![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাঙ্গালী আমি সাম্প্রদায়িক। আজ নিজেকে বাচিয়ে রাখতে নিজের স্বকীয়তাকে বাচিয়ে রাখতে সাম্প্রদায়িকতাকেই বড় আশ্রয় মনে হয় আমার ।
এ্ই শুদ্ধ সমাজী মুসলিম ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি । কেউকি আমায় নিন্মোক্ত কোরানের আয়তগুলোর তাৎপর্য বলতে পারেন???
হয়ত বা এগুলি ব্যাবহার করেই তৈরী হচ্ছে হাজারো জঙ্গি.....................................
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা সর্ব নিকৃষ্ট ও নাপাক:
১) “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ তায়ালার নিকট কাফিরেরাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (সূরা আনফাল- ৫৫)
২) নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক বা অপবিত্র। (সূরা-তাওবাহ, আয়াত : ২৮)
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা মুসলমানদের শত্রু, মুসলমানরা তাদের শত্রু:
১) নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের শত্রু (সূরা বাকারার : ৯৮)
২) ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’ (সূরা মায়িদা: ৮২)
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধদের সাথে কোন বন্ধুত্ব স্থাপন ও সম্পর্ক রাখা যাবে না:
১) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা মায়িদা-৫১)
৩) “মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ব্যতীত কাফেরদিগকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেউ এরূপ করবে তার সাথে আল্লাহ’র কোন সম্পর্ক থাকবে না ”(সূরা আল ইমরান: ২৮)
ইহুদী-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধদের ভক্ত হওয়া যাবে না, তাদের শ্রদ্ধা কিংবা প্রশংসা করা যাবে না:
১) হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভক্তি বা শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে গ্রহণ করোনা।” (সূরা মুমতাহিনা-১)
২) মেশকাত শরীফে আছে, “কোন ফাসেক ব্যক্তির প্রশংসা করেলে, আল্লাহ তায়ালা এতটা অসন্তুষ্ট হন যে উনার অসন্তুষ্টির কারণে আরশ পর্যন্ত প্রকম্পিত হয়।”
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা আমাদের ঈমান নষ্ট করতে চায় এবং এর জন্য সর্বদা চক্রান্ত করে:
১) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “তারা এটাই কামনা করে যে, তারা যেরূপ কুফরী করেছে তোমরাও সেইরূপ কুফরী কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও। (সূরা নিসা: ৮৯)
২) “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” (সূরা বাক্বারা-১০৯)
৩) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ইহুদী-নাছারারা কখনো তোমাদের (মুসলমানদের) প্রতি সন্তুষ্ট হবে না যতোক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের ধর্ম গ্রহণ না করবে বা অনুগত না হবে।” (সূরা বাক্বারা-১২০)
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধরা সর্বদা অন্তরে মুসলিম বিদ্বেষী চিন্তা করে:
১) হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। [সূরা আল ইমরান: ১১৮]
২) দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ মনের কথা ভালই জানেন। [সূরা আল ইমরান: ১১৯]
৩) তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর আয়ত্তে রয়েছে। [সূরা আল ইমরান: ১২০]
ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধদের বিরুদ্ধেই জিহাদ ফরজ করেছেন আল্লাহ:
১) “আর তাদের হত্যা করো যেখানেই তোমারা তাদের দেখা পাও, আর তাদের তাড়িয়ে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল, আর উৎপীড়ন যুদ্ধের চেয়ে নিকৃষ্টতর। কিন্তু তাদের হত্যা করো না পবিত্র-মসজিদের আশেপাশে যে পর্যন্ত না তারা সেখানে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, কাজেই তারা যদি তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তোমরাও তাদের সাথে লড়বে। এই হচ্ছে অবিশ্বাসীদের প্রাপ্য।”-সূরা আল বাক্বারাহ (১৯১)
২) নবীজির সময় কাফেরদের সাথে মুসলমানদের ২৭টি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, যার ৯টিতে নবীজি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন।
হিন্দুদের তথা কাফিরদের দেশ থেকে বের করে দেয়া:
১) নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হেজাজ থেকে সমস্ত মুশরিকদের বের করে দাও।” তাই করা হয়েছিল।
২) খাইবারে ইহুদিদেরকে রাখা হয়েছিল এই শর্তে যে, তাদেরকে যেকোন সময় বের করে দেয়া হতে পারে। সে মুতাবিক হযরত উমর রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু তাদেরকে পরবর্তীতে বের করে দিয়েছিলেন। নাজরানের খ্রিস্টানদেরকেও তিনি রাখেননি। (সূত্র: শিবলী নোমানীর লেখা ‘আল ফারুক’)
কেউ অযথা ফ্যাচর ফ্যাচর করিবেন না ।
আমি জানতে চাই তাই যুক্তি দিয়ে কথা বলুন ।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯
আহলান বলেছেন: জানার আগ্রহ থাকলে তাফসির পড়ে জেনে নিন। অনলাইনেও বহু তাফসির আছে, ডাউনলোড করে নিন ...সেটাই বেষ্ট ওয়ে। আপনাকে কেউ বুঝাবে আর আপনি তার বুঝে বুঝবেন, তেমন পাব্লিক আমরা কেউই না .... সুতরাং যার যার মগজ সে সে ধোলাই করেন । আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে, এই আয়াত সমুহ দ্বারাই আল্লাহ মুসলামনদেরকে জঙ্গি হওয়ার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন, যেনো তারা সারা পৃথিবী জুড়ে সব সময় অমুসলিমদেরকে মেরে কেটে বেড়াবে? তাহলে সারা বছর জুড়ে যুদ্ধই বেধে থাকতো। অর্ধ পৃথিবী শাসন করেছেন হযরত উমর (রাঃ)। তিনি কি ধরে ধরে অমুসলিমদের মেরেছিলেন? মারেন নাই। যদি তাই হতো তাহলে এমেরিকা ইংল্যান্ড ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানের লাখ লাখ নিরীহ মুসলমানকে হত্যা করার সুযোগ পেতো না।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
সাম্প্রদায়িক বলেছেন: অর্ধ পৃথিবী শাসন করেছেন হযরত উমর (রাঃ) @ কোন কোন এরিয়া নিয়ে এই অর্ধ পৃথিবী
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
আহলান বলেছেন: ইতিহাস পড়লেই জানতে পারবেন ... মূল বিষয় অর্ধ পৃথিবী নয়, ন্যয় সংগত শাসন ... কি পয়েন্ট রেখে বাইরে আসলেন যে!
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১
সাম্প্রদায়িক বলেছেন: ইতিহাস আর কি পরব । আমি তো বিজ্ঞানের খুটি ছাত্র । তাও যতটুকু পরেছি কোথাও ইসলামি শাসকদের দোষ পাইনি । হয়ত বা বাংলাদেশ বিধায় ....... কিন্তু মুসলিমদের পারিবারিক চেতনার উন্নতি আজও বুঝি হল না । তাহলে কি তারা উমর বা নবী কে অনুসরন করছে না??? কিংবা সত্য কোরান???
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪
যোগী বলেছেন:
এই রকম প্রশ্ন অনেক শুনেছি, তবে কেও উত্তর কেও দেয় না। শুধু আহালানের মত কিছু লোক টাল্টি বাল্টি বকে যায় কিছু সোয়াব কামানোর আশায়।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
দরবেশমুসাফির বলেছেন: ১) “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ তায়ালার নিকট কাফিরেরাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (সূরা আনফাল- ৫৫)
কাফির মানে হচ্ছে যে আল্লাহকে অস্বীকার করে ও সত্য প্রকাশিত হওয়ার পরও তা অস্বীকার করে। তাকে সত্য হিসেবে জেনেও।
এধরনের লোকেরা অবশ্যই সবচেয়ে নিকৃষ্ট। তবে সব বিধর্মীই যে আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট এটি ভুল। প্রমান:
নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান,তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না- সূরা মায়েদার ৬৯ নং আয়াত
২) “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” (সূরা বাক্বারা-১০৯)
এখানে কিন্তু বলা হয়নি ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের সবাই মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের কাফির বানিয়ে দিতে চায়। বলা হয়েছে ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই।
হ্যাঁ। অনেকে এমন চাইতেই পারে এবং চায়ও।
২) ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’ (সূরা মায়িদা: ৮২)
মানে এমন এক সময় আসবে যখন ইহুদী ও মুশরিকরা মুসলমানদের ক্ষতি করার চেস্টা সবচেয়ে বেশি করবে।এর মানে এই নয় কোন ইহুদী ও মুশরিক দেখলেই তাদের শত্রু মনে করতে হবে। এই আয়াতে একটি নির্দিস্ট সময়ের কথা বলা হচ্ছে যখন ইহুদী ও মুশরিকরা মুসলমানদের সাথে শত্রুতা শুরু করবে। এ ব্যাপারে হাদিসে বলা আছে।
২) নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক বা অপবিত্র। (সূরা-তাওবাহ, আয়াত : ২৮)
মুশরিক বলতে যে আললাহর পাশাপাশি আর কাউকেও স্রস্টার আসনে বসায়। এই কাজ সৃস্টিকর্তার মোটেও পছন্দ হওয়ার কথা নয়। আর মুশরিক বলতেই যেসব মূর্খ হিন্দু বুঝে থাকেন তাদের বলতে হচ্ছে যে এমন অনেক হিন্দুই আছে যাদের মুশরিকের কাতারে ফেলা যায় না। যেমন: ব্রাক্ষ্মন্যবাদী
১) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা মায়িদা-৫১)
এটিও একটি নির্দিস্ট সময়ের কথা বলছে যখন মক্কার সব ইহুদী ও খ্রিস্টানরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অন্যায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তখন তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা মানেই কিন্তু ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়াই বোঝাত।
ইহুদী ও খ্রিস্টানরা যদি বন্ধুত্বের উপযুক্ত নাই হত তবে আবিসিনিয়ার খ্রিস্টান রাজা মুহাম্মাদ সা: বন্ধু ছিল কিভাবে??
৩) “মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ব্যতীত কাফেরদিগকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেউ এরূপ করবে তার সাথে আল্লাহ’র কোন সম্পর্ক থাকবে না ”(সূরা আল ইমরান: ২৮)
উপরে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এখানেও তাই প্রযোজ্য।
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভক্তি বা শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে গ্রহণ করোনা
বিধর্মী মানেই যে আল্লাহর শত্রু এটি যে ভুল ধারনা তা নিশ্চয়ই উপরের ব্যাখ্যাগুলো দ্বারা ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে?
২) মেশকাত শরীফে আছে, “কোন ফাসেক ব্যক্তির প্রশংসা করেলে, আল্লাহ তায়ালা এতটা অসন্তুষ্ট হন যে উনার অসন্তুষ্টির কারণে আরশ পর্যন্ত প্রকম্পিত হয়।
এই হাদিসে তো কোন সমস্যাই নেই। ফাসিক শব্দের অর্থ জেনে নিন। একজন মুসলিমও ফাসিক হতে পারে।
১) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “তারা এটাই কামনা করে যে, তারা যেরূপ কুফরী করেছে তোমরাও সেইরূপ কুফরী কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও। (সূরা নিসা: ৮৯)
হ্যাঁ। অনেকে এমন কামনা করতেই পারে। এবং করেও
ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।” (সূরা বাক্বারা-১০৯
এখানেও বলা হয়েছে ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই,সবাই নয় কিন্তু।
ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকে এমন চাইতেই পারে এবং চায়ও।
ইহুদী-নাছারারা কখনো তোমাদের (মুসলমানদের) প্রতি সন্তুষ্ট হবে না যতোক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের ধর্ম গ্রহণ না করবে বা অনুগত না হবে।” (সূরা বাক্বারা-১২০)
এটিও একটি নির্দিস্ট সময়ের কথা বলছে যখন মক্কার সব ইহুদী ও খ্রিস্টানরা ইসলাম ধর্মের বিলোপ কামনা করত।এই আয়াতে তাদের দিকেই ইন্গিত করা হয়েছে।
হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। [সূরা আল ইমরান: ১১৮]
এই আয়াতে তো স্পস্ট বোঝা যাচ্ছে এখানে নির্দিস্ট সময়ের নির্দিস্ট কিছু মানুষকে ইন্গিত করা হয়েছে।তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়।এখানে মক্কার কাফির মুশরিকদের কথাই তো বলা হচ্ছে।
দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ মনের কথা ভালই জানেন। [সূরা আল ইমরান: ১১৯]
দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। এরকম লোক কি নেই যাদের সাথে যত ভালো আচরনই করা হোক না কেন তারা মুসলিমদের অনিস্ট সাধন করতে চায়? আমি এ আয়াতে তো আপত্তিকর কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না।
তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর আয়ত্তে রয়েছে। [সূরা আল ইমরান: ১২০]
এখানে মূলত মুনাফিকদের ইন্গিত করা হয়েছে যারা নিজেদের মুসলিম বলেই দাবি করে।
“আর তাদের হত্যা করো যেখানেই তোমারা তাদের দেখা পাও, আর তাদের তাড়িয়ে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল, আর উৎপীড়ন যুদ্ধের চেয়ে নিকৃষ্টতর। কিন্তু তাদের হত্যা করো না পবিত্র-মসজিদের আশেপাশে যে পর্যন্ত না তারা সেখানে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, কাজেই তারা যদি তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তোমরাও তাদের সাথে লড়বে। এই হচ্ছে অবিশ্বাসীদের প্রাপ্য।”-সূরা আল বাক্বারাহ (১৯১)
কুরানের কোন আয়াতের প্রকৃত অর্থ জানতে হলে তার প্রেক্ষাপট তথা শানে নুজুল জানতে হয়।আমার একজন ক্লোজ ফ্রেন্ড যদি আজ আপনাকে এসে বলে যে, দরবেশমুসাফির বলেছে যে, সে আমাকে মেরেই ফেলবে, তবে আপনার কাছে কি মনে হবে? মনে হবে আমি একজন সন্ত্রাসী, তাই না? কিন্তু ঐ ফ্রেন্ড যদি ঘটনার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলে যে, আমি দরবেশমুসাফিরের বন্ধু ও সে আমার সাথে মজা করে ওকথা বলেছে, তবে আপনার কাছে কি মনে হবে?এটাই প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব।
এবার ঐ আয়াতের প্রেক্ষাপট তথা শানে নুজুলের মূল কথাটা নিয়ে আলোচনা করি:
কুরানের সুরা তাওবা নাজিলের সময় মক্কার মূর্তিপূজারীরা বা মুশরিকরা মুসলমানদের ধন সম্পদ লুট করছিল। যেখানেই মুসলিম পুরুষ ও নারীদের পাচ্ছিল সেখানেই তাদের নির্মমভাবে হত্যা করছিল। এবার ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্মরণ করুন। পাকবাহীনি কি বাংগালীদের ধন সম্পদ লুট করছিল না? যেখানেই বাংগালী পুরুষ ও নারীদের পাচ্ছিল সেখানেই তাদের নির্মমভাবে হত্যা করছিল না?
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক-----সুরা তাওবা ৫
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের যেখানে পেয়েছেন সেখানেই হত্যা করেছেন, তাই না??তাদের বন্দী করেছেন এবং অবরোধ করেছেন। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থেকেছেন তাই না?? যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সৃষ্টিকর্তা কি মানুষকে বসে বসে মার খেতে বলবেন??
কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকে যায়। যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ----- সুরা তাওবা (আয়াত ৫)
এই আয়াত দিয়ে আল্লাহ কি মুশরিকদের মুসলিম হতে বাধ্য করতে বলেননি??এর উত্তর আছে একই সুরার ৬ নং আয়াতেঃ
আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না [সুরা তাওবা: ৬] ...
আশ্রয়? জি আশ্রয়, আপনি ঠিকই পড়েছেন। আল্লাহ যুদ্ধে কেউ আত্মসমর্পণ করলে তাকে শুধু আশ্রয় নয় নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে বলেছেন। সৈনিকদের স্বার্থরক্ষা করে প্রণীত আধুনিক জেনেভা কনভেনশন ও এতটা উদারতা দেখায়নি।
অর্থাৎ তারা যদি মুসলিম হয়ে যায় তবে ভাল।না হলে যদি তারা আত্মসমর্পণ করে তবে তাদের আশ্রয় দিয়ে, নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে হবে।যারা আপনাকে সুরা তাওবার ৫ নং আয়াত দেখিয়ে ইসলামকে সহিংস প্রমান করতে চাইবে তারাই কিন্তু সুরা তাওবার ৬ নং আয়াতের কথা ভুলেও মুখে আনবে না।
২) নবীজির সময় কাফেরদের সাথে মুসলমানদের ২৭টি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, যার ৯টিতে নবীজি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন।:
মুহাম্মাদ সা: এর অনুসারীদের নির্মম অত্যাচার করে তাদের অনেককেই হত্যা করে মক্কার মুশরিকরা। মুহাম্মাদ সা:কেও হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। নিজের মুস্টিমেয় কিছু অনুসারীদের রক্ষা করতে ও ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে মুহাম্মাদ সা: বাধ্য হন মদীনা শহরে আশ্রয় নিতে। সেখানে মুসলিম, খ্রীস্টান ও ইহুদিদের সাথে একত্রে একটি জাতি গঠন করেন তিনি। কায়েম করেন পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম গনতান্ত্রিক সংবিধান মদীনা সনদ। এর কিছু ধারা ছিল নিম্নরূপ:
১। সনদে স্বাক্ষরকারী মুসলমান, ইহুদি, নাসারা এবং পৌত্তলিকগন সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবেএবং একটি সাধারন জাতি গঠন করবে।
২।মুসলমান ও অমুসলমান বিভিন্ন সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে নিজ ধর্ম পালন করবে। কেহ কাহারো ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না।
৩।ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য অপরাধীই দায়ী হবে। তার সম্প্রদায় নয়।
৪।দুর্বল ও অসহায়দের রক্ষা করতে হবে তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন।
বদরের যুদ্ধ হয় মক্কায় থাকা মুসলিমদের সম্পদ পাচার হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে। কিন্তু উহুদের যুদ্ধই ছিল মদীনা রাস্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি প্রথম হুমকি। সেই উহুদের যুদ্ধে মক্কার মুশরিকরা মদীনা দখল করে মুসলিমদের ধরাপৃস্ঠ থেকে মুছে ফেলতে অগ্রসর হয়।তারা যদি সেদিন মদীনা দখল করতে পারত, তবে মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে মদীনার অন্য সব ধর্মের লোকদের উপরও তারা গনহত্যা চালাত। শিশু নারী কেউই বাদ যেত না। সেদিন মুসলিমরা সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ করে রক্ষা করেছিলেন মদীনাকে। রক্ষা করেছিলেন মদীনার খ্রীস্টান ও ইহুদিদেরকে
মুহাম্মাদ সা: ভিন্নধর্মের মানুষদের বাঁচাতে যুদ্ধ করেছেন? কাফেরদের জীবন বাঁচাতে যুদ্ধ করেছেন? জ্বী, হ্যাঁ। এরই নাম জিহাদ।
১) নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হেজাজ থেকে সমস্ত মুশরিকদের বের করে দাও।” তাই করা হয়েছিল।
ভুল তথ্য
২) খাইবারে ইহুদিদেরকে রাখা হয়েছিল এই শর্তে যে, তাদেরকে যেকোন সময় বের করে দেয়া হতে পারে। সে মুতাবিক হযরত উমর রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহু তাদেরকে পরবর্তীতে বের করে দিয়েছিলেন। নাজরানের খ্রিস্টানদেরকেও তিনি রাখেননি। (সূত্র: শিবলী নোমানীর লেখা ‘আল ফারুক&rsquo
ভুল তথ্য।
৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৪
সাম্প্রদায়িক বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধণ্যবাদ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে , আমি দেখলাম আল।লঅহর কাছে উৎকৃষ্ট হতে হলে ইসলাম গ্রহন করতে হবে (নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান,তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না- সূরা মায়েদার ৬৯ নং আয়াত )
৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫৫
সাম্প্রদায়িক বলেছেন: দুখিত আল্লাহর হবে
১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১০
মহা সমন্বয় বলেছেন: এখানে জঙ্গিবাদের ময়না তদন্ত করা হয়। view this link
১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১২
মহা সমন্বয় বলেছেন:
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৮
অ্যালেক্স আমিন বলেছেন: এই পোষ্টটা দেখে মনে হয় আরশে বসে তরবারি ধার দেওয়ার কাজ চলিতেছে!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
বিজন রয় বলেছেন: কিছু বলার নেই।