![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন পরে পোলাপান ঘরে বসেই পরিক্ষা দিতে পারবে।বই দেখে দেখেই!
নতুন এই অসাধারণ সিস্টেমের চিন্তা নাহিদ কাক্কুর মাথায় আসতে পারে বলে জানা গেছে।এখনো আসেনি!
আসেনি কারণ আমি ফিউচারের কথা বলছি!
বাসায় বসেই এখন প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে।
টাকা ছাড়াই।
তাই এই সিস্টেম অসম্ভব কিছুনা।
শিক্ষা বিভাগের যেহেতু শুধু এ+ দরকার তাই এই সিস্টেম বের করতে পারে!
এ+ বাড়াতে আরো কিছু অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।যা আমার গোবর ভরা মাথা থেকে এসেছে-
১।শিক্ষার্থীদের ক্লাসে সাবজেক্টভিত্তিক পড়ালেখা বাদ দিয়ে কিভাবে,কোথায় প্রশ্ন পাওয়া যাবে সেটা শেখানো যায়।
২।পরিক্ষা শিক্ষার্থীরা তাদের বাসায় বসে দিতে পারবে।
৩।পরিক্ষার হলে মোবাইল আনতে হবে এবং প্রশ্নের উত্তর লিখে আনতে হবে মোবাইলে।যে এই আইন অমান্য করবে তার ১৯৯ বছরের জেল হবে(অবাক হওয়ার কিছু নেই।যে দেশে ৯০ বছরের বুড়োকে হাস্যকরভাবে বিচারের নামে ৯০ বছরের জেল দেওয়া যায় সে দেশে এটাও একটা বিচার)
৪।প্রয়োজনে শিক্ষকরা খাতায় লিখে দিতে পারেন।সেটাও সম্ভব না হলে নো ফ্রুবলেম!নাহিদ আংকেল তো আছেন!উনি নিজেই লিখে দিবেন এসে।
৫।এসবেও এ+ না বাড়লে কি আর করার।কঠোর নিয়ম দেওয়া যায় যে ক্যান্ডিডেটরা সবাই সাদা খাতা জমা দিয়ে আসবে হলে।আর জমা দেওয়ার আগে সবাই যার যার খাতায় যত ইচ্ছা তত মার্কস বসিয়ে আসতে হবে!
যাই বললাম সিরিয়াসলি নেওয়ার ব্যাপারটা আপনার।
শিক্ষাবিভাগের লোকদের বলি-অঝথা কষ্ট করে প্রশ্ন আউট না করে উপর্যুক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করুন।কাজে দিবে।
অবাক হতে হয়!
কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের পাবলিক পরিক্ষার মতো মহাযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে হচ্ছে!
এরা এর গুরুত্ত্বই বা কতটুকু বুঝতে পারছে?
PSC ক্যান্ডিডেটদের কথা বলছি.........
আরো অবাক হওয়া কথা এরা পরিক্ষায় আগের রাতেই রেডিমেট প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছে!
হ্যা রেডিমেডই তো!
শুধু 'সাইকেল' এর যায়গায় হয়তো 'মাইকেল' লেখা!
এইটাই পার্থক্য।
আমাদের সময়ও সেম অবস্থা হয়েছিলো।
পরিবর্তন আসেনি।
কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
এই বাচ্চাগুলা বড় হচ্ছে নিশ্চিন্তে!
পড়ালেখার কি দরকার?
প্রশ্ন পরিক্ষার আগের রাতেই পেয়ে গেলে পড়ে কি লাভ?
অন্ধকার যুগের দিকে যাচ্ছি মনে হচ্ছে।
এমন চলতে থাকলে ৫০/৬০ বছর পর দেখা যাবে আমরা ঐ নেংটি পড়া আদিম জংলী হয়ে গেছি!
এ দেশে যে কোনো সময় পরিক্ষা নামক কিছু হতো সেটা হয়তো নাতি-পুতিদের কাছে গল্পের বিষয়বস্তু হয়ে উঠবে!
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন-
"ফেসবুকে প্রশ্ন ফাসের বিষয়টি গুজব ছাড়া কিছুই নয়।প্রয়োজনে পরিক্ষার সময় ফেসবুক বন্ধ রাখা হবে"
ব্যর্থতা কার?
আপনাদের।
আর বন্ধ রাখা হবে ফেসবুক।
ফেসবুক বন্ধ থাকলে কি হবে প্রশ্ন ফাসকারীরা তো জেগে থাকবে!
কি মনে হয় আপনার?
আমরাই মনে হয় একমাত্র জাতি যাদের শিক্ষাব্যবস্থা এতোটা দূর্বল!
আসলে প্রশ্ন দেখে যারা পরিক্ষা দেয় তাদের দোষ দিয়ে কি লাভ?
ভালো শিক্ষার্থীরা যখন দেখবে দূর্বলরা প্রশ্ন পেয়ে তাদের চেয়ে বেশি মার্কস পেয়ে যাচ্ছে কিন্তু প্রশ্ন আউট ঠেকানো যাচ্ছেনা কোনো ভাবেই তখন তারও প্রশ্নের খোজে নামবে!পাবলিক পরিক্ষা বলে কথা!
এভাবে ফেসবুকে/ব্লগে লেখালেখি করে কোনো ফায়দা হবেনা।
মিডিয়া যেখানে কিছু করতে পারছেনা সেখানে আমরা ব্লগাররা কি করবো?
শুধু দোয়া করি যেন শিক্ষামন্ত্রীর চোখ খোলে।
উনার দেখা দরকার।
উনি ঘুমিয়ে আছেন।
আমরা এসব দেখতে দেখতে বিরক্ত।
শিক্ষাবিভাগের লোকরা জড়িত এসবের সাথে।
আপনাদের ভয় দেখানোয় কোনো কাজ হচ্ছেনা।
এখন ফেসবুকে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন প্রকাশ করা হয়।
বুঝতেই পারছেন দালালরা আপনাদের বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে।
সো প্লিজ.........
নিজেদের ব্যর্থতাটাও দেখবেন......
বি. দ্র.
বানানগত ভুলের জন্য দুঃখিত.....
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
তিক্তভাষী বলেছেন: পাবলিক পরীক্ষার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ফেসবুক বন্ধ রাখা যায় কিনা, এ বিষয়ে ভাবছে সরকার। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
নাহিদ সাহেব তো জুতা আবিস্কার কবিতাটি পড়েছেন বলে মনে হয় না। তিনি শিক্ষামন্ত্রী হলেন কিভাবে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
প্রসন্নআমি বলেছেন: আমিও অবাক হই যখন দেখি যে শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে গিয়ে লিখে দেন