নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার বুদ্ধি ও একটু কম, বোকাই বলা চলে।আমি কল্পনা প্রবন ও সহজাত বিবেচনাবধ সম্পন্ন ব্যক্তি।

Shihab A. Mamun

Dreamer- স্বপ্নদর্শী

Shihab A. Mamun › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীন কথনঃ শিক্ষক - শিক্ষার্থী সমাচার

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০৮

রাত ৮.২০, ক্লাস চলবে আরো ঘন্টা দুইয়েক। পিএইচডি করা মানুষ একটু পাগালাটে গোছের হয় এটা এখানে না আসলে বুঝতাম না। সবারই কিছুনা কিছু পাগলামী আছে। ছবির ব্যক্তির নাম ড. সিয়া সেন। জাভার টিচার। এই মাইনাস তাপমাত্রার ভেতর রাতে ক্লাস দিয়ে রেখেছেন। উনাকে ক্লাস বাদে সব সময় দৌড়াতে দেখা যায়। ঝন্টু বাবুর মত তালে তালে দৌড়াতে দৌড়াতে উনি ক্লাসে আসেন। উনি জুতার ফিতা জোড়া খুলে বাসায় রেখে আসেন কারণ জুতা খুলতে এবং পড়তে তার সময় নষ্ট হয়। বাচ্চাদের ফিডারের মত ফ্লাক্স ইউজ করেন। পকেটে মাঝে মাঝে টয়লেট টিস্যুর পুরো রোল পাওয়া যায়। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে উনি প্রায় ৪০টা কোর্সে একই পরিমাণ পারদর্শী।


ভার্সিটিতে এসে প্রথম দিকে একজন গণিত টিচারের দেখা পাই উনার নাম ড. ড্যাং ।গণিতে উনার মর তুখোর মেধার মানুষ আমি দেখি নাই। যথেষ্ট স্মার্ট এবং উপস্থিত বুদ্ধির অধিকারী তিনি । উনি গ্রীষ্মকালে মাঝে মাঝে হাফ প্যান্ট আর টিশার্ট পরে ক্লাসে চলে আসতেন । কখনো মন বেশি থাকলে ভার্সিটিতে থাকাকালীন সময়ে কতগুলো প্রেম করেছেন আর কিভাবে বিয়ে করেছেন সেগুলোও তার আলোচনায় উঠে আসত।
সোশ্যাল সাইন্স পড়াতেন একজন ম্যাম । আমরা চেরী লাওশী বলেই ডাকতাম। চীনা ভাষায় লাওশি অর্থ হচ্ছে শিক্ষক। পড়াশুনা নিয়ে যথেষ্ট কড়া একজন শিক্ষিকা। তিনি কথায় কথায় একবার বলেছিলেন , কারণ দর্শান ব্যাতীত ক্লাসে ৩০ মিনিট দেরি করে উপস্থিত হবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় তাকে একবার বাংলাদেশী টাকায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলো। আমার বাংলাদেশে হয়ত এমন ঘটনা অহরহ। যাই হোক, উনাকে একবার তার পোষা কুকুর কামড় দিয়েছিলো । প্রায় বেশ কয়েকটি ক্লাস নিতে পারেন নাই। সুস্থ হয়ে ক্লাসে এসে বললেন, " অপরাধ বোধহয় আমারই ছিলো, আমি ওকে কোন কারণে রাগিয়ে দিয়েছিলাম। তাই কামড়ে দিয়েছে। " বাংলাদেশ হলে হয়ত সেইদিনই এই কুকুরকে আমরা ঘর থেকে তাড়িয়ে দিতাম । কিছুদিন পরে উনার কুকুরটি হারিয়ে যায় । পরের দিন ভারাক্রান্ত মনে ক্লাস করিয়েছিলেন আর কুকুরের জন্য আফসোস করেছিলেন। এখনো তিনি মাঝে মাঝে রাস্তায় তার হারানো কুকুর খুজে বেড়ান। চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান দেন।

এতোগুলো কথা বলার কারণ হচ্ছে, আমার দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে শিক্ষার্থী- শিক্ষকদের যে দূরত্ব এখানে তার ছিটে ফোটাও নেই। প্রিয় শিক্ষার্থীদের মাঝে মাঝে উনারা বাসায় দাওয়াত করেন কিংবা পিকনিকে নিয়ে যান। চীনা শিক্ষার্থীরাও কম যায়না। সম্মান প্রদর্শনে বিন্দু মাত্র ছাড় নেই তাদের।

ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই স্কলারশিপ নিয়ে এখানে এসেছে । আমিও তাদের মতই একজন। যার যার দেশের মাধাবী শিক্ষার্থী সবাই।হরেক জাতি হরেক সংস্কৃতি। মাঝে মাঝে টুকটাক সমস্যা হয় বৈকী কিন্তু দিন শেষে সবাই একই মেলবন্ধনে আবন্ধ থাকে । পড়াশুনো নিয়ে কারো কোন ছাড় নেই । চীনাদের সাথে তাল মিলিয়ে পড়ার চেষ্টা করে সবাই। চীনাদের সাথে পেরে ওঠা খুবই মুশকিল । চীনা শিক্ষার্থীরা সময়ের কড়া অনুশাসন মেনে চলে। ভোর ৫টার আগে ঘুম থেকে উঠে , অন্য দিকে ঠিক রাত ১২টার মধ্যে ঘুমিয়ে পরে। নিতান্তই কাজ কিংরা এড়ে স্বভাবের না হলে রাত ১২টার পর কোন চীনা হোস্টেলের কোন রুমে লাইট জ্বালানো থাকেনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস করে। মাঝে মাঝে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকে। মাঝে যদিও বিরতি থাকে । তবুও পৃথিবীর কোন দেশ এতো রাত্তিরে ক্লাস করায় আমার জানা নেই। ইভিনিং কোর্সের হিসেব আলাদা। যদি ক্লাস না থাকে পুরোটা সময় তাদের পাওয়া যায় লাইব্রেরী কিংবা খেলার মাঠে।



লাইব্রেরীর কথা বলতে বলতে মনে হলো এখানে রাত ৯.৩০ পর্যন্ত লাইব্রেরী খোলা থাকে । এবং বিকেল থেকে এই সময় পর্যন্ত খুব কম সময়ই দেখেছি যে কোন বসার জায়গা ফাঁকা আছে । আরো বলে রাখা ভালো এখানকার এক একটি লাইব্রেরী এক একটি লাইব্রেরী থেকে বড় এবং বেশি সুন্দর। কি নেই একটি আধুনিক লাইব্রেরীর ভেতরে! লক্ষ লক্ষ বই, ডিজিটাল বুক সার্চিং সিস্টেম, কম্পিউটার ল্যাব, মুভি থিয়েটার, কনফারেন্স রুম, ছোট পরিসরের অডিটোরিয়াম । আর আলোকসজ্জ্যা তো আছেই । রাত্রে বেলা কোন অবস্থাতেই পাঁচ তারা হোটেল কিংবা হাই ফাই অফিসের থেকে কম মনে হয়না।

চীনা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের একমাত্র লক্ষ হচ্ছে উন্নত জাতি গঠন করা। এক্ষ্যে তারা মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম করে এবং করায়। অধ্যবসায়ই যেন একমাত্র চাবি কাঠি। একমাত্র শিক্ষাখাতে উন্নতি করতে পারলেই দেশের উন্নতি সম্ভব। চীন সেটাই করে দেখিয়েছে। প্রথম সারির দেশগুলোর ভেতর চীন অন্যতম।

বাংলাদেশের কথা চিন্তা করতে মাঝে মাঝে আমার খুব কষ্ট হয় । কেন আমরা এতো আপন করে নিতে পারিনা? কেনই বা আমরা ভয়ে থাকি কিংবা ভয়ে রাখা হয়। অনেকেই বলেন এডুকেশন সিস্টেম খারাপ কিংবা অহেতুক পড়াশুনার ব্যাপক চাপ । চীন দেশে পড়াশুনার চাপ বাংলাদেশ থেকে তিনগুন না হলেও দ্বিগুনের কম হবেনা এমন না যে চীনারা শুধু পড়াশুনাই করে । চীনারা নাচ , গান , খেলাধুলা সব বিষয়ে সমান পারদর্শী। বিশ্ববিদ্যালে ভর্তির পর এক মাস তাদের মিলিটারি ট্রেনিং হয় যেন দেশের যে কোন কাজে তারা সহায়তা করতে পারে। এতো কিছুর পরেও চীনারা এতে অভস্ত হয়ে পড়েছে এবং খুব সাধারণভাবেই জীবন যাপন করছে । শুধু মাত্র একটিই কারণ পড়াশুনার পরিবেশ তাদের অনূকুলে রাখা হয়েছে ।

অনেকেই হয়ত বলবেন আমি বাংলাদেশকে ছোট করে দেখাচ্ছি কিংবা তুলনা করে কথা বলছি । তাদের জন্য বলব সমালোচনা সহ্য করে নিজেকে শুধরে নিতে না পারলে কেউ কখনো বড় হতে পারে না। আমি কোন ভাবেই দেশকে ছোট করছিনা। পারতপক্ষে নেতিবাচক ইংরেজী কোন খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করি না কারণ আমি চাইনা আমার দেশকে আমার বিদেশি বন্ধুদের কাছে ছোট করে দেখাতে। একবার দেশের বাইরে এসে দেখুন, তখন মাতৃকার মর্ম সেদিন বুঝতে পারবেন । তেঁতো হলেও যেমন সত্য মিথ্যে হয়ে যাবেনা একই ভাবে এর প্রতিষকও কিন্তু রয়েছে। আজ আর নয় হয়ত অন্য কোন দিন ফিরে আসবো প্রবাস জীবনের অন্য কোন ঘটনা কিংবা মতামত নিয়ে।

শিহাব আল মামুন
সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
হুয়াইন ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি
জিয়াংসু, চীন। ২১.১১.২০১৮

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যেইভাবে পড়ছেন, পড়ালেখা শেষে আপনি দেশে চলে এলে, আমাদের সমস্যা আর থাকবে না।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

Shihab A. Mamun বলেছেন: দেশে আসার পরে চাইনিজ সার্টিফিকেট দেখে অনেকেই নাক সিটাকাবে ! অথচ তারা কিছুই দেখেনি চীনে কিভাবে পড়ানো হয় । এটাই হচ্ছে সমস্যা !

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালে ভর্তির পর এক মাস তাদের মিলিটারি ট্রেনিং হয় যেন
দেশের যে কোন কাজে তারা সহায়তা করতে পারে।

..........................................................................................
এটাই সবার জন্য হওয়া উচিৎ,

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

Shihab A. Mamun বলেছেন: আমাদের দেশে পলিটিকাল ট্রেনিং হয়! বেহুদা মিটিং মিছিল এর! :(

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২২

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ শিহাব মামুন - জনাব , চীনারা খালি পড়াশোনা করে ? মসজিদে/মন্দির/প্যাগোডায় যায় না ? ধর্ম-কর্ম কিচ্ছু করে না ? আশ্চর্য ! পরকালে এরা স্বর্গ/বেহেশতে যাবে কিভাবে ? যাই বলেন, আমরা উপমহাদেশের মুসলিম/হিন্দুরাই ভালো আছি। কাজ কম, পড়াশোনা কম , ধর্ম পালন বেশি। দুইদিনের এই দুনিয়া , এত পরিশ্রম করে, এত পড়াশোনা করে কি লাভ ?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

Shihab A. Mamun বলেছেন: ১০% মানুষ ধর্ম কর্ম করে! বাকিদের ধর্মের কোন হদিস নাই! হদিস নাই বলে যে কেউ কাউকে কটাক্ষ করে এমনও না! সবাই সবার মতামতকে সম্মান করে। বাকি সার্কাজমের উত্তর নাই বা দিলাম ।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: লাইব্রেরীটা আমার চাই।

ভালো পোস্ট :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

Shihab A. Mamun বলেছেন: এমন লাইব্রেরি থাকলে খুব ভালো হত

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ওখানে তো আমাদের মতো লাল/নীল/সাদা প্যানেল নেই। না আছে -বিম্পি, আ্ম্মিলিগ, কিংম্বা জমাতি! ওখানে আছে শিক্ষানুরাগী ছাত্র+শিক্ষকরা তাই ওদের এতো উন্নতি!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

Shihab A. Mamun বলেছেন: এখানে একটি সরকার ! তার প্রতি সবাই অনুগত! নাগরিকদেরও সরকার সব দিক থেকেই খুশি রেখেছে

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত চীনা অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আশাকরি, পাঠশেষে দেশে ফিরে এসে লব্ধ জ্ঞান ও প্রথার আলোকে নিজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু অবদান রাখবেন।
পোস্টে প্লাস + +

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

Shihab A. Mamun বলেছেন: যদি সুযোগ পাই তবে

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
বেশ ভালো লিখা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫২

Shihab A. Mamun বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

জুন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে খুব ভালোলাগলো। সেদিন কো নিউজে পড়লাম আমেরিকার কোন ইউনিভার্সিটির এক বাংগালী (পব) টিচার ছাত্রদের দিয়ে পারসোনাল কাজ করায় এমনকি পালিত কুকুরের দেখাশোনা পর্যন্ত। কেউ কিছু বললে কাজ হয়না কারন সে অনেক ফান্ড নিয়ে আসে। এমন ঘটনা ব্যংককের এআইটিতে পর্যন্ত ঘটেছে এই উপমহাদেশের টিচার এর দ্বারা।
এই প্রসংগে একটা কথা শেয়ার করছি। আমাদের দেশে হলি আর্টিজেন ঘটনার দু এক দিন পর আমার ছেলে ম্যাসেজ পাঠালো "আম্মু কাল আমাদের নতুন সেমিষ্টার জাপানি টিচার ক্লাস নেবে। সেতো এসেই সবার নাম ধাম কে কোন দেশ থেকে এসেছি জানতে চাইবে। আমি বাংলাদ্রেশের এটা কি করে বলবো যেখানে ওই ঘটনায় কিছু জাপানি প্রান হারিয়েছে"। ওরা অনেক সভ্য তাই তার পরিচয় জেনেও কোন কিছু বলেনি। পরবর্তীতে আমার ছেলে তার প্রিয় ছাত্র ছিল।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

Shihab A. Mamun বলেছেন: এশিয়ান টিচাররা কিছুটা এমনি! ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি টিচারাও একি কাজ করে ! তবে সবাই এক না

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০

সুমন কর বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা পড়ে খুব ভালো লাগল। শুভকামনা.........

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

Shihab A. Mamun বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫১

বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগল আপনার অভিজ্ঞতার টুকরো টুকরো গল্পগুলো। ভাল থাকবেন

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

Shihab A. Mamun বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ ! আপনার দেহি বামাতীগো মতন বামে ঘোরার রোগ হইয়াছে ! সবকিছুতেই ধর্ম আর ধার্মিকদের দোষ !! যারে দেখতে নারি , তার চলন বাঁকা !!

উপমহাদেশের কয় পার্সেন্ট লোক প্র্যাকটিসিং মুসলিম/হিন্দু ? কোন ধর্ম/ধার্মিক বলিয়াছে খালি ধর্মকর্মই করিও , লেখাপড়া করিও না ?

ইংরেজ আমল হইতেই উপমহাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম , হিন্দুরা মাইনকা চিপার বাসিন্দাদের অনুসরণ করিতেছে, ধর্মের নহে ! আপনার মতন মাইনকা চিপার বাসিন্দারাই সরকার চালাইয়াছে, শিক্ষাব্যাবস্থা গড়িয়াছে , সিস্টেম চালাইয়াছে ! সুতরাং ব্যার্থতার দায় ধার্মিক বা ধর্মের নহে , আপনার মতন মাইনকা চিপার বাসিন্দাদের, আর যাহাদের মাইনকা চিপায় বাস করেন তাহাদের !!

চীনা মুদ্রার একপিঠ যেমন বিস্ময়কর রকম ভালো , আরেকপিঠ ডাস্টবিনের চেয়েও দুর্গন্ধযুক্ত !!

জাতির জাতীয় উন্নতি করিতে হইলে শিক্ষার বিকল্প নাই ! আমাদের দেশে সাধারণ শিক্ষালয়গুলোতে ইনটেনসিভ লার্নিংয়ের অভাব ! সবাই রিলাক্স মুডে লেখাপড়া করিতে চায় (আমিও) ! সুযোগও পায় ! উন্নত বিশ্বে সেই সুযোগ নাই ! ইনটেনসিভ লার্নিংয়ের কারণে কম্পিটেন্স গ্রো করে। চীন সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করিতেছে ! আমাদের দেশের সিস্টেমের কারণে বিদেশের খরগোশও দেশে আসিয়া কচ্ছোপ হইয়া যায় !

১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: অনেকেই হয়তো বলবেন আমি বাংলাদেশকে ছোট করে দেখাচ্ছি..... আরে আপনি আর ছোট করবেন কিভাবে? যারা দেশটাকে বড় করতে পারতো, তারাইতো দেশকে ছোট করার মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে গাঁটের টাকা খর্চা করে। দেশের বাইরে গেলেই নিজেদের অবস্থা এবং অবস্থানের কথা চিন্তা করলে নিতান্তই অর্বাচীন মনে হয় নিজেদেরকে।

ভালো লাগলো লেখাটা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

Shihab A. Mamun বলেছেন: তবুও তো বাঙ্গালী

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চীনাদের মুদ্রার এক পিঠ দেখালেন, আর এক পিঠ কই?

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

Shihab A. Mamun বলেছেন: কোন পিঠ দেখতে চাচ্ছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.