নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি লিখতে।কলম আর খাতা সবচে\' প্রিয় জিনিস।

সজীব সাখাওয়াত

সজীব সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণমাধ্যম আর ক্রিকেট

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

মাত্র উৎপল শুভ্র নামক একজন ক্রীড়া সাংবাদিক(!) এর রিপোর্ট পড়া শেষ করলাম।আগে বেশ আগ্রহ নিয়ে তার রিপোর্ট পড়তাম। ভাবতাম তার জ্ঞান অনেক,সেন্স অনেক ক্রিকেটে।কিন্তু আজকের ইন্টারভিউটা (মাশরাফির) দেখার পর শ্রদ্ধাবোধটুকু চলে গেল।একজন সাংবাদিক কিভাবে এই মানুষটাকে কখন অবসর নিচ্ছে সে প্রশ্ন করে? সে কি ভুলে গেছে আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থানে তার পিছনে মাশরাফির অবদান কতটুকু? জানি না,বুঝি না বাপু।তারা অনেক জ্ঞানী।সুনীল গাভাস্কার(পড়ুন ভারতীয়) বলেছেন মাশরাফি দলে কেন আছে? সুনীল গাভাস্কার আপনি ইন্ডিয়ার সম্মানিত ক্রিকেটার,সারা বিশ্বে না।এই প্রশ্ন করার মেন্টালিটি না থাকলে হয়ত আপনি সারা বিশ্বের লেজেন্ডের কাতারে যেতে পারতেন।আজকে যেহেতু আপনার এই মেন্টালিটি,যখন খেলতেন তখনও হয়ত এমন ছিল।তাই হয়ত বা আপনার পারফরম্যান্সে কম বেশি হত,যার কারণে আপনি লেজেন্ডের কাতারে পড়তে পড়তে পড়েন নাই।গণমাধ্যমের কাছে আমার আর্জি,আপনারা খেলা নিয়ে কিছু লিখবেন বা বলবেন না।আপনাদের এই লিখার অধিকার নিয়ে যথেষ্ট দ্বিমত রয়েছে আমার,বিশেষ করে ক্রিকেট নিয়ে।দল ভালো খেললে মাশরাফি হিরো, আর খারাপ খেললে হেরো,এমন গণমাধ্যম চাই নে আমরা।সমালোচনার একটা সীমা থাকে,যেটা আপনারা অতিক্রম করেন।সমালোচনা ভালো,কিন্তু অতিরিক্ত সমালোচনা মোটেও না।ঐ যে কথা আছে লেবু বেশি কচলাইলে তিতা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমের কথা বাদ দেন,ওরা আজন্ম চুলকানিবহল।তাদের কাছে গরু মরলে ঐটাও নিউজ,তাই ওদের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে কোনো ক্রিকেটারকে অপমান করবেন তা কিন্তু ঠিক না।মাশরাফি পারফর্ম করে এতটুকু এসেছে,এখনো পারফর্ম করছে,তার এবিলিটি নিয়ে সন্দেহ করার মত যোগ্যতা বোধ করি সবার হয় না।কখনো এমন কিছু নিয়ে লিখব চিন্তা করি নি।দেশের মানুষকে মাশরাফি বরাবরের মতই ভালোবাসেন,সেটা সবাই জানি। শুধু এটুকু মনে করিয়ে দিতে চাই,ইচ্ছে করে কেউ খারাপ খেলে না।এটা টিভি সিরিয়াল বা সিনেমা না যে কারো মন যোগানোর জন্য খারাপ খেলবে।তাই আপনারা এসব বন্ধ করুন।ক্রিকেটারদের প্রাপ্য সম্মান দিন,নাহলে অচিরেই কালো শক্তির করা ষড়যন্ত্রে আমাদের দেশ থেকে ক্রিকেট বিলুপ্ত হবে।রবীন্দ্রনাথ আসলেই ঠিক বলেছেন।আমাদের বাঙাল করে রেখেছে ,মানুষ করে নি।মানবিকতা পর্যন্ত চলে যাচ্ছে আমাদের!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: এসব ইন্ডিয়া প্রেমীদের কাজ। কোনো বাংলাদেশী অন্তত মাশরাফির দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না। পাকী রাজাকার দের মতো এসব রেন্ডী রাজাকার দেরও দেশ থেকে বের করে দেয়া ওচিত।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১১

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: সহমত।কিন্তু এখনো যে আমাদের জিতলে বাংলাদেশ বাংলাদেশ,হারলে গালাগালি করার মনোভাবটা যায় নি।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

কঙ্কাল দ্বীপ বলেছেন: উৎপল শুভ্রের বাংলাদেশ বিরোধী লেখার প্রমাণ প্রথম পাই যখন গত এশিয়া কাপের ভারতের কাছে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় ওনার উল্লাসপূর্ব রিপোর্ট ছাপা হয়। বাংলাদেশের সব বাংলা পত্রিকায় যখন মুশফিকের সেঞ্চুরীর পরও বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হাহাকার আর কষ্টের রিপোর্ট ছাপা হচ্ছিলো, তখন শুভ্রের রিপোর্টের হেডিং ছিলো- "মুশফিক ভালো , তবে কোহলী আরও ভালো" সেই সাথে রিপোর্টের পুরো অংশ জুড়ে ছিলো কোহলীর বায়োগ্রাফি, ওর ছোটবেলার কোচ কি বলেছিলো, অমুকে কি বলেছিলো ইত্যাদি। বাংলাদেশের পত্রিকায় বাংলাদেশের ম্যাচ হেরে যাওয়ায় যে ন্যুনতম দুঃখের ছিটেফোটা পাওয়া উচিত সেই ভ্দ্রতায়ও সে যায় নি।
এবারের অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের খবর নিয়ে রিপোর্ট। ১৯ শে মার্চের ঐতিহাসিক চুরি এবং কালো দাগের ম্যাচে যখন বাংলাদেশের আনাচে কানাচে প্রতিবাদ আর অন্যায়ের রিরুদ্ধচারণ করা হয়েছে তার কোনকিছুই এই বাংলাদেশ বিরোধী রিপোর্টারের মনে দাগ কাটেনি। বরং সেই ম্যাচের বাংলাদেশে প্রকাশিত সবগুলো বাংলা খবরের কাগজের মধ্যে একমাত্র ওর ম্যাচ রিপোর্টেই সেই রোহিত শর্মার আউটে রুবেলের বলের অন্যায় নো কলের কথা আসে নাই, মাহমুদুল্লাহর ছয়কে ক্যাচ বানিয়ে দেওয়ার অন্যায়ের কথা আসে নাই, রায়নার এলবিডব্লিও চুরির কথা তো দূরে থাক। গ্যালারীর বাঙালী দর্শকদের প্ল্যাকার্ড, চোখের জল কোন কিছুই এই পাষন্ড বাংলাদেশ বিরোধীর লেখায় আসে নাই, বরং কলকাতার পত্রিকার মতো ঐ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যার্থতার কথা (!) মোটা দাগে দেখিয়ে দিয়েছে (ঠিক একই ভাবে আজকাল মাশরাফির ভুলগুলা দেখায় চলছে!)। শোনা যায়, বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার চুরির ম্যাচে যখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী সাংবাদিকরা টাইগারদের দলের সাথে ছিলো, তখন এই রিপোর্টার ফুরফুরে মেজাজে সেমিফাইনাল কাভার করতে চলে গিয়েছিলো।
ঠিক একই প্রক্রিয়া অনুসরন করে এবারের টি২০ বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করছে। রিপোর্ট লেখার নামে বিভিন্ন ইন্ডিয়ান প্লেয়ারদের জন্মস্থান, অমুক ইন্ডিয়ান খাবার, অমুক ইন্ডিয়ান রেকর্ডধারী খেলোয়াড়, অমুক স্টেডিয়ামের স্মৃতিচারণে সে যতগুলো শব্দ ব্যবহার করেছে, তার দশভাগের একভাগও টাইগারদের খবরে ব্যয় করে নাই। আবার টাইগারদের খবরের মধ্যেও বিভিন্ন জনের সাক্ষাৎকারের নামে বিতর্কিত মন্তব্য বের করে আনবার চেষ্টা করে চলেছে। আইসিসি আর ইন্ডিয়ার যৌথ প্রযোজনার অন্যায় সিদ্ধান্ত- তাসকিন আর সানিকে নিষিদ্ধ করবার ঘটনায় বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব যখন উচ্চকিত, তখন এই উৎপল শুভ্রের লেখায় সেটা কমগুরুত্বের " তাসকিন-সানি বিতর্ক " হিসেবেই থমকে থাকে। তাসকিন নিষিদ্ধ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে যখন মাশরাফির অশ্রু ঝরে, যে চোখের জলে বাংলাদেশ তো বটেই কলকাতার সিনিয়র বাঙালী সাংবাদিকেরও চোখের জল আসে, সেই মাশরাফির অন্যায় বিরোধী চোখ হয় উৎপল শুভ্রের পরবর্তী টার্গেট। মাশরাফির বাধভাঙা কান্নাকে শুধুমাত্র এই একটি পত্রিকার রিপোর্টেই খুব বাজেভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শুধুমাত্র পত্রিকা পড়বার অভিজ্ঞতা থেকেই সেদিন বুঝেছিলাম, এইবার মাশরাফিকে টার্গেট করা হবে। বাস্তবে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের পর হলোও তাই। যে দলটার মনোবল ভেঙেচুড়ে দেবার জন্য আইসিসি-ইন্ডিয়া তাসকিন সানির নিষিদ্ধের নাটক করলো, সেই বিদ্ধস্ত অবস্থা থেকে যে দলটি লড়াই করতে পারবে, তা মনে হয়, আইসিসি, ইন্ডিয়া, উৎপল শুভ্র কেউই ভাবতে পারে নাই। আর সবাই জানে, এই লড়াই করতে পারলো, তার জন্যে একমাত্র কৃতিত্ব অধিনায়ক মাশরাফি। এইবার ষড়যন্ত্রের নতুন মোড়ক খোলা হলো, মঞ্চে আসলো বিশেষজ্ঞরা, অযাচিত ভাবে মাশরাফিকে শতভাগ দায়ী করে ভিলেন বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হলো, আর তাতে ঘি ঢাললো কে? সেই উৎপল শুভ্র। যেই লোকের বেতন হয় বাংলাদেশের মানুষের গাটের পয়সা থেকে কেনা পত্রিকায়, সেই লোক এই দেশের ক্রিকেটকে শেষ করে দেয়ায় মহাউৎসাহে ঝাপিয়ে পড়লো। এই এশিয়া কাপে "সাকিবের ক্যাচে ম্যাচ হারলো বাংলাদেশ" শীর্ষক অপমানজনক রিপোর্টর পর আনিসুল হক এই রিপোর্টারটির সম্বন্ধে একটি কমেন্ট করেছিলেন ফেসবুকে (সম্ভবত তার করা সবচেয়ে কুৎসিত মন্তব্য- যা করতে বাধ্য হয়েছিলেন)। খেলার রিপোর্টেও যে দেশপ্রেম থাকে তা দেখিয়েছেন রাজীব হাসান, পবিত্র কুন্ডু, দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো সাংবাদিকরা। আর দালালী দেখিয়েছে উৎপল শুভ্রের মতো ....... দিকে তাকিয়ে খেলার রিপোর্ট করা সাংবাদিকরা। তাইতো দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের বই ছাপান মাশরাফি কে নিয়ে আর উৎপল শুভ্র বই ছাপায় ইন্ডিয়ার প্লেয়ারদের নিয়ে।

খেলার রিপোর্টে নিরপেক্ষতা রাখতে পারাটাও প্রশংসার কাজ, কিন্তু শুভ্রের মতো রিপোর্টার দের নিরপেক্ষতার নামে দেশবিরোধী রিপোর্টেরও জবাব দিহিতা থাকা উচিত নয় কি?

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: অসাধারণ লিখলেন ভাই।।আসলেই এমন সাংবাদিকদের আমাদের দরকার নেই। দেবু দা,রাজীব দা ,পবিত্র এরাই যথেষ্ট।।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

আশরাফ আহমেদ বলেছেন: খেলার রিপোর্টে নিরপেক্ষতা রাখতে পারাটাও প্রশংসার কাজ, কিন্তু শুভ্রের মতো রিপোর্টার দের নিরপেক্ষতার নামে দেশবিরোধী রিপোর্টেরও জবাব দিহিতা থাকা উচিত নয় কি?

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: ভাই,আমাদের অন্য সাংবাদিকদের কথাই চিন্তা করুন না।উপরের কমেন্টেই কঙ্কাল দ্বীপ বললেন দেবু দা,রাজীব দা,পবিত্রর কথা। তারা নিরপেক্ষভাবে যেমন লিখেছে তেমনি মাশরাফি,সাকিবদের যথেষ্ট সম্মানও দিয়েছেন।দেবু দা তো ডিরেক্ট বললেন তাসকিনকে ফেরত না আনতে পারলে বাঙালিদের(দর্শকদের) বিশ্বকাপ বর্জন করতে।তাহলে টনক নড়বে আইসিসির।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.