নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ এর অকথিত গণহত্যাঃ পর্ব- ময়মসিংহ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৮



#এক
২৬ মার্চ সকাল থেকে ইপিআর ক্যাম্পের লোকজন শহরে এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে। যারা যোগাযোগ করেছিলেন তাদের মধ্যে কোনো কমিশন্ড অফিসার ছিলো না। ছিলো চারজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এবং কয়েকজন নন-কমিশন্ড অফিসার। আওয়ামী লীগ নেতারা তাদেরকে পুরো ক্ষমতা নিয়ে অবাঙালী নিধনের পরামর্শ দেন। কিন্তু বাঙালীরা ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি অবলোকন করছিলেন। প্রথম আক্রমণ করে অবাঙালীরা। সীমিত অস্ত্র নিয়ে অবাঙালীরা বাঙালী ইপিআরদের হাতিয়ার কেড়ে নেয়ার পদক্ষেপ নিলে বাধে যুদ্ধ। প্রায় ৫৮ ঘন্টা যুদ্ধের পর বাঙালীদের হাতে আসে পুরো ক্যাম্পের কর্তৃত্ব। যে সমস্ত জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অংশ নেন তারা হলেন যথাক্রমে সুবেদার হাকিম, সুবেদার জিয়াউল হক, সুবেদার হারিস এবং সুবেদার মালেক। পাঁচজন অবাঙালী অফিসার ও অর্ধশত বিভিন্ন র‍্যাঙ্কের অবাঙালী সৈনিক এ যুদ্ধে নিহত হয়। সাথে সাথে নেত্রকোণা জামালপুরসহ সকল সীমান্ত চৌকিতে পাঞ্জাবী নিধনের মেসেজ পাঠানো হয় এবং মাত্র ৭২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে তা কার্যকর হয়।

... খুব সহজে দখলদার বাহিনী ময়মসিংহে ঢুকতে পারেনি। মধুপুরের প্রথম দিনের যুদ্ধে ম. হামিদ ইপিআর এবং ছাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় প্রচন্ড যুদ্ধ করে হানাদারদের পরাজিত করে। এতে একটি পরিবহন যানসহ বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করতে সক্ষম হয় মুক্তিযোদ্ধারা। এই যুদ্ধ জয়ের কারণে জনমনে ব্যাপক উদ্দীপনা ফিরে এলেও সংগতির অভাবে আর বেশিদিন ময়মনসিংহকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। মধুপুরের গড়ে যখন প্রায় প্রত্যেকদিন হানাদার বাহিনী আক্রমণ করে চলছিলো ঠিক তখন ময়মনসিংহ শহরে বসবাসরত অবাঙালীরা এবং স্বাধীনতাবিরোধী কতিপয় রাজনৈতিক দলের সদস্যরা ময়মনসিংহ পতনের চেষ্টা চালায়। জনগণ এটাকে সুস্থভাবে গ্রহণ করেনি বলেই তাদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার তুলে নেয়। এতে কয়েকশ' লোক নিহত হয়। এ সময় শহরে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা॥"

- জাফর ইকবাল / ময়মনসিংহে মুক্তিযুদ্ধ [ ভোরের কাগজ - ১৬.১২.১৯৯২ ]

তথ্যসূত্র :
স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি / সম্পাদনা : ফরিদ কবির ॥ মাওলা ব্রাদার্স - জানুয়ারি, ১৯৯৪ । পৃ: ৯৩-৯৪।

#দুই
"... ময়মনসিংহে খাকডোরে ইপিআর-এর ২ নং শাখা ছিল। উইং কমান্ডার ছিল ক্যাপ্টেন কমর আব্বাস (প: পাকিস্তানী), সুবেদার মেজর জিন্নত গুল (পাঠান), নায়েব সুবেদার খান বাহাদুর, নায়েব সুবেদার হজরত খান, নায়েব সুবেদার রাজা বেলাল (প: পাকিস্তানী)।

... আমাদের ব্যারাকের পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ১৪ নং ডিভিশনের (যারা ইলেকশন ডিউটিতে ময়মনসিংহ এসেছিল) এক প্লাটুন সৈন্য তাঁবুর মধ্যে ছিল। রাত প্রায় সাড়ে বারটার সময় হঠাৎ একটা গুলির আওয়াজ শোনা গেল। তখন লাইনের ভেতরে যে কয়েকজন অবাঙ্গালী ইপিআর ছিল তাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। নান্নু তখন সাথে সাথে তার হালকা মেশিনগান দিয়ে বারান্দা থেকে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের প্লাটুনের উপর ফায়ার আরম্ভ করে দেয়। বিহারী সিপাহী মমতাজের নিকট থেকে আমি একটা হালকা মেশিনগান উদ্ধার করি। এই গান বাঙ্গালী সিপাহী হারুণকে দিই । হারুণকে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের প্লাটুনের উপর ফায়ার করার জন্য নির্দেশ দিই । সিপাই মোস্তফাকে একটি হালকা মেশিনগান দি ই দোতলা-তেতলা থেকে সিঁড়ির পথ বন্ধ করার জন্য। তখন আমি উপরতলায় যত বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী ইপিআর ছিল সবাইকে উদ্দেশ করে বললাম, রাত্রি বেলায় কেউ যেন নীচে নামার চেষ্টা না করে। যদি কেউ চেষ্টা করে তাকে গুলি করা হবে। তারপর পাঞ্জাব রেজিমেন্টের প্লাটুনের সাথে আমাদের সারারাত গুলি বিনিময় হয়। ভোর পর্যন্ত (২৮শে মার্চ) পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সমস্ত প্লাটুনকে ধ্বংস করা হয়।

২৮শে মার্চ সকালবেলা আমি হারুণকে নির্দেশ দিলাম মেগাফোন দিয়ে স্লোগান দেয়ার জন্য : নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবার, জয় বাঙ্গালীর জয়। আরো বললাম সবাই এখন উপরতলা থেকে নিচে নামতে পারে।

তারপর আমি সিপাই নান্নু, সিপাই মোস্তফা, সিপাই হারুণ এবং আরো কয়েকজন সিপাই নিয়ে সুবেদার মেজর জিন্নত গুলের কোয়ার্টার আক্রমণ করি। সেই কোয়ার্টারে দু'জন হাবিলদারসহ চারজন পাকিস্তানী জেসিও ছিল। আমরা বাঙ্গালীরা সবাই মিলে তাদের উপর ফায়ার করছিলাম। এমন সময় উইং কমান্ডার তার পার্টি নিয়ে পেছন দিক থেকে আমাদের উপর আক্রমণ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা দেখে ফেলি। উইং কমান্ডারের পার্টির সাথে আমাদের গুলি বিনিময় হয়। তার পরই উইং কমান্ডার তার পার্টিসহ মুক্তাগাছার দিকে পালাতে চেষ্টা করে।

ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইলের বাস রোড রেল লাইনের ক্রসিং-এ উইং কমান্ডারের পার্টি পজিশন নেয়। তখন সিপাই নান্নু মিয়া ক্রলিং করে ক্যাপ্টেন কমর আব্বাসের নিকট চলে যায়। কমর আব্বাস নান্নুকে দেখে ফেলে এবং চীনা স্টেনগান দিয়ে নান্নুর উপর ব্রাশ ফায়ার করে। নান্নু পজিশন নেয়াতে তার গায়ে গুলি লাগে নাই। ক্যাপ্টেন কমর আব্বাস আবার অন্য ম্যাগাজিন গানের মধ্যে লাগাবার্ চেষ্টা করে। তার আগেই নান্নু ক্যাপ্টেন কমর আব্বাসকে গুলি করে মেরে ফেলে। এভাবে তার সাথের সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। তার সাথে সাথেই চারদিক থেকে জনতা এসে তাদের মৃতদেহ নিয়ে যায় এবং মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে প্রদর্শন করে ঘুরে বেড়ায়। তারপর আমরা আবার সুবেদার মেজর পার্টিকে আক্রমণ করি। ২৮শে মার্চ বিকেল পাঁচটার সময় তারা আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তারপর আমরা বাঙ্গালী ইপিআররা সুবেদার মেজরের পার্টিকে "ময়মনসিংহ জেলে পাঠাই"॥"

- সিপাই আফতাব হোসেন (সাক্ষাৎকার) / ২৪-৭-১৯৭৪

তথ্যসূত্র :
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র ( ৯ম খন্ড) / সম্পাদনা: হাসান হাফিজুর রহমান ॥ তথ্য মন্ত্রণালয় - জুন, ১৯৮৪ । পৃ: ২৮৩-২৮৫

#তিন
"... ২৮শে মার্চ বেলা ৮টা পর্যন্ত দুই পক্ষে তুমুল লড়াই চলে। পশ্চিম পাকিস্তানীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৩-৯৪ জন। ১১ জন জেসিও-এনসিও জেসিও বেসে সারারাত ফায়ার করার পর ১৭ থেকে ১৯ বাক্স গুলি সহ আত্মসমর্পণ করে সুবেদার ফরিদের কাছে। ক্যাপ্টেন কমর আব্বাস সকালবেলায় সিপাই নান্নু মিয়া এবং আফতাব হোসেনের সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়। উল্লেখযোগ্য যে, সিপাই নান্নু এবং আফতাব স্বাধীনতা সংগ্রামে কর্নেল নুরুজ্জামানের অধীনে এবং ডালু সেক্টরে অত্যন্ত সাহস ও বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে।

১১ জন জেসিও ও এনসিওকে সুবেদার ফরিদউদ্দিন ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় "ময়মনসিংহ জেলে বন্দী করা হয়"। অত:পর ময়মনসিংহের সকল বাঙ্গালী জোয়ান এনসিও ও জেসিও মেজর শফিউল্লাহ্র নেতৃত্বে সংগঠিত হয়ে ৪/৬ কোম্পানী গঠন করে জয়দেবপুর ও টঙ্গী অভিমুখে যাত্রা করে॥"

- সুবেদার মেজর জিয়াউল হক (সাক্ষাৎকার) / ৮-৬-১৯৭৪
তথ্যসূত্র : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র ( ৯ম খন্ড)
সম্পাদনা: হাসান হাফিজুর রহমান।
তথ্য মন্ত্রণালয় - জুন, ১৯৮৪ । পৃ: ৩০৬

#চার
"... ময়মনসিংহ, সেনানিবাস। ২৭শে মার্চ, ১৯৭১। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বিদ্রোহ করে। তারা তাদের পশ্চিম পাকিস্তানী সহকর্মীদের হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে অফিসারও ছিলেন। তাছাড়া ছিলো আরো বহুলোক যারা রাতে তাদের বাসস্থানে ও ব্যারাকে ঘুমিয়েছিলো।

১৬-১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১। ময়মনসিংহ শহর। প্রাক্তন ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলসের লোকজন মেশিন গান নিয়ে ময়মনসিংহ সদর জেল চড়াও করে এবং নিরাপত্তার কারণে স্থানান্তরিত বহিরাগত লোকদের গুলি করে হত্যা করে।

১৭-২০শে এপ্রিল, ১৯৭১। সানকীপাড়া ও অন্যান্য কলোনী। উন্মত্ত জনতার হাতে রাইফেল, তলোয়ার, বর্শা, ছোরা এবং রামদা ছিলো। তারা ময়মনসিংহ শহর ও তার আশপাশের সানকীপাড়া ও অন্যান্য ৯টি কলোনী আক্রমণ করে অধিকাংশ পুরুষ অধিবাসীদের হত্যা করে। খবরে প্রকাশ যে প্রায় ৫ হাজার লোক নিহত হয়। মেয়েরা একটি মসজিদ এবং একটি স্কুল ভবনে জড়ো হয়েছিলো। ২১শে এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে সেনাবাহিনী যখন শহরটিকে হস্তগত করে, তখন তারা এই মেয়েদের উদ্ধার করে॥"

তথ্যসূত্র :
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : পাকিস্তান সরকারের শ্বেতপত্র।
সম্পাদনা : বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।
আগামী প্রকাশনী - ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৩ । পৃ: ১৪৯

#পাঁচ
"... নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার পাশাপাশি উজ্জল মানবিক চৈতন্য ও বিবেক সম্পন্ন মানুষওতো আছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এমন ঘটনা পাশাপাশিও দেখেছি। ময়মনসিংহের কিছু ঘটনার কথা মনে পড়ছে। ময়মনসিংহের ছত্রপুর এলাকার রেল কলোনীতে অনেক বিহারী ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে কলোনীতে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে মরে শিশু, নারী ও পুরুষ। আগুন-নেভার পর কোন কোন ঘরে পুড়ে যাওয়া আদম সন্তানের বিকৃত ও বীভৎস চেহারা দেখে চমকে উঠেছিলাম। মনে হয়েছিল এক মানুষ অন্য মানুষকে কি করে এত নিষ্ঠুরভাবে মারে॥" - ১৮ এপ্রিল, ১৯৭৬

- শামসুজ্জামান খান, "দিনলিপি"
অন্বেষা - ফেব্রুয়ারি, ২০১০ । পৃ: ১৩৬

#ছয়
"... ময়মনসিংহ শহরে এ সময় একটি মানবতা বিরােধী ঘটনা সংঘটিত হয়। মুখে মুখে একটা শ্লোগান চালু ছিল -

“দুই একটা মাউরা ধর,
সকাল বিকাল নাস্তা কর”

সাপ মারার জন্য কিছু লিফলেট ছাড়া হয়েছিল। সাপ বলতে অবাঙ্গালি দের বলা হয়েছিল। অবাঙ্গালি মূলত: পাকিস্তান সৃষ্টির পরে বিহার অঞ্চল থেকে আসা মােহাজির, রেলওয়ের চাকরী সূত্রে এবং অন্যান্য পেশার কারণে কয়েক হাজার বিহারী ময়মনসিংহ শহরের রেলওয়ে কলােনী, রামকৃষ্ণ মিশন, পাট গুদাম অঞ্চলে এবং জামালপুরে বাস করতাে। ব্যবসা সূত্রে আগা খাঁ সম্প্রদায় ময়মনসিংহে বাস করছিল। ময়মনসিংহ জেলখানার পশ্চিমে আগাখানিদের একটা সুন্দর কলােনী ছিল। সেখানে তারা থাকতাে।

১৮ এপ্রিল তারিখে দুষ্কৃতকারী কিছু লোক প্রায় একঽশ জনের উপরে বিহারীকে হত্যা করে। আগাখানিদের বাড়ি লুটপাট করে। বিপন্ন পরিবারের অনেককে আমাদের অঘোরবন্ধু কলোনীর পূর্বে বিদ্যাময়ী গার্লস স্কুলের কড়া পাহারায় রাখা হয়। গলায় কোরআন শরীফ ঝুলিয়ে বিদ্যাময়ী গার্লস স্কুলে অসহায় নারীদের মৃত্যুভয়ের কাতর দৃষ্টি ভােলা যায় না। ভােলা সম্ভব নয়। তবে আশার কথা কিছু সংখ্যক মানুষ এটি প্রতিরােধ করতে চেষ্টা করেছিল। পারেনি। একজনের কথা উল্লেখ করতে চাই যার নাম কোথাও উচ্চারিত হয়নি। তিনি হলেন আকুয়া ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের চেয়াম্যান ফজলুল হক যিনি 'ফজলু মামু' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এই মানুষটি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নীরব কর্মী ছিলেন। স্টেজ নিয়ে কাজ করতেন। অন্য কর্মীরা যখন বাড়ী যেয়ে গােসল সেরে ভাল কাপড় চোপড় পরে অতিথি অভ্যর্থনার জন্য হাজির, ফজলু মামু একমনে বগা সিগারেট টানছেন এবং স্টেজে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন। বিহারী হত্যা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বলেছেন - “তাকে না মেরে বিহারী হত্যা করা যাবেনা”। তাকে আটকে রেখে দুস্কৃতিকারীরা হত্যাকান্ড চালায়। রাজনীতির দিক থেকে তিনি মুসলীম লীগ করতেন। পরবর্তীতে বিএনপির সাংসদ॥"

- শেখ আকরাম আলী (সাবেক যুগ্ম সচিব) / গোপন দলিল : ২৭০-২৭১
বাংলাদেশ বুক ক্লাব - ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ । পৃ: ৭৭-৭৮ ]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

বাংলার মেলা বলেছেন: আপনার কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ নেতারা তখন ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর, তারা অবাঙ্গালি নিধনের ক্ষমতা কিভাবে দিল? অবাঙ্গালি মারা কি তখন এতই সোজা?

অবাঙ্গালিরা হামলা করেছিল - এই খবরও বিশ্বাসযোগ্য না। ইপিআরএ তখন অবাঙ্গালী ছিল ৫%এরও কম। এত কম লোকবল নিয়ে আক্রমণ করতে যাওয়া তো আত্মহত্যার শামিল।

ইপিআরএ বাঙ্গালির সংখ্যা বেশি থাকার কারণেই এই বাহিনীই প্রথম হানাদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সাহস করতে পেরেছিল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

যাযাবর চিল বলেছেন: একটা কথাও আমার না...। বইগুলো বাজারে আছে, চেক করুন

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে---

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অনেক দিন পরে আপনার লেখা পেলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.