![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
________•●♥Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ♥●•________ তোমায় আমি দেখেছিলাম বলে তুমি আমার পদ্মপাতা হলে; শিশিরকণার মতন শূন্যে ঘুরে শুনেছিলাম পদ্মপত্র আছে অনেক দূরে, খুঁজে খুঁজে পেলাম তাকে শেষে। নদী সাগর কোথায় চলে বয়ে পদ্মপাতায় জলের বিন্দু হয়ে জানি না কিছু -দেখি না কিছু আর এতদিনে মিল হয়েছে তোমার আমার পদ্মপাতার বুকের ভিতর এসে। তোমায় ভালবেসেছি আমি, তাই শিশির হয়ে থাকতে যে ভয় পাই, তোমার কোলে জলের বিন্দু পেতে চাই যে তোমার মধ্যে মিশে যেতে শরীর যেমন মনের সঙ্গে মিশে। জানি আমি তুমি রবে- আমার হবে ক্ষয়; পদ্মপাতা একটি শুধু জলের বিন্দুর নয়। এই আছে, নেই; এই আছে, নেই- জীবন চঞ্চল; তা তাকাতেই ফুরিয়ে যায় রে পদ্মপাতার জল বুঝেছি আমি তোমায় ভালবেসে। ________•●♥Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ♥●•________
আগের পর্ব > আমার ভারত ভ্রমণ -৭ম পর্ব (( স্বর্গের খুব কাছাকাছি --শিমলা ))
শিমলার পালা চুকিয়ে আমরা তখন মানালির পথে । শিমলা থেকে মানালি যেতে লেগে যায় প্রায় ১২ ঘণ্টা ৷
বলা হয়ে থাকে, প্রাচীনকালে সপ্তর্ষি বা সপ্ত-ঋষির বাসস্থান ছিল এই মানালি । সুদূর অতীতে যার নাম ছিল ''মানালিসু'' ।
ব্রাহ্মন বিধান কর্তা মনু-র নাম থেকে এই শৈল শহরের নামকরণ । 'মানালি' শব্দটার আক্ষরিক অর্থ 'মনুর বাসভূমি' ।
পুরানে আছে, ঋষি মনু তাঁর নৌকা থেকে এখানে নেমেছিলেন প্রবল বন্যায় পৃথিবী আক্রান্ত হবার পরে মানুষকে নবজীবন দিতে ।
চারদিকে গম্ভীর পাহাড়ের পাহারা সঙ্গে মানালির বুক চিরে বয়ে চলে সুন্দরী বিয়াস নদী ৷ কখনও খরস্রোতা আবার কখনও শান্ত ৷
মানালি ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের কুল্লু জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর । বিয়াস নদীর উপত্যকায় সমুদ্রতল থেকে ১৯৫০ মিটার বা ৬৩৯৮ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত চমৎকার এক হিল-স্টেশন ।
মানালি যাবার পথে পাহাড়ের কোলে ছোট্ট হনুমানজির মন্দির
পাহাড়ি হলেও কিন্তু শহরটি পিছিয়ে নেই মোটেই । ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মানালি শহরের জনসংখ্যা হল ৬২৬৫ জন । এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪% ।
সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মানালির সাক্ষরতার হার বেশি ।
মানালির জলবায়ু প্রধানত শীতকালে ঠান্ডা এবং গ্রীষ্মকালে সহনীয় শীতল । এ অঞ্চলে তুষারপাতের সময় হচ্ছে ডিসেম্বর-জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ।
প্রাচীনকালে এই উপত্যকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে যাযাবর শিকারী সম্প্রদায়ের লোকের বাস ছিল । পরবর্তী কালে আগমন ঘটে কাংরা উপত্যকা থেকে আসা মেষপালকদের, এরা এখানে কৃষি কাজের জন্য বসতি স্থাপন করে । এ অঞ্চলের প্রাচীনতম বসবাসকারীদের অন্যতম ছিল 'নৌর' অথবা 'নর' ।
এখনো নাকি অল্প কয়েক ঘর 'নর' পরিবার এখানে বর্তমান ।
ইংরেজরা এ অঞ্চলে আপেল আর ট্রাউটের চাষ শুরু করে, মানালির উদ্ভিদ আর প্রাণীকুলের ইতিহাসে আগে এদের অস্তিত্ব ছিল না ।
আপেল বাগান ।
( এখানে চমৎকার কিছু সময় কাটিয়েছিলাম । ভেতরে একটা ফল প্রক্রিয়াজাত করণের কারখানা আছে , টাটকা ফলের জুস - জ্যাম - জেলি সব পাওয়া যায় । )
ছোট্ট এই শহরটিতে এসে মনে হচ্ছিলো যেন স্বর্গে চলে এসেছি ।পাইন আর দেবদারুতে ছাওয়া পথে চলতে চলতে যখন মানালি পৌঁছলাম ঢলে পরা দুপুর তখন গোধূলির কমলা রঙ আর হালকা কুয়াশায় মাখামাখি ।
জিপ থেকে নামলাম ছিমছাম সুন্দর হোটেলটার সামনে , '' হোটেল মঙ্গলদ্বীপ '' ।
মানালিতে আমাদের অস্থায়ী ডেরা ।
হোটেলটা দারুণ
এই হোটেলের সবচাইতে সুন্দর জায়গা এর ছাদটা । মানালি শহরের অনেকখানি এখান থেকে দেখা যায় , সাথে বরফে মাখামাখি পাহাড় চূড়াগুলোও ।
খাওয়া - বিশ্রাম শেষে যখন আবার রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম তখন রাত্রি নেমে গেছে । আমাদের হোটেল থেকে কিছুটা দূরে মানালির ম্যাল রোড । চারপাশে সাজানো চকচকে দোকানপাট, শপিংমল , হোটেল আর রেস্তোরাঁয় বেশ জমজমাট । হেঁটে হেঁটে ঘুরলাম অনেকক্ষণ । টুকটাক কেনাকাটা শেষে যথারীতি সবাই ভিড় জমালাম রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলোর সামনে ।
বেশ একটা মজা হল এখানে । আমরা চাউমিন ( নুডুলস জাতীয় খাবার ) খাচ্ছিলাম,
খাওয়া শেষে বিল মেটাতে গিয়ে দেখলাম এক রুপির একটা কয়েন কম পরছে । দোকানদারও ভাংতি দিতে পারছে না । অবশেষে দোকানদার নিজেই বল্লেন - '' ঠিক হ্যায় , কোই বাত নাহি । ''
এরপর গল্প শুরু করলেন আমাদের সাথে । আমরা কোথা থেকে এসেছি , কি করি এইসব আর কি ... যখন বললাম আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি , উনি চিনতেই পারলেন না । কষ্ট লাগলো একটু , তবুও বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম জায়গাটা কোথায় । কতটুকু বুঝলেন, কে জানে ... তবে বেশ আগ্রহ দেখালেন আমাদের দেশে আসার । বেচারার নাকি অনেক শখ ঘুরে বেরাবার , কিন্তু মানালির বাইরে কখনো পা রাখতে পারেননি । কারণ তিনি বেশ গরীব ।
মধ্যবয়সী লোকটাকে আমাদের বেশ ভাল লাগলো । একটা রুপি কম দিতে হচ্ছে ভেবে একটু মনটা খারাপ হল । কি ভেবে আর একবার ব্যাগ হাতড়ালাম । এক রুপি পেলাম না , যেটা পেলাম সেটা আমাদের বাংলাদেশী এক টাকার একটা কয়েন । একটু ইতস্তত করে সেটাই তার হাতে দিলাম । বললাম এটা আমাদের দেশের এক রুপি , তোমাকে উপহার হিসেবে দিলাম । ভদ্রলোক এত বেশি খুশি হলেন সেই সামান্য কয়েনটা পেয়ে !বারবার আমাকে ধন্যবাদ দিচ্ছিলেন , আর বললেন কয়েনটা উনি খুব যত্ন করে রাখবেন আর চেষ্টা করবেন বাংলাদেশে একবার আসার । আমার মন ভাল হয়ে গেল দুম করে ... দেশ আলাদা , ভাষা আলাদা হলেও খুশি আর ভালবাসার প্রকাশ তো সব মানুষেরই এক ।
যাইহোক , হোটেলে ফিরে রাতটা কেটে গেল আরামে ঘুমিয়ে ।
পরদিন ভোরে হোটেল রুমের জানালা খুলেই বুঝলাম মানালিতে সকাল হয় স্বপ্নের মতো ৷
সে এক অপূর্ব সৌন্দর্য; পাহাড়ের আড়াল থেকে সূর্য যেন রক্তিম আভার মতো উঁকি মারছে । আর সেই আভায় ভেসে যাচ্ছে পাহাড়, পাহাড়ি নদী, ঝরনা, বন । সেই সৌন্দর্য ভাসায় প্রকাশ করার মত নয় । শুধু দুচোখ ভরে দেখে নেয়ার ।পাহাড় চূড়ার হোটেলের এই রুমটা থেকে দেখা যাচ্ছিল আরেক সাদা পাহাড় , বরফের টুপি মাথায় দিয়ে আছে যেন । ভীষণ ভালো লাগলো দেখতে ।
হোটেলের জানালায় দেখা বরফ পাহাড়
মুগ্ধতা কাটিয়ে তৈরি হয়ে নিলাম । এবার পালা মানালি ভ্রমণের ।
মানালি বিখ্যাত স্কিইং, হাইকিং, পর্বতারোহন, প্যারাগ্লাইডিং, ট্রেকিং আর মাউন্টেন বাইকিং এর মতো এডভেঞ্চার এর জন্য । এখানকার উষ্ণ প্রস্রবণ ধর্মীয় কুঠি ও তিব্বতী বৌদ্ধ মঠও দেখবার মত ।
প্রথমেই আমরা দেখে নিলাম একটা বৌদ্ধ বিহার । পাশেই ভারতের বনবিভাগের সংরক্ষিত বন-লম্বা লম্বা পাইন গাছ,নাম না জানা নানা পাখি আর নীচে সবুজ স্যাঁতস্যাঁতে পাথরে ভরা '' বন বিহার ''।
মানালি ম্যালের পেছন দিকে তিব্বত মনাস্ট্রি ।
উৎসবমুখর ম্যল রোড ছেড়ে দেড় কিলোমিটার গেলে হিড়িম্বাদেবীর মন্দির । অবশ্য খানিকটা খাড়াই পথেও উঠতে হবে।
মহাভারতে মধ্যম পান্ডব ভীমের স্ত্রী এই ''হেড়ম্বা'' যিনি রাক্ষসী হলেও মানালিতে দেবীভাবে পূজিতা হন ।
হিড়িম্বা টেম্পল
কথিত আছে, হিড়িম্বাকে এখানে এই জঙ্গলের মধ্যে বিয়ে করেন ভীম । তাই তাঁর সম্মানে এই মন্দির । প্যাগোডার স্টাইলের মন্দিরজুড়ে সূক্ষ্ম কাঠশিল্পের রকমবাহার ।
১৬ শতকে রাজা বাহাদুর সিংয়ের আমলে এটি তৈরি হয় । কারুকার্যময় দরজা-জানালায় ঘেরা মন্দিরটিতে আছে নানা মূর্তি । ভারি সুন্দর ছায়-ছায়া মন শান্ত করা পরিবেশ । আপনা থেকেই দৃষ্টি স্নিগ্ধ হয়ে আসে, মন শীতল হয়ে ওঠে ।
হিড়িম্বার মন্দিরের পাশেই আছে ভীম ও হিড়িম্বার পুত্র ঘটোৎকচের মন্দির ।
এসব দেখতে দেখতেই দিন শেষ ।
এর পরদিন আবারও খুব ভোরে বের হলাম মানালি ঘুরে দেখতে । আমাদের রোটাং পাসে যাওয়ার কথা থাকলেও,ওইদিন ওটা বন্ধ থাকায় যাওয়া হলনা । মিস করলাম মানালি শহরের ৫১ কিলোমিটার দূরের দারুণ একটা জায়গা , কারণ মানালির খ্যাতির সিংহভাগ জুড়েই বরফমোড়া রোটাংয়ের উপস্থিতি ।
কি আর করা ! রোটাং এর পরিবর্তে গেলাম সোলাং পাসে । যাঁরা প্যারা গ্লাইডিং ও পাহাড়ে ঘোড়সওয়ারী করতে উৎসুক, তাঁরা সোলাং এ না গেলেই নয় !
সোলাং পাসে যাওয়ার পথে
সোলাং উপত্যকা 'স্নো পয়েন্ট' নামে পরিচিত । মানালির ১৩ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে এর অবস্থান । ভারি সুন্দর এক উপত্যকা । সোলাং ভ্যালি থেকেই বরফ-মোড়া পাহাড়চূড়া খুব সুন্দর দেখা যায় । অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ গিরিখাতে বয়ে চলেছে বিপাশা । চারপাশ পাহাড়ে ঘেরা । মালভূমি থেকে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে একটা বিশেষ ধরনের বাইক লাগে । সেটাতে চড়েই আমরা ওপরে উঠলাম । একদম আমার মনের মত ছিল আবহাওয়া । উজ্জ্বল ঝিকিমিকি রোদ ,হিমেল আমেজ,হালকা বাতাস । সাথে সবুজ গাছ আর ধবধবে সাদা বরফ । দারুন কনট্রাস্ট ।
গাড়ি থেকে নামতেই এগিয়ে আসে কয়েকটি তিব্বতি ছেলে, হাতে ছোট ছোট কৌটায় '' কেশর '' ( সুন্দর ঘ্রাণের একরকম পাহাড়ি ফুলের পরাগ । যা রূপচর্চায় কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবারে ব্যাবহার করা যায় । ) ঝুড়িতে স্ট্রবেরি্ ,পাহাড়ি ফুল কিংবা তুলতুলে তিব্বতি খরগোশ হাতে আরও কয়েকজন মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল । টুরিস্টদের আনন্দ দেয়ার সাথে সাথে কয়েকটা রুপি কামিয়ে নেয় এরা ।
খরগোশগুলো খুব বেশি আদুরে
আমরা কিন্তু চুটিয়ে মজা করলাম ।
কেউ করলো প্যারা গ্লাইডিং (সঙ্গে অবশ্য পাইলট থাকে,কোনো চিন্তা নেই ) ,কেউ চড়ল ক্যাবল কারে,কেউবা ট্র্যাকিং করে উঠে গেলো চূড়ার কাছাকাছি । জীবনে আর কখনো প্যারা গ্লাইডিং করা হবে কিনা কে জানে ! কিন্তু আফসোস থাকবে না আর এতটুকুও ... হাজার হাজার ফুট ওপর থেকে সমতলকে দেখার মজাই অন্য রকম । কিছু সময়ের জন্য যেন পাখি হয়ে যাওয়া ।
প্যারা গ্লাইডিং ( A life time experience to remember )
ক্যাবল কার
ক্যাবল কারের ভেতর থেকে মানালি শহর দেখা
আমরা মেয়েরা মানালির ঐতিহ্যবাহী বর্ণীল পাহাড়ি পোশাকে ছবি তুললাম । পাহাড়ি নাচের ভঙ্গিমায় পোজ দেয়ার সময় একেকজনকে একদম পাহাড়ি মেয়েই মনে হচ্ছিলো ।
একটু পরে দেখলাম আমাদের ছেলে বন্ধুগুলোও বসে নেই । মানালি পুরুষদের বেশে সাজতে শুরু করে দিয়েছে । ছবি টবি তোলা শেষ হলে আবার ফিরে চললাম হোটেলে ।
ফেরার পথে পাহাড়ি নদী বিয়াসে কাটালাম অনেকটা সময় । দারুন সুন্দর একটা নদী । জল বেশ স্বচ্ছ । পা ভিজিয়ে রাখলাম কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা জলে । আমার আবার নানা জায়গা থেকে পাথর সংগ্রহ করার শখ । পাড় থেকে কিছু পাথর কালেক্ট করলাম,অদ্ভুত তাদের জৌলুস আর আকার । সূর্যের আলোতে যখন ঝিলমিল করে মনে হয় যেন টুকরো টুকরো সোনা জলের কিনারে পরে আছে অবহেলায় !
সুন্দরী বিয়াস নদী ৷ কখনও খরস্রোতা আবার কখনও শান্ত ৷
কাল সকালে ছাড়তে হবে মানালি । মনটা খারাপ লাগছিলো ,সারাজীবন যদি থেকে যাওয়া যেত এই স্বর্গ রাজ্যে ।
'দেব উপত্যকা' নামটা একদম সার্থক ।
পরদিন ঘুম ভেঙ্গে মনে হল এবার যেতে হবে কলকাতায় । পাহাড় থেকে আবার সেই সমতলে ।
মানালির প্রধান আকর্ষণ বরফ, বরফের পাহাড়, যা ছিল আমাদের অতি কাঙ্ক্ষিত । বরফের পাহাড়গুলো যেন মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে । সূর্যের আলতো আদরে বরফের ঘুম ভাঙে । সেই ঘুমভাঙা বরফকে সঙ্গী করে আমরা খেলায় মেতে উঠেছিলাম । যেন এক স্বপ্নের পৃথিবী । স্বপ্ন খুব কম সময় স্থায়ী হয়, তাই আমাদের স্বপ্নের পৃথিবীও খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না । ফিরে এলাম শুভ্রতা থেকে কংক্রিটের শহরে । কিন্তু মন পরে রইল সেই শুভ্রতায় ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ অনেক ধন্যবাদ ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন! এই সিরিজের সবগুলো পর্বের মধ্যে এই পর্বটা বেশি ভালো হইছে। অনেক দিন পর লিখলেন!! ড্রাইভার কি পথে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল নাকি!!
যাই হোক, আশা করি ভালো আছেন। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৮
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: হাহা .... নাহ । ফাইনাল পরীক্ষা দিলাম ।
বিশাল প্যাড়ায় ছিলাম । এখন হাতে অন্নেক সময় , আশা করছি কলকাতা পর্বটাও তাড়াতাড়ি লিখে ফেলতে পারবো ।
●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
আপনি ভাল তো ?
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ আমি ভালো আছি। আপনার পোষ্টটা শেয়ার করলাম ফেসবুকে।
যাক ডাক্তার তাহলে হয়েই গেলেন
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৫
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: আপনার কথা সত্যি হোক , রেজাল্ট বের হলে তাহলে আপনার জন্য একটা আইসক্রিম পোস্ট করবো
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
এম ই জাভেদ বলেছেন: আপনার তো অনেক সাহস ! প্যারা গ্লাইডিং এ ভয় লাগে নি ?
পোস্ট দারুন হয়েছে। প্রিয়তে রেখে দিলাম।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: প্রথমে একটু ভয় লাগে , কিন্তু এরপর মুগ্ধতা এত বেশি থাকে যে ভয় পালিয়ে যায় ... আর আগেই বলেছি সাথে পাইলট থাকে । ওরা তো এক্সপেরিএন্সড । সো নো চিন্তা
পোস্ট ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম ।
●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ ধন্যবাদ ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৪
এম মশিউর বলেছেন: ওয়েট! আমিও যাচ্ছি!
বেঁচে থাকলে আগামী বছর সার্ক কান্ট্রি ট্যুরে আমিও ভারত যাবো।
সবগুলো দেখবো।
তারপর ৫০ পর্বের মেগা পোস্ট দেবো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: '' সার্ক কান্ট্রি ট্যুর '' !!! আমি হিংসিত
তবুও , ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ শুভকামনা রইলো ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ফ্যান্টাস্টিক !
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ ধন্যবাদ ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪১
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ...
মনে হচ্ছে আপনার পোস্ট পড়তে পড়তেই একবার মানালি থেকে ঘুরে আসি !
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄অনেক ধন্যবাদ ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
আমি সার্থক
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অসাধারণ ছবিগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ আপনাকেও ধন্যবাদ ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
ধৈর্য ধরে এত বড় পোস্ট পড়বার জন্য
৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
স্বপ্নের মতো সুন্দর আনন্দময় ভ্রমন,
কতজনেরই বা সৌভাগ্য হয় এমন..!!
খুব ভালো/হিংসে লাগলো...!
খরচ পাতির ধারনা যদি কিছু দিতেন..?
অনেক সুন্দর হোক আপনাদের আগামী..।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ ধন্যবাদ ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
আমার জীবনের অনেক সুন্দর স্মৃতিময় একটা ট্যুর এটা ।
যাইহোক , খরচা পাতির সঠিক ধারণাটা আপনাকে দিতে পারছিনা বলে দুঃখিত । আমরা আমাদের মেডিকেল কলেজ থেকে গিয়েছিলাম একটা ট্যুরিসম কোম্পানির মাধ্যমে ।
১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: ট্রাভেল বিষয়ক পোস্ট গুলো সব সময়ই দারুন ভাল লাগে। আপনার পোস্ট টাও ভীষণ ভাল লাগলো।
নিজে চোখে এই জায়গা গুলো কোনদিন দেখতে পারব কিনা জানি না , আপাতত ছবি দেখেই শান্তি।
প্যারা গ্লাইডিং ব্যাপারটা আমার দারুন অ্যাডভেনঞ্চারাস মনে হয়। এই জিনিসে একবার না চড়লে জীবনটাই আমার বৃথা যাবে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: আমিও কোন ভ্রমণ ব্লগ পড়লে আপনার মত আফসোস করি
প্যারা গ্লাইডিং আসলেই চরম একটা অ্যাডভেনঞ্চার । আশা করি কোন একদিন আপনিও এর মজাটা নিতে পারবেন । গুড লাক
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৭
Kawsar Siddiqui বলেছেন: ভাল লাগছে । রাজকন্যা খুব ব্যস্ত ?
ধন্যবাদ, তথ্যমূল ক পোস্ট
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ ধন্যবাদ ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ
খুব বেশি ব্যাস্ত নই
১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
গুল্টু বলেছেন: আমার জীবনের অনেক সুন্দর স্মৃতিময় একটা ট্যুর গত বছর এই সময়(নভেম্বর) গিয়েছিলাম রথাং পাস সহ। বরফ পেয়েছিলাম । ছবি আপলোড করতে পারিনা। তাই দিতে পারিনাই।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: আমারও ভীষণ সুন্দর স্মৃতিময় একটা ট্যুর ।
১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
পাখা বলেছেন: আপু সব কটা পোস্ট এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেল্লাম..ভালো ভাগলো..
বছরের কোন সময়/মাসে মানালী গিয়েছিলেন..???
পুস্টে +++
পরের পোস্টের ....
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄Ʒ অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়বার জন্য ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄
আমরা গিয়েছিলাম অক্টোবরের প্রথম দিকে । তবে যতদূর জানি , নভেম্বরে গেলে আরও বেশি স্নো ফল দেখা যায়
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ
ছবিগুলোর জন্য +++++
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄ আপনাকেও ধন্যবাদ ●Ƹ̵̡Ӝ̵̨̄
১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
আদ্রিজা বলেছেন: গত বছর ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম। সকালে চোখ খুলেই জীবনে প্রথমবার স্নো ফল দেখা যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি।
আপনার পোস্ট টা পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম।
অনেক ভাল লাগলো।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
সপ্তর্ষি রাজকন্যা বলেছেন: ইসসস.! আপনিও তো আমাকে নস্টালজিক করে দিলেন !
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫২
আনোয়ার ভাই বলেছেন: সুন্দর ছবি দারুন ভ্রমন কাহিনি।