নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার বুদ্ধি ও একটু কম, বোকাই বলা চলে।আমি কল্পনা প্রবন ও সহজাত বিবেচনাবধ সম্পন্ন ব্যক্তি।

Shihab A. Mamun

Dreamer- স্বপ্নদর্শী

Shihab A. Mamun › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র রাজনীতির আদৌ প্রয়োজন আছে কি?

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৭

আমি রাজনীতি কম বুঝি। ছাত্রলীগ/ ছাত্রদলের/ছাত্রশিবির এইযে ছাত্র রাজনীতির যে দলীয় সংঘঠন গুলো এদের বাংলাদেশে কি কাজ?? আমাকে ক্লিয়ার কেউ ধারনা দিলে ভাল হত। এই তেইশ চব্বিশ বছরের জীবনে আমি একটা ভাল কাজ কিংবা ভাল কাজে সহায়তা দিতে দেখিনি । দলীয় তেল মালিশ! দলীয় মারামারি ! নির্বাচনের সময় কারচুপি! চাঁদাবাজি, মাস্তানি এছাড়া আমার চোখে কিছু পরেনাই কেন? বোধ করি আমার চোখের দৃষ্টি শক্তি কম । একটু রেফারেন্স সহ ভাল করে বুঝিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম ।
আমি বর্তমানে এমন একটি দেশে থাকি যেখানে ছাত্র রাজনীতির নাম গন্ধ নেই । আছে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন । এরা ভার্সিটি থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট, বিজনেস আইডিয়া, ইনোভেশন, লিডারশিপ বিল্ড আপ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। চাইনিজ কোন ভার্সিটিতে আমি মারামারি কাটাকাটির ম আর ক কোন টাই দেখি নাই, শুনিও নাই। এই দেশের ছাত্ররা বিশ্ব কাপাচ্ছে। ইউরোপিয়ান দেশ গুলোয় চাইনিজ স্টুডেন্ট কিংবা গ্রাজুয়েটদের দারুন কদর। এরা ঠিক ৫টা ঘুম থেকে ওঠে আবার ঐদিকে ১২টার ভেতর ঘুমিয়ে যায় । মাঝে সময়টুকুতে প্রোডাক্টিভ কোন কাজ ছাড়া অন্য কাজ করেনা। এদের লাইফ যে রস কস ছাড়া এমনটাও না। চাইনিজদের প্রেম আমার দেখা সেরা প্রেম। এদের কেউ বেকার থাকেনা । সামার আর উইন্টার ভ্যাকেশনেও এরা কোন রেস্টুরেন্টে বা অন্য কোথায় কাজ নিয়ে নেয় । গ্রাজুয়েশনের পড় হয় নিজেই ব্যবসা বা চাকুরিতে ঢুকে যায়।
আমি জানতে চাই এইযে এতো এতো রাজনৈতিক দল করা সোনার ছেলেরা এতো দল দল করে কি পায় ? দল তো ভাল কিছুর জন্য । পূর্বে অনেক আন্দোলনে ছাত্রদের ভুমিকাই সব থেকে বেশি। এতো হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের কি ভাল কাজে লাগানো যায় না? দেশ রসাতলে সেই কবে থেকে! কিঞ্চিত উন্নতি হয় বৈকী! এর থেকে শত গুন বেশি উন্নতি সম্ভব ।
এস্থোনিয়া নামের একটি দেশ আছে । যে দেশ কে ই- কান্ট্রি বলা হয়।এ দেশের সব কিছুই অনলাইন। এমনকি অন্য দেশে বসে ভিসা / রেসিডেন্স পারমিট / ট্রেড লাইসেন্সও অনালাইনে বিদেশীরা করতে পারে। তের লাখের কিছু কম বেশি মানুষ বসবাসকারী দেশ। কষ্ট করে ইন্টারনেট থেকে দেশটির ইহিতাস আর বর্তমান অবস্থা জেনে নিলে বোঝা সহজ হবে দেশের উন্নতির রেখা কত দ্রুত চলে। কি কি করা সম্ভব এই সোনার বাংলাদেশে।
সময় থাকতে বদলান! এখন নয়ত কখন?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪০

গেড়াকল বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি আইন করে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরা চোর ডাকাত, মাফিয়া ও গণহত্যার জল্লাদ

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

নতুন বলেছেন: আগে চর দখলের জন্য জমিদারের লাঠিয়াল বাহিনি ছিলো....

এখন ছাত্র লীগ/দল/শিবির এই কাজ করছে....

আগামী কাল থেকেই ছাত্ররাজনিতি বন্ধ করা দরকার।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না করলে দেশের অবস্থা আরো খারাপ হবে। চিন্তা করা যায় না এক ছাত্র আরেক ছাত্রকে হত্যা করছে শুধু দলের স্বার্থে। দুই পরিবার মুক্ত দেশ চাই...

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:১০

রাকু হাসান বলেছেন: আমিও মনে করি দরকার কিন্ত ছাত্র রাজনীতি বাতিল করার মত উদার নেতা বাংলাদেশে হবে কি নিকট ভবিষ্যাৎতে

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মামুন ভাই, শুভেচ্ছা রইলো।



রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে গনতন্ত্র ও নেতৃত্বগুণের চর্চা নেই বলে সন্ত্রাসী, খুনি, চান্দাবাজ, দালাল আর মেধাহীনরা আমাদের রাজনৈতিক গুরু হয়। দশ বছর আগে যে চান্দাবাজ, সন্ত্রাসী আর খুনি ছিল দশ বছর পর সে বড় নেতা হয়, দেশকে নেতৃত্ব দেয়। অথচ যে ছেলেটি সারা জীবন কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে পড়াশুনা করে নেতৃত্বগুণ অর্জন করল তাকে কোন দল নেতা বানায় না। সে নেতা যাতে না হতে পারে সেজন্য হাজারো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। পরিণামে তৈরী হয় মেধাহীন একদল নেতার। যারা রাজনীতির নামে গ্রুপিং করে, সন্ত্রাস করে, আর নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে। যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় তখন তরুণ এসব ছাত্রদের তারা ছুড়ে ফেলে দেয়।

ছাত্র রাজনীতি করা অবস্থায় যে ছাত্রটি পড়ালেখা বাদ দিয়ে গ্রুপিং, মিছিল মিটিংয়ে রাজা/রানীর বন্ধনা করে, চান্দাবাজি আর বেশী বেশী জেল খাটে; এমপি/মন্ত্রী হওয়ার পর তার দাপট অন্যদের চেয়ে বেশি হয়। উন্নয়নের নামে বেশী লুটপাট করার সুযোগ পায়। দলীয় ফোরামে বীরের মর্যাদা পায়। জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভা সমাবেশে গলাবাজি বেশি করে। জমি দখল, খুন খারাবি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ সব কিছুতেই নেতৃত্ব দেয়। প্রশাসনকে পাশ কাটিয়ে তিনি হয়ে উঠেন বিকল্প প্রশাসক। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল দল, নীল দল নামধারী মেরুদন্ডহীন কিছু শিক্ষক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য, ভিসি হওয়ার জন্য তার কৃপাদৃষ্টি চান। এ সুযোগে তিনি গড়ে তুলেন বিশাল এক সিন্ডিকেট ও লাটিয়াল বাহিনী। নিজ এলাকায় রাজপুত্রের মর্যাদা পান। তোষামোদকারী আর সন্ত্রাসীদের নয়নের মণি হয়ে উঠেন। ফুলে ফুলে ভরে উঠে তার বসার ঘর। তার পদধূলি নিতে শত শত মানুষ ছুটে আসেন, মিছিল আর তোষণে প্রকম্পিত হয় তার আঙ্গিনা। তিনি হয়ে উঠেন দেশ ও জাতির মা বাপ। জনগনের পরম বন্ধু!

!!!.................."আমরা রাষ্ট্র হিসেবে এসব তরুনদের কি সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পেরেছি? তাদের প্রয়োজনীয় বিনোদন দিতে পেরেছি? কর্মসংস্থান করতে পেরেছি? নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে পেরেছি? চরম বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করতে পেরেছি? কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে পেরেছি? দেশের যোগ্য নেতৃত্বগুণ অর্জন করার সুযোগ করে দিতে পেরেছি? রাজনীতি বাদ দিয়ে পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে বাধ্য করেছি? যে সকল নেতা রাজনীতির নামে গ্রুপিং আর সন্ত্রাসে জড়িত তাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে পেরেছি? যারা রাজনৈতিক দলের নামে বিভিন্ন লুটপাট আর ধান্দাবাজিতে ব্যস্ত তাদের বিচারের সম্মুখিন করতে পেরেছি? উত্তর হল, না। রাষ্ট্র হিসাবে আমরা তা পারিনি। রাষ্ট্র হিসেবে এগুলো ব্যর্থতা নয় কী?"......................!!!

রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের নেতা বানাতে চায় না, পিকেটার বানায়। হলগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায় না, দখল করতে শেখায়। ভদ্রভাবে কথা বলতে শেখায় না, মিথ্যা গলাবাজি শেখায়। স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে শেখায় না, দলকানা বানায়। হাতে কলম তুলে দেয় না, অস্ত্র চালাতে শেখায়। সমাজকর্মী বানায় না, চান্দাবাজি শেখায়। নীতি ও আদর্শ শেখায় না, সন্ত্রাসের পাঠ শেখায়। সমাজের সবাইকে নিয়ে চলতে শেখায় না, অন্য মত ও পথকে কঠোর হস্তে দমন করতে শেখায়। দেশপ্রেম শেখায় না, লুটপাট শেখায়। সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে না, মিথ্যা চেতনা আর মিথ্যা ইতিহাস শেখায়। সত্যবাদিতার শিক্ষা দেয় না, মিথ্যা মিথ্যা আশ্বাস দিতে শেখায়। ফলশ্রুতিতে এতো এতো প্রেকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে দিতে পরিণত বয়সে ছাত্রটি হয়ে উঠে দক্ষ পলিটিশিয়ান, পাকনা গুটিবাজ।

ছাত্র রাজনীতি আইন করেই বন্ধ করতে হবে। না হলে প্রতি বছর দেশে হাজার হাজার চোর আর গুন্ডা পয়দা হবে।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির কোনো দরকার নাই। নো নিড।
যারা এই রকমভাবে ছাত্রছাত্রীদের মেরেছে তাদের জুতা পিটা করা উচিত টিএসসির মোড়ে।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

ক্স বলেছেন: অবশ্যই দরকার আছে। ছাত্রলীগ না থাকলে আজ আন্দোলনকারীদের পশ্চাদ্দেশ লাল করার কাজটা নিষ্ঠার সাথে কে করত?

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

লায়নহার্ট বলেছেন: {নেই}

১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: ও কথা আর বলবেন না, এ দেশে রাজনৈতিক নেতাদের জন্মই হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি থেকে। সুতরং আপনি যদি সাপ্লাই লাইনটাই কেটে দেন তাহলে আমাদের দেশ শাসনের জন্য রাজনীতিবিদ পাবেন কোথায়? আমাদের ঐতিহ্যবাহী জ্বালাও-পোড়াও কর্মসুচীর কি হবে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গো-মূর্খদের আড্ডায় পরিনত হবে কি করে?

বাংলাদেশে ছাত্র-রাজনীতি পেশা হিসাবে স্বীকৃতির দাবী রাখে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির অংগসংগঠন গুলিও পেশা হিসাবেই দেখা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.