![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিবারের ছোট ছেলেটি
যাকে তার নাম ধরে ডাকবে তার মা।
কিন্তু খুব কাছাকাছি থেকেও
সে আর দেবে না সাড়া।
সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন ফুরিয়েছে তার
নতুন বাইকে চড়ে,
সেদিনও ছিল অনেক কাজ
তাই মাথায় ছিল অনিঃশেষ চিন্তার ডাকাডাকি
তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
মাকেতাড়াতাড়ি ফিরে আসবার কথা দিয়ে
সে আর ফিরে এলো না বাইকে ওপর চড়ে,
এলো, না ফেরার দেশের যাত্রী হয়ে।
সে গতির উম্মত্ততায় গতিময় হতে চেয়েছিল আরও বেশি
বিনিময়ে বাড়ির পাশের রাস্তায়
বাইকের ধাক্কা লাগে
অন্য একটি ছেলের হাতের সাথে।
ছেলেটি তখন চিৎকার করে বলে, “বাঁচাও”
ততক্ষণে সে আরেকটি মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই
ধাক্কা খায় টিনের সাথে কিংবা গাছের সাথে।
মনে তখন বেঁচে থাকবার আকুতি
মাথায় তখন তীব্র যন্ত্রণা।
তারপর?
সব শেষ।
অকালে ঝরে যাওয়া প্রাণের জন্য
মাগফেরাত কামনা করেছি আমরা সবাই।
মা মূক আর বধির হয়ে বার বার মুর্ছা গেল
বাবা ক্ষমা প্রার্থনা করল।
বাইকের গতির মত জীবন নয়
জীবন তো বিধাতার এক মহাজাগতিক সৃষ্টি,
যারা জীবনকে এভাবে অবহেলা করে
তাদেরকে চলে যেতে হয় এভাবেই।
মনে রেখ সবে,
গতিরও সীমা থাকতে হবে।
গতির সীমা থাকে না যেখানে
জীবন চিরকালের জন্য শ্লথ হয় সেখানে।
জীবনকে ভালবেসে আজকের গতিটাকে
কমালে ক্ষতি কী?
জীবনের চেয়ে আর বড় কিছু আছে কী?
©somewhere in net ltd.