নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাউদি সিদ্দিকী

মাই নেম ইজ সিদ্দিকী বাট আই এম নট লতীফ সিদ্দিকী...

সাউদি সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বড্ড জানতে ইচ্ছা করে !!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৩

প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই দেখি,খুন আর খুন,মানুষ মানুষ কে অবলিলায়,তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারনে হত্যা করছে। এর মধ্যে আরো ভয়ন্কর ভাই এর হাতে ভাই খুন হচ্ছে,পিতার হাতে পুত্র,স্বামীর হাতে স্ত্রী।আমাকে যেটা সবচেয়ে বিচলতি করে তা হলো দাম্পত্য কলহরে যের ধরে স্বামীর হাতে স্ত্রী বা স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন।এরা কেউ কিন্তু পেশাদার খুনী,উন্মাদ, বা অপরাধ প্রবন মানুষ নয়। ঘটনা ঘটার আগ পর্যন্ত এরাই অতি সাধারন, স্বাভাবিক ভাবে সমাজের মাঝে বেড়ে উঠা, সুস্থ মস্তিস্কে চলাফেরা করা বাহ্যত স্বাভাবিক একজন মানুষ যে কিনা আগের রাতেও লাখো স্বাভাবিক মানুষের মতো অখ্যাত অবস্থায় বিছানায় ঘুমাতে গেছে,পরদিন সকালে হঠাত করেই সে হয়ে যায় খবর কিংবা খবর এর কেন্দ্রবিন্দু। পত্রিকার পাতায় যখন গোটা গোটা আকারে গোবেচার অক্ষরগুলোতে খবর থাকে,"পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট মতে তার গলায় চারদিকে কালচে দাগ,আর নখরের চিহ্ব পাওয়া গেছে,ধারনা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে বা গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে,
টিভির খবর পাঠক পাঠিকাদের কন্ঠে এতো সাবলিল উচ্চারনে শুদ্ধ অকম্প গলায় রসহিন ভাবে(যেহেতু আমার জানামতে উচ্চারনশিলনে যে কয়টি রসের কথা জানা যায়,তাতে আদিরস,হাস্যরস ইত্যাদি থাকলেও মৃত্যুরস বা হত্যারস বলে কোন রস নেই) একই কথা উচচারিত হয়। "পল্লবীতে যৌতুকের দাবীতে কিংবা রহস্যজনককারনে( বা অজ্ঞাত কারন বশত:) এক পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে নিজ হাতে গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। এই পাষন্ড উপাধী আজকেই মাত্র এই লোকের কপালে জুটেছে,আগেরদিন রাত পর্যন্ত পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে যিনি ছিলেন সাদামাটা,ছাপোষা,নির্বিবাদ,মাকড়শা ভয়ে ভিতু, মুখচোরা ভালোমানুষ কোন স্বামী বা স্ত্রী।

আমার স্ত্রীর কাছ থেকে শেখা একটা প্রবাদ আছে সম্ভবত উত্তরঞ্চালে প্রচলিত প্রবাদ" এ কথা সে কথা, দে না বুবু আলা পাতা"। তো আমিও মূল প্রসঙ্গে আসি,

আমার মাথায় ইদানিং একট পোকা ঢুকেছে,"প্রশ্নো" পোকা। ,পছন্দনীয় উত্তর না খুজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সেটা উই পোকার মতো কুট কুট করে কেটেই যাবে, মস্তিস্কের ভিতরে,গভীর থেকে গভীরে ঢুকতেই থাকবে,অদম্য অস্হীর অশান্ত...কুট..কুট...কুট...কুট,যতক্ষন না প্রযন্ত সে তার প্রশ্নের যুক্তিতে গ্রহনযোগ্য কোন উত্তর না পায়। আমি আছি মহা ঝামলোয়।

প্রথম প্রশ্ন
আমার খুব জানতে ই্চ্ছা করে কতোটা প্রবল ঘৃনাবোধ আর অন্ধ আক্রোশ অন্তরে জমা থাকলে একজন দৈনন্দিন সাধারন মানুষ, দুই হাতে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ভ করে তার জীবনসঙ্গনিী কে হত্যা করতে পারে???
ব্যাপারটা নিশ্চয় এক পলকে বা মূহ্হর্তে ঘটেনা,কারন আমার জানা মতে আর টিভি সিনেমায় ও যা দেখায় একজন ঘুমন্ত মানুষের গলা টিপে ধরলেও সে মূহ্হর্তে জেগে উঠে্ অক্সিজেনের অভাব তার মস্তিস্ককে অটো রেড এ্লার্ম পাঠিয়ে দেয়,ফুস ফুস বাতাসের জন্য হাশ ফাস করতে থাকে মানুষ তখন ডাঙ্গায় তোলা মাছের মতো খাবি খেতে থাকে ,তরপাতে থাকে অক্সিজেন পাওয়ার জন্য।
শরীর তখন অটো রেসপন্ড করে সারভাইভাল এর জন্য যেটা কারো ইচ্ছা অনিচ্ছার ধার ধারেনা,দূর্বলতম বৃদ্ধের শরীর ও তখন হয়তো এক মুহ্হর্তের জন্য পূ্ণৃ উদ্রোমে তার সমস্ত কোষের শক্তিকে একত্র করে প্রচেষ্টা চালায় তাদের মূল দেহ টাকে বাচিয়ে রাখার জন্য,অক্সিজেন পাওয়ার জন্য,কারন শরীরের ক্ষুদ্রতম কোষ ও জানে,শরীরের মৃত্যু মানে তাদের প্রর্তেকের মূত্যু অবধারিত, আগে বা পড়ে কয়েকঘন্টার ব্যবধানে কি আসে যায়।
তাই ধর্ম বর্ন বা দল নির্বিশেষে শ্বেত,লোহিত,অবলোহিত সকল কোষ একতাবদ্দ হয়ে দেহকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রানপন তাদের পূর্ণ শক্তি প্রদান করে দেহকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টায়।
যেহেতু আমি ডাক্তার,ফরেনসিক এক্সপার্ট, ক্রাইম সিন এক্সপার্ট বা কোন শ্বাসরু্দ্দ হ্ত্যা প্রচেষ্টার ভিক্টিম নই(আরে গাধা ভিক্টিম হইলেও কি কইতে পারতাম??? মরা কহনো কতা কয়??),
কাজেই আমার আসলে আদতেই কোন সঠিক ধারনা নেই ,যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় ভিকটিমকে কোন প্রকার ড্রাগ না দিয়ে বা কৌশলে হাত দুটো বেধে না নিলে,কি
প্রবল ধস্তাধস্তি বা কতটা সময় ব্যয় হয় একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার সময়।কি আজব না !! একই সৃষ্টিকর্তার হাতে একই ছাচে গড়া দুইট দেহের অভিন্ন গুনসম্পন্ন কোষগুলো প্রবল প্রচন্ডতার সাথে তাদের সমস্ত শক্তিকে কেন্দিভূত করে
একইসাথে বিপরিতধর্মী আচরনে লিপ্ত হয়,একদল মারতে আরেকদল টিকে থাকতে। হয়তো সময়টা দশ বিশ মিনিটের।
কি পরিমান তিব্র ঘ্রিনা ক্ষোভ আর আক্রোশ তার ভিতরে পুঞ্জভূত হলে এই দীর্ঘ সময়, কোন সভ্য মানবসন্তান কিছুকিছু ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষিত(বটে!) অন্ধ আর বিবেকবর্জিত হয়ে যায়, যাতে ঐ সময়টুকু এর মধ্যে একবারও তার প্রচেষ্টা থেকে বিচ্যুত না হয়ে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরা গলার উপর ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে, অক্সিজেন পাওয়ার জন্য ধস্তাধস্তিরত দেহটাকে সম্পূর্ন নির্জিব হওয়ার জন্য। এর আগ পর্যন্ত তার শিক্ষা,বিবেক,সামাজিক মূল্যবোধ নামের মানবিক অনুভুতিগুলো সম্পুর্ণ ভাবে সুইচ অফ থাকে ।
৫ ইঞ্চি লম্বা ৩.৫ ইঞ্চি চওড়া আর ২.৫ ইঞ্চি উচ্চতার এতোটা ক্ষুদ্র একটা প্রকোষ্ঠে কিভাবে এই পরিমান ঘৃনা জমা হতে পারে...কিভাবে??নূন্যতম ১০০ বর্গফুট সাইজের একটা প্রকোষ্ঠ পরিপূণ ,শত কিংবা হাজার ঘন্টা, ,নুন্যতম ২৪ ঘন্টার(সর্টেষ্ট ব্রেক টাইম,এর থেকে অল্প সময়ের দাম্পত্য জীবনের কথা আমি শুনিনি,হোক তা সামাজিক বা নিজপছন্দের)
নিবিড় ভালোবাসায় পরিপূরর্ন দুইটি মানুষের ভালোলাগা ভালোবাসার যে পরিমান, তা কিভাবে ১ ফিটের এর ছোট খাচায় জমা ঘৃনার কাছে পরাজিত হতে পারে এইটা আমার মোটা মাথার লজিকে কোন ভাবেই ঢুকছে না। আতেলবৃন্দ(৫ ইঞ্চি লম্বা ৩.৫ ইঞ্চি চওড়া আর ২.৫ ইঞ্চি) এইটা আমাদের তথাকথিত হৃদয় এর আকৃতি,যেটাকে আমরা ঘৃনা বা ভালবাসার একমাত্র ধারক এবং বাহক হিসেবে হাজার বছর ধরে
গন্য করে আসছি,যদিও আসল ফান্ডা অন্যরকম,বেচারা হ্রদয় মাঝখানে বলির পাঠা) সে কথা না হয় আরকেদনি বলা যাবে।
দ্বিতীয় প্রশ্ন:
মৃতু্র আগ মুহুর্তে এবং ধস্তাধস্তিরত অবস্থায় ভিকটিম এর মানসিক অবস্থা কেমন হয়??বিঞ্জান অনুযায়ী,মস্তিস্কে অক্সিজেন এর সা্প্লাই কমে গেলে মানুষের স্বাভাবিক চিন্তা চেতনা বা আবেগ ব্যহত হয়,অই সময়টা
পুরটাই তার সাবকনশাস থাকার কথা,তার সমস্ত মস্তিস্ক,স্নায়ু,কোষ ও দেহযন্ত্রগুলো তখন শুধুমাত্র দেহরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকার কথা,প্রেম ভালোবাসা,স্মৃতি নামক আলতু ফালতু অবৈঞ্জানিক জিনিষ এর সেখানে স্থান নেই।
কিন্তু আমি তো বিঞ্জানী না,আমি মানুষ...তাও আবার বাংলাদেশী....আমরা হুতাশে বহুত কিছু করি...আবেগ ই আমাদের পুজি।তাই আবার ও ফিরে যাই "আলাপাতা" বা মূল প্রসঙ্গে,
পাঠক আপনাদের কারো মাথায় কি আমার মতো এই পোকাটা ঢুকেছে,মৃতু্র সেই আগ মুহুর্তে এবং ধস্তাধস্তিরত অবস্থায় ভিকটিম এর মানসিক অবস্থা কেমন হয়?? সেই স্ত্রী কিংবা স্বামী অথবা প্রেমিক বা প্রেমিকার ঐ মুহুর্তের মানসিক অবস্তা?তার মাথায় কি তখন কিছু খেলা করে?তার প্রায় বিস্ফোরিত খোলা চোখে তখন কি অনুভূতি খেলা করে?সেখানে কি থাকে?? ভয়,বিস্ময় না বিহবলতা,একরাশ অবিশ্বাস আর মূঢ়তা?তার ভিতরও কি তখন ক্রোধের সৃস্টি হয়!!
নাকি চরম অবিশ্বাসে ভরা একরাশ কষ্ট বা অভিমান তার খোলা চোখে ভর করে?অভিমানে কি তার চোখ আদ্র হয়ে আসে? তার মাথার ভিতর তখন কি প্রশ্ন খেলা করে ? স্লাইড এর মতো অসংখ্য দৃশ্য ভেসে বেড়াতে থাকে? ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবেগময় আনন্দের কোন স্মৃতি যেখানে তারা দুজনে অসম্ভব সুখে আবেশিত ছিল? নাকি হাজারো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তিক্ততার, কথা কাটাকাটি আর অপমানের গ্লানিতে ভরা চিত্র?নাকি দুটোই? কোনটা বেশী থাকে?
সে কি হতভম্ব হয়ে পড়ে,নাকি এই ভেবে তার চোখ আদ্র হয়ে আসে যে,"এই হাতদুটোই কতদিন সোহাগে তার গলা জড়িয়ে ছিল এই হাতের উপর মাথা রেখে সে পরম নিশ্চিন্তে আর প্রশান্তিতে ঘুমিয়েছে জীবনের অসংখ্য রাত!!! "
যে বুকের উপর চেপে বসে অবলিলায় দুই হাত দিয়ে যে ব্যক্তটি তার কন্ঠনালী চেপে ধরেছে প্রবল শক্তিতে,অসংখ্য রাত তার এই বুকে মাথা গুজে শিশুর মতো দেহ গুটিয়ে পরম শান্তিতে ঘুমেয়েছ।
তার কি তখন খুব রাগ হয়,নাকি কষ্ট বা বুকভরা অভিমান?তার ভিতরটা তখন শুধুইকি অক্সিজেনের জন্য আকু পাকু করতে থাকে নাম ভিতরের কষ্ট আর অভিমানের দলাগুলোও প্রবল ভাবে বিদ্রোহ করে,ব্যাকুল হয়ে চিতকার করে বলতে চায়,"কি ভাবে পারলে তুমি আমার গলা টিপে ধরতে?এটা কি করে হয়?সত্যি তুমি আমার মৃত্য চাও,তা এতটা প্রবলভাবে যে সেটা নিজে থেকে কখন আসবে তার জন্য একমুহুত সময়
ও তুমি ব্যয় করতে চাওনা?সত্যি তুমি আমাকে ঘৃনা করো? এতোটাই ঘৃনা করো?এটা কি ভাবে সম্ভব? এই তুমিই না আমার সামান্য জ্বরে আমাকে জড়িয়ে ধরে শিশুর মতো হাও মাও করে কেদেছিলে? এই তুমিই না আমাকে
পাওয়ার জন্য হাজারো রাত কেদেছো আল্লাহ্‌র কাছে আমাকে চেয়ে? আমি যেতে পারবোনা বলে নিজের সবচেয়ে প্রিয় কোন অনুষ্ঠান ও বর্জন করেছা?কি ভাবে তুমি আমার কন্ঠ নালী এভাবে চেপে ধরতে পারো?তুমি
জানো শ্বাস নিতে না পারার কারনে আমার কি প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্চে,আমি মারা যাচ্ছি তোমার চোখের সামনে?তুমি নিজ হাতে আমাকে হত্যা করছো,কতটো প্রবল ভাবে তুমি আমার মৃতূ কামনা করো যে স্বাভাবিক মৃত্যর আগমনরে অপেক্ষায় ও তুমি থাকতে পারোনি.
নিজের হাতেই যথাদ্রুত সেটা সম্পন্ন করার চেষ্টা করছ??কেন ?কি অপরাধ এতটো ঘৃনাকে একত্রিত করতে পারে?অযোগ্যতা,সাময়িক অক্ষমতা অথবা স্বাভাবিক তুচ্ছ পারিবারিক দন্দ্ব দ্বিমত কথাকাটা কাটি?কিন্তু সেগুলোতে জমে থাকে না..থাকার কথা না?পুরনো কোন কিছুর হতাশা? আমার থেকেও বেশি যোগ্য কারো প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আমাকেই বেছে নেওয়ার আফসোস?লাভ লসের হিসাব মেলানো? এটা না করে ও্টা করলে কি কি বাড়তি পেতে তার হিসাব? তাকে যে পেয়েছে সে তোমার থেকে সুখে আছে,আর তুমি হিরা ফেলে কাচ তুলে নেয়ার ভূলকে বুঝতে পেরে ক্ষোভে এমন করছ?নাকি অর্থের অভাব,আর অন্যদের অঢেল ভোগ বিলাশ তুমি মেনে নিতে পারছনা? অর্থ্যহীন র্আমি আজ তাই তোমার জীবনের অর্থহীন অবাঞ্চিত বোঝা হয়ে গেছি।চক্ষুলজ্জা আর তথাকথিত সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে বলে আমাকে সরাসরি পরিত্যাগ ও করতে পারছ না..আবার আমার বেচেথাকাও বরদাশত করতে পারছোনা? সরাসরি বলে চলে গেলেও তো পারতে? কিংবা না বলেই চলে যেতে পারতে...কিংবা আমাকেই বিদায় করে দিতে পারতে..কিন্ত তাহলে তো সমাজ তোমাকে খারাপ ভাববে?আর আমি গাধার মতো আমার সমস্ত ভালবাসা,বিশ্বাস, অন্ধ বিশ্বাসে তোমার হাতে স্বপে দিয়েছি। কল্পনাও করতে পারিনি,তুমি এমন কিছু মনে মনে চাইতো পারো। এটাতো কল্পনার অতীত, তুমিও বুঝে গেছ,এই সিন্দাবাদের ভূত আমার কাধ থেকে নিজে নামবে না,সহজে মরবেও না সময় ও গড়িয়ে যাচ্ছে,তাই কি সব বাধ ভেংগে গেছে,?তাই আজ নিজ হাতেই নিজের জীবন শুধরানোর দায়িত্ব নিজের হাতেই তুলে নিলে..শুধুমা্ত্র সমাজে যাতে তোমার নিজের ইমেজ নষ্ট না হয়। তাই বলে তুমি আমার ভিতরে থাকা তোমার শুদ্ধ ইমেজ টা কিভাবে ভাঙতে পারলে? একটুও হাত কাপলো না তোমার? আমাকে মুখে বলতে যে তুমি আনহ্যাপি আমাকে সহ্য করতে পারছো না,আমি তোমাকে তোমার প্রত্যাশিত স্বপ্নের জীবন দিতে পারিনি।তোমার স্বপ্পভঙ্গ হয়েছে...তাওতো ভালছিলো?
আমার মনের পটে থাকা তোমার বিশাল আর মহত ছবিটাকে কেন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলে?কেন মৃত্য যন্ত্রনার সাথে বাড়তি চাপিয়ে দিলে তোমার এই ভয়ন্কর চেহারা?শুধু একবার বলে দেখতে,আমি নিজেই মরে যেতাম,কেন তোমার থাকা আমার প্রতি প্রবল ঘৃনার রুপ টা কে দেখালে?তোমার অন্তরে আমি হয়তো বিষের কাটা হয়ে খচখচ করছিলাম কিন্তু আমার অন্তরে তোমার ভালোবাসার সেই ক্ষনগুলোতো জ্বলজ্বলে ছিলো।একটু না হয় অভিনয়ই করতে?মৃতু্ যন্ত্র্রনার মুখে দাড়িয়ে কেন আমাকে নিয়ে তোমার অন্তরেরর প্রবল ঘৃনাটা দেখতে দিলে? আমার সুখ স্মৃতিগুলোকে এভাবে কেন দুমড়ে মুচড়ে পদদলিত করলে। আমাকে বিয়ে
করে তুমি যে ক্ষতি্গ্রস্ত হয়েছ তার জন্য কি আমার মৃত্যু বা দূরে চলে যাওয়া ও কি তোমার ভূলের মাশুল দিতে পারতো না? মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পড়তে কেন তোমার হুদেয় যে আমার জন্য ঘৃন পাহাড় টা ছিল সেটাও আমার কাধে চাপিয়ে দিলে? এতটা প্রতিহিংসা পরায়ন তুমি
কি করে হতে পারলে? সামান্য একটু মিথ্যা সুখ নিয়েই আমাকে মরতে দিতে? এখন কি তোমার ক্ষতিপূরন পুন হয়েছে? জীবনের একটাদিনও কি আমার ভালবাসা তোমাকে স্পর্শ করেনি।সম্পুন টাই কি তবে মেকি ছিল?
তা না হলে ঘৃনার এই তিব্রতা আসে কিভাবে? আমি না হয় অধম ছিলাম,তুমি কেন উত্তম হলে না? একজন প্রতারিত বা ভূলের মাসুল টানা মানুষ যে কিনা প্রতারিত হওয়ার কষ্ট উপলব্দ হয়েছ,প্রতারনার প্রতি তো তার ঘৃনা জন্মানোর কথা?সে নিজেই কিভাবে সেই একই চরিত্রে উপনতি হতে পারে?"আই ফর এন আই উইল মেক দ্য হোল ওয়াল্ড ব্লাইন্ড"

দ্বিতীয় প্রশ্ন:
যে স্বামী বা স্ত্রী তার জীবনসঙ্গিনিকে গলাটিপে হত্যা করে,তখন তার মানসিক প্রতিিক্রয়া কি হয়?তার মাথায় তখন কি খেলা করে ?তার চোখে তখন কি খলো করে? তিব্র ঘৃনা আর ক্রুরতা নাকি ঝামলো মুক্ত কোন নতুন জীবনরে স্বপ্ন?নিজের ভূলের আক্রোশ থাকে? আকাঙ্খিত জীবন
না পাওয়ার প্রতিহিংসা জ্বলজ্বল করে?তার মস্তিস্কে তখন কি খেলা করে?শুধুই আক্রোশ,নাকি কল্পনার কাঙ্খিত সুখী সমৃদ্ধ জীবন না পাওয়ার যন্ত্রনা আর প্রবঞ্চনার ক্ষোভ?একমুহুর্তের জন্য ও কি কোন সুখ স্মৃতি,ক্ষুদ্র কিন্তু ভালোবাসার যে কোমল ছোয়া একদিন হলেও তাকে পুলকিত করেছিল,তার চোখের ক্ররতা কে একটু নম্র করে দেয়না?জীবন কি তাহলে শুধুই একটা লাভ লসের টালি খাতা যেটার প্রতিটা পৃষ্টা পরিপূন থাকতে হবে লাভের অন্কে। সাময়িক লস ও সেখানে ক্ষমার অযোগ্য?চুলচেড়া হিসেব,যেখান কোন বিচ্যুতি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ? তাহলে ভালোবাসা,মানসিক বন্ধন,সম্পর্কের পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ,পরস্পরের প্রতি আস্হা ও দায়বদ্ধতা,পারস্পরিক সমাযোতা,একজন আরেকজন গভীর ভাবে বুঝার চেষ্টা বা উপলব্দি
করা,একজনের দূব্যল্যতা বা অক্ষমতাকে আরেকজনের সহমর্মিতা দারা পুরন করা এইসবই মেকি আর পুস্তকের বিষয়। তবে কি বিংশশতাব্দির এই শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থা,নারী জাগরন,নারী স্বাধীনতা,স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এই সমস্ত সামাজিক সুত্র আসলে মিথ্যা মরিচিকা।

তার থেকে কি পঞাশের দশকের যে স্বামাজিক রিতি নিতি সেটাই বেশী কার্যকর ছিলনা,সেসময় তো কদাচিত স্বামী তার স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্দ করে হত্যা করত কিনা এমন তথ্য পাওয়া বিরল...ভালো না লাগলে প্রকাশ্য একাধিক বিয়ে করতো,কোন স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন হয়েছে এমনটাও খুব একটা শুনিনি,স্বামীরা স্ত্রীদের গায়ে হাত তোলার প্রয়োজন বোধ করতোনা....আর কোন স্ত্রীর উচ্চ বা কর্কশ কন্ঠ চারদেয়ালের বাইরে কেউ শুনেছে বলেও শুনা যায়নি। আমাদের নানী দাদীরা দাম্পত্য জীবনে
অসুখী ছিলো এমন গল্প ও কোন নানী দাদীর মুখে বিরল। বরঞ্চ ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের মুখে যৌবনের সুখ স্মুতিই বৃদ্ধকালে বারবার উচ্চারিত হতে শুনেছি। তাদের ঘোলা চোখে এখন পুরনো স্মৃতির কথায় আনন্দের উজ্জলতা ঝিলিক দিয়ে উঠে। ভাঙা টিনের তোরনে তুলে রাখা তাতে বুনা লাল রঙ্গের জরিড় পার দেওয়া সস্তা শাড়িতে হাত বুলানোর সময় এখনও তার শির্ন চেহারার সুখ আর আনন্দের উজ্বল আলো খেলা করে। হয়তো বিয়ের পর কোন এক বোশেখ মাস মেলা থেকে তার স্বামী তার জন্য এটা কিনে এনেছিল,দুই একবার গোপনে ঘরের ভিতর পরে পায়ে আলতা দিয়ে লাল ফিতায় চুল বেধে হাতে পাখা আর গামছা নিয়ে অধির অাগ্রহে বসে ছিল কখন গঞ্জ থেকে স্বামী বাড়ী ফিরবে। বিংশ শতাব্দী আমাদেরকে "ভাসাবী" বা "সপারস ওয়ারলড" উপহার দিয়েছে,কিন্তু কেড়ে নিয়েছে গরমে ঘামে ভেজা শরীরে হাত পাখার মৃদু বাতাস,আর পরম মমতায় মাখানো বউ এর আচল দিয়ে ঘাম মোছার সেই অনাবিল আনন্দ। ভবিষ্যতের নানী দাদীদের কাছে সস্তা টিনের তোড়ন নয়, থাকব লম্বা টানা কাবার্ড...থাকে থাকে সাজানো অসংখ্য বিদেশী শাড়ী আর থ্রি পিছ। কিন্তু সেগুলোতে শুধু্ই ন্যাপথলিনের গন্ধ..ভালোবাসা মমতায়
জড়ানো আবেশী কোন গন্ধ নে্ই।আর সেগুলোতে হাত ছোয়ালে শুধু্ই তিক্ততা,অপূর্নতা,প্রবঞ্চনা আর মেকি দাম্পত্য জীবনয়াপনের গল্প ছাড়া আর কোন কিছু বেরহবে না। কারো কোন সুখ স্সৃতি নেই শুধুই না পাওয়ার আক্ষেপ।
তাই নানী দাদীদের মুখের গল্প ও ফুরিয়ে গেছে,তারা এখন তাই ওল্ডহোমে একাকি মুখ লুকিয়ে থাকতে বেশী পছন্দ করে। মেকি জীবন যাপন করা যায়,কিন্তু তা দিয়ে তো আর সুখ স্মৃতির জাল বোনা যায়না।

অবশেষ
পুরনো ঢাকায় জন্ম এবং লালিত পালিত সুত্রে "ঢাকাইয়া" সংস্কার ও সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠা আমার এই মস্তিস্ক,ঢাকাইয়া দের নিয়ে প্রচলিত একটা হাস্যরসে কথা মনে করিয়ে দেয়ু,্
য়দিও কেউ বলে এই হাস্যরসের লক্ষ্য হচ্ছে তাদের প্রবল রসিকতবোধসম্নন্ধ কেউ বলে এটা তাদের সাদাসিধা সরলতার আবার কেউবা বলে এটা তাদের মুর্খ বা মাথামোটা হিসেবে
হেয়করা,য়াই হোক আশা করি কোন ঢাকাইয়া এটাকে নেগেটিভ সেন্স এ নিবেন না,কারন একদার্থে জন্ম এবং বাড়ী থাকার শরতে আমিও নিজেকে ঢাকাইয়া দাবী করি,
" একজন সহজ সরল পুরনো ঢাকার লোক,একবার তার বন্ধুর করা একটি মুরগীর খামার দেখতে গেছে, সেখানে সে প্রত্যক্ষ ভাবে ডিম ফুটে মুরগীর বাচ্চা বের হবার দৃশ্য টা দেখতে পায়। ঘটনাটা দেখে
সে একপ্রকার খামোশ খেয়ে গেলে তার বন্ধু তাকে তার খামোশ খাওয়ার কারন জানতে চাইলে,সে অত্যন্ত িচিন্তিত ভঙ্গিতে কয়েক মূহুর্ত মাথা চুলকে একপ্রকার বিসম্য়বোধক চেহারা নিয়ে
তার বন্বুকে বলে
" আবে হালায়,টাশকি কি আর এমতেই খাইছি,চোক্খের সামনে দেখবার পাইলাম ডিম টা ফাইটা কি ছুন্দর ছাওটা বাইর অইয়া আইল,
মগর হালায় বহুত দিমাগ খাটাইয়া ও একটা চিজ বুজবার পারলাম না,?
: কি?
বাচচাতো ঠাস কইরা বাইর অইছে নিজের চোখ্খেই দেখলাম,মগর হালায় অদ্দুর ডিমটার বিত্তে মুরগীর ছাওটা হান্দাইল কেমতে?
হান্দাই্ছে তো হান্দাইছে লেকিন হালার ডিমের ভিত্যে হান্দানের ছেদা টা কই?"


অসমাপ্ত ও সামান্য সংযোজন বিয়োজন খুব শিঘ্রই করা হব।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

নিলু বলেছেন: লিখে যান

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

সাউদি সিদ্দিকী বলেছেন: ভাইরে লিখে যে যাবো,ভালো কথা।লেখার জন্য তো আমারো মন আকুপাকু করে। কিন্তু বিশাল এক সমস্যায় আছি। পরামর্শ দেন।
আমি লিখতে বসলে্‌ই রামায়ন হয়ে যায়। ছোট করে কিছু লিখতে পারিনা। যা বলতে চাচ্ছি তা যদি মন খুলে বলতে না পারি তা হলে আধা কথা বলে কি লাভ। আর লেখাগুলো সব আমার জীবনঘনিষ্ঠ। তাই লিখতে বসলে আমি ঘটনার মধ্যে ঢুকে যাই। প্রতিটা ডিটেইল চোখের সামনে দেখতে পাই। মনে হয় ডিটেইলগুলো না লিখলে যে পড়বে সে তো প্রকৃত দৃশ্য টা ফিল করতে পারবেনা।
কিন্তু পাঠকতো বড় লেখা দেখলে বিরক্ত হয়। অনেকে হয়তো মনে মনে গাল দেয়। আর যদি কেউ নাইবা পড়লো ,তবে কার জন্য লিখবো? লেখা ছোট করার কোন টিপস্‌ আছে? কিংবা খাজা বাবার তাবিজ?

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

নিলু বলেছেন: অসুবিধা কোথায় , রাম থেকেই তো রামায়ন , লেখা ছোট / বড় কোন ব্যাপার না , তবে সমাজে নানা মতের / অমতের লোক আমরা বাস করি সুতারাং সকলের পছন্দ এক নয় নিচ্চয় , একটি কথা মনে পড়ে গেলো তা হোলও , আমি একদিন এক স্কুল শিক্ষক সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলাম যে , আপনাদের স্কুল অনেক পুরাতন এবং নাম করা প্রতিষ্ঠান , তারপরও কেনও ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ছাত্র ভর্তি করছেন ? তাতে ফেলের হার বেড়ে যাচ্ছে যে , উত্তরে স্যার বলেছিলেন এরা আমাদের স্কুলের অর্থকরী ফসল তাই এদের ভর্তি পরিক্ষা ছাড়াই ভর্তি করতে হবেই সুতারাং লিখে যান ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.