নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মীরসরাই[email protected]

সাইমুম

শখ : অতি সাধারণ। বই পড়া আর বিদেশ ভ্রমণ।

সাইমুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাখির ভাষা ও মাতৃভাষা

১৮ ই মে, ২০০৬ রাত ২:৪১

মানুষ নিজের ভাষার সাথে তাল রেখেই পাখিদের ভাষা শোনে। যেমন, ইউরোপের একটি পরিচিত পাখির নাম 'চিফচ্যাফ'। বৈজ্ঞানিক নাম সম্ভবত ফিলোসকোপাস কলিভিটা। আমাদের দেশের টুনটুনির মতো সারাদিন বকবক করে। ইংলিশদের মতে এ পাখির বুলি নাকি 'চিফ চাফ, চিফ চাফ'। জার্মানরা তা মানতে রাজি নয়। তাদের দাবি এ পাখির বুলি হচ্ছে : 'জিলিপ-জেলপ, জিলিপ-জেলপ'। ফিনল্যান্ডীরা বলে : এক দম বাজে কথা। এ পাখি 'টিল-টাল, টিল-টাল' ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না। আর স্পেনিশরা বলে : কে বলেছে, এ পাখি চিফ চাফ স্বরে ডাকে? একটু কান পাতলেই শুনবেন ; এটা কতই না মধুর সুরে বলে যায় : ' সিব-সেব, সিব-সেব'।



তেমনিভাবে মোরগের প্রভাতী ডাক ইংরেজদের কানে 'কক অ্যা ডুডল ডু', ফরাসিদের কানে 'কোকো -রিকো' জার্মানদের কানে 'কাই-কাই, কাই-কাই' আর আমাদের কানে 'কুক্কুরুক কুক' শোনা হয়। আবার পাখির ডাক শোনার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষাটাও ফ্যাক্টর। যেমন : 'বউ কথা কও' পাখির ডাক মিরসরাই ও নোয়াখালীর ভাষায় : 'হুক্কে থাকো, কাঁডল হাকো' ( সুখে থাক, কাঁঠাল পাকো)।



মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

অতিথি বলেছেন: "বউ কথা কও" হিন্দীতে কি "পিউ কাহা"?
এমন নামের মর্তবা কি?
ইয়ে, আপনার কি নাম নিয়ে গবেষণার উপরে কোন ডিগ্রী আছে?

২| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

অতিথি বলেছেন: সাইমুম মিয়ার বাড়ী যখন কুককুট ডাকে বলে
মিয়ার পো ঘুমের তে উঠো।
কারো বিশ্বাস না হইলে ড্রইং রুমের চিপায় দেখতে পারেন, এত করে বলি একটা এলার্ম ক্লক কিনলেই হয়, কিন্তু চিপু মামু কুকুট পুষবো।

৩| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

সাইমুম বলেছেন: আস্তমেয়ে: হতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত নই। 'পিউ কাঁহা' নামের মর্তবা আমার চেয়ে এই ব্লগের অনেকে ভালো বলতে পারবেন। হিন্দি ভাষা সামান্য বুঝি । অবশ্য বালুচ ভাষায় 'পিউ কাঁহা' পাখি নিয়ে একটা চমৎকার উপাখ্যান পড়েছিলাম। 'পিউ কাঁহা' শব্দটা বেশ রোমান্টিক। কাজী নজরুল ইসলামও শব্দটি একাধিক বার ব্যবহার করেছেন।

৪| ১৮ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

সাইমুম বলেছেন: রাসেল : ইঙ্গিতটা স্পষ্ট।এতোটা আধুনিক আজো হতে পারিনিরে ভাই। রাসেল , খেয়াল করেছেন, সামহয়্যারের ব্লগার মাসুদ পারভেজ 'পুরুষদের ' নিয়ে গতকাল একটা বালগার সিরিজ ছেড়েছেন। এ নামের ছেলেগুলো হয়তো ভালো। তবে এ নামের যাদের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে, বেবাকগুলো পোংটা। হয়তোবা এটা কাকতালীয় ঘটনা!

৫| ১৮ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

আপন তারিক বলেছেন: পাখির ভাষা কে বুঝিতে পারে ?
কোথায় যেন শুিেছলাম লাইন টা ?
সব কেমন যেন লাগতাছে ......!!

৬| ১৮ ই মে, ২০০৬ দুপুর ২:০৫

অতিথি বলেছেন: পিউ কাঁহা ডাকে পাপিয়া। হিন্দিতে এ পাখিকে বলে পাপিহারা।

ছাইমোমদা কি বালুচ ভাষা পারেন নাকি?

৭| ১৮ ই মে, ২০০৬ বিকাল ৪:০৫

ওয়ালী বলেছেন: যাক মোরগ কইছেন বাংলাদেশীরা এইখানে গণহারে কয় মুরগী।

৮| ১৮ ই মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাইমুম বলেছেন: মুখফোড় : সরি, ভুলটা আমার। আমার লেখা পড়লে মনে হতে পারে, আমি বালুচ ভাষায় পড়েছি। আমি বালুচ লোককাহিনী নিয়ে ড. ওয়াকিল আহমেদে র একটা বই পড়েছিলাম। ওটা মূলত কয়েকজন স্কলারের লেখা। বাংলা ও ইংরেজিতে। ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।আমার নাম বিকৃত করে লেখার জন্যও ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাইমুম বলেছেন: ওয়ালী : বাংলাদেশেও গণহারে মুরগি কয়।

১০| ১৮ ই মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাইমুম বলেছেন: আপন: পেজগি লাগান নাকি? খবর আছে।

১১| ১৯ শে মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

সাইমুম বলেছেন: আপন: 'পাখির ভাষা কে বুঝিতে পারে?'---এটা কলকাতার একটা বিজ্ঞাপনের লাইন? এবার হলোতো?

১২| ১৯ শে মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

কালপুরুষ বলেছেন: পিউ কাঁহা পাখী অত্যন্ত আকর্ষণীয় বর্ণের ও কন্ঠের অধিকারী। এরা সুরের মায়ায় অবিষ্ট করতে পারে। একেতো রূপ তার উপর কন্ঠ। দুউয়ের সমন্বয়ে অনন্যা। সেই কারণে এই প্রজাতির মেয়ে পাখীদের প্রেমে পড়ে যায় অন্যান্য গোত্রের পুরুষ পাখীরা। তাই এদের প্রেমিক বা সঙ্গী পাখীর সবসময় এদের সাহচর্য পেতে চায়। যাতে এদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে অন্য পুরুষ পাখীরা এদের ঘনিষ্ঠতা লাভ করতে না পারে। কারণ প্রকৃতগতভাবে সবাই সৌন্দর্যপূজারী হয়। আর এই "পিউ কাঁহা"র প্রেমে পড়বে না এমন কোন প্রেমিক পাখী থাকতেই পারে না। পিয়া বা প্রিয়া ডাক সবসময়ই কবি সাহিত্যিকদের কাছেও প্রিয় একটা শব্দ। তাই তাদের লেখায় এই শব্দগুলো এসে যায়। প্রিয়া ছাড়া আমার মনটা প্রেমিক হবে কি করে ?

১৩| ১৯ শে মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

সাইমুম বলেছেন: কালপুরুষ: চমৎকার বিশ্লেষণ!

১৪| ১৯ শে মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

কালপুরুষ বলেছেন: দুঃখিত, এই অংশটুকু প্রথমে আসবে। পোষ্ট করার সময় ভুলবশতঃ এই অংশ বাদ পরে গেছে।

আমি পাখী বিশেষজ্ঞ নই। তবে পাখী ও প্রেম বিষয়ে কিছু কল্পকাহিনী জানা আছে। কিছু পড়েছি, কিছু শোনা কথা। পিউ কাঁহা (লোক মুখে প্রচলিত হিন্দী শায়েরী থেকে উদ্ভুত), পাপিয়া, পাপিহা (হিন্দী), পিউলী (পিয়াল শাখায় বসে যে পিয়া পিয়া ডাকে) আমাদের দেশের "বউ কথা কও" এই প্রজাতির পাখীদের গোত্রভুক্ত। পিউ কাঁহা'র বাংলা হলো "প্রিয়া কোথায়" আর আমাদের দেশীয় পরিচিত পাখী "বউ কথা কও"। ভাবের দিক থেকে প্রায় কাছাকাছি। আসলে বউয়ের অভিমান বা মান ভাঙ্গাতে এই মধুর ডাক। কিন্তু বউ অভিমান করলো কেন সেটা কী কেউ জানে ? হয়তো না। হয়তো হ্যাঁ। বউ পাখীটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে তাই স্বামী পাখীটার সন্দেহ বউকে নিয়ে। বউ সেটা বুঝতে পেরে অভিমানে কথা বলে না। আর তাই স্বামী বেচারা মান ভাঙ্গাতে ডাকতে থাকে "বউ কথা কও"।

১৫| ১৯ শে মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

সাইমুম বলেছেন: গুরু ফ্যান্টাস্টিক! তবে বউকে এই লেখা পড়তে দেয়া যাবে না। পড়লে র্যাঙ্ক আরেকটু বেড়ে যাবে! এখন তো বলি : --ফ্যানটা ছেড়ে দিয়ে যাওতো। এটা পড়লে সেই উলটা আমাকে বলবে : মাছটা কুটে দিয়ে যাও তো! হা: হা:::::::::

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.