নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জলে ভেজা পদ্ম

জানতে চাই জানাতে চাই

জলে ভেজা পদ্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুর বাড়ী নবিয়াবাদ

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১

চান্দিনা থেকে যাবো মুরাদনগর উপজেলার নবিয়াবাদ গ্রামে এক বন্ধুর বাসায়।এর আগে কখনো যাইনি।প্রথম যাচ্ছি যেকারনে পথের দূরত্ব জানা ছিলনা।ভেবেছিলাম কাছেপিতেই হবে।বন্ধুর বাসায় পৌঁছে টের পেলাম মোটেই কাছে ছিলনা।মাঝপথে গিয়ে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছিলাম যে আর সামনে এগোবনা।কিন্তু হলোনা।শেষপর্যন্ত গেলাম।গিয়ে পড়লাম আরেক বিপাকে।সন্ধ্যা হওয়ার পরপরই রাস্তায় আর সিএনজি চলেনা।দেখা করেই চলে আসবো।কারন বন্ধুর বাসায় থাকার নিয়তে যাইনি।বাসায় পৌঁছার পর বেরিয়ে আসার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলাম।কারন বন্ধুর কারনে আর ফিরতে পারলামনা।শুরুতে একটু খারাপ লেগেছিল।কারন ব্যাপারটা ছিল আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য  আর খারাপ লাগেনি।যখন বুঝলাম আজকে আর ফিরা সম্ভব না।

হাত মুখ ধুয়ে, হাল্কা জল খাবার সেরে,দুই বন্ধু বেড়িয়ে পড়লাম। গ্রামের পথ,রাতে চাঁদের আলোতে হাটছিলাম ভালোই লাগছিল। রাস্তার পাশে দোকানপাট। হাটতে আর কথা বলতে বলতে চলে এলাম একটি দোকানে।যেখানে লোকজন দাঁড়িয়ে,বসে চা পান করছে,পান খাচ্ছে, সিগারেট ফুঁকছে, কেউবা টিভিতে বিপিএল ক্রিকেট ম্যাচ দেখছে।আমরাও চা পান শেষে মিষ্টি জর্দ্দার পান চিবুচ্ছিলাম আর হাটছিলাম।রাস্তা সংলগ্ন নবিয়াবাদ মাদ্রাসা এবং বিশাল ঈদগাহ মাঠ।চেয়ারম্যান বাড়ী। সিঙ্গাপুর পেঙ্গুইন ট্রেনিং সেন্টারের এজেন্ট মিজান সাহেবের বাড়ীও সেখানে।বিশাল বাড়ী। অবশ্য মিজান সাহেব সেখানে থাকেননা।বৎসরে দুইএকবার আসেন সেখানে।

ঘুরাঘুরি শেষে বাসায় ফিরলাম নয়টা সোয়া নয়টার দিকে।রাতের খাবার,নামাজ শেষে গল্প করতে করতে রাত এগারোটা,এখন ঘুমের পালা।কিছুক্ষন বিছানায় গড়াগড়ি খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লাম।একঘুমে ভোর চারটা পঞ্চাশ।ঘুম থেকে জেগে প্রাতকর্ম সেরে ফজরের নামাজ আদায় করে এখন
বের হওয়ার পালা।কিন্তু সমস্যা ছিল সকালের নাস্তা, না খাইয়ে ছাড়বে কিনা?বন্ধু যাই ভাবুক নাস্তা না খেয়েই বের হয়ে পড়বো মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম।আমি চাচ্ছিলামনা বন্ধুর ওয়াইফকে আর জ্বালাতে।বের হয়ে পড়লাম।কাজটা কঠিন ছিল।বন্ধু বার বার বলছিলেন নাস্তা রেডি হতে বেশি  সময় লাগবেনা।ব্যাপারটা কেমন দেখা যায়?এটা সেটা ইত্যাদি ইত্যাদি???

বেড়িয়ে পড়লাম।বন্ধুও আমার পেছন পেছন ছুট দিল।যখন দেখলো আমি সত্যি সত্যিই বেড়িয়ে পড়েছি!রাস্তায় বের হয়ে সিএনজি পাওয়া কঠিন ছিল।কারন সহসা অতো সকালে সিএনজি বের হয়না।কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল রাস্তায় বেড় হলে সিএনজি পেয়ে যাবো।কিছুদূর সামনে এগোনোর পর দেখলাম নবিয়াবাদ মাদ্রাসার গেটের সামনে একটা সিএনিজি দাঁড়িয়ে আছে।সকালের বাজার জমছে, কুয়াশার কারনে আবছা আবছা ভাব। বাজারটা ঈদগাহের পাশেই।ছোট্র একটা বাজার।ড্রাইভার বাজার করছিলেন।জিগ্যেস করলাম সংসাইল যাবে কিনা।কারন সংসাইল থেকেই আমাকে বাসে চড়ে কোম্পানিগঞ্জ হয়ে দ্বেবিদ্বার আসতে হবে।সেখান থেকে আবার চান্দিনা। ড্রাইভার রাজি হলেন,বিশ টাকার ভাড়া একশত টাকা ড্রাইভারের হাতে গুঁজে দিয়ে বন্ধু ড্রাইভারকে বলে দিলেন আমাকে যেন সংসাইল পৌঁছে দেয়।আমার আপত্তি সত্বেও বন্ধু ড্রাইভারকে টাকা দিলেন। কারন আমি চাইছিলামনা বন্ধুই টাকাটা পে করুক।কি আর করা শেষপর্যন্ত বন্ধুর কাছেই হার মানলাম।বিদায় নিয়ে চলে এলাম চান্দিনা।

অনুভূতিঃ
১)প্রবল ইচ্ছে ছিল বন্ধুর সাথে দেখা করার।তাই কষ্টসত্ত্বেও দেখা করা সম্ভব হয়েছিল।
২)অনেক সময় পরিস্থিতির কারনে নিজের ইচ্ছে,আকাঙ্ক্ষা জলাঞ্জলি দিতে হয়।
৩)ভালো লাগা না লাগা অনেক কিছুই সময়ের কাছে গুরুত্বহীন।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.