![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামী বুধবার ২ জানুয়ারী রাজধানীতে বহুল কাক্সিক্ষত ১ হাতিরঝিল প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করবেন।
যানজটে বিপর্যস্ত, ধুলোবালিতে ধূসরিত, বিষাক্ত বাতাসে প্রাণান্তকর জীবনে একটু ছায়া নেই, চোখ খুলে দেখার মতো কোনো মনোরম দৃশ্যপট নেই। এই কি জীবন!
এ যেন নগরবাসীর বেদনাসঞ্জাত স্বগতোক্তি। এই হতাশা ও বেদনার মধ্যেই একটি সুখবর আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। রাজধানীর মাঝে চোখ ধাঁধানো, মন ভরানো একটি অপরূপ দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে । যেখানে গিয়ে মানুষ প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারবে, তরুণ-তরুণী ‘প্রমোদে’ মন ‘ভাসিয়ে’ দিতে পারবে। কলকাকলিতে মুখরিত হবে শিশু। রাজধানী ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবং পরিবেশসম্মতভাবে উপভোগ্য বিনোদনের কথা মাথায় রেখে হাতিরঝিল প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ শেষ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যারা অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করছেন তারা জানালেন, হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯৯ ভাগ শেষ হয়েছে। আগামীকাল বুধবারই হাতিরঝিল রূপকথার ছবির মতো ফুটে উঠবে।
হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় নির্মিত চারটি ব্রিজ, চারটি ওভারব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোডসহ সার্ভিস রোড এবং এক্সপ্রেস রোডের বিটুমিন কার্পেটিং করা হইয়েছে । মুক্তমঞ্চ, লেকঘাট, বাগান এবং অবকাশকেন্দ্র উন্নয়নের কাজ শেষ । প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূল প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও বিনোদনের জন্য ১৮টি ক্যাটাগরির উন্নয়ন কাজ চলমান থাকবে। তবে এ প্রকল্পের গলার কাঁটা হয়ে থাকা ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ৭৬টি মামলার মধ্যে ৭০টি মামলার নিষ্পত্তি হলেও অবশিষ্ট মামলাগুলোর নিষ্পত্তিই খুব শ্রিঘেই হবে ।
বছর কয়েক আগেও এটি ছিল নর্দমা। পচা পানির আধার। কিন্তু বর্তমানে এটি ঝকঝকে পানির আধার। দুই পাশে চমৎকার দৃষ্টিনন্দন রাস্তা, শান বাঁধানো ঘাট। রাস্তার পাশে বৃক্ষরাজির সমারোহ সঙ্গে নানা রঙের ফলের গাছ। এটি হাতিরঝিল। ২ জানুয়ারী খুলে দেওয়া হচ্ছে অনেকটা স্বপ্নের হাতিরঝিল প্রকল্প। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ার্স কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হইয়েছে ।
এই প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ৯৭১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত নয়নাভিরাম প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাজউক, ঢাকা ওয়াসা ও এলজিইডি বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো একটিকে অথবা 'হাতিরঝিল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ' নামে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা গঠন করে হাতিরঝিল প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের চিন্তাভাবনা চলছে।
রাজধানীর বাংলামটর থেকে মগবাজার-টঙ্গী ডাইভারশন রোড পেরিয়ে একদিকে রামপুরা ও অন্যদিকে গুলশান-বাড্ডা এলাকা পর্যন্ত হাতিরঝিল প্রকল্প বিস্তৃত। হাতিরঝিল খালের সঙ্গে উত্তরে গুলশান-বনানী লেক এবং দক্ষিণে বনশ্রী এলাকার দাসেরকান্দি খাল সংযুক্ত হয়ে বিশাল জলাধারে পরিণত হবে। পরিকল্পনা রয়েছে, পান্থপথ খালটি উদ্ধার করে ঝিলের পশ্চিমে ধানমণ্ডি লেকের সঙ্গে এ জলরাশির যোগসূত্র স্থাপন করা।
হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নগরবাসী পাচ্ছে প্রাণবন্ত খোলামেলা পরিবেশ। পাচ্ছে যানজট আর ঘনবসতিপূর্ণ শহরের কোলাহল থেকে মুক্ত থাকার একটি স্থান। ধীরে ধীরে স্থানটি চিত্তবিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করা হবে।
: হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাজধানীর মধ্যাঞ্চলে আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। চারপাশে পাম্প স্থাপন করায় আশপাশে পানি সংকটও থাকবে না। কারওয়ানবাজার-বাংলামটর থেকে রামপুরা যেতে সময় লাগবে মিনিট কয়েক। গুলশান-বাড্ডাও যাওয়া যাবে নিমেষেই। আট কিলোমিটার এক্সপ্রেস সড়ক দিয়ে দ্রুতগতির যান চলাচল করবে। এ সড়কের পাশে আরও আট কিলোমিটার সার্ভিস পথে রিকশাসহ যে কোনো যান চলাচল করতে পারবে। কাছাকাছি গন্তব্যে যেতে এ সড়ক ব্যবহৃত হবে। এক্সপ্রেস সড়কে রয়েছে চারটি দৃষ্টিনন্দন ওভারপাস। শুধু সড়কপথেই নয়, পানিপথে মগবাজার থেকে ওয়াটার বাসে চড়ে গুলশান-বারিধারায় যাতায়াতের সুযোগও থাকছে। রয়েছে ফুটপাত ছাড়াও নির্বিঘ্নে হেঁটে চলার জন্য প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ। তেজগাঁও দক্ষিণ কুনিপাড়ার সামনেও ব্রিজের সংযোগ সড়ক এবং টঙ্গী ডাইভারশন রোড-প্রগতি সরণি সংযোগ সড়কের পাশে একটি কার ও সাইকেল পার্কিং আর গুলশান অংশে একটি কারপার্কিং নির্মাণ করা হয়েছে।
ঝিলে সব স্যুয়ারেজ কানেকশন বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি গৃহস্থালির বর্জ্য যেন বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ঝিলে আসতে না পারে সেজন্য দু'পাশের রাস্তায় দুটি শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ঝিলের পানির আর কখনোই দূষিত হওয়ার সুযোগ থাকছে না।
http://www.youtube.com/watch?v=YfhsaKjJ8Eo
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
বাবু বিসি বলেছেন: ধন্যবাদ ! সু-খবর টা দেয়ার জন্য। প্রতিদিন ই মন চায় সট-কাট মারি, কিন্তু আরমি ওফিসারের কারনে পারি না।
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ভালো তবে "চোখ ধাঁধানো" টাইপের কিছুই হয়নি। প্রতিদিনইতো দেখি, এখনো অনেক কিছু করা বাকি। সুন্দর বাগান করা দরকার বিভিন্ন স্থানে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
খাইয়া কামনাই বলেছেন: খুব ভাল একটা প্রজেক্ট, আশা করি এটা টিকবে