকীতে তিন থেকে ছয় বছরের বাচ্চাদের আঁকা কিছু ছবির সাথে অন্নদাশঙ্কর রায় কবিতা লিখেছিলেন। একটা ছবি ছিল তিন বছরের বাচ্চার আঁকা লাল আর বেগুনি রঙ দিয়ে একটা গোল মতো আকৃতি। এই ছবির সাথে কবিতা লিখেছিলেন, "লালের সঙ্গে বেগুনি রঙের যুদ্ধ অথবা ভাব/ ভাবিতে ভাবিতে বৈজ্ঞানিকের গালেতে গজালো আব"! ছোটবেলায় মুগ্ধ হয়ে দেখা এই ছবি ও কবিতা বুড়ো বেলাতেও মনে আছে!!

এটা কিন্তু সিরিয়াসলি দেয়া সাজেশন! ভেবে দেখো।‌ তোমার স্কুলের বিদেশি বাচ্চারা, কিংবা বিদেশে থাকা বাঙালি বাচ্চারা এমন বই পেলে বাংলা শিখতে পারবে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৯

শায়মা বলেছেন: তাই তো তাইতো ........
আসলেই এটাই টেরাই কত্তে হবে আমাকে!!!!!!! :)

আমি পরীক্ষাতে গোল্লা পেয়ে এই ছবি প্রায়ই আঁকি আর কবিতাটাও বাচ্চাদেরকে বলি। তারা হা করে চেয়ে থাকে গোল্ললা কেমনে ধরে বাড়ি আনে হাবু ....... চক্ষু দুটি ছানাবড়া ...... সেটা অবশ্য তারা চেনেনা আমি চিনিয়ে দেই। মুখখানি তার হাড়ি।

রাগে আগুন হলেন বাবা সকল কথা শুনে....... বাবার মাথায় আগুন এঁকে দেই।
মারের চোটে পিটিয়ে তারে দিলেন তুলো ধুনে এই তুলো ধুনাও তারা বুঝে না আমি বুঝাই।



হা হা হা হা সত্যিই মজার সব ছড়া!!!!!!!!!!!!!

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৮

শায়মা বলেছেন: জানো আপুনি

মনটা খুবই খারাপ!!!

https://www.youtube.com/watch?v=CgVV6hXO0r0

কাল বিকেলে এই পরিবারের সবাই মা ছেলে মেয়ে নাতি শুধু বউটা ছাড়া মারা গেছে কার এক্সিডেন্টে। এরা আমাদের অনেক পরিচিত মানুষ ছিলো। কাল রাত থেকে এই সব নিয়ে আমার অনেক অনেক মন খারাপ! বাচ্চাটাও মারা গেলো। ৪ বছরের মত বয়স ছিলো ওর। আমাদের স্কুলে ভর্তি হবার কথা ছিলো।

জানো আপুনি ঐ মেয়েটা মানে বাচ্চার মাটা শাহরুখ খান একবার বাংলাদেশে এসেছিলো না। একটা মেয়ে স্টেজে গেলো, শাহরুখ খান তাকে একটা সিংহাসনে বসিয়ে দিলো। তার নাম ছিলো আলিফ লায়লা। এটাই সেই মেয়ে সে বেঁচে আছে আর সবাই মারা গেছে। তার অবস্থায় খুব একটা ভালো না। তবে আশা করছি বেঁচে যাবে।

৬৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: বাপরে আপনি পারেন বটে! ছবি দেখতে দেখতে অস্থির লেখা আর পড়ব কখন!!

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৫

শায়মা বলেছেন: হা হা লেখাও কিন্তু কম লিখিনি হা হা মানে অং বং!!!! :)

৬৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:০৩

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: গান শুনলাম - খুবই ভালো লাগলো..
ইমেল আসেনি কোনো।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫০

শায়মা বলেছেন: আসবে আসবে ভাইয়ু!!!

অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া যাই আগে। এখন তো বাংলাদেশে.......

৬৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ার শীতকালটা আমারও একদমই ভালো লাগে নাই। নিম্ন তাপমাত্রা যেমন তেমন, ঠাণ্ডা বাতাসটাই (চিলী উইন্ডস) আমাকে খুব কাবু করে ফেলে। শীতের দিন ও রাতগুলোতে আমার মনেও বিষণ্ণতা দেখা দেয়।
হাঁটার সময় পথের পাশে কিছুদূর পরপর রাখা এ রকম খালি বেঞ্চগুলোতে আমি ক্লান্ত না হলেও কিছুক্ষণ বসে এটা সেটা ভাবতাম।
মেলবোর্নে এক ২৫ এপ্রিল তারিখের আনজাক মেমোরিয়াল অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম।
ওদের লাইব্রেরিগুলোতে একবার ঢুকলে একেবারে "লস্ট" হয়ে যেতে হয়।

চমৎকার পোস্টে ১৭তম 'লাইক'। ++

২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমিও আমার মত!!!!!!
খুব ভালো হত তোমার সাথেও দেখা হয়ে গেলে!!!

বাংলাদেশে দিনের পর দিন বছরের পর বছর কারো সাথে দেখা না হলেও বৈদেশে অনেকের সাথেই দেখা হয়ে যায় কারণ নিজের দেশের বাইরে নিজের দেশের মানুষ দেখা সেটাই পরম শান্তির আরাধ্য কিছু......

৬৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার বেশ কিছু প্রতিমন্তব্যে দেয়া গানের লিঙ্কগুলো থেকে গান শুনলাম। প্রত্যেকটাই ভালো লেগেছে। +

২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২৭

শায়মা বলেছেন: মনে কি পড়ে প্রিয়

মনে পড়ে

জনম জনম

তোমার জন্য ৩ টা গানা দিলাম ভাইয়া!! :)


৬৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আর মনে হয়েছিলো তুমি মনে হয় এই বারউডেই থাকো!!!

আমার ১০০% ধারনা হয়ে গেলো তুমি বারউডে বা তার আশে পাশেই থাকো কোনো এক বাড়িতে।



তোমার ধারণা ১০০% ভুল।
আমি Burwood বা তার আশেপাশে কোথাও থাকিনা।
ওটা একটা ঘনবসতি এলাকা।

নির্জন নিরিবিলি প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে আমার ভালো লাগে।
থাকার জন্যতো নয়ই, ইভেন সাময়িক কোথাও বেড়াতে গেলেও আমি ক্রাউড এভয়েড করি।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৭

শায়মা বলেছেন: ওহ তুমি কি তবে দূর পাহাড়ের ধারে দিগন্তেরই কাছে ব্লু মাউন্টেন থাকো!!!!!!!

মনে হচ্ছে ওটাই তোমার প্রিয় জায়গা হবে .... তবে কসম খোদার আমার ঐ পুতুলগুলো দেখে মনে হয়েছিলো তুমি মনে হয় এখান থেকেই ওঈ ছবিগুলি দিয়েছিলে। আরও মনে হয়েছিলো হয়ত বিকালবেলা অফিস শেষে এখান দিয়ে যাচ্ছিলে বা খেতে এসেছিলে বা কিনতে এসেছিলে কিছু আর তখনই এই পুতুলগুলো চোখে পড়ায় ছবি তুলে নিয়েছিলে!!! :)

৬৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: এবারে চায়না টাউনে চীনামাটির পুতুলগুলো দেখেছিলাম। ঠিক তুমি যেমন কিনতে বলেছিলে। তোমার কথা মনে পড়েছিলো।

চায়না টাউন আমার পছন্দের জায়গা না। অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর সেই শুরুতে এক দুইবার গিয়েছি কিন্তু আমার ভালো লাগেনি। হিউজ ক্রাউড। বেশিরভাগ প্রোডাক্টেরই কোয়ালিটি ভালো না। আর চায়না টাউনের আশেপাশে গেলেই একটা বোটকা স্মেল, যেটা আমি নিতে পারিনা।

ঐ পুতুলগুলো দেখে মনে হয়েছিলো তুমি মনে হয় এখান থেকেই ওঈ ছবিগুলি দিয়েছিলে।

যতদূর মনে পড়ে, যেই পোষ্টে পুতুলের ছবি দিয়েছিলাম, সেখানে শপগুলোর লিংক দেয়াছিলো, so that you can buy from there.

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪৮

শায়মা বলেছেন: ওহ তাই বলো!!!!!! ওয়েব লিংক থেকে!!!! হা হা হা আমি ভেবেছিলাম ঐ শপগুলো থেকেই বুঝি! :) তবে ঐ পুতুলগুলো ভালো ছিলো। ওই শপটায় তো সোনার কারুকার্য্য মন্ডিত একটা ঘড়িও দেখেছিলাম আহা! আবার ক্লিপগুলোতেও ক্রিস্টাল বসানো কি সুন্দর! কি সুন্দর!!!

তবে আসলেও সে যেন আমাদের গাউসিয়া মার্কেট!!! :)

যাইহোক ঠিক বলেছো ঐ বোটকা স্মেলটা কি বলোতো?? এত মজাদার সব আমাদের দেশীয় স্টাইল কাবাব কাবাব দেখতে কিন্তু খেলেই মাথা ধরে যাওয়া এক অদ্ভুৎ বিদঘুটে গন্ধ!!! গন্ধটা যেন দাঁতেও আটকে থাকে।

আমার এক কলিগ বললো সিচুয়ান মাসালা স্মেল নাকি ওটা!!!! আল্লাহ জানে ঠিক না বেঠিক তবে না ওয়াসাবি খেলে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলেও কিন্তু আমার মজা লাগে !!!!!!! :) আমাদের সরিষা টাইপ কিনা ...... :)

৭০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২০

মিরোরডডল বলেছেন:




ওয়াসাবি খেলে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলেও কিন্তু আমার মজা লাগে !!!!!!! :) আমাদের সরিষা টাইপ কিনা ...... :)

Wasabi is Japanese.
ওটা ডিফারেন্ট।
জাপানের খাবার ভালো।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪৮

শায়মা বলেছেন: বাংলাদেশে চাইনিজ আমাদের অনেক প্রিয় ছিলো আমাদের ছোটবেলায়। এখন আরও কত দেশের কত খানা এসেছে। অথেনটিক চাইনিজে যে এমন গন্ধ সেটা তো আমরা আগে জানতামই না!!! :(

আরেকটা জিনিস দেখে আমি ভাবছিলাম আরে আরে এমন গোল্লা গোল্লা বড় বড় চকলেটগুলা এরা জ্বাল দিচ্ছে কেনো? লেখা ছিলো চেস্টনাট! কসম আমি চকলেট ভেবেছিলাম।
কাছে গিয়ে দেখি হায় হায় এটা তো অন্য কিছু। ওরা আমাকে একটু চেখে দেখতে দিলো। খেয়ে তো আমি অবাক!! কাঁঠালের বিঁচি পোড়ার সাথে কোনোই পার্থক্য নেই! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.