![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকদিন পর মুখ খুললাম সমালোচকদের উদেশ্যে-
দেশে কমার্সের(আমি যেহেতু কমার্সের সেহেতু কমার্স নিয়েই বলছি) ৫০০০০/৬০০০০ স্টুডেণ্টদের মধ্যে (পরিক্ষা দিয়েছে ৫০/৬০ হাজার) চান্স পাওয়ার মতো মেধাবি(অন্তত) ৫০০০/৬০০০ আছে।বাকিদের কথা নাহয় বাদ দিলাম(মানে আরো এ+ পাওয়া স্টুডেণ্ট)। আর এ+ পেলেই যে মেধাবী এই ধারণা টোটালি ভুল...
দেশে পাবলিক ভার্সিটিতে বিবিএ সিট আছে মাত্র ৩৫০০+!
তো?
যে চান্স পাচ্ছেনা সে মেধাবী না?
আমরা ১২ ক্লাস পরে এসে এই ভার্সিটি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করি।
আমরা ৯৯ পেলেও এ+ এর স্টুডেণ্ট বলতাম আবার ৮০ মার্কস পেলেও এ+ পাওয়া স্টুডেণ্ট বলতাম।
যারা ক্লাস পরিক্ষায় ৯৯ পেত তারা ভার্সিটিতে চান্স না পেলেই বাজে স্টুডেণ্ট!?
অদ্ভূত!
৫০/৬০ হাজারের মধ্যে চান্স পাবে ৩৫০০।
মেধা তো আছেই,
ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া অনেকটা লাকের ব্যাপার।
চান্স পায়নি বলে কাউকে ব্যর্থ বলা যায়না।
অবশ্যই না।
আমি ভাগ্যবান যে সেই ৩৫০০ এর কাতারে পড়েছি।
এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে খারাপ দিক এ+ এর বাম্পার ফলন আর দ্বিতীয় খারাপ দিক সেই রেজাল্ট অনুযায়ী পাবলিক ভার্সিটি,মেডিকেলে সিট না বাড়ানো!
সমালোচক রা কথা বলবেই।
কানের কাছে এদের গটরমটর শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যাবে!
এই সমালোচকদের অনেক কথাই আড়ালে-আবডালে কানে এসেছে।
ঢাকা ভার্সিটি আর জগন্নাথে না হওয়ায় মানসিক চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।তারপর জাহাঙ্গিরনগর এ না হওয়ায় ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো।শেষ পর্যন্ত ভেবে বের করলাম কোন ভার্সিটিতে আমার সম্ভাবনা বেশি।
রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।কারণ বাকি এই দুইটাতে আমাদের রেগুলার পড়ার প্রশ্ন থাকে।
অন্যগুলা(সাস্ট,জাবি)র মতো এক্সট্রা ভেজাল নাই।
সময় ২ মাস।সো এক্সট্রা পড়ার টাইম ছিলো কম।
এক ইংলিশ কেই সময় দিতে হতো সারাদিন,বাংলা,হিসাববিজ্ঞান,ম্যানেজম্যাণ্ট তো ছিলোই .....ভার্সিটিতে চান্স অনেকটা টেকনিকের উপরেও নির্ভর করে।
রাজশাহীতে ভালো সিরিয়াল আসার পর আত্মবিশ্বাস এর জন্যই হয়তো চট্টগ্রামে হয়ে গেছে।তারপর আবার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আমি ভাগ্যবান প্রথমবারই আমার কোনো ভার্সিটিতে চান্স হয়ে গেছে!
আমাদের সমাজের মানুষের মন মানসিকতা খুব নোংরা।
এরা আপনার কঠিন সময়েও আপনাকে সাপোর্ট না করে আপনাকে হেলা করবে।
এমনভাবে করবে যে আপনার বাঁচার ন্যূনতম আশাটাও বিবর্ণ হয়ে যাবে।
আমার আম্মুর কানে অনেক কথা এসেছে চান্স না হওয়ায়!
আম্মু আমাকে এসব না বললেও বুঝতে পারতাম।
যাক,প্রথমেই ঢাবি,জবি,জাবি,রাবিতে চান্স না পেয়ে কিছু মানুষ চেনা হয়ে গেলো।
চেনা হয়ে গেলো পেছন থেকে কথা বলা সমালোচকদের
চিনে রাখলাম।
মনে থাকবে আপনাদের বলা কথা,ফিসফিসানি .......
এদের একটু হয়তো বুঝাতে পেরেছি।
আমি অনেক বন্ধুদের দেখেছি রাতদিন পড়তে।তারপরেও এদের চান্স হচ্ছেনা।
তো?
দেশের চুষীল(!) সমাজের চোখে এরা কিন্তু খুব খারাপ স্টুডেণ্ট!
এরা সারাদিন-রাত পড়লে কি হবে?এরা তো চান্স পায়নি কোথাও!তাই এরা ভালো স্টুডেণ্ট নয়।
ধিক্কার এইসব সুশীলদের।
যারা কষ্ট করার পরও চান্স হচ্ছেনা তারা শুধু পেছনে কথা বলা সমালোচদের চিনে রাখ।
সময় আসবে তোরও..........
০চান্স পাওয়ার আগে যারা আড়চোখে তাকাতো তারা এখন মাথা হাতাইয়া দেয়!
এটা ঠিক চান্স পাইতে অনেক পরিশ্রম করতে হইছে।
তো?
আরো তো অনেক স্টুডেন্ট রয়ে গেছে যারা জান দিয়ে দিচ্ছে চান্স পাওয়ার আশায়।
কিন্তু কোনো কারণে হচ্ছেনা!
যদি হয়ে যায় তাহলে সে ভালো,মেধাবী!
আর না হলে সে ডাস্টবিন!?
কেমন নিয়ম রে ভাই আমাদের সমাজের?
আরেকটা সমস্যা হচ্ছে আমার না হয়ে বন্ধুর চান্স পেয়ে যাওয়া!
সমাজের মানুষগুলা এভাবেই কথা শুনাবে।
ডোণ্ট ওরি।
এখন ন্যাশনাল ভার্সিটিতেও বিবিএ আছে।অনেক পাবলিক ভার্সিটি আছে যেগুলা থেকে ন্যাশনাল ভার্সিটি অনেক ভালো......
আর আমি এখন যে পজিশনে আছি ১০ বছর পর দেখা যাবে আমার চান্স না পাওয়া বন্ধুরা আমার উপরে আছে।
আন্ধা সমালোচকদের চোখে চান্স পাওয়ার আগে পর্যন্ত আমার পজিশন ছিলো বাজে স্টুডেণ্টদের কাতারে!
আর চান্স হয়ে যাওয়ায় মেধাবী!
ওয়াও!
আসলেই সমালোচকরা হাততালি পাওয়ার দাবিদার!
সমালোচকদের কথা মাথায় ঢুকাতে হয়,মনে না।
মনে ঢুকালে কষ্ট পাবি,আর মাথায় ঢুকালে মোটিভেশন (motivation) পাবি।
চান্স না পেলেও দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।কারণ তুমি জানো তোমার কাছে কি আছে।যা আছে তা একসময় অবশ্যই কাজে লাগবে।
আমিও এটাই ভাবতাম।
''Keep calm and let me run according to my way, you don't
have to think about me. Just oil your own machine now.
I know well about my potential and i'll show my
excellence at the ultimate time.''
বন্ধুরা,
...দেখা হবে বিজয়ে।
গুটিয়ে নয়, চুটিয়ে বাঁচো......
©somewhere in net ltd.