নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জলে ভেজা পদ্ম

জানতে চাই জানাতে চাই

জলে ভেজা পদ্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গলদঘর্ম হতে চাইলে \'গামকা\' যান

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

 ( মধ্যপ্রাচ্যে গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোর সমন্বয়কারী সংস্থা হল গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশন (গামকা)। মতিঝিল থেকে সিএনজি করে গামকা পৌঁছতে প্রায় পৌনে দুইঘন্টারমতো সময় লেগেছিল। ভাড়া তিনশত টাকা।শুধু একটা মেডিকেল স্লিপ আনার জন্যে!

গেইটের বাইরে লোকজনের ভিড় দেখে একটু থতমত খেয়ে গিয়েছিলাম।ভাবছিলাম গেইটের ভেতরের অবস্থা জানি কেমন হয়!?ঢুকতে পারবো কিনা তারও একটা শংকা ছিল।সাহস করে পা বাড়ালাম,কোনপ্রকার বাধা ছাড়াই ঢুকে পরলাম।পরে বুঝতে পারলাম বাইরে যারা গ্যাদারিং করছে তারা মেডিকেল স্লিপ প্রার্থী না,দর্শনার্থী। ভেতরে ঢুকে বুঝতে পারছিলামনা কোনদিকে যাবো, কোন লাইনে ঢুকবো? ভেতরে ঢুকার সাথে সাথেই কোনকিছু বুঝার আগেই সিক্যুউরিটি ঠেলে একটা লাইনে ঢুকিয়ে দিলো।ঠেলেঠুলে লাইনের শেষতক গিয়ে বুঝতে পারলাম দেড় দুইশ লোকের পেছনে আছি।এটা ছবি তুলার লাইন।এরপর পাসপোর্ট স্ক্যানিং এর পর মেডিকেল স্লিপ।পাসপোর্ট স্ক্যানিং এর জন্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে মিনিমাম দুইহাজার লোক!অবস্থা বেগতিক দেখে লাইন থেকে বেড়িয়ে গেলাম।গামকার খাকী  পোশাকধারী একজনকে ধরলাম, কইলাম, ভাই কাম কইরা দিতে অইবো?কি কাম?কইলাম,মেডিকেল স্লিপ ম্যানেজ কইরা দিতে অইবো।সিক্যুউরিটি কইলো,কইরা দিমু, টেকা লাগবো পাঁচশ? কইলাম দিমু, কতক্ষণ লাগবো? দুইমিনিট।দিলে তাড়াতাড়ি দেন।দিলাম পাঁচশ। দুইমিনিটেই ছবি তুলার কাম শেষ।সবই টেকার খেলা!আইলাম পাসপোর্ট স্ক্যানিং এর লাইনে।যারে টেকা দিলাম তিনিই ঠেলা দিয়া পাসপোর্ট স্ক্যানিং এর লাইনে ঢুকাইয়া দিলেন।কুইতে পারলামনা কিছুই।স্পেশালি আমারে যে ফ্যাসিলিটি দেয়ার কথা???বুঝতে পারলাম ছবি তুলা পর্যন্তই পাঁচশ টেকার দৌড় শেষ!কি আর করা,লাইনে খাড়ায়া গেলাম।দীর্ঘ দুইঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পাসপোর্ট স্ক্যানিং করাইয়া, মেডিকেল স্লিপ লইয়া বাহির হইলাম।
যা দেখলাম,যা বুঝলাম
 সিস্টেম না বুঝার কারনে অনেকেই ভোগান্তিতে ভোগেন।বিশেষ করে স্ক্যানিং আগে না ছবি আগে অনেকেই বুঝেনা।দীর্গ দুই আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পাসপোর্ট স্ক্যানিং করতে গিয়ে যখন দেখে ছবিই তুলা হয়নি তখন আবার ছবি তুলা থেকে শুরু করতে হয়!টেকা দিলে তিন চার ঘন্টার কাজ আপনি পনের বিশ মিনিটেই সারতে পারবেন।ভোগান্তির আরেক নাম 'গামকা'।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.