নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি লিখতে।কলম আর খাতা সবচে\' প্রিয় জিনিস।

সজীব সাখাওয়াত

সজীব সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবী একটা গ্রহের নাম

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

-গ্রহ হিসেবে অত্যন্ত নোংরা জায়গাটা।

- ঠিক বলেছ। এতটা নোংরা আশা করি নি। ট্রেস করতে পারছ এই মুহুর্তে কোথায় আছি আমরা?

ইস্কিয়ামিক্স প্রশ্ন করলে জোরাভানকে।

- সিগন্যাল তো বলছে বাংলাদেশ।

- বাংলাদেশ?

- হু। the land of Bengal

- B কে কনভার্ট করলে ১১ না ডেসিম্যালে?

- হ্যাঁ

- চল এখানকার জীবদের সাথে কথা বলে দেখি।

- ওরা কি আমাদের ভাষা বুঝবে?

- আমি অলোয়েজই ট্রান্সলেটার রাখি এজন্য।

- তাহলে তো ভালোই। চল,গিয়ে কথা বলি।

ইস্কিয়ামিক্স তার ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সফর্মিং মেশিনটা বের করে নিল।। Andromeda গ্যালাক্সির প্রত্যেক সদস্য গ্রহের জীবদের কাছে এই জিনিসটা আছে। তবে ওদের সবসময় ইউজ করতে হয় না। ওদের প্রোগ্রামটা ইউনিকোডের মোট সেট করা অনেকটা।। ম্যাক্সিমাম ভাষাই বুঝতে পারে। জোরাভান আর ইস্কিয়ামিক্স একই গ্রহের না। পাশাপাশি দুই গ্রহের শান্তি রক্ষাবাহিনীর সদস্য তারা। milki way গ্যালাক্সির পৃথিবী নামক গ্রহে নাকি শান্তি রক্ষায় সমস্যা হচ্ছে।তাই তারা এসেছে গ্রহ পর্যবেক্ষণে। তাদের স্পেসশিপটা ল্যান্ড করেছে বাংলাদেশ নামক কোনো এক জায়গায়, যাকে তারা অত্যন্ত নোংরা এক জায়গা হিসেবে অভিহিত করেছে।

-ইস্কিয়ামিক্স।

-হ্যা বল জোরাভান।

- এর আগে চল আমরা জায়গাটার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিই।

-এটা ভালো বলেছ তুমি।

-দাড়াও আগে লংটিটিউড ল্যাচিটিউড বের করে নিই।

- এই মুহুর্তে আমরা 22 deg 19 min north থেকে 91 degree 48 min east এ আছি।

-গুড।জায়গাটার নাম কি?

-চট্টগ্রাম।এর হিস্ট্রি জানতে হবে। দেখ এই গ্রহের মানুষ খুব একটা যে পিছিয়ে তা কিন্তু না। ওদের ‘google’ ই আমাকে সাহায্য করছে।

- দেখি ওদের গুগল কি বলে জায়গাটা সম্পর্কে।। কি করতে হবে জান?

-জাস্ট key word লিখে সার্চ দিলেই হবে।

-বল কি? এত্ত সোজা? ওরা তো অনেক ইম্প্রুভড। দাড়াও দাড়াও।জায়গার ইতিহাস বাদ দাও। আগে দেখ এই গ্রহের মানুষজন কি কি বড় জিনিস আবিষ্কার করেছে।

- দেখ ওরা অনেক কিছুই করেছে।আমি বলব আমাদের চেয়ে অনেক ইম্প্রুভড ওরা।

- যেমন?

- ওরা কম্পিউটার জিনিসটা সম্পূর্ণ নিজের আয়ত্তের মধ্যে নিয়ে এসেছে।

-তার মানে তো ওরা আমাদের কন্ট্রোলও করতে পারবে। সাঙ্গঘাতিক বেপার।

- চল ওদের কোনো জীবের সাথে কথা বলি। অনেক কিছু জানতে পারব।

-শুনেছি মানুষ নামের জীবটা সবচে বুদ্ধিমান এ গ্রহে। ওদের সাথেই কথা বলি।







জীর্ণশীর্ণ একটা লোককে ধরল জোরাভান।

- আমি andromeda থেকে আসছি, শান্তি রক্ষা বাহিনীর সদস্য। তোমার গ্রহ সম্পর্কে কিছু বল,

- এগিন কি হযযে তুই?

- কি বললে? ইস্কিয়ামিক্স ট্রান্সলেটর কি বলছে?

ইস্কিয়ামিক্সের জবাব,

- ও বলছে এগুলা কি বলছ তুমি?

- মানে? ওর গ্রহ সম্পর্কে ও জানে না?

- জিজ্ঞেস কর আরেকবার।

- এই যে, তোমার গ্রহের স্পেশালিটি বল।



লোকটা,

- পাগল নাকি?

- তোমার গ্রহ সম্পর্কে বলতে বলছি।

- ফিড্ডুম না তোরে?



জোরাভান বলল চল তো অন্য কোনো জায়গায় যায়।। ওরা এরপর ওদেরই গ্যালাক্সির বিজ্ঞানীদের তৈরিকৃত যান “প্রম্পইস্কো”র দিকে এগুতে লাগল। প্রম্পইস্কোর বিশেষত্ব হচ্ছে ওরা যেখানে যেতে চাই বাইনারি বা হেক্সাডেসিমেলে কমান্ড হিসেবে দিলেই সেখানে যেতে পারে। জিনিসটা জটিল ধরনের। এর তুলনায় পৃথিবী এখন অনেক এগিয়ে। ইস্কিয়ামিক্স কমান্ড দিতে পারছে না। তার প্রোগ্রামে অটো প্লেস ফাইন্ডিং এখনো এড করা হয় নি। মানুষের ক্ষেত্রে এমন না। তারা অনেক এগিয়ে। ইস্কিয়ামিক্স অনেকক্ষণ ধরে একটা নাম শুনছিল “ আমেরিকা”। কমান্ড হিসেবে তাই সে আমেরিকা দিল। প্রম্পইস্কোর ফাংশন জটিল হতে পারে কিন্তু ওর স্পীড অনেক। প্রায় ২০০ কি.মি প্রতি সেকেন্ডে। সহজেই তাই আমেরিকা পৌছে গেল ইস্কিয়ামিক্স আর জোরাভান। National Aeronautics and Space Administration (NASA) নামক একটা জায়গার সামনে তারা এখন।। কিছু যন্ত্র দেখছে তারা যেগুলো পৃথিবী ছেড়ে বের হচ্ছে এখন।এগুলোর নাম রকেট। পৃথিবীতে আসার সময় এই ধরনের কিছু যন্ত্র তারা দেখেছে। ইস্কিয়ামিক্স আর জোরাভান চিন্তায় পড়ে গেল। তাহলে প্রথম লোকটা যে বলল গ্রহ সম্পর্কে সে কিছু জানে না, আর এরা তো মহাশুণ্য জয় করে ফেলছে।এ কেমন গ্যালাক্সি। তাদের গ্যালাক্সির সবাই তো একই রকম, ইস্কিয়ামিক্স আর জোরাভান দারুণ চিন্তায় পড়ে গেল।



ইস্কিয়ামিক্স আর জোরাভান পরস্পরের দিকে তাকাচ্ছে।

- ইস্কিয়ামিক্স তুমি কিছু বুঝতে পারছ?

- কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি,

- কি?

- যে এই গ্রহের মধ্যে কেন এত সংঘর্ষ?

- কেন?

- কারণ এদের একদল গুগল তৈরি করছে ঠিকই কিন্তু আরেকদল তা সম্পর্কে জানেও না।

- মানে?

- মানে এদের মধ্যে দুটা শ্রেনির সৃষ্টি হয়ে গেছে।

- কি রকম?

- একদল শাসন করছে আরেকদল শোষিত হচ্ছে।

- ও তার মানে একদল উন্নত হতেই আছে আরেকদল খেতে পর্যন্ত পারছে না।এই তো?

- ঠিক তাই।

- এর সমাধান কি আমাদের কাছে আছে?

- মনে হয় নেই।এটা কেবল ওরাই ঠিক করতে পারবে।

- কেন?

- কারণ ওরাই নিজেদের সেরা প্রমাণ করছে, আবার ওরাই নিজেদের ক্ষুদ্র করছে। এর উপর আমাদের কন্ট্রোল নেই।

- তাহলে?

- তাহলে আর কি? ফিরে যেতে হবে, গিয়ে রিপোর্ট করতে হবে

- কিছুই কি করার নেই?

- ওরা না চাইলে কিছুই করার নেই।



ইস্কিয়ামিক্স আর জোরাভানের স্পেসশিপ চলে এসেছে।ওরা পৃথিবী ছেড়ে ক্রমশ চলে যাচ্ছে।।

নিচের দিকে তাকিয়ে দুইজনই দীর্ঘশ্বাস ফেলে

-হায়রে পৃথিবী!







ইস্কিয়ামিক্স জোরাভানের ফেলে যাওয়া পৃথিবী এখনো আগের মতই রয়ে গেছে অনেকটা। একদল জানছে,শিখছে,পড়ছে,মহাশুন্যে মানুষ পাঠাচ্ছে আরেকদল না খেয়ে দিন যাপন করছে, পৃথিবীটা সম্পর্কে জানতেও পারছে না, আবিষ্কারগুলোর সুবিধাও পাচ্ছে না। জটিল সমস্যা!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

পুলহ বলেছেন: হার্ড কোর সায়েন্স ফিকশান মনে হোল ! গল্পের মেসেজ এবং সেটা দেয়ার ভঙ্গিটা চরম।
তবে ভাই, চিটাগাং এর ভাষা বুঝার জন্য আরেকটা ট্রান্সলেটর থাকলে ভালো হইতো =p~
ভালো লাগলো। শুভকামনা !

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: ধন্যবাদ.।আর আশা করছি চিটাগং এর ভাষা বোঝার জন্য কোন না কোনো ডিকশনারী আপনি পেয়েই যাবেন.। :প

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৩

বিজন রয় বলেছেন: দারুন লেখা।
++++

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।ভালো থাকবেন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.