নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি লিখতে।কলম আর খাতা সবচে\' প্রিয় জিনিস।

সজীব সাখাওয়াত

সজীব সাখাওয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ-অপ্রসঙ্গ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৯

মাথার উপর ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার ছাপ নিয়ে আমরা কেউই জন্মায় না।তবে সময়ের দাবিতে একটা না একটা ছাপ লেগেই যায় আমাদের উপর।আরেকটু স্পেসিফিক করে বললে, আমাদের তখন ঐ "ছাপ" বজায় রাখার জন্যই পড়াশুনা করতে হয়।আমার আজকের টপিক বিশ্ববিদ্যালয়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে বাংলাদেশে সর্বসাকুলে তিরিশখানার মত।যেখানে যদি সবকিছু মিলিয়েও দেখা হয় তবে বড়জোর লাখখানেক সিট হবে।আর এইচ এস সি পরিক্ষার্থী ছিল এবারে ১২ লাখ মতন।প্রতিবছরই এমন হয়ে আসছে। আসলে এই বেপারটায় স্পেসিফিকলি কাউকে দোষও দেয়া যায় না।এটা আমার লিখার বিষয়বস্তুও না।কিছু ট্রেন্ড নিয়ে লিখব।বাঙালি আসলেই একটু অনুকরণ প্রিয়।আপনার প্রতিবেশি ৫ তলায় উঠল বলে আপনি বাধ্য ৫ তলায় উঠতে।এর কম না।কেউ আপনার পরিবারকে বোঝাতে পারবে না যে ২. ৩. ৪ এই তলাগুলো পার করে ৫ তলাতে যেতে হয়।আর আপনার নিজের ক্যাপাবিলিটিরর একটা বেপার ও আছে এখানে।ধরুন আপনি সর্বোচ্চ ৪ তলা উঠতে পারবেন,সেখানে পরিবারের চাপটা কি পর্যায়ে যাবে একবার চিন্তা করুন।বারো বছর প্রেশারকুকার এ ই ছিলেন।এরপরের কুকারটা প্রেশারকুকার এর থেকেও ডেঞ্জারাস। যাক গে সে কথা।ভালো স্টুডেন্ট হলে তো কথাই নেই।গতবছরের ১৫ টাকার ডাক্তারদের কথা আশা করি কেউ ভুলে নাই।এই বছর খেলাটা অন্যভাবে হলো। ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে।এরপরে আরো কত খেলা যে হবে কেবল তিনিই জানেন।আপনারা হয়ত জানেন এখানে মানুষ কেবল বারো ক্লাশ পর্যন্ত স্বপ্ন দেখতে পারে।সাহিত্যিক হতে চায় কেউ,কেউ কার্টুনিস্ট, কেউ মিউজিসিয়ান। বারো ক্লাস পর্যন্তই সব।এরপর আপনার আর আপনার স্বপ্নের মাঝখানে "স্ট্যাটাস " কিংবা বলব "ফ্যামিলি স্ট্যাটাস " জিনিসটা চলে আসে।বাবা মা বলবে,"সাহিত্যিক হবি? লোকে কি বলবে?" এই লোক,লোকের কথাই আর কত চলবে বাঙালি।ওর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, ফাইন।দ্যাটস হিজ প্রব্লেম,নট মাইন।আমি ত কার্টুনিস্ট হইতে চাই।কে জানে ঐ ছেলে রাতের বেলা ক্যাম্পাসে সিগারেট ধরিয়ে নিজের গালে থাপ্পড় মেরে বলে,"শালা কেন যে নিজের স্বপ্নটা পূরণ করলাম না". আর আমরাই বা কেমন।আমরা ভাবি কিনা,এতদিন অমুক ভালো স্কুলে পড়লাম,অমুক সেরা কলেজে পড়লাম,এরপর যদি বুয়েট, ডিএমসি না হয় সেটা আমাকে মানাবে? আর কত নিজের সাথে লুকাচুপি? অনেক ত লুকাইসো নিজেদের।ইউনিভার্সিটি ডাজেন্ট মেইক এ সাক্সেসফুল ম্যান,ইটস দা স্পিরিট ইন হিম হুইচ মেইকস হিম গ্রেটার।আমি নিজেও এবার পরীক্ষা দিব।জীবন আমার থেকেও অনেক কিছু কেড়ে নিতে চাইবে।কিন্তু আমি জানি আমাকে দমাতে পারবে না।আমি চাই আমার চারিপাশটাও এমন হোক।আমাদের শিখতে হবে বারো ক্লাস পর্যন্ত দেখা স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করা।আমরা যদি সত্যিই ভিতর থেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই,আমরা তা হব।প্রকৃতি কখনোই সত্যিকারের প্যাশনেটদের নিরাশ করে না।আমাদের কনফিডেন্স থাকতে হবে, যা করব নিজের মত করে করব,সর্বস্ব উজার করে করব।শুধু একটা কথাই মনে রাখতে হবে যা তোমাকে গুনে না,তাকে তুমিও গুনিও না।হোক সেটা বুয়েট,মেডিক্যাল।যদি তুমি বিজ্ঞানী হতে চাও, ওভাবে প্রিপেয়ার্ড হও।এটাও জেনে রাখো, নাসাতে বুয়েট থেকে মাত্র তিনজন গেছে,শাহাজালাল ভার্সিটি থেকে তেরোজন।গুগলে বুয়েটের চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর এর স্টুডেন্ট বেশি
মাইক্রাসফটেও একই।প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট না।তোমার প্যাশন আর ডেডিকেশন ফ্যাক্ট।সব কথার এক কথা, যা ভালো লাগে করো।আমরা বাঁচব স্বপ্ন নিয়ে,হতাশা নিয়ে না।ডাক্তার -ইঞ্জিনিয়ার -বিজ্ঞানী-সাহিত্যিক-কার্টুনিস্ট-মিউজিসিয়ান যা ইচ্ছে হয় তা হও।ইচ্ছের বাইরে গেলে সাফল্যও ধরা দেয় না।সবাই আমেরিকাকে ল্যান্ড অব অপর্চুনিটি বলে।আমি বাংলাদেশকে বললাম।অনেক কিছুই করার আছে দেশটাকে নিয়ে।পৃথিবীর কোনো দেশে ১২ টাকা মাসিক বেতন দিয়ে স্কুলে পড়া যায় না,ফ্রীতে ভার্সিটিতে পড়া যায় না।দেশটা অতটাও খারাপ না যতটা আমরা ভাবি।তোমাকে তোমার চেয়ে ভালো কেউ চেনে না।তুমিই জানো তুমি কি পারো কি পারো না।নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মাসিক দুই লাখ বেতন আর গাড়িবাড়ি লাগে না।তোমার কাজই যথেষ্ট। সো গো ফর ইউর ড্রীম।

(এই লিখাটা লিখলাম, হয়ত আমার জুনিয়র অনেকেই পরবর্তীতে ডাক্তার -ইঞ্জিনিয়ারিং এর গোলক ধাঁধায় পড়ে যাবে। তাদের জন্য)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



তেমন কিছু না, আগ্রহ নিয়ে পড়ার শুরু করেছিলাম; শেষে দেখলাম কিছু নেই

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২২

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: দুঃখিত ভাই এজন্য :-D সবাই ভালো লিখলে কেমনে।প্রকৃতিতে ব্যালেন্স থাকবে না তো

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"তবে সময়ের দাবিতে একটা না একটা ছাপ লেগেই যায় আমাদের উপর। "

-তা'হলে, "আমাদের" উপর একটা ছাপ লেগেই যায়? থাকেন কোথায়, সুইজারল্যান্ডে, নাকি চাঁদে?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: আশা করি মধ্যবিত্ত ঘরের কোনো বাবা তার সন্তানের উপর "সাহিত্যিক ছাপ লাগাতে চাইবে না।ভাইজান, থাকি বাংলাদেশেই।তবে ছাপ খাওয়া পাব্লিক না, এই যা :-P

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০১

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: সময়ের বাস্তবতায় অনেক সময় আবেগকে এড়িয়ে যেতে হয়। টিকে থাজার জন্য নিজের ইচ্ছেকে বিসর্জন দিতে হয়। ভেবে নিতে হয় সেই পথ যা জীবন যাত্রায় সহায়ক। তাই পিতামাতা ভাবতেই পারেন আমার সন্তান ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: নিজের ইচ্ছেকে বলি দেয়াটা পরবর্তী জীবনে কতটা সুখকর হতে পারে সেটা একটা প্রশ্ন।সময়ের বাস্তবতাটা আমরাই তৈরী করেছি,সেটা আমাদেরই ভাঙতে হবে

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সবাই চায় ফলাফল। কী জানতে পারছে বা বাচ্চাটার নিজের কী হওয়ার ইচ্ছা সেটা ভাবার সময়ও নেই।

ফলাফলটাই আসল এখনকার যুগে। তাই তো এমন জোর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আর, সাহিত্যিক হতে চাওয়ার ব্যাপারটা নিজস্ব। সৃষ্টিশীল সবগুলো কাজে জড়ানোর ইচ্ছাটা নিজের উপর। এইসব ক্ষেত্রে নিজেদেরকে গড় তোলার দায়িত্ব নিজেদের। হ্যাঁ - শুরুর দিকে এগুলোর জন্য কটু কথা শুনতে হতে পারে - অনুপ্রেরণার উৎস না থাকতে পারে - কিন্তু নিজের ইচ্ছাপূরণ করতে হলে সব বাঁধা ডিঙিয়েই করতে হবে। যদি এটুকু না পারে কেউ - তাহলে তো যত বড় ক্ষেত্রেই যাক - ফলাফল তো আর আসবে না।

এখনকার অভিভাবকদের কিছু অংশ শুধু ফলাফল চায়। এটাই সংক্রামক হিসেবে ছড়াচ্ছে।
এটা দূর করার জন্য তো কাউকে না কাউকে এগুতে হবেই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

সজীব সাখাওয়াত বলেছেন: টু দা পয়েন্ট বললেন।ভালো লাগল।আসলে আমি একটা জিনিস বুঝি না, মন থেকে না করলে একটা কাজের ভালো ফলাফল আদৌ কি আসতে পারে? আসলে সাহিত্যিক ত একটা উদাহরণ মাত্র।বিজ্ঞানের কথাই চিন্তা করুন না।আমাদের অবস্থা এমন যে বিজ্ঞান পড়লেই একটা স্টুডেন্ট কে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে।এমনো কিছু মানুষ আছেন যারা প্রতিষ্ঠানকে ব্র‍্যান্ড মনে করেন।যার কারণে একটা ছেলে চাইলেই বিজ্ঞান থেকে পড়ে পদার্থবিজ্ঞানী কিম্বা কেমিস্ট হতে পারছে না।তার উপর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এর ফাড়া লেগেই আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.