নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিরক্তিকর। ধন্যবাদ!

Saira Islam

রোবট নই। ক্যাপচা সল্ভ কোরে এসেছি। সুতরাং মানুষ। স্বাগতম!

Saira Islam › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়না জগত

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

*আয়না জগৎ*
.
.
অরিত্র সিগারেট টানছে ব্যালকোনিতে বসে।। মাথা টা ঝিম ঝিম করছে। অবশ্য এটার কারন কিছুদিন যাবৎ রাতে ঘুম না হওয়াটা। কিসব জিনিস দেখতে পাচ্ছে সে। স্বপ্ন কিনা সে ঠিক বুঝতে পারেনা। আর এর ফলে অফিসে গিয়ে রাজ্যের ঘুম চেপে বসে চোখে।
ঘটনা গুলোর কুল কিনারা পায়না অরিত্র। সেদিনের পর থেকে এমন টা হচ্ছে যেদিন থেকে সে রিমুর কাছে যাবে ভাবছিলো। তবে যাওয়া টা অন্য রকম। রিমুর বিয়ে হয়ে গেছে ১বছর হতে চললো। অনেক বেশী ভালোবাসতো অরিত্র রিমু কে। কিন্তু...
বিধাতার কাছে হয়তো তাদের ভালোবাসার বিচ্ছেদ ই প্রিয় ছিলো।।
রিমুর বিয়ে হওয়ার পর অরিত্র কিছুটা একঘরে করে ফেলেছিলো নিজেকে। কারো সাথে তেমন কথা বলতো না, হাসতো না, খেতো না ঠিক মতো, ঘুমাতো না..
এক সময় কলির সাথে পরিচয় হয় ফেসবুকে।
কলি অনেক ছোট অরিত্রর থেকে। কথা হতো দুজনের মাঝে মধ্যেই। একদিন কলি রিমুর কথা জানতে পারে অরিত্রের কাছে ।।
কথায় কথায় অরিত্র আয়না জগত এর কথা তোলে..
বলে যে,, আয়না জগতের সন্ধানে আছি। হয়তো সেখানে তার ভালোবাসার মানুষ টা থাকবে। আর তার অপেক্ষায় থাকবে..
কলি মনে মনে চায় আয়না জগত নামের কোন যায়গাই যেনো না থাকে.. কারন..???
কারন টা কলিও জানেনা। জানতেও চায় না.. জেনে কি হবে??
সেদিনের পর থেকে অরিত্রর ঘরের যে ড্রেসিং টেবিল টা রাখা আছে সেখানের আয়নাটা রাত ১টার সময় আলোকিত হয়ে যায়.. ধোয়ার মত কুণ্ডলী পাকাতে থাকে আয়নাটার মাঝ বরাবর। অরিত্র ভয় পেয়ে যায়..
আর ভয় পেলে মানুষের কৌতুহল আরো বেড়ে যায়। এর ফলে অরিত্র সেই আয়নার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়.. আয়নাটার ভেতরে কিছু অবয়ব। অস্পষ্ট অবয়ব। হাত দিয়ে ছুতে যায় অরিত্র..
আর বড়সড় একটা ধাক্কা। ঝমঝমিয়ে ওঠে হাত টা ।। সাথে সাথে পুরো শরীরের উপর দিয়ে হাজার ভোল্টের কারেন্ট যাওয়ার মতো একটা ঝটকা। ছিটকে পড়ে অরিত্র। অতঃপর চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করে ব্যালকোনিতে। সিগারেট হাতে। প্রায় ২মাস যাবৎ এমন টা হচ্ছে। কাউকেই কিছু বলতে পারছেনা সে। কে ই বা এমন কথা বিশ্বাস করবে যার কোন রকম ভিত্তি নেই।
কলি কে বলা যেতে পারে.. আর কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক। কলি করবে।
-----
কলি মেয়েটার কথা শুনে অনেক সময় মনে হয় মেয়েটা অনেক বোঝে তাকে। অনেক অভিমান মেয়েটার। মেঘের মত মন। কখন কালো হয়ে যায় বোঝার উপায় নাই.. আবার অনেক সহযেই মানিয়ে নিতে পারে সব সিচুয়েশন। দুর্বল হতে শুরু করেছে অরিত্র কিছুটা কলির উপর। মেয়েটার চেহারার সাথে রিমুর অনেক বেশি মিল..।
কলির একটা ভালো অভ্যাস হচ্ছে সব কিছুই মন দিয়ে শোনে। আর কথা যখন অরিত্র বলে, তখন কিছুটা বেশিই মনযোগী সে। যাই হোক। কলির এসব নিয়ে ভাবতে মোটেও ভালো লাগেনা। দুজনেই অনেক ভালো বন্ধু হয়ে গেছে। অনেক কথাই শেয়ার হয় তাদের মাঝে..
----
অরিত্র ফেসবুকে নক করলো কলি কে।
- আছো?
- হুম। বলেন..
-কিছু কথা ছিলো..
-বলে ফেলেন।
-এভাবে তো সম্ভব না। ফোনে বলতে হবে। আর নাহয় সরাসরি বলতে হবে।
-উমমম.. ওকে আসেন বিকালে ক্যাফেতে..
-আচ্ছা। কখন ফ্রী আছো?
-পুরো বিকেল ই ফ্রী। ৪টায় যাই।
-আচ্ছা ঠিক আছে ..
-------
কলি অরিত্র কে দেখেনি কখন ও। তবে অরিত্র দেখেছে কলি কে.. কলির ছবি ফেসবুকেই দেয়া আছে.. ঠিক চিনে নেবে মেয়েটাকে.. হাজার হোক......
-------------
বিকাল ৪টা বাজে.. কলি নীল শাড়ি পরেছে। অনেক টা ইচ্ছে করেই। অরিত্র একদিন বলেছিলো কলি কে নীল শাড়িতে নাকি ওকে অনেক মানাবে.. তাই আজ ই প্রথম...
ক্যাফের এক কোনে ছোট্ট একটা টেবিল এ বসেছে কলি। চুল গুলো বাতাসে উড়ছে। কলি চুল সামলাতে ব্যাস্ত। হঠাত করে দেখে একটা ছেলে তার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছে।
কলি বলল,,
- হাসা ঠিক না। শাড়ি পড়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিলাম। আর চুল ছেড়ে দিয়ে আরো বেশি। চেয়ার টা টেনে বসে পড়ুন। আর কি ব্যাপার আপ্নিও দেখি নীল শার্ট..?? আমিতো আপনাকে বলিনি যে আমি নীল শাড়ি পরবো।।
- ইশ এত্ত কোশ্চেন করো ক্যান?? তোমাকে দেখে হাসছিলাম না।। খোলা চুলে বেশ মানিয়েছে। হাসার কারন হচ্ছে আমি একদিন নীল শাড়ি পরতে বলেছিলাম তোমায়। আর আজ পরে এসেছ। কিন্তু আরো একটা কারন আছে।।
- কি সেটা?
-আমার মন বলছিলো যে তুমি আজ নীল শাড়ি পরবে। তাই আমিও নীল শার্ট টা পরে এসেছি।। নীল পাঞ্জাবী ছিলো না তাই। হাহাহা..
- ও আচ্ছা.. হু তাইলে হাসেন।
-হুম হাসি শেষ। যে জন্য ডেকেছিলাম তোমায়..
- হুম হুম বলেন..
- কলি তোমাকে মাস দুয়েক আগে আয়না জগতের কথা বলেছিলাম না??
- হ্যা.. পেয়েছেন নাকি??
- না পাইনি... তবে মনে হচ্ছে পেতেও পারি..
- ওহ। কিভাবে.?
অরিত্র দুই মাসের প্রতিটা দিনের ঘটনা কলি কে বলল। কলি শুনে বিশ্বাস করতে পারছেনা। ১/২ দিন হলে হ্যালুজিনেশন বলে চালিয়ে দিতে পারতো কিন্তু....
কিন্তু এটাতো ২ মাসের ঘটনা। কলি অরিত্রের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। ইশ.. মুখ টা শুকিয়ে এত্ত টুকু হয়ে গেছে.. লোক টা ভয় পেয়েছে খুব। যদিও কলির সামনে প্রকাশ করতে চাইছেনা। কলির খুব ইচ্ছে করছে অরিত্রের হাত দুটো ধরে বলা যে,, চিন্তা করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু পারছেনা.. কোনো এক অদ্ভুত শক্তি আটকে রেখেছে ওকে..
কলি নীরবতা ভেংগে বলে আমার না কোথায় জানি কেমন কেমন লাগছে... আপনি বললেন প্রতিদিন রাত ১ টায় ব্যাপার টা ঘটে.. আর তার ঠিক পাচ মিনিট পর আপনি নিজেকে আবিস্কার করেন ব্যালকোনিতে... সিগারেট হাতে..
- হুম ঠিক তাই.. আর আয়নায় কিছু অবয়ব দেখতে পাই.. নারী দেহের অস্পষ্ট অবয়ব। হয়তো বিশ্বাস করবেনা শুনলে, কিন্তু অবয়ব টা অস্পষ্ট হলেও আমার কেনো জানি সেটা রিমুর ছায়া মনে হয়। আর অনেক সময় তোমার...
- আমার?? হিহি
- হাসছো যে?? হুম তোমার...
-না এমনি হাসছি.. আচ্ছা আপনার বাড়িতে আমাকে একদিন নিয়ে যাবেন.? ভয় পাবেন না. . রাতে থাকবো না..
- হু। আচ্ছা। কবে যাবে বলো.?
-শুক্র বার যাই।। আমার কলেজ নাই ওইদিন।
-আচ্ছা ঠিকাছে। আইসক্রিম খাবে কলি??
- হুম খাওয়া যায়..
-আচ্ছা তুমি বসো আমি আসছি..
-আচ্ছা.....
কলি এই ফাঁকে ভাবতে থাকে কি হচে পারে.. ভাবতে ভাবতেই অরিত্র এলো। হাতে একটা কোন আইসক্রিম। আর একটা সিগারেট। আইসক্রিম কলিকে দিয়ে সিগারেট ধরালো অরিত্র। কপ্লি অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে। অরিত্র বললো,,
- কি ব্যাপার ওদিকে তাকিয়ে আছো যে.?
- আপনার সিগারেট শেষ হলে ফিরে তাকাবো। শেষ হলে বলবেন।।
- আচ্ছা ঠিকাছে সিগারেট ফেলে দিয়েছি। এবার তাকাও।
- হুম। বলেন...
- চলো তাহলে উঠি..
- চলেন..
কিছুদুর হাটার পর দুজনই বাড়ি চলে গেলো...
--------
*শুক্রবার বেলা ১০টা..
কলি এসেছে অরিত্রর বাসায়। রুম গুলো অন্ধকার। দিনের বেলাতেও লাইট ছাড়া উপায় নেই। অরিত্র ড্রইং রুমে বসিয়ে দিলো কলি কে। বললো,
- তুমি বসো আমি চা বানিয়ে আনছি..
-না।। আমি বানাবো। আমাকে কিচেন দেখিয়ে দিন।
-আচ্ছা বাবা ঠিকাছে। ওইযে ওদিকে। সব সামগ্রীর উপরে লেভেল দেয়া আছে। আশা করি কষ্ট হবেনা।।
-ধন্যবাদ।
কলি রান্না ঘরে চলে গেলো.. রান্না ঘরটায় বেশ আলো.. এটাতে লাইট জ্বালানোর প্রয়োজন হয়না.. কি সুন্দর করে সাজানো সব কিছু.. চা করে নিয়ে আসে কলি। একটা কাপ অরিত্র কে দিয়ে আরেক কাপ নিজে নেয়। চা নিয়ে ইরিত্র বলে,,
-ধন্যবাদ। চা টা অনেক ভালো হইসে।
- না খেয়েই বলছেন??
- হুম কারন চায়ের রঙ টা সুন্দর। চায়ের রঙ সুন্দর মানেই চা চমৎকার
- বাহ তাই নাকি..??
-হুম।
-আপনার ঘরের ড্রেসিং টেবিল টা একটু দেখবো।।
-চলো।
---------
দুজনে অরিত্রের ঘরে যায়। কলি চায়ের কাপ টা হাত থেকে টেবিলের উপর রাখে। ড্রেসিং টেবিল টা অনেক পুরানা.. স্টীলের তৈরী.. সদ্য রঙ করে নতুনত্ব দেয়া হয়েছে। ঘরের রঙ টাও কিছুদিন হলো রঙ করা মনে হচ্ছে..
অরিত্রের চয়েস অনেক ভালো বলতে হবে... ঘরের রঙ টা অনেক সুন্দর।।
কলির হাত চলে যায় আয়না টার কারুকার্যের উপর। স্টীলের হলেও অনেক সুন্দর করে ডিজাইন করা.. আয়নার ফ্রেমে হাত লাগার সাথে সাথে একটু ঝম ঝম করে ওঠে হাতটা.. কলি ঠিক বুঝতে পারেনা কি হলো.. কলি বললো, অরিত্র একটু ছুঁয়ে দেখবেন ফ্রেম টা?
অরিত্র ছুঁয়ে দেখলো কিন্তু কিছুই মনে হলো না। কলি আবার ইচ্ছা করেই ছুঁলো...
আবার ও একই অনুভূতি..
কলি আয়নাটার পেছন টা দেখলো.. একটা খোলা তার.. সব কিছুই এখন তার কাছে দিনের আলোর মতোই পরিস্কার..
কলি অরিত্র কে জিজ্ঞেস করলো,
-আচ্ছা দিলের বেলা টিউব লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। রাতেও কি লাইট জ্বালানো থাকে?
-হুম ডীম লাইট জ্বলে। একদম অন্ধকারে আমি ঘুমাতে পারিনা..
-ও.. আর রাতে কি রান্না ঘরের বাতি টা জ্বালিয়ে রাখেন?
- হুম।কিভাবে জানলে? একচুয়েলি ড্রইং রুমের লাইট টা নষ্ট প্রায় দুই মাস ধরে। পালটানো হয়না আলসেমির কারনে ।
- হুম বুঝেছি...
এখন আপনাকে আপনার আয়না জগতের ব্যাখ্যা দেই.. যেখানে বুঝবেন না, কোশ্চেন করবেন। ওকে?
- আচ্ছা..
- আপনার কাছে যখন প্রথম এটার কথা শুনি তখন ই আমার কেমন কেমন যানি লাগছিলো আমি আপনাকে বলেছিলাম...
- হুম।
- আর তাই আসতে চেয়েছি। আপনার বাড়ি টা অন্ধকার। দিনের বেলাতেও লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয়.. কিন্তু রান্নাঘর টাতে তুলনামূলক ভাবে আলো বেশি থাকায় দিনের বেলা আলো না জ্বালালেও হয়..
- হুম।
- আপনার রুম টাতে খুব শীঘ্রই রঙ করা হয়েছে.. তাইনা??
-হ্যা..
-আর এর ফলে রং এর মিস্ত্রি রা রঙ করতে গিয়ে আপ্নার রুমের একটা তার ভুল করে ছুটিয়ে ফেলেছে যেটা হলো ড্রইং রুমের লাইটের।
-হ্যা হতে পারে কারন রঙ করিয়ে নেয়ার পর থেই ওই রুমের লাইট টা জ্বলে না..
- হুম। আমি যখন আপনার আয়নার ফ্রেম টাতে হাত দেই তখন ই আমার বৈদ্যুতিক শক লাগে.. কারন খোলা তার টা আয়নার ফ্রেমের সাথে লেগে আছে.. আর ফ্রেমটা স্টীলের হওয়ায় সেটা বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে আছে। আমাকে শক লেগেছে কিন্তু আপনাকে শক লাগেনি কারন আপনি রাবার এর স্যান্ডেল পরে আছেন.. আর আমি খালি পা.. এবার আসি রাতের কথায়.. দিনের বেলা টিউব লাইট জ্বালানোর ফলে বেশির ভাগ বিদ্যুত ই এই টিউব লাইটের জন্য ব্যাবহৃত হয়। ফলে ফ্রেম টাতে বিদ্যুতের পরিমান কম থাকে। কিন্তু রাতে ডীম লাইট হওয়ায় বিদ্যুতের পরিমান বেশি থাকে।
আর রাতে নিশ্চই আপনি স্যান্ডেল পরে ঘুমাতে যান না..
-হুম.. তাই তো.. কিন্তু আপমি আয়নার মধ্যে কুণ্ডলী দেখতে পাই কেনো?
-এর কারন হচ্ছে আপনার রান্না ঘরের আলো আর আপনার ঘরের ডীম লাইটের আলো এক সাথে আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে একটা আলোর তৈরী করে.. আর আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন পুরো ব্যাপার টাই ঘটে আপনার অবচেতন মনে... আর সে জন্যই আপনি আয়নায় কুণ্ডলী দেখতে পান।
আপনি আমাকে ভলেছিলেন যেদিন প্রথম আয়না জগত এর কথা বলেছিলেন সেদিন থেকেই এটা হয়..
আসলে সেদিন আপনি অনেক ভাবছলেন এটা নিয়ে আর তাই পুরো ব্যাপার টাকে আপনার অবচেতন মন ভুতুড়ে আর রহস্য জনক রুপ দিয়ে ফেলেছিলো..
- আর আমার ব্যালকোনিতে সিগারেট নিয়ে থাকা??
-ওইযে বললাম অবচেতন মন? আপনি আগে প্রতিদিন রাতেই সিগারেট খেতেন। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ বিকালে খাওয়ার হঠাৎ করে আপনার অভ্যাসে পরিবর্তন চলে আসে। কিন্তু মস্তিস্ক আগের রাতে সিগারেট খাওয়ার কথা টা ভুলতে পারেনা. এ কারনেই আপনি ঘুমের মধ্যেই সিগারেট নিয়ে ব্যালকোনিতে যেতেন। যখন আপনার ঘুমের রেশ কেটে যেতো আপনি তখন নিজেকে আবিস্কার করতেন ব্যালকোনিতে....
-আর আয়নায় রিমু আর তোমার অবয়ব??
-সেটার ব্যাখ্যা সোজা। আপনি রিমুর জন্যই আয়না জগত এ যেতে চেয়েছিলেন তাই আপনার অবচেতন মন আয়নার মিধ্যে রিমুকে কল্পনা করে নিতো... আর আমি.?
আমি হয়তো বা রিমুর মতো দেখতে এই কারনে আমার প্রতি একটু দুর্বলতা কাজ করে আপনার মাঝে।। মস্তিস্ক বুঝতে পারেনা কাকে তার এখন চাই। সে ল্ল হয়ে যায়... আর এই কারনেই আপনি একই সাথে আমাকে আর রিমুকে দেখতে পান......
অরিত্র অবাক... এই মেয়ে কে অনেক জ্ঞানী জ্ঞানী লাগছে এখন... হঠাত করেই মনে হচ্ছে কলি বড় হয়ে গেছে..
অরিত্র ডাকে,,
- কলি.?
-হুম?
- থেংক ইউ...
- smile emoticon আমি তাহলে আসি.?
- চলে যাবে.?
- আপনি বললে থেকে যাবো.. হিহি
- তাহলে থেকেই যাও.. smile emoticon
কলি অরিত্রের দিকে তাকায়.. অদ্ভুত চাহনো। চোখে কেমন যানি আপন আপন ভাব.. কেমন মায়া..
-না থাক.. যাই..
অরিত্রের কেনো যানি মনে হচ্ছে কলি চলে গেলে হয়তো আর ফিরবেনা কোনোদিন.. আবার একলা করে চলে যাবে সে.. মন খুব চাইছে কলি যাতে না যায়.. কিন্তু... না,, কোনো কিন্তু না.. কলি কে তার চাই... অরিত্র কে অপুর্ন থেকে পরিপুর্ন করতে শুধু কলিই পারে.. অরিত্র ডাকে..
-কলি শোনো?
-হুম বলেন..?
- আমাকে সারাজীবন এভাবে প্রতিদিন সকালে চা খাওয়াতে পারবেনা.?
- হুম খুউব পারবো..
কলির চোখে পানি টলটল করছে.. গাল বেয়ে দু ফোটা গড়িয়ে পড়ে... কলি বলে..
-ভালোবাসি...
- হুম অনেক বেশি..... heart emoticon
------------------
অনেক দিন হলো বিয়ে হয়েছে কলি আর অরিত্রের.. কলি একটা ব্যাপার এখন ও জানায় নি অরিত্র কে.. সেদিনের ওই আয়নার পেছনের তার টা দু দিকেই খোলা ছিলো। আর ঝুলছিলো তার টা... তবে কারেন্ট এসেছিলো কোত্থেকে.?? কলি পরে অরিত্র কে বলে ড্রেসিং টেবিল টা বিক্রি করে দেয়..
থাক না কিছু রহস্য... সব রহস্যের সমাধান পেতে নেই...
ওরা ভালো আছে...
.
.
লিখাঃ Saira Mahi (বৃষ্টিস্নাত মেঘকন্যা)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.