![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকে আমি facebook.com/jatir.mama01
কোটা পদ্ধতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। কেননা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বৈষম্য দূর করার জন্য। আর আমরা তরুণ মেধাবীরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। আমরা মনে করি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক এ আন্দোলন একদিন না একদিন সফল হবেই।
কোটা পদ্ধতিতে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের জন্য রাখা হয়েছে ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা কোটায় ১০ শতাংশর জন্য রাখা হয়েছে ৫৬ শতাংশ। এরকম বৈষম্য কীভাবে মেনে নেয়া যায় !
প্রথম থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল অহিংস আন্দোলনের। কিন্তু বহিরাগতরা কেউ হয়তো আন্দোলন বানচাল করার জন্য সকালে গাড়ি ভাংচুর করেছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। এটা একটা ষড়যন্ত্রও হতে পারে। কেননা শুরু থেকেই আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
মূলত ফল বিবেচনা নয় কোটা পদ্ধতি বাতিল করার জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করি। আন্দোলন শুরুর দিন (বুধবার) থেকে বলছি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করলে ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যেতো। কিন্তু তা করা হয়নি।
আজকের (বৃহস্পতিবার) আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার বাইরের প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান দেয়া হচ্ছে এরকম মিথ্যা ইস্যু তৈরি করে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।
মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব ও অহংকার। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের ভিডিও ফুটেজ অনেক টেলিভিশনে রয়েছে। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ব্যঙ্গ করে থাকে তাহলে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাই বলে ঢালাওভাবে সবার উপর আক্রমণ করা ঠিক হয়নি।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে পুলিশের অতর্কিত গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের কারণে পুরো ক্যাম্পাসে আজ এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করে। মাইক না থাকায় সবাইকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপাতত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
তবে বাইরের প্রতিষ্ঠান যথা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে। তাদের উচিত হবে যৌক্তিক এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার। এদিকে আমরা শিগগিরি এটা নিয়ে কোর্টে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরবর্তীতে আইনগত প্রক্রিয়ায় আমরা সামনে এগিয়ে গিয়ে আমাদের আন্দোলনকে আরো বেগবান করবো। একইসাথে দাবি পূরণ করে বিজয়ী ভেসে ঘরে ফিরবো।
বলেছেন সাহিন ভাই
Click This Link
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভাই, আমি এতো কিছু বুঝি না
আমার কথা কোটা বাতিল করতেই হবে.।
নইলে আমার মতো মেধাবিরা কি করবে?
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে, তাই বলে আমাদের অবহেলা করে?
মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় একটা করে ফ্লাট দিক, মাস মাস ৫০০০ টাকা দিক, আমার আপত্তি নাই, কিন্তু তাই বলে দেশের মেধাবিদের মেধার অবমূল্যায়ন করে কেন তাদের এই সম্মান?????????????????????????????????????????
সরকার যা খুশি করুক, কিন্তু আমাদের মতো সাধারন ছাত্রদের মেধার উপরে কেন এই হস্তক্ষেপ?
তাদের যদি জজ্ঞতা থাকে তবে তারা কম্পিটিশন করুক না কেন আমাদের সাথে???????????????????????????????
এমনিতেও ভার্সিটি তে যখন ভর্তি হই তখনও কিন্তু এই কোটা এর জন্য তাদের কিছু সিট ছেড়ে দিছিলাম।
তাদের তো একবার করে চান্স দিছিলাম, তবে এখন আবার কেন???????????????????
সো, আমার কথা, কোটা বন্ধ করতেই হবে
এই লিঙ্ক দেখেন।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: কুমার সাহা নামে একজন অনলাইনে লিখেছেন, ‘অতি দুঃখ ভারাক্রান্ত হূদয়ে লিখছি। আমি সুনীতি কুমার সাহা। আমি ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় লিখিত (সাধারণ ও কারিগরি) ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার রেজি: নম্বর ০২২৫২৭। আমার প্রথম পছন্দ ছিল কৃষি ক্যাডার। কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে আমাকে পিএসসি কর্তৃক কোনো পদে সুপারিশ করা হয়নি (উল্লেখ্য, কোটা প্রার্থী না থাকায় পিএসসি ৭০টি পদ খালি রাখে)। গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কৃষি ক্যাডারে ২২০টি পদের বিপরীতে ১৩৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পিএসসি কর্তৃক ১৫০ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। যে ১৪ জন বাদ পড়েছেন, হয়তো তাঁদের কেউ কেউ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি বা পুলিশ প্রত্যয়ন পাননি বা ৩১তম বিসিএসের আগে অন্য কোনো ভালো পদে কর্মরত আছেন। আমার দুঃখ, এই জায়গায় ৮৪ পদ খালি থাকা সত্ত্বেও আমার চাকরি পাইনি। আমার সমস্ত পরিশ্রমের ফলাফল কোটা সংরক্ষণজনিত নিয়মের কারণে শূন্য। যাঁরা এসব নিয়ম তৈরি করেন, তাঁরা কি একবারও ভেবে দেখেছেন আগামী ১০-২০ বছর পর আমাদের দেশের প্রসাশনের কী অবস্থা হবে?’
পার্থ নামে আরেকজন লিখেছেন: ‘আমি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গতকাল প্রকাশিত বিসিএস ৩৪তম প্রিলিমিনারির ফল বের হয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ৭৫+ পেয়েও সাধারণ পরীক্ষার্থী চান্স পায়নি অথচ কোটার কারণে ৫৯+ পেয়েও অনেকে চান্স পেয়েছে। মেধার বিচারে ৫৯=৭৫ হতে পারে না। ফলে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয়ে চরম হতাশ ও বিপথগামী হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একসময় মেধাশূন্য হয়ে যেতে পারে।
সদ্য প্রকাশিত বিসিএস রেজাল্ট, ৩২তম স্পেশাল বিসিএস এবং সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে (সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, আইসিবি ইত্যাদি) শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের আবেদন করার যোগ্যতা কি সাধারণ প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক নয়? কোটা কি শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধির জন্য দায়ী নয়?’
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৪
চিকন আলি বলেছেন: চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো খবর নাই.... তাগো কি কুন চাকরি লাগবনা নাকি..???