জ্বলে উঠো...জেগে উঠো বাংলা

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

ক্ষমতাসীন দলের আইন নামক চিন্তাধারার মন্ত্রী তার দলের সবাইকে লাঠি নিয়ে বিএনপি-র ২৯ তারিখের কর্মসূচিতে কেউ যাতে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেই উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।

যিনি আইনের রক্ষক হবেন তিনি যখন এহেন বক্তব্য দেন তখনঃ



প্রথমত স্পষ্ট-''আইন'' নামক শব্দটা আমাদের দেশের আইনে ভুয়া। এর কোন ডিজিটাল রূপ হয়তো এনারা জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসলে দিবেন।



দ্বিতীয়ত স্পষ্ট- "গণতন্ত্র" নামক শব্দটাও এদেশে ভুয়া । এর চর্চা কোন দলই মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কোন সরকার কখনো করতে পারেনি। আর এরা কোনদিনই তা করতে পারবেনা। কারণ, 'কয়লা ধুইলেও ময়লা যায়না' বলে যে একটা কথা আছে এনারা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।



এনারা যে ভুয়া আলোচনা সভার মাধ্যমে এ আহবান জানিয়েছেন তার প্রতিবাদ্য ছিলো- "বাঙ্গালী জেগে উঠো"



এখন যারা এই আহবানে নিজেকে বাঙ্গালী বলে জাগাবেন নিঃসঙ্কচিত্তে বলতে চাই- তোরা সব দলকানা, বাঙ্গালীয়ানা তোদের মধ্যে বিন্দুমাত্র নাই।



এই আইনের ধারক নামক ভন্ড যে আহবান জানাইছে তাতে তিনি যে শেখ হাসিনার যোগ্য অনুসরণকারী তাও স্পষ্ট। আমরা আরেকটা এক এগারোর দিকে যাচ্ছি...



যার আহবান জানিয়েছিলেন বর্তমান শান্তির পূজারী শেখ হাসিনা তার লগি বৈঠা হাতে সরকারকে প্রতিহত করার আহবানে। যার ফলশ্রুতিতেআমার কিশোরকাল দেখতে পেয়েছিলো-মানুষ মানুষকে মেরে তার উপর উঠে লাফালাফি করার বিভৎস উল্লাস।



এরপরও তোরা নিজেদের গণতন্ত্রের ধারক বলিস, দলকানার বাচ্চারা একটা বিষয় মনে রাখিস-এই দুনিয়ায় আইনে হয়তো পার পেয়ে যেতে পারিস কিন্ত শেষবিচারে পার পাবিনা।



আর আমরা যারা এখনও বলে ও লিখে যাচ্ছি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি-

বলা ও লেখার সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে এখন ক্ষুদিরাম হবার সময়, এখন বদি, রুমি, জুয়েল, আজাদ হবার সময়...



"আর ঘরে বসে থেকোনা তরুণ কিবা বৃদ্ধ

ওরা সব শয়তানী দল, ওরা সব নিষিদ্ধ

এই বাংলায়...

তুমি-তোমরা উঠো জেগে, জাগতে তোমাকে হবেই

নইলে এভাবে... হ্যাঁ এভাবে তুমি-তোমরা মরবেই

খামখেয়ালীপনায়



জ্বলে উঠো...জেগে উঠো বাংলা

জ্বলে উঠো বাঙ্গালী দেখুক বিশ্বময়

তুমি বাঙ্গালী, আমি বাঙ্গালী, আমরা বাঙ্গালী

আর নেই নেই নেই কোন পরিচয়"



জ......য় বাংলা... জ......য় বাংলা...

জ......য় বাঙ্গালী... জ......য় বাঙ্গালী...

জ......য় বাংলাদেশ...জ......য় বাংলাদেশ...

০ টি +০/-০