নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

thinkers-bloggers.blogspot.com/

www.facebook.com/thinkersbloggers

সামু মামু

ফেসবুকে আমি facebook.com/jatir.mama01

সামু মামু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐশীর স্কুলজীবন ও ডজনখানেক বয়ফ্রেন্ড

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩২



ঐশীর শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে। সেখানকার ধর্মীয় রীতিনীতি ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তার ভাল লাগেনি। ছেলেদের টুপি ও মেয়েদের স্কার্ফ পরা অসহ্য মনে হয়েছে তার কাছে। তখন থেকেই তার ধারণা জন্মে- ওই স্কুলে পড়াশোনা করলে পার্থিব জীবনের সকল সৌন্দর্য উপভোগের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। অদেখাই রয়ে যাবে সৃষ্টির আসল সৌন্দর্য। এ ধারণা থেকে স্কুল বদল করতে বাবা-মাকে চাপ দিতে থাকে। বায়না ধরে ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- অক্সফোর্ড স্কুলে ভর্তির।



ঐশী ছিল বাবা-মায়ের বড় মেয়ে। তাই তার সকল আবদার পূরণের চেষ্টা করতেন বাবা-মা। যা চাইতেন তা-ই দেয়ার চেষ্টা করতেন। এরই এক পর্যায়ে ২০১১ সালে ঐশীকে ধানমন্ডির অক্সফোর্ড স্কুলে ভর্তি করে দেন বাবা-মা। ভর্তির পর স্কুলের গাড়িতেই যাতায়াত করতো ঐশী। মাঝে-মধ্যে রিকশা নিয়ে যেতো। পারিবারিক সূত্র জানায়, অক্সফোর্ড স্কুলে ভর্তির পরই ঐশীর আচরণ ও জীবন-যাপনে দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে থাকে।



সালোয়ার কামিজ ও স্কার্ফ ছেড়ে পাশ্চাত্য ঢঙের পোশাক পরা শুরু করে। খোলামেলা পোশাকে ছেলে বন্ধু ও প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতো। এ কারণে কখনও কখনও তার মা বকা-ঝকা করতেন। স্কুলের কথা বলে সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে কখনও রাত ১০টা, কখনও ১১টায় ফিরতো। স্কুল ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দিতো ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে। যোগ দিতো ইয়াবা ও গাঁজার আসরে। যেতো ডিজে ও ড্যান্স পার্টিতে। শুধু তাই নয়, পার্টিতে অংশ নেয়া বন্ধু মহলের যাকে ভাল লাগতো, তার সঙ্গেই অন্তরঙ্গ সময় কাটাতো।



এসব পার্টি ও আড্ডার আসরেই পরিচয় হয় পুরান ঢাকার ডিজে জনির সঙ্গে। তার সঙ্গে কিছুদিন মেলামেশার পর তারই বন্ধু রনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। এই রনি ও জনির মাধ্যমেই মূলত নেশার জগতে প্রবেশ করে ঐশী। মাদক গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ঐশীর ডজনখানেক বয়ফ্রেন্ড রয়েছে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিতো। এর বাইরে তার আরও একজন প্রেমিক আছে। তার নাম পারভেজ।



গত ৩১শে জুলাই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় মা। তারপর থেকে বন্ধু মহলের সঙ্গে যোগাযোগে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তখন তার কাছে নিজের পিতা-মাতাকেই প্রধান শত্রু বলে মনে হয়েছে। কখনও নিজেকে শেষ করা আবার কখনও পিতা-মাতাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে।



ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিকৃত যৌনাচার ও মাদক সেবনে অভ্যস্ত হওয়ায় ঐশী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়েছিল। ফলে পিতা-মাতার মতো সবচেয়ে কাছের মানুষজনকে এত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে পেরেছে।

-------------------------- অনুসন্ধানী রিপোর্ট



বাঙালি মেয়ে ঐশী কি করত ?

Click This Link



ঐশীর সুইসাইডাল নোট

Click This Link



পূর্বে প্রকাশিত



Click This Link

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুঃখজনক।

এরপরও কি পিতা-মাতারা সচেতন হবেন?

এরপরও কি দূর্ণীতির অঢেল অর্থই যে সূখ শান্তি আর নিরাপত্তা দিতে পারে না এই বোধ জাগ্রত হবে?

হলেই মঙ্গল।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৩

সামু মামু বলেছেন:

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মেংগো পিপোল বলেছেন:

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২২

সামু মামু বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ঐশী'র ১২ পৃষ্ঠার সুইসাইডাল নোট পড়ে আমার যা মনে হলো- ঐশী কে সবাই খারাপ বলছেন। কিন্তু আমার কাছে ঐশী কে খারাপ মনে হচ্ছে না। ঐশী একজন ধর্মভীরু মেয়ে। আল্লাহর উপর তার অনেক আস্থা ছিল। ঐশী'র বাবা মার, মেয়ের প্রতি ছিল এক আকাশ উদাসীনতা এবং অবহেলা। ছেলে-মেয়েদের যে পরিমান আদর ভালোবাসা প্রয়োজন বাবা-মার কাছ তা ঐশী জন্মের পর কখনও পায়নি। এই জন্য তার অনেক বন্ধুর প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে দুই একজন বন্ধু ছিল খারাপ। তাদের কাছ থেকেই ইয়াবা খাওয়া শিখে। ইয়াবা খাওয়া ছাড়া ঐশী'র বেশ কিছু ভালো দিক আছে। সে প্রচুর পড়া শোনা করতো। সত্যিকার অর্থে ঐশী একটা সহজ সরল মেয়ে। তবে হয়তো প্রেম ভালোবাসা করে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।ঐশী একটা দুঃখী মেয়ে- ছোটবেলা থেকেই তার কোনো স্বপ্ন সত্যি হয়নি। দিনের পর দিন সে সুন্দর সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছে। নিজের দুঃখ-কষ্টের কথা কাউকে কখনও বলতে পারেনি।
ঐশী অস্থির এবং চঞ্চল একটি মেয়ে, কিছুটা জিদ্দী। সে চেয়েছিল এক আকাশ আনন্দ নিয়ে বাবা মা এবং বন্ধুদের নিয়ে সুন্দর একটি জীবন।ঐশী অনেক অভিমানী- তীব্র জ্বর নিয়ে একা একা কষ্ট করেছে কিন্তু সে বাবা মাকে ডাকেনি, ঐশী চেয়েছিল বাবা-মা নিজ থেকে এসেই তার কপালে হাত রাখুক।
আমার ভাবতে ভালো লাগে- ঐশী তার বাবা মায়ের খুনী না। অন্য কোনো ঘটনা আছে। সেই ঘটনা ঐশী ছাড়া অন্য কেউ জানে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.