![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধু,
তুমি কি শুধুই বন্ধু, নাকি অন্য কিছু?
মানুষের জীবনের সবচাইতে বড় এবংমূল্যবান জিনিস হল বন্ধুত্ব। আমাদের জীবনে অনেক বন্ধু থাকে। কাসে, খেলার মাঠে, কর্মড়্গেত্রে অথবা জীবনের কোন নতুন আয়োজনে। কিন্তু যখন সত্যিকার অর্থে আপনাকে যদি একটা প্রশ্ন করা হয় আপনার জীবনের প্রকৃত বন্ধু কতজন? তখন খুজতে হয় জীবনের ডায়েরী। সে ডায়েরীর পাতায় অসংখ্য পরিচিত মানুসের নাম লেখা কিন্তু সত্যিকারের বন্ধুর নামটি আর খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তখন বলতে হয়, মানুষ হিসেবে এই প্রকৃত বন্ধু না থাকাটায় আপনি বা আমি একিট ব্যর্থ পদার্থে পরিণত হলাম। পদার্থ বলার কারণ আমি বা আপনি তখন একটি নীর্জিব বস্তুতে পরিণত হই।
পৃথীবিতে যে মানুষের ভাল বন্ধুর সংখ্যা বেশি সে তত বেশি সফল এবং সুখী। তবে এই সুখ এবং সাফল্য সবার কপালে আস না বা সয় না। কারণ ভাল বন্ধুত্ব খুজে পাওয়া খুব কঠিন। তার চাইতে বড় কথা স্বার্থের এই জীবনে নিজেকে ভাল বন্ধু হিসেবে উপস্থাপন করা দূরহ ব্যপার।
আমার কাছে বন্ধু শব্দটি পৃথিবীর সবচাইতে মধুরতম শব্দ। কারণ জীবনের সব আনন্দ, বেদনা, আশা, হতাশা, পাওয়া না পাওয়া সবকিছুই এর মাধ্যমে আসে।
আমার কাজের সাফল্য ব্যর্থতা অনেকাংশেই আমার বন্ধুদের উপর নির্ভরশীল। আমি যখন একটি ভাল কাজ করব তখন আমার যদি প্রকৃত বন্ধু থাকে, তবে আমাকে উৎসাহের সাথে আরও একটি জিনিস দেবে। সেটি সাহস। সে আমার সামলোচনা করবে যা আমার জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে। আমার জীবনের নষ্টামী, ভন্ডামী কিংবা অসামজিক, অমৌলিক কোন কাজকে সে ঘৃণা করবে কিন্তু আমাকে নয়। সে আমার ওই কাজ গুলোকে সমর্থন করবে না, কিন্তু ভালর জন্য আমাকে সমর্থন করবে । আমাকে সে বার বার হত্যা করতে চাইবে বাঁচাবার জন্য। সে আমাকে সামনা সামনি প্রশংসা করবে না, তবে সামনে এসে খারপ কাজের জন্য একটা চড় মারবে। তবে আড়ালে গিয়ে আমার নিন্দা করবে না বা সমালোচনা করবে না। আমার সাফল্যে সে হিংসা করবে না বরং খুশি হবে।
আমাদের বন্ধুত্বের জোড় তখনই কমে যায় যখন আমি আমার বন্ধুর সাফল্যে বা তার বড় কোন প্রাপ্তিতে ঈর্ষন্বিত হই।
জীবনের দুঃখ, ব্যথা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে আমি যদি কোন মানুষের সাথে কথা না বলতে পারি তবে তার চাইতে নিরর্থক জীবন আর হতে পারে না। এই কথাগুলো বলার জন্য একজন মানুষ দরকার। আর সেই মানুষটিরও থাকতে হবে শোনার মত মন। আবার আপনারও বন্ধুর প্রতি ওই একই রকম মন থাকতে হবে। দুজন মানুষের প্রতি দুজনের শ্রদ্ধা, ভালবাসা, অনুভতির বোঝাপরা একটি ভাল বন্ধুত্বের জন্ম দেয়। আর তখন বন্ধুত্বের সেই তৃতীয় সত্ত্বাটি দুজনের মাঝে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে।
এই সেতুটি যার জীবনে যত মজবুত সে তত সাফল্যের সাথে চলতে পারে।
শরিফুল ইসলাম
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
©somewhere in net ltd.