![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগার এভেদেদ এর মন্তব্য (ঈসা (আঃ) এর সম্পর্কে কোরআনের ৩০ টি আয়াতের আহমদিয়া/কাদীয়ানীদের ভুল ব্যাখ্যার জবাব ৭ নং মন্তব্য )পড়ে মনে হলো এর জবাব আর মন্তব্যে না দেই। উনি মনে হয় ওনার ভন্ড নবীর যুক্তিগুলো খণ্ডন (ড্রপবক্স ডাউনলোড লিঙ্ক) পড়ার সাহস পান নাই, পাছে ওনার বিশ্বাস টলে যায়।
ড্রপ বক্সের লিঙ্ক এর বইটা ঠিক মতো পরলে ওনার মন্তব্যের ৪টি প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর পেয়ে যেতেন আর একটা প্রশ্নের আংশিক। এই পাঁচটি প্রশ্নই কোরআন শরিফের আয়াত সম্পর্কিত, আর ওনার একটি মন্তব্য হাদিস সম্পর্কিত। ইন শা আল্লাহ সব মন্তব্যের ই জবাব দেয়া হবে।
সবার প্রথমে ওনার মন্তব্যের একটা স্ক্রিনশট নিচে থেকে দেখে নেই।
ওনার প্রথম মন্তব্যঃ
“মহা নবী(সাঃ) মৃত্যু শয্যায় মুসলিমদের একটা নসিহত করেছিলেন,যেটা ছিল তার শেষ নসিহতঃ- "লান্যত হোক ইহুদি খৃষ্টানদের উপর, তারা তাদের নবীদের কবর গুলকে সেজদার স্হান(মাজার)বানিয়ে ছিল (বুখারি,মুসলিম) হাদিসটা ১০০% ভাগ ঠিক তা সবার জানা। নবীজি তাহলে শেষ বেলায় ডাহা মিথ্যা বললেন অথবা ভুল বলে আমাদের বিপদে ফেললেন। খৃষ্টানদের নবী কে? না মরলে কবর ,মাজার আসলো কোথাথেকে ?
উনি যে বোখারী শরিফের হাদিস উদৃত করার সাহস দেখিয়েছেন সে জন্য ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। হাদিস রেফ, ভলিউম ২ , অধ্যায় জানাজা ১৩০৭ নং হাদিস।
নবী করিম (সাল্লেলাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম) ভুল বলেন নাই আর মিথ্যার তো প্রশ্নই আসে না।
জনাব মনে হয় হাদিসটা ভালোমত না পড়ে না বুঝেই বাঁদরের মতো লাফালাফি করছেন।
এখানে হাদিসে আনবিয়াইহিম (লাল দ্বারা চিহ্নিত) বলা হয়েছে, যার মানে নবীদের, নবীগণের ইত্যাদি। এখানে কখনোই সকল নবীদের বলা হয় নাই। সকল নবী বলা হলে আল আনবিয়া বলা হতো। যেমন আমাদের প্রিয় নবী করিম (সাল্লেলাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম) কে বলা হয়, ইমাম আল আনবিয়া মানে সকল নবীদের সরদার। আর যদি নামাজ কালাম কখনো পড়ে থাকেন তাহলে তো জানবেন সুরা ফাতিহার প্রথম আয়াত “আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন”
আল হামদু ---মানে সকল প্রশংসা
আল আলামিন—মানে সকল সৃষ্টি জগত।
কি মাথায় ডুকছে?
আপনারা তো ভয়ে হাদিস থেকে কখনো উদৃতি করেন না। যাই হোক আপনাদের ভণ্ড নবীর মতো আরো কয়েকটা ভণ্ড যে দুনিয়াতে আসবো এবিষয়ে আমাদের নবী করিম (সাল্লেলাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম) আগেই আমাদের সতর্ক করে গেছেন।
ভণ্ড নবী গোলাম কাদিয়ানী যে নিজেকে মসীহ ও ঈমাম মাহদি হিসেবে দাবি করে, অথচ তার আম্মা মরিয়ম (আঃ) নন এবং না তার মধ্যে ইমাম মাহদি এর বৈশিষ্ট রয়েছে । বোখারী শরিফের আম্বীয়া কেরাম অধ্যায় এর নিচের হাদিস খানা দেখি।
নবী করিম সাঃ যে আপনাদের ভণ্ড নবীর আগমনের সতর্ক বার্তা আগেই দিয়া গেছেন, আমরা তাই আপনাদের প্রপাগান্ডায় ভীত নই আলহামদুলিল্লাহ। আর ভণ্ড নবী মুসায়লামা তুল কাজ্জাব সহ অন্যান্য ভণ্ডদের ব্যাপারে কি করনীয় তা নিচের হাদিস থেকে জেনে নেইঃ
২৭৫২. মুহাম্মদ ইবন আমর ও রাযী (রহঃ) ......... মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (ভন্ডনবী) মুসায়লামা রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) এর কাছে একটি পত্র লেখে। যার সম্পর্কে না‘ঈম ইবন মাসঊদ আশ‘জাঈ (রাঃ) তাঁর পিতা না‘ঈম (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) মুসায়লাম এর পত্র পাঠান্তে তার দু‘জন দূতকে এ মর্মে জিজ্ঞাসা করেনঃ এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? তখন তারা বলেঃ আমরা তাই বলি, সে যা বলে (অর্থাৎ সে যে নবুয়াতের দাবি করে, আমরা তাতে বিশ্বাসী)। তখন তিনি (সাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! দূতদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা যদি না থাকতো, তবে আমি তোমাদের দু‘জনের শিরচ্ছেদ করতাম। -সুত্র- সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ) -অধ্যায়ঃ ৯/ জিহাদ
ওনার দ্বিতীয় মন্তব্যঃ
# মারেফুল কুরান এর আল ইমরানের ৫৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফতি সফি সাহেব স্বীকার করেছেন তাওয়াফফা অর্থ মৃত্যু। ঈসা(আঃ) কে বাচানর জন্য তিনি কোর আনের শব্দ আগে পিছে করে পড়ার পরামর্শ দিয়ে ছেন। এখনে কোরআনের ভুল পাওয়া মানে আল্লাহর ভুল পাওয়া !!!! তাহলে ইসলাম থাকল কোই?
প্রথমত মুফতি সফি সাহেব বাংলায় মারেফুল কোরাআন লিখেন নাই , উর্দুতে লিখেছেন, সেটা বাংলায় অনুবাদ করেছেন মাওলানা মহীউদ্দিন সাহেব।
আর আবার আপনি না বুঝে বানরের মত লম্ফজম্ফ দিচ্ছেন। তিনি কখনোই কোরআনের শব্দ আগে পিছে করে পড়তে বলেন নাই, ভূল আছে বলা তো দূরের কথা। আপনার মতো শাখামৃগরাই এই সব আবিষ্কার করে।
মারেফুল কোরাআন বিস্তারিত তাফসীর এর ২য় খণ্ড এর ৫৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা আছে যে ‘তাওয়াফ্ফি’ শব্দটির অর্থ ‘পুরোপুরি লওয়া’ যা সকল আরবী অভিধান দ্বারা স্বীকৃত এবং অধিকাংশ তাফসীরকারকের মতামতও তাই।
কিন্তু কোন তাফসিরবিদ ‘তাওয়াফ্ফি’ এর অর্থ দান করেছেন মৃত্যু, রাফাউকা দিয়ে বুঝাইছেন নিজের কাছে উঠিয়ে নেয়া। সেই তাফসিরবিদের মতে যদিও উঠিয়ে নেয়ার ঘটনা আগে ঘটেছে, কিন্তু কোরআন ‘তাওয়াফ্ফি’ শব্দ এইজন্য আগে উল্লেখ হয়েছে যেন খ্রিস্টান রা মনে না করে ঈসা(আঃ)উপাস্য এবং অমর। খুব সহজ। কোন বৈপরীত্ব নাই।
বাংলা তাফসির যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে নিচের লিঙ্ক থেকে ইংরেজি অথবা উর্দু ডাউনলোড করে নিয়ে পরবেন। না বুঝে হুদাই ত্যানা পেঁচাইএন না বা লেদাইএন না।
মারেফুল কোরআন লিঙ্ক
আপনার মত খ্রিস্টানরাও মনে করে তিনি মারা গেছেন। সুরা মরিয়ম আয়াত ৩৩ সম্পরকে খিস্টান আরব আনিস সারোসের প্রশ্ন আর আহমেদ দীদাতের উত্তর দেখুন নিচের লিঙ্ক এ। ৮ মিঃ ১৫ সেঃ দ্রষ্টব্য।
আহমেদ দীদাত ভিডিও লিঙ্ক
ওনার দ্বিতীয় মন্তব্যঃ
ঈসা(আঃ) বলেছেন 'আমার পরে আহমদ( মুহাম্মাদ) আসবে' (আল কুর আন) আমার পর বলতে কি বুঝাই তা একটা পাগল ও বুঝে, অর্থ লিখা হয় ঘুমাতে যাওয়া/ আকশে যাওয়া #
আপনি আসলে নিচের আয়াতের কথা বলতে চেয়েছেন।
"স্মরণ কর, মারয়াম-পুত্র ঈসা বলেছিল, হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর রাসূল এবং আমার পূর্ব হতে তোমাদের কাছে যে তাওরাত আছে আমি তার সমর্থক এবং আমার পরে আহমদ নামে যে রাসূল আসবে আমি তার সুসংবাদদাতা।" (সূরা সাফফ : ৬)
তো সমস্যা কথায়। আপনার কথা ধরেন, আপনার দাদার পরে আপনার বাবা দুনিয়া তে আসছে, তার পরে আপনার বাবার পরে আপনি আসছেন বা জন্ম গ্রহন করছেন। কিন্তু কে কখন মারা যাবে এইটা জন্মের ক্রম অনুসারে নাও হতে পারে, ছেলে নাতি নাতনী মারা গেলেও দাদা বেচে থাকতে পারে। ঈসা (আঃ) যখন বনী ইসরায়েলদের নবী করিম (সাঃ) এর সুসংবাদ দিচ্ছেন তখন তো নবী করিম (সাঃ) জন্ম গ্রহন করেন নাই। তাই ঈসা (আঃ) তার পরে নবী করিম (সাঃ) আগমন এর সুসংবাদ দিচ্ছেন।
অহে বলদ, মৃত্যু কি কখনো সুসংবাদ হয়। বোঝা গেলো ? নাকি এখন লেদানোর জন্য ঘাশ চিবোচ্ছেন।
আপনার পরবর্তী মন্তব্য গুলোর উত্তরের জন্য নীচের বইটা ডাউনলোড করুন
(ড্রপবক্স ডাউনলোড লিঙ্ক)
ওনার মন্তব্যঃ
"তোমার যারা আমাকে(আল্লাহকে) বাদ দিয়ে অন্যদের প্রভু রুপে গ্রহন করেছ,যেনে রাখো তারা সকলে মৃত........।"খৃষ্টান দের প্রভু(ঈসা) যে আকাশে ঘুমাচ্ছে ,যখন তার ঘুম ভাংবে পৃথিবী আসবে তখন আল্লাহর এই কথা অকেজ হয়ে যাবে ।
উত্তর পাবেনঃ page 21 Point 20
ওনার মন্তব্যঃ
যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তারপর তুমাই তাদের স্বাক্ষী ছিলে"(আল কুর আন) ঈসা নবীর ঘুম ভাঙ্গার পর পৃথিবী্তে আসার পর যখন দেখবেন তার আদি জাতি তাকে ও তার মাকে খোদা বানিয়েছে, কিয়ামত দিবসে কি ভাবে তিনি কুর আনের এই মিথ্যা আয়াত বলবেন।
উত্তর পাবেনঃ Page 11 Point 11
ওনার মন্তব্যঃ
# ঈসা নবী উম্মাত হোক আর নবী ই হোক কুর আন পড়া ও তার উপর আমল করা ঈসা নবীর জন্য ফরজ। উক্ত আয়াত তিনি কিভাবে পড়বেন ও আমল করবেন ???
উত্তর পাবেনঃ Page 10 Point 10
পরিশেষেঃ ভণ্ড কাদিয়ানি নবীর চেলা গিরি ছারেন, ভন্ডামী ছারেন। খ্রিস্টানদের পাছায় মুখ দিয়া জাহান্নামে যাইয়েন না। তওবা করেন। সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে আসেন।– আমিন
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯
প্রফেসর এরোনেক্স বলেছেন: ভাল।