নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৬) - পশ্চিমি অনেক নারীর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নীরবে সহ্য করার কারন এবং বোকা আমি

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০১

এ পর্বটা আগের পর্বেরই কিছু উদিত হওয়া প্রশ্নের উত্তর দেবে। তবে আজকের কাহিনী, গল্প আলাদা এবং আমার জীবনকে দেখার ধরন আরো একবার পাল্টে যাবে তাদের প্রভাবে।

আগের পর্বগুলো:
কানাডার স্কুলে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (২য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (৩য় পর্ব)
কানাডার স্কুলে প্রথম দিন (চতুর্থ পর্ব)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৫)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৬) ১৮+
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৭) আমার ভারতীয়, পাকিস্তানী অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৮) কিছু ভারতীয় যে কারণে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ৯): কেন প্রবাসি বাংলাদেশি বাচ্চারা কানাডিয়ান/ভারতীয় হয়ে যাচ্ছে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১০) সমকামিতা ১৮++
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১১) - কিশোরিবেলায় কানাডার প্রথম ভালোলাগা - এক গ্রিক দেবতারূপী সুদর্শন কানাডিয়ান ছেলে
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১২) - বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাংলাদেশকে কিভাবে দেখে এবং আমার স্কুল জীবনে তার প্রভাব
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৩) - কানাডায় বিয়ে, লিভ টুগেদার, ডিভোর্স এবং কিশোরি আমি (১৮+)
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৪) - বাংলাদেশীদের বিয়ে ভাবনা নিয়ে বিদেশীদের দৃষ্টিকোন এবং আমার নারী জীবন
কানাডার স্কুলে এক দিন (পর্ব ১৫) - মায়ের বয়ফ্রেন্ড ও অত্যাচারিত মেয়েটি এবং অবাক, অসহায় আমি (কঠিনভাবে ১৮++)

আমি কখনো স্কুল লাইব্রেরির গল্প করিনি যদিও আমার স্কুল জীবনের সবচেয়ে প্রিয়, নিরাপদ জায়গা ছিল। আমার তো প্রথমদিকে কোন বন্ধু ছিলনা তাই একা একা লাইব্রেরিতে ফ্রি টাইমে বসে থাকতাম। এসাইনমেন্ট করতাম অথবা কম্পিউটারে বাংলা ব্লগ, বাংলাদেশি পেপার পড়তাম। পিছন থেকে কারও স্ক্রিনে চোখ পড়লে বলে যেত, "কি সুন্দর, কম্প্লেক্স লুকিং ভাষা! তুমি সব পড়তে পার? সত্যিই পড়তে পার?" আমি হেসে ফেলতাম আমার ভাষা আমি পড়তে পারি কিনা জিগ্যেস করে হাহা।
লাইব্রেরিটা যে কি ভীষন বড় ছিল! লাল দরজা, রংগিন কাঁচের খুব ঝলমলে ইন্টেরিয়ারে সাজানো। সুন্দর কাঠের গোলটেবিল, দামি সোফা সুদৃশ্য করে জায়গায় জায়গায় বসানো। সারি সারি কম্পিউটার দেয়াল ঘেষে। বিভিন্ন র‌্যাকে কত ধরনের বই! ফিল্মি ম্যাগাজিনের তাকও ছিল। বাংলাদেশে স্কুলে ম্যাগাজিন লুকিয়ে আনত অনেকে আর এখানে সাজিয়ে রেখে দেয় স্টুডেন্টদের জন্যে! লাইব্রেরিতে সপ্তাহে তিনদিন বোর্ড গেম খেলার অনুমতি থাকত। বিভিন্ন ধরনের লটারি, কুইজ, গেম হত; জিতলে বই গিফ্ট। একটা বড় পাজল রেখে দেওয়া হত রুমের এক কোনে। ফ্রি টাইমে যে কেউ মেলানোর চেষ্টা করতে পারে। যেকোন বিশেষ অকেশন যেমন ক্রিসমাস, হ্যালিউনে পুরো লাইব্রেরি সাজানো হত। বড় বড় ক্রিসমাস ট্রি, লাইটিং, ডেকোরেশন, চকোলেট ছড়িয়ে থাকত জায়গায় জায়গায়। কেউ একটু পরে পরে "সাইলেন্স!" বলত না। এমনকি পৃথিবীর সব লাইব্রেরির প্রচলিত সাইনবোর্ড "সাইলেন্স প্লিজ" ছিলনা কোথাও। থেকেই বা কি লাভ?

সবচেয়ে বেশি গল্প/নয়েজ তো হত লাইব্রেরিয়ান মিসেস টির ডেস্কের সামনে দাড়িয়ে তারই সাথে! মিসেস টি; এক মধ্যবয়স্কা, হাসিখুশি, সাদামাটা চেহারার কানাডিয়ান নারী। জ্বী এত সব মজা যে একটা স্কুল লাইব্রেরিতে হচ্ছে তার কারন এই না যে ওটা কানাডার একটা স্কুল। বরং একটা বড় কারন ছিলেন লাইব্রেরিয়ান মিসেস টি! ওনাকে আমি খুব পছন্দ করতাম কেননা প্রথমদিকে যে হাতে গোনা কজন আমার ভাংগা ভাংগা ইংলিশ সহজে বুঝতেন তার মধ্যে উনি একজন ছিলেন। সবসময় লাইব্রেরিতে পা পরতেই, "তোমার পোশাক কি ভীষন সুন্দর! কি সুন্দর লাগছে তোমাকে!" বলবেনই। আমিত একটু আদর পেলেই গলে পরা মানুষ আর ইনিতো সবসময় আমাকে মমতা দেখাতেন। আমার বেশ কাছের মানুষ ছিলেন যার কাছে মন খুলে কথা বলতে পারতাম।

একদিন সকালে লাইব্রেরি খোলার অপেক্ষা করছি। খুললেই ঢুকব। লাইব্রেরির বাইরে পায়চারি করতে করতে দরজার ওপরে থাকা একটা পোস্টার চোখে পরল। একজন কানাডিয়ান মেয়ের চোখের নীচে মারের কালশীটে দাগ এবং নিচে লেখা "তোমার স্বামী তো কালকেও বলেছিল তোমাকে আর মারবেনা!" মানে বোঝানো হচ্ছে মেয়েটা বারবার স্বামীর মিথ্যা আশ্বাস পেয়ে অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে! আমি হা হয়ে গেলাম। কানাডায়েও এসব হয়? অনেকক্ষন তাকিয়ে ছিলাম কনফিউসড হয়ে, পিঠে হাত অনুভব করলাম কারও। দেখি মিসেস টি চাবির গোছা হাতে নিয়ে পেছনে দাড়িয়ে। উনি দরজা খুলে দিলেন।

আমি আস্তে আস্তে অন্যমনস্ক হয়ে ঢুকলাম ওনার পিছু পিছু। ওনার ডেস্কটা পেরিয়ে কোন এক কম্পিউটারে বসতে যাচ্ছিলাম এমন সময় উনি ডাকলেন আমাকে। বললেন, "কোন সমস্যা?" আমি বললাম ঐ পোস্টারটার মানে কি? পোস্টারটা তিনিই লাগিয়েছিলেন বলে আমাকে কথাটার মানে বিশ্লেষন করলেন এটা ভেবে যে আমি ইংলিশটা হয়ত বুঝিনি। আসলে আমি ইংরেজী বুঝেছিলাম কিন্তু একটা কানাডিয়ান মেয়ে কেন স্বামীর মার সহ্য করবে সেটা ভাবছিলাম। যাই হোক, উনি বলতে থাকলেন, "ছবির মেয়েটি এক মডেল। কিন্তু অনেক মেয়েই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সহ্য করে যায়। আমার ভাগ্নিই এখন এরকমই কিছুর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ওরা হাইস্কুল সুইটহার্ট ছিল। একই ভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে জাকজমকপূর্ণ ভাবে বিয়ে করে। বাচ্চাটা হওয়ার আগ পর্যন্ত সুখেই ছিল। বাচ্চা হওয়ার পরে ও অনেক ওয়েট গেইন করল। ওকে খুব খোটা দিত ওর বডি নিয়ে। একটা সময় ছোট একটা বিষয় নিয়ে চড় পর্যন্ত মারে। এভাবে দিনদিন মারধোর বেড়েই যাচ্ছে।"
আরো কিছু বলতে যাবেন আমি মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে জিগ্যেস করলাম ডিভোর্স দেয় না কেন? তখনো পর্যন্ত আমি ভাবতাম কানাডায় নাক ডাকার কারনেই মেয়েরা ছেড়ে চলে যায়। উনি বললেন, "ও অনেক ভালবাসে হাসবেন্ডকে। যেভাবে হোক সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে চায়। আমি এই উইকেন্ডেও বুঝিয়ে এসেছি আত্মমর্যাদা রেখে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। কিন্তু ও শুনছে না। বাচ্চাকে বাবার আদর থেকে বঞ্চিত করতে চায়না, ভেরি স্যাড ইয়াং লেডি!" এটুকু শোনার সাথে সাথে শরীরে ঢেউ খেলানো ইলেকট্রিক শক অনুভব করলাম। এতদিন শক খেতাম বাংলাদেশের চেয়ে আলাদা কালচার হওয়ায়। সেদিন প্রথম শক খেলাম অনেক অসহায় বাংগালী নারীর মতো পরিস্থিতি দেখে। মনে হল কোন বাংলাদেশীর সাথেই কথা বলছি। বাচ্চা, সংসার টিকিয়ে রাখার জন্যে স্বামীর মার সহ্য করছে? খুব এফেক্টেড হয়েছিলাম কথাটায় যে পৃথিবীর সব দেশেই এমন মেয়ে আছে?

এবার অন্যকাহিনীতে চলে যাচ্ছি। সিনিয়ার ইয়ারের সময়কার কথা। আমার এক জার্মান মেয়ের সাথে মোটামুটি ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গেল। মেয়েটার নাম অলিভিয়া। মেয়েটার কোকড়া ব্রাউন চুল, হালকা নীল চোখ, লম্বা, সবমিলিয়ে সুন্দরী। আমি খুবই ঘরকুনো মানুষ, বন্ধুদের বাড়িতে পারতপক্ষে যাইনা। ওর বাড়িতেও যাওয়ার কথা না। কিন্তু সেই মেয়ের মা আবার আমার মায়ের বান্ধবী ছিলেন। আমার হাউসওয়াইফ মা বাড়িতে বসেই ভাংগা ভাংগা ইংলিশে এত বিদেশী বান্ধবী কিভাবে জোটাতেন এখনো ভেবে আশ্চর্য হই। আমি স্কুলে যেয়েও এত বন্ধু করতে পারতাম না। যাই হোক, একদিন দাওয়াতটা দুদিক থেকেই আসল। মা মেয়ে দুজনেই খুব করে ধরলেন যে ওনাদের বাড়িতে যেতে হবে। শুধু আমাকে বললে তো বাহানা দিতাম। কিন্তু মা সহ বলার পরে যেতেই হল। গেলাম, যেয়ে দেখি ড্রয়িং রুমটা খুব ছিমছাম দামী জিনিসে সাজানো। রুচিশীল পরিবার দেখলেই বোঝা যায়। কানাডায় আবার বেশিরভাগ বাড়িতে কিচেনের সাথেই ডাইনিং যাতে হোস্ট রান্না করতে করতে গেস্টের সাথে গল্প করতে পারেন। আমার মায়ের এ বিষয়ে দর্শন হল, "পিত্তি জ্বলে যায় এসব দেখলে, ঘেমে নেয়ে রান্না করতে করতে মেহমানের সাথে কথা বলতে হবে কেন? ওভেনে রান্না করেত বোঝনা। আমাদের মতো বেটে, কাটাকাটি করে তেল মশলার কঠিন রান্না হলে বুঝত।" হাহা।

তারা রান্নাঘরে গল্প করছেন। আমি আর অলিভিয়া ড্রয়িংরুমে বসে গল্প করছি। আমি স্কুলে খুব বকবক করলেও প্রথম ওদের বাড়িতে যেয়ে মা দের সামনে বেশ আনকমফর্টেবল ও লাজুক হয়ে বসে আছি (শান্ত মেয়ের ট্যাগ তো আর এমনি পাইনা ;) )। অলিভিয়া কিছুক্ষন কথা বলে একটু বোরই হয়ে গেল শান্ত আমাতে। কার্পেটে বসে থাকা নিজের ছোট ভাইয়ের সাথে খেলতে লাগল। আমিও সেদিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলাম। একসময় একটু একা একা খাপছাড়া অবস্থায় হাটতে হাটতে ডাইনিং রুম সংলগ্ন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে স্নোফল দেখতে লাগলাম। এসময় মা দের কথা কানে আসল। জার্মান আন্টি বললেন মাকে, "ও একটা এনিম্যাল ছিল! এনিম্যাল! পাঁচ বছরে একদিনও এবিউজ/মার/গালি ছাড়া ছিলাম না। অনেকদিন পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলাম ঠিক পথে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু শেষমেষ না পেরে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। এখনো আমার আগের পক্ষের ছেলেটা জার্মানিতে পরে আছে। আইনি ঝামেলা ফাঁসিয়ে জানোয়ারটা আসতে দিচ্ছে না।" শরীর শিরশির করে উঠল এবং আবারো আমি লাইব্রেরির সে দিনের মতো অবাক হলাম।

সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে মায়ের জীবনকাহিনী মেয়ের সাথে রিপিটেড হল। অলিভিয়ার সৎ বাবা সব দায়িত্ব করতেন তবে গম্ভীর মুখে খোটা দিয়ে দয়া দেখানোর ভাব করতেন। প্রতিটিদিন মেয়েটাকে নিজের বাড়িতেই আশ্রিতের মতো ট্রিট করা হত। কিশোরি অভিমানি অলিভিয়ার অবশ্যই তা ভাল লাগত না। হাই স্কুলে থাকতে থাকতেই বয়ফ্রেন্ডের সাথে মুভ করল। ভেবেছিল এখন ভালোবাসা/স্বাধীনতা পাবে। বেশিদিন না কয়দিন পেরোতেই একদিন শুনলাম প্রেগন্যান্ট। সেটা শুনে আমার কত কাঁপাকাঁপি হয়েছিল সে গল্প বাদ দিই। প্রেগন্যান্ট হওয়ার সাথে সাথে "সুইটহার্ট" বয়ফ্রেন্ডের এবিউজ শুরু।
কতভাবে বয়ফ্রেন্ড শারীরিক, মানসিক কষ্টে রেখেছিল তা আমাকে অলিভিয়া বলত না। আসলে খুব ক্লোজ বান্ধবী আমরা ছিলাম না। মোটামুটি ধরনের একটা বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু আন্টি মায়ের কাছে এসে সব বলতেন কেঁদে কেঁদে। বলতেন মেয়েকে নিজের কাছে আনতে চান কিন্তু মেয়ে সৎ বাবার ওপরে অভিমান করে কিছুতেই আসবেনা। মাকে বলতেন, "তুমি কি লাকি! তোমার মেয়ে পড়াশোনায় ভাল, ভার্সিটিতে পড়বে। আমার মেয়েটাকে নিয়েও আশা করেছিলাম, কিন্তু...।" মা স্বান্তনা দিতেন, কিইবা আর করার ছিল তার?

কিন্তু আমি কিছু করতে চাইলাম। কোনভাবে ওকে বাঁচাতে হবে। অনেক ভেবে বন্ধুর মতো টিচার মি: এম যার আন্ডারে টিএ ছিলাম তাকে সব বললাম। বললাম আমি এসব বিষয় কিভাবে বোঝাতে হয় জানি না, আপনি বলুন। একটা মেয়ের এসব সহ্য করা উচিৎ না। উনি চিন্তিত মুখে বললেন, "আসলে কি জানো? আমি বলে কোন লাভ হবেনা।" আমি হতাশ হয়ে ইশারা করলাম বলতেই হবে আপনাকে, উনি বললেন, "ঠিক আছে, বলব।" আমি ১০০% শিউর ছিলাম এত সুন্দর করে কথা বলেন/বোঝান উনি, তারপরে আবার টিচার, অলিভিয়া অবশ্যই শুনবে ওনার কথা। একদিন আমি মি: এমের ডেস্কের একটু দূরে রুমের মাঝখানে দাড়িয়ে আছি, স্টুডেন্টরা পড়ছে কিনা তদারকি করছি। মি: এম অলিভিয়াকে ওনার ডেস্কে ডাকলেন।

আমি অনেক খুশী হলাম, বুঝলাম আজই বলবেন। কান ফেলিয়ে শুনলাম ওনাদের কথাবার্তা। অনেককিছুই পরিষ্কারভাবে শুনতে পারিনি কেননা মি: এম স্বাভাবিকভাবেই নিচুস্বরে কথাগুলো বলছিলেন। আমি খাপছাড়া যা শুনেছিলাম তা আর কিছু অনুমানের ওপরে কথাগুলো ছিল, "শুনলাম তুমি প্রেগন্যান্ট, কনগ্র্যাটস। এই অবস্থায় কিন্তু নিজের অনেক খেয়াল রাখতে হয়। কোন ধরনের মানসিক, শারীরিক কষ্ট নেওয়া যাবেনা। জানত এসব?" ও বলল, "হুম।" মি: এম বললেন, "এখন তোমার অনেক দায়িত্ব, বাচ্চাটাই প্রথম এবং শেষ প্রায়োরিটি হওয়া উচিৎ। বাচ্চাটা যেহেতু তোমার মধ্যে তাই তুমি নিজে টপমোস্ট প্রায়োরিটি হওয়া উচিৎ, তাই না?" ও হঠাৎ এসব কথায় কনফিউসড হয়ে বলল, "হ্যা।" উনি কিছুটা গম্ভীর গলায় গভীর চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বললেন, "তুমি কি নিজেকে প্রায়োরিটি দিচ্ছো?" এই কথাটা পরিষ্কার শুনেছিলাম। মি: এম কোনদিকে যাচ্ছেন বুঝে অলিভিয়া কঠোর মুখে বলল, "Mr. M. this is my life. I am not your daughter. Worry about your own kids!" বলে নির্লিপ্তভাবে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসে পরল।
আর মি: এমও এমনই হবে এরকম একটা মুখ করলেন, সরি বললেন অলিভিয়াকে! কোন শক/রাগ ছিলনা ওনার স্টুডেন্টের কাছে এরকম বাজে ব্যবহার পেয়ে! একটু দূরে দাড়িয়ে থাকা আমার দিকে তাকিয়ে ইশারা করলেন হাত দুইদিকে ঝাঁকিয়ে। সেই ইশারার মানে ছিল তোমাকে তো বলেছিলামই। সেটাও মুচকি হেসেই! আমার ওপরেও কোন রাগ ছিলনা তার!

আমি সেদিন কি ভীষন লজ্জ্বা পেয়েছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। এখনো সেদিনটার কথা মনে পরলে রাগে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করে নিজের। সেই অপরাধবোধ এতদিনেও আমার যায়নি। লিখতে গিয়েও নিজের প্রতি মন অভক্তিতে ভরে উঠল! আমার কারনে এত প্রিয়, ভালবাসার মানুষ আমার মি: এম অপমানিত হলেন! সেদিন বিব্রত আমি কিছু বলতে পারিনি, পরে ক্ষমা চেয়েছিলাম। অলিভিয়ার প্রতি কি যে রাগ লাগছিল! ও প্রেগন্যান্ট না হয়ে যদি মি: এমের সাথে এভাবে কথা বলত তবে তখনই কিছু একটা করে বসতাম ওকে। কিন্তু প্রেগন্যান্ট বান্ধবীকে কি আর বলব?

যদিও রাগ/ক্ষোভ পুরোপুরি সামলাতে পারিনি। ওকে স্কুলের পরে ধরব ভাবলাম। যা হওয়ার তাই হবে আমি ওকে বোঝাবই। কিন্তু আমার কিছু আগেই স্কুল থেকে বেরিয়ে গেল। আমি কোনমতে লকার থেকে জ্যাকেট নিয়ে দৌড় ওর পিছনে। বিদেশীরা লম্বা হওয়ায় এবং অভ্যাসগত কারনে আমাদের চেয়ে অনেক দ্রুত হাটে। আর তখন বরফের সিজন চলছে। অন্যসবাই বুট পায়ে দিয়ে এমনভাবে বরফে হাটে যেন পরিষ্কার রাস্তা! আমি এতদিন কানাডায় থেকেও পিছলে পরার ভয়ে বরফে পা টিপে টিপে হাটার অভ্যাসটা ছাড়তে পারিনি। সবমিলিয়ে ক্রমশ পিছিয়ে পরে ও হাটলেও আমি সাবধানে দৌড়াচ্ছিলামই ওকে ধরার জন্যে। ওকে ধরতে পেরে বললাম, "তুমি আন্টির কাছে মুভ করো, বয়ফ্রেন্ডকে ছেড়ে দেও।" আমি হাই হ্যালো কিছুনা একদম এই কথাটাই প্রথম বললাম। ও আশ্চর্য হলো না, নরমালি আবার মি: এমের মতো কঠোরভাবে আমাকেও প্রায় একই কথা বলল। আমার রাগ আরো একধাপ বেড়ে গেল। বললাম, "তোমার মাও এসব সহ্য করে ভুল করেছিল জানো নিশ্চই?" ওর মুখ ভীষন কঠোর হয়ে গেল। আমাকে বলল, "আমার মা বাবার সংসার টিকলে আমি এই অবস্থায় থাকতাম না, আর আজকে আমার সম্পর্ক ভাংলে আমার বাচ্চাও তোমার মতো স্টুপিডের কাছে উপদেশ শুনবে একদিন! সেদিন যেন না আসে সেজন্যে আমি সব সহ্য করব। তারপরে আমার বাহু ধরে ঝাঁকি দিয়ে বলল, "I know what's right for my baby, stay out of it." বলে হনহন করে বাস ধরতে চলে গেল।

জীবনে বিশেষ করে কানাডায় প্রথম কেউ সামনাসামনি আমাকে তীব্রভাবে অপমান করল। কিন্তু আমার সেটা না মনে হয়ে প্রবল তুষারপাতের মধ্যে দাড়িয়ে খুব বড় একটা উপলব্ধি হল জীবনে। আমি জানিনা সেদিন বরফ বেশি শীতল ছিল না আমার মন। আমি শুভ্র বরফের মধ্যে মূর্তির মতো দাড়িয়ে নিজের পুরো জীবনকে চোখের সামনে নামালাম। আসলেই সারা জীবন মফস্বলের সরল পরিবেশে সবার আদরে মানুষ হয়ে আমি একটা স্টুপিডই তো ছিলাম। পড়াশোনার বাইরের জীবন কি কঠিন আমি কিছুই বুঝতাম না। আগের পর্বে একজন কমেন্ট করেছিলেন আমি কিশোরি বয়সে একটু বেশিই সরল সোজা ছিলাম। উনি ভদ্রভাবে বলেছেন কিন্তু আমি একদমই পরিষ্কার বাংলায় বলি বোকা, ভীষন বোকা ছিলাম আমি।
আমি ভাবছিলাম বয়ফ্রেন্ডকে ছেড়ে দিলেই সব সমস্যা শেষ, ও আর মার খাবে না। এর চেয়ে বেশি কিছু ভাবার যোগ্যতা আমার কৈ ছিল? কিন্তু ওর ভাবনায় বাচ্চাটা ছিল শুধু! মারুক ধরুক কাটুক ওর বাচ্চার বাবা মানুষটা! বয়ফ্রেন্ড বাড়ি ভাড়া দিয়ে রাখছে, ভরনপোষনের অর্ধেক খরচ দিচ্ছে, অত্যাচার/মারধোর করলেও পাশে তো আছে। খারাপ হোক কিন্তু নিজের বলার ঐ একটাই তো মানুষ ওর জীবনে! ওর মতো অসহায় অবস্থায় সেটুকুই কি ভীষন প্রাপ্তি ছিল! বেচারি চায়নি ওর নিজের বাচ্চা এমনকরে খুব অল্প প্রাপ্তি নিয়ে বেঁচে থাকুক। দাঁতে দাঁত চেপে আমারই বয়সী একটা মেয়ে কি ভীষন কম্প্রোমাইজ করে যাচ্ছে! একা একা লড়ে যাচ্ছে পরিবার, বন্ধুবিহীন, অন্ত:সত্ত্বা মেয়েটা একটা অমানুষের আশ্রয়ে!

আর আমার দুনিয়া কি ছিল? ভাল মার্ক পেয়ে ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া এবং ব্যাচেলর শোতে শেষ পর্যন্ত কে জেতে সেটা দেখা। যখন ও কাজ খুঁজে বেড়াত আমি মাকে বলতাম কালকে পরীক্ষা, খাইয়ে দেও, সময় নেই। যখন ও পরম মমতায় নিজের পেটে হাত দিয়ে বাচ্চাটার কথা ভেবে মারের ব্যাথা ভুলত আমি বাবার সাথে মজা করে পান্জা লড়তাম। আমি ছিলামই কে ওকে জাজ করার? ওকে দূর্বল ভাবার? আমি এক বোকা মেয়ে যে দুনিয়া দেখেনি, নিষ্ঠুরতা দেখেনি, নিজেও নিষ্ঠুর হতে শেখেনি। আমি তো বুঝতামইনা একটা মেয়ে কতটা অসহায় হলে এত অপমান সহ্য করতে পারে! আমি ছিলামই বা কে ওকে উপদেশ দেবার?
আমাদের মতো সাধারন মানুষের জীবনে ফিল্মি সিন কমই হয়। তবে সেই প্রবল শুভ্র তুষারপাতে পাথরের মতো দাড়িয়ে থাকা আমার মুখে বিস্ময়, রাগ, অনুতাপ, দুঃখ, সংঘাত সহ বিভিন্ন আবেগ মূহুর্তে রংধনুর মতো খেলে যাওয়ার দৃশ্য নাটকের সিন হিসেবে টিভিতে প্রকাশ করা যেত! জীবন পাতার সে ভীষন আবেগী দিনটা আজকে সত্যিই অনেক নাটকীয় মনে হচ্ছে!

বিশ্লেষন: অদ্ভুত হলেও সত্য শুধু বাংলাদেশই না পৃথিবীর সব দেশেই সংসার আকড়ে ধরা কিছু মেয়ে থাকে যারা ভাবে, "সে একদিন ঠিক হবেই। আমি আরেকটু সহ্য করি।" এরকম অনেক নির্যাতিত মেয়েকে বলতে শুনেছি I looove him! আসলে মায়ের জাত তো শুধু বাংলাদেশী মেয়েরাই না সব দেশেই মেয়েরা মা এবং মায়ার জাত হয়। আমি যেটা এখন লিখলাম শুধু প্রবাসে আসলেই কেউ এগ্রি করবে বলে মনে হয়। কেননা পশ্চিমি নারীদের নিয়ে আমাদের ভাবনাটা এতই আলাদা। কিন্তু নারী সেতো নারী!
পরিবারে ডিভোর্স কালচারের খারাপ জিনিগুলো সহ্য করে অনেক মেয়ে ছোট বয়সেই এক প্রকার প্রতিজ্ঞা করে ফেলে যে যখনই বিয়ে করবে ডিভোর্স নেবে না। যাই হোক আর তাই হোক! নিজের বাচ্চাদের মা বাবা দুজনের ভালবাসা দেবে যা নিজে জীবনে পায়নি।

সবচেয়ে বড় কারন কোন আশ্রয় না থাকা। আমাদের দেশে যেমন একটা মেয়ে জানে স্বামী ছাড়লে বাপে নেবে না। মার খেয়ে রক্তাত্ব হয়েও কোনভাবে স্বামীকে তিন তালাক বলা থেকে আটকে পরে থাকতে হবে তার পায়ের কাছে। ওখানেও আশ্রয়হীনতা আছে তবে অন্যভাবে। বাবা মা ডিভোর্সড, নিজেদের ডেটিং/ম্যারিড লাইফ এনজয় করতে চান। আগের পক্ষের বাচ্চা এই নতুন শুরু করা জীবনে বোঝা ছাড়া আর কিছুই না। তখন কাউকে তো লাগবে জীবনে। মা বাবা ডেটিং করে বিজি, আমিও তাই করব। সহজ হিসাব। এসব বয়ফ্রেন্ড একটা সময় পর্যন্ত প্রচন্ড ভালবাসে কিন্তু সব পাওয়া হয়ে গেলে বিশেষ করে বাচ্চার দায়িত্ব মাথায় পরলে মেয়েটাকে নিজের "ফান" লাইফের ভিলেন মনে করে অত্যাচার করতে শুরু করে। মেয়েটা সহ্য করে ভীষন সুখের সময়গুলো ফিরে আসবে সে আশায়। ভালবাসা যে একটা মানুষকে কি ভীষন অসহায় করে দেয়! মেয়েটা মার সহ্য করেও না ছেড়ে গেলে ছেলেটার পুরনো ভালবাসা ফিরে আসার বদলে আরো ঘৃনা তৈরি হয়। একটা অাত্মমর্যাদাহীন, অনুভূতিহীন সস্তা পুতুল মনে হতে থাকে মেয়েটাকে। মেয়েটা যদি অতি অত্যাচারে একসময় ঘৃনা করতে শুরু করেও দেয় কি লাভ? যাওয়ার তো জায়গা নেই। পরিবার থেকেও নেই, বন্ধুর বাড়িতে কতদিন এবং পার্ট টাইম জব করে সব খরচ মেটানো সম্ভব না, প্রেগন্যান্ট অবস্থায় তো নাই। আর মানসিকভাবেও কেউ পাশে থাকা চাই, মারলেও পাশে তো আছে। এসব ভেবেই অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে অনেক মেয়ে।

এডাল্ট, শিক্ষিত, ওয়ার্কিং ওম্যানরা এবিউজ ইমোশনাল হয়ে ভালবাসার দায়ে পরে সহ্য করেন। আর পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এমন অনেক নারী আছেন যারা অনুভব করেন একটা পুরুষ খারাপ হোক ভাল হোক তার আশ্রয়ে আছি, নিরাপদ আছি। তবে বেশিদিন সহ্য করেন না কেননা নিজেকে সাপোর্ট করতে পারলে অন্যের সাপোর্টে সাধারনত মানুষ নির্ভরশীল হয় না। সমস্যা মেইনলি ইয়াং মেয়েদের নিয়ে যারা পড়াশোনা শেষ করেনি, শুধু পার্ট টাইম জব করার যোগ্যতাই অর্জন করেছে। ব্রোকেন হওয়ায় পরিবার থেকে ছাড়া ছাড়া এবং হয়ত স্কুলেও বয়সন্ধিকালিন খিটমিটে মেজাজের কারনে বন্ধু নেই। সম্বল সবেধন নীলমনি সেই বয়ফ্রেন্ড! তাদেরই বেশি মুখবুজে সব সহ্য করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার প্রবনতা থাকে।

ব্যাস আমার বিশ্লেষন শেষ। আপনাদের মতামত দেবেন জানি। আমার সাথে না মিললে বলব আমার জীবন কাহিনীর কারনগুলো এসবই ছিল। এক প্রশ্নের তো কত উত্তরই হয়, আপনাদের উত্তর জানার আগ্রহে রইলাম!

শেষ খবর: অলিভিয়ার লাস্ট খোঁজ যা জানতাম তা ছিল বয়ফ্রেন্ড বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং ও কাজের জন্যে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার বেশ অনেকদিন পরে আন্টি ওর আর ওর বাচ্চার ছবি পাঠিয়েছিল। মা, ও বাচ্চা দুজনেই ভাল ছিল। আমি আশা করি সময়ের ফেরে জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়েছে সুন্দর করে।
আপনারা দয়া করে অলিভিয়াকে খারাপ, জেদি, বেয়াদব ভাববেন না। কিশোরি ওর বৈরী পরিস্থিতিটাকে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখবেন সে আশা রাখি।

বিশেষ কথা: এ বিষয় নিয়ে পর্ব পরে লেখার ইচ্ছে ছিল। আমি ঠিক করেছিলাম স্কুলের মজার কিছু গল্প নিয়ে লিখব এ পর্বটা। আগের এত সিরিয়াস পর্বের পরে হালকা কিছু নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম আরকি! কিন্তু আগের পর্বে অনেকের কমেন্টে মনে হল একজন কানাডিয়ান বা পশ্চিমি নারী কেন প্রতিবাদ করেনা সে বিষয়ে লেখা উচিৎ। আগের পর্বে অনেককে কথা দিয়েছিলাম যে এটা বিশ্লেষন করব, আমি কথা রাখলাম। সেসব কমেন্টদাতাকে ধন্যবাদ যাদের সাথে কথা চলাকালে এটা নিয়ে লেখার ইচ্ছে জেগেছিল।

পাঠক দয়া করে এটা ভাববেন না এটাই পশ্চিমি কালচারের নিয়মনীতি। সব পরিবারে হয়। তা না। অনেক মেয়েই ছেড়ে দেয় এবিউজিভ সম্পর্ক। অনেকের মা বাবা পরিবারের সবাই মিশেমিশে ভালবাসার সুখের সংসার। আমি শুধু অত্যাচারিতদের কথাই লিখেছি বিশ্লেষনের জন্যে। আর আমি মনেপ্রানে বিশ্বাস করি সব পুরুষ খারাপ না এবং অনেক পুরুষই খারাপের শিকার। এ লেখাটা অসহায় নারীদের নিয়ে মানবিকতা থেকে লিখেছি, নারীবাদীতা থেকে না।

কিছুদিন আগেই এ বিষয়ে নিয়ে বলা কানাডিয়ান প্রাইম মিনিস্টার জাস্টিন ট্রুডোর একটা সুন্দর কথা দিয়ে শেষ করছি। তিনি বলেছিলেন, "কানাডায় অনেক মেয়ে নারী অধিকারের জন্যে, ইকুয়ালিটির জন্যে লড়ছে, সেটা অনেক ভাল বিষয়। কিন্তু আমি চাই আরো কানাডিয়ান পুরুষেরা নারী অধিকারের জন্যে লড়ুক।"

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪১

ঘটক কাজী সাহেব বলেছেন: আর আমি মনেপ্রানে বিশ্বাস করি সব পুরুষ খারাপ না +++++

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্লাস, পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

অনেক ভাল থাকুন।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিস্মেয় হা হতে হতে পড়ে গেলাম।

হুম। একজন মা মাই.. তা যে দেশেই হোক।

আপনার অসাধারন বিশ্লেষনে ভাললাগা। জীবনকে তুলনামুলক বোধের সাথে নিজের অনুভব দিয়ে এমন চমৎকার লেখা সত্যিই পড়িনি।
না- আপনার বইয়ের কন্ট্রাক্ট নিয়ে রাখারই লোভ হচ্ছে :)

দারুন এক সৃষ্টি সৃষ্টি করে যাচ্ছে হেসে খেলে। অনেক শুভেচ্ছা

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই আপনিই প্রথম বইয়ের কথা বলে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন আমাকে। এখন অনেকেই বলা শুরু করেছে, খুব প্রিয় শায়মা আপু পর্যন্ত বলে ফেলেছেন। একজন পাঠক তো বললেন তার এসব নিয়েই কাজ আমি চাইলে কন্টাক্ট করতে পারি! হুম, বই বেড়োলে আপনার কল্যানেই বেড়োবে মনে হচ্ছে হাহা।

এসবই অনুপ্রেরনা, আপনারা এভাবে ভাবেন সেটাই অনেক আমার কাছে।

আবারো সুন্দর, অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যে পাশে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভকামনা রাশি রাশি।

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:০১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আরেকটা দারুণ লেখা উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হুম, যা শোনালেন এর চেয়ে ভাল কিছু হওয়ার নেই আসলে। কারণ, আমরা কেউই রুট কজ নিয়ে মাথা ঘামাই না...

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুম, একটু মনুষত্ব, মূল্যবোধ নিয়ে জীবন কাটালে অনেক কম্প্লিকেশন এড়ানো যেত জীবনের। সেটা কানাডাসহ সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
জনাব অনেক ভালো থাকুক জনাবার সেই কামনা।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:২৮

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: যখন ও পরম মমতায় নিজের পেটে হাত দিয়ে বাচ্চাটার কথা ভেবে মারের ব্যথা ভুলত আমি বাবার সাথে মজা করে পান্জা লড়তাম[/sb
মারিয়ানা ট্রেঞ্চ-র চেয়েও অনেক গভীর অার ওজনদার মনে হল লাইনটা- মিলে গেছে অামার সাথে......কৈশোরে অামিও অনেকটাই গাধা ছিলাম বাস্তব দুনিয়ার নিরিখে, সবার চেয়েই খানিকটা পিছনে- এখন মনে পড়লে ভাবি অামি তখন বেড়ার ওপারেই ছিলাম- বেড়া ডিঙানোর মতো লম্বা বোধশক্তি অাসলেও ছিল না.....কেন না? সেটাও অনুমেয়!!!
ব্যাপার না- একেকটা স্টেজের ম্যাচিউরিটি কারো কারো জীবনে বেশ দেরি করেই ধরা দেয়, সবাইতো অার সমান গর্তে পড়ে না....তাই চোখ-কানের দৌড় সীমাবদ্ধ থাকলে জীবনবোধের পরিপূর্ণতা অাসতে অাসতে অনেক ভোগায় অাসলে। শেষমেষ এমনও হয় যে, চারপাশের ম্যাচিউর বিষয়গুলো নিতে নাড়াচাড়া করতে গেলে অাগে ভাবতে হয়- অামার ম্যাচিউরিটি লেভেল এটা হ্যান্ডেল করতে সমর্থ কি না?? হুম, অাবার এমন অবস্থা থেকে সর্বদা গুরুগম্ভীর পরিপূর্ণতা মনে জেঁকেও বসে.....ভীষণ দোটানা একটা :`>

আর আমার দুনিয়া কি ছিল?
ভোরের সূর্য অার রাতজাগা পড়াশোনার ফল কখনো একসাথে অাসে না! অাপাতদৃষ্টিতে পরিপাটি জীবনের সংগ্রাম সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না কারোরই- অথচ সেই জীবনেও বয়ে যাওয়া ঝড়গুলো কাগজের পাতায় গভীর দাগ ফেলতে পারে.....শুধু পথহারা জীবনের যুদ্ধ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়, কিন্তু জীবনে ওটা অনেক ভুলের পরে অাসে.....
"অলিভিয়া" যে মস্ত বড় চিরাচরিত ভুল করেছিল সেটা তার ম্যাচিউরিটি লেভেলটা স্বয়ং যখন কৈশোর পেরিয়ে যৌবন প্রাপ্ত হবে, তখন অনুধাবন করবেই /:)
ওর মতো অসহায় অবস্থায় সেটুকুই কি ভীষন প্রাপ্তি ছিল!....... অনেক শহুরে সংসারে পরবর্তী প্রজন্মের সাফল্য কিংবা পরবর্তী সুখী সময়ের পেছনের অন্তর্নিহিত সংগ্রাম হচ্ছে মায়েদের এইটুকু অাঁকড়ে ধরা প্রাপ্তিই.....খুব কাছ থেকেই দেখেছি এগুলো- জীবন দিয়েই :|

আমার হাউসওয়াইফ মা বাড়িতে বসেই ভাংগা ভাংগা ইংলিশে এত বিদেশী বান্ধবী কিভাবে জোটাতেন এখনো ভেবে আশ্চর্য হই....... ইংলিশ ভিংলিশ (২০১২) দেখার পর এ ধরনের প্রশ্নের জানা উত্তরগুলো অামার অারো পোক্ত হয়েছিল!!!

দু'চোখের পাতা এক করতে যাবার অাগে দারুন কিছু কথার এই পোষ্টের জন্য ধইন্যাই থাকল.....

*****************
ভাংগা<ভাঙা; স্বান্তনা<স্বান্তনা ; খায়িয়ে<খাইয়ে; অদ্ধুত<অদ্ভুত

২৬ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বানান ঠিক করতে গিয়ে একটা খুঁজে পেলাম সেটা চেন্জ করেছি। বাকি শব্দগুলো পরে ধৈর্য ধরে খুঁজে বের করে ঠিক করে দেব। আপনার মতো পাঠক থাকলে তিল পরিমান ভুলেও পার পাওয়া যায়না হাহা। আপনি কি ভীষন যত্ন নিয়ে পড়েন যে এগুলো চোখে পরে ভাবলেই অবাক লাগে। আমার লেখা কেউ এত মন দিয়ে পড়ছে ভাবনাটাই দারুন। আমিত আজকাল অপেক্ষা করে থাকি আপনি বানান ভুল নিয়ে কখন হাজির হবেন? হাহা। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ একাজটা আমার জন্যে করেন বলে।
ভাবছি বই হিসেবে বের করলে আপনাকে বানান, ভাষা ঠিক করার কাজে রেখে দেব। সহব্লগারের কাছে পারিশ্রমিক চেয়ে নিজেকে ছোট করবেন না নিশ্চই? ;)

আপনি যে কথাগুলো বিশ্লেষন করলেন সেগুলো মনের খুব কাছের। আপনি লেখার বা লেখিকার আসল উদ্দেশ্য বোঝেন, অনেক মন দিয়ে পড়েন। আমি মুগ্ধ হয়ে যাই।

আমি মুভি কম দেখি তবে ইংলিশ ভিংলিশ দেখেছি। চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে দেখি একটা ESL ক্লাসের সিন, চোখ আটকে গেল। তারপর থেকে পুরো মুভিটি দেখেছি। কিছু কিছু জায়গায় নিজের কথা মনে পরে যাচ্ছিল। বেশ সরল, সাবলীল, সুন্দর।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
বাংলার মাস্টার ভালো থাকুক।

২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি আপনাকে একটা জিনিস জিগ্যেস করতে ভুলে গিয়েছিলাম। সেটা মনে পরল। আগের পর্বে বলেছিলেন, "বিদেশে মেয়েদের নির্বাক থাকার ব্যাপারে অামার একটা থিওরি অাছে, অাপনি পরে বাস্তবতাটা বললে মিলিয়ে নেয়া যাবে।" আপনার আর আমার থিয়োরি কি কাছাকাছি ছিল?

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক নতুন কিছু জানছি আপনার লেখা পড়ে। সবাই সাধারণত প্রবাস জীবনের কাহিনী লিখতে গিয়ে কী কী খাইলো, কোথায় যায়া মজা করলো, কত নতুন নতুন ইমারত দেখলো, তারপর বাঙাল খোলস থেকে কিছুটা বেরিয়ে কেমনে ক্যাম্পিং করতে গেলো এসব নিয়ে লেখে। তাই আমরা শুধু বৈদেশের শরীরটা দেখি, আত্মাটা দেখি না। আপনার সংবেদী মনের মানবিক অনুসন্ধানে এমন কিছু ব্যাপার উঠে আসে, যা মর্মমূলে গিয়ে লাগে।

২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি যে জায়গায় থাকতাম সেখানে তেমন প্রবাসি ছিলনা। সে কারনে সব বিদেশী বন্ধু এবং এত ইন্টারেস্টিং সব স্টোরি পেয়েছি। যেসব বাংগালি শুধু বাংলাদেশি কমিউনিটিতে থেকে বিভিন্ন প্রবাসির সাথেই সোসালাইজ করে সবসময় তাদের গল্পে বিদেশের শুধু জায়গাই পাবেন, মানুষ না। এটা খারাপ কিছু তা বলছিনা, বরং প্রবাসীরা দলবেঁধে একতার সাথে বিদেশে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।
তবে আমিও খুব ভাগ্যবান যে বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষের সাথে মিশতে পেরেছি, আশেপাশে বাংগালি থাকলে এই গরজটা করতাম না, এবং জীবনের এত রং রূপ দেখতে পেতাম না। আল্লাহর রহমত এটা যদিও তখন বাংলাদেশী বন্ধু ছাড়া ভীষন অসহায় বোধ করতাম আমি।

যাই হোক, আপনার সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ।

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

অদৃশ্য বলেছেন:



চমৎকার লিখা... আপনার অনুভূতি আরও তীব্র হোক... উপলব্ধিবোধ অনেকেরই থাকেনা, আপনি আপনার ভুলগুলো বুঝতে পারছেন ও শুদ্ধটাও বুঝতে পারছেন... আর এটার জন্য দারুন অনুভূতি/উপলব্ধিবোধ প্রয়োজন... দারুন সব বিষয় জানছি... সবাই চায় সবকিছু সুন্দর হোক, কিন্তু শয়তান সবসময় মানুষকে ধোকা দেয়...

শুভকামনা...

২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না আমার অনুভূতিগুলো যথেষ্ট তীব্র, আবেগ/অনুভূতির এমন তীব্রতা এমনিতেই অনেক কষ্ট দেয় বারবার। আর না বাড়ুক হাহা।

হুম সুন্দর চাইলেই শুধু হয়না। অনেকসময় নিজের হাতে মানুষ জীবনটাকে ধংস করে দেয়। আর অনেক সময় ভাগ্য নোংরা খেলা খেলে।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৭| ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

স্টাইলিশ বয় বলেছেন: লেখা ভাল হৈসে কানাডিয়ান ম্যাম! আপনার শেষ খবরটা পড়ে খুব মন খারাপ লাগছে! আফটার অল ঐ ধরনের অপরাধের শাস্তি অতটা কঠিন হতে পারে না। একজন মানুষ কূচক্রে পড়ে হয়তো একটা ভুল/অপরাধ করতেই পারে, কিন্তু তাই বলে তাকে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াটা ভারি অন্যায়! :(

লিখতে থাকুন আপনার কানাডা ভ্রমনের কাহিনী! অদূর ভবিষ্যতে যদি এটাকে বই আকারে বের করার ইচ্ছা পোষন করেন, তাহলে একটা সৌজন্য কপির জোর অনুরোধ জানিয়ে গেলাম! আশাকরি নিরাশ করবেন না? ;)

ভাল, সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন! শুভ কামনা রইলো!

২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বাংলাদেশী স্যার! কানাডা সিরিজে বেশ অনেকদিন পরে! স্বাগতম!

ভুল মানুষকে ভালবাসার শাস্তি অনেক কঠিন হয় স্যার, অনেক বেশি কঠিন হয়। এ এমন এক ভুল যা সবকিছু শেষ করে দিতে পারে।
এধরনের ছেলেদের আবার ন্যায় অন্যায়! যতদিন মেয়েটা ভালো না বাসে পেছনে ঘুরে, মেয়েটা সব দিয়ে ফেললে ছুড়ে ফেলে দেয়। সব দেশেই এরকম ছেলে থাকে। অলিভিয়ার বাচ্চাটা এত অত্যাচারের পরেও দুনিয়ার আলো দেখতে পেয়েছে তাতেই প্রচন্ড খুশি হয়েছিলাম। শুধু ভয় হত মিসক্যারেজ না হয়ে যায়!

ইশ! সৌজন্য কপি! পায়ে হেটে টাকা দিয়ে বই কিনে আনবেন। নিজে কিনবেন, নিজের পরিচিতদের জন্যেও কিনবেন। বাংলাদেশী স্যার থেকে আমার লাভ হলো কি আর তা যদি না করেন?  ;)

বাংলাদেশী স্যার আপনিও অনেক ভাল থাকুন। আপনার চমৎকার হিউমার ব্যবহার করে নিজের সাথে সাথে অন্যদের হাসাতে থাকুন।
বিদায়।

৮| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আলগা কপাল বলেছেন: ভালো লাগলো। আপনার এই সিরিজের প্রথম পোস্ট থেকেই সাথে আছি। কিন্তু তখনও আমি ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করিনি। তাই মাত্র এই নিয়ে দুটো কমেন্ট। "অদ্ধুত" শব্দটা প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে একজনের কমেন্ট দেখে বুঝলাম।
ভিন্ন প্রসঙ্গ: একটি হাদিস আছে। আমার নিজের ভাষায় বলছি: যখন কোন অঞ্চলে যিনা ব্যভিচার বৃদ্ধি পায় তখন ঐ অঞ্চলে এমন সব রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে যা পূর্ববর্তীদের মাঝে ছিল না।
বর্তমানের এইডস এর ফসল।
হাদিসের সোর্স মনে নেই। পুরো হাদিসটাও না, কেবল সারমর্মটুকু মনে আছে, তাই দিলাম। গুগলে পাবেন। ম্যারিকা (আমেরিকার স্মার্ট উচ্চারণ। প্রথম আলো পড়ে শিখেছি।) কানাডায় এসব দুধ ভাত বলে তাদের লাইফটা এরকম হয়। আধুনিক যুগের সভ্য পশু।
******************
কি বলতে কি বলে ফেললাম নিজেই জানিনা। (বললাম নাকি লিখলাম?) মোবাইলে লিখি তো তাই মনের চিন্তার সাথে টাইপিং এর মিল থাকে না। অনেক কিছু ছুটে যায়। ম লিখতে পাঁচবার আর স লিখতে ছয়বার একটা কি চাপতে হয়। তাই আমার বক্তব্যও "সিরাম"। (আগে যখন ব্লগ ভিজিট করতাম তখন এই কথাটার "ব্যাফুক" প্রচলন ছিল। ম্যারিকান যুগে এর ব্যবহার বিলুপ্তপ্রায়)।
সেই সাথে আমার প্রায় ১ কেবি (1 kb) সাইজের কমেন্টও সমাপ্তপ্রায় । (1020 digit)

২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমাদের ব্লগ পরিবারে স্বাগতম। যাত্রা শুভ হোক।

সিরিজে প্রথম থেকে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ।

পুরোন কিছু ব্লগীয় স্ল্যাং মনে করিয়ে দিলেন!

যাই হোক পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অলিভিয়াকে যে বুঝতে পেরেছেন এবং তাকে পজিটিভলি মূল্যায়ন করেছেন, বিষয়টি ভালো লেগেছে। সব সমাজেই নির্যাতন আছে, শুধু প্রকার ভিন্ন।

২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সব সমাজেই নির্যাতন আছে, শুধু প্রকার ভিন্ন।

হুম এক্সাক্টলি, মিলিয়ন ডলার কথা বলেছেন। এটাই আমি বোঝাতে চেয়েছি। সব দেশে নিজের মতো করে নারী নির্যাতনসহ অন্য অনেক ধরনের অন্যায় নিজের মতো করে জাস্টিফাইড করা! দুঃখের বিষয় সেটা।

সুন্দর মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১০| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

আলগা কপাল বলেছেন: I am GPA 5 এবং ২২ তারিখ থেকে ভর্তি শুরু হলেও এখনো ভর্তি হইনি। কারণ চান্স পাইনি। সেই টেনশনে আগের বার যা পড়েছিলাম এখন তা ভুলে গেছি। সেই আই এম জিপিএ ৫ রাই কলেজে চান্স পেল। আমি পেলাম না। সুতরাং প্রমাণিত হয় আই এম নট জিপিএ ৫। এখন বুঝতে পারছি আইএম জিপিএ ৫ হওয়াই উচিত ছিল। একেক জন দশটা কলেজে চান্স পায় আর আমার মতরা একটাতেও পায় না। What a system প্রসব করেছেন আমাদের মন্ত্রি।

১১| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১২

সম্রাট৯০ বলেছেন: দুইদিন ধরে আমি এই পোস্ট টা বেশ কয়েকবার পড়েছি, এত বড় লেখা সাধারণ আমি এড়িয়ে চলি সেখানে এটা বারবার পড়েছি কারণ আমি এই পোস্টের সাথে সঙ্গত একটা মন্তব্যে করতে চাচ্ছি, কিন্তু দুই দিন ধরেই আমি চেষ্টা করেও পারছিনা, কথা গুলো সব গলার কাছে জটলা বেধে আছে, কোনটা আগে কোনটা পরে ডেলিভারি দেবো সেটাই বুঝতে পারছিনা,

আরো একটু সময় নিলাম।

আপনার কিছু পোস্ট থেকে জেনেছি আপনি নারী,গত পোষ্টেও দেখলাম এসব নিয়েই তর্কবিতর্ক হচ্ছে,আমি আপনার মধ্যে নারী কম দেখেছি, আমি দেখেছি পুরো স্বত্বাজুড়েই আপনি একটা পরিপুর্ন মানুষ।

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ বন্ধু! ভালো আছেন আশা করি।

আপনি সাধারনত বড় লেখা পড়েন না তবুও আমারটা পড়েছেন। এজন্যে কৃতজ্ঞ। অনেক ধন্যবাদ। আচ্ছা সময় নিন, অপেক্ষা করব আপনার কমেন্টের।

আমি আপনার মধ্যে নারী কম দেখেছি, আমি দেখেছি পুরো স্বত্বাজুড়েই আপনি একটা পরিপুর্ন মানুষ।
এই কথার মতো সুন্দর কথা একটা নারীকে আর বলা যায় না। আমি মাথাপেতে এমন সম্মানীয় সুন্দর কথা নিলাম।

অফটপিক: বন্ধু, আপনার এক কমেন্টে দেখলাম ভাবি নাকি আপনার কোন কমেন্ট পড়ে খুব ক্ষেপা! মারধোর করেনি তো আবার? হাহা। ভাবীকে মানিয়ে সুখে সংসার করুন সে কামনাই করি।

বন্ধু, আপনি কথা দিয়ে ভুলে গিয়েছেন কিন্তু আমি ভুলবনা। শোনেন।

১২| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:০৬

সম্রাট৯০ বলেছেন: আরে মহা মুসকিল,ব্লগকি এক পাতার বই নাকি, যেখানে যা কমেন্ট করি সবাই দেখে ফেলে, আরে হয়েছে কি শুনুন বন্ধু, আমার বউ সেদিন কমেন্ট তা দেখে ফেলে, আমি রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরেই দেখি আমার পুতুল কন্য আর তার আম্মু দরজার খুলে দাড়িয়ে, পুতুল বললো আব্বু আগে একটা পাপ্পি দাও, তার পর তুমি তোমার কান ধরো, আমি বললাম কেন মা কি হয়েছে, বলে তুমি ব্লগে এক আন্কেলকে বকা দিসো কেনো, আমিতো পুরাই টাসকি বলে কি পিচ্ছি মেয়ে, বুঝলাম এসব তার আম্মুর কাজ, আমার বউটা এই এক সমস্যা, সব কিছু মেয়েকে দিয়ে লজ্জা দিবে আমাকে আর আমিতো আমার পুতুল বললে মরা ছাড়া সব পারি, আমাকে বললো আব্বু তুমি সরি বলবা, আমি বললাম ওকে মামনি, পিছন থেকে বউ এসে বললো এই লজ্জা রাখি কোথায় ,মেয়ে এসে ম্যনার্স শিখায়। দেখুন তার অবস্থা, হাহাহাহাহা

ওহ আপনাকে গান দিতে ভুলে গেছি সরি, :)

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বন্ধু আপনার পুতুল তো অনেক বুদ্ধিমতী মাশাল্লাহ! বাবাকে এত ছোট বয়সেই ম্যানার্স শেখাচ্ছে। ভাবীর মনে হয় কিছুটা কাহিল অবস্থা বাপ বেটির পাগলামিতে। নাহলে কি আর মেয়েকে দিয়ে বোঝায়! নিশ্চই আপনি ভাবীর কথা সহজে শোনেন না, আর বেচারি মেয়ের কাছে হেল্প চায়।

কিন্তু আপনার কমেন্ট পড়ে বুঝতে পারছি কি ভীষন সুখের সংসার আপনার! এভাবেই থাকুন সারাজীবন।

পুতুল মামনীর জন্য একটা গান।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:২৫

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: বিদেশের বাতাসের ঘ্রাণ মুভি-মিডিয়ার কল্যাণে যেটুকু পাই, তাতে করে কিছুটা মিল ছিলই.......অলিভিয়ার ঘটনাটার যে ব্যাখ্যা দিলেন সেটা অামিও অনুরূপ অনুমান করতাম- অসহায়ত্বই তাদের জন্য বড় শৃঙ্খল!!

ও একটা এনিম্যাল ছিল! এনিম্যাল! পাঁচ বছরে একদিনও এবিউজ/মার/গালি ছাড়া ছিলাম না। অনেকদিন পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলাম ঠিক পথে ফিরিয়ে আনার......
টাসকিটা খেয়েছি এই কথাগুলো পড়ে, সর্বোচ্চ ৩৬৫ দিন এমন চৌহদ্দি পশ্চিমি মেয়েরা মানতে পারে ভেবে বিশ্বাস করতাম- কিন্তু এটার পঞ্চম বার্ষিকী পালন করা সম্ভব জেনে হতবাকও হয়েছি.......কষ্টমেশা একটা সুখও অনুভূত হয়েছে এই ভেবে- মায়েদের ত্যাগ লঘু কিংবা গুরু হয়, কিন্তু সংসারের জন্য ভালোবাসা কখনো সম্পূর্ণ ভিন্ন হয় না.....পশ্চিমে সময় লাগলেও, নোঙর হয়তো অন্য ঘাটে ফেলা সম্ভব কিংবা নৌকার পালে কিছু বাতাসও থাকে টেনে নেবার - অার অামাদের মায়েদের সেই নৌকাটাও হয়তো বেশিরভাগ ভাঙাচোরাই থাকে :(

২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পশ্চিমে সময় লাগলেও, নোঙর হয়তো অন্য ঘাটে ফেলা সম্ভব কিংবা নৌকার পালে কিছু বাতাসও থাকে টেনে নেবার - অার অামাদের মায়েদের সেই নৌকাটাও হয়তো বেশিরভাগ ভাঙাচোরাই থাকে
অসাধারন এক সত্য। এখানে সহ্য করলেও একটা সময় ডিভোর্স দেবে, কিন্তু আমাদের দেশে অনেক মেয়ে দূর্ভাগ্যজনকভাবে মরার আগ পর্যন্ত স্বামীর সকল অপমান সহ্য করে যান। তাদের মাথায় এই খেয়ালটাই আসেনা স্বামীকে ছেড়ে জীবনটাকে নতুনভাবে শুরু করা যায়! সমাজের ভয়, শিক্ষা/অর্থ/আশ্রয়ের অভাব তাদের মনে বাঁচার স্বপ্নটাও আসতে দেয়না। তবে অবশ্যই সব নারী সেরকম না, আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত, অাত্মমর্যাদাসম্পন্ন নারী আছেন। অনেক ভাল স্বামীও আছেন।

একটা হনেস্ট কনফেশন করতে চাই। আপনার কমেন্ট পড়ে খুব মনে হয়, আমি এই মানুষটার মতো করে কেন কথা বলতে পারিনা? এত সুন্দর সব দূর্লভ প্রতীক ব্যবহার করে সাহিত্যের মতো করে কোনকিছু বোঝানো! সত্যিই অসাধারন! আমি সবসময় মুগ্ধ হয়েছি, আজকে জানালাম আপনাকে মুগ্ধতার কথা।

একটা পোষ্ট বা সিরিজে কিছু কিছু পাঠক আসেন যারা নিজেদের মন্তব্যে লেখাটার মান বাড়িয়ে দেন। আপনি নিঃসন্দেহে এই সিরিজটার জন্যে সেরকমই একজন।
ভাল থাকুন, শুভকামনা।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫২

বিপ্লব06 বলেছেন: অলিভিয়ার জন্য শুভকামনা। হোপফুলি সে এখন ভালো আছে।

পোস্টটা এডিট করে "অনেক পুরুষই খারাপের শিকার" লাইনটা এড করে দিয়েছেন সেইজন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না আমি এডিট করিনি, প্রথম থেকেই ওটা ওখানে ছিল। আপনি বোধহয় আগে খেয়াল করেননি বা সেরকম কিছু। আমি আবারো বলছি এই পোষ্টে কিছু বানান ভুল ছাড়া অন্যকোন নতুন কিছুর সংযুক্তি বা বাদ দেওয়া হয়নি।

পাঠ, ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

আপনিও ভাল থাকুন বুদ্ধুকুমার, কোন সমস্যা থাকলে কেটে যাক, আর না থাকলেত ভালোই।

১৫| ৩০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫০

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: আপু আপনি একটা কমেন্ট এ বাংগালি লিখেছেন এটা তো বাঙ্গালি হওয়ার কথা মনে হয়।

৩০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি এ বানানটা দুভাবেই দেখেছি। আগেকার দিনে বাঙ্গালিই লিখত বাকায়দা তবে আজকাল অনেক জায়গায় বাংগালি লেখাটা দেখে দেখে চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছে। আমিও সেভাবেই লিখে ফেলেছি।

তবে ধরিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ অনেক।
ভাল থাকুন।

১৬| ৩০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১২

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: হাহাহা বাকায়দা মজা লাগল

৩০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: :)

১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১৯

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: আপু আপনার লেখা গুলো ভাল লাগল তাই আমার ফেসবুক এ স্যায়ার দিছি আর পরের পর্ব গুলো একটু তাড়াতাড়ি লেখেন।

৩০ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি চেষ্টা থাকবে তাড়াতাড়ি লেখার।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

অঅলকক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, আশাকরি পর্বটি চালিয়ে যাবেন।

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। জ্বী চালিয়ে যাব সিরিজটি, এখনো অনেক গল্প, কথা বাকি; সাথে থাকুন।

অফটপিক: আপনার প্রোফাইল পিকচারটি ইন্টারেস্টিং।

শুভকামনা।

১৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪২

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: ঈদ মোবারক আপু

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমার কথা মনে করে উইশ করে যাওয়ার জন্যে।
আপনাকেও ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক ভাই।

২০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: ওয়েলকাম আপু

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: :)

২১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৪

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: পরের পর্ব কবে পাব

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হ্যারে প্রথমে আড্ডা পোষ্টের কারনে দেরী হল। সবাই জমিয়ে আড্ডা দিয়েছি, কোনদিকে খেয়াল ছিলনা। তারপরে ঈদের কয়দিন আগে লিখতে বসলাম কিন্তু দেশের খারাপ পরিস্থিতির কথা জেনে মনই হলোনা আর লেখার। যাই হোক, অনেকটা লিখে ফেলেছি পরের পর্ব। পরশুই দেব পারলে। সাথে থাকুন ভাই।

২২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০২

রুহুল আমিন তাপাদার বলেছেন: অবশ্যই থাকব আপু। আর বাংলাদেশের জন্য দোয়া করবেন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশের জন্যে তো সবসময় দোয়া করি ভাই। ভালো সময়ে দোয়া করি যেন কোন কালোছায়া না পরে, আর খারাপ সময়ে দোয়া করি বিপদ যেন জলদি কেটে যায়! আমরা যেন হাসতে হাসতে দুঃখের এই পাহাড়টুকুও পার করে ফেলতে পারি!

সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। জলদিই পরের পর্বে দেখা হবে। :)

অনেক ভাল থাকুন, সর্বদা ভালো থাকুন ভাই।

২৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

পথহারা মানব বলেছেন: আপু মিসেস টির কথাটা ছিল মূলত এরকম... ;)

আল্লা তোমার পোশাক কি ভীষন সুন্দর! তোমার চুলগুলো কি সুন্দর, কি সুন্দর লাগছে তোমাকে!" জান এত সুন্দর মেয়ে আমি কখনও দেখিনি...ওরে আমার ফ্রোজেন প্রিন্সেসরে...হা হা হা
আপু মিসেস টির কথাটা ছিল মূলত এরকম... ;)

আল্লা তোমার পোশাক কি ভীষন সুন্দর! তোমার চুলগুলো কি সুন্দর, কি সুন্দর লাগছে তোমাকে!" জান এত সুন্দর মেয়ে আমি কখনও দেখিনি...ওরে আমার ফ্রোজেন প্রিন্সেসরে...হা হা হা


আয় আল্লা কেমনে নিজের প্রশংসা মানুষ নিজে এমনে করে...হা হা হা

আপনার ভাষাশৈলী সত্যি খুব সুন্দর...

আয় আল্লা কেমনে নিজের প্রশংসা মানুষ নিজে এমনে করে...হা হা হা

আপনার ভাষাশৈলী সত্যি খুব সুন্দর...

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা হাসতে হাসতে কুটিপাটি আপনার কমেন্ট পড়ে। আপনি মজা করলেও সিরিয়াসলি কোন পাঠক নিলে তাদের জন্যে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা আমাকে করতেই হবে।
আমি প্রথমদিকে খুব মনমরা, ভয়ে ভয়ে থাকতাম। আর লাইব্রেরিয়ান অসাধারন মমতাময়ী মহিলা ছিলেন। তিনি আমাকে সুন্দর বলে, প্রশংসা করে কমফরটেবল করার চেষ্টা করতেন। ওটা আমার নিজেকে করা প্রশংসা না, ওনার জবানি তুলে ধরেছি। আর সালোয়ার কামিজের প্রশংসা সব জায়গাতেই পাই। রাস্তায়, বাসেও অনেক অপরিচিত মানুষ বলে ওঠে কি সুন্দর পোশাক! অনেকে কানাডিয়ানই এমন পোশাক সচরাচর দেখেনা। আর কানাডিয়ানরা অন্য কালচারকে এপ্রিশিয়েট করে, মুগ্ধতা ভরে দেখে।

আপনার সেন্স অফ হিউমারে আমি মুগ্ধ।
পাঠ, ও মজার মন্তব্যে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.