নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তান কেন হঠাৎ অতি ভদ্র হয়ে গেল!?

০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৭



এক- গত কয়েক বছরে বিশ্ব রাজনীতিতে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে। আমেরিকা নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বকে চীন-রাশা, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান জোট একটা ভাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। সিরিয়ায় ইঙ্গ-মার্কিন গংদের রাশা-চীনের কাছে প্রথম পরাজয়। আগামী কয়েক বছরে এই নতুন জোটের প্রভাব বাড়বে। এশিয়াতে এই জোট পশ্চিমাদের আধিপত্য খর্ব করবে সেটা অনেকটাই নিশ্চত। পাকিস্তান এশিয়াতে এই জোটের একটা বড় গুটি। আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের প্রকাশ্যে বাক-যুদ্ধ এই জোটের পরিকল্পনার একটা অংশ। যতদিন যাবে পাকিস্তানের প্রভাব বাড়বে।

দুই- চীন পাকিস্তানে বিশাল বিনিয়োগ করেছে। আগামী কয়েক বছরে পাকিস্তানে চীনের প্রজেক্ট গুলো দৃশ্যমান হবে।

তিন- মার্কিন ব্লকের টাকার কুমির সউদি আরবের সাথে ধর্মীয় কারনে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভাল। এমবিএস ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে পাকিস্তানে।

অর্থাৎ আগামী কয়েক বছর পরে যদি যুদ্ধ হয়, পাকিস্তান ছোট দেশ, ভারতকে বোমা মারতে হবে খুবই হিসাব করে কারন বোমা যদি চীনা প্রজেক্টে পরে তাহলে ভারতের অবস্থা কি হবে সেটা পাগলেও বোঝে। বহুদিন ধরে তারা অপেক্ষায় আছে অরুণাচল দখলের একটা উপলক্ষের জন্য। আবার বন্ধু সউদি প্রজেক্টে বোম পরলে সউদি রাজপরিবার চটবে। হিসাবটা একটু জটিল।

চার- রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সাথে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর নিয়মিত যৌথ মহড়া হচ্ছে। পাকিস্তান স্ব-প্রনোদিত হয়েই রাশার সাথে সামরিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে।

পাঁচ- মুখে যাই বলুক কাস্মীরের মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় এবং প্রশিক্ষণ দেয় পাকিস্তানই। আমেরিকা আফগান ছাড়া শুরু করেছে। আমেরিকা ছাড়া মাত্রই আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসবে তালেবানরা। আর সব যোদ্ধাদের পাঠিয়ে দেবে কাস্মীরে। রাশা-আমেরিকাকে হারানো আফগান যোদ্ধাদের ভারতের মোকাবেলা করা সহজ হবে না।

ভারতের একটা প্রধান সমস্যা ভারতের আশেপাশে সমর্থন করার কেউ নেই। এমনকি ভারতের আজীবনের বন্ধু আওয়ামী লীগও চীনা ব্লকের দিকে এগোচ্ছে। গত বছর প্রকাশ্যে ভারতের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিলেও, এবার যুদ্ধ বিরোধী শান্তির কথা বলছে মূলত চীনকে খুশি রাখতে। নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের ক্ষমতায়ও চীনপন্থীরা।

কিন্তু পাকিস্তানের সাথে প্রতিবেশী চীন, রাশিয়া, ইরান রয়েছে। এদের সাথে দিনে দিনে পাকিস্তানের সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে।

বর্তমানে যুদ্ধের ফলাফল মাঠে না, টেবিলে নির্ধারিত হয়। পাকিস্তান সেই হিসাব ভালভাবেই কষে নিয়েছে। আগামী ৫/১০ বছর পরে যুদ্ধ হওয়া মানে অনেকটা ভারতের জন্য মরন ফাঁদ। তাই ভারত এখন এমন পাগল হয়ে গেছে।

ঘটনা যাই হোক শান্তিকামীর পোশাক পরে পাকিস্তান এখন যুদ্ধ লাগাবে না। তারা সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে, হঠাৎ করে ভয়াবহ দ্বায়িত্বশীল বা যুদ্ধ বিরোধী হয়ে গেছে ব্যাপারটা তা না।

ইমরান খানের অভূতপূর্ব এই কূটনৈতিক সফলতা, ভবিষ্যৎ যুদ্ধে নিশ্চিত ভাবেই পাকিস্তানকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: হায়রে মজার চুলকানি!!!!

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

ইমরান খান বিশ্বের সেরা বুদ্ধিমান মানুষ, পাকিস্তান সেরা দেশ, আপনি সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক পরিস্হিতি বিশ্লেষক।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ইমরানই সেই যাদু। তিনি সঠিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৫৮

মোহাম্মাদ ফারহান খান বলেছেন: আপনার হিসাব কষার সাথে আরও একটি হিসাব করা দরকার ছিল।যদি আমেরিকা,ভারত ও ইসরাইল জোট বদ্ধ হয় তাহলে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হবে।ইমরান ও ট্রাম্পের মধ্যে বাক-যুদ্ধ একটি বিষয় ক্লিয়ার করে যে তাকে উপর মহলের বড় সরদাররা ভরসা দিয়েছে।আর চীনের অর্থনীতির গতি বাড়ার মানের পাকিস্তানের অনুদান বা ভিক্ষা বৃদ্ধি পাবে।ইমরান খানকে ধন্যবাদ যুদ্ধ এড়ানোর জন্য।এ কথা সত্য যে ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা যুদ্ধ উম্মাদনায় ভুগছে।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ২:০৩

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: যতোই বলুন না কেন ইসরাইলই শেষ হাসি হাসবে আর পাকিস্তান বলুন আর মুসলিম জোট/সেনা বলুন ওরা হারবে।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ২:১৬

কিরন রুদ্র বলেছেন: আপনি শুধু শুধু মোবাইলের ডাটা নষ্ট না করে
ধাঁধার প্রশ্নের উত্তরে জিতে নিন বিকাশ টাকা
বিস্তারিত জানতে
এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন shorturl.at/gxzEO

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পাকিস্তানের ভদ্র হয়ে যাওয়াটা আসলেই অস্বাভাবিক | এরা জেনেভা কনভেনশনের কথা বলে ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দিয়েছে | বাংলাদশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে কর্মরত চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্মীদের লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার সময় ওই সকল হারামজাদা পাক আর্মিদের জেনেভা কনভেনশনের কথা মনে পড়ে নাই ?

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্ধে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশ ভারত-পাকিদের জন্য ৫০-৫০ বাজি ধরবে | এরা কখনই পাকিদের একতরফা সমর্থন করবে না | এদের গুরু আমেরিকা যেই দিকে ঝুঁকবে এরাও সেই দিকে হেলে যাবে | রাশিয়া কখনোই ভারতের সাথে তার দীর্ঘসময়ের বন্ধুত্বের অবসান ঘটাবে না | দক্ষিণএশিয়ার অধিকাংশ দেশই ভারতকে অপছন্দ করলেও প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়ার মতো সাহস এদের কারোই নেই | আফগানিস্তান পাকিদের চেয়ে ভারতের সাথে বর্তমানে বেশি ঘনিষ্ট | পাকিস্তানের একমাত্র নির্ভরযোগ্য আজীবন বন্ধু হচ্ছে চীন যারা কখনোই ভারতকে সমর্থন করবে না | সুতরাং ভারত-পাকিস্তান দ্বন্ধের সমীকরণে পাকিস্তানকে একমাত্র ভরসা চীন |

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাকি-ভারত দ্বন্দে বাংলাদেশে একদল বাংপাকি ল্যাঞ্জা ভালমত দেখা যাচ্ছে।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একমাত্র বোকা রাই ভারত পাকিস্তানকে সমান সমান শক্তি হিসাবে দেখে। কোথায় ১৩০ কোটি আর কোথায় ২০ কোটি। পাকিস্তান অভিনন্দনকে ফেরত না দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.