নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাকিব নূর আশরাফ

লেখালেখি করি না । শুধু মন মেজাজ খারাপ থাকলেই কীবোর্ডের উপর ঝাড়ি

সাকিব নূর আশরাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্লাসমেটের সাথে প্রেম !! বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা (সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত)পর্ব-২

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৭

যারা প্রথম পর্ব মিস করেছেন তাদের জন্য ক্লাসমেটের সাথে প্রেম !! বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা (সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত)পর্ব-১









এবার আসি আসল প্রসঙ্গে । আপনাদের মধ্যে যারা ক্লাসমেটের সাথে প্রেম করেন শুরুতেই তাদের উদ্দেশ্যে HATS OFF . কারন এর জন্য প্রচুর ধৈর্য্য আর সাহসিকতার প্রয়োজন । আমাদের বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজের মানুষেরা শুরুতে কখনই প্রেম মেনে নেয় না । আর তার উপর যদি হয় ক্লাসমেট... তাহলেই সেরেছে !!! আত্মীয়-স্বজন সবাই রীতিমত আক্কেল দাঁত তোলার মত এই প্রেম ছুটানোর জন্য লেগে পড়েন । তাই ক্লাসমেট-প্রেমীদের সাধারন প্রেমীদের তুলনায় অনেক বেশি কাঠ-খড় পোড়াতে হয় । এছাড়া নিজেদের মধ্যে জটিলতাগুলো তো রয়েছেই । ক্লাসমেটের সাথে প্রেমের অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে কয়েকটি নীচে দেয়া হল ।

১. একটি সার্বজনীন ধারনা হচ্ছে, ক্লাসমেট বা সমবয়সীদের মধ্যে understanding বা বোঝাপড়ায় সমস্যা হয় ।

২. সমবয়সীদের মধ্যে domination জিনিসটা অনেক বেশী কাজ করে । ছেলে মেয়ে উভয়ই চায় একে অপরকে dominate করতে । একে অপরের উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে ।

৩. বাবা-মা চায় তার ছেলে পাশ করে বের হয়ে, চাকরি পাওয়ার ২-৩ বছর পর established হয়ে তারপর বিয়ে করবে । পক্ষান্তরে, মেয়ের বাবা- মা তাদের মেয়ে অনার্সে বা ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার জন্য ভাল চাকুরিজীবি পাত্র খোজা শুরু করে । তাই, ক্লাসমেটের সাথে প্রেমের কথা শোনার পর মেয়ের বাবা-মা প্রথমেই নাকচ করে দেয় । তাদের যুক্তি ছেলে কিছু করে না, মেয়েকে খাওয়াবে কি? (আরে বাবা , মেয়েরে যদি জামাইয়ের পয়সাতেই খাওয়ানোর প্ল্যান থাকে তাহলে এত টাকা খরচ করে মেয়েকে পড়ালেখা করানোর দরকার কি ছিল ? এমন হলে কি সমস্যা যে তারা একসাথে চাকরি খুজবে, পাবে, এবং দু’জনের টাকায় সংসার চালাবে )।

৪. “ইনভার্স হৈমন্তী সিচুয়েশন”... প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় । অর্থাৎ “বরের বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু কনের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না” টাইপের অবস্থা বিরাজ করে । বেশী দেরি করলে ভাল পাত্রটি হাতছাড়া হয়ে যাবে, বা পরে ভাল পাত্র পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন বেশীরভাগ বাবা-মা । ফলে পাশ করার সাথে সাথেই মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রেসার দেয়া শুরু করেন । আর মেয়ে চাকরি করার জন্য প্রেসার দেয় ছেলেকে । এর ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়ে ও ছেলের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়া শুরু করে । ঝগড়া লাগে একটু পরপরই ।

৫. পাশ করার পরপরই যেখানে প্রধান লক্ষ্য হওয়া দরকার ক্যারিয়ার, সেখানে তারা বিয়ের জন্য পাগল হয়ে যায় ।

৬. অনেক বাবা-মার BNCC এর প্রতি বিশেষ বিদ্বেষ আছে । বরিশাল, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চাঁদপুর এই চার জায়গার পাত্র-পাত্রী হলেই এক বাক্যে না বলে দেন ।

...... খুজলে এরকম হাজারো সমস্যা বের করা যাবে । বলে শেষ করা যাবে না । তাই এবার সমস্যা সমাধানের দিকে যাই । সমাধানগুলো পুরোপুরি আমার মতামত । কারো দ্বিমত থাকলে জানানোর অনুরোধ করছি ।

সমাধানঃ

১. আমার মতে understanding জিনিসটা বয়সের গ্যাপের উপর নির্ভর করে ঠিক, কিন্তু তার চেয়ে বেশি নির্ভর করে ছেলে ও মেয়ের উপর । পুরো ভার্সিটি লাইফ, মানে ৪-৫ বছর প্রেম করে কাটানোর জন্য তাদের মধ্যে যথেষ্ট understanding থাকা প্রয়োজন । আর ক্লাসমেট হলে সেই understanding এর মাত্রা আরও বেড়ে যায় । কারন সেক্ষেত্রে প্রতিটি পদেই একসাথে decision নেয়া লাগে । আরেকটা কারন হল ক্লাসের মধ্যে কোন couple থাকলে অন্যান্য ক্লাসমেটরা প্রায়ই একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায় (কারন জানিনা, তবে কাথা সত্য)। তাই দরকার হল নিজেদের মধ্যে understanding টা বজিয়ে রাখা এবং নিজেদের পরিবারকে তা বোঝানো ।

২. ধরেন একটি মেয়ের তার চেয়ে ৪ বছরের বড় এক ছেলের সাথে বিয়ে হল । বিয়ের পর একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে বলল সকালে নাস্তায় রুটির সাথে আলু ভাজি খাবে না, ডিম ভাজি খাবে । মেয়েটি সেটাই বানালো । এটাকে কি বলবেন ? Domination ? আবার দুপুরে মেয়েটি ভাতের সাথে নিজের পছন্দমত তরকারি রাঁধল । ছেলেটির তরকারি পছন্দ না হলেও চুপচাপ কেয়ে নিল ? এটাকে কি বলবেন ? Domination ? আসলে Domination সবক্ষেত্রেই থাকবে । কখনও ছেলেকে ছাড় দিতে হবে, কখনও মেয়েকে । এর নামই তো সংসার । একজন আরেকজনের উপর নিজের decision চাপিয়ে না দিয়ে প্রয়োজন সঙ্গীর মতামতের ব্যপারে শ্রদ্ধাশীল হওয়া । সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দ বোঝার চেষ্টা করা । কারন কিছু ব্যপার থাকে যা সবসময় বুঝিয়ে বলা যায় না, বা বারবার বুঝিয়ে বলতেও ইচ্ছা করে না ।

৩. বাংলাদেশে অধিকাংশ পরিবারে সন্তানের সাথে বাবা-মার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই । যার ফলে বাবা-মার সাথে তারা কিছুই শেয়ার করে না । ফলে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে । পরে যখন ক্লাসমেটের সাথে প্রেমের কথা জানতে পারে তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের সন্তানের এই decision এর উপর ভরসা পান না । কারন তারা জানেন না যে তাদের ছেলে বা মেয়ে নিজের ভাল নিজেই বুঝে decision নিতে শিখেছে ।জানবেই বা কিভাবে ? বাবা-মাকে তারা কখনই কিছু বলে না যে । তাই বাবা মার উচিৎ ছেলে-মেয়ের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা । আর ছেলে মেয়েদের উচিৎ একেবারে মরার আগে ওষুধ না খেয়ে আগে থেকে তার পছন্দের কথা বাবা-মাকে জানানো । যাতে তারা আগে থেকে তাদের পছন্দ যাচাই করে দেখতে পারে ।

৪. ধৈর্য্য যেকোন সম্পর্কের একটা খুটি হিসেবে কাজ করে । আর এ ধৈর্য্য যেমন প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন বাবা-মায়েরও । আমি বলছি না যে ছেলে- মেয়ে যার সাথেই প্রেম করুকনা কেন, চোখ বন্ধ করে তার সাথেই বিয়ে দিতে হবে । ছেলে মেয়েরা যাতে নির্ভূলভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে সেই শিক্ষা তাদেরকে ছোটবেলা থেকেই দিতে হবে । বলাই বাহুল্য, এই দ্বায়িত্ব বাবা-মার । আর যদি তারা নিজের জন্য পাত্র/পাত্রী নিজেই পছন্দ করে সেক্ষেত্রে না জেনেই একবারে “না” বলা থেকে বিরত থাকতে হবে । দেখে শুনে খোঁজ-খবর নিয়ে যদি মনে হয় সেই ছেলে/মেয়ে বা তাদের পরিবার তাদের সন্তানের জন্য একেবারেই অযোগ্য, সেক্ষেত্রে তাদেরকে শান্তভাবে বুঝাতে হবে । তা নাহলে তারা ভেগে যেতে পারে, এমনকি আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে পারে । তখন তো সবই শেষ ।আর প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য আমার পরামর্শ, নিজের commonsense বাড়াতে (প্রেম করার সময় এই জিনিসটা ভয়াবহ রকম লোপ পায়)। বিয়ে শুধু ২টি মানুষের নয় ২টি পরিবারের ব্যপার । তাই চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে । বাবা-মায়ের উচিৎ নিজের সন্তানের সুখকে প্রাধান্য দেয়া, আর সন্তানের উচিৎ নিজের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের শান্তি উভয় দিকে ভারসাম্য বজায় রাখা ।

৫. বাচ্চারা !!! বিয়ের জন্য এত উতলা হইয়ো না । সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট সময় আছে । সময়ের আগে বা পরে কোন কিছুই ভাল না । আজকাল শুধু একজনের ইনকামে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব । তাই দু’জনেরই নিজ নিজ ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগী হতে হবে ।

৬. শ্রদ্ধেয় আব্বু-আম্মুরা । বুকে হাত দিয়ে বলেন তো, সারা জীবনে আপনারা এমন কি একজনও ভাল মানুষ পাননি যারা বরিশাল, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চাঁদপুর এই চার জায়গার বাসিন্দা ? বা যতজন ভাল মানুষ আপনারা দেখেছেন, আপনি কিভাবে নিশ্চিত যে তাদের কারো বাড়ি এই চার জায়গায় না ?ভাল খারাপ সবখানেই রয়েছে । তাই be practical .

৭. ক্লাসমেটের সাথে যারা প্রেম করেন, তাদের গ্র্যাজুয়েশন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সময় যেন উড়ে চলে যায় । কিন্তু তাদের মধ্যকার সম্পর্কে ভাটা আসে গ্র্যাজুয়েশনের পর, বাসায় মেনে না নেয়া পর্যন্ত এবং ভাল একটা চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত ।কথায় কথায় ঝগড়া-ঝাটি, কথা বলা বন্ধ ।আমার কাছে এই সময়টা ভয়াবহ মনে হয় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই অন্তর্বর্তীকালীন সময়েই ব্রেক আপ হয়ে যায় । এ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় আমার কাছে যেটা মনে হয় তা হল, সবসময় একে অন্যের সাথে থাকা (physically নয় mentally ) । পরস্পরের উপর আস্থা বা বিশ্বাস যেন লাদেনের বোমাও ধ্বংস করতে না পারে । কেউ একজন হতাশ বা frustrated হলে তাকে বলুন “ সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি তো আছি তোমার সাথে” । দেখবেন শুধু এই কথাটাই সঙ্গীর মুখে হাসি ফোটাবে । এই ভয়াবহ সময়টুকু যদি প্রচন্ড ধৈর্যের সাথে পার করতে পারেন, আমি নিশ্চিত, ইনশাল্লাহ আপনাদের দু’জনেরই ৩ বার করে “কবুল” বলা লাগবে শীঘ্রই ।

আমি প্রেমবিশারদ নই । শুধু আমি যা জেনেছি, দেখেছি, বুঝেছি তাই এই লেখার মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করলাম । আজাইরা জ্ঞান দিতে আসি নাই । শুধু নিজের মনের কথা যখন কাউকে বলতে পারিনা, তখনই লেখতে বসি । অগোছাল আর বিরক্তিকর লেখা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ , একই সঙ্গে ক্ষমাপ্রার্থী ।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪৬

রাতুল রেজা বলেছেন: ২ তা পার্ট ই পরেছি, একদম সত্য কথাগুল বলেছেন। আপনার অব্জারভেশন বাস্তবতাসম্পন্ন, প্লাস নাই তাই দিতে পারলাম না

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫১

কালাম আজাদ বেগ বলেছেন: ভীষষষষষণ........ভালো লাগলো।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫৪

অস্তমিত গন্তব্য বলেছেন: ভাই পড়ে ভাল লাগলো ... আপনার বলা কঠিন সময়টাই অনেক ধ্যর্য নিয়ে পার করছি।...।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫৯

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষন শক্তির তারিফ করছি।++

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০০

আহমমক বলেছেন: ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;)
প্রেমের মরা জলে ডুবে না ।
বাস্তবতা সম্পন্ন পোষ্টের জন্য ধইন্যা পাতা ।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:১৫

শিস্‌তালি বলেছেন: ভাই ক্লাসমেটের (তাও আবার ক্যাম্পাসের অন্যতম সেরা সুন্দরী) সাথে পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করে অনেক বাধাঁ পেরিয়ে এখন সংসার করছি----Classmate হলে career establishment deadline short হওয়া ছাড়া আর কোন problem নাই-ওটাও positively নিলেই হল।
understanding বরং অনেক ভালো হয় classmate হলে।
শুভকামনা রইলো।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২০

শিস্‌তালি বলেছেন: ভাই ক্লাসমেটের (তাও আবার ক্যাম্পাসের অন্যতম সেরা সুন্দরী) সাথে পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করে অনেক বাধাঁ পেরিয়ে এখন সংসার করছি----Classmate হলে career establishment deadline short হওয়া ছাড়া আর কোন problem নাই-ওটাও positively নিলেই হল।
understanding বরং অনেক ভালো হয় classmate হলে।
শুভকামনা রইলো।***পাদটীকা: ামার শ্বশুরবাড়ি নো্যাখালী

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২১

শিস্‌তালি বলেছেন: ভাই ক্লাসমেটের (তাও আবার ক্যাম্পাসের অন্যতম সেরা সুন্দরী) সাথে পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করে অনেক বাধাঁ পেরিয়ে এখন সংসার করছি----Classmate হলে career establishment deadline short হওয়া ছাড়া আর কোন problem নাই-ওটাও positively নিলেই হল।
understanding বরং অনেক ভালো হয় classmate হলে।
শুভকামনা রইলো।***পাদটীকা: আমার শ্বশুরবাড়ি নো্যাখালী

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৪

সাকিব নূর আশরাফ বলেছেন: আমার বাড়ি বরিশাল

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৩

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আমার কৃষ্ণকলী আমার ইয়ারমেট । আন্ডাসটানডিং এর প্রব্লেম দেখিনাই কখনো। :| অন্যকোনো সমস্যাও পাইনাই । সুখের দিন কাটাইতাছি B-)

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৭

সিউল রায়হান বলেছেন: সমাধান পর্বের ২ নাম্বারের লজিকটা এবং ৩ নাম্বারের "স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের সন্তানের এই decision এর উপর ভরসা পান না । কারন তারা জানেন না যে তাদের ছেলে বা মেয়ে নিজের ভাল নিজেই বুঝে decision নিতে শিখেছে" কথাটা দারুন লাগলো.......চমৎকার বলেছেন

প্লাস

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২১

মোসারাফ বলেছেন: ধুর! পোলাপান বোঝে না ক্লাস মেটের সাথে প্রেম করার সুবিধা। ক্লাসের ফাকে গল্প করা যায়।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩১

কালকুট বলেছেন: ইনভার্স হৈমন্তী সিচুয়েশন, অর্থাৎ “বরের বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু কনের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না"................. =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

এইবার ভার্সিটিতে ভর্তি হইছি, দোয়া রাইখেন :P :P

১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪০

ঠোঁটকাটা নির্লজ্জ বলেছেন: শিস্‌তালি বলেছেন: ভাই ক্লাসমেটের (তাও আবার ক্যাম্পাসের অন্যতম সেরা সুন্দরী) সাথে পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করে অনেক বাধাঁ পেরিয়ে এখন সংসার করছি----Classmate হলে career establishment deadline short হওয়া ছাড়া আর কোন problem নাই-ওটাও positively নিলেই হল।
understanding বরং অনেক ভালো হয় classmate হলে।
শুভকামনা রইলো।


আপনে তো আমার বস! ভার্চুয়াল কদম্বুচি লন! :#)
দোয়া কইরেন যেন আপনার লাইনেই থাকতে পারি! আমার ইয়ে ভার্সিটির সেরা সুন্দরী না হলেও আমার কাছে বিশ্ব-সুন্দরী!

@ লেখক, ভালো লিখেছেন।

১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৩৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন: ভাল খারাপ সবখানেই রয়েছে । তাই be practical .[/sb

অতীব সত্য কথা.......

আফসোস থাকলোই ভাইজান, ক্লাশ মেইট প্রেমিকা হলোনা.....

১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৮

সুরবিলাসী শাহরিয়ার বলেছেন: সুন্দর লেখা । কথাগুলো মাথায় রাখতে হবে । প্লাস ।

১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৯

শিস্‌তালি বলেছেন: @ঠোঁটকাটা নির্লজ্জ: ওয়ালাইকুম সালাম। ভাই ধৈর্য্য ধরুন আর কেবল ধৈর্য্য ধরুন। শুভ কামনা রইলো।

১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১৭

মনিহার বলেছেন: ভাইজান, সবই পড়লাম, এইবার নিজের টা একটু বলি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, ক্লাসমেট না, তবে ব্যাচমেট। যদি আন্ডাস্ট্যানডিং টা ভালো থাকে তবে আমি কখনো কোনো সমস্যা মনে করি না। হলে থাকাকালীন থেকেই আমরা দুইজনই সেলফ ডিপেন্ডেন্ট ছিলাম, টিউশনী করতাম ২ জনেই। পড়ালেখা,থাকা খাওয়ার খরচের জন্য পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে দাড়ায় নাই। পাশ করার পর দেড় বছের চাকুরি করলাম, তারপর বিয়ে। মোটামুটি মাঝারী মনের অনুষ্ঠান, ১৫০ জন মত আমন্ত্রিত অতিথি, বিয়ে বাবদ সব খরচ আমরা ২ জনেই বহন করলাম, বিয়ের কোনো খরচের জন্যও পরিবারকে দিতে বলি নাই।

আমার বড়ভাইয়ারা (বাবা বেঁচে নাই) বলেছিল, আরো কিছুদিন পরে বিয়ে করো, তাহলে আরো একটু ঝাকঝমক করে, ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করা যাবে। কিন্তু আমি রাজী হয় নাই। আমার সামর্থ্য যতটুকু, আমি ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই।

হয়ত অত্যাধিক সচ্ছলতা নাই, তবে শান্তিটা তো আছে, যাকে ভালোবেসেছিলাম, তাকেই পেয়েছি।

আমরা ভালো আছি, সুখে আছি, দোয়া করবেন।

১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫

বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: নাহ এই সমস্যা আমার হবেনা। কারন আমার কোন সুন্দরী ক্লাসমেট নাই। তবে ভাই যারা দুর্বল হার্টের তাদের জন্য সলিউশন টাইপ কিছু লিখুন মানে যারা শুধু পছন্দই করে যায় কিন্তু ভয়ের চোটে কিছু বলতে পারেনা। তাহলে আমারও একটু উপকার হয়। :#) :#) :#) :#) :#) :#)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬

সাকিব নূর আশরাফ বলেছেন: চেষ্টা করব । ধন্যবাদ

১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৪০

বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: @মনিহারঃ ভাই আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। প্রেমটাই সবচেয়ে বড় কথা। বড় অনুষ্ঠান, বিশাল খাওয়া দাওয়া, লোকে কি বললো এসব শুধুই আপেক্ষিক।

২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭

মনিহার বলেছেন: @বিদ্রোহী কান্ডারী: ধন্যবাদ আপনাকে।

বড় অনুষ্ঠান, বিশাল খাওয়া দাওয়া, লোকে কি বললো এসব শুধুই আপেক্ষিক। ----------- আমি এমন ও দেখেছি, পরিবার থেকে বিয়েতে কনট্রিবিউট করলো, তারপর ব্যাংক লোনও নেওয়া হলো, শুধু মাত্র বিয়ে করার জন্য। পাত্রের কথায়, বিয়ে তো মানুষের জীবনে বার বার আসে না। তাই ঝাকঝমকের কমতি রাখা যাবে না।

২১| ২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৪৮

অ্যাডলফ বলেছেন: আমিও শেষ বর্ষে এসে ক্লাসমেটের প্রেমে পড়ে গেলাম ভাই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫৪

িনদাল বলেছেন: ঠোঁটকাটা নির্লজ্জ বলেছেন: শিস্‌তালি বলেছেন: ভাই ক্লাসমেটের (তাও আবার ক্যাম্পাসের অন্যতম সেরা সুন্দরী) সাথে পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করে অনেক বাধাঁ পেরিয়ে এখন সংসার করছি----Classmate হলে career establishment deadline short হওয়া ছাড়া আর কোন problem নাই-ওটাও positively নিলেই হল।
understanding বরং অনেক ভালো হয় classmate হলে।
শুভকামনা রইলো।

আপনে তো আমার বস! ভার্চুয়াল কদম্বুচি লন! :#)
দোয়া কইরেন যেন আপনার লাইনেই থাকতে পারি! আমার ইয়ে ভার্সিটির সেরা সুন্দরী না হলেও আমার কাছে বিশ্ব-সুন্দরী!

@ লেখক, ভালো লিখেছেন।

২৩| ১৮ ই মে, ২০১২ রাত ১২:৫২

ব্যর্থ মানুষ বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা সম্পর্কে খুব বেশি বিমুখ ছিলাম। হঠাৎ করে আমার এক বান্ধবীর প্রেমে পড়ে গেলাম।এর পেছনের কারণ হল আমি যে রকম মেয়ে বিয়ে করব ভেবেছিলাম তার সবগুলো গুণ তার মধ্যে রয়েছে।আমি তার সাথে প্রেম করতে চায়না বরং তাকেই জীবনসঙ্গীনী বানাতে চাই।কিন্তু মেয়েটি সমবয়সী প্রেম এবং বিয়ের বিষয়ে অনাগ্রহী। বিষয়টি আমি আগে বুঝতে পারি নি, বুঝতে পারলে হয়তো এ পথে এগুতাম না। তবে আমরা এক অপরের অনেক যত্ন নেই। যাই হোক আমাদের বর্তমান অবস্থা হল, আমরা দুজনই ঢাবির একটি ডিপার্টমেন্টে তৃতীয় বর্ষে পড়ছি। ও বাড়ির বড় মেয়ে ওর ছোট আরও দুটো বোন আছে। একটি এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছে অপরটি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
আমি তাকে আমার ভালোবাসার কথা এখনো জানাই নি। জানাতেও শাহস পাচ্ছি না, ভয় লাগে যদি না গ্রহণ করে তাহলে খুব কষ্ট পাব। আবার না জানিয়েও অনবরত পুড়ছি শুধু।
এ নিয়ে কয়েকদিন ধরিই খু্ব সমস্যার মধ্যে রয়েছি, পড়া হচ্ছে না, সারাদিন মন খারাপ করে বসে থাকি। কি করব বুঝতে পারছি না, আপনার পরামর্শ কামনা করছি।

২৭ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:২৮

সাকিব নূর আশরাফ বলেছেন: সরি ভাই । অনেকদিন ব্লগে আসিনি তাই উত্তর দিতে দেরি হল । আমার পরামর্শে কতদূর কি হবে জানি না । তাও আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলার চেষ্টা করছি ।

১। একে অপরের যত্ন নেন ভাল কথা । কিন্তু আপনি যে যত্ন নেন সেটাই তাকে বোঝাতে হবে । সে হয়ত ধরে নিয়েছে আপনি বন্ধুত্বের খাতিরেই যত্ন নেন । যত্নের ক্যাটাগরি চেঞ্জ করেন । আপনি এমন সব বিষয়ে তার ভাল মন্দ দিক তাকে বলুন যা অন্য বন্ধুরা তাকে বলে না ।
২। একটা টোটকা দেই কাজে লাগতে পারে । তাকে জিজ্ঞেস করুন আপনার কোন কোন দিকগুলা তার ভাল আর খারাপ লাগে । একটু উদ্ভট প্রশ্ন , কিন্তু এই প্রশ্ন শুনে সে আপনার কথা একটু অন্যভাবে চিন্তা করবে । ভাববে আপনি ওর মতামতের দাম দেন অনেক । যেকোন মেয়ের কাছে এটা অনেক লোভনীয় ব্যপার ।
৩। তাকে আপাতত আপনার ফিলিংস না বলে ট্রাই করেন যাতে সে নিজে থেকে বুঝতে পারে । কিছু ঘটনা এমনভাবে ঘটান যা সে মনে করে কাকতালীয় । কিছু কথা এমন ভাবে বলুন যা সে মনে করে মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে ।
৪। সে হয়ত জানে যে আপনি তার সাথে বিপদে আপদে সবসময় থাকবেন । তাও নিজ মুখে কথাটা বলুন । খুশি হবে ।
৫। ওদের ফ্যামিলি সম্পর্কে ধারনা নেয়ার চেষ্টা করুন । সম্ভব হলে বন্ধু হিসেবে বাসায় গিয়ে বাবা মার সাথে খাতির করুন ।
৬। এখন আপনারা থার্ড ইয়ারে । হাতে খুব বেশি সময় নেই । আপনার সাবজেক্ট কি জানি না তবে ফোর্থ ইয়ারে উঠার পর থেকেই চাকরির জন্য মেন্টালি প্রিপারেশন নিন । ফোর্থ ইয়ার ফাইনালের ২ মাস আগে থেকে চাকরিতে এপ্লাই করা শুরু করুন পাইকারি হারে ।
৭। আপনার মন খারাপ, পড়ালেখায় মন বসে না কারন আপনি ওকে চান , কিন্তু পাওয়ার জন্য কিছুই করছেন না । আপনি দৃঢ় ভাবে আগান । দেখবেন সব কাজেই একটা অদৃশ্য আগ্রহ খুজে পাচ্ছেন ।

আপনার মধ্যে নিজের একটা ছায়া দেখতে পাচ্ছি । একই অবস্থা আমিও ফেস করেছি । তাই বিশেষ শুভ কামনা আর দোয়া রইল । কোন সাহায্য করতে পারলে খুশি হব । ব্লগে তেমন আসা হয়না আজকাল । প্রয়োজন হলে আমার পুরো নাম লিখে ফেসবুকে সার্চ দিয়েন ।

২৪| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১

রাজনীতি বলেছেন: ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০% সত্য কথন। এই ভোগান্তিতে পড়ার পর বুঝতেছি।

২৫| ০৮ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাজনীতি বলেছেন: তবে আমার মাঝে BNCC vIRUS ACTIVE....................STRONGLY

২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৪

ব্যর্থ মানুষ বলেছেন: আপনার পরমের্শর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনার পরামর্শগুলো কাজে দেবে। আপনার নাম দিয়ে ফেসবুকে সার্চ দিয়েছিলাম কিন্তু পাই নাই। যাই হোক আবারো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৬

সাকিব নূর আশরাফ বলেছেন: https://www.facebook.com/kk587

এই যে লিঙ্কু ।

২৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: জটীল পোস্ট!!!!


+++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.