নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এ সানী

এস এ সানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অহং ও হীনমন্যতা জাতির অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮


কুরআনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কখনও কোন জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেদের অন্তরের অবস্থা পরিবর্তন করে” (সূরা রা’দঃ ১২)।

হাদীসঃ আন আবী হুরায়রাতা ক্বালা আন্না রসূলাল্লাহে (সাঃ) ক্বালা ইযা ক্বালার রসূলু হালাকাননাসু ফাহুয়া আহল্লাকাহুম (মুসলিম)। অর্থাৎ হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি অন্যদের সম্বন্ধে বলে, সে (বা তারা) ধ্বংস হয়ে গেল, বস্তুতঃ সে ব্যক্তি এই কথা বলে তাকে (বা তাদেরকে) ধ্বংস করে দেয়। (অথবা লামের উপর পেশ দ্বারা পড়লে তার অর্থ হবে সে নিজেই তার চাইতে বেশী ধ্বংসপ্রাপ্ত)।

ব্যাখ্যাঃ উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস মানুষের মনস্তাত্ত্বিক-অবস্থার কথা বর্ণনা করে উত্তম জাতিতে পরিণত হবার পদ্ধতি বর্ণনা করছে। উন্নতির জন্য মানুষের মধ্যে সব উপাদান রেখে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ তার সঠিক ব্যবহার করে না। কেউ অহংকার-অহমিকায় ভোগে, আবার কেউ হীনমন্যতায়। বস্তুত এ পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষ হীনমন্যতায় ভোগে, যা অনেকের মাঝে মিথ্যা অহংরূপে বিদ্যমান থাকে।

উপরোক্ত আয়াত ও হাদীসে যে বিষয়টি বলা হচ্ছে তা হলো, জাতির মাঝে, লোকদের মাঝে আশা, উৎসাহ, উদ্যম ও সৎ-সাহসের সঞ্চার করতে হবে, তবেই জাতি বা গোষ্ঠী উন্নতি করবে। এর পরিবর্তে চেষ্টা না করে যদি বলতে থাকে যে, ধ্বংস হয়ে গেল- তবে এটা অত্যন্ত হতাশার বহিঃপ্রকাশ করে। আল্লাহ্‌র রসূল (সাঃ) বলেন, এভাবে বললে তারা নিরুৎসাহিত হবে, হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করবে। হযরত রসূল করীম (সাঃ) একবার এক সৈন্যদল প্রেরণ করেন। তারা সেখান থেকে পরাস্ত হয়ে মদীনায় আসলেন। পলায়ন করা ইসলামে হারাম, আর ‘আমরা পলায়ন করেছি’- এই ভেবে তারা লজ্জায়-শরমে হুযূর (সাঃ)- এর সামনে আসতেন না। এক সময় হুজুর (সাঃ) তাদেরকে মসজিদের এক কোণায় মুখ লুকিয়ে বসে থাকতে সেখলেন। হুজুর (সাঃ) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কারা? লজ্জায় তারা মাথা নীচু করে বললেন, আমরা পলায়নকারী। তিনি (সাঃ) তাদের অবস্থা আঁচ করে বললেন, তোমরা পলায়নকারী নও। তোমরা শক্তি অর্জন করে আক্রমণের জন্যে পিছিয়ে এসেছো। তোমরা অন্য কারো কাছে যাওনি বরং আমার কাছে এসেছো। আমি তোমাদের নেতা হয়ে আবার তোমাদেরকে যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে যাব।

সুবহানাল্লাহ্! কতই না উত্তম এ আচরণ, আর কত উত্তমই না এই শিক্ষা! তিনি (সাঃ)সাহাবাদের মনের অবস্থা আঁচ করে কত সুন্দর কথায় মন্তব্য করলেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের দিকে তাকালে দেখতে পাবো কীভাবে হীনমন্যতায় আক্রান্ত হচ্ছি আমরা, আর কীভাবে নিজ সন্তান-সন্ততিকে হীনমন্যতার শিকারে পরিণত করছি।

কুরআন এবং হাদীস বলে, এরূপ ব্যধিগ্রস্তরা কখনও সফলতা লাভ করতে পারে না বরং ধ্বংস হয়ে যায়। আল্লাহ্‌ করুন, আমরা যেন সর্বদা সতেজ-মনের অধিকারী হই। মৃত্যুর আগেই যেন মনের দিক হতে মৃত্যুবরণ না করি, আমীন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.